Anjali
Durga Puja Program October 9, 2021
Puja Anjali Prasad & Lunch Cultural Program Puja & Arati
… … … … …
11:00 AM 12:00 PM 12:30 PM 1:45 PM 4:00 PM
Cultural Program Opening Song
Swami Divyanathananda
“Ma” A prayer to the Devi and a celebration of womanhood through dance by Indian classical dance troupe
Advika Ghosh, Suvechha Bhunia, Rhitvikaa Viswanathan, Ashmita Paul, Moitrayee Majumder, Priyanka Ghosh
Ray at 100 - A tribute to Satyajit Ray
Satyajit Ray remembered through dance and music by utilizing the music that he used and composed for his films Ananya Chandra, Arnab Karrmokar, Ashmika Ghosh, Atreyee Chandra, Aveek Dutta, Gandharbee Misra, Shreyansh Kar, Souhardya Kar, Zinnia Maya Dhar, Keyur De, Paulomi Barman, Priya Panda, Rituparna Misra, Ranjan Gupta, Ruma Gupta, Sumana Kar
Shruti Natok based on Satyajit Ray’s short story Class Friend Ashmita Paul, Biswanath Paul, Chaitali Paul, Krishana Das, Mayukh Dutta, Purbita Dutta
Hope: Dance and song Khanda Raah – The blocked path Dance by Subha Kokubo Chakraborty and students Song by Debarati Bose Speech by Swami Medhasananda Golden hits from Bangla Band
Abhisekh Ghosh, Angan Pati, Arnash Gupta, Biswanath Paul, Chaitali Paul, Chandralekha Panday, Keyur De, Krishana Das, Mayukh Dutta Meeta Chanda, Moitrayee Majumder, Purbita Dutta, Priyanka Ghosh, Rituparna Misra, Sanjib Chanda, Sumana Ghosh Gupta, Sumana Kar, Somenath Kar, Trishit Ruj
Program compered by Joyita Basu Dutta and Sangeeta Krishnamurthy Digital presentation of the program by Sanjib Chanda Videography and editing by Krishana Das, Mayukh Dutta, Sanjib Chanda, Somenath Kar, Souhardhaya Kar Program coordinated by Rita Kar Venue: Ota City Industrial Plaza (PiO), 2nd Floor Small Exhibition Hall, 1-20-20, Minami Kamata, Ota-ku, Tokyo 144-0035, Tel: 03-3733-6600 © Bengali Association of Tokyo, Japan (BATJ). All rights reserved. Disclaimer: The articles compiled in this magazine are personal opinion of the authors and in no way represent any opinion of BATJ.
সম্পাদকীয় অনেক অনু মান, আশা, আশঙ্কা, আল�োচনা, সমাল�োচনা, অনিশ্চয়তা, ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে ত�োকিয়�োতে অনু ষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক ট�োয়েণ্টি ট�োয়েণ্টি। শুধু অলিম্পিকই যেখানে মানব ইতিহাসে একটি উল্লেখয�োগ্য ঘটনা, তা যখন আবার আয়�োজিত হ�োল কর�োনা অতিমারীজনিত বৈশ্বিক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে, তখন সেই ঘটনার ঐতিহাসিক গুরুত্ব যে নিঃসন্দেহে আর�ো অনেক বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পৃথিবী নিত্যপরিবর্তনশীল - মানু ষ এতে যতই অভ্যস্ত থাকুক না কেন, অপ্রত্যাশিতভাবে যখন মারাত্মক পরিস্থিতির কবলে পর্যুদস্ত হয়, তখন একমাত্র ঈশ্বরের করুণাধারাই জাগিয়ে ত�োলে মানু ষের অন্তর্নিহিত আবেগ, মানবিকতা, সংবেদনশীলতা, ও সহমর্মিতা এবং সেই ব�োধই মানু ষকে আবদ্ধ করে ঐক্যের বন্ধনে, শক্তি জ�োগায় ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের সাথে সম্মিলিত ভাবে ম�োকাবিলা করার। ত�োকিয়�ো অলিম্পিকের সামগ্রিক আয়�োজনের মধ্যে দিয়ে জাপান সমগ্র বিশ্বের কাছে সেই ঐক্যের বাণী পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন ভারতীয়, এই অলিম্পিক গেম্সে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার সু য�োগ পেয়েছিলেন। তাদের অমূ ল্য অভিজ্ঞতাকে পেশ করা হয়েছে এইবারকার অঞ্জলিতে। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজী সু ভাসচন্দ্র বসু র গুরুত্বপূ র্ণ অবদানের কথা সর্বজনবিদিত। শ�োষিত ভারতীয় জনগণকে উজ্জীবিত করে পরাধীন ভারতকে স্বাধীন করার সংগ্রামে যে সর্বভারতীয় নেতৃত্ব তিনি দিয়েছিলেন, সেই কথা তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার সময়। এবারকার সংখ্যায় একটি প্রামাণ্য রচনার মধ্যে দিয়ে সেই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সাথে সাথে বহু স্বল্পাল�োচিত তথ্য এবং অনেক উৎসাহব্যঞ্জক ঘটনার প্রতি আল�োকপাত করা হয়েছে যা খুবই সময়�োপয�োগী বলে আমরা মনে করি। জন্মশতবর্ষ পূ র্ণ হ�োল প্রাতঃস্মরণীয় এক ভারতীয় সন্তানের যিনি বিশ্ব চলচ্চিত্রের মানচিত্রে ভারতবর্ষের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে গিয়েছেন তাঁর অমর কীর্তি দিয়ে। তিনি হলেন চলচ্চিত্র জগতের এক কিংবদন্তী নাম - সত্যজিত রায়। বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম, সত্যজিত রায় তার শিল্পকর্মকে যেভাবে বিশ্বের দরবারে সমাসীন করে চির অমর হয়ে রয়েছেন, তা আমাদের একান্ত গ�ৌরবের বিষয়। সত্যজিত রায়ের জন্মশতবর্ষে তার অসাধারণ সৃ ষ্টিনৈপুণ্যকে নতুন করে উপলব্ধি করার ও তার শিল্পকর্মকে প্রসারিত করে দেওয়ার এই শুভলগ্নে দুটি বিশেষ রচনার মধ্যে দিয়ে তার প্রতি জানাই আমাদের অন্তরের শ্রদ্ধা। কয়েকটি বিশেষ প্রতিবেদন ছাড়াও এবারকার অঞ্জলিতে সংকলিত হয়েছে অনেক বৈচিত্র্যময় গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা ইত্যাদি। দুঃখের বিষয় অতিমারীজনিত পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন না হওয়ার দরুণ এবছরও অঞ্জলির প্রকাশনা অনলাইন সংস্করণের মধ্যেই সীমিত রাখতে হ�োল। সকলের জীবনে সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল হ�োক, দুর্গতিনাশিনীর কৃপায় দূ র হয়ে যাক সব অশুভ প্রভাব। ভগবৎ আরাধনা এবং ভগবৎ সান্নিধ্যে পুনর্প্রতিষ্ঠিত হ�োক আনন্দময় জীবন। কল্যাণময়ী দেবীর কাছে অঞ্জলির সব পাঠকের সু খ, শান্তি, ও সু স্বাস্থ, কামনা করি। সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে সকলের জন্য রইল�ো শারদীয় শুভেচ্ছা।।
www.batj.org
Durga Puja 2021
Editorial Despite guesswork, aspirations, apprehensions, planning, criticism, and uncertainties, Tokyo Summer Olympics and Paralympics 2020, were finally held this year. Whereas Olympics by its own merit finds its place in history, it is needless to mention that this year’s Olympics organized under the abnormal circumstances of a global pandemic will carry a very special significance in the history of mankind. The world is ever-changing. No matter how much one gets used to surviving in this changing world, it is only God’s immense grace that need to be abundantly showered on human beings who are tormented by the adversities of the current unexpected pandemic. God’s grace arouses inherent divine qualities of human beings like emotion, humanism, compassion, empathy etc., and binds everyone together for fighting against such deadly misfortune. Japan wanted to convey this message to the world throughout the Olympic games. A few members of our Indian community got the rare opportunity to serve as volunteers in the games. We have incorporated their valuable experiences, and created a special section in Anjali. The contribution that Netaji Subhas Chandra Bose made in the struggle for freedom of India, is a well-known fact. It is time to remember on his 125th birthday, how he led the freedom movement by inspiring oppressed people of India under the British rule to fight for India’s freedom. We have included an article in this year’s Anjali which has tributed this great leader with his less discussed and interesting, yet authentic anecdotes. We also think that this article is very much relevant given the current situation. This year marks the centenary of a great son of India who by his immortal works imprinted India’s position on the global map of the film world. He is none other than Satyajit Ray, a legendary figure in cinema and one of the greatest filmmakers of the 20th century. The way he immortalized his works on the global stage of film making, is a matter of great pride for our whole nation. On his centenary, it is imperative to look at his excellence and to spread his name across the globe. Through two relevant articles, we have paid our tribute to this great man. In addition to few special sections, we have added literary pieces from different genres to keep its diversified nature. Unfortunately, the pandemic situation in Japan still calls for a lot of restrictions, and therefore forced us to keep this version online. May the almighty, the remover of all pains, destroy all evil effects from the earth and let everyone be blessed with overall wellbeing. Let the peaceful life be brought back through our devotion in God. We pray for the wellbeing of our readers and their families. Anjali extends best wishes to all its readers.
Anjali 2021
CONTENTS Special Theme 10 Economic Sustainability of Tokyo 2020 Games
- Mona Khandhar
12 Tokyo 2020 Olympics
- Paromita Tyagi
13 Tokyo Olympics: Journaling My Memories
- Ashoke Karmokar
16 ओलंपिक - अभी छू ना है आसमान! - संजय बैनर्जी
18 Experiencing Tokyo 2020 Games
- Rohan Agrawal
20 Volunteer Experience at Tokyo 2020
- Sushma Raju
24 「聖と俗のあいだ」 - 小久保 順 27 সত্যজিৎ রায় - তপন কুমার রায় 30 The World of Ray
- Kshitij Singh
49 বাবা
- সু ব্রত বণিক 50 দু ই পৃ থিবী - বিশ্বনাথ পাল 50 ক�োন�ো এক কুরূপাকে - ক�ৌশিক ভট্টাচার্য্য ু 51 নতন ভ�োর - শান্তনু চক্রবর্তী 51 নির্বিকার - অরুণ গুপ্ত 52 নায়াগ্রা - সু মনা কর 53 Change Oneself before Changing Others
- Swami Medhasananda
55 Waldo’s Question, and Answers from Indian Scriptures
- Suneel Bakhshi
58 Indian Influence on Japanese Culture & Mythology
- Varun Tomar
60 An Indian monk in Ancient Japan
- Saroj Kumar Chaudhari
Feature, Story, Travelogue, Poetry
62 Random Thoughts
31 জয়তু নেতাজী - স্বামী দিব্যনাথানন্দ 34 একটি কবিতার শতবার্ষিকী - শ্রীকান্ত চট্টোপাধ্যায় 36 সাপ্পোর�ো বাস - কাজুহির�ো ওয়াতানাবে 38 ক্ষুদ্দা এবং বাবু ই চড়াইয়ের বাস্তব দর্শন - অনু পম গুপ্ত 40 উমা - শুভা ক�োকুব�ো চক্রবর্তী 41 হেমন্তের আল�ো - শঙ্কর বসু 42 স্মৃতির পাতা থেকে - শমিত রায় 43 শিক্ষা - আশা দাস 44 বড়�ো হওয়া - আগমনী পাঠক 46 বাড়ি - দু হিতা সেনগুপ্ত 47 অবয়বহীন দৈত্য - পূ র্ণিমা ঘ�োষ 48 ছেলেবেলার রথ - সমীক ঘ�োষ
63 Understanding Conflict and Importance of Peace Education
6
- Gunjan Verma - Dr. Vandana Singh
64 Strange Obsession
- Tapan Das
66 The Finnish Education System
- Sofyani Tatipamula
68 Nolen Gurer Nadu
- Piali Bose
69 My Ego (1993-2021)
- Shoubhik Pal
70 How gender norms are holding us back in the 21st century!
- Dr. Prachi Gupta
71 Where The Mind Is Without Fear
72 F1
- Mandar Ponkshe - Nishant Chanda
74 Impact of COVID Pandemic on Business and Industry
- Manikchandra Ghosh
76 My Journey of Normal
- Sougata Mallik
78 Indian Railways on Fast-Track to Sustainable Mobility
- Ravindra Verma
81 Ayurveda: Nature’s Gift For A Healthy Life
Anjali
- Dr. Reeta Sharma
www.batj.org
82 Small Wishes
- Soumitra Talukder
83 Everything’s Going To Be Alright
- Utso Bose
84 Let the faith not shake
- Arjyama Choudhury
85 Strangers in the City
- Joyita Basu Dutta
86 गुरु का लंगर
- मनमोहन सिंह साहनी
88 कवि का कोविड संशय
- राजेश्वर वशिष्ठ
90 नवरात्री
- पूर्णिमा शाह
91 हे के शव हे माधव
- रिमझिम मोहनती
92 सम्बल
- प्रभा मित्तल
93 अज़ीम गुफ्तगू
- सेजल मेहता
94 रात्रि
- सुनील शर्मा
95 主の御手の中で 今日もまた
- 佐藤 洋子
96 Indian food and Japan/ インドカレーと日本
102 A Tale of Two Girls
- Suvechha Bhunia, Grade II
104 Joypolis With My Sister
- Soham Kundu, Grade III
105 Big Joint Family
- Anushka Mohanty, Grade VIII
106 Think Before You Act: The Truth Triumphs
- Arnab Karmokar, Grade IX
108 The Haunted Park
- Shankhin Sen, Grade IX
109 Undefined
- Neetra Chakraborty, Grade IX
110 The Meditation with a Paintbrush
- Ashmita Paul, Grade IX
112 Drawings 118 New Born
- Yogi (Yogendra Puranik)
98 タゴール生誕160年・没後80年に寄せて
Children's Section
- 佐々木 理香
118 Photography 122 Arts
99 ゲームと私
- 川満 恵理菜
100 わたしとマンゴー
- ロイ れい子
101 「私の最高の経験」
- モイツターリ マジュモダルー
Tributes 128 A Tribute to my Dad
- Sayantani Dasgupta
129 Tribute to Mr. Motoyoshi Noro
- Rika Sasaki
130 Statement of Accounts 130 Anjali Editorial Team
www.batj.org
Durga Puja 2021
7
Acknowledgements We are pleased to bring out our autumnal publication Anjali on the auspicious occasion of Durga Puja celebration 2021. Situations have changed since we mentioned about Covid-19 in last year’s Anjali. According to Johns Hopkins University & Medicine, “countries around the world are working to “flatten the curve” of the coronavirus pandemic. Flattening the curve involves reducing the number of new COVID-19 cases from one day to the next. This helps prevent healthcare systems from becoming overwhelmed.” Vaccination plays a major role in preventing new infection. However, Johns Hopkins University & Medicine also said that, “public health officials have worried since the start of the pandemic that vaccinations would not be equitably distributed around the world. The data appears to be confirming those fears as developed nations are vaccinating their populations far faster than less developed countries.” Despite all uncertainties, Tokyo Summer Olympics and Paralympics 2020, were finally held this year. While we thought of giving an extensive coverage on these historical games based on first hand experiences from our community friends, the situation did not permit us to do all that we wanted to do. Like last year, we decided to go online this year as well. Anjali’s continuing success is made possible by the support of many well-wishers. The Embassy of India in Tokyo continues to extend their gracious support for which we are very thankful. We hope to receive the same patronage in future as well. Until the pandemic brought severe disruptions in the business of our advertisers, we had been regularly receiving sponsorship from them. Therefore, this year also as a mark of gratitude and solidarity to our regular advertisers we offered them a free advertisement in this 26th edition of Anjali. We wish our sponsors to quickly overcome the challenges and enjoy a bright future ahead. Every year Anjali is being enriched by the valuable contributions from native speakers of different languages and various cultural backgrounds. We sincerely thank each of them for their support. We convey our gratitude to the contributors who have sent us their contributions from outside Japan. We are happy to note that readership of our online version is expanding. At different stages of this process, we received valuable advices from many well wishers. We tried to incorporate their suggestions as much as possible. We convey our sincere thanks to all of them.
Editorial Team Ranjan Gupta Ruma Gupta Sanjib Chanda Meeta Chanda Biswanath Paul Krishana Das
Cover Artwork & Collages Meeta Chanda
Editorial Team
Articles Integration & Design Sanjib Chanda
Ads Compilation Sanjib Chanda
(Digital version of Anjali 2021 is available on BATJ website.) 8 Anjali
www.batj.org
Economic Sustainability of Tokyo 2020 Games - Mona Khandhar
T
okyo 2020 Olympics and Paralympics Games is very unique in several aspects in the history of the Summer Olympics that are held since 1896 every four years. The most important and central to this uniqueness is the “Economic Sustainability”. The Olympics Games are the costliest to organize among the Sports Events. Athens 2004, London 2012, Rio 2016 and others necessitated a lot of fiscal and financial resource management spanning over a period much beyond the Games. For host Countries and Cities, Olympics provide unique opportunity to leverage possible advantages such that they outweigh the exorbitant costs of organizing. It depends a lot on the capability of the host country to make the most of this opportunity. If we scan through the list of host countries so far, the inequality in this respect is glaringly evident. The highest number of times any Country has hosted the Olympics is 8 so far by the USA. It will host the 9th Games in 2028. USA leads in Medals Tally as well. There are about 72 Countries that have not earned an Olympic Medal, including big countries like Bangladesh. Tokyo 2020 faced many challenges in terms of overshooting of costs and undercutting of the benefits on account of the Covid 19 global pandemic. This was the second time that Tokyo was hosting the Olympics. Japan made a successful bid to host the 1964 Olympics, under the Leadership of the then Prime Minister Nobusuke Kishi to announce with an extravaganza on the Global arena the come back of Japan with Technological supremacy and as an Industrial powerhouse. Japan demonstrated to the world the neon-lit sky scrapper stud skyline of Tokyo, shinkansen gushing with bullet speed, world class infrastructure and high class society. The Economic Boom that followed till the early 90s was exemplary. This time the then Prime Minister Mr. Abe, who is also a grandson of Mr. Kishi made a pitch for Olympics 2020 to demonstrate “A Cool and Confident Japan: with neon-lit sky scrapper strewn urban sprawl, Mountain Shrines, Waterfalls, Bay & Beaches, Technology prowess Cultural Panorama and omotenashi”. It was termed as “Recovery Games”, presenting to the world Japan’s complete recovery from Disasters like the 2011 Great East Japan Earthquake, Fukushima Nuclear Disaster, ending decades of deflation. Japan wished to gain further on the tourists momentum built during 2012 to 2019. After 8 years of increase in foreign tourists, the estimated number of foreign tourists in 2020 was ambitious 40M. The Tokyo Games 2020 was estimated to cost USD 7.3 B during the bid campaign of 2013. Following the postponement of Tokyo Games 2020 by one year, the official cost estimate is USD 15.4 B, making it the most expensive Olympics so far on record. However, the independent assessment puts the cost estimates above USD 20 B. A whopping USD 3 B is spent on constructing 68,000 seaters National Stadium and 7 New Venues. About the same amount is spent on renovating 25 other facilities. USD 2 B is put as operational cost, Athlete’s village, surrounding road & infrastructure cost around USD 500 M. Added to these estimates is USD 2.5 B for Covid 19 related measures and one year postponement as contracts had to be renegotiated and manpower had to be continued for one more year. The Covid 19 containment measures restricted spectators to 50%, to begin with. The surging number of Covid 19 cases in the fourth wave, slow rollout of vaccination in the beginning, following state of emergency and dwindling public 10
opinion forced the Olympic committee of Japan to announce “No Spectators at Olympics Venues” on July 8th. The spectator loss is estimated to be USD 2 B. The Japanese Corporate sector contributed about USD 3 B and IOC about USD 670 M. Given the Japanese Economy estimated at USD 5.5 T, some optimists play down the cost escalation as rounding off error. However, the fact remains that the short term gains estimated on account of tourists flow have nearly dried for the hospitality sector of Japan and the Government revenue estimates. Along with these two shocks of spiralling costs, slashed benefits comes the risk of the event being a super spreader, leading to extended and stricter emergency measures and resulting into a further economic loss. Nonetheless, this time as well, Japan has put up a stellar Show in organizing Tokyo 2020 in this testing time. Passing through several challenges, Japan took remedial steps quickly. Former Prime Minister and Chief of the Tokyo Olympics organizing committee Mr. Yoshiro Mori was made to step down soon on making misogynist comments. Some Athletes from the USA and Uganda were tested positive, necessitating a Bubble system to separate athletes from the city, which worked well thereafter. Several steps were taken to expedite the initial slow rollout of the vaccination program in Japan. A lot of reworking and realigning of preparations were undertaken in response to the new normal due to Covid 19. An initial technical glitch in Apps and ICT system was resolved. As a result, initial popular backlash against organizing Tokyo 2020 got transformed in increasing public support. Japan has built a constructive vision for Tokyo 2020 Games despite of all these challenges.
Sport has the power to change the world and our future. The Tokyo 1964 Games completely transformed Japan, the Tokyo 2020 Games as the most innovative in history, will bring positive reform to the world by building on three innovative concepts: • Striving for your personal Best (Achieving Personal Best) • Accepting One Another (Unity in Diversity)
• Passing on the legacy for the future (Connecting to Tomorrow) Japan has also estimated the Economic impact on account of Tokyo 2020 Olympics. The period of the analysis is from 2013 (the year of Tokyo’s selection) to 2030 (10 years after the Games). Accordingly, an increase in demand is estimated to be approx. 14 trillion yen in Tokyo, out of which direct effects is approx. 2 T JPY through an increase in demand caused by investments and expenditures directly related to the hosting of the Games, and legacy effects will be approx. 12 trillion yen through an increase in demand based on scenarios of initiatives implemented in Tokyo in anticipation of the post-Games legacy. In addition, Economic effects (the amount of production induced) are estimated to be approx. 20 T JPY in Tokyo and approx. 32 T JPY in Japan. Employment opportunities are estimated for approx. 1.3 M people in Tokyo and approx. 1.94 M people across Japan. The sustainability efforts for Tokyo 2020 Games are guided by the concept “ Be Better Together – for the Planet
Anjali
www.batj.org
Economic Sustainability of Tokyo 2020 Games and the People, which are carried out by a broad based coalition of all the stakeholders for Tokyo 2020, consisting of Tokyo Metropolitan Government (TMG), Government of Japan (GoJ), related Local Governments, Sponsors and other Delivery Partners. There were five themes of Climate Change, Resource Management, Natural Resources & Bio Diversity, Human Rights, Labour & Fair Business practices and Involvement, Cooperation and Communication. The Sustainability Management System is based on ISO 20121, for which third party certification was obtained. The main Olympic Stadium that was designed by Late British Architect Zaha Hadid, was redesigned all over again due to its complex roof structure and exorbitant cost and built at nearly half the cost. Some events were moved out of Tokyo to existing venues in other regions like Izu, Fukushima & Miyagi to further control spiraling costs, alleviate regional disparity to some extent and balanced distribution of benefits to other regions thereby reduce skepticism of other regions that Tokyo would have supply shocks and be the sole beneficiary and get them on board. The Games were staged at 42 venues in all, out of which 27 are in Tokyo, split into Heritage Zone and Tokyo Bay area and 15 are outlying venues. New initiatives for permanent facilities have been taken to build a future legacy by showcasing an urban model with Hydrogen use and advanced resource recycling and reuse of procured goods. Thereby Tokyo 2020 Games are staged as “Sustainability showcase Games”. The Games were simplified thorough review of specifications for temporary facilities, other equipment and reducing service levels; reduction in decorations; Optimization of Tokyo Olympics 2020 Torch Relay operations; encouraging stakeholders to reduce their delegations working in Tokyo and optimization of a staffing plan for the organizing committee. Japan set the goal of operating the Games with electricity generated from 100% renewable energy. A contract to source renewable electricity during the operations of the Games was made with Tokyo 2020 Games partner ENEOS. Electricity was supplied from Biomass plants at Kawasaki and solar photovoltaic plant at Fukushima. The non-renewable electricity at the venue like Yokohama unable to get renewable electricity was converted into renewable through Green Power Certificates. During the Torch relay operations, some torches used hydrogen as a fuel.
At least 90% of 2654 vehicles for the Games are electric – drive vehicles. Hydrogen station at Harumi is one of many for recharging fuel cell vehicles. 99% of the goods procured for the Games will be reused or recycled. The recycled Plastic Podium Project to manufacture the medal podiums from post-consumer plastic and smaller marine plastic collected by people across the country in collaboration with P&G Japan Ltd. Japan worked to create a pleasing urban environment that coexists with nature. This includes heat related measures, improving the water environment and new landscaping using native species. The Games engaged about 80,000 volunteers and 8,000 staff who were all trained. The male female ratio was 40:60. All the age groups from teenagers to senior citizens were engaged. About 12% were non-Japanese... Gender Equality Promotion Team was formed with 12 female Directors on Executive Board, consisting of 42%. For the first time Organizing Committee of a host country (Japan) signed a Letter of Intent to promote SDGs with the United Nations. It also partnered with International Labour Organization to promote decent work. Japan had Tokyo 2020 Robot project to bring people in contact with Robots in various settings throughout the Games, showcasing the potential for wider applicability in daily life. There were support Robots to assist spectators. Japanese Lumber Relay: “A village plaza built by all at the athletes’ village” is the initiative to get nationwide participation for the Games by constructing a building by using lumber from around the country to express diversity and harmony. Japan’s construction sector, real estate sector and electronics industries gained the most from Tokyo Games 2020. It had the best Medal Tally ranking overall 3rd with 58 medals, out of which 27 were Gold. Tokyo Games 2020 gave a message for Regional Balance and Gender Equality as well since 33 medals and 15 Gold were scored by female athletes. Japan attempted not only to make the Games sustainable but also to share with the world the approaches taken, obstacles faced and solutions found along the way. In the words of Jesper Koll, “The Olympics were going to be a showcase for Lifestyle Superpower Japan, the lifestyle superpower Tokyo… that was going to be the principle long term benefit, in terms of branding Japan as the most successful post-industrial society with the highest quality of life.”
Reference: The articles has taken references from the website of Bureau of Olympics and Paralympics Games Tokyo 2020 preparations, Sustainability Pregame Report, nbcssports.com, Telegraph, Wall Street Journal, New York Times, University of Technology, Sydney, The Conversation, Forbes, Tokyo Weekender and Statista.com
[ Mona Khandhar IAS is Minister Economic & Commerce, Embassy of India, Tokyo ]
www.batj.org
Durga Puja 2021
11
Tokyo 2020 Olympics Victory amidst Adversity
- Paromita Tyagi
I
t all began when Japan started gearing up for the Tokyo 2020 Olympic Games years in advance – proudly proclaiming its status as the host city through advertisements, panels and signage placed all around the country. We could see the big countdown clock in front of Tokyo Station spreading positive vibes and tangible enthusiasm among the people of Japan. I vividly remember a banner at my pre-pandemic volunteer training session that eagerly announced ‘Eight Months To Go’ for the Olympics. But, just a few months later, the pandemic struck, and everything changed so drastically that we resigned ourselves to believing that the Olympics might remain a dream, after all! So, I was delighted when the Tokyo 2020 Olympic Games finally took place despite challenging times. Japanese etiquette and discipline are admirable, and I believe they were the instrumental factors that enabled the country to successfully host this premier sporting event even as a state of emergency was declared. By the time the Olympics started, we were all well equipped with the new rules and precautionary measures against COVID-19, which included using hand sanitizers, wearing masks and going through a couple of PCR tests. We were trained to raise awareness and to ensure that all the participants followed the rules. I was with the Photo/Press Team at the Tokyo International Forum where, the very first day, the women’s weightlifting event was in progress. We were not clearly intimated of our day’s schedule. Suddenly, I noticed the Indian flag in the category of athletes listed as the participants. The name was Mirabai Chanu. It was not a name I was familiar with, but once I realised that she was representing India, I remained glued to the event and watched her every lift. But, as a volunteer, I couldn’t shout out my support. She was standing so close to me after winning her medal – I could see the shine in her eyes, the happiness and glow on her face and the Silver she was clutching in her hands . . . creating history and making our nation so proud!
Saikhom Mirabai Chanu
Teamwork made this boat sail successfully amidst all adversity. Fortunately, we had many bilingual and multilingual volunteers as well as volunteers from different age groups, which made the process easier and more comfortable for the participants. I am also grateful to our management and support team for taking care of all the volunteers and responding to our every need – with no obligations. I feel so proud to have been part of the Tokyo 2020 Olympics. I have made wonderful friends along this journey, and we will remain ‘UNITED WITH EMOTIONS’.
I, too, was on cloud nine when I saw the Tricolour going up during the victory ceremony. At that moment, I stood just an arm’s length from her, offering some vague conversation about my impeccably choreographed role as a volunteer. But as we say, smiles speak volumes, and we shared that moment with pride! Another memorable experience was watching Laurel Hubbard, the first transgender athlete to compete in the Olympics. We missed all our international volunteers whom we were eagerly looking forward to meet and engage with, so as to make this event more vibrant and colourful. Unfortunately, this pandemic made us proceed with the Games without spectators and volunteers from other countries – a void that was constantly felt. They would have undoubtedly added to the pomp and glory of the Olympics. Rigorous discipline and strategic planning played a vital role in the resounding success of this event. We took the utmost care in providing the right information at the right time and in helping each other in every possible way. The needs of the international members and athletes were a priority, as we knew they would face a range of challenges because of the language barrier. So, we were always in ‘alert mode’ and strived to provide them with the due support. 12
Anjali
www.batj.org
Tokyo Olympics: Journaling My Memories as a ‘Field Cast’ Volunteer
- Ashoke Karmokar Tokyo 2020, is popularly dubbed for shaping a simplified appeal to the global community since Tokyo was awarded the 2020 Olympic and Paralympic Games venue. Further, Diversity and Inclusions, United by Emotions and Smiles, Know and Show the Differences, etc., are a few buzzwords hovering over society as lifelines for stimulating success. To be a part of this mega event with the diversity I could include was a mere wish that came to my mind since then, and I accordingly opted in for volunteering in TOKYO 2020. The dream came true when the organizing committee for Tokyo Olympics and Paralympics offered me the opportunity of volunteering in the ‘Field Cast’ (synonym of Games Volunteer) category. I happily accepted the offer because it would be a rare chance in life and bring very precious experiences as a whole. To show my solidarity, I stuck to this decision even after the postponement of the events from 2020 to a new 2021 fixture owing to the worldwide Corona breakout. Duties specified were in the ‘Mobility Support’ group to transport T3 category stakeholders of Tokyo Olympic/Paralympic games. As per the protocols, T3 stakeholders cover the officials of the International Olympic Committee (IOC)/International Paralympics Committee (IPC); and International Federations (IF) of various sports bodies joining the TOKYO 2020. In order to get acquainted with my job, I had to take various e-learnings and duty-specific training floated mainly through online courses due to the Corona pandemic. A roster for a total of 20 days was initially offered to me by the organizing committee. However, with due consideration of my availability, I narrowed it down to a final standing of 11 days spanning between July 16 and August 9, covering 9 hours timeline each day from 14:00 to 23:00. Roughly, activity started at around 13:30, upon reporting at the Tokyo Tsukiji Depot, a primary car-pool area for the Transport Bureau Fleet Team. Appropriately dressed up with the supplied uniforms/gears for the volunteer and showing off the Accreditation card at the main gate were essential to enter the area. Proceeded next to the dispatch room, where other volunteers were in-service to check body temperature, spray hand sanitizer, etc., as Corona preventive measures. Before proceeding to check-in counters, an on-spot alcohol test was done, and the printed record was taken to the window set for screening eligibility. Further, Accreditation card and registered Profile information were tallied, driving license was scrutinized, and related health/clinical issues, if any, were verified before issuing the duty authentication for the day.
Car-pool area at Tsukiji depot. A smartphone loaded with the AI (Artificial Intelligence) enabled system named ‘T-TOSS application’ was handed over at the counter. Log in into the system with pre-allotted registration number and phone number, allow to receive on-screen instructions to move to a specific car-pooling zone, pick the car, and activate the car operations with QR code reading attached in the car. However, before leaving the dispatch room, other volunteers were waiting to hand over on-duty consumables, viz., meal coupons, drink bottles, chewable salt candy packs, hand sanitizer, etc. Toyota ‘MIRAI’, a 4-seater sedan with the hydrogen powertrain system, was my choice of driving for volunteer activities. It is one of the few vehicle fleets for TOKYO 2020, sponsored by Toyota Corporation, the Worldwide Olympic Partner. Stylishly designed in blue-colour vehicles, MIRAI showcases the futuristic environmentally friendly technology that emits only water as a by-product instead of CO2 as gasoline engines.
Toyota MIRAI and (inset) Bridgestone ECOPIA www.batj.org
Durga Puja 2021
At the core of the MIRAI powertrain system is electricity generating Fuel Cells. Hydrogen from the fuel tank and oxygen from air entering through the intake grille reacts in the Fuel Cell Stacks. This reaction creates electricity by stripping electrons from hydrogen atoms; this electron powers the vehicle while hydrogen bonds with oxygen to create water. In the end, water vapor comes out of the tailpipe, and thus makes the car so-called 13
Tokyo Olympics: Journaling My Memories a ‘zero-emission’ vehicle. This new powertrain is basically a chemical laboratory on the wheel as electricity conversion essentially happens at the onboard fuel cell. Hydrogen gas is stored in an onboard cylinder, made of carbon filament reinforced plastic for high-end safety at high pressure working condition. A filled cylinder of hydrogen at a designated pressure can drive the car for about a distance of 500km. Thus, refilling the storage cylinder with hydrogen gas is essential for providing continuous mobility. It is about a 5-6 minutes job mainly done at a charging station near the Olympic Village run by ENEOS, the Tokyo 2020 Olympic Gold Partner.
