২১
ময়দান
প্রথম বর্ষ। সপ্তম সংখ্যা । জানু য়ারি ২০২১
ফাইটার বিশাল দাস
“ ছ�োনে, এই ছ�োনে কই তুই ”। জানলা খুলেই তিনি দেখতে পেলেন, তাঁর কাকা দাঁড়িয়ে আছেন, তাকে ডাকছেন। কাকাকে দেখেই ভয়ে মুখ চ�োখ শুকিয়ে গেল�ো ওনার, তাহলে কি গতকালের ম্যাচের কথাটা কাকার কানে প�ৌছে গেল�ো। “ তারাতাড়ি তৈরি হয়ে নে, দেশবন্ধু মাঠে প্রাকটিস করাব�ো।” কাকাকে দেখেই বুঝে গেছিলেন তিনি, যে সেদিন কপালে দুঃখ আছে। অগত্যা তৈরি হয়ে পৌঁছ�োলেন মাঠে। তাঁর কাকা তাঁকে একটা গ�োলপ�োস্টের সামনে নিয়ে গেলেন। তারপর তাঁকে স্কিপিংয়ের দড়ি দিয়ে একটা প�োস্টের সঙ্গে পিছম�োড়া করে বাঁধলেন। এদিকে তাঁর মাথায় ত�ো কিছু ই ঢুকছে না, কি জানি কাকা হয়ত�ো ক�োন নতুন হার্ড ট্রেনিং করাবেন। সম্বিত ফিরল�ো কাকাকে স্পাইক বুট পরতে দেখে, উনি ত�ো কখনও প্রাকটিস করান�োর সময়
স্পাইক বুট পরেন না। সবসময় কেডসই পরেন। তাহলে কী? হঠাৎ করেই বেজে উঠল�ো কাকার মুখের হুইসিল বাঁশি, আর কিছু ভাবার আগেই পিছম�োড়া অবস্থায় থাকা ভাইপ�োর পায়ের সিনব�োনে পরতে লাগল�ো কাকার স্পাইক বুটের লাথি। প্রায় মিনিট দশেক চলল�ো এই লাথান�ো, তারপর আরেকটি বাঁশি বাজান�োর সাথে সাথে থামল�ো এই লাথি মারা। যেমন খেলার হাফটাইমে বাঁশি বাজে। গম্ভীর কন্ঠে কাকা ভাইপ�োকে বললেন “ আজ হাফ টাইম অবধি হল, এরপর যদি শুনি আমার ভাইপ�ো হয়ে তুই গ�োড়াদের দলের বিরুদ্ধে খালিপায়ে পা বাঁচান�োর জন্য খেলেছিস, তাহলে এরপর কিন্তু ফুল টাইম অবধি হবে। এটা মাথায় থাকে যেন।” আশা করি এইটুকুতেই চিনতে পেরেছেন কলকাতা ময়দানের দুই প্রবাদপ্রতিম চরিত্রদের।