Hydrogen Powertrain System MIRAI is equipped with the ECOPIA tires from Bridgestone, the Worldwide Olympic Partner, to enhance its ecological ratings further. It is a premium class tire with low rolling resistance performances for enhancing fuel efficiency. ECOPIA tire is engineered with a unique tread block design to improve wet traction and braking performance. It also features an optimized tread pattern to give drivers a secure, comfortable ride in allseason conditions. ECOPIA is thus making a perfect fit for bringing additional eco-friendly merits to MIRAI. The total fleet operation was based on AI/big-data analyses developed by NTT, the Tokyo 2020 Olympic Gold Partner. All instructions reach the car navigation system via the paired smartphone communication system. Destination and the corresponding navigation routes using dedicated and/or priority lanes designated for the TOKYO 2020 automatically pops-up on the Navigator. Accepting that instruction makes the system suitable for driving the car to a navigated destination.
Olympic Village at Harumi, Tokyo The car is equipped with a Vehicle Access and Parking Permits (VAPPs) sticker that allows the car to enter the car parking area at all the TOKYO 2020 designated venues, including Airports/Hotels for pick-up/drop-off of T3 stakeholders. With the help of volunteers stationed at destinations, T3 guests register requests in the system for a ride. Reading the bar code of the rider’s accreditation card allows access to the request and destination for which route navigation pops up on the car navigation system. Upon completing each trip, the system will ask for a short break, if necessary, before positioning the car for the next instruction. Instructions for a dinner break and/or return to Tsukiji Depot for the duty call-off automatically reach the navigation system at around 18:00 and 23:00, respectively. The first day of volunteering at TOKYO 2020 was a thrill, though I got a little bit nervous due to limited experience of driving cars on the busy and congested central Tokyo roads. On the one hand, the sophisticated car that was not habituated for driving, and on the other hand, the high profiled (T3) stakeholders as passengers in the back seat were somewhat stressful. Fortunately, the first instruction was for a drive to Narita Airport for pick-up of arriving IOC officials. This long drive at my own pace somehow helped me get acquainted with the new car/driving systems; in fact, no turnaround of nervousness after that. Other drives like Tokyo Stadium at Musashino Mori, Saitama Stadium at Saitama, Makuhari venue at Chiba, etc., by the eco-friendly car were relaxing. Plying into the Tokyo streets numerous times on both days and nights, under dry or rain, was also very pleasant.
The Olympic mood at a shopping street. 14
Overall, I had a great experience volunteering at the Olympics. I met and talked to various officials in the IOC/IFs and connected with many other volunteers. The guests were Anjali
www.batj.org
Tokyo Olympics: Journaling My Memories very friendly and engaged in conversations while riding in a car. Many of the T3 guests were puzzled seeing a foreigner driving in Tokyo’s congested and busy routes; however, they all appreciated my effort to take this challenge. The precious experiences gained through the volunteering activities bring joy and richness that I will treasure for sure in life. It was a long path waiting to reach this reality, particularly with many agonies owing to the Corona pandemic. To put it in the simplest terms, volunteering for the Olympics provided an opportunity of experiencing the extraordinary. It opens the door to gain something havoc that one cannot quickly get elsewhere. It was fascinating to be a part of this mega event. I was very much amused at how much the organization was able to accomplish amid a pandemic. I was impressed at the collaborations with the police force and the Self Defence Force (SDF) personnel. Volunteers from different age groups and genders work together as a team by putting aside their egoism. The word ‘volunteer’ itself is probably the main driving force that brings people of different social statuses together, combining their sense and efforts for making the mega event a grand success. The sense of unity shared by fellow volunteers is genuinely unique, and I believe that the successes of TOKYO 2020 were greatly due to this coherent teamwork.
Olympic venue at Saitama Sports Arena
www.batj.org
Durga Puja 2021
15
ओलंपिक - अभी छू ना है आसमान! - संजय बैनर्
वि
श्व व्यापी कोरोना ने जिस तरह समूची दुनिया को अपनी जकड़ मे लिया, उसके बावजूद, ओलंपिक जैसे खेल महाकुं भ का कामयाबी के साथ आयोजन ही अपने आप मे बड़ी सफलता है। टोक्यो मे ओलंपिक से कु छ पहले तक के आसार बेहद मुश्किल थे और सरकार और ओलंपिक विरोधी आन्दोलनो से ऐसा लगने लगा था कि कहीं टोक्यो ओलंपिक की बलि ही न चढ़ जाए। लेकिन आयोजन समिति और सरकार की कोशिशों से कु छ गिने चुने कोविड मामलों के साथ ओलंपिक और पैरालम्पिक दोनों ही सम्पन्न हो गए। टोक्यो ओलंपिक से इस बार जापान को आर्थिक नुकसान तय था। ओलंपिक स्थगन के मामले मे वह नुकसान बड़ा होता, लेकिन आयोजन के बाद भी इससे बचा नहीं जा सकता था। किसी भी देश की ओलंपिक मेजबानी के दावे मे मंशा सारी दुनिया से आने वाले एथलीटस और दर्शकों की मेजबानी के बहाने पर्यटन को बढ़ावा देने और इसके सहारे अर्थव्यवस्था को पंख देने की भी होती है। यही नहीं इन खेलों के आयोजन से जिस तरह का बुनियादी ढांचा विकसित होता है, वह भी भविष्य मे खेलों के विकास मे सहायक होता है। लेकिन कोविड प्रतिबंधों के चलते विदेशी ही नहीं देशी दर्शक भी नदारद थे और एथलीटस को भी सिर्फ मैदान और खेल गाँव तक सीमित रहने के निर्देश थे। यानि तमाम दुश्वारियों के बीच ओलंपिक के आयोजन से जापान ने एक बार फिर साबित किया कि विपरीत हालातों मे उबरना उसे बखूबी आता है।
ओलंपिक मे भारत का सर्वश्रेष्ठ प्रदर्शन
दिलचस्प यह कि इस बार भारत ने हैरतअंगेज प्रदर्शन कर ओलंपिक मेडल के तमाम रिकॉर्ड तोड़ दिए। यही नहीं ट्रैक एण्ड फील्ड मे पदक भारत के लिए हमेशा से असंभव माना जाता रहा है, लेकिन इस बार कहानी बदल गई। ओलंपिक के अंतिम दौर मे नीरज चोपड़ा ने जेवलीन थ्रो मे गोल्ड जीतकर सभी को चौंका दिया। नीरज का पहला ही थ्रो 87.03 था, जो गोल्ड के लिए काफी होता। किसी भी थ्रोअर ने 87 मीटर के मार्क को नहीं छु आ और नीरज ने दूसरा थ्रो 87.58 फे ककर गोल्ड मेडल बड़े फासले से तय किया, यानि समूची दुनिया के जेवलिन थ्रोअर्स के बीच पहले दो बेस्ट थ्रोस नीरज के ही रहे। कोई भारतीय एथलीट ओलंपिक मे इस तरह का प्रदर्शन कर सकता है, यह किसी की भी उम्मीद से बाहर था। यहाँ तक कि कमेंटरी के दौरान हम भी यही कहते रहे कि ऐसा लगता है कि नीरज को मेडल मिल सकता है, लेकिन वह स्वर्ण था, और पहले ही थ्रो मे नीरज ने उसे सील कर लिया था, यह कहने की हिम्मत कोई भी नहीं जुटा पाया। दरअसल यह हमारा अतीत था जो हममे से किसी को भी यह भरोसा नहीं दिला पाया कि कोई भारतीय ओलंपिक मे ऐसा कर सकता है। नीरज ने ट्रेक एंड फील्ड मे भारत के लिए नई इबारत लिखी और उनके इस एक पदक ने समूचे देश को खुद पर भरोसा करने का आत्मविश्वास दिया है। इससे पहले वेटलिफ्टर मीराबाई चानू ने भारत की तोक्यो ओलिंपिक में शुरुआत सिल्वर मेडल से कराई। एक बेहद साधारण परिवार मे जन्मी मणिपुर की 26 वर्षीय वेटलिफ्टर मीराबाई चानू ने महिलाओं के 49 किग्रा में 202 किग्रा (87 किग्रा + 115 किग्रा) भार उठाकर सिल्वर अपने नाम किया। रियो मे निराश करने वाली चानू शुरू से ही आत्मविश्वास से लबरे ज थीं और उन पर ओलंपिक जैसे बड़े प्लेटफ़ॉर्म का कोई दबाव नहीं था। भारत की स्टार मुक्केबाज लवलीना बोर्गोहेन को महिला वेल्टरवेट वर्ग (69 किग्रा) के सेमीफाइनल में तुर्की की मौजूदा विश्व चैंपियन बुसेनाज सुरमेनेली के खिलाफ शिकस्त के साथ ब्रॉन्ज मेडल से संतोष करना पड़ा। लेकिन बुसेनाज़ सचमुच किसी के लिए भी बहुत भारी थी, लवलीना के मुकाबले से पहले ही बुसेनाज़ 16
का पलड़ा भारी था, लेकिन तारीफ़ लवलीना की, उन्होंने डट कर मुकाबला किया, और मुकाबला नहीं तो दिल जरूर जीते। शटलर पीवी सिंधु ने रियो मे रजत जीता था, और पूर्व चैम्पीयन कै रोलीना मरीन की गैरमौजूदगी के बावजूद उन्हे सिंगल्स मे ब्रॉन्ज से ही संतोष करना पड़ा। कांस्य पदक के मुकाबले मे सिंधु ने चीन की ही बिंग जियाओ को 2-0 से हराया। भारत के पहलवान रवि कु मार दहिया को पुरुष फ्रीस्टाइल 57 किग्रा भार वर्ग के फाइनल मुकाबले में रूस ओलंपिक समिति (आरओसी) के जायूर उगयेव के हाथों 4-7 से हार का सामना कर रजत पदक से संतोष करना पड़ा। पहलवान बजरं ग पूनिया ने पुरुषों की फ्री स्टाइल 65 किलो वर्ग कु श्ती स्पर्धा का ब्रॉन्ज मेडल जीतते हुए इतिहास रच दिया। उन्होंने कजाखस्तान के डाउलेट नियाजबेकोव को 8-0 से एकतरफा हराया। बजरं ग ने भारत को छटवा पदक दिलाया, जो अब तक के सर्वश्रेष्ठ प्रदर्शन लंदन ओलंपिक के बराबर था। फिर भारत की पुरुष हॉकी टीम ने जर्मनी को 5-4 से हराकर ऐतिहासिक ब्रॉन्ज मेडल अपने नाम किया। 1980 के बाद यह पहला मौका था जब भारत ने हॉकी में मेडल जीता है। 41 वर्षों के बाद हॉकी के कांस्य से आठ बार के ओलंपिक चैम्पियन के लिए भविष्य की उम्मीदें भी जगाई। महिला हॉकी मे भी भारत की लड़कियों ने डट कर मुकाबला किया, सेमीफाइनल मे पहुंची और ब्रान्ज़ मेडल मुकाबले मे हारीं। दिलचस्प यह कि भारतीय महिलाओं की टीम ने महज दूसरी बार ओलंपिक के लिए क्वालफाई किया था, और उनके लिए यह सिर्फ तीसरा ओलंपिक था।
महिला एथलीट्स ने किया प्रभावित
रियो ओलम्पिक में पिछली बार दोनों पदक महिलाओं के नाम रहे और इस बार 6 व्यक्तिगत मेडल्स मे से आधे महिलाओं के नाम रहे। यानि दोनों ओलंपिक मिलाकर 8 मे से 5 मेडल महिलाओं के नाम, तीन पुरुषों के नाम रहे,जिसमे एक टीम ईवेंट है। रियो और टोक्यो में पीवी सिन्धु ने पदक जीते, रियो मे साक्षी मलिक ने और टोक्यो मे मीराबाई चानू और लोवलीना बोरगोहेन ने पदक सुनिश्चित किएI यही नहीं फें सिंग में पहली बार ओलम्पिक में भारत का प्रतिनिधित्व करने वाली चेन्नई की भवानी देवी ने भी निवेश का प्रतिफल दियाI एम सी मेरीकॉम भी डटकर खेलीं, और लोगो के दिल जीते I टेबिल टेनिस में भारत 1988 से शिरकत कर रहा है, यह पहली बार है कि टेबल टेनिस मे भारत ने मज़बूत मौजूदगी दर्ज कराई है I मनिका बत्रा का तीसरे दौर में पहुंचना और सुतीर्थ मुखर्जी का दूसरे दौर तक खेलना उपलब्धि माने जा सकते हैं I हालाकि अपना चौथा और संभवतः आखिरी ओलम्पिक खेल रहे अचंत शरथ कमल और जी. साथियन के प्रयासों की भी सराहना होनी चाहिए I मुक्केबाजी में मेरी कॉम और लोवलिना के अलावा पूजा रानी ने भी अपने मुक्कों की ताकत भरपूर दिखाई है I हालाकि तीरं दाजी मे दीपिका अपने नाम के साथ न्याय नहीं कर पाईI तीन बार की ओलंपियन अगर मुकाबले में नर्वस होने की बात कहें तो वह सुनने में ठीक लगता नहीं है I कं वलप्रीत ने डिस्कस थ्रो में फाइनल में दमदार जगह बनाकर प्रभावित कियाI कु ल मिलाकर महिलाओं का वर्चस्व कायम है, और उन्होंने साबित कर दिया है कि वह पुरुषों के साथ कं धे से कं धा मिलाकर नहीं, बल्कि आगे चल रही हैं I
एथलेटिक्स मे बना इतिहास
भारत को एथलेटिक्स मे कहीं भी ताकत के तौर पर नहीं देखा जाता। ओलंपिक तो दूर एशियन गेम्स मे भी भारत ट्रेक एण्ड फील्ड मे बहुत मजबूत नहीं रहा। ओलंपिक मे इससे पहले कु छ भारतीय एथलीट ने मेडल के नजदीक पहुँचने की कोशिश की थी, लेकिन कोई भी मेडल जीत नहीं सका। देश के लिए तीन ओलंपिक मे हिस्सा लेने वाले उड़न सिख मिलखा सिंह ने 1960 के रोम ओलंपिक मे उम्मीदें
Anjali
www.batj.org
ओलंपिक - अभी छू ना है आसमान! जगाई, लेकिन अंत मे निराश कर गए। 400 मीटर की दौड़ के लिए उन्होंने फाइनल मे जगह बनाई, और फाइनल मे भी लीड ले ली, लेकिन सेकेंड के सौवें हिस्से से पदक चूक गए। 45.73 सेकेंड का उनका बनाया राष्ट्रीय रिकॉर्ड अगले 40 साल तक कायम रहा। मोंट्रियल ओलंपिक मे भारत के श्रीराम सिंह ने 800 मीटर की दौड़ के फाइनल मे जगह बनाई। पहली रे स में उन्होंने अपना ही एशियाई रिकॉर्ड तोड़ा और 1:45.86 मिनट का समय निकाला। लेकिन सेमीफाइनल में वह चौथे स्थान पर आए। कु ल मिलाकर उनकी सातवी पोजीशन रही, लेकिन उनका एशियाई रिकॉर्ड अगले 18 साल तक कायम रहा। 1984 लॉस एंजिल्स मे एक बार फिर उम्मीद जागी, पायोली एक्स्प्रेस पीटी उषा ने 400 मीटर की बाधा दौड़ के सेमीफाइनल रे स में लाजवाब प्रदर्शन किया और पहले नंबर पर आते हुए फाइनल में पहुंचकर इतिहास रच दिया। लेकिन जब फाइनल मुकाबला हुआ तो उषा सेकेंड के सौवें हिस्से से कांस्य चूक गईं। 1984 मे ही शाइनी विल्सन ने भी भारत के लिए हैरतअंगेज प्रदर्शन किया और 800 मीटर की दौड़ के सेमीफाइनल मे जगह बना ली। लेकिन उसके बाद वह फाइनल मे जगह नहीं बना सकीं। भारत के ओलंपिक इतिहास मे ट्रेक एंड फील्ड ईवेंट मे यही अब तक की सबसे बड़ी उपलब्धियां थी, लेकिन इस बार नीरज के इस प्रयास ने न सिर्फ ट्रेक एण्ड फील्ड मे पहला गोल्ड जीता, बल्कि अब तक का सूखा भी खत्म कर दिया।
पैरालम्पिक मे भी रिकॉर्ड तोड़ा
यही नहीं पैरालंपिक्स मे भी भारत के दिव्यांग खिलाड़ियों के महाकुं भ में भारतीए ऐथलीटों का ऐतिहासिक प्रदर्शन रहा और कु ल 19 मेडल जीते। यह अब तक के पैरालिंपिक इतिहास में भारत का सर्वश्ष्ठ रे प्रदर्शन है। इससे पहले उसने 1984 लॉस एंजिलिस और 2016 रियो ओलंपिक में 4-4 मेडल जीते थे। भारत ने टोक्यो पैरालिंपिक की शुरुआत से पहले तक इन खेलों में कु ल जमा 12 पदक जीते थे, लेकिन जापान की राजधानी में पैरा-एथलीटों की प्रतिभा की बदौलत यह संख्या बढ़कर 31 हो गई और एक ही बार में भारत 19 पदक जीतने में सफल हुआ। पदकों की शुरुआत टेबल-टेनिस खिलाड़ी भाविनाबेन पटेल ने सिल्वर के साथ की, जबकि अंत बैडमिंटन खिलाड़ी कृ ष्णा नागर ने गोल्ड मेडल के साथ किया। भारत के लिए अवनि लखेरा को वुमेंस 10 मीटर एयर राइफल शूटिंग स्टैंडिग ं एसएच1 मे गोल्ड मिला उन्होंने एक कांस्य भी जीता। मेंस जेवलिन थ्रो एफ64 मे भारत के सुमित अंतिल ने गोल्ड जीता। मनीष नरवाल को पी4 मिक्स्ड 50 मीटर पिस्टल एसएच1 मे गोल्ड मिला जबकि प्रमोद भगत ने बैडमिंटन मेंस सिंगल्स एसएल3 का गोल्ड जीता। पाँच गोल्ड मेडल भारत ने इससे पहले पैरालम्पिक मे कभी भी नहीं जीते थे। इतना ही नही आठ रजत और 6 कांस्य पदकों पर भी भारतीय खिलाड़ियों ने कब्जा किया।
छोटे कस्बों से निकलती हैं। मतलब साफ है कि छोटी जगहों पर खेलों के इं फ्रास्ट्रक्चर को बेहतर बनाना होगा। अगर हम ऐसा कर पाते हैं तो यकीन मानिए भारत मे खेल प्रतिभाओं की कमी नहीं होगी। ऐसे तमाम बच्चे खेलों की तरफ मुड़ग ें े, जो सुविधाओं के अभाव मे खेलों को अपना नहीं पाते और देश युवा खेल् प्रतिभाओं से वंचित हो जाता है। बुनयादी सुविधाएं तो होनी ही चाहिए जो ग्रासरूट पर कभी भी खेल प्रतिभाओं की कमी नहीं होने देंगी। अभी वही बच्चे बेहतर कर पाते हैं, जिनके परिवार की गाँव मे रहने के बावजूद आर्थिक स्थिति बहुत खराब नहीं होती या फिर उनके समूचे परिवार मे खेलों को लेकर जुनून होता हो। सरकार और अन्य संस्थाओ की कोशिश इसमें कोई शक नहीं कि पिछले कु छ समय से एथलीट्स पर निवेश बढा है, उनकी ट्रेनिंग से लेकर खेल के उपकरणों और अन्य खर्चो का भार अब उठाया जाने लगा है I मुक्केबाजी की टीम दो महीने पहले से इटली में ट्रेनिंग कर रही थीI भारत की पहली फें सर भवानी देवी ने इटली में ही लम्बे समय से ट्रेनिंग कीI विनेश फोगाट और मीराबाई चानू पर अच्छा खासा निवेश हुआI विनेश बुडापेस्ट, हंगरी में ओलम्पिक से पहले ट्रेन कर रही थीं I मतलब हालात पिछले 5 साल में बेहतर हुए हैं, इसमें कोई शक़ नहींI पिछले कु छ समय में अच्छा यह हआ है कि खिलाडियों के हितो का संरक्षण करने वाली तमाम संस्थाओ के बीच तालमेल बेहतर हुआ है I फ़े डरे शन्स, सरकार, ओजीक्यू जैसी संस्थाए और टॉप्स योजना के तहत अब सुविधाए प्रदान करने से पहले आपसी तालमेल होने लगा है, इससे संसाधनों का बेहतर उपयोग सुनिश्चित हुआ है I एक खास बात और एथलीट्स को, मिलने वाली सुविधाओं में टाइम बाउं ड परफोर्मेंस की शर्त सिर्फ कागजों में नहीं बल्कि पुख्ता तरीके से शामिल होनी चाहिए I इससे एथलीट्स पर लगातार बेहतर करने का दबाव भी होगा, और टैक्स पेयर्स के पैसे का सही इस्तेमाल भी I एक या दो अच्छे प्रदर्शन लगातार मिलने वाली सुविधाओं की गारं टी नहीं हो सकतेI
लक्ष्य पर निगाह स्टारडम से बचे
भारत का कोई भी खिलाड़ी यदि अंतरराष्ट्रीय स्तर पर बेहतर करता है, तो सारा देश, सारा मीडिया उसके पीछे होता है I हर कोई खिलाड़ियों की इस लोकप्रियता को भुनाने की कोशिश करता है। इस बार भी न सिर्फ पदक जीतने वाले इन खिलाड़ियों पर धन वर्षा हुई, प्रमोशन मिले बल्कि देश के प्रधानमंत्री ने पदक जीतने वाले तकरीबन हर खिलाड़ी से व्यक्तिगत तौर पर बात की और उन्हे सम्मानित किया। लेकिन हमारे देश मे यह सब तब होता है, जब कोई एथलीट खुद को साबित कर चुका होता है I एक मेडल किसी भी एथलीट की ज़िंदगी बदल सकता है, पैसा, सम्मान, प्रमोशन सब कु छ उसके कदमो पर बिछा दिया जाता है I ब्रांड प्रमोट करने वाले, विभिन्न कम्पनियों के इं डोर्समेंट सब कु छ आपको यह एहसास करा देते हैं कि ज़िन्दगी में गाव, कस्बों से निकले सुपर हीरो जो करना था, वह आप हासिल कर चुके हैं I यही वजह है कि टोक्यो से टोक्यो ओलंपिक ही नहीं किसी भी बड़ी प्रतियोगिता मे पहले सुशील कु मार के अलावा कोई भी भारतीय एथलीट ओलम्पिक जैसे प्लेटफोर्म पर दो पदक अगर आप भारतीय पदक नहीं ले सकाI लेकिन विडंबना विजेताओं की फे हरिस्त देखें, देखिये इन दो पदकों के गुरूर ने तो ज्यादातर छोटे कस्बों की सुशील को कहाँ से कहाँ पहुंचा साधारण पृ ष्ठ भू मि से आते दिया I पैसा, सम्मान और हैं। मीराबाई चानु हों, नीरज शोहरत हर किसी को चाहिए, चोपड़ा, बजरं ग पूनिया, रवि लेकिन यह एथलीट के करियर दहिया या लवलीना बोरगोहेन को छोटा कर देते हैं इसमें हों सब बहुत ही साधारण घरों कोई शक नहीं I इस दिशा में से हैं, और इनके परिवार ने काम करने की ज़रुरत है, खेल इन्हे यहाँ तक पहुँचाने के लिए मनोवैज्ञानिक तो प्रभावी हो ही बहुत तपस्या की है। हॉकी के सकते हैं, फे डरे शन्स को भी इस तमाम प्लेयर्स को देखें तब भी तरह की कोशिश करनी चाहिए हम यही पाते हैं कि उनमे से कि न सिर्फ वह नई प्रतिभा की ज्यादातर छोटे कस्बानुमा घरों पौध तैयार करें , बल्कि खुद को से या फिर देहातों से हैं। अब यह साबित कर चुके एथलीट्स के भी विसंगति ही है कि खेलों की करियर को लंबा खींचने की बुनियादी सुविधाएं देश के बड़े Photography by Sanjib Chanda कोशिश भी करें I शहरों मे होती हैं और प्रतिभाएं www.batj.org
Durga Puja 2021
17
Experiencing Tokyo 2020 Games
(Olympics & Paralympics) being a “Volunteer” - Rohan Agrawal
T
he official application for being a volunteer at Tokyo 2020 games started in 2018 with a meaningful online form. This was followed by a couple of face-to-face sessions and training in 2019. The schedule for 2020 was all set, excitement for roles and uniforms was all time high. Videos of volunteer life during the 2016 Rio Olympics during one of the face-to-face training in late 2019 only helped to increase the appetite for Tokyo 2020 Olympics. If that’s not enough then luck with winning tickets in almost all the lottery rounds for favorite sports (Wrestling, Boxing & Hockey) was like an icing on a red velvet cake.
And then as if the world started spinning opposite or perhaps stopped revolving at all with the sudden spread of COVID-19 forcing lockdowns and emergencies all over the globe. News headlines kept everyone guessing on what will happen to the Olympics & Paralympics. Yes, they were delayed by a whole year but thankfully were not canceled. Luck for winning Photo taken on the actual gymnast floor Olympic tickets turned out to be useless with a complete ban (just after the last game) on spectators be it overseas or domestic. Despite all of this, one thing which stood out and left me with lifetime experience was successfully volunteering for both Olympics & Paralympics. Although face-to-face training got canceled due to COVID impact, online training continued to build up the momentum and thirst to see and feel the biggest sporting event from the ground itself. Then came the news of a specific volunteer role and venue. Happy to receive a preferred role as part of the Press Operations (PRS) Team at Ariake Gymnasium Center. However, as time passed by, rumors continued about whether Tokyo games will get canceled. And at one point started thinking that at least, we should get the highly coveted and extremely comfortable volunteer uniforms to be preserved as a token if there are no games at all. Finally, the day arrived when volunteer uniforms were distributed. The kind of quality and design of the volunteer uniform along with the comfort and the well thought environment friendly production with the maximum use of organic materials, proved that it was worth it to follow the multiple application steps along with a wait for an additional year.
Inside look of Ariake Gymnasium Center (AGC) Meanwhile, I realized that I got the volunteer shifts only for Paralympics and with a full ban on spectators in Olympics, felt like I will miss volunteering for the Olympics despite getting so close. As a last and final step for volunteer training, came the venue training. Although it was not required to wear an official volunteer uniform for the venue training, many of us could not wait to experience the real Olympics venue without wearing an official uniform. Then came the first meeting with our VMC (Venue Media Center) Manager who was having his 6th Olympics in 2021! The way he and his team explained the duties, it gave a lot of boosts that we can surely add some value by ensuring that media persons and sports photographers from around the world can capture precious sporting moments which can be spread across the globe instantly with a high-speed connection at the venue. During the end of the training, I saw some volunteers queuing up to cancel some of their Olympics shifts. I too joined the queue to seek any volunteer shifts available during the Olympics. The venue manager was pleasantly surprised but could not promise as such a last-minute addition in the Olympics are very rare and require approvals from multiple desks. Finally, after a couple of days, I got the offer for Olympic shifts to cherish the dream to witness the Olympics from inside. 18
Anjali
www.batj.org
Experiencing Tokyo 2020 Games Next came the sports at the venue where I got my volunteer shift which was – Gymnastics. I hardly know any gymnast (except Dipa Karmakar) or niceties of the various categories of gymnasts. The very first entry in the heart of the venue which was chiming with peppy music & colorful light jumping on the Floor, Vault, Pommel horse, and other apparatus for gymnasts created a big zeal to learn about the game. Then I got to know from the news headlines about one legendary gymnast from the US, Simone Biles, a medalist from Rio and was expected to win medals in Tokyo as well. Seeing her & other top-class gymnasts performing within just a couple of meters away was like witnessing the highest level of flexibility and strength that can be possessed by the human body. I got a chance to manage media persons in a mixed zone where they interact with the players after the match. It was tricky given that this year we need to stress upon social distancing and to ensure the appropriate distance between the players and the reporters. With all the prior floor markings, rehearsals, and kind cooperation from everyone all this could be managed very smoothly. It was a learning experience to see how meticulously such a gala event with several teams was flawlessly managed by using various abbreviations, color coding, and various uniform colors for different functions. Despite the sheer size of the event, organizers have ensured that there will be no pressure on volunteers, and they were quite flexible with timings and other logistics (except food with no vegetarian options ). And then came a lucky day with a lucky task where I was asked to control the positions of photojournalists during Men’s Horizontal bar finals. Position for photojournalists does obviously mean that a place where one can get a closer and best view of the athletes while in action. And to add some more luck, two Japanese athletes were also in the final along with famous Daiki Hashimoto who won two gold medals in individual category and one silver in teams. And this was the very same game where Daiki Hashimoto won his 2nd gold and I too ended up learning a lot about the game from zero. Army of the Photojournalists with best of their gears Now comes the Paralympics at the same venue but with different sports this time – Boccia (one of the only two games with no counterpart in Olympics). If I knew very little about gymnastics, then I didn’t even hear about Boccia till I performed my volunteer duty for the same. As it happened last time, this time also the ambience of the arena gave enough enthusiasm to swamp into the nitty gritties of the game. One could easily relate it to the childhood street game of hitting marbles with applying precision and strategies to keep away a competitor’s balls by knocking them away from the target. Besides this I was lucky enough to get company of a senior Japanese volunteer who also happened to be a big fan and follower of Boccia. Within a few minutes, I joined him in cheering for the Japanese star of Boccia – Sugimura Hidetaka who was also the captain of the Japan team and was famous for his “Sugimura technique” of magically mounting on the balls. At that time, he ranked 3rd and was facing defending champion and top ranker It’s time for the Paralympics! Watcharaphon Vongsa from Thailand. Similar to experienced gymnast Hashimoto, Sugimura too won Japan’s first ever gold medal in Boccia with an impressive performance of 5-0!
Coming back to the uniforms, it seems my love for the volunteer uniforms was well heard by the almighty. UAC (Uniform and Accreditation Centre) distributed some additional uniforms with the games coming to an end, giving me a much-needed opportunity to get one for my daughter and wife. All these memories are now getting printed permanently and going to remain with me forever! Happy Family with Volunteer Uniform www.batj.org
Durga Puja 2021
19
Volunteer Experience at Tokyo 2020 Olympic and Paralympic Games
- Sushma Raju
T
okyo was the host city for the Tokyo 2020 Olympic & Paralympic Games held from July to Sep 2021. Due to the ongoing COVID-19 pandemic, the Games were held in a manner unprecedented in history. The games were held after a one-year postponement and coronavirus restrictions greatly affected the way the games were organized. Athletes had to take daily COVID-19 tests and could only travel to and from their competition venues and the Olympic Village. A mandatory quarantine was in place for all volunteers and media personnel coming from outside Japan, with regular testing conducted for them as well. But perhaps the restriction that made the greatest difference to the atmosphere of the games was a ban on spectators in more than 90% of the Olympic venues. As a volunteer at both the Olympics and Paralympics, I was able to witness firsthand the difficulties that the pandemic posed on the hosting of the games. Despite all the challenges and restrictions, the Tokyo 2020 Olympic and Paralympic Games have now been completed. I am glad that I was able to have been a part of it and am proud of being able to contribute to this memorable event. My Olympic journey started in December 2018 with an application to be a volunteer. In 2018, The Tokyo Games Organizing Committee announced that it was seeking to recruit up to 80,000 volunteers for the Olympics and Paralympics. A total of 204,680 people in Japan and overseas applied to become volunteers. At the time, my family was very excited to watch the Olympics in person and enjoy the atmosphere of the Olympics. But personally, I wanted to find a way to take part in the Olympics besides being a spectator. I was curious to know how the Olympics would be organized, which led me to apply as a Games volunteer. Following my application, there was an interview and orientation session in February 2019 for volunteer selection. People of different age groups from various parts of Japan came for the interview and orientation session. I met people who came from Sendai and Kyoto only to attend the interview. I was hoping that my multilingual skills along with my former experience volunteering in regattas (rowing competitions) and school events would come to my advantage in the selection process. Two months after the interview, I was thrilled to receive an email to officially register as a volunteer for the Tokyo 2020 Games. Olympic games volunteers are referred to as Field Cast. I had my first training session in December 2019 along with several other volunteers. The journey was going smoothly and as per schedule until Feb 2020, when things started going awry due to the growing spread of the novel coronavirus. On 24 March 2020, the International Olympic Committee (IOC) and Tokyo 2020 Organising Committee announced that Tokyo 2020 Olympic and Paralympic Games would be postponed to 2021. On 30 March 2020, the IOC announced new dates for the Tokyo Olympics, which would be from July 23 to August 8, 2021. The new dates for the Paralympic Games were August 24 to September 5, 2021. Following the decision to postpone the games, there was nothing any of us could do other than wait and hope that things would improve for the games to be held in 2021. As 2021 rolled in and the Japanese government stayed committed to hosting the games, the volunteer training process also slowly resumed. We began to receive updates and information about our role and which venue we would have duties in. I received details about my shifts and the procedure for the collection of our Olympic accreditation card in May. Around June, I went to collect a complete set of the volunteer uniform which included T-Shirts, jackets, pants, bags, hats, shoes, socks, and masks. We received our Accreditation card without which we wouldn’t be able to access the competition venues. The card had details about the venues, the area within the venue, and the department we are assigned to. Volunteer Role and Responsibilities In both the Olympics and Paralympics, I volunteered in Press Operations at Sea Forest Waterway, where the rowing and canoe sprint events took place. Press Operations was in charge of media operations and photo operations at the competition
20
Anjali
www.batj.org
Volunteer Experience at Tokyo 2020 venue. Due to the spectator ban, the news media played an even more important role at the Games by sharing the remarkable athletic performances and inspiring displays of the Olympic values to a global audience. Reporters and photographers from print, digital and non-rights-holding news outlets from around the world and throughout Japan covered every aspect of the Tokyo Games. So I felt a greater responsibility to do a good job as a member of the Press team. My first shift was on 20th July 2021. Volunteers in press operations had to report to the Venue Media Centre at 8:00 a.m. on our shift days. There were around 25 to 30 volunteers each day. Volunteers were divided into groups according to their area of work on that particular day. I was surprised to see that there were very few English speaking volunteers in our team on most days. Most of the English/other language volunteers were assigned to language services or other departments. My team managers, however, came from all corners of the world including Italy, Brazil, and the USA. There was one manager in charge of each team within Press Operations, such as Photo, Mixed zone (Press/Media), and Press Conference. They were professionals who were very experienced in organizing international events like the Olympics. They were very friendly and easy to work with. Four of my managers were foreign nationals who did not speak Japanese. They came to Japan in June only for the Olympics. Venue - The Sea Forest Waterway(海の森水上競技場) was the regatta venue for rowing & canoe sprint during Olympics & Paralympics. It was newly constructed in the canals between the Inner and Outer Central Breakwater Reclamation Areas of the Port of Tokyo. There was strict access control and no person without an accreditation card was allowed on the premises. Everyone needed to pass through a security check. Volunteers were to report to their assigned department, mine was Press Operations. Within Press Operations, the volunteer duty was further divided into the following areasVenue Media Centre-A base for media coverage activities where they write manuscripts, edit photos and send them. Conference Room-A place where athletes and coaches held press conferences.
Press Tribune-Seats used by reporters for coverage, which was in the stands of the venue.
Mixed Zone- The area that all athletes pass through after a race where reporters take interviews/comments directly from athletes.
Photo Team – Volunteers assisted photographers in the ‘Photo Positions’, which were the areas from where the photographers could take photographs of the races. Each day started with a morning briefing (meeting) and volunteers were divided into groups according to their area of work. Most of the volunteers were assigned duties in most of the above mentioned areas. An example of my shift day was: 7:15 am - Shuttle bus to the venue 7:45 am - Check-in at the check-in center. 8:00 am - Report to the manager at the media center. 8:05 am ~ Duty allotment and briefing about our duties, Duty (with breaks), Lunch 2:00pm ~ 3:00 pm - End of duty. Report to our manager and go home Access - Access to the venue was only by shuttle bus from Tokyo Big Sight.
Check-in - All volunteers needed to check in on their shift days. There we were given a lunch coupon, hand sanitizer, salt tablets (to prevent dehydration), a water bottle, Aquarius and 2 disposable wet towels. Lunch - Volunteers were provided one Obento (Japanese lunch), soft drink and ice cream in exchange for the lunch coupon in the dining hall. We could choose one of the 4 choices of Obento, drink and ice cream. On most of my shift days, I was with the Photo Team. The Photo team supported photographers. My main responsibilities as a photo team member were to monitor the photo positions, show photographers the pathway to all photo positions in the venue, control access in the photo positions, ensure physical distancing, safety during races, supporting the photographers with the photo truck, photo boat and providing them cold water, guide the photographers to photo positions during the victory/ medal ceremonies. Photographers could take photos only from the designated areas called “photo position”. Photo positions were at different places like the start point, finish point and few other positions along the course. A photo boat and special photo trucks were available for the photographers to ride and take photographs during the race. The truck schedule was really tight and had to run on clockwise precision. Being able to converse in English and Japanese was really helpful and I was able to help in the smooth flow www.batj.org
Durga Puja 2021
21
Volunteer Experience at Tokyo 2020 of operations. My Japanese skills were quite handy to communicate and interpret between the photographers, volunteers, and staff. For a few days, I also worked in the Mixed zone which is the area where athletes passed through after a race. It is where reporters take interviews/comments. Volunteers had to guide the athletes to the press/media staff and ensure that social distancing was maintained between the athletes, press, and volunteers. We also had to ensure that everybody wore their mask. As I look back on my volunteer experience, I had many fun moments, some not so fun experiences, and a lot of personal highlights. Fun points: I was able to watch the athletes and races from up close when the duty was at the finish line or start line which were one of the best positions to watch the races. I worked with a friendly team of managers and volunteers and made many friends. It was fun when I got to sit on the eco friendly photo boat. Depending on our duty, few of us had a chance to ride on the photo truck along the course and watch a race from start to finish. While working in the mixed zone, I was able to see the athletes up close and hear their comments/interviews. I was able to watch the victory/medal ceremony closely and could watch the medal presenters like former Olympians or Olympic committee members. Two among them were Hashimoto Seiko(President, The Tokyo Organizing Committee of the Olympic and Paralympic Games) and Andrew Parsons (President, International Paralympic Committee). I got a chance to meet and take photographs with athletes. On top of that, I received Bronze, Silver, and Gold Olympic Paralympic Mascot pin badges on my 3rd,5th, and 10th day of duty and got an Olympic swatch watch in a lucky draw on 7th duty day. I received a Thank you pin badge on our last days of Olympic and Paralympic duties as a token of gratitude. I also received an Indian pin badge from the President of the Paralympic Committee of India, a New Zealand pin badge from a New Zealand photographer, and a German pin badge from a German coach. I was also able to watch the Equestrian-Eventing cross country team and individual events which were held in the adjoining venue.
Indian equestrian Fouaad Mirza Not so fun points: My area of work was outdoors. Of the 17 days that I volunteered, most days the temperature was over 30 degrees with high humidity. On top of that, we were required to wear masks due to the pandemic which made working outdoors quite uncomfortable. Wearing a mask, maintaining social distancing, and using sanitizers frequently was stressful but unavoidable. Having to take PCR tests frequently was a mixed feeling of anxiousness and relief. Personal Highlights: The official game’s motto was “United by Emotion”. I had been seeing that motto since July and at first, I thought it only applied to athletes. But on my first day, I started to get emotional when I saw our Indian flag at the venue making me realize that this motto applies to everyone taking part in these Games. During rehearsals of the victory ceremony, I was trying to imagine how it would feel if our national flag was one among the three flying high up in the sky. There were moments when both I and my photo team manager had tears in our eyes just watching the cheers and tears of the athletes, coaches, and their team members after the races and at the medal ceremonies. It didn’t matter which country they or we belonged to. It was really unfortunate that we couldn’t cheer the athletes as much as we wanted to due to the coronavirus restrictions. I had many memorable experiences during my volunteer duties. On 25 July, I was both excited and anxious when I was asked by my manager to be an interpreter for a press interview for two rowers in Team India. I was asked to translate between Hindi and English as there were no volunteers or interpreters who could speak Hindi. I got a chance to meet Arjun Lal Jat and Arvind Singh who were the first Indian rowers to reach
Photographers on Photo Truck 22
Anjali
www.batj.org
Volunteer Experience at Tokyo 2020
With Arjun Lal Jat, Arvind Singh
With Deepa Malik
With Prachi Yadav
With Mueller Edina
the semi-finals in Olympic rowing. They are from the Indian army and started rowing only as recently as 2017. Their performance was India’s best-ever at the Summer Games as the duo finished 11th in Men’s Lightweight Double Sculls. It was a proud moment being an interpreter for our Indian team. Later I met their coach Ismail Baig who is a Dronacharya awardee and has an incredible record as an Indian coach. Under his stewardship, India won 156 medals in various junior and senior international rowing meets. During the Paralympics, I also had the amazing opportunity to meet Deepa Malik, the President of the Paralympic Committee of India. She was the first Indian woman to win a medal in the Paralympic Games, winning a Silver medal at the 2016 Rio Summer Paralympics in shot put. She is a recipient of the Rajiv Gandhi Khel Ratna Award, the International Women’s Day Recognition by the International Paralympic Committee, the Padma Shri award, and the Arjuna award. It was an emotional moment when Ms. Deepa Malik spoke to me and gave me an Indian Paralympic pin badge. It was one of the best souvenirs I have received during the games. I was very happy to have met Prachi Yadav, India’s first ever para-canoe athlete. She finished in 8th place in the Women’s VL2 200m final canoe sprint. I also got a chance to take photos with medallists from other countries like Katherinne Wollermann(Chile), bronze medalist in Women’s Kayak Single 200m – KL1, and with Mueller Edina (Germany), gold medalist in Women’s Kayak Single 200m – KL1. Ms. Mueller won a gold medal at the 2012 London Paralympics and a silver medal at the 2008 Beijing Paralympics in Wheelchair Basketball. We were moved during Ms. Mueller’s post-race moments with her son, family, and team. It was in these moments where I realized how these experiences were a team victory and not just the athletes alone. My respect and appreciation for para athletes have gone up exponentially after I watched them in action and started reading about them. Many of them had to overcome many hurdles to reach this point. It’s not fair that only certain sports and athletes get a lot of attention and sponsors. The effort and dedication is more or less the same in any sport. There were many emotional moments during the games which are indescribable. I felt very emotional on our last day when my photo manager gave me plush dolls of Olympic & Paralympic mascots- Miraitowa and Someity. It was unfortunate that we couldn’t share or express our excitement or emotions as we would have without the COVID-19 restrictions but I’m glad that I could share in the experiences of the athletes as a volunteer. My overall experience of the games was like hosting a big party/event at home as a family member rather than just attending one as a guest. I learned a lot from each and every one of these wonderful experiences. I will always treasure these memories. And I do believe that the Olympics & Paralympics did unite us by emotion.
www.batj.org
Durga Puja 2021
23
「聖と俗のあいだ」 - 小久保 順平 「2020東京オリンピック」の今年は、例年になく夏は早く過ぎた。まるでオリンピックの熱狂が終わると同時に、夏を連れ去っていっ たかのような印象である。朝に夕に、確実に秋の気配が感じられるようになっていた。 毀誉褒貶を織り交ぜながら、1年遅れでオリンピックは開催されたが、実のところ、友人から電話があるまで、「やれやれ、オリンピ ックが始まったか」というていどの認識で過ごしていた。世界中がコロナ禍に喘いでいる最中、開催に甚だ懐疑的であったからだ。賛 成とか反対という考え方の前段に、開催して成功するだろうか、という懸念が頭の中を掠めていた。チケットの収益が見込まれず、海 外からの観光客も当てにはできず、すでにオリンピックにかかる膨大な赤字が取り沙汰され、開催前から詳細に試算がされていた。 電話から聴こえてくる、奇妙に興奮した友人の熱を帯びた声が、 「柔道で日本勢が頑張っている、金メダルのオンパレードだ」と言った。私がまだ、 「オリンピックは見ていない」と返したら、間髪を入れず、 「バカヤロー」と怒鳴って電話は切れた。 もともと私が、スポーツに興味を持たないことを知っていた友人だが、ただ柔道とレスリングに若干の興味を持っていることも知っ ていた。だから連絡してきたのだろう。友人のバカヤローは、文字通りの意味ではなく、「トットと見やがれ!! 」という、仲間うちだけに通 用する親愛の表現である。友人の熱い友情には応えなければならぬ。私は早々にパソコンに向かい、東京オリンピックを検索した。 無数の動画があがっていた。 比較するまでもなく、パソコンはテレビをはるかに凌駕する機能を具えた、文明の利器である。私の家にはテレビがないため、オ リンピックもテレビで見てはいない。夫婦ともども、昔から熱心な視聴者ではなかったので、いつの間にかテレビはお飾りになってい た。アナログからデジタル放送に切り替わったとき、買い替えず、したがって我が家には箱形の旧態依然としたテレビはあるが、テレ ビとしての機能はなく、場所取り荷物になっている。棄てないでいるのは、ごくたまに過去に撮ったビデオを観るための理由による。 パソコンがあれば十分なのである。 各種目の競技が予選から決定戦、メダルの授賞式まで網羅され、時間を遡って見ることも出来れば、リアルタイムでライブ観戦を 楽しむことも出来る。柔道やレスリングをはじめとして、気になった競技を私は遡って見ていった。 友人から尻を叩かれた、消極的な動機ではあったが、改めてオリンピックを見てゆくと、競技は人生の縮図を目の当たりにするド ラマのように思われた。私は真剣になった。勝っては泣き、負けては泣く彼らに、強く興味を惹かれていった。中でも私を魅了したの は、どの競技といわず、また試合の勝敗でもなく、刻々に映し出される画面の中の、アスリートの千変万化する「表情」だった。獲物を 狙う野生動物のような、研ぎ澄まされた眼。息を大きく吸って気力を充実させる、硬く引き結んだ口もとの微かな皺。沸点に達するほ どの緊張感を隠す、ギコチない微笑。喧騒の中の一瞬間に生まれた、静謐な空間に佇立する無防備な姿態。そのどれもが喜怒哀 楽といった人間が本来的に持つ多彩な表情を醸し、映画やドラマの俳優が演じる演技の比ではなかった。すでにして彼らは一流の アスリートであると同時に、名優ですらあった。 いつしか私は彼らの刻々と映し出される表情に、これまでに拝してきた幾多の仏像を、重ね合わせて視ている自分に気がつい ていた。日本の仏教はヒンドゥー教の神様が採り入れられ、仏像が多くの寺院に安置されている。とくに明王や天部に属する諸尊が ヒンドゥー教から取り込まれており、奈良や京都に行くと、法隆寺、興福寺、當麻寺、東大寺、東寺、三十三間堂等々で、インド起源 の仏像を拝することが出来る。どれも表情豊かで、しかも精神性が高い。アスリートのふとした一瞬の表情が、これまで観て来た諸尊 にたいへん似ているのであった。阿修羅がいた。不動明王がいた。帝釈天がおり、梵天がいた。唇を 優しく結んだ伎芸天や弁財天、吉祥天もいる。これらの諸尊が、みなオリンピックに参加していることの 不思議を、時代を超越した不変の姿として信じられたのである。アスリートが私生活でどのようなバカを やり、ニュースを賑わせようと、競技に臨む彼らの姿は、絵にもなれば、詩にもなり、名優にも、信仰の 対象ともなり得る、神々しい存在として私の眼には映った。何故なら彼らは聖と俗のあいだに立つ者た ちだからである。 今回のオリンピックでは「表情」と並び、ひとしく興味を懐いたのが「刺青」である。正確な数字は分 からないが、出場した2~3割ちかくのアスリートが何かしらの刺青を彫っているのではないかと思われ た。中には上半身全体にわたって彫っている者もいて驚いた。また二の腕から手首にかけて刺青を入 れた、うら若き乙女が競技をしている場面にもであった。流行の最先端をゆくかのような、個性的な髪型 をしているアスリートも大勢いたが、髪型ならどのような奇抜な恰好であろうとかまわない。見ていても目 には楽しい。いずれはまた、べつの髪型に変えるだろう。しかし刺青を単なるファッションで入れている のだとすれば、かわいそうな気がする。若い時は、肌に艶も張りも脂ものって美しく見えるが、30代も過 ぎれば、艶も張りもなくなり、40代ともなれば、脂もぬけて皺が出てくる だろう。皺が寄った肌の刺青が、果たして美しく見えるだろうか。肌は キャンバスではない。一度入れた刺青は二度と消すことはできない。 かりに消すことが出来たとしても、現代の医学では消した部分はケロ イド状の痕を残す。取り返しがつかないのである。 むかし何かの本で「いまの若いものは――」という言葉が、5000 年前の古代エジプトの粘土板に書かれていた、という一文を目にし たことがある。ソクラテスやプラトン、カントまで似たようなことを言って いるとも記されていた。日本では吉田兼好の「徒然草」に、似たような 文脈で書かれたものがある。いずれにしろ、こうした言葉が普遍性を 持つことは、いまも身近に使われていることで分かる。10年前、20年 前、30年前、あるいは遠く前回の東京オリンピックを振り返ってみれ ば、刺青がファッションとして幅を利かせている現在について、いまの 若いものは――と当時を知る人の口から、このような声が出てくるよう 24
Anjali
www.batj.org
「聖と俗のあいだ」 な気がするのである。 競技に勝つためか、ユニフォームはどんどんスリム化され、肌を晒す傾向にあるようだ。笑い話 として言えば、古代オリンピックは裸で行われていたというから、露出度が増すことは先祖返りの気 味もあり、また刺青を堂々と披露する意味でも理想的である。スマートホン一台あれば、今は誰でも 主役になれる時代なのだから、刺青なども、その点では自己アピールが出来て、現代の風潮によく あっているということなのだろう。 「2020東京オリンピック」が通常のスポーツの祭典にとどまらず、無観客であることの効用が、ア スリートたちの無防備ともいえる姿態を、詳細にカメラは映し出してくれた。そこから様々な発想と示 唆が、我われ観る側にも与えられた。科学がどのように進歩しようと、人間の本質は5000年の昔から 変わらず、不易流行の虚像を時代の鏡が映し出しているに過ぎない。 仮にアスリートたちの刺青が、時代の徒花であるならば、いつかは枯れる日が来るだろう。しか し、オリンピックの起源が、神に捧げる奉納競技に由来を持つものならば、そうした諸々のすべて をつつみ込み、泥水から咲く蓮のように、オリンピックの大輪の花を咲かせ続けてゆくことだろう。
www.batj.org
Durga Puja 2021
25
26
Anjali
www.batj.org
সত্যজিৎ রায় ১৯৯২ সালের গ�োড়ার দিকে কলকাতা শহরে একদিন হৈচৈ পড়ে গেল দূ রদর্শনের একটা খবরকে ঘিরে। সত্যজিৎ নাকি লাইফ টাইম অস্কার পুরস্কার পেয়েছেন। দিকে দিকে খবরটা রটে যেতে টেলিভিশনের পর্দায় সবার নজর আটকে গেল। টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে উঠল দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ নার্সিং হ�োমের বিছানায় শুয়ে অসু স্থ সত্যজিৎ অস্কার হাতে আর সেটি ঘ�োষণা করছেন সর্বকালের একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন। সারা গায়ে ঢাকা দেওয়া মাথাটা বালিশ দিয়ে সামান্য উঁচু করা অসু স্থ সত্যজিৎ হাতে অস্কার নিয়ে একটু জড়ান গলায় কিন্তু স্পষ্ট ইংরাজি উচ্চারণে খুব ছ�োট একটি বক্তব্য রাখলেন অস্কার পুরষ্কার গ্রহণ করে। এখন মনে হয় সেটিই ছিল তাঁর ফেয়ারওয়েল স্পীচ। তার কিছু দিনের মধ্যেই এপ্রিলের একুশ তারিখে উনি ইহল�োক ছেড়ে চলে যান শত শত ভক্তকুলকে শ�োক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে। ওনার দেহাবশেষ নিয়ে হাজার হাজার ভক্ত তাঁর শেষযাত্রার সঙ্গী হয়েছিলেন আর তাদের সকলের মুখে ছিল তাঁরই রচনা সেই বিখ্যাত গানের কলি ‘মহারাজা ত�োমারে সেলাম’। উপেন্দ্র কিশ�োর রায় চ�ৌধু রীর নাতি আর সু কুমার রায়ের ছেলে সত্যজিৎ এর জন্ম ১০০ নম্বর গড়পার র�োডের বাড়িতে ১৯২১ সালের ২রা মে। প�োশাকি নামের পাশে ডাক নাম হল মানিক। ওই ছ�োট্ট মানিক যে একদিন বাংলা তথা ভারতকে পৃ থিবীর মানচিত্রে এক বিশেষ জায়গা করে দেবে সেদিন কেউ কি তা ভাবতে পেরেছিল? সারা পৃ থিবীর মানু ষ যাকে কেবলমাত্র চিত্রপরিচালক হিসেবে চেনে তাঁর বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় পেলে বিস্ময়ে অবাক হতে হয়। চিত্রপরিচালনা ছাড়া তিনি ছিলেন একাধারে চিত্র নাট্যকার, তথ্যচিত্র নির্মাতা, লেখক, কবি, প্রবন্ধকার, গীতিকার, পত্রিকা সম্পাদক, চিত্রশিল্পী, ক্যালিগ্রাফার এবং সঙ্গীত পরিচালক। এ ছাড়া উনি ছিলেন সু বক্তা আর অসাধারণ এক পাঠক ও বন্ধু বৎসল মানু ষ যেখানে বয়স বা অন্য কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াত না। ঠাকুরদা উপেন্দ্র কিশ�োরকে উনি জীবিত দেখেন নি আর বাবা সু কুমার ওঁর মাত্র আড়াই বছর বয়সে মারা যান। বাবার স্মৃতি ওনার কিছু ছিল না বললেই চলে। পরিণত বয়সে উনি ওঁদের সৃ ষ্টির সঙ্গে পরিচিত হয়ে ছিলেন। তাহলে প্রশ্ন ওঠে ওনার এই বেড়ে ওঠার পিছনে ক�োন ব্যাপারটা অণুঘটকের কাজ করেছিল। ওনার শৈশব বাল্য ও য�ৌবনের দিনগুল�ো কি ভাবে কেটে ছিল একটু পর্যাল�োচনা করলেই ওনার চরিত্রের কয়েকটা দিক জানা যায় যা ওঁকে ওই মাত্রায় পৌঁছতে সাহায্য করেছিল। এ ছাড়া বংশগত জিন ও রক্তের প্রভাব ত�ো ছিলই। বাল্যে ও শৈশবে মা সু প্রভা দেবী ছাড়াও ওনার পিতৃকুলের ধনদাদু (কুলদা রঞ্জন রায়) বা ছ�োট কাকা (সু বিনয় রায়) আর তার সঙ্গে মাতৃকুলের মাসী, মামা বা অন্যান্য অনেকের সঙ্গ পেয়েছিলেন এবং ওঁর জীবনে তাঁদের প্রভাবও কম ছিল না। অবাক হতে হয় ওঁর মুগ্ধতা ও বিস্ময়, কল্পনা ও ক�ৌতূ হল, ক�ৌতুক ও র�োমাঞ্চ অথবা অনু ভব ও উপলব্ধির ক্ষমতা দেখে যা খুব ছ�োটবেলা থেকেই ওঁর মধ্যে ছিল যার জ�োরে উনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত বড় সৃ ষ্টিশীল মানু ষ হতে পেরেছিলেন। গড়পারের বাড়ির কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে হরেন ওর থেকে বয়সে খানিকটা বড় ছিল আর নানান খেলার সাথী ছিল। হরেনের হাতে তৈরি ঘুড়ি, মাঞ্জা বা কালিপুজ�োর সময় বাড়িতে বানান�ো ফানু স অথবা পুরন�ো দইয়ের হাঁড়ি ফুট�ো করে লণ্ঠন বানান�ো ওঁর জীবনে প্রথম মুগ্ধতা ও বিস্ময় এনে দেয়। মাঝে মাঝে ছ�োট কাকার সঙ্গে তিন তলার প্রেস দেখতে গিয়ে বিদেশ থেকে আনা নানান ধরণের কাগজ কালির ব্যবহার ও একদৃ ষ্টিতে দেখত। এই ভাবেই ছ�োট্ট মানিকের দিন কেটে যেত দ�োতলার ঘরে মায়ের কাছে নানা ধরণের গল্প শুনতে শুনতে। বাড়ির লাগ�োয়া মুকবধিরদের বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ওই ঘরের জানলা www.batj.org
- তপন কুমার রা
দিয়ে দেখা যেত আর মানিকের কাছে ওটাই মনে হত বিরাট একটা জগত। মায়ের সঙ্গে অদূ রেই আপার সার্কুলার র�োডে আচার্য জগদীশ চন্দ্র ব�োসের বাড়িতে মাঝে মাঝে যেত ওই বাড়ির হলঘরের নানা রঙের টালি বসান মেঝের আকর্ষণে। বাবার মৃ ত্যুর পর ইউ রায় এন্ড ক�োম্পানির আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটলে অন্যান্য শরিকদের মত সু প্রভা দেবীকেও গড়পাড়ের বাড়ি ছেড়ে শহরের দক্ষিনে ভবানীপুর অঞ্চলে বকুলতলা র�োডে দাদার বাড়িতে শিশু মানিককে নিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। তখন সত্যজিতের বয়স মাত্র পাঁচ। নতুন পরিবেশে মানিকের মানিয়ে নিতে সময় লাগেনি। নিজের মামা ছাড়াও মায়ের বাপের বাড়ির দেশ থেকে অনেক পাতান�ো মামা চাকরীর খ�োঁজে ওই বাড়িতেই এসে উঠত। মানিকের কান এবং চ�োখ তখন থেকেই ছিল প্রখর। ফেরিওয়ালাদের বিভিন্ন সু রে ডাক অথবা পাশের বাড়ি থেকে ভেসে আসা নামতা মুখস্ত করার ছন্দ মানিকের মনকে খুবই প্রভাবিত করত। পিতৃকুলের ধনদাদু আর ছ�োট কাকা নিয়মিত বকুল বাগানের বাড়িতে এসে মানিককে গল্প শ�োনাতেন। ধনদাদু উপেন্দ্রকিশ�োরের মহাভারত থেকে পড়ে শ�োনাতেন। মানিকের সবচেয়ে পছন্দের অধ্যায় ছিল জয়দ্রথ বধ যেটা মানিক একাধিকবার শুনতে চাইত। জয়দ্রথর মুণ্ডু অর্জুন তীর মেরে কেটে আর তারপর কি করে আকাশপথে জয়দ্রথর বাবার ক�োলে ফেলে দিয়েছিল সেই বর্ণনা শ�োনার জন্য। আর ছ�োট কাকা বেশির ভাগই ভুতের গল্প বলে মানিকের মনে রহস্য র�োমাঞ্চ জাগিয়ে তুলতেন। এই সময়েই মানিকের সু য�োগ এল মায়ের সঙ্গে কলকাতার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ঘ�োরার। সাত বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই মানিক অট�োগ্রাফের খাতা দিলে রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রিয় তাতা অর্থাৎ সু কুমারের সন্তানকে নিরাশ না করে খাতাটা রেখে যেতে বলেন। পরের দিন মায়ের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ঘরে গেলে কবি মানিকের খাতাটি বের করে দেন। তাতে লেখা কয়েকটা লাইন আজ সবার জানা। বহুদিন ধরে’ বহু ক্রোশ দূ রে বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু । দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দু ই পা ফেলিয়া একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশির বিন্দু।। রবীন্দ্রনাথের সই নীচে যার পাশে তারিখ উল্লেখ করা আছে ৭ই প�ৌষ ১৩৩৬ সন। মানিক ওর মায়ের সঙ্গে সেবার শান্তিনিকেতনে প্রায় তিনমাস কাটিয়ে ছিল গাছগাছালি ঘেরা একটা খড়ের চাল দেয়া মাটির ঘরে। লন্ঠনের টিমটিমে আল�োয় সন্ধ্যে গুল�ো মানিকের রহস্যময় মনে হত। পূ র্ণিমার আল�োয় মায়ের হাত ধরে খ�োয়াই এর পাশে মায়ের খ�োলা গলায় গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীত আর ব্রহ্ম সঙ্গীত শিশু মানিকের মনে দাগ কেটে যায়। এর পরে মানিক ওর মায়ের সঙ্গে দার্জিলিং বেড়াতে যায় আর কাঞ্চনজঙ্ঘায় সূ র্যোদয় প্রতিদিনই আকাশে মেঘ থাকার জন্য দেখা হয়ে ওঠে না। এর মধ্যে একদিন ভ�োর রাতে মায়ের ডাকাডাকিতে ঘুম থেকে উঠে সেই বিরাট পর্বতমালার স�োনালী থেকে ক্রমশ রঙের পরিবর্তন হতে হতে রুপ�োলী হবার দৃ শ্য মানিকের মনে ছাপ রেখে যায়। পরবর্তী কালে ওঁর কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবিতে এর প্রভাব লক্ষ্য করার মত। ওই ছবিটিই ছিল ওনার প্রথম রঙিন ছবি এবং এটাই ছিল সত্যজিতের প্রথম
Durga Puja 2021
27
সত্যজিৎ রায়
ছবি যার কাহিনী চিত্রনাট্য পরিচালনা এবং সঙ্গীত পরিচালনা নিজের। কলকাতায় কাকার হাত ধরে অভিজাত সিনেমা হলে গিয়ে Silent, Partial Silent Talkies, One Hundred percent Talky ইত্যাদি দেখার সু য�োগ হয়। বাড়িতে মায়ের কিনে দেওয়া কিছু বই যেমন The Book of Knowledge, Romance of Famous Lives মানিকের মনে প্রভাব ফেলে। এই সু ত্রেই মানিক প্রথম জানতে পারে বেথ�োফেনের নাম আর পাশ্চাত্য সঙ্গীতের প্রতি মানিকের অনু সন্ধিৎসার শুরু এখান থেকেই। এ ছাড়া এই বই থেকেই পাশ্চাত্য শিল্পকলা সম্বন্ধেও মানিকের একটা ধারণা তৈরি হয় রেনাসাঁস যু গ থেকে ইম্প্রেসেনাজিম যু গের আরম্ভ পর্যন্ত। ছ�োট বয়স থেকেই মানিক পেন্সিল আর কলম দিয়ে ছবি আঁকতে অনু প্রেরণা পায় এই বইগুল�ো থেকে। এ ছাড়া কমিক এবং ফিকশান সে ভাবে মানিকের পছন্দের তালিকায় কখনই আসে নি। বাংলা গল্প উপন্যাস পড়ার সু য�োগ আসে মানিকের যখন প্রায় কুড়ি বছর বয়স। তার আগে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজকাহিনী থেকে রাজপুতদের বীরত্বের কাহিনী মানিকের মনে রাজস্থান সম্বন্ধে ঔৎসু ক্য জাগায় যা আমরা পরবর্তী সময়ে ওনার স�োনার কেল্লা বা গুপি গায়েনের যু দ্ধের দৃ শ্যে দেখেছি। তখনকার দিনে ম্যাজিক লন্ঠন ছিল অতি পরিচিত একটি মাধ্যম যা থেকে কের�োসিনের আল�োয় দু রীলের ছবি দেখা যেত। “কি জানি সেই সময় থেকেই ব�োধহয় আমার সিনেমার নেশা ধরে যায়” সত্যজিৎ এর মুখে পরবর্তী কালে আমরা শুনেছি। একদিন সকালে মানিক কালু মামার হাত ধরে বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলে ভর্তি হল ক্লাস ফাইভে যখন ওর বয়স সাড়ে আট। ইস্কুলের বিভিন্ন শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে মিশে মানিক প্রথম পারিবারিক জগতের বাইরে একটা নতুন জগতের সন্ধান পেল। বাড়িতে মায়ের কাছে মাঝে মাঝে পড়া বু ঝে নিয়ে মানিক ছত্রিশ সালে মাট্রিকুলেশান পরীক্ষার শেষে বাড়ি ফিরেই মেকানিক্সের বই ছু ঁড়ে ফেলে দিয়ে বলল ‘এবার আমি বড় হয়ে গেলাম’। ছত্রিশ থেকে চল্লিশ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্সীতে অর্থনীতি নিয়ে বিএ পাশ করলেন। বাবার সমসাময়িক বিখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ প্রশান্ত মহলানবিশের পরামর্শ উপেক্ষা করে চলে গেলেন শান্তিনিকেতনে আর্ট বিষয়ে নন্দলাল বসু র কাছে শিক্ষা নিতে। সে জন্য সত্যজিতের মনে ক�োন আক্ষেপ ছিল না। ওর বাবা সু কুমার রায়ই ত�ো প্রেসিডেন্সী থেকে ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রি তে ডবল অনার্স নিয়ে পাস করে চলে গিয়েছিলেন ম্যানচেস্টারে লিথ�োগ্রাফি ও প্রিন্টিং বিষয়ে পড়াশুন�ো করতে। রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন প্রায় আশি ছু ঁই ছু ঁই আর শারীরিক ভাবেও অনেকটা দু র্বল। সত্যজিতের সরাসরি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সে সময় বার তিনেকের বেশি সাক্ষাৎ হয়নি। বন্ধু হিসেবে পেলেন দিনকর ক�ৌশিককে যার সঙ্গে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত য�োগায�োগ ছিল। দু ই বন্ধু র শান্তিনিকেতন থেকে অজন্তা ও ইল�োরাতে নন্দলাল বসু র আদেশে স্কেচ করতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা সত্যজিৎ ভুলতে পারেন নি। পরবর্তী কালে এই বন্ধুটিই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদ অলংকৃত করেছিলেন। পরের বছর ২৫শে জুলাই রবীন্দ্রনাথকে শেষ বারের মত শান্তিনিকেতন ছাড়তে হয় কলকাতায় চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা বিফল করে রবীন্দ্রনাথ কিছু দিন পরেই ৭ই অগাস্ট ইহল�োক ছেড়ে চলে যান। পরের বছর বিয়াল্লিশ সালের অগাস্ট মাসের ন’তারিখ সারা ভারত উত্তাল ভারত ছাড় আন্দোলনের জন্য। প্রায় ষ�োল মাইল পায়ে হেঁটে, ন�ৌকাতে নদী পেরিয়ে দু ই বন্ধু ক�োনরকমে কলকাতায় ফিরে আসেন। অবস্থার কিছু টা উন্নতি হলে সত্যজিৎ শান্তিনিকেতনে ফিরে যান। বছরের শেষদিকে নন্দলাল বসু কে সরাসরি বলেন ফাইন আর্টস সম্বন্ধে যা শেখা হয়েছে তা ওঁর পক্ষে যথেষ্ট। কাজেই চার বছরের ক�োর্স সম্পূর্ণ না করে দু বছরের মাথায় উনি কলকাতায় কমার্শিয়াল আর্ট বিষয়ে সম্যক জ্ঞানের জন্য একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় পুর�ো সময়ের একটা চাকরি করতে চান। নন্দলাল এক কথায় রাজী হয়ে যান। সত্যজিৎ সম্বল হিসেবে পেলেন নন্দলাল ব�োস, শিল্পী বিন�োদ বিহারী মুখ�োপাধ্যায় ও রামকিঙ্কর বেইজের থেকে শেখা বিদ্যে। সত্যজিতের জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হল D J Keymer নামে একটি ব্রিটিশ সংস্থায় মাসিক আশি টাকা বেতনের চাকরি দিয়ে। এখানেই কাজ করতেন ডি কে ব�োস যিনি পরে সিগনেট প্রেস স্থাপন করেন ইংরাজি আর বাংলা দু টি ভাষাতে বই প্রকাশনা করার জন্য। সেখানে সত্যজিতের সু য�োগ এল বইয়ের প্রচ্ছদ আঁকার। ততদিনে সত্যজিৎ রবীন্দ্রনাথের ঘরে বাইরে সিনেমা করার জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা শুরু করেছেন। ছ�োটদের জন্য বিভূ তিভূ ষণের পথের পাঁচালী উপন্যাসের একটা সংক্ষিপ্ত সংস্করণ আম আঁটির ভেঁপু যার প্রচ্ছদ করার ভার এল সত্যজিতের কাছে। প্রচ্ছদ করার আগে স্বভাব বশত উনি পুর�ো বইটি 28
পড়ে ফেলার পর পথের পাঁচালী ওনার মনে গেঁথে গেল সিনেমায় রূপ দেওয়ার জন্য। ঘরে বাইরে তখনকার মত ত�োলা রইল। এর সঙ্গে সঙ্গেই আসে বিভূ তিভূ ষণের অশনি সংকেতের প্রচ্ছদের কাজ যেটি পরবর্তী সময়ে একটা অসাধারণ সৃ ষ্টি সত্যজিতের। এই সময়েই সত্যজিতের পরিচয় হয় রবি শঙ্করের সঙ্গে ওঁর অগ্রজ উদয়শঙ্করের তৈরি ‘কল্পনা’ দেখার পরে। একটি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অনু ষ্ঠানে রবিশঙ্করের আমন্ত্রণে গেলে ভারতীয় রাগ সঙ্গীতের ওপর সত্যজিতের চর্চা শুরু হয়। চাকরীর ফাঁকে ফাঁকে চলল পথের পাঁচালীর শুটিং আর রবিশঙ্করের পথের পাঁচালীর জন্য আবহ সঙ্গীত রচনা। অর্থাভাবে প্রায়ই শুটিং আটকে যেত। পুর�ো ছবিটি শেষ করতে প্রায় আড়াই বছরের ওপর সময় লেগেছিল। সত্যজিতের মনে মনে ভয় কাজ করত শিশু শিল্পী অপু দু র্গার বয়স বেড়ে যাওয়া নিয়ে আর ইন্দিরা ঠাকরুনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে। সেন্ট্রাল এভিনিউয়ের কফি হাউসে চলত ঘণ্টার পর ঘণ্টা আল�োচনা বা আড্ডা। সু ব্রত মিত্র ক্যামেরায়, দু লাল দত্ত সম্পাদনায় আর কাশ্মীরি বংশীচন্দ্র গুপ্ত আর্ট ডিরেকশানে হয়ে উঠলেন সত্যজিতের যাত্রাপথের সহকারী ও সঙ্গী। এই সময়েই চিদানন্দ দাশগুপ্তর সঙ্গে ফিল্ম সম্বন্ধে বিস্তারিত আল�োচনার সু য�োগ এল। উনিও আজকালকার মতে এক পাগল ছিলেন। মার্কিন মুলুকে গেলেন নিউক্লিয়ার ফিজিক্স পড়তে আর ফিরে এলেন হলিউড থেকে সিনেমাট�োগ্রাফি শিখে। ওনারই মেয়ে অপর্ণা দাশগুপ্ত (সেন) পরবর্তী কালে সত্যজিতের হাত ধরে সমাপ্তি সিনেমা দিয়ে শুরু করে বিখ্যাত অভিনেত্রী ও চিত্রপরিচালক হয়েছেন। ইতিমধ্যে ঊনপঞ্চাশ সালে বিজয়ার সঙ্গে পরিণয় সু ত্রে আবদ্ধ হন পরিবার ও সমাজের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও কারণ বিজয়া ওনার থেকে বয়সে চার বছরের বড় আর সম্পর্কে সু প্রভা দেবীর মাসীর নাতনী। সমস্ত বাধাবিঘ্ন কাটিয়ে কলকাতার ব্রাহ্ম সমাজে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত একটি অনু ষ্ঠানে ওঁদের বৈবাহিক অনু ষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিজয়া হয়ে ওঠেন ওঁর সমস্ত লেখার প্রথম পাঠিকা ও সম্পাদিকা। পথের পাঁচালীর সাফল্যের পরে সত্যজিৎ হাত দিলেন অপরাজিত সিনেমাতে যেটি ব্যবসায়িক দিক থেকে সম্পূর্ণ অসফল হল। প্রডিউসারের আর্থিক ক্ষতি সামলান�োর জন্য অপুর সংসারের বদলে হাত দিলেন তারাশঙ্করের ছ�োট গল্প ভিত্তিক জলসাঘর ও পরশুরামের গল্প অনু সারে পরশপাথর ছবি দু টি তৈরির জন্য। জলসাঘর সঙ্গীত ভিত্তিক সিনেমা হবার দরুন এবার নিলেন বিলায়েত খাঁ সাহেবকে সঙ্গীত পরিচালনার জন্য। দর্শক মহলে পরিচিত নাম ছবি বিশ্বাসকে সামনে রেখে এই ছবির পরিকল্পনা যাতে বক্স অফিসের আনু কূল্য পায়। সু র তাল লয় ইত্যাদি বিষয়ে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ছবি বিশ্বাসকে দিয়ে এই সঙ্গীত প্রেমী জমিদারের ভূ মিকায় কি করে অভিনয় করিয়েছিলেন তা কল্পনা করাও শক্ত। পরশপাথর ছবিতে মুখ্য ভূ মিকায় তুলসী চক্রবর্তীকে দিয়ে অসাধারণ একটি সিনেমা করলেন। এর পরে ১৯৫৯ সালে অপুর সংসার অসামান্য সাফল্য পায় দু নিয়ার বিদগ্ধ মানু ষের কাছে। তার পরেই হাত দিলেন রবীন্দ্রনাথের ভাবনা থেকে প্রভাত কুমার মুখ�োপাধ্যায়ের লেখা ছ�োট�োগল্প দেবী সিনেমাতে যেটি ১৯৬০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তি পায়। সত্যজিৎ গ�োটা জীবনে একটি মাত্র শ্যামাসংগীত রচনা করেন এই সিনেমাটির জন্য। ছায়াছবিতে গানটি গেয়েছিলেন পৃ থ্বীশ নাথ মুখ�োপাধ্যায়, পেশাগত ভাবে তিনি কলকাতা পুলিশের গ�োয়েন্দা বিভাগের রেকর্ড সেকশানের ওসি ছিলেন আর শ্যামাসংগীতের ভক্ত ছিলেন। গানটির কথা ছিল ‘এবার ত�োরে চিনেছি মা। ও ত�োর নামে কালী মুখে কালী অন্তরে ত�োর নাই কালিমা। কে বলে মা তুই পাষাণী, তারে আমি বেকুব মানি, আমি মনে জানি, প্রাণে জানি পাষাণের ওই কি মহিমা। নতুন রূপে, নতুন বেশে, শ্যামা মায়ে দ্যাখ�ো এসে, ও ত�োর দয়ার পরশ পেয়ে হরষ, দয়াময়ী মা’। গানের কথা ও সু র শুনেই ব�োঝা যায় গভীর উপলব্ধি ছাড়া এই গানের ভাষা লেখা সম্ভব নয়। সত্যজিৎ জননী ভাবলেন ‘আমার ছেলে ব�োধহয় হিন্দু হয়ে গেল’। ছু টে গেলেন রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী নিত্যস্বরুপানন্দের কাছে যার কাছে সত্যজিতের যাতায়াত ছিল। সু প্রভার প্রশ্নের উত্তরে মহারাজ বলেছিলেন, ‘মানিক ত�ো একজন সাধক। সাধকের কি ক�োন বিশেষ ধর্ম থাকে? ও হল বিশ্বচরাচরের’। ২০১১ সালে গ�োল পার্ক রামকৃষ্ণ মিশনে ৬২ জন শিল্পীর আঁকা ঠাকুরের ছবির প্রদর্শনী হয়। তাতে ফ্র্যাঙ্ক ডরাক থেকে নন্দলাল ব�োস, বিকাশ ভট্টাচার্য আরও অনেক শিল্পী ছিলেন। সত্যজিতের পেনের কালি দিয়ে আঁকা ঠাকুরের সমাধিস্থ অবস্থার একটি ছবিও সেই প্রদর্শনীতে স্থান পায়। পরমহংসের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা জেগে ওঠে যখন সিগনেটের জন্য অচিন্ত্য
Anjali
www.batj.org
সত্যজিৎ রায়
সেনগুপ্তর পরমপুরুষ রামকৃষ্ণ বইটির প্রচ্ছদ তৈরি করেন নামাবলীর ডিজাইন দিয়ে। ওনার বৈশিষ্ট ছিল যে ক�োন বইয়ের প্রচ্ছদ করার আগে উনি বইটি সম্পূর্ণ পড়ে নিতেন। অপুর সংসার রিলিজ হবার পর সত্যজিতের আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পরের বছর ছিল রবীন্দ্র জন্ম শতবার্ষিকী। সেই বছর রবীন্দ্রনাথের উপর একটি তথ্য চিত্র ছাড়া ওঁর লেখা ছ�োট গল্প তিন কন্যা, প�োস্টমাস্টার, মণিহারা ও সমাপ্তি নিয়ে তৈরি ছবি দর্শক মহলে খুবই প্রশংসিত হয়। এই ছবিতেই সত্যজিৎ প্রথম নিজেই সঙ্গীত পরিচালনা করেন। এরপরে কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবিটি নিজের কাহিনী, চিত্রনাট্য, সঙ্গীত পরিচালনা করেন যেটি টানা প্রায় একমাস দার্জিলিং শহরে আউটড�োর শুটিং করে সম্পূর্ণ করেন। আর এটিই ছিল ওনার প্রথম রঙিন ছবি। এরপর অভিযান (১৯৬২), মহানগর (১৯৬৩), চারুলতা (১৯৬৪), কাপুরুষ ও মহাপুরুষ (১৯৬৫), নায়ক (১৯৬৬), চিড়িয়াখানা (১৯৬৭), গুপি গায়েন বাঘা বায়েন (১৯৬৮), অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৬৯), প্রতিদ্বন্দ্বী (১৯৭০), সীমাবদ্ধ (১৯৭১), অশনি সংকেত (১৯৭৩), স�োনার কেল্লা (১৯৭৪), জন অরণ্য (১৯৭৫), শতরঞ্জ কে খিলাড়ি (১৯৭৭), জয় বাবা ফেলু নাথ (১৯৭৮), হীরক রাজার দেশে (১৯৮০), দু টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি পিকু (১৯৮০), ও সদগতি (১৯৮১), ঘরে বাইরে (১৯৮৪), গণশত্রু (১৯৮৯), শাখা প্রশাখা (১৯৯০) ও আগন্তুক (১৯৯১)। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তৈরি কয়েকটি তথ্যচিত্র যে গুলির মধ্যে উল্লেখয�োগ্য হল RABINDRANATH, SIKKIM, BALA, INNER EYE, SUKUMAR RAY. উল্লেখয�োগ্য যে প্রেমচাঁদের ছ�োটগল্প ভিত্তিক হিন্দি ভাষায় সদগতি ছবিটি দিয়েই দূ রদর্শনের রঙিন প্রচারের শুরু। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অনু র�োধে সত্যজিৎ এটি সম্প্রচারে রাজী হন একটি শর্তে যে ছবি চলাকালীন ক�োন বিজ্ঞাপন বিরতি দেওয়া চলবে না। প্রধানমন্ত্রী এক কথায় ওনার শর্তে রাজি হয়ে যান। সত্যজিতের সম্পূর্ণ কাজ পর্যাল�োচনা করলে দেখা যায় উনি সিনেমা তৈরিতে ক�োন প্রথাগত পথ অনু সরণ করেন নি। চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে সম্পাদনা বা সঙ্গীতের ব্যবহার উনি নিজের মত তৈরি করে নিতেন। ক্যামেরার ফ্রেমে চরিত্রদের অবস্থান সম্বন্ধেও ওনার খের�োর
খাতায় স্কেচ করা থাকত। পৃ থিবীর বিভিন্ন ভাষার সিনেমা পরিচালকদের সঙ্গে উনি এ বিষয়ে বিস্তারিত আল�োচনা করেছেন। সন্দেশ পত্রিকা ছাড়াও বিভিন্ন পাক্ষিক বা মাসিক পত্রিকার জন্য ওনার লেখা অনেক মানু ষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। এমনকি ডিটেকটিভ গল্পের লেখাতেও উনি প্রথা ভেঙ্গে নারী চরিত্র বাদ দিয়ে ফেলু বা লালম�োহন বাবু বা ত�োপসের চরিত্র সৃ ষ্টি করেছেন। রবীন্দ্র জীবনী (১৯৬১), বেথ�োফেন (১৯৭০), ম�োজার্টের (১৯৯১) ওপর আকাশবাণীতে ওনার রেডিও টক এখনও অনেকে মনে রেখেছেন। ওনার কাছের মানু ষদের থেকে শ�োনা যায় যে উনি নাকি সু কণ্ঠের অধিকারী ছিলেন। আমরা কিন্তু আগন্তুক সিনেমায় উৎপল দত্তের ঠ�োঁটে প্লেব্যাক হিসেবে ওনার গলায় কৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম ‘হরি হরয়ে নম কৃষ্ণ যাদবায় নম, যাদবায় মাধবায় কেশবায় নম,’ ছাড়া ক�োন গান শ�োনার সু য�োগ পাইনি। ছবির টাইটেলে কিন্তু প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে ওনার নাম ছিল না। ওঁর তৈরি ছবি সম্বন্ধে সারা পৃ থিবীতে অনেক ভাষাতে বহু সিনেমা বিশারদদের বহু লেখা রয়েছে। কিন্তু ব্যক্তি সত্যজিৎ কে চুল চেরা বিচার করলে ব�োঝা যায় যে উনি একেবারে মাটীতে নেমে সাধারণ মানু ষদের সঙ্গে মিশেছিলেন যদিও কেউ কখন�ো ওনাকে বাজারের থলি হাতে রাস্তায় দেখেনি। ওনার চিত্রনাট্যে চরিত্রদের মুখের সংলাপ তা প্রমাণ করে। গুপি বাঘার মুখে শুদ্ধ ও চলিত ভাষার মিশ্রণ এক নতুন রসের সৃ ষ্টি করে। এই ছবিতে ভুতের নাচের দৃ শ্যে ওপর নীচ করে শ�োষক ও শ�োষিত আলাদা করে দেখিয়েছিলেন abstract composition এর মাধ্যমে। নায়ক সিনেমায় উত্তম কুমার থেকে শিশু চরিত্র প্রত্যেকের মুখের সংলাপ বারবার শুনেও তৃপ্তি সম্পূর্ণ হয়না। এককালে সিনেমাতে থিয়েটারি ঢঙে সংলাপ বলাকে পরিবর্তন করে উনি ভারতীয় ছায়াছবিতে নতুন ধারার সৃ ষ্টি করেন। এক ফরাসী টিভির সাক্ষাৎকারে ওনাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে নতুন মুখ নিয়ে প্রতিটি ছবি করে সাফল্য লাভ করেছিলেন, কিন্তু কখনও কি ক�োন বিশেষ অভিনেতার কথা মাথায় রেখে উনি ক�োন ছবি করেছিলেন কিনা। সঙ্গে সঙ্গে উত্তরে বলেছিলেন ছবি বিশ্বাসকে মাথায় রেখে দেবী আর জলসাঘর আর উত্তমকুমারকে চিন্তা করে নায়ক ছবি ছাড়া আর ক�োন অভিনেতার কথা সিনেমা তৈরির আগে ভাবেন নি। ওনার যে কাজগুলি করা হয়ে ওঠেনি তার মধ্যে উল্লেখয�োগ্য হল রবিশঙ্কর, The Mahabharata, A Passage To India এবং Alien. একজন মানু ষ একটা জীবনে কত কাজ করতে পারে আর তা সু ষ্ঠু ভাবে করার জন্য কতটা পরিশ্রম করতে পারে এই মানু ষটার কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করলেই ব�োঝা যায়।
গ্রন্থ ঋণঃ যখন ছ�োট ছিলাম - সত্যজিৎ রায় একেই বলে শুটিং - সত্যজিৎ রায় Satyajit Ray The Inner Eye - Andrew Robinson এক দু র্লভ মানিক - অমিত্র সু দন ভট্টাচার্য তথ্য ঋণঃ শ্রী তরুণ গ�োস্বামী প্রখ্যাত সাংবাদিক ও গবেষক
www.batj.org
Durga Puja 2021
29
The World of Ray - Kshitij Singh
B
orn from the obscure pages of Indian filmmaking, Satyajit Ray’s paramount influence on international cinema remains difficult to overestimate. His films like Pather Panchali have inspired directors like Martin Scorsese, whilst simultaneously bringing him fame unmatched by any Indian filmmaker. At a time when Indian cinema was unknown, Ray burst into the scene with The Apu Trilogy. Directed on a shoestring budget, the movies garnered much critical acclaim, winning him prizes at Cannes and Venice Film Festivals. With the respect Ray has earned, it’s a general expectation that he must be a well-known and esteemed filmmaker of the past in his own country. Unfortunately, in his own nation, Ray’s lack of popularity had a severely detrimental effect on his financial condition. While the past of India remains marked by little appreciation for the cinema which Ray pioneered, it becomes a nation’s responsibility on Ray’s 100th birth anniversary, to honor the man who reformed Indian cinema forever.
Satyajit Ray spearheaded an artform that strayed far from the conventional experience being provided to the population during his time. During an era when Indian films focused on pure entertainment, stripped of logic and simplicity, overflowing with excessive drama, and devoid of reflection or underlying themes, Ray brought forth movies centered on the concept of life itself. To him, the biggest inspiration and the greatest joy was in viewing the simplicity of life– bursting with moments of joy and despair, all these moments flowing like a river. There exists a form of filmmaking that promises an escape from the world, built on an almost superficial foundation of momentary pleasure. Ray’s direction builds on an entirely different style, one which includes thoughtful pacing and long takes. An important aspect of his films is his emphasis on humanism. His characters originate from lower or middle class families, not surrounded by the excess of the bourgeoisie. For them, the pleasures of life are discovered in the roots of nature, encapsulated by a universe of emotions and simplicity. Here, it slowly becomes clear why Ray did not invite appreciation from the common populous. His films were deemed boring and stale, drowning in a state of melancholy that didn’t attract the public which, in fact, was searching for escapist and entertaining cinema. Despite this, with films like Gupi Gain Bagha Bain, Ray gained commercial acclaim, with the film being declared a hit at home in the province of Bengal. Deviating from his traditional style of so-called “poetic cinema”, if we were to quote Tarkovsky, Ray not only demonstrated a versatility unseen in his filmography, bringing to life a comedy with fantasy elements but also earned admiration from the entire Bengali-speaking world. What makes Ray’s entry to the cinema even more astonishing is the fact that he emerged without much experience. Having never directed a film before, he handled a cast with almost no acting experience and a crew that was filled with amateurs at best. This was Pather Panchali, inarguably one of his masterpieces, a film that would lay the foundation for many of his future endeavors. With the completion of The Apu Trilogy, Ray moved on to direct films like Devi and Kanchenjunga, films which were well received. Then, in 1964, he released Charulata, a film which he called his personal favorite. Charulata cemented Ray’s reputation in international cinema as many called it his best work, while others agreed that although it was vivid and powerful, it was not on par with Apur Sansar or Pather Panchali. After Charulata, Ray would make Nayak and other accomplished works like Shatranj Ke Khiladi, stepping into Hindi cinema. With his accomplishments spanning a variety of genres, Ray demonstrated his multidimensional capabilities, capable of encompassing different ideas into a cohesive product driven by his vision. In 1983, a heart attack struck Ray, drastically reducing his capabilities to work. A workaholic, Ray still managed to release Shakha Proshakha and Agantuk, with the latter being his last film. In 1992, he received the Honorary Academy Award, marking the end of a spectacular cinematic journey. He passed away 24 days later. Satyajit Ray left behind an immortal legacy with his films. Inspired by legendary directors like Jean Renoir, Ray proceeded to inspire an entire era on his own, from directors like Christopher Nolan to Francis Ford Coppola. The arrival of 2021 marks 100 years of the genius who still remains the source of pride for not only Bengalis, but the entirety of India. Let us remember the man whose vision gave birth to a world of its own, set aflame by the sound of nature, of music, and humanity.
30
Anjali
www.batj.org
জয়তু নেতাজী
সে
টা ১৯৪৫ সালের ৫ই নভেম্বর। দিল্লীর লাল কেল্লায় সামরিক আদালতে আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের বিচার শুরু হয়েছে। সারা দেশ তখন উত্তাল, জায়গায় জায়গায় মিটিং- মিছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযু দ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার আজাদ হিন্দ বাহিনীর কথা গ�োপন রেখেছিল, কিন্তু এই সামরিক আদালত শুরু হবার সাথে সাথে দেশের মানু ষ তাদের কথা শুনল, জানল। বিক্ষোভে ফেটে পড়ল দেশ, সমগ্র ভারতবর্ষের মানু ষ এক সু রে দাবী জানাল, আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের সৈনিকদের বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়া হ�োক। শুধু তাই নয়, রয়াল ইন্ডিয়ান নেভীতেও বিদ্রোহ দেখা দিল। ব্রিটিশ সরকার প্রথমে এই সমস্ত বিদ্রোহে কর্ণপাত না করলেও, পরে সমগ্র দেশব্যাপী বিক্ষোভের ফলে এই বিচার বন্ধ করতে বাধ্য হয়, ও আজাদ হিন্দ সৈনিকদের মুক্ত করা হয়। এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আমরা আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের সর্বাধিনায়ক নেতাজী সু ভাষচন্দ্র বসু র অমর জীবনের কিছু দিক উন্মোচিত করব ও আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের গড়ে ওঠার কাহিনিও বলব।
শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের প্রভাব
কটকে থাকাকালীন সু ভাষের বয়স যখন তের�ো-চ�োদ্দ তখন তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে সু ভাষচন্দ্রের প্রথমে স্বামী বিবেকানন্দের কিছু বই চ�োখে পড়ে। বইগুলি পড়তে শুরু করলেন তিনি। একটু উলটে পালটেই বু ঝলেন, এমন একটা জিনিস তিনি পেয়েছেন, যা অনেক দিন ধরেই তিনি খুঁজছিলেন।তাঁর নিজের ভাষায় “কয়েক পাতা উলটেই বু ঝতে পারলাম, এই জিনিসই আমি এতদিন ধরে চাইছিলাম। বইগুল�ো বাড়ি নিয়ে এসে গ�োগ্রাসে গিলতে লাগলাম। পড়তে পড়তে হৃদয়-মন আচ্ছন্ন হয়ে যেতে লাগল, দিনের পর দিন কেটে যেতে লাগল, আমি তাঁর বই নিয়ে তন্ময় হয়ে রইলাম। বিবেকানন্দের প্রভাব আমার জীবনে আমূ ল পরিবর্তন এনে দিল। তাঁর মধ্যে আমার জীবনের অসংখ্য জিজ্ঞাসার সহজ সমাধান খুঁজে পেয়েছিলাম।” বিবেকানন্দ রচনাবলী পড়ার পর তাঁর জীবন একটি নতুন খাতে বইতে শুরু করে। স্বামীজী প্রচারিত ‘আত্মন�ো ম�োক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ’ মন্ত্রে তিনি তাঁর ভাবী জীবনের ইঙ্গিত খুঁজে পেলেন। শুরু হল তাঁর আধ্যাত্মিক জীবন। খুব ভ�োরে উঠে নিয়মিত ধ্যান অভ্যাস করতেন, সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুদের নিয়ে দরিদ্র নারায়ণের সেবায় নিজেকে নিয়�োজিত করলেন। পড়াশুনায় একটু অমন�োয�োগী হয়ে পড়লেন সু ভাষ। আত্মীয়স্বজনরা সাবধান করতে চাইলেন, কিন্তু স্বামীজীর ভাবে তিনি তখন রীতিমত মেতে গিয়েছেন। সেই জ�োয়ারে বড়দের বিধিনিষেধ ভেসে গেল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে, প্রবেশিকা পরীক্ষায় সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেন তিনি। প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর সু ভাষচন্দ্র কলকাতায় আসেন পড়াশুনার জন্য, তারপর উচ্চ শিক্ষার জন্য সু দূর ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন, সেখানে আই সি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ব্রিটিশ গভর্মেন্টের চাকরি করবেন না বলে আই সি এস প্রত্যাখ্যান করলেন। এতদিনে স্থির করে ফেলেছিলেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেবেন ও সক্রিয় রাজনীতিতে য�োগ দেবেন। তাই বিলেত থেকে ফিরেই দেখা করলেন গান্ধীজীর সঙ্গে। গান্ধীজী তাঁকে পাঠালেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের কাছে। সু ভাষচন্দ্রের রাজনীতির হাতেখড়ি দেশবন্ধু র কাছেই। কিন্তু বেশ কয়েক বছর কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করে বু ঝলেন, সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া ভারতের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অসম্ভব, অথচ দেশের তৎকালীন কংগ্রেস নেতারা গান্ধীজীর অহিংসার পথেই চলার পক্ষপাতী ছিলেন। তাই তিনি সু য�োগ খুঁজছিলেন, দেশের বাইরে গিয়ে একটি সামরিক বাহিনী গঠন করে, বাইরে থেকে ব্রিটিশের উপর আঘাত করার জন্য।
আজাদ হিন্দ ফ�ৌজ দক্ষিণ-পূ র্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি ছ�োট ছ�োট দেশ, যেমন- মালয়, সিঙ্গাপুর, বার্মা, ভিয়েতনাম ইত্যাদিতে বহু ভারতীয়দের বাস ছিল। এ সব দেশ ব্রিটিশ ও অন্যান্য ইয়�োর�োপীয় দেশের শাসনে থাকার ফলে, তাঁদের সেনাবাহিনীতে বহু ভারতীয় সৈনিকও ছিলেন। ধীরে ধীরে জাপান এসমস্ত দেশকে ব্রিটিশ ও অন্যান্য ইয়ু র�োপীয়দের দখল থেকে মুক্ত করে। কর্নেল ম�োহন সিং, ও রাসবিহারী ব�োস ভারতীয় যু দ্ধপরাধীদের নিয়ে, www.batj.org
- স্বামী দিব্যনাথ
জাপানীদের সাহায্যে তৈরি করেন Indian National Army বা আজাদ হিন্দ ফ�ৌজ। যদিও জাপানীদের সঙ্গে নানা মতভেদের কারণে, আজাদ হিন্দ ফ�ৌজ সাময়িক ভাবে ভেঙ্গে যায়, পরে নেতাজীর নেতৃত্বে তা আবার পুনরুজ্জীবিত হয়। রাসবিহারী বসু ব্রিটিশের চ�োখে ধু ল�ো দিয়ে বহু বাধা অতিক্রম করে জাপানে এসে পৌঁছান। ভারতবর্ষ থেকে যে সমস্ত বিপ্লবীরা জাপানীদের কাছে আশ্রয় পান, তাঁরা রাসবিহারী বসু কে তাঁর ব্যক্তিত্ব, গভীর দেশপ্রেম, অসীম সাহস ইত্যাদি গুণে নিজেদের নেতা বলে গ্রহণ করেন। তাছাড়া জাপান ইম্পিরিয়ল আর্মি ও জাপানী সরকারের উপরও তাঁর যথেষ্ট প্রভাব ছিল। তাই, ১৯৪১এ এশিয়া অঞ্চলে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যু দ্ধ শুরু হবার আগে রাসবিহারী বসু জাপানের সামরিক বাহিনী থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করেন যে, যে সমস্ত ভারতীয়রা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন তাদেরকে শত্রুপক্ষ বলে গণ্য করা হবে না এবং তাঁরা নিজেদের দেশ ভারতবর্ষের মুক্তির উদ্দেশ্যে নিজেদের সংগঠিত করতে পারবেন। ১৯৪২ এ সিঙ্গাপুরের পতনের পর, যখন ব্রিটিশরা জাপানীদের কাছে পরাজিত হল, ব্রিটিশদের পক্ষ থেকে কর্নেল হান্ট ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত ভারতীয়দের, মেজর ফুজিয়ারার হাতে তুলে দেন, যিনি আবার কর্নেল ম�োহন সিং-এর হাতে তাঁদের হস্তান্তর করেন। এখন একটি নতুন সমস্যা দেখা দিল। এই সমস্ত ভারতীয় সৈনিকদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটিশদের সেনাবাহিনীতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছিলেন। তাঁরা অনেকেই বংশ পরম্পরায় সেই কাজে বহাল থাকার দরুন, ব্রিটিশদের প্রতি আনু গত্য প্রদর্শন করতেন। তাছাড়া তাঁরা ম�োহন সিং ও রাসবিহারী বসু র নামের সঙ্গে তেমন পরিচিত ছিলেন না। রাজনৈতিক সচেতনতা যাঁদের ছিল, তাঁরা জাপানীদের তেমন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। যাইহ�োক, ম�োহন সিং, রাসবিহারী বসু ও অন্যান্য নেতারা মিলে দক্ষিণ-পূ র্ব এশিয়ার সমস্ত ভারতীয়দের সংগঠিত করে একটি স্বতন্ত্র সেনাবাহিনী গড়ার পরিকল্পনা করতে থাকেন। ব্যাংককে ভারতীয়দের একটি বিশাল সম্মেলনে আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের জন্ম হল। যদিও তা জাপানীদের সহয�োগিতায় তৈরি হয়েছিল, তাঁরা আশা করেছিলেন যে আজাদ হিন্দ ফ�ৌজ একটি স্বতন্ত্র সেনাবাহিনীর স্বীকৃতি পাবে, কিন্তু জাপানীদের কাছ থেকে তাঁরা তেমন স্বীকৃতি পেলেন না, এইসব কারণে জাপানীদের সঙ্গে আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের কর্তাদের মতবির�োধ শুরু হতে থাকে। বিশেষ করে ম�োহন সিং বু ঝলেন, জাপানীরা আজাদ হিন্দ ফ�ৌজকে নিজেদের স্বার্থেই ব্যবহার করতে চাইছে। ম�োহন সিং সিদ্ধান্ত নিলেন, আজাদ হিন্দ ফ�ৌজ ভেঙ্গে দেওয়া হ�োক। তাঁর এই সিদ্ধান্ত আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের সাধারণ সৈনিকরা মেনে নিতে পারলেন না। তাঁদের বক্তব্য, আজাদ হিন্দ ফ�ৌজ ক�োন ব্যক্তির স্বার্থপূ রণের উদ্দেশ্যে তৈরি হয়নি। এদিকে ভারতীয় সেনাদের মধ্যে ক্ষোভের আঁচ পেয়ে জাপানীরা বু ঝল, আজাদ হিন্দ ফ�ৌজ একটি সামান্য জিনিস নয়। যদি সত্যি তাঁদের উদ্দেশ্য হয় আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের সেনারা জাপানী সেনাদের পাশাপাশি লড়ুক, তাহলে তাঁদের স্বতন্ত্র স্বীকৃতি দিতেই হবে। আগেই ঠিক হয়েছিল এই উদ্দেশ্যে সু ভাষ চন্দ্র বসু কে জার্মানী থেকে জাপানে নিয়ে আসার। এখন জাপানীরা তা কার্যকরী করতে উঠে পড়ে লাগলেন। নেতাজী সু ভাষ চন্দ্র বসু ভারতে থেকে বু ঝেছিলেন, সশস্ত্র বিপ্লব ছাড়া ব্রিটিশদের ভারত থেকে উচ্ছেদ করার আর ক�োনও উপায় নেই। গান্ধীজীর অহিংসার নীতি তাই তিনি মেনে নিতে পারেন নি। তিনি সু য�োগ খুঁজছিলেন, ভারতের বাইরে গিয়ে একটি সামরিক বাহিনী গঠন করে, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আঘাত হানার। তাঁর প্রথম নজর ছিল জার্মানীর সর্বাধিনায়ক এবং ব্রিটিশ শত্রু হিটলারের দিকে। তাঁর যু ক্তি ছিল, আমাদের দেশের শত্রুর শত্রু আমাদের দেশের বন্ধু । জার্মানীতে অনেক ভারতীয় যু দ্ধাপরাধী ছিলেন যারা উত্তর আফ্রিকায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে নিযু ক্ত। ব্রিটেন অক্ষশক্তি দ্বারা পরাজিত হলে সেইসব ভারতীয়রা যু দ্ধাপরাধী হয়ে জার্মানীতে বন্দী অবস্থায় ছিলেন। তাদের সংগঠিত করে সু ভাষচন্দ্র ফ্রি ইন্ডিয়া সেন্টার গড়ে ত�োলেন।
Durga Puja 2021
31
জয়তু নেতাজী কিন্তু হিটলারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তিনি বু ঝলেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে হিটলারের সেরকম আগ্রহ নেই। এদিকে, সিঙ্গাপুরে জাপানীদের যু দ্ধে জয়লাভের খবর পেয়ে তিনি যেন আশার আল�ো দেখতে পেলেন। অন্যদিকে, রাসবিহারী বসু প্রমুখ আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের কর্তারা সু ভাষচন্দ্র ব�োস সম্বন্ধে আগেই শুনেছিলেন, তাঁরা আহ্বান জানালেন সু ভাষচন্দ্রকে আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করার জন্য। ২রা জুলাই, ১৯৪৩ এ সিঙ্গাপুরে এসে পৌঁছান সু ভাষ, আর ঠিক দু দিন পর, ৪ঠা জুলাই, রাসবিহারী বসু সেখানে ভারতীয় নাগরিকদের বিশাল জনসমাবেশে আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের কার্য ভার সু ভাষ চন্দ্রের হাতে তুলে দেন।
আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের সর্বাধিনায়ক সু ভাষ চন্দ্র বসু নেতাজী সু ভাষ চন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের সেনাধ্যক্ষ হবার পরই বেশ কিছু গুরুত্বপূ র্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সে বছরই তিনি একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করেন যার নামকরণ করা হয় আর্জি হুকুমত-এ আজাদ হিন্দ Provisional Government of Free India, অথবা আজাদ হিন্দ সরকার। এই আজাদ হিন্দ সরকার অক্ষশক্তির সমস্ত দেশের স্বীকৃতি পেয়েছিল। নেতাজীর গভীর দেশপ্রেম, ওজস্বিনী ভাষণ, ব্যক্তিত্ব ও অনলস পরিশ্রম আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের সেনা ও এশিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়দের মনে নতুন বল এনে দিয়েছিল। নেতাজী তাঁর জ্বালাময়ী ভাষণে বার বার বলছিলেন যে সশস্ত্র বিপ্লবের দ্বারা অবশ্যই তাঁরা ভারতবর্ষের মাটি থেকে ব্রিটিশদের মূ ল�োচ্ছেদ করতে পারবেন। বহু ভারতীয়রা বিপুল ভাবে নেতাজীর ‘দিল্লী চল�ো’ ‘ত�োমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি ত�োমাদের স্বাধীনতা দেব’, এই ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন। আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের সেনাবাহিনীতে স্থান পাওয়া তাঁদের কাছে একটি গর্বের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অনেক ভারতীয়দের বাড়িতে ঠাকুর-দেবতার ছবির সঙ্গে নেতাজীর ছবিও দেওয়ালে শ�োভা পেত। তাঁর চারিত্রিক দৃ ঢ়তা, অমানু ষিক সাহস ও মাতৃভূ মির প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসার জন্য তিনি দক্ষিণ পূ র্ব এশিয়ার সমস্ত ভারতীয়দের গভীর ভালবাসা ও শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন। তাঁর ভালবাসার গুণেই তিনি সেই সব ভারতীয়দের একটি ছত্রছায়ার নিচে আনতে পেরেছিলেন। তাঁর ওজস্বিনী ভাষণের মধ্যে দিয়ে ভারতের স্বাধীনতাই যে তাঁর একমাত্র জীবনব্রত তা ব�োঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং শুধু তাই নয়, এশিয়াবাসী সমস্ত ভারতীয়দের অন্তরেও মাতৃভূ মির প্রতি গভীর ভালবাসা পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফলে, আজাদ হিন্দ ফ�ৌজে দলে দলে ল�োকেরা য�োগ দিতে থাকে। অনেকে তাঁদের সঞ্চিত অর্থ দান করেছিলেন আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের ফাণ্ডে। এমন বহু মানু ষ ছিলেন, যারা অর্থ দান করে সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে আজাদ হিন্দ ফ�ৌজে সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। নেতাজী হিসেবে তিনি সর্বাধিনায়ক হলেও ব্যক্তি হিসেবে তিনি সাধারণ জীবন-যাপন করতেন। তাঁর জীবনে বিলাসিতার ক�োন স্থান ছিল না। সেনাদের সঙ্গে একই রকম খাবার খেতেন এবং অনেক সময় কাজের অবসরে টেনিস খেলে অন্যদের আনন্দ দিতেন। মহিলাদের জন্য আজাদ হিন্দ ফ�ৌজে তিনি আলাদা রেজিমেন্ট গঠন করে নাম দেন ‘রানী লক্ষীবাই রেজিমেন্ট’ এবং লক্ষী স্বামীনাথন কে তার নেত্রী করেন। মহিলা সৈনিকদের কাছে তিনি পিতার মত�ো ছিলেন এবং দু ঃখকষ্টে তাদের ভার লাঘব করার জন্য সদা সচেষ্ট থাকতেন। একবার লক্ষ্মীবাই রেজিমেন্টের ক�োন নারী স্বামীহারা হলে, সহ্য করতে না পেরে তিনি বিষ গ্রহণ করেন। তাড়াতাড়ি সবাই তা জানতে পেরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তিনি প্রাণে রক্ষা পান। নেতাজীরই নির্দেশে আর একজন নারী সর্বক্ষণ তার পাশে পাশে থেকে তার পরিচর্যা করতে থাকেন। যদিও জাপানীরা নেতাজীকে সবরকম সহয�োগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, কিন্তু তিনি কখনই মনে করতেন না জাপানীরা আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের উপর কর্তৃত্ব করবে। তাঁর ভাব ছিল, উভয় উভয়কে একই লক্ষ্যে সহায়তা করছে। একবার জাপানী ক�োন অফিসার বলে পাঠান, আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের ক�োন সৈনিক জাপানী সেনার একই পদের সৈনিকের সঙ্গে দেখা করতে এলে, আগে আজাদ হিন্দ সৈনিক স্যালু ট করবে জাপানী সৈনিককে। কিন্তু নেতাজী কঠ�োর ভাবে এর বির�োধিতা করে বলে পাঠালেন, জাপানীরা আমাদের প্রভু নয়। আমরা স্বাধীন সেনাবাহিনী। জাপানীরা তাঁদের ভুল বু ঝতে পেরে সেই নিয়ম তুলে নেয়। নেতাজী মিটিং-এ স্পষ্ট করে বলতেন, আজাদ হিন্দ ফ�ৌজ কে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতেই হবে ও তাঁরা যেন খুব বেশি জাপানীদের উপর নির্ভরশীল না হন। ব্রিটিশদের পরাজিত করার পর 32
যদি জাপানীরা ভারতীয়দের পদদলিত করার চেষ্টা করে তবে ব্রিটিশদের পরাজিত করে জাপানীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাঁরা যেন পিছপা না হন। নেতাজীর যে ক�োনও ব্যক্তিস্বার্থ ছিল না এবং তাঁর নিজের দৃ ষ্টিতে তিনি মাতৃভূ মির একজন সৈনিক মাত্র ছিলেন তা প্রকাশ করতে কুণ্ঠিত হতেন না। একবার একটি মিটিং-এ জেনারেল ত�োজ�ো মন্তব্য করে বসলেন, ভারত স্বাধীন হলে নেতাজীই হবেন সর্বময় কর্তা। নেতাজী উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে বললেন, ত�োজ�োর এরকম মন্তব্য করবার ক�োনও অধিকার নেই, কেননা ভারত স্বাধীন হলে ভারতের জনগণই ঠিক করবে কে সর্বময় কর্তা হবেন। আর একটি বিশেষ গুণ যার জন্য তিনি সবার মন জয় করতে পেরেছিলেন, তা হল, তিনি জাতি-ধর্মের উপরে উঠতে সক্ষম হয়েছিলেন। হিন্দু-মুসলিম-শিখ সমস্ত ধর্মের মানু ষ আজাদ হিন্দ ফ�ৌজে স্থান পেয়েছিল এবং সমান মর্যাদা পেয়েছিল। নিম্নে উল্লিখিত ঘটনাটি এই ভাবের পরিচয় প্রদান করে ব্রিজলাল জয়স�োয়াল নামে একবার এক ধনী গুজরাটী ব্যবসায়ী আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের জন্য কিছু অর্থ দান করতে আসেন। সিঙ্গাপুরের চেট্টিয়ার মন্দিরের পক্ষ থেকে তিনি এসেছিলেন। নেতাজী তাঁকে আপ্যায়িত করার পর জানতে চাইলেন, অর্থের দান হিসাবে চেক তিনি ব্যক্তিগত ভাবে দেবেন, না চেট্টিয়ার মন্দিরের পক্ষ থেকে দেবেন। জয়স�োয়ালজী জানান, চেট্টিয়ার মন্দিরের পক্ষ থেকেই দেবেন, কিন্তু তাঁদের অনু র�োধ, একবার মন্দিরে নেতাজীকে আসতে হবে। নেতাজী সে প্রস্তাবে রাজি হতে পারলেন না। বললেন, সু ভাষ ব�োস হিসাবে তিনি যেতে পারেন, কিন্তু নেতাজী হিসেবে যেতে পারবেন না। আর ক�োনও অর্থও তিনি দান হিসাবে গ্রহণ করতে পারবেন না। জয়স�োয়ালজী মাথা নত করে চলে গেলেন। পাশে থাকা নেতাজীর এক সহকারী বলে উঠলেন, মনে হচ্ছে কয়েক লক্ষ টাকার একটি অনু দান ফস্কে গেল। সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন নেতাজী, মনে রাখবে, ত�োমাদের নেতাজীর বিবেকের দাম কয়েক লক্ষ টাকার চেয়েও অনেক বেশী। পর দিন আবার চেট্টিয়ার মন্দিরের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি নেতাজীকে সেখানে যাবার জন্য নিমন্ত্রণ করতে আসেন। নেতাজী কিন্তু বললেন, উনি একা যাবেন না, সঙ্গে কয়েকজন সহকারীও যাবেন, যারা খ্রীস্টান ও মুসলিম। সেই মন্দিরের পুর�োহিতরা তাতে অবশ্য রাজী হয়েছিলেন এবং নেতাজী সেখানে সহকারীদের নিয়ে গিয়েছিলেন। আমরা আগেই আল�োচনা করেছিলাম, নেতাজী বাল্যকালেই স্বামী বিবেকানন্দের রচনাবলী পড়ে তাঁর দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়ে, তাঁরই আদর্শে নিজ জীবন গঠন করেন। সিঙ্গাপুরে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের একটি শাখা-কেন্দ্র আছে, নেতাজী সেখানে মাঝে মধ্যে যেতেন, কখন�ো সেখানকার অধ্যক্ষ স্বামী ভাস্বরানন্দ মহারাজকে নিজ বাসভবনে নিমন্ত্রণ করতেন। প্রথম যেদিন মহারাজ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান, নেতাজী ভূ মিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করেন ও তাঁকে বসিয়ে আশ্রমের কাজ কর্মের কথা জানতে চাইলে ভাস্বরানন্দজী সংক্ষেপে সিঙ্গাপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সেবামূ লক কার্যের বিবরণ দেন। নেতাজী তাঁকে নিজের পক্ষ থেকে সবরকম সহয�োগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। যখনই মহারাজ নেতাজীর কাছে যেতেন, তিনি উপযু ক্ত শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন ও রাতের খাবার না খাইয়ে আসতে দিতেন না। একবার ভাস্বরানন্দ মহারাজ নেতাজীকে মা সারদা দেবীর জন্মদিনে আশ্রমে আসার নিমন্ত্রণ জানান। নেতাজী যথাসময়ে এসে মন্দিরে প্রায় একঘণ্টা ধ্যান করে, প্রসাদ পেয়ে ফিরে যান। আসবার আগে শ্রীশ্রী চণ্ডী বইটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলে, নতুন ক�োন কপি না থাকার জন্য মহারাজ তাঁর নিজের বইটি নেতাজীকে উপহার দেন। নেতাজী সিঙ্গাপুরে থাকাকালীন সিঙ্গাপুর রামকৃষ্ণ মিশনের একজন পৃ ষ্ঠপ�োষক ছিলেন। আশ্রমের সেবামূ লক কাজের জন্য প্রায় পঞ্চাশ হাজার ডলার তিনি নিজ তহবিল থেকে দান করেন, ও আরও পঞ্চাশ হাজার সংগ্রহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসেন। আশ্রমের ছাত্রাবাস তাঁর দ্বারাই উদ্বোধন হয়। আমরা আগেই বলেছি, এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য তাঁর জীবনী লেখা নয়। আমরা তাঁর গভীর দেশপ্রেম, অসাধারণ চরিত্র ও বীর্যবত্তা, জাতিধর্ম-নির্বিশেষে সকল ভারতীয়দের নিজ মাতৃভূ মির স্বাধীনতা লাভের লক্ষ্যে এগিয়ে দেওয়ার কথা তুলে ধরলাম। দু র্ভাগ্যবশতঃ জাপানীরা দ্বিতীয় বিশ্বযু দ্ধে আত্মসমর্পণ করার ফলে, পাশাপাশি আজাদ হিন্দ ফ�ৌজও যে
Anjali
www.batj.org
জয়তু নেতাজী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল, তাঁরাও পিছু হটতে বাধ্য হয়। ফলে, তাঁরা ব্রিটিশদের হাতে বন্দী হয়ে যু দ্ধাপরাধী হন। কিন্তু পরে যখন দিল্লীর লাল কেল্লায় সামরিক আদালতে তাদের বিচার শুরু হল, তখন সমস্ত দেশ তাদের কথা জানতে পারল ও দেশব্যাপী বিদ্রোহ দেখা দিল। বিক্ষোভের ফলে ব্রিটিশ সরকার বু ঝল, ভারতকে আর শৃ ঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা যাবে না। তারপর যা ঘটেছিল, তা ইতিহাস। ১৫ই আগস্ট
www.batj.org
বৃ টিশ শাসন মুক্ত হয়ে ভারত স্বাধীন হল, দিল্লীর লাল কেল্লার মাথা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়ে ভারতের স্বাধীনতা ঘ�োষিত হল। আজাদ হিন্দ ফ�ৌজের সর্বাধিনায়ক নেতাজী সু ভাষ চন্দ্র বসু , যিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন, দেশের বাইরে গিয়ে সামরিক বাহিনী গঠন করে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আঘাত হানার, তা বহু বাধা অতিক্রম করে শেষপর্যন্ত সাফল্য লাভ করেছিল যা ভারতের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছিল।
Durga Puja 2021
33
একটি কবিতার শতবার্ ষিক
- ‘বিদ্রোহী’ কবিতা ও কবি কাজী নজরুল ইসলাম - শ্রীকান্ত চট্টো
‘বিদ্রোহী’ কবিতা ও কবি - পটভূ মিকা “বল বীর বল উন্নত মম শির, শির নেহারি আমারি নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রির!”
একটি কালজয়ী বাংলা কবিতার শুরু এইভাবে। সাহিত্যানু রাগী বাঙ্গালীমাত্রই জানবেন কবিতাটির নাম ‘বিদ্রোহী’, রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম। এটি রচিত হয়েছিল ১৯২১ সালের শেষের দিকে, তাই এই বছর কবিতাটির বয়স হ’ল এক শ’ বছর। বাইশ বছর বয়সের অজ্ঞাত-পরিচয় এক দরিদ্র বাঙ্গালী যু বক কলকাতা শহরের ভাড়াবাড়ির বাসিন্দা। নাম কাজী নজরুল ইসলাম। এক-কামরার বাসস্থানটিও তাঁর একার নয়, সঙ্গী আর এক বাউন্ডুলে, সে আবার কম্যুনিস্ট পার্টি করে। নাম মুজফ্ফর আহমেদ, যার সঙ্গে নজরুলের পরিচয় হয়েছিল করাচি থেকে লেখা চিঠিপত্রের মাধ্যমে। সাল ইংরেজির ১৯২১, ব্রিটিশ সরকার ভারতের রাজধানী যদিও সরিয়ে দিল্লী নিয়ে গেছে বছর দশেক আগেই, কলকাতা কিন্তু রয়ে গেছে শাসক-বির�োধী কার্য্যকলাপের কেন্দ্র হিসেবে। স্বাধিকার অর্জনের চলমান সংগ্রামের এক সাহসী সৈনিক নজরুল ইসলাম, যদিও তাঁর অস্ত্র লেখনী। ‘রক্ত ঝরাতে পারি নে ত একা/ তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা’, তাঁর নিজেরই স্বীকৃতি। স্বল্প পরিসরে কবির পরিচিতি ও ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটির কয়েকটি বিশেষ দিক নিয়ে আল�োচনা করা এই প্রবন্ধটির মূ ল উদ্দেশ্য। নজরুল ইসলামের জন্ম বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে ১৮৯৯ সালের ২৪ শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬)। পারিবারিক দারিদ্র্যের কারণে নজরুলের নিয়মমাফিক প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার সু য�োগ হয় নি। পাড়ার মক্তবে এবং আশপাশের দু -একটি স্কুলে তিনি কয়েক বছর পড়েছিলেন, কিন্তু তার মধ্যেও মসজিদে বা রূটির দ�োকানে কাজ করে র�োজগারের চেষ্টা তাঁকে নিয়মিত করতে হত। তিনি ছিলেন ঝাঁকড়া চুলের বলিষ্ঠ সু দর্শন কিশ�োর। অভাবের তাড়নায় ১৭ বছরের নজরুল ৪৯ নম্বর বাঙ্গালী রেজিমেন্টে য�োগ দিয়ে ‘হাবিলদার’ হিসেবে করাচি চলে যান প্রথম বিশ্বযু দ্ধ চলাকালীন, ১৯১৭ সালে। বিশ্বযু দ্ধ শেষ হয় ১৯১৮ সালের শেষের দিকে। পরের দু টি বছর ভারতের রাজনীতি জগতের জন্য ছিল গুরুত্বপূ র্ণ। ১৯১৯ এর ১৩ই এপ্রিল ঘটে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড। কয়েক শ’ নিরস্ত্র প্রতিবাদী মানু ষ জনৈক জেনারেল ডায়ারের হুকুমে, পুলিসের গুলিতে, প্রাণ হারান বা জখম হন। এই স্পর্ধিত বর্বরতার বিরূদ্ধে একক প্রতিবাদ জানান রবীন্দ্রনাথ। মার্জিত কিন্তু জ্বালাময়ী ভাষায় লেখা একটি চিঠিতে কবি বিদেশী শাসককে ধিক্কার জানিয়ে তাঁর নাইটহুড পদবীটি ফিরিয়ে দেন। ১৯২০ সালে গান্ধীজী ডাক দেন দেশব্যাপী ব্রিটিশ বির�োধী অসহয�োগ আন্দোলনের। আবার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় কম্যুনিষ্ট বিপ্লবের সাফল্য নজরুল, মুজফ্ফরদের মত তরুণ বামপন্থীদের বু কে আশা সঞ্চার করে। নজরুল সফল বিপ্লবকে স্বাগত জানিয়ে লিখেছিলেন তাঁর ‘প্রলয়�োল্লাস’ কবিতাটি। 34
হাবিলদার থেকে কবি - ‘বিদ্রোহী’ কবিতার জন্মকথা ও যশ�োগাথা ১৯১৯ সালের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ নজরুল করাচি থেকে বাংলায় ফিরে আসেন। মায়ের সঙ্গে কয়েকদিন কাটিয়ে নজরুল এলেন কলকাতায় তাঁর গ্রামের সহপাঠী বন্ধু শৈলজানন্দ মুখ�োপাধ্যায়, ওরফে শৈলের মেসে থাকবেন বলে। মেসের অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে এক পংক্তিতে দিনের আহারাদি সারার পর আবিস্কার হল নবাগতটি মুসলমান। শৈল সহ নজরুল মেস থেকে পত্রপাঠ বিতাড়িত হলেন। শৈল গেলেন মামার বাড়ি আর নজরুলের মাথার ওপর ছাদ জুটল ‘পেন-ফ্রেন্ড’ মুজফ্ফরের ডেরায়। এইভাবে শুরু হল দু ই ব্যতিক্রমী বাঙ্গালী মুসলমান যু বকের আদর্শভিত্তিক ঘটনাবহুল দীর্ঘ সংগ্রামী জীবন। একজন ভারতের কম্যুনিষ্ট আন্দোলনের অগ্রপথিক, অন্যজন এক দিকে বিদ্রোহী, আর অন্যদিকে কবি, সাহিত্যিক, সু রকার, গাইয়ে এবং প্রেমিকও। আরও দু -একটি বাসা পাল্টে নজরুল ও মুজফ্ফর এলেন ৩/৪ সি তালতলা লেনের ছ�োট একটি ঘরে। ১৯২১ সালের শেষের দিকে, এক শীতের রাত্তিরে, মুজফ্ফর শুয়ে পড়েছেন আর তাঁর বন্ধুটি টেবিলে বসে এক মনে লিখে চলেছেন। সকালে ঘুম ভাঙতে নজরুল জানালেন তিনি একটি কবিতা লিখেছেন। এল�োমেল�ো ভাবে ছড়ান�ো বেশ কয়েকটি কাগজ একসঙ্গে করে তিনি পেন্সিলে লেখা লম্বা কবিতাটি পড়তে শুরু করলেন। মন দিয়ে শ�োনার পর স্বল্পভাষী মুজফ্ফর শুধু বললেন ‘কাগজে ছাপ’। নজরুল হয়ত খানিকটা হতাশ হলেন। ‘বিজলী’ নামের ম�োটামুটি নামকরা একটি সাহিত্য পত্রিকার পরিচালক অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য, নজরুলের পরিচিত ‘অবিদা’। তিনি নজরুলের কাছে লেখা চেয়ে রেখেছেন। কবিতাটি নিয়ে নজরুল গেলেন তাঁকে শ�োনাতে। হাজির হয়ে ‘অবিদা শ�োন’ বলে, হাত-পা নেড়ে, নজরুল পড়ে গেলেন। সযত্নে কবিতাটিকে রক্ষা করার প্রয়�োজন বু ঝে অবিদা প্রথমেই চাইলেন কালিতে এবং ভাল কাগজে এটিকে লিখে নিতে। নজরুল পড়ে গেলেন আর তাঁর অবিদা টুকে নিলেন। শেষ হলে নামহীন এই কবিতাটির নাম দেওয়া হল ‘বিদ্রোহী’। নজরুল ছিলেন ‘ম�োসলেম ভারত’ নামের অন্য একটি সাহিত্য পত্রিকার নিয়মিত লেখক। তিনি চাইলেন কবিতাটি সেখানে ছাপাতে, অথচ অবিদাও এ রত্নটিকে হাতছাড়া করতে নারাজ। তিনি নজরুলকে ব�োঝালেন ‘ম�োসলেম ভারত’ ত্রৈমাসিক পত্রিকা আর ‘বিজলী’ সাপ্তাহিক, তাই কবিতাটি পরের সংখ্যায়, পরের দিনই, প্রকাশ করতে পারবে। তাঁরই জয় হল। পরের দিন ২২শে প�ৌষ ১৩২৮ (৬ জানু য়ারী ১৯২২) ‘বিজলী’ পত্রিকায় ‘বিদ্রোহী’ প্রথম জনসমক্ষে এল এবং পাঠকমহলে রীতিমত আল�োড়ন সৃ ষ্টি করল। একই সপ্তাহে ‘বিজলী’ দ্বিতীয়বার ছাপতে হ’ল
Anjali
www.batj.org
একটি কবিতার শতবার্ষিকী
এবং দু ’বারে ম�োট ঊনত্রিশ হাজার কপি ছাপা হল। এর পরের কয়েক মাসে ‘ম�োসলেম ভারত’ সহ কলকাতার আরও চারটি সাহিত্য বা সংবাদ পত্রিকা কবিতাটি ছাপে এবং প্রত্যেকটিই, পাঠকের চাহিদায়, দ্বিতীয়বার ছাপা হয়। সাহিত্যের ইতিহাসে একটি কবিতার এই ধরণের বিপুল জনপ্রিয়তা ব�োধহয় নজিরহীন। রাতারাতি এই ২২ বছর বয়সের কবি হয়ে উঠলেন বাঙ্গালীর পরিচিত নাম। কবিতাটিতে ‘আমি’ শব্দটি ব্যবহার হয়েছে ১৪৩ বার, ‘বিদ্রোহী’ সাতবার। এ কবিতার শব্দচয়ন ও ছন্দের দ�োলা বাংলা কাব্যে রবীন্দ্রউদ্ভাসিত যু গেও একটি নতুন ধারার সূ চনা করেছিল বলা যায়। কবিতাটির অনেকগুলি বিশেষত্বের মধ্যে একটি হ’ল হিন্দু ও মুসলমান ধর্মীয় ও প�ৌরাণিক চরিত্র, কাহিনী, উপমা বা চিত্রকল্পের ব্যাপক ব্যবহার। যেমন “আমি বজ্র, আমি ঈশান-বিষাণে ওঙ্কার আমি ইস্রাফিলের শিঙ্গার মহা হুঙ্কার।” অথবা “আমি রুষে উঠি যবে ছু টি মহাকাশ ছাপিয়া ভয়ে সপ্তনরক, হাবিয়া দ�োজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।” “আমি ছিন্নমস্তা চন্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী আমি জাহানাম্মের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি।” কবিতাটি বিদ্রোহ ঘ�োষণা করছে অত্যাচার, অবিচার, স্বার্থপরতার বিরূদ্ধে। মানবাধিকার বঞ্চিত নতশির মূ ক মানু ষের হয়ে দাবী করেছে মনু ষত্বের মর্য্যাদা। এমন কি সৃ ষ্টিকর্তা বিশ্ববিধাতাও রেহাই পান নি বিদ্রোহীর র�োষানল থেকে “আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বু কে এঁকে দিব পদচিহ্ন আমি স্রষ্টাসূ দন শ�োকতাপহানা খেয়ালি বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন।” বিদ্রোহী কবি জানালেন – “আমি সেই দিন হব শান্ত, যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন র�োল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ-কৃপাণ ভীম রণভূ মে রণিবে না।” কবি কিন্তু ইন্দ্রিয়ানু ভুতি-বিমুখ সাধক ন’ন, বা মায়া-মমতা-বিহীন বিদ্রোহী ন’ন। তাঁর মন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য স�ৌন্দর্য্যের পূ জারী। তিনি প্রেম, ভালবাসায় সিক্ত প্রেয়সী-সঙ্গের জন্য উদগ্রীব। তিনি জানাচ্ছেন “আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধহিয়ার কাতরতা, ব্যাথা-সু নিবিড়, চিত-চুম্বন-চ�োর-কম্পন, আমি থর-থর-থর প্রথম পরশ কুমারীর। আমি গ�োপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল করে দেখা অনু খন আমি চপল মেয়ের ভালবাসা, তার কাঁকন চুড়ির কনকন।” পাঠক মহলে প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দীর্ঘ সময় ধরে কবির এবং তাঁর সাহিত্যপ্রতিভার মূ ল্যায়ন ও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা সূ চক রচনাদি প্রকাশিত হয়। কবি বু দ্ধদেব বসু বললেন ‘এমন কবিতা আগে কখনও পড়িনি।’ অচিন্ত্য সেনগুপ্ত ‘এ কে নতুন কবি? নির্জীব দেশে এ কার বীর্যবাণী?’ কিন্তু বাঙ্গালী চরিত্রের স্বাভাবিক ঈর্ষা-সঞ্জাত নিন্দা-প্রবৃ ত্তি, যা রবীন্দ্রনাথকে পরিণত বয়সেও তাড়া করে বেড়িয়েছিল, তা নজরুল বা তাঁর কবিতাকেও রেহাই দিল না। ‘শনিবারের চিঠি’ সাহিত্য পত্রিকার সজনীকান্ত দাস লিখলেন তাচ্ছিল্যে ভরা প্যারডি, নাম ’আমি ব্যাঙ’। ‘আমি ব্যাঙ লম্বা আমার ঠ্যাং আমি সাপ, আমি ব্যাঙেরে গিলিয়া খাই আমি বু ক দিয়া হাঁটি, ইঁদুর ছু ঁচ�োর গর্তে ঢুকিয়া যাই।’
www.batj.org
কাজী নজরুলের নাম বিকৃত করে করা হ’ল গাজী আব্বাস বিটকেল। নজরুলও ছেড়ে কথা বলার মানু ষ ন’ন। তিনি সজনীকান্ত দাসের নাম দিলেন ‘সজনে ঘণ্ট ঘাস’। কবি গ�োলাম ম�োস্তাফা ‘নিয়ন্ত্রণ’ নামে কবিতায় লিখলেন ‘ওগ�ো বিদ্রোহী বীর! সংযত কর, সংহত কর উন্নত তব শির’ ইত্যাদি আর নজরুলের গুরুতুল্য একদা একান্ত ভক্ত সাহিত্যিক ও সাহিত্য-সমাল�োচক ম�োহিতলাল মজুমদারের সঙ্গে বচসার জেরে বাক্যালাপই বন্ধ হয়ে গেল। অচেনা তরুণের লেখা একটি কবিতা পাঠক মহলে কি পরিমাণ আবেগের বৈপরীত্ব সৃ ষ্টি করতে পারে এ গুলি তার পরিচয় বহন করছে। নিন্দা-প্রশংসার কষ্টিপাথরে যাচাই যখন এইভাবে চলছে তখন নজরুলের পক্ষে রায় এল, বলা যায় অপ্রত্যাশিতভাবেই, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে। রাজদ্রোহের অপরাধে নজরুল জেলে গেছেন ১৯২২ সালে। জেলখানায় রাজনৈতিক বন্দীদের জন্য নিত্য বরাদ্দ থাকত নানা লাঞ্ছনা ও অত্যাচার। এর প্রতিবাদে নজরুল আলিপুর জেলে অনশন শুরু করেন। উদ্বিগ্ন রবীন্দ্রনাথ তাঁকে টেলিগ্রাম পাঠালেন “give up your hunger strike, our literature claims you”। তাঁর সদ্য-রচিত ‘বসন্ত’ নাটিকাটি নজরুলকে উৎসর্গ করলেন “শ্রীমান কবি নজরুল ইসলাম স্নেহভাজনেষু ” এই মর্মে। বাংলা ভাষার মহাকবির কাছে পাওয়া এই কবি-স্বীকৃতি নজরুলকে নিশ্চয়ই স্বস্তি দিয়েছিল। এ কথা বললে ব�োধহয় অত্যুক্তি হবে না যে শুধু ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটির জন্যই নজরুল বাংলা সাহিত্যে সম্ভবত অমর হয়ে থাকতেন, ইংরেজি সাহিত্যে টমাস গ্রে যেমন তাঁর ‘এলিজি’ কবিতা বা ক�োলরিজ যেমন তাঁর ‘এন্সেন্ট মেরিনার’ কবিতার জন্যই বিশেষভাবে পরিচিত। এই গেল কবি নজরুলের কথা। ব্যক্তি নজরুল সম্পর্কে অল্প কিছু বলে আমার বক্তব্য শেষ করব। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল দু ’জনেই ছিলেন স্কুল-ছু ট, স্ব-শিক্ষিত। শেক্সপীয়রের মত তাঁরাও ছিলেন ম্যাথু আর্নল্ডের ভাষায় “self-schooled, self-scanned, self-honored, self-secure”। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ-কল্পিত ‘সেই সু মধু র স্তব্ধ দু পুর পাঠশালা পলায়ন’ ছিল র�োমান্টিকতার, আর রুটির দ�োকানের বালককর্মচারী নজরুলের স্কুল-কামাই বাধ্যবাধকতার। তাঁর লেখায় এবং তাঁর ব্যক্তিত্বে হিন্দু, মুসলমান উভয় সংস্কৃতির সঙ্গে তাঁর গভীর ও সশ্রদ্ধ পরিচিতির যে সন্ধান পাওয়া যায় তা রীতিমত বিস্ময়কর। তাঁর রচিত ও সু রার�োপিত প্রায় চার শ’ ভক্তিমূ লক গানের মধ্যে এক শ’র ওপর হিন্দু ধর্মের কাহিনী বা দেব-দেবী নিয়ে, যার মধ্যে শ্যমা-সংগীতের পরিচিতি ব্যাপক। এই শ্রদ্ধাব�োধ নজরুলকে সঙ্কীর্ণ ধর্ম-বিশ্বাসের ঊর্ধে এক মানবসত্তায় উন্নীত হতে সাহায্য করেছিল। তাঁর সংস্কৃতি ছিল খাঁটি বাঙ্গালীর, শুধু মাত্র হিন্দুরও নয় বা শুধু মাত্র মুসলমানেরও নয়। আজকের দেশে বিদেশে ধর্ম-ভিত্তিক বিভাজনের আবহাওয়ায় নজরুলের ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব তাই দৃ ষ্টান্তব্যঞ্জক, বিশেষত আমাদের মত বাংলা ভাষাভাষী মানু ষের কাছে। ১৯৪৭ এ ধর্মভিত্তিক বঙ্গভঙ্গের সময় নজরুল-সু হৃৎ অন্নদাশঙ্কর রায় সখেদে লিখেছিলেন – “ভুল হয়ে গেছে বিলকুল আর সব কিছু ভাগ হয়ে গেছে ভাগ হয় নি ক�ো নজরুল। এই ভুলটুকু বেঁচে থাক বাঙ্গালী আছেন একজন, দু র্গতি তার ঘুচে যাক।” নজরুল তখন র�োগজীর্ণ, রুদ্ধবাক, পঙ্গু । যেন ধর্মের নামে সদ্যদ্বিখণ্ডিত বাংলার অচ্ছেদ্য সাংস্কতিক সত্তার প্রতীকী ম�ৌন রূপ।
Durga Puja 2021
35
সাপ্পোরো বাস ���������������������������
বা
ড়ি থেকে হেঁটে ২০ মিনিটে পৌঁছান�ো যায় মারুয়ামা পাহাড়ের পাদদেশে। পাহাড়ের উচ্চতা সমুদ্রপৃ ষ্ঠ থেকে মাত্র ২২৫ মিটার। আবালবৃ দ্ধবনিতা, যে কেউ অনায়াসে চড়ে যেতে পারে পাহাড়টির মাথায়। এমন কি ক্লাস ওয়ানের শিশুরাও নাকি বেড়াতে যায় সেখানে পিকনিক করতে। জীবনে কখন�ো পর্বত আর�োহণের সখ হয় নি। তবে এমনটা শুনে ক�ৌতূ হল হল। ভাবলাম, বাড়ির কাছে যখন, একবার ঘুরে এলে মন্দ হবে না। তাই জুন মাসে একদিন গায় সাধারণ জামা ও পায় সাধারণ জুত�ো পরে রওনা হলাম। পাহাড়ে উঠতে আরম্ভ করার পরপরই জানতে পারলাম, যতটা শুনেছিলাম, ততটা সহজ নয় এই অভিযান। খাড়া ও পিছল পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে উঠতে রীতিমত কষ্ট হচ্ছিল। মনে মনে অভিশাপ দিয়ে বললাম যে ‘আবালবৃ দ্ধবনিতা’ কথাটা থেকে বৃ দ্ধের অংশ বাদ দেওয়া উচিত ছিল। তবে পাহাড়ি পথ দিয়ে হাঁটতে শুরু করে প্রায় এক ঘণ্টার মাথায় ক�োন�ো রকমে যখন চূ ড়ায় পৌঁছাই, তখন বিভ�োর হয়ে গিয়েছিলাম। চ�োখের সামনে সাপ্পোর�ো শহরের প্যান�োরামিক ভিউ-এর বিস্তার! দারুণ দৃ শ্য! অত্যন্ত মন�োরম দৃ শ্যের পাশাপাশি ঢালু পথ যেতে যেতে দেখা বিভিন্ন রকমের গাছপালা ও বন্য প্রাণীরাই ছিল অন্য আকর্ষণ। পুর�ো মারুয়ামা পাহাড়টি ঘন অরণ্যে আচ্ছাদিত, যেন সবুজ রঙের আঁচল বিছিয়ে আছে পাহাড়ের গায়। প্রাচীনকাল থেকে এই বনের অবস্থান যেখানে, সেখানে মানু ষের হাত কদাচিৎ পড়েছে। যু গ যু গ ধরে জাপান সরকারের উদ্যোগে জাতীয় প্রাকৃতিক সম্পদ হিসাবে এই বনের সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এই বনে কাঠবিড়ালীদের গাছের ডালে ডালে ছু টতে এবং কুমাগেরা কাঠঠ�োকরা (black woodpecker) কে বড় আওয়াজ করে গাছ ঠু করাতে দেখা গেছে। উল্লেখ্য, এই পাখি নাকি জাপানে হ�োক্কাইদ�োসহ উত্তরাঞ্চলে শুধু দেখতে পাওয়া যায়। আর হ�োক্কাইদ�ো ছাড়া জাপানের অন্য অংশের বনে কাঠবিড়ালীদের সচরাচর দেখা মেলে না। এই বনে হরিণ ও খ্যাঁকশিয়ালও বাস করে। অন্য দিনে মারুয়ামা পাহাড়ের কাছাকাছি মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে তাদের দেখার সু য�োগ হয়েছিল।
সাপ্পোর�ো হ�োক্কাইদ�োর প্রধান শহর। এখানে প্রায় ২০ লাখ ল�োকের বাস। জনসংখ্যার দিক দিয়ে জাপানের পঞ্চম বৃ হত্তম শহর এটি। শহরটির উত্তর ও দক্ষিণ ভাগকে বিভক্ত করে দেড় কিল�োমিটারের মত লম্বা ওওদ�োরি উদ্যান, যেখানে প্রতি বছর সাপ্পোর�োর বিখ্যাত তুষার উৎসব ঘটা করে আয়�োজন করা হয়ে থাকে ( যদি না কর�োনার দাপট থাকে আরকি)। এর নাম ওওদ�োরি বা মহা সড়ক। নাম থেকে যেমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়, এটি মূ লত রাস্তা হিসাবে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হলেও পরে পার্কে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই কারণে একটি ‘লম্বা’ পার্ক তৈরি করা হয়েছে। এই উদ্যানের দু ই পাশে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে উঁচু উঁচু অত্যাধু নিক ভবন এবং শ�ৌখিন রেস্তোরাঁ ও কাফেসমূ হ। এই ওওদ�োরি উদ্যান থেকে আমাদের নতুন বাড়ি যেতে লাগে ৪০ মিনিট। গাড়িতে নয়, হেঁটে। এর মানে, সাপ্পোর�োর কেন্দ্র ভাগ থেকে ম�োটামুটি ৩ কিল�োমিটারের পরিধির মধ্যে আমার বাড়ির অবস্থান। ট�োকিওতে শিন্জুকু রেলওয়ে স্টেশন থেকে ইয়�োৎসু ইয়া হেঁটে যেতে লাগে একই রকম সময়। বড় পার্থক্য হল, ইয়�োৎসু ইয়াতে পাহাড় না থাকলেও আমার সাপ্পোর�োর বাড়ির কাছে আছে মারুয়ামা ও অন্যান্য পাহাড়। ট�োকিওর পাশে কানাগাওয়া জেলার এক শহরে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করেছিলাম। জীবনের সেই পর্ব চুকিয়ে সাপ্পোর�োতে চলে এসেছি এবছর মে মাসের শেষে। তার আগে হ�োক্কাইদ�োতে চলে যাওয়ার আমার সিদ্ধান্তের কথা জেনে আমার বন্ধু ও পরিচিত জনের অনেকেই অবাক হয়ে এর কারণ জানতে চেয়েছেন। 36
Anjali
www.batj.org
সাপ্পোরো বাস
প্রথম কারণ ছিল আমার ছেলের আমন্ত্রণ। ছেলের বদলির কাজ। ৩ বছর আগে ওর প�োস্টিং হয়েছিল ক�োম্পানির সাপ্পোর�ো অফিসে। এসে জায়গাটা ওর ভীষণ ভাল লেগে গিয়েছে। বলেছিল, “সাপ্পোর�ো অনেক সু ন্দর শহর। এছাড়া ট�োকিওর তুলনায় সাপ্পোর�োর গ্রীষ্ম অত্যন্ত আরামদায়ক। এয়ার কন্ডিশনারের প্রয়�োজন হয় না। বাবা, তুমি মায়ের সঙ্গে সাপ্পোর�োতে চলে আসার কথা ভেবে দেখতে পার�ো”। ছেলে কিন্তু ভুল বলে নি। বছর দু য়েক আগে ছেলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গরমকালে সাপ্পোর�োতে বেড়াতে গিয়ে এখানকার আবহাওয়াগত গুণ লক্ষ্য করেছি। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কিনা জানি না, গত কয়েক বছরে জুলাই-আগস্ট মাসে ট�োকিওতে গরমের মাত্রা আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়ে আমার কাছে অসহ্য লাগছিল। মনে আছে ছ�োটবেলায় স্কুলের গরমের ছু টি শুরু হওয়ার আগে ক্লাসে শিক্ষকরা এই বলে আমাদের পরামর্শ দিতেন যে, সকালে গরম অপেক্ষাকৃত কম থাকে, তাই ত�োমরা দু পুর হওয়ার আগে বাড়িতে বসে পড়াশ�োনায় মন�োনিবেশ কর�ো, আর বিকেলে বাইরে গিয়ে বেসবল খেল�ো, প�োকা ধর�ো, সাঁতার কাটতে যাও এবং এইসব করে স্বাস্থ্যবান হবার চেষ্টা কর�ো। এখন কিন্তু এই ধরনের উপদেশের ক�োন�ো মানে নেই। গরমকালে সকাল থেকে এত গরম যার মধ্যে বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবান ত�ো দূ রের কথা, বরং স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। এমন কি মৃ ত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। বাড়ি বদলির সিদ্ধান্তের পিছনে দ্বিতীয় কারণ ছিল বাংলার শিক্ষক হিসাবে চুক্তির মেয়াদের সমাপ্তি। বিগত কয়েক বছর ধরে ট�োওকিওর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পড়িয়েছি, কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনু যায়ী ৬৮ বছর বয়স হবার পর আর চুক্তি নবায়ন করা যায় না। তাই এবছর মার্চ মাসে সেই চাকরিতে ইস্তফা দিতে হল। সেই সঙ্গে রেডিওর কাজও ছেড়ে দেব বলে মনস্থির করেছি। ২০১২ সালে কর্মস্থল থেকে অবসর গ্রহণের সময়সীমায় পৌঁছাবার পরও চুক্তির ভিত্তিতে বেতার অনু ষ্ঠানের প্রয�োজক হিসাবে কাজ করে এসেছি। রেডিওর কাজ করতে গিয়ে সবসময় টেনশনে থাকতে হয়। নির্ভুল ও সর্বশেষ তথ্য উপস্থাপন করতে পারছি কিনা, অনু ষ্ঠানের ঐ অংশ অন্যভাবে বললে শ্রোতাদের বুঝতে আরও সু বিধা হ�োত কিনা, এইসব চিন্তা সব সময় আমার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। এমন কি ঘুমের মধ্যেও কাজের চাপ থেকে মুক্ত হতে পারি নি। প্রায় এরকম স্বপ্ন দেখি যাতে আমি স্টুডিওর পাশে কন্ট্রোল রুমে বসে আছি। লাইভ অনু ষ্ঠানের সময় হয়ে গেল। আমি স্টুডিওর ভিতরে থাকা একজন ঘ�োষিকাকে ( যাঁর নাম এখানে উল্লেখ করা যায় না) ইশারা-ইঙ্গিতে স্ক্রিপ্ট পড়তে শুরু করতে বলি, কিন্তু তিনি খেয়াল করেন না। সময় মিছিমিছি চলে যায়। আমার সারা শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে…। ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে কতবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছি, তার ক�োন�ো ইয়ত্তা নেই। শেষে ভাবলাম, আর নয়। যথেষ্ট সময় উৎসর্গ করেছি চাকরির জন্য। এই বয়সে এসে শান্ত মনে জীবন উপভ�োগ করতে চাইতে ক্ষতি কী? তাই রেডিওর চাকরিতেও ইস্তফা দিলাম। অনেক দিন ধরে মনের মধ্যে একটা ভাবনা উঁকি মারছিল। ভারত দর্শনের জীবনশাস্ত্রে যে চার অবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়, সেটি আমার জীবনে প্রয�োজ্য হবে না? ব্রহ্মচর্য ও গার্হস্থ্যের পর্বের নিঃসন্দেহে অবসান ঘটে গেল। একদিন জাপানের এক বিশেষজ্ঞের লেখা বইতে পড়েছি, বাণপ্রস্থের পর্যায়ে ল�োক বনে বসবাস করলেও ল�োকসমাজ থেকে পুর�োপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এমন নয়। মাঝেমাঝে তার পরিবার-পরিজন তার সঙ্গে দেখা করতে আসে, তাদের সঙ্গে পার্থিব বিষয় নিয়ে কথাও হয়। এই ব্যাখ্যা সঠিক কিনা জানি না, তবে আমার খুব ভাল লেগেছে। ২০১২ সালে রেডিও থেকে আনু ষ্ঠানিকভাবে অবসর নেওয়ার পর যেভাবে জীবনযাত্রা করে এসেছি, সেটি হয়ত বাণপ্রস্থের জীবনের মত ছিল বলে আমার মনে হয়েছে। তাই সবশেষ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি; এতদিনকার জীবন ত্যাগ করে সন্ন্যাস জীবন আরম্ভ করব। সন্ন্যাস জীবন বলতে ব�োঝায় নাকি, মন যা চায়, সেই অনু যায়ী নিরুদ্দেশ ঘুরে বেড়ান�ো। সাপ্পোর�োতে আসার পর তাই-ই করছি। র�োজ মর্নিং ওয়াক করে মারুয়ামা পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ঘুরে আসি। এছাড়া সাপ্পোর�োর বাইরে কিছু জায়গায় বেড়াতেও গিয়েছি। সেগুল�োর মধ্যে আছে হ�োক্কাইদ�োর পূ র্বাঞ্চলে বিস্তৃ ত জলাভূ মি, যা জৈবপরিবেশ রক্ষার উদ্দেশ্যে প্রণীত বিশ্বব্যাপী চুক্তি রামসার কনভেনশনে নিবন্ধিত। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম নানা রকমের উদ্ভিদ ও প্রাণী যেগুল�ো ট�োকিওর জীবনে কখন�ো দেখা মেলে না। আরেক দিন ৪ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে বিখ্যাত ফুল বাগান দেখতে গিয়েছিলাম। সাপ্পোর�ো শহর থেকে বের হলে হঠাৎ রাস্তায় গাড়ির ভিড় কমে যায় আর অনেক দূ র পর্যন্ত স�োজা রাস্তাকে চলে যেতে দেখা যায়। ট্রাফিক সিগনালও কম হওয়াতে আরামে গাড়ি চালান�ো যায়। এই লেখা যখন লিখছি সেই আগস্ট মাসের শেষে জাপানের অন্যান্য জায়গার মত হ�োক্কাইদ�োতেও কর�োনার ভয়ানক প্রক�োপ চলছে। তাই মনের মত ঘুরতে গিয়ে কিছু টা সংক�োচ ব�োধ করছি। এছাড়া পারিবারিক অর্থনীতির কথাও ভাবতে হয়। বর্তমান যু গের সন্ন্যাস জীবনে অর্থের প্রয়�োজনীয়তা থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। এছাড়া হ�োক্কাইদ�োর শীতকালটা যে কেমন হবে, তার এখন�ো ক�োন�ো ধারণা নেই। সত্যিকারের সন্ন্যাসীর পক্ষে হয়ত�ো হিমালয়ে থাকতে ক�োন�ো অসু বিধা বা আপত্তি থাকবে না, তবু এই দু র্বল চিত্তের মেকি জাপানী সন্ন্যাসীর পক্ষে এখানকার হিমের দেশে থেকে যাওয়া আদ�ৌ সম্ভব কিনা, কে জানে। তবে যতটুকু পারি, সাপ্পোর�োতে নতুন জীবন উপভ�োগ করব, সেটাই ইচ্ছা।
www.batj.org
Durga Puja 2021
37
ক্ষুদ্দা এবং বাবু ই চড়াইয়ের বাস্তব দর্শন
আ
শ্বিন মাস পড়তে না পড়তেই চারিদিকে যেন অ্যাম্বিয়েন্সের আমূ ল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। একটানা ক্লান্তিকর অবসাদগ্রস্থ বর্ষাকালের পরে শরতের আগমন মনের মধ্যে আনন্দের হিল্লোলিত শিহরণ এনে দেয়। এই উন্মাদনা সমগ্র হিন্দু বাঙ্গালী জাতিরই হয়। ক্ষুদ্দা বা রমলা ব�ৌদিও এর ব্যতিক্রম নন। ক্ষুদ্দা তার সীমিত সঙ্গীত প্রতিভার ওপর নির্ভর করে গেয়ে উঠলেন, বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ আমরা গেঁথেছি শেফালী মালা নবীন ধানের মঞ্জরি দিয়ে সাজায়ে এনেছি ডালা।। ক্ষুদ্দার মন উদাস, চলে গেছে সু দূর অতীতের দিনে। শৈশবের সপ্তমীতে নতুন জুত�োর বদান্যতায় পদযু গলে ফ�োস্কার আবির্ভাবে অষ্টমী, নবমীতে ব্যান্ডএইডের সাহায্যে পুরাতন পরিত্যক্ত পাদু কার সলজ্জ সাহায্য গ্রহণ। নতুন জামার গন্ধের সঙ্গে ফুচকা, আলু কাবলী, হজমীগুলির গন্ধ একাকার। বকুলবাগানের সবকটি দ�োকানের খাদ্যবস্তু টেস্ট করার পরে বাড়ির খাবারের ইচ্ছা তিন দিনের জন্য মুলতবি থাকত। শিশু রমলার শৈশব বৃ ত্তান্ত জানা না থাকলেও শৈশবে দু র্গাপুজ�োর ব্যাকরণ একই হওয়ার কথা। নতুন জুত�োর উদ্ধত আচরণ, নতুন প�োশাকের সহৃদয়তা, ফুচকা ভক্ষণ এবং প্রতিমা দর্শন, বন্ধুদের সঙ্গে অনর্গল কথা বলা, অকারণ হাসির অফুরান য�োগান ইত্যাদি সব একই রকম। কৈশ�োর পার হয়ে য�ৌবনের প্রারম্ভে কলেজে অধ্যয়নকালে সংয�োজিত হল এক নতুন অধ্যায়। সু কুমার রায়ের ‘ভালরে ভাল’ কবিতাটার ছন্দটা নিয়ে একটু অন্যরকম করে যদি লেখা যেত তাহলে হয়ত�ো এই রকম হত --টীনএজারদের সবই ভাল ছাত্রছাত্রীরা দেখতে ভাল ক্রিকেট ফুটবল খেলতে ভাল প্রেমের বই পড়তে ভাল দলবেঁধে গল্প করতে ভাল লেকে দু জনে বসলে ভাল র�োমান্টিক সিনেমা দেখতে ভাল উত্তম, গ্রেগরীপেক পার্টে ভাল কিন্তু সবচেয়ে ভাল নিজেদের র�োমান্স প্রেমে ডুবতে যে পায় চান্স।। বকুলবাগান থেকে আহিড়ীট�োলায় গিয়ে রমলা নামক এক টীনএজারকে প্রেমের বঁড়শিতে গাঁথা চাট্টিখানি কথা নয়। অনেক পরিশ্রম করে, অভিভাবকদের গুলগাপ্পি মেরে গঙ্গা ও লেককে সাক্ষী রেখে (তখন প্রেমের পীঠস্থান নন্দন তৈরি হয়নি) রমলা চাকলাদারকে গৃ হিণী করতে হয়েছে। দু হাজার ঊনিশ সালের মে মাসে ক্ষুদ্দা ও রমলা ব�ৌদিকে জাপানে যেতে হয়েছিল পরিবারের সদস্য সংখ্যা পরিবর্ধনে নতুন অতিথির আগমনকে শুভেচ্ছা জানাতে। ব�ৌদি বায়না করলেন জাপানের দু র্গাপুজ�োয় যাওয়ার জন্য একটা দামী শাড়ি চাই। ক্ষুদ্দা ভাবলেন রমলার ত�ো অনেক ভাল দামী শাড়ি আছে, আবার একটা কেনার কি দরকার! যাইহ�োক পুরন�ো শাড়ি দিয়েই পুজ�োটা কেটেছে। দু হাজার একুশ সালে নাকি পুজ�োর আগে জাপানে যাওয়ার 38
- অনু পম গু
কথা হচ্ছে, যদি বিমান পরিষেবা সঠিক ভাবে চালু হয়। ব�ৌদির বলিষ্ঠ বক্তব্য পুরন�ো শাড়ি পরে জাপানের পুজ�োর অনু ষ্ঠানস্থলে নাকি যাওয়ার নিয়ম নেই। দাদা ব�ৌদিকে ব�োঝালেন জাপানের দু র্গাপুজ�োয় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখার ক�োন ব্যাপার নেই। অতএব নতুন শাড়ি কেনার ক�োন দরকার আছে কি? ব�ৌদি বললেন, “ত�োমাদের শ্যামলদা, রঞ্জনদারা কি বারমুডা পরে পুজ�োর হল’এ বসে থাকেন? রীতাদি বা রুমাদিরা নিশ্চয়ই বাড়ির ম্যাক্সি পরে অনু ষ্ঠান স্থলে আসেন না”। রমলা ব�ৌদি ক্ষুদ্দাকে বাবুই পাখী আর চড়াই পাখীর কবিতার ভাষায় কথ�োপকথন শ�োনালেন --বাবুই পাখীরে ডাকি কহিছে চড়াই এই পুজ�োতে রমলার গাদ�োয়াল চাই। ক্ষুদ্দা সঙ্গে সঙ্গে বললেন, “আরে পরের লাইন যখন বাবুই বলছিল তখন তুমি হয়ত�ো রান্নাঘরে ছিলে, তাই শুনতে পাওনি--শুনিয়া বাবুই কহে সন্দেহ কি তাতে কর�োনার করুণায় ম্যাক্সি দেয় গায়েতে”।। ব�ৌদি বললেন, “ত�োমাকে দেখেই হয়ত�ো আশা ভ�োঁসলে গেয়েছেন --এনে দে রেশমী চুড়ি নইলে যাব বাপের বাড়ি দিবি বলে কাল কাটালি জানি ত�োর জারিজুরি।। ক্ষুদ্দা সব নামীদামী শাড়িদের বুকফাটা কান্নার সম্মিলিত আওয়াজের কথা ব�ৌদিকে শ�োনালেন। কর�োনার এই প্যান্ডেমিকে শাড়িদের কি করুণ অবস্থা! বিক্রি নেই, খদ্দের নেই, ক�োন সাংস্কৃতিক বা সামাজিক অনু ষ্ঠান নেই যেখানে আলমারি থেকে শাড়ি বের করে পরিধান করে দু বছর ধরে শাড়িতে সেঁটে থাকা ন্যাপথলিনের উগ্র গন্ধ তাড়ান�ো যেতে পারে। কিন্তু ক�োন উপায় নেই। ওদের কান্নার ভাষা বুঝলে হয়ত�ো এইরকম হত --বেনারসী শাড়ি বলে জামদানি ব�োনটি কত কাল ঠাঁই লব আলমারির ক�োনটি গাদ�োয়াল চান্দেরীর আঁখি করে ছল ছল ভেবেছিনু এবছর পুজ�োতে যে পাব বল। রবি কবি নজরুল দু বছরেও হল না লাল পাড় সাদা শাড়ি অঙ্গেতে ওঠে না। কর�োনার ঢেউ বলে আরও নাকি আসছে নামী দামী শাড়ি সব আলমারিতে জমছে। খিল খিল হেসে বলে ম্যাক্সি ও কাফতান পুজ�োতে দ�োকানী সাজায়, আমরাই মাস্তান।। দামী শাড়িদের কান্নার কবিতা শুনে রমলা ব�ৌদিরও মজা লেগেছে, কিন্তু তিনি কিছু তেই মেনে নেবেন না। ক্ষুদ্দাকেও ত�ো অফিসে যেতে হচ্ছে না। বাড়িতে বসেই ওয়ার্ক ফ্রম হ�োম করতে হচ্ছে। ক�োথাও যাতায়াত নেই। অফিসের পার্টি, সামাজিক অনু ষ্ঠান সবই বন্ধ। নতুন টি সার্ট আর জিনসের প্যান্ট কেনা মানেই ত�ো সঙ্গে বেঙ্গল কেমিক্যালের এক বাক্স ন্যাপথালিন কেনা। আর নতুন প্যান্ট সার্ট কেনার প্রয়�োজনটাই বা কি? ব�ৌদি ক্ষুদ্দাকে বললেন বাবুই পাখী আর চড়াই পাখী নাকি কবিতায় আবার কিছু বলছে ---
Anjali
www.batj.org
ক্ষুদ্দা এবং বাবুই চড়াইয়ের বাস্ত
তবে দু হাজার একুশ সালের প্যান্ডেমিক, গাদ�োয়াল, চান্দেরী, জিনস্, টি সার্ট, ন্যাপথলিন, আলমারি, ট্রাঙ্ক নিয়ে বাবুই এবং চড়াই পাখীর কথ�োপকথন খুবই উপভ�োগ করার মতন।
ওয়ার্ক ফ্রম হ�োমে লাগে শুধু ই পাজামা ঘর যদি ঠাণ্ডা থাকে, লাগে গেঞ্জি ও ম�োটা জামা দু টি পাখী বলে শেষে একথাটাই সত্যি শাড়ি শার্ট কিনলেও ট্রাঙ্ক কিন্তু ভরতি। বাবুই পাখী বলে, কেন কর কলহ চড়াই বলে শাড়ি জামা সবই রাহু বা কেতু গ্রহ।। ক্ষু্দদা বললেন রূপকথার গল্পের ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমীর মতন পাখী দু ট�ো বর্তমান বাস্তব কথাই বলছে। এই প্যান্ডেমিকে শাড়ি জিনসের পেছনে ছু টে ক�োন�ো লাভ নেই। শুনছি এরপরে একের পর এক ঢেউ আসবে। এগুল�ো নাকি পুরীর সমুদ্রের মতন ঢেউয়ের অবিরাম আগমন। চড়াই কহে শ�োন�ো আসিতেছে ডেল্টা আসিবে, কহে বাবুই, আলফা, গামা এবং বিটা।। ব�ৌদি দাদাকে বললেন, “দেখ, পাখী দু ট�োর কথাই ঠিক। গাদ�োয়াল, করিয়াল করে ক�োন লাভ নেই। তার থেকে জাপানের বিমান পরিষেবা আবার চালু হলে জাপানে যাওয়াই ভাল। পুজ�োর দিন দু পুরে ব্যোমকেশদার তৈরী করা লাঞ্চ পাওয়া যাবে। সন্ধ্যায় অনু ষ্ঠানস্থল পরিস্কার করার পর ভান করে একটু থেকে যেতে পারলে ল�োভনীয় ডিনার প্যাকেট পাওয়া যাবে। শ্যামলদা বা রঞ্জনদা হয়ত�ো বাধা দেবে না। কিন্তু দু হাজার একুশ সালে জাপানে যাওয়ার বিমানের টিকিট পাওয়াই এক সমস্যা। ফ্লাইট অপ্রতুল হলেও শাড়ি জিনস্ কিন্তু প্রতুল। বাবুই এবং চড়াই পাখীর বাস্তব চিন্তার কথা মাথায় রেখে দু ই পাখীকে সাধু বাদ জানিয়ে শাড়ি জিনস কেনা থেকে বিরত থাকার কথা চিন্তা করা হল।
www.batj.org
একটা জিনিস ব�োঝা গেল। ল�োক দেখান�ো কলহের মধ্যে ফুটে উঠছে দাদা ব�ৌদির গভীর র�োমান্সের নিবিড় আকর্ষণ। বাবুই পাখীরে ডাকি কহিছে চড়াই ক্ষুদিরাম রমলার প্রেমে শেষ নাই শুনিয়া বাবুই কহে চান্দেরী কেন কিনিবে টাকা থাক বাংকে, কেনই বা বিলাবে? বাবুই এবং চড়াই অনেক চিন্তা করে, আল�োচনা করে একটা সিদ্ধান্তে এল --চড়াই কহে শ�োন বাবুই মশাই পুজ�োয় নতুন শাড়ি রমলার চাই শুনিয়া বাবুই কহে একটাই ত�ো বউ ক্ষুদিরাম কিনে দিক, যত আসে ঢেউ।। ক্ষুদ্দা অনেক তর্ক বিতর্কের পরে রমলা ব�ৌদির জন্য একটা দামী শাড়ি কিনে আনলেন, জাপানে যাওয়া হ�োক আর নাই হ�োক। এইভাবেই হয়ত�ো জগতের সব ব�ৌদিরা জিতে যান। শ্যামলদা, রঞ্জনদা হয়ত�ো শেষ পর্যন্ত রীতাদি রুমাদির কাছে হেরে যান। এই গ�ৌরবময় পরাজয়ের আনন্দই আলাদা, যদিও অনেকেই এই আনন্দ উপভ�োগ করা থেকে বঞ্চিত। বেচারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে চান্দেরী, গাদ�োয়াল কিনতে হয় না এবং রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে চান্দেরী গাদ�োয়াল কেউ কিনেও দেন না। অবশ্য রাজ্যের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রীকেও চান্দেরী, গাদ�োয়াল কিনতে হয়নি। রমলা ব�ৌদি তার বজ্রমুষ্টি আকাশে তুলে বললেন, লং লিভ বাবুই চড়াই!!
Durga Puja 2021
39
উমা
- শুভা কোকুবো চক্রব
ছ�ো
টবেলায় গরমের ছু টি বা পূ জ�োর ছু টির পর স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের মধ্যে প্রথম গল্প হ�োত ছু টিতে কে ক�োথায় বেড়াতে গিয়েছিল। অনেকেই বলত�ো কয়েকদিনের জন্য মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার খুব অদ্ভু ত লাগত�ো আমার মামাবাড়ি কেন রাস্তার উল্টোদিকে? মানে এপাড়ে চক্রবর্তীদের বাড়ি আর ওপাড়ে চ্যাটার্জীদের বাড়ি। সব বন্ধুদের মামাবাড়ি এত দূ রেদূ রে আর আমার মামাবাড়ি কেন রাস্তার উল্টোদিকে? বাড়ির গেট থেকে বেড়িয়ে ডান বাঁ দেখে এক ছু টে রাস্তা পের�োলেই আমার মামাবাড়ি। আর তাই আমাদের মামাবাড়ি বেড়াতে যাওয়া মানে সকালে গিয়ে রাতে ফেরা। মাঝেমধ্যে ২/১ দিন থাকা হয়নি এমনও নয়, তবে সেটা খুবই কম। ছ�োট থেকেই মা বাবুর সমসাময়িক মাসি, কাকু, কাকিমা, জেঠু , জেঠিমার কাছে শুনেছি আমার মায়ের কথা। ‘উমা’এই একটা নামেই সবাই মাকে চেনে। কিন্তু মা’র নাম ত�ো অন্য। তাহলে? উমা কেন? বাড়ির ছ�োট মেয়ে আমার মা। দাদু আদর করে নাচ শিখিয়েছিলেন। আমরা এখন যেমন প্রোগ্রাম বলি, তখন বলা হ�োত ফাংশন কিংবা জলসা। এলাকার এক ফাংশনে আমার মা কুমারসম্ভবে উমার র�োলে ছিলেন। আমি বড় হয়ে পর্যন্ত শুনেছি সেই নাচের কথা। তখনও সবার মুখে মুখে ফিরত�ো সেই ফাংশনের কথা, সেদিন ‘উমা’র ভূ মিকায় মায়ের কথা। চ্যাটার্জী পরিবারের ছ�োট মেয়ে আমার মা চক্রবর্তী পরিবারের বড় ব�ৌমা হয়ে এলেন এ বাড়িতে। কিছু দিনের মধ্যেই আমার বাবু অল ইন্ডিয়া রেডিওর কাজ নিয়ে দিল্লীতে চলে গেলেন। হ�োস্টেলে পড়াশুন�ো করেছেন বাবু। তাই নিজেরটা করে নিতে অসু বিধে হ�োতনা। কয়েকমাস পর মা গিয়েছিলেন বাবুর কাছে দিদি আর আমাকে সঙ্গে করে। রান্নাবানা কিছু ই জানতেননা মা। বাবু নাকি আস্তে আস্তে সব শিখিয়েছিলেন। বড় হয়ে বুঝেছি নতুন সংসারে এসে মায়ের নিজের ইচ্ছেগুল�োকে বিসর্জন দিতে হয়েছিল। তখনও ঘরে ঘরে Zee বাংলা ছিলনা। টিভির পর্দায় “দিদি নম্বর 1 ” ছিলনা। তখনও “জাগ�ো শক্তি, জাগ�ো স্বপ্ন, জাগ�ো স্পর্ধা, জাগ�ো ইচ্ছে, জাগ�ো জাগ�ো উমা…..” ধরনের গান লেখা হ�োতনা। তাই নিজের ইচ্ছে, নিজের প্যাশন, নিজের স্বপ্নগুল�োকে বাস্তবায়িত করার গল্প ছিল খুব কম। তাতে অবশ্য মা’কে কখনও অখুশি দেখিনি। বরং আমাদের দু ইব�োনের পড়াশুন�োর সঙ্গে সঙ্গে দিদির গান আর আমার নাচ শেখা এবং তার রেওয়াজের প্রতিনিয়ত আপডেট ইত্যাদির উপর কড়া নজর ছিল। বাবুকে দেখেছি নাটক করতে, আবৃ ত্তি করতে। দিল্লীর চিত্তরঞ্জন পার্কের বঙ্গীয় পরিষদের অনু ষ্ঠিত নাটকের পরিচালনা করতেন। ক�োলকাতায় ফিরে আসার পরেও অনেকেই আসত�ো বাড়িতে আবৃ ত্তি শিখতে। বিভিন্ন ক্লাবের নাটকের পরিচালনা করতেন। নাট্যাল�োক নামের এক নাট্যসংস্থার সঙ্গে যু ক্ত ছিলেন বাবু। বাবুর অভিনীত অনেকগুল�ো নাটকের মধ্যে খুব মনে পড়ে “র�োশেনারা” নাটকে মিস্টার আলীর চরিত্রটা। মনে পড়ে “স্বর্গে মিছিল” নাটকে ভৃঙ্গির চরিত্রের অভিনয়। বাবু নিজের চাকরীর সঙ্গে সঙ্গে এতকিছু চালিয়ে যেতে পেরেছিলেন কারণ বাড়িতে একজন “উমা” (আমার মা) ছিলেন। সবকিছু র দায়দায়িত্ত্ব ভার তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে হাসিমুখে। বাবু খুব ভাল বাঁশি বাজাতেন। আড় বাঁশি। আমাদের বাড়িতে গ্যাসে রান্না হ�োত ঠিকই, কিন্তু অসময়ে দরকারে লাগতে পারে বলে কয়লার উনু নও ছিল একটা। চ�োখে ভাসে একটা দিনের কথা। সেদিন বাড়িতে গ্যাস নেই। মানে দু পুরের রান্না অবধি গ্যাস ছিল কিন্তু রাতে গ্যাসের নব্ ঘ�োরাতে ব�োঝা গেল আর নেই,ফুরিয়ে গেছে। অগত্যা সেই উনু ন। ল�োডশেডিংয়ে মা রান্না করছেন, বাবু বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজাচ্ছেন। আগুনের তাপে মায়ের মুখচ�োখ সব লাল। আজ এতবছর পরেও যখন রাহুল দেববর্মনের “ও…আমি যখন রানতে বসি,ও…তুমি তখন বাজাও বাঁশি,ধ�োঁয়ার ছলে কানতে বসি, প্রাণত�ো মানে না রে” গানটা শুনি বুকটা মুচড়ে ওঠে, মনে পড়ে সেই সন্ধ্যেটার কথা। তখনত�ো ফলাও করে স্বামী স্ত্রীর কেমিস্ট্রির কথা বলা হ�োতনা, কেউ বললেও সেটা বেমানান শ�োনাত�ো। উমার মেয়েরা যে যার মত বড় হ�োল, মানে বয়সে আরকি। তারপর যা হয়, যে যার মত চলেও গেল পরের বাড়ি। পরের বাড়ি বললে কেমন পর পর ঠেকে। তাত�ো বটেই তা না হলে ঘটা করে বাপের বাড়ি কিংবা বাবার বাড়ি আর শ্বশুড়বাড়ি বলা হবে কেন? তাই বিয়ের পরের বাড়িটা পরের বাড়িই বটে। যদিও আস্তে আস্তে পরের বাড়িটা কেমন করে যেন নিজের বাড়ি হয়ে যায়। উমার মেয়েদের আর রাস্তার উল্টোফুটে পাত্র জ�োটেনি। আশেপাশে বাঁশ বাধা হয়ে গেছে। কুম�োরটুলীতেও অসম্ভব ব্যাস্ততা, খড়ের কাঠাম�োতে মাটি পড়েছে, ঠাকুর তৈরী হচ্ছে। বিশ্বকর্মা পূ জ�োও শেষ হ�োল। শরতের আকাশে নীল মেঘের খেলা। ভ�োরের দিকে হাল্কা ঠান্ডা। শিউলি ফুল ফুটছে এদিক ওদিক। যে উমা শুধু সংসারেই নিবেদিত প্রাণ ছিল হঠাৎ করেই সেই ভরা সংসার শূ ণ্য করে চলে গেল আজকের দিনে। ৯ই অক্টোবর। সেদিন ছিল মহালয়া। আত্মীয়স্বজন বললেন মহালয়ার দিনে যাত্রা, শুভ দিন আজ। মায়ের চলে যাওয়ার দিন কি আর শুভ হয়?.... উত্তর খুঁজেছি। অনেক হাতড়েও তার উত্তর পাইনি। জীবনে কিছু কিছু উত্তর বড় বেহিসাবী হয়। সারাজীবনেও মেলেনা। কিংবা বলা ভাল মিলতে চায়না। শুধু টের পেয়েছিলাম দু দিন আগের শরতের ঝলমলে আকাশটা কেমন মেঘলা হয়েছিল…….তুমি কেমন আছ�ো মা?
40
Anjali
www.batj.org
হেমন্তের আলো
- শঙ্কর ব
মা
নু ষটার দিকে একবার চ�োখ পড়ায় বিদ্যুতের চমক খেলে যায় প্রলয়ের শরীরে। হুইলচেয়ারে বসা রুগ্ন, ক্লান্ত চেহারার আবছায়ায় উজ্জ্বল দু ট�ো চ�োখ, যে চ�োখে হারিয়ে যাওয়া শিশুর শঙ্কিত উত্তেজনা। মুহূর্তে ভাবনার জগতে হারিয়েই গেছিল প্রলয়, এক ঝটকায় নিজেকে প্রস্তুত করে ধীর পদক্ষেপে এগিয়ে গেল মানু ষটার দিকে। “নমস্কার দেবেনবাবু, আপনি আমাকে চিনবেন না…”- প্রলয়ের কথা শেষ হওয়ার মুহূর্তে মানু ষটার মুখে একমুঠ�ো আলগা আল�ো ছড়িয়ে পড়ল, মৃ দু হাসির রেশ। “যাক, তাহলে চিনতে ভুল হয়নি মানু ষটাকে- বাবাঃ, প্রায় তিন দশকের কথা” প্রলয় মনে মনে বলে উঠল�ো। দেবেন্দ্র মুখার্জী, সু রের জগতের বিস্ময়সৃ ষ্টি, আকাশবাণীর ঈশ্বর। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তৈরী কন্ঠ, তবু আধু নিক বাংলা গানের অবিসংবাদিত সম্রাট। গানের জলসায় কেন্দ্রীয় আকর্ষণ, কলেজ স�োশ্যালের সেন্সেশন। চল্লিশবছর আগের সময়টা এমনই ছিল, প্রলয়ের স্পষ্ট মনে পড়ে। সেই স্কুলে পড়ার সময়- যখন দু র্গাপুজ�ো সত্যিই একটা রঙ্গিন স্বপ্ন যার জন্য সারা বছর হা-পিত্যেশ করে অপেক্ষা। মনে পড়ে সপ্তমীর সন্ধ্যায় প্যান্ডেলে ভেসে আসা দরাজ গলার পুজ�োর নতুন গান, সু রের মায়াজাল। মানু ষটার অম�োঘ আকর্ষণ কতবার তাকে পৌঁছে দিয়েছে গানের জলসায়, কলেজ স�োশ্যালে, কিন্তু বলিষ্ঠতর ভক্তকুলের সীমানা অতিক্রম করা দু বলা পাতলা প্রলয়ের পক্ষে সম্ভব হয়নি। সেই দূ রত্ব আর ক�োন�োদিন ঘ�োচেনি। উপরন্তু পড়াশ�োনার পাঠ শেষ করে শহর কলকাতার সাথে দূ রত্ব আর�ো বাড়িয়েছে প্রলয়- এক যু গের ওপর সে বাসিন্দা পশ্চিমের মন�োরম এই শৈলশহরের। এবং এই জীবন আপাতভাবে বেশ সু খের। “দেবেনবাবুর ব্যাপারটা বেশ দু ঃখের”- রাণাদা কথাটা বলেছিল জাস্ট ম্যাটার অফ ফ্যাক্ট হিসেবে। অফিসের একটা পার্টীতে, পুরন�ো বাংলা গানের আল�োচনার মাঝখানে। রাণা, মানে রণদিত্য, সঙ্গীতের প্রকৃত সমঝদার- এক সময়ে শিল্পীমহলে যথেষ্ট আনাগ�োনা ছিল। প্রলয়ের জিজ্ঞাসু চ�োখে আর সংশয় না বাড়িয়ে আউড়ে গেছিল… “অ্যাসমার কারণে গানের চর্চা আর ধরে রাখতে পারেননি মানু ষটা, শুনেছি পারিবারিক কি একটা দু র্ঘটনার শিকারও হয়েছিলেন। ম�োদ্দা কথা পাবলিকের চ�োখে দেবেন মুখুজ্যে এখন নন-এন্টিটি”। ব্যাপারটা হাল্কাভাবে আল�োচিত হলেও প্রলয় বেশ দু ঃখ পেয়েছিল, কৈশ�োরের দেবতার এমন করুণ পরিণতি স্পষ্টতই মনভার করেছিল। সেও হয়ে গেল বছর খানেক। এয়ারপ�োর্টের অ্যারাইভাল লাউঞ্জে হুইলচেয়ারে বসা অশীতিপর সঙ্গীতসাধককে আবিস্কার করে প্রলয় বেশ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছিল। দেবেনবাবুর হুইলচেয়ারের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে এক যু বক, আত্মীয়ই হবে নিশ্চয়। এগিয়ে আসা প্রলয়ের দিকে স�োজাসু জি চ�োখ মেলে তাকাল�ো সেই যু বক। খানিকটা বিস্ময় সেই চ�োখে, “আপনি দাদু কে চেনেন?” একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল প্রলয়ের। “অনেকদিনের সম্পর্ক আমাদের” – নীচু হয়ে বৃ দ্ধের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম শেষ করে বলল প্রলয়- “একটু ওঁর সঙ্গে এক্সিট গেট পর্যন্ত যেতে পারি? অবশ্য যদি অনু মতি দেন…”। খানিকটা অপ্রতিভ হল যু বক, “আরে না না, কিছু মনে করবেন না, আসলে দাদু কাউকে চিনতে পারেন না আর ওঁকেও অনেকদিন কেউ চেনেন না। তাই বেশ অবাক হয়েছিলাম। বেশ ত�ো, আপনি আসু ন না আমাদের সঙ্গে”। কর্পোরেট বস প্রলয় রায়চ�ৌধু রী পরম মমতায় বৃ দ্ধের হাতে হাত রেখে স্বগত�োক্তি করল “অবশেষে ছু ঁলাম ত�োমায়…”। হেমন্তের আল�োয় গানভঙ্গের ছবি আঁকা শেষ হল।
www.batj.org
Durga Puja 2021
41
স্মৃতির পাতা থেক
- শমিত রায়
সা
লটা ১৯৮৬ জুন মাস, তারিখটা ঠিক মনে নেই ! কিছু দিন হল�ো ইন্ডিয়ান অক্সিজেন লিমিটেড-এ চাকরিতে ঢুকেছি। গ্রেড-৫ অফিসার, ডেসিগন্যাশন একাউন্টেন্ট, প�োস্টিং কলকাতা ব্রাঞ্চে, মানে ম�োমিনপুর। আমাদের হেড অফিস তারাতলাতে। কিন্তু আমরা সেখানকার ডাক পেলে একটু ভয়ে থাকতাম, কি না জানি গন্ডগ�োল আবার বাধল�ো।
একটা জালিয়াতির ঘটনা ঘটল কলকাতা ব্রাঞ্চে এবং ঘটনাটি গ�োচরে আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে হেড অফিস থেকে ডাক। আসলে ডাক এসেছিল�ো আমার বস রিজিওনাল ফিনান্স ম্যানেজারের, কিন্তু তিনি কায়দা করে ট্যুরের অজুহাত দেখিয়ে কেটে পড়ে আমাকে বাঘের মুখে পাঠালেন। দেখা করতে হবে চিফ এক্সেকিউটিভ-ফিনান্স, শেখর রায় সাহেবের সঙ্গে। লাঞ্চ এর পর প্রয়�োজনীয় কাগজপত্র নিলাম এবং ঠাকুরের নাম নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম ম�োমিনপুর থেকে তারাতলার উদ্দেশ্যে। বেশ ভয় ভয় করছিল�ো ! একে ওনার সঙ্গে আমার পরিচয় সেই জয়েনিং এর সময়, তার উপর শুনেছি খুব কড়া ধাঁচের ল�োক। মনে মনে বেশ রাগ হচ্ছিল�ো আমার বসের উপর আমাকে এই একা ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এই ভাবতে ভাবতে কখন যে পনের�ো মিনিট কেটে গেছে আর ট্যাক্সি এসে দাঁড়াল�ো তারাতলার হেড অফিসে। শেখর রায় সাহেবের সেক্রেটারি মিসেস লাংরানার সাথে দেখা করলাম। নিজের পরিচয় দিয়ে জানালাম যে রায় সাহেব আমাকে ডেকেছেন। দারুন মহিলা এই মিসেস লাংরানা। অ্যাঙ্গল�ো ইন্ডিয়ান, বয়স বছর পঞ্চাশের কিছু বেশী হবে, কিন্তু খুব স্নেহপ্রবন মনে হল�ো। ওনার সিট-এর উল্টো দিকে বসতে দিয়ে বললেন “বস ইজ ইন এ মিটিং, ইউ উইল বি কলড”। ইন্টারকম’এ চা-এর অর্ডার দিলেন। কিছু ক্ষনের মধ্যে চা এল�ো। আমরা চা খেলাম এবং স�ৌজন্য বিনিময় করলাম। ওনার ছেলেমেয়েদের গল্প করলেন। আমাকে হয়ত�ো দেখে আন্দাজ করছিলেন যে আমি খুব টেনশনে আছি। বললেন ভয় বা টেনশনের কিছু নেই। সাহেব কাজে কড়া, কিন্তু খুব ভাল�ো মানু ষ। কিছটা স্বস্তি পেলাম, কিন্তু ভয় পুর�োপুরি কি আর দূ র হয়। আমাদের কথার মাঝে মিসেস লাংরানা উঠে গিয়ে বসের দরজা ফাঁক করে ফিরে এসে বললেন যে মনে হয় বেশ কিছু সময় এই মিটিং চলবে। তুমি বরং নিচের তলায় ফিনান্স ডিপার্টমেন্ট এর অফিসে গিয়ে বসতে পার�ো। ওখানে ত�োমাদের লাইনের ছেলে পাবে, তাদের সঙ্গে আলাপ করে ভাল�ো লাগবে। এই বলে উনি ইন্টার কমে কাকে যেন ফ�োন করে বললেন আমার কথা। আমায় বললেন চলে যাও নিচে, আমি বলে দিয়েছি। আমি নিচের তলায় ফিনান্স ডিপার্টমেন্টে এসে পৌঁছে গেলাম চিফ এক্সেকিউটিভ-এর অফিসে। এক ভদ্রল�োক কি একটা কাজ করছিলেন, পরিচয় দিতেই আমাকে তার উল্টো দিকের সিটে বসতে অনু র�োধ করলেন। পরিচয় দিয়ে বললেন যে উনি এক্সেকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট টু চিফ এক্সেকিউটিভ-ফিনান্স, নাম সু শীল হ�োড়। জানালেন যে উনি ইউ.কে থেকে এ.সি.এম.এ করে বিলেতে চাকরি করতেন। পারিবারিক প্রয়�োজনে বিলেত ছেড়ে ইন্ডিয়াতে এসেছেন। আমাকে বললেন তুমি আমাকে হ�োড়দা বলে ডাকতে পার�ো। বললেন কাজের খুব চাপ তাই উনি হয়ত�ো সবসময় আমার সাথে কথা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আমি বললাম তাত�ো ঠিক। এই বলে মনে একরাশ ভয় নিয়ে যে কখন রায় সাহেবের ডাক আসে, আমি হ�োড়দার কাজ দেখতে থাকলাম। দেখলাম যে ভদ্রল�োক প্রায় সব কাগজের ফট�ো কপি করছেন। হয়ত�ো কিছু টা লজ্জায় জানালেন যে রায় সাহেব বলেছেন যে সব কাগজের কপি হেড অফিসে থাকা চাই, তা সে দরকারি অদরকারি যে নথি হ�োক। আরও একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে প্রতিবার ফট�োকপি করার পর হ�োড়দা কপিটা অরিজিনাল-এর সাথে মিলিয়ে নিচ্ছেন। বেশ কিছু ক্ষণ এই দৃ শ্য দেখার পর আর না পেরে হ�োড়দাকে জিজ্ঞাসা করে বসলাম যে আপনি বার বার এই কপি অরিজিনাল-এর সাথে মেলাচ্ছেন কেন ? এটা সময়ের অপচয় নয় কি? হ�োড়দা বেশ গম্ভীর ভাবে বলল�ো, ভাই হে, ত�োমরা ত�ো ব্রাঞ্চে কাজ কর�ো, হেড অফিসে কাজ করার জ্বালা জান�োনা। বুঝলে ভাই, একবার রায় সাহেবকে ফট�োকপি করে দিয়েছি। আর তখনই মেশিনে কালির কিছু সমস্যা ছিল। রায় সাহেব ত�ো সেই কপি নিয়ে মিটিং-এ ঢুকেছেন, তারপর কিছু ফিগার স্পষ্ট ছিল�োনা বলে রায় সাহেবের মিটিং-এ খুব অসু বিধা হয়েছিল। মিটিং থেকে বেরিয়েই আমার খ�োঁজ। কার মুখ দেখে সেদিন যে উঠেছিলাম ভাই, রায় সাহেবের সে ঝাড় আমার আজও মনে আছে। আমাকে ত�ো এও বলেছিলেন যে আপনাকে কি কাজ দেব বলু নত�ো ? আপনি ত�ো একটা ফট�োকপিও ঠিকমত�ো করতে পারেন না। সেই থেকে বুঝলে ভাই, আমি সব সময় ফট�োকপি অরিজিনাল-এর সাথে মিলিয়ে দেখে নেই যে সব ঠিক আছে কি না। এতক্ষনে হ�োড়দার সঙ্গে বেশ বন্ধু ত্ব হয়ে গেছে। দেখলাম কাজ যাই করুক না কেন বেশ দিলখ�োলা ল�োক। মনে মনে ভাবলাম যে যতই হ�োক অনেকদিন ইউ.কে তে ছিলেন বলে হয়ত�ো এত�ো উদার। হ�োড়দা আমাকে এবার আস্বস্ত করে জানাল�ো যে রায় সাহেব বাইরে খুব কড়া হলেও, খুব ভাল�ো মনের একজন মানু ষ, কার�ো ক্ষতি করেন না। তবে উনি মিথ্যা কথা বা বানিয়ে গল্প বলা ম�োটে সহ্য করেন না। আমাকে হ�োড়দা উপদেশ দিলেন যে আমি যেন ঘটনা বিকৃত না করে আমার যা জানা তাই যেন জানাই এবং সেক্ষেত্রে আমার ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিছু ক্ষনের মধ্যে আমার ডাক পড়ল�ো। ভয়ে ভয়ে ঢুকলাম রায় সাহেবের ঘরে ! দেখলাম স্যুট - টাই পরা এক বিশিষ্ট ভদ্রল�োক। আমাকে বসতে বললেন এবং ডাকতে দেরি হওয়ার জন্য দু ঃখ প্রকাশ করলেন। তারপর সম্ভবত পরিবেশটা হালকা করার জন্য আমার নানা রকম খবরাখবর নিলেন, বাড়ির এবং কাজের ব্যাপারে। এরপর জালিয়াতির ঘটনাটি আমি যেমন জানি জানালাম। রায় সাহেব আমাকে পরবর্তী পদক্ষেপে কি করা উচিত বুঝিয়ে দিলেন। যে ভয় নিয়ে গেছিলাম কেটে গেল�ো। আমাদের মিটিং আধ ঘন্টা মত চলার পর ছাড়া পেলাম। মিসেস লাংরানাকেও বিদায় জানাবার পর, ভাবলাম যে হেড অফিস ছাড়ার আগে একবার হ�োড়দার সাথে দেখা করে যাই। ঘরে ঢুকে দেখি যে হ�োড়দা ফট�োকপি করে যাচ্ছেন আর সেই কপি অরিজিনাল এর সঙ্গে মিলিয়ে যাচ্ছেন। প্রয়�োজন ছিল�োনা, তাও কি জানি কেন হ�োড়দাকে মিটিংয়ের ব্যাপারটা সংক্ষিপ্ত আকারে জানালাম। মনে হল আমার রায় সাহেবের সাথে মিটিং ভাল�োয় ভাল�োয় কেটেছে শুনে হ�োড়দা খুব আস্বস্ত হয়েছেন। এরপর সেদিনের মত হেড অফিস ছেড়ে আবার আমার ম�োমিনপুরের ব্রাঞ্চ অফিসে ফিরে এলাম। এরপর হ�োড়দার সাথে বহুবার নানা কাজে দেখা হয়েছে, কিন্তু সেই প্রথম সাক্ষাতের কথা আজও আমার চ�োখের সামনে ভাসে।
42
Anjali
www.batj.org
শিক্ষ
- আশা দাস
শি
ক্ষা বলতে বিশেষ ক�োন প্রক্রিয়া ব�োঝায় না। ব�োঝায় শুধু একটি ক্রম পরিণতি ব�োধ ও অনু ভূতি, যা হল�ো শিক্ষার পরম সামগ্রী। যা কিছু ই জীবনে আসু ক না কেন তাকে নিবিড় করে অনু ভব করার মধ্যে যে সাধনা আছে সেটাই হল�ো শিক্ষার একটি বিশেষ পরিণতি। সব কিছু কে কুড়িয়ে নিতে হবে জীবনের পথে চলতে চলতে।
নানান রঙের ফুলে সাজি ভরতে হবে। ক�োন ফুল সূ র্যের কিরণে স্নাত আবার কেও বা অশ্রু শিশিরে সিক্ত, যা দিয়েই সাজি ভ�োরে উঠু ক না কেন সবইত�ো তাঁরই পূ জায় লাগে। তাই শিক্ষা মানু ষ কে জীবন নদীর তীরে দর্শকের ভূ মিকায় দীক্ষিত করতে পারে। সেখানে নেই আসক্তি, নেই ক�োন�ো চাওয়া পাওয়ার হিসাব নিকাশ, আছে জীবনের পরিণতির পথে অভিযান। শিক্ষার লক্ষ্য কেবল সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ বিধান নয়, তার অন্যতম লক্ষ্য হল�ো আধ্যাত্বিক জীবনের পথে উত্তরণ। জীবনের রিক্ততাকে তুচ্ছ করে পূ র্ণতার প্রতীক্ষায় প্রহর গ�োনা যদি মানু ষের লক্ষ্য হয়, তাহলে সেই প্রতীক্ষা ক�োন�ো দিনই ব্যর্থ হয় না, প্রতীক্ষার মধ্যেই আছে সাধনার ইঙ্গিত। জীবনের নৈরাশ্য, বিশাদ ও দু ঃখের অন্ধকূপ থেকে উদ্ধার পেতে হলে কামনা বাসনার বেড়াজাল থেকে মুক্তির প্রয়�োজন। অতএব শিক্ষা আমাদের অন্ধকার থেকে আল�োর পথ প্রদর্শক।
ॐसह नाववतु। सह नौ भुनक्तु । सह वीर्यं करवावहै। तेजस्वि नावधीतमस्तु मा विद्विषावहै। ॐ शान्ति:शान्ति:शान्ति:।।
www.batj.org
Durga Puja 2021
43
���������
ঘ
- আগমনী পাঠক
রের ক�োনে ছ�োট্ট চেয়ারটার হাতলে নীহারিকা বসে একমনে বাইরের টগরফুলের গাছের দিকে চেয়ে আছে। ওগুল�ো দেখতে ওর ভীষণ ভাল�ো লাগে। ওদের দ�োতলার ঘরের দু ই জানালা থেকেই নিচের ভাল�ো দাদু দের উঠ�োনের গাছটা দেখা যায়। ঘুম ভাঙলেই খ�োলা জানালা দিয়ে ওই গাছ ও সাথে ওর ছ�োট্ট ছ�োট্ট সাদা ফুলগুল�ো দেখতে পায়। মা খুব ভ�োরে ওঠে, নীহা উঠতে পারে না অত ভ�োরে তবে সকালের প্রথম র�োদ্দুরটা ওর মুখে লাগলেই ঘুম থেকে উঠে পড়ে। তারপর নীহারিকা মুখ হাত ধু য়ে চ�ৌক�ো টিনের বাক্স থেকে নিজের বই খাতা বের করে পড়তে বসে। ও এখন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী। আজকাল পড়াশ�োনায় মন দিয়েছে দেখে ওর মা এসে বলল, “কিরে, স্যার বকেছেন বুঝি?” “না, বকেনি। আমি ত�ো সব পারি, কিন্তু আমার নতুন বন্ধুদের মত এত্ত এত্ত ছড়া পারি না। আর মা ওরা সব অন্য অন্য দেখতে অক্ষরগুল�োও বলে দেয়। আমি পারি না” “বলছি, আগে দু ধ টুকু খেয়ে নে” এই বলে নীহার মা, নীরা সকালের ব্যস্ত সময়েও মেয়ের মাথায় গায়ে একটু স্নেহের পরশ ছু ঁইয়ে দিলেন। “ওই অন্য অন্য দেখতে অক্ষরগুল�ো আজ রাতে ত�োকে শিখিয়ে দেব। আর ছড়া ভাল�ো লাগলে মুখস্থ বলবি, না লাগলে পড়লেই হবে। অন্যদের অত দেখতে নেই মা।” মেয়ে কিছু কথা শুনল, কিছু কথা আর তার কানে গেল না। “মা, দেখ আমার সাদা গ�োঁফ!” ঘন দু ধের ফেনা ঠ�োঁটের উপরে লাগিয়ে নিয়ে গ�োঁফ বানান�োয় একটা আলাদা আনন্দ পায় নীহা। “পাগলি একটা। এবার স্কুলের সব পড়া শেষ করে ফেল।” “এখন সাতটা দশ। তাই ত�ো!” “বাহ!” নীরা খুব দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেল। সকালের সমস্থ কাজ গুছিয়ে করা, তারপর খামার বাড়িতে গিয়ে নানান সব্জির চারাগাছগুল�োতে জল দেওয়া, সব সকাল ছটার মধ্যে মিটিয়ে ফেললে তবেই নীরা ওর একটুকর�ো মুক্ত বাতাসকে ঘরে ঢ�োকাতে পারবে। এমনটাই ওর শাশুড়িমার হুকুম। তাঁর হুকুমের নড়চড়ের ক�োন উপায় নেই ওর এই সংসারে। নীরা নিচতলার বসার ঘরে যখন নেমে এল তখন সেই ঘর ভর্তি করে বসে আছে এক দল ছাত্র ছাত্রী। এটাই নীরার একটুকর�ো মুক্ত বাতাস। শাড়ীর আঁচলে নিজের হাতটুকু মুছে নিয়ে ওদের পড়াতে সকলের মধ্যমনি হয়ে বসল। নীরা ও ওর স্বামী দু জনেই প্রাইভেট শিক্ষক। তবে মাস খানেক হল নীরার স্বামী বেশ কিছু দূ রের একটা সরকারি অফিসে ক্লার্কের চাকরি পেয়েছে। চাকরি পাওয়ার এক পক্ষের মধ্যেই শাশুড়িমার হুকুম এসেছিল, সংসারে এখন আর যখন খাওয়া পরার অভাব হবে না, বউমার ওই ছেলে পড়ান�োর ক�োন প্রয়�োজন নেই। সেইদিন নীরা কিছু বলতে যাওয়ার আগেই ওর স্বামী বলেছিল, “তা হয়না মা। এই পড়ান�ো আমাদের শুধু পেশা নয়, শখ!” এটুকুতেই বাড়ির কর্ত্রীর আগুন রঙা চ�োখ নীরা দেখেছিল, একটু ভিতু নীরা কেন জানে না সেদিন আর ভয় পায়নি ওই দৃ ষ্টিতে বরং খুশি হয়েছিল স্বামী তথা বন্ধু র অদৃ শ্য ভরসার হাতে হাত রেখে। কিন্তু সেদিনের পর থেকে নীরার কাজের তালিকা আরও দীর্ঘ হল। এখন নীরাকে ভ�োর সাড়ে চারটের পরিবর্তে প�ৌনে চারটের সময় উঠতে হয়। সংসারের অশান্তি ওর একেবারেই নাপসন্দ তাই সবই মেনে নেয়। নীহারিকা বয়সে অনেকটা ছ�োট, সংসারের এইসব ব্যাপার ও ব�োঝে না। তবে কারণে অকারণে ঠাকুমার ওর মার প্রতি ঝাঁঝাল�ো বাক্যগুল�ো ওর মনে বিশাল এক প্রাচীর তৈরি করতে থাকে। সেই প্রাচীর ঠাকুমা নাতনির চিরাচরিত স্বাভাবিক মিষ্টি সম্পর্কের মাঝেই নির্মিত হয়ে চলে। নীরা চেষ্টা করে অনেক এই খুঁটিনাটির প্রভাব যাতে ওই ছ�োট্ট মেয়ের উপর না পড়ে, কিন্তু বাড়ির অন্যেরা সেটা ঠিক ব�োঝে না। ** “কি রে আজ এত তাড়াতাড়ি ফিরে এলি কেন?” “না, ভাল�ো লাগছে না আর খেলতে” নীরা হাতের কাজ ফেলে মেয়েকে একটু আদর করে আবার বলল, “কী হয়েছে মা?” এবার ঠ�োঁট ফুলিয়ে নীহা বলল, “ওরা আমায় খেলতে নেয় না মা, আমাকে খালি এলেবেলে করে দেয়” “ওহ ! এই ব্যাপার? এতে কাঁদে না মা। যা, উপরে গিয়ে খেলা কর!” মন খারাপ করে উপরে উঠে জানালার পাশে বসে টগরফুল দেখছে। মনে মনে খুব চাইছে, একটু বড় হতে। তাহলে অনেক এমনকিছু ই ও করতে পারবে, এই যেমন অনেক জ�োরে দ�ৌড়াতে পারবে, লম্বা লম্বা কাল�ো চুল হবে। আর ওড়না মাথায় লাগিয়ে নকল চুল করতে হবে না। ব্যাগ নিয়ে ঘড়ি পরে বাইরে যেতে পারবে একাই! কত্ত মজা হবে তখন। “নীহা। এই নীহা ক�োথায় আছিস?” এই ডাকটা নীহার খুব চেনা, মেস�োমশাই এসেছে। নীহার মাসির বাড়ি ওদের বাড়ির খুব কাছেই, তাই প্রায়ই মাসি মেস�ো আসে বা ওরা যায়। নীহাকে মাসি মেস�ো খুবই ভালবাসে। প্রায়ই মেস�োর হাত ধরে ও বেড়াতে যায়, আর শাঁখ সন্দেশ খায়! কখনও কখনও পান্তুয়াও খায়। এগুল�ো খুব প্রিয়। ফেরার পথে মাসির কাছে সন্ধ্যের জলখাবারটা উপরি পাওনা। আজ উপর থেকে নামতে নামতে মাসির গলা পেল�ো। “দিদি, তুইও রেডি হয়ে নে। আজ ডাক্তার দেখিয়ে নিবি আর আমাদের সাথে একটু ঘুরেও আসবি!” “মাসি, কে ডাক্তারের কাছে যাবে? মা? কী হয়েছে?” 44
Anjali
www.batj.org
���������
“কিছু না স�োনা। ত�োমার ত�ো সর্বক্ষণের বন্ধু আসবে, তাই ডাক্তার কাকু দেখবে ওরা ঠিক আছে কিনা।” নীহা ঠিক বুঝল না। ভ্রু কুঁচকে বলল, “কে আসবে?” “ত�োর ভাই বা ব�োন হবে রে! সবসময় খেলবে ত�োর সাথে! সে এখন মায়ের পেটে অপেক্ষা করছে। তাই ডাক্তারের কাছে যাব। বুঝলি?” “সত্যি! আমাকে আর কেউ এলেবেলে করলে আমি ত�ো বুড়�ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলে আসব! বাড়িতেই অনেক খেলা করব ওদের সাথে!” হাততালির মত করে দু ই তালু একে অপরের সাথে ঠেকিয়ে বলল। “বউমা!” ঠাকুমার আওয়াজ শুনল নীহা। আর ওর মা, নীরা সাথে সাথেই ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। “আজ আমার বাতের ব্যাথাটা বেড়েছে। সন্ধ্যাপ্রদীপ দিতে পারব না।” “আমার ত�ো ডাক্তার দেখিয়ে ফিরতে সাতটা হয়ে যাবে! আচ্ছা আমি দেওরভাইকে বলে দিচ্ছি ওই একটু সন্ধ্যা বাতি জ্বেলে দেবে।” “কি! বাড়ির বউ থাকতে বাড়ির ছেলেরা! এমন অমঙ্গলের কথা বল কি করে তুমি! ঠাকুর ঠাকুর, অপরাধ নিও না” এহেন বাক্যবানে নীরা কেমন যেন চুপ হয়ে গেল। বুঝে উঠতে পারল না, একটা সাধারন আচার কেমন করে আর একজনের স্বাস্থ্য হতে বড় হতে পারে! তবুও নীরা বলল, “আপনিই একটু বাতি জ্বেলে দেবেন, নয়ত আমি এসেই দেব। কিন্তু আজ না গেলে হবে না। একমাসের চেষ্টায় ওরা অ্যাপয়েনটমেন্টটা পেয়েছে” নীরা এরপর আর ওই ঘরে দাঁড়ায়নি। তবে গুজগুজানি ঠিকই কর্নকুহুরে প্রবেশ করল। ** দু ই দিন পর “দেখে যাও, বাড়ির বউ কেমন করে সকলের সহানু ভূতি নিচ্ছে। সব ল�োক দেখান�ো। আমরা যেন পেটে ধরিনি। মহারানী এই প্রথম” ঠাকুমার উচ্চ স্বর কানে গেল নীহার। নীরাদের বাড়ির জলের কল খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই আজ ও নিজেই জল ভরতে গিয়েছিল সরকারি টিউবওয়েল থেকে। বালতি ভর্তি জল আনায় যদিও ডাক্তারের মানা আছে তবুও এমন অনেক কাজই নীহার বাবা অফিস চলে গেলে ওর ঠাকুমা ওর মাকে দিয়ে করায়। নীরাও অশান্তি আর নিন্দার ভয়ে করে। আজ পর্যন্ত কিছু না হলেও আজ অসাবধানে ভর্তি বালতি নিয়ে আছাড় খেয়ে পরেছে। সেটা দেখে এসেই উপর�োক্ত বাক্যবাণে বাড়ি মুখরিত করে তুলেছে ওর ঠাকুমা… ও মায়ের কাছে যাবে বলে বাইরে বের�োচ্ছে, দেখল ওর ভাল�ো দাদু আর সাথে আরও দু একজন বউরা মিলে ওর মাকে ধরে নিয়ে আসছে। যে মাকে ও ক�োনদিন কাঁদতে দেখেনি আজ তার দু ই চ�োখ ব্যাথায় জলে ভরা … ভাল�ো দাদু নীহারিকাদের প্রতিবেশী। সম্পর্কে ওর বাবার জেঠু হন উনি। উনিই ডাক্তার ডাকলেন, ওর বাবাকে খবরও দিলেন। যদিও নীরা বা তার গর্ভের সন্তানের কিছু বিশেষ ক্ষতি হয়নি, কিন্তু নীহারিকার মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেল। ও আর খেলার ছলেও বড় হতে চায় না। মাথায় ওড়না লাগিয়ে লম্বা চুলও বানায় না। এখন ও একটা ছ�োট্ট খাতায় অনেক কিছু লিখে রাখে। তারই একটা পাতায় লেখা, “আমি কখনও বড় হতে চাইনা। বড় হলে অনেক কাজ করতে হয়, ঠাকুমার বকা খেতে হয়। আমি সবসময় মায়ের ছ�োট্ট মেয়ে হয়ে থাকব। বড়রা সবসময় বলে হিংসা কর না, ঝগড়া কর না, কিন্তু এগুল�ো বড়রা কেন মানে না? তাই আমি বড় হব না কখনও। র�োজ মায়ের আদর খাব। আর শাঁখ সন্দেশ খাব” ঝ�োড় হাওয়ায় উল্টে যাওয়া খাতার পাতায় অক্ষর গুল�ো নীরা পড়ল। বাইরে হাওয়া বইছে, একটা নিঃশব্দ ঝড় ওর জীবনেও আসছে, অসময়ে বড় হয়ে যাওয়া ছ�োট্ট নীহাকে ওর সঠিক শৈশব দিতে হবে। সবসময় চুপ থেকে ও যে সেটা করতে পারবে না … ভুলটা ভুল, লজ্জা, অশান্তি বা নিন্দার ভয়েও অন্যায়টাও ক�োনভাবে ন্যায় হতে পারে না।
www.batj.org
Durga Puja 2021
45
বাড়ি
যে
- দুহিতা সেনগ
সব বাড়ির দিকে মাথা তুলে তাকাতে হয়, যেসব বাড়িতে অন্ধকারে একটা জানলা জুড়ে থাকে নীল মায়াবী আল�ো। যেসব বাড়ির দরজা লেপ্টে আগলে থাকে ব�োগেনভেলিয়ার দল। যে সব বাড়ির সদর দরজার ফাঁকে ফাঁকে গর্জন লিখে যায়, বার�ো বছরের জীব। যে সব বাড়ির অবসর থাকেনা, শুধু ঝুল বারান্দায় অবসরের ঝুলন গাঁথা থাকে। যে সব বাড়ির ছাদের বাগান, মালির শখের। যেসব বাড়ির ইটে ইটে কাঠা আর স্কোয়ার ফিট এর হিসেব লেখা। যেসব বাড়ি, এক বা একাধিক মানু ষ ধরে, যেসব বাড়ির ঠিকানা থাকে। এ সেই গ�োত্রের নয়। সে এক ঘরের বাড়ি। দূ র থেকে দেখে লাগে নীল পলেস্তারা ঢাকা, গাঢ় নীল। এত শক্ত ও সু ঠাম ভাবে ঢাকা যে বাড়ির আকার বাইরে থেকেও স্পষ্ট। তবে জানলা, দরজা ক�োথায় কি ঠিক ঠাহর করা যায়না। ব�োঝা যায় একতলা। আজকালকার বেশির ভাগ কনস্ট্রাশনগুল�োর মত�ো, স�ৌন্দর্যের খাতিরে অকারণ আকার বিকৃতি চড়াই উতরাই চ�োখে পড়েনা। শুরু থেকে খানিক আসার পরে একবার প্রস্থের সংক�োচন, তারপর বাকিটা প্রায় এক প্রস্থের আয়তক্ষেত্র। দৈর্ঘ্যে বেশ খানিক। পলেস্তারা হঠাৎ সরে যায়। সরাতেই চ�োখে পড়ে, ঘরে একাধিক জানলা দরজা, চিমনি ও ডিটক্সিফিকেশন এর জন্য প্রয়�োজনীয় গাছগাছালি বর্তমান। ছ�োটবেলা যেমন বাড়ি আঁকতাম, ন্যূনতম প্রয়�োজনীয় কিছু উপাদান ম�োড়া একটা বাড়ি। দু ট�ো জানলা, একটা দরজা, ছাদ, ছাদের থেকে রান্নাঘরের ধ�োঁয়া বহির্গমন পথ, পাশে একটা কলাগাছ ও তার তিনটে পাতা। দরজার ঠিক সামনে থেকে একটা রাস্তা এঁকে বেঁকে আঁকার খাতা ছাড়িয়ে বেরিয়ে গেছে, ক�োথায় গেছে কেউ জানেনা। এ বাড়ি ও ঠিক সেই ন্যূনতম প্রয়�োজনের উপাদান নিয়েই। বাইরে থেকে ভেতরে একাধিক হাওয়া বাতাস চলাচলের পথ, দরজা ও দরজা সংলগ্ন বাগান। ছাদ, বাড়ির সংরক্ষণ এর মূ ল কারখানা, তাই তারও সঠিক যত্নমাফিক, শীত গ্রীষ্মের সরাসরি প্রক�োপ এড়াতে, প্রয়�োজন মত�ো গাছ গাছালি বা আগাছায় ম�োড়া। এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি য�োগায�োগ রাখে দরজা- জানলারা। বাইরে ও ভেতরে তার প্রতিরক্ষার একাধিক প্রক্রিয়া বর্তমান। দু ট�ো জানলার ওপর যত্নে লাগান�ো কাল�ো ঘাসের বেড়া, জানলার pane ধরে সাজান�ো sacculent। বন্ধ করলেও ওই জানলা দেখা যায় যেন আমার জানলা দিয়ে। প্রত্যেক বাড়ি একটা করে মানু ষ ধরে, আর প্রত্যেক মানু ষ, নিজেদের কে বাড়ি ভেবে বসে। একটা বাদামি রঙের একতলা বাড়ি। ফুটপাথের রেলিং ঘেঁষে একটা বালিশ আর একটা মাদু রের ওপর শুয়ে থাকে, প্রতি রাতে আপাদমস্তক নীল চাদর ঢেকে। ওরা ঠিকই বলে, এ শহরে মাথা গ�োঁজার জায়গার অভাব হয়না।
46
Anjali
www.batj.org
অবয়বহীন দৈত্য
- পূ র্ণিমা ঘোষ
তুমি অবয়বহীন, এ ধরাকে করেছ�ো অধিকার তুমি বহুরূপী রং বদলাও, ত�োমায় ব�োঝা ভার। বাড়াচ্ছো ত�োমার শক্তি যত পাচ্ছো নানান নাম আলফা- বিটা- গামা- ডেল্টা, এ কি আগে জানতাম ? দাপিয়ে কাড়ছ�ো মা বাবা কি যে
তুমি বেড়াচ্ছো, ভয়ে কাঁপছে সব দেশ জীবন, বন্দি সবাই, সব কিছু কি হবে শেষ? হারা কত শিশু, রুজি হারা কত শত হবে ? বাঁচবে কিসে ? ভেবে পায় না প্রতি নিয়ত।
হাত ধ�োয় সবে স্যানিটাইজারে, সব থানে তা বিরাজমান মাস্ক মুখে আজ সবাই ঘ�োরে, এ ও ত�োমারই অবদান। বাতাসে অক্সিজেন, তবু রুগী ভ�োগে প্রশ্বাসে ডাক্তার নার্স পায় না ভেবে কষ্ট কমাবে কিসে ? বন্ধ স্কুল, বন্ধ বাজার, বন্ধ সব লক ডাউনে , খেলার মাঠে খেলতে মানা, ছেলে মেয়ের কষ্ট মনে। নির্বিবাদে ঘুরছ�ো তুমি, বন্দি সবাই যে যার ঘরে ত�োমার লীলায় অফিস বন্ধ, এ লীলা কে বুঝতে পারে ? ত�োমার জন্ম -ইতি কেউ কি জানে ? মরে সবে ত�োমার ত্রাসে ; বেশত�ো হল�ো, যাও না ফিরে, যাও তুমি ত�োমার দেশে।
www.batj.org
Durga Puja 2021
47
ছেলেবেলার রথ ����������������� শুভ সকাল ভাই সকাল সকাল ত�োর মেসেজটা পাই আজ রথ, সেই ছেলেবেলার রথ। পুরন�ো সেই দিনের কথা এখন�ো যেন স্মৃতি তে গাঁথা, আজ আবার সেই রথ টানার দিন। ঘরের ক�োন�ো এক ক�োণে খবরের কাগজে বা প্লাস্টিকে জড়ান�ো, তিন তাক এর সেই রথ আজ বের�োবে রাস্তায়। লাল নীল কাগজ, ফুল, ম�োমবাতি বা চাইনিজ টুনি বাল্ব দিয়ে সাজান�ো রথে জগন্নাথ দেব বের�োবেন বৈকালিক ভ্রমণে বছরে এক দিন কলকাতা বেড়ান�োর সু য�োগ, এরকম কি পাওয়া যায় র�োজ র�োজ? ইস্কন না মাহেশ হবে আজ কত রথের রেস হাঁ করে দাড়িয়ে আছি বেশ রথ দেখার অপেক্ষায় গড়িয়াহাট ম�োড় নাহ একদম হচ্ছি না যে bore ! কলকাতার যত গলি পথ বিকেল হলেই তাতে নামবে অগণিত রঙিন রথ। যদি বৃ ষ্টি না বাধ সাধে !
আজ calorie control, দাতে ব্যাথা এগুল�ো খাওয়া যেন আপদ বালাই। সময় বদলেছে, অভ্যাস বদলেছে বদলেছে চিন্তা ধারা কিন্তু অনু ভূতি গুল�ো মাঝে মাঝে জাগে তারা সু প্ত আগ্নেয়গিরির মত গায়ে কাঁটা দেওয়া স্মৃতি যত।
এখন�ো যদি বৃ ষ্টি আসে রথে মনটা যেন�ো কাঁদে। চ�োখ বন্ধ করলে দেখতে পাই সারি সারি গ�োলাপী, হলু দ মঠ, ফুট করাই
চল আজ মনে মনে রথ টানি ভাই। সেই সংকীর্ণ গলি গুল�ো আজ ঘুরে বেরাই। তেলে ভাজা আর মুড়ি খাই। অনেক পেতে পারি ওই রাস্তায়। আরে না না চাঁদা নয় রে হাদা দেখতে চাই কিছু পুরন�ো মুখ র�োমন্থন করার সে যে কি সু খ রথের দিনের অলীক কল্পনা করে মনের মধ্যে আনাগ�োনা। যাই কে যেন�ো ডাক দিল Perhaps Duty calls এল�ো! আমাদের জীবনের রথ ঠেলা শেষ হলে চল টানব�ো আর একবার সেই ছেলেবেলার রথ। 48
Anjali
www.batj.org
বাবা বাবার হাত ধরেই আমার প্রথম চলতে শেখা, বাবার হাতের আঙ্গুল ধরেই প্রথম স্লেটে লেখা। প্রথম যেদিন বাবার মত স্লেটে “অ” লিখি, বাবার চ�োখে ছিল জল অবাক চ�োখে দেখি। বাবার কাছেই প্রতিদিন হ�োত আমার নাওয়া, অফিস যাবার আগে বাবার আমায় খাইয়ে যাওয়া। অফিস ফেরত সন্ধ্যাবেলা আমার জন্যে কিছু আনত�ো বাবা, আমি তখন নিতাম বাবার পিছু । আদর করে বাবা যখন নিত আমায় ক�োলে, মা তখন অনেক কিছু বাবাকে দিত বলে। আমি যখন হলেম বড় পেলেম রঙিন বই, বাবার কাছেই প্রথম ছড়া মুখে আধ�ো ফ�োঁটা খই। বাবার ক�োলে চড়েই আমার প্রথম যাওয়া স্কুল, সেদিন টবে ফুটেছিল প্রথম বেল ফুল।
আমার পড়া দেখে বাবা মুখ টিপে শুধু হাসে। এখনও ত�ো বাবা আমার থাকে সদাই পাশে, ভুলগুলি সব শুধরে দেয় বুক ভরে বিশ্বাসে। বাবাকেই যে বলতে পারি মনের যত কথা, বাবাই যেন বুঝতে পারে মনের যত ব্যথা। বাবাই আমার বন্ধু প্রিয় আমার মনের মানু ষ, বাবাই এঁকে দিয়েছে মনে স্বপ্নের রঙিন ফানু স। বাবার কথা - “ঘুমিয়ে তুমি স্বপ্ন দেখ�ো না, স্বপ্ন দেখ�ো জিনিস এমন যা ঘুম�োতে দেয় না। আজ তুমি হয়েছ�ো যা তাই গতকালের জন্য, আজ যা করবে তুমি আগামীতে পাবে তা মান্য।” বাবা যেন এমনি করেই আগলে আমায় রাখে, সারা জীবন বাবা যেন পাশে আমার থাকে। বাবা আছে বলেই আমার নিশ্চিন্তে পথ চলা, সারা জীবন জড়িয়ে যেন থাকি বাবার গলা।
“দিনের শেষে ঘুমের দেশে” বাবার মুখে গান শুনে শুনে বাবার ক�োলে ঘুমিয়ে পড়ার ভান। বাবার চওড়া বুকের মাঝেই আমার রাতের ঘুম, বাবার কাছেই ছিল আমার বায়নার যত ধু ম। বাবার কাছেই লেখাপড়া বাবার সাথেই খেলা, দেখতে দেখতে বেড়ে চলে আমার ছেলেবেলা। আমি যখন রাত জেগে পড়ি বাবা রয় জেগে পাশে,
www.batj.org
- সু ব্রত বণ
Durga Puja 2021
49
দুই পৃথিবী - বিশ্বনাথ পাল ত�োমার পৃ থিবী রঙিন আল�োয় ম�োড়া আমার পৃ থিবী আজও অন্ধকারে, ত�োমার পৃ থিবীতে মদিরার ফ�োয়ারা আমার পৃ থিবী….. ধু ঁকছে অর্ধাহারে। ত�োমার পৃ থিবী ফ্যাশন টিভির চ্যানেল আমার পৃ থিবী ন্যাশানাল জিওগ্রাফি, ত�োমার পৃ থিবী মেকি মুখ�োশের খেল আমার পৃ থিবী খ�োলা আকাশের পাখি। ত�োমার পৃ থিবী হাওয়াই জাহাজে চড়ি ছু টিতে চলেছে সমুদ্র সৈকতে, আমার পৃ থিবী……রিকশা ঠেলাগাড়ি ঘর্ম শরীরে বইছে ব�োঝা পিঠে। ত�োমার পৃ থিবী পাঁচ তারা রেস্তোরা আমার পৃ থিবী পথের সস্তা ধাবা, ত�োমার পৃ থিবী স্বাদে-গন্ধে ভরা আমার পৃ থিবী সয় শ�োষণের থাবা।
ক�োন�ো এক কুরূপাকে
ত�োমার পৃ থিবী ক্যান্সারেতে ভ�োগে আমার পৃ থিবী মরছে ডেঙ্গু জ্বরে, ত�োমার আছে ওষু ধ পথ্য র�োগে আমার পৃ থিবী নিঃস্ব পথের ম�োড়ে।
- কৌশিক ভট্টাচার ্
ভাল�োবাসার দাম জান�ো কি কত?
ত�োমার পৃ থিবী গুচ্চি আরমানী আমার পৃ থিবী সস্তা সু তির বেশ, প্রথম পৃ থিবী ত�োমার নিবাস জানি তৃতীয় বিশ্ব….. আজও আমার দেশ।
অনেক কিছু পাও নি এ জীবনে। আজ বুঝেছি একলা কেন অত ভাল�োবাসার দাম জান�ো কি কত? এখন�ো ঘাস ঘুঘু-বুকের মত দু ললে হাওয়া মিষ্টি ছ�োঁয়া মনে ভাল�োবাসার দাম জান�ো কি কত? অনেক কিছু পাও নি এ জীবনে। (Frances Cornford-এর To a Fat Lady Seen from the Train অবলম্বনে)
50
Anjali
www.batj.org
নতুন ভ�োর - শান্তনু চক্রবর্তী ভ�োরের আল�ো ধূ সর যে আজ, বেসু র মন�োবীণা, শূ ন্যতা আজ করছে যে গ্রাস, কায়া উদ্দ্যমহীনা! শূ ন্য যে আজ চেনা সেই খাট, শূ ন্য হৃদয় খাঁচা, এক মৃ ত্যু করছে প্রমাণ, দু ঃসহ কত বাঁচা। স্মৃতির পাতাও নড়তে নারাজ, দু ঃখ সর্বগ্রাসী, সদাহাস্য অবয়ব হতে মুছে গেছে আজ হাসি! বজ্রকঠিন সংকল্পে কর্তব্যের আহ্বান, বাস্তবের জমিতে নেই ক�োমলতার স্থান। সান্ত্বনা সে করছে না কাজ, মন নাগালের বাইরে, ভিড়ের মাঝেও একাকিত্বের আগুন জ্বলে ভাই রে! কথা গুল�ো কানে সেঁধ�োয়, হৃদয় দ্বারে তালা, কথার বাহুল্যে তে যে তাই কান হয় ঝালা পালা। এমন সময় আল�োর ঝিলিক, অন্তরেরই মাঝে, অনন্ত আশীষের পাহাড়, মাথা ত�োলে সাঁঝে! জাগিয়ে ত�োলে সু প্ত হিয়া, ক�োমল পরশ দিয়ে, সাঁঝের আকাশ ঝলমল, বিষাদেরই মাঝে। কর্তব্য ত�ো চরিত্রেরই উজ্জ্বল এক বর্ণ, সু খস্মৃতি’র লাজ রাখতে করব�ো তা সম্পূর্ণ ! জীবন খাতা’র নতুন পৃ ষ্ঠে, বলিষ্ঠ এই হাতে, লিখব নতুন লিপি, যখন আশীষ আছে সাথে !!
www.batj.org
নির্বিকার - অরুণ গুপ্ত র�োজ দু ’বেলা নিয়ম ক’রে জপি রে ইষ্ট নাম ভ�োগান্তির নেই যে শেষ দিচ্ছে না ভাই কাম। আবার আসছে দু র্গা পূ জ�ো ডাকব�ো মাকে নিষ্ঠা ভরে দু ঃখ কষ্ট ভ�োগান্তিতে আর যেন কেউ না ডরে। বলতে পারেন এমন কেউ ঈশ্বর কেন নির্বিকার আর কতদিন চলবে এমন বাঁচার জন্য হাহাকার? আগমনীর বার্তা শুনে কৃষ্ণ মেঘ দেয় চম্পট আকাশ বলে মাখব গায়ে শুভ্র মেঘ চটপট। মেঘের এমন রকমফের বড়ই উপভ�োগ্য তার সঙ্গে আগমনীর সঙ্গতটাও য�োগ্য। খুশির ছবি জীবনজুড়ে নেই তুলনা যার সবাই ভাবে মা দু র্গা শুধু ই হবে আমার। Durga Puja 2021
51
নায়াগ্ আজ ত প্রথম নয়, দেখেছি ত�োমায় আমি সেই কত যু গ ধরে। কত ব্যথা, কত কান্না, কতশত আনন্দধারা ঝরেছে ওই বক্ষফুড়েঁ।
ভিড়ে মিশে যাওয়া অষ্টাদশী প্রেমিকের করুন চ�োখে সে ছায়া দেখেছি আমি। প্রবাসের পথে যেতে যেতে কখন�ো সে স্রোত উথলে উঠেছে জননীর বুকে দেখেছি আমি।
বার�ো হাজার বছরের সৃ ষ্টি সু খ হতে নিরন্তর বয়ে চলা সেই তুমি ছিলে অনু ভবে। এ-বই, সে-বই খবরে-কাগজে, পাতায়-পাতায় ত�োমাকে ছু ঁতে চাওয়া আমি, যু গ যু গ ধরে দেখেছি ওই রূপ। ছু টেছি আমি।
অভিমানে অভিসারে স্নেহের পরশ পারে এসেছ তুমি বারে বারে নায়াগ্রা হয়ে নেমেছ তুমি দু চ�োখ জুড়ে, দেখেছি আমি।
আজ মনে পড়ে, সেই যে শিশু মায়ের ক�োল ছাড়া, নিষ্পাপ সে চ�োখে মুখে নায়াগ্রা হয়ে বয়ে গেছ কতবার দেখেছি আমি।
আজ এই মিলন ক্ষণে মিলিয়ে নিলেম সে সবটুকু পাওয়া না পাওয়ার হিসেবের স্রোত।।
স্কুল ছেড়ে কলেজের পথে উদ্দাম, উচ্ছল তারুণ্যের গা-জ�োয়ারে ভেসে যেতে যেতে,
52
- সু মনা কর
Anjali
www.batj.org
Change Oneself before Changing Others - Swami Medhasananda
T
here is a Bengali story that tells of marriage negotiations regarding a young man and young woman. An elderly relative had the idea that it may be good for the couple to make a checklist of their likes and dislikes now rather than after marriage. The young couple sat before the elderly man who noted that food was important and asked the young man, “Do you like chillies in your dishes?” The young man answered that he could not bear hot spicy foods at all. The young woman answered, “I require at least three chillies in my dishes.”
The young man was then asked how many spoonfuls of sugar he required in his tea. “Only one,” was the answer.
The young woman answered, “Three!”
The elder then enquired as to their preferred hardness or softness of a bed mattress. The young man answered that he preferred his mattress a little hard, while the woman said she desired a very soft mattress. This story illustrates how when two such people live together with such diverse aptitudes, likes and dislikes, obviously, problems in communication arise. Also, before relationships are entered into, it may be hard to assess another’s likes and dislikes. Only when a relationship is established are each other’s likes and dislikes revealed. Moreover, most parents want their children to grow up in a particular way. Children, however, cannot always obey and follow the instructions of their parents, often resulting in failures and frustrations. Parents then want to reform or change them. Such troubles arise between wives and husbands, parents and children, brothers and sisters, between friends, and teachers and students. In all these, there is an expectation to reform or change the behavior or ways of others. So when the person in question does not change as expected, problems arise in relationships. Sometimes this desire for change is mutual; the wife wants to reform the husband and the husband wants to reform the wife, as well. Friends want to change other friends. Such expectations can also be one-sided. Especially with regard to parents and children or teachers and students, the desire to change another is more one-sided. With respect to this desire to reform or change others, the expected results are very rare indeed. The question then arises as to why this perception of changing others mostly does not work. In this connection let me tell you a story:
shopping area. Curious, one after another, the people asked him what made him so thoughtful and pensive. Nasiruddin said, “Brothers, I see so many imperfect things in our society, and I am pondering deeply how I can change and reform this society.” The people were satisfied with this answer and left him with the remark, “God speed, Mullah Sahib!” The following year, however, Nasiruddin was found on the same spot in the same pensive mood. The people again noted his thoughtful mood and pointed out that the year before he had said he was contemplating how to change society. “What makes you so thoughtful now?” they asked. He answered that the year before he had thought to change society, but that had proved to be an impossible task. “Therefore,” he continued, “now I am pondering how to change members of my own family. I see so many drawbacks in them, hence, I must change my family to become a perfect family.” Again, the people wished him God’s speed. But the following year the people found him in the same place and in the same attitude. “Oh, dear Mullah Sahib, last year you told us changing society was impossible. What happened regarding members of your own family whom you wanted to change? We see you still remain in a very pensive mood. What is the matter now?” “You are all correct,” he answered. “First I had hoped to change society; then I tried to correct and change behaviors of my family members. All these attempts failed, so now I contemplate how to change myself.” This story conveys an important message. That is, it is more imperative to think of changing oneself than to change others, which is more pragmatic too. In this context let me narrate an incident. Swami Shivanandaji, better known as ‘Mahapurush Maharaj’, was one of Sri Ramakrishna’s direct disciples and later became President of the Ramakrishna Order. At Belur Math, it is quite common for family members and individuals to visit seeking the blessings of the resident monks. One couple came to visit Shivanandaji and asked, “Please, Revered Maharaj, bless my child that he may become perfect.” It is natural for parents to seek such blessings from monks. But instead of giving the usual blessing that the child be a good student, or a good person, etc., Shivanandaji said, “First, you should try to become perfect yourselves. Then your child can become perfect!” How true is this advice! If the parents become perfect, there is a great probability that the child will become perfect, too. But how many of us are aware of this fundamental truth regarding our role as parents, guardians, or teachers? It is easy to see the imperfections around us, but difficult to accept our own responsibility concerning solving the problems and in mending matters. Therefore, let me change myself before attempting to change others. The problem is we want to change others, but do not want to change ourselves. What a great paradox! Finally, we only remain where we were.
There was a Muslim wise-man, Mullah Nasiruddin, of present day Turkey. A unique character, sometimes he would speak like a wise man and sometimes like a fool. People respected and loved him despite his rather strange ways. One day people found him in a very pensive mood sitting near a www.batj.org Durga Puja 2021
53
Change Oneself before Changing Others If we introspect deeply over this paradox, we find the reason for our unwillingness to change ourselves is self-love, or in other words, our inflated ego. Because of our egotism, we cannot judge clearly our own mistakes and responsibility. Here are some of the symptoms of our inflated ego. We expect that others must like the same things that we do. Secondly, we do not respect the beliefs of others. Thirdly, we want our own freedoms, but do not grant the same freedoms to others. People displaying these symptoms of ego and selflove are usually found complaining and grumbling about others. One example of this type of grumbling and complaining is when someone says, “Others do not understand me!” Such a person does not ask himself, ‘If so-and-so does not understand me, what is it about me? Do I understand him?’ If we think others’ opinion is wrong, there is also a possibility that others will think the same about us. It has been said that the ego is like wine. If we drink wine, our judgement becomes deluded. The same can be said of an egotistical person. Of course we all have an ego, unless one becomes a sage, but I am talking of those with excessive egos. Like wine intoxication, such people are drunk on their egos. In spiritual life as well, ego is a big obstacle. The ego is like a thick curtain, through which we cannot see God inside us. Ego is also the greatest obstacle in forming good, positive, constructive, healthy and happy relationships. So if we find ourselves experiencing bad, unfriendly or strained relationships with others, the very first thing we should try to understand is that one of the main factors behind such improper relationships is our own ego. So, ‘I must try to change myself,’ should be our approach. Surely the other person also bears responsibility and may have the same problem of an inflated ego, but we know we cannot control the other person. ‘At least changing myself is in my own hands!’ Consequently, as Mahapurush Maharaj said, “If we can reform ourselves and work to make us perfect, obviously, an impact will appear on others.” So let the process start from ‘myself’.
as well, if the wife or husband always wants to find fault with the other at every instance, then the relationship becomes bitter. Hence, let one ignore the minor things. Let us adjust ourselves by being ready to change because the situation, the people and the place around me demand it, though we must be firm in our principles. Let us try to be like the willow tree and not like the oak tree. Let us try to combine firmness and flexibility into our character. Next is to forgive. When we make mistakes we expect forgiveness from the persons affected by them. Similarly, we should be ready to forgive when we are affected by others’ mistakes. This is mutual forgivingness, which, however, has exceptions. Another thing is not to hold on to or drag out reproaches for mistakes, but to forget about them. What often happens in quarrels is that one will recite a long list of offenses the other has done–even those committed long ago. This means we haven’t really forgotten; we are keeping it all in mind–so let us try to forgive and forget the mistakes of others, so that they may also forget and forgive our mistakes. This is also helpful for enjoying our mental peace. A person with a big ego cannot ignore; he cannot adjust; he cannot forgive; and he cannot forget. So let us remember Holy Mother Sri Sarada Devi’s last piece of advice to a visitor in this context. “I tell you one thing,” she said, “if you want peace, do not find fault with others. Rather see your own faults. Learn to make the world your own. No one is a stranger, my child; the whole world is your own.” If we have a big ego, we cannot see our own defects, we can only see the defects of others. So the way to reduce the level of my own ego is to see my own faults as it will humble us and help us to rectify, and finally, to change us. In the Sermon on the Mount Jesus Christ advises us not to judge others and we will not be judged by God. Again, Jesus reprimands us, “Why do you pay attention to the speck in your brother’s eye and pay no attention to the log in your own eye?”
Think of a handshake! If we always wait for the other to extend his hand first, the resulting handshake does not become smooth. Again, let the process start from oneself. Let me first extend my hand and be ready to shake the other’s hand.
When a person does not see others’ good qualities and only sees bad qualities, and at the same time he sees only his own good qualities and not his bad qualities–this too is a symptom of egotism. An egotistic person has the nature of a fly. A fly is fond of dirty things. So let us all have the nature of a bee and only be fond of flowers, that is, other’s good qualities.
We may also ask, ‘Why should I first try to curb my egotism, especially in relationships, rather than asking others to eliminate their ego?’ The famous saying, ’Be the change you want to see in others,’ gives an important answer.
The practice of humility instead of being boastful goes a long way in eliminating our egotism.
The next and important question is how to curb our inflated ego which is so deep rooted in us. First we need to practice patience. We should bear with those situations we find ourselves in that we do not like. There are four important practices which are necessary to learn to have patience. These are to ignore, to adjust, to forgive, and to forget. If we apply these important practices we can achieve a ‘positive patience’. There is also ‘negative patience,’ wherein one is bound to be patient or compelled to endure some outside influence or pressure. Positive patience should come from within. For example we can just ignore things like someone forgetting to turn off the lights once in a while, and only if it happens continuously do we need to mention it to the individual concerned. In family relationships
54
Another way to change ourselves, which also matters so much in a mutual relationship is to give more and take less–to be less demanding. An egotistic person is always demanding. His wants are always in terms of taking. Having patience and forbearance and by ignoring, adjusting, forgiving, forgetting, by seeing the good qualities in others, by being less demanding, and finally, by the practice of humility –all these are the means to curb our egotism, which brings about a paradigm shift in our personality and makes us an ideal man, emulating others to change themselves as we have done. We should always remember the watchword: ‘Be the change you want to see in others.’
Anjali
www.batj.org
Waldo’s Question, and Answers from Indian Scriptures
- Suneel Bakhshi
R
alph Waldo Emerson (Waldo) was an American essayist, poet and author in the mid nineteenth century. He was strongly influenced by Indian philosophy, especially the Upanishads, and had read the Bhagavad Gita. The central message Emerson drew from his Asian studies was that “ the purpose of life was spiritual transformation and direct experience of divine power, here and now on earth. ” In one evocative poem he posed a question which is as relevant today as it would have been in his own time. “Teach me your mood, O patient stars! Who climb each night the ancient sky. Leaving on space no shade, no scars, No trace of age, no fear to die.”
I have been reflecting on these words, and inevitably, my thoughts turn to our scriptures. I would like to touch in this article on two points that arose in my mind, and answers to each: How best to inculcate the strength and beauty of stars as they “climb the ancient sky ”? Do our teachings in Indian philosophy suggest it might be possible to achieve such heights within our lifetimes? I have continued to study with the revered Swami Nityasuddhananda Ji of Kankhal Sevasharama, Ramakrishna Mission, in Haridwar in India. Once SwamiJi recommended a book which I have also noted in a prior edition of Anjali to its readers, and which offers a perspective on the questions. This book is titled “an introduction to Indian philosophy”, was first published in 1939 at the University of Calcutta, and authored by Satischandra Chatterjee and Dhirendramohan Datta. This wonderful book notes the Space-Time background in Indian thought: “In addition to the moral and spiritual outlook, we may also note the prevailing sense of the vastness of the space-time world, which formed the common background of Indian thought and influenced its moral and metaphysical outlook…and set metaphysics on the search for the eternal. On the ethical and religious side it helped the Indian mind to take a wider and detached view of life, prevented it from the morbid desire to cling to the fleeting as the everlasting, and persuaded it always to have an eye on what was lasting, rather than momentary, value. While man’s body is limited in space and time, his spirit is eternal. Human life is a rare opportunity. It can be utilised for realising the immortal spirit and for transcending thereby the limitations of space and time.”
In answer then to my first question above: “How best to inculcate the strength and beauty of stars as they “climb the ancient sky?” One day, many years ago, on a reading of the Bhagavad Gita, Chapter 5, SwamiJi said to me : “Shloka 10 is an important shloka, and one must understand it well.” In appreciation of the Shloka, I remember SwamiJi, impromptu, singing it as it is meant to be recited, in perfect rhythm and in deep appreciation of the words as he sang. This Shloka, in addition to Shloka 12 in the same chapter and several often quoted Shlokas in other chapters of the Bhagavad Gita, refer continuously to the critical importance of loosening the bonds of our hankerings after the fruits of our efforts, and focusing constantly instead, on the excellence of the work itself. I note both Shlokas from chapter 5 here: 5.10: brahmany adhaya karmani
ब्रह्मण्याधाय कर्माणि
sangam tyaktva karat yah
सङ्गं त्यक्त्वा करोति य: |
lipyate na sa papena
लिप्यते न स पापेन
padmapattram iva mbhasa
पद्मपत्रमिवाम्भसा ||
“He who works, having given up attachment, resigning his actions to God, is not soiled by evil, even as a lotus leaf (is untouched) by water.” The related, beautiful and powerful Shloka in the same chapter of the Bhagavad Gita goes on to assert: www.batj.org
Durga Puja 2021
55
Waldo’s Question, and Answers... 5.12: yuktah karmaphalam tyaktva
युक्त: कर्मफलं त्यक्त्वा
santim apnoti naisthikim*
शान्तिमाप्नोति नैष्ठिकीम् |
ayuktah kamakarena
अयुक्त: कामकारे ण
phaie sakto nibadhyate
फले सक्तो निबध्यते ||
“The well poised, forsaking the fruit of action, attains peace, born of steadfastness; the unbalanced one, led by desire, is bound by being attached to the fruit (of action).” As my own understanding of the Upanishads has continued to grow over the years, I have come to understand the fuller import of SwamiJi’s words, as well as their direct and practical applications. I have come to believe that at least for me there is no better path to sustained joy in life at a personal level, and to my mind, to peace one day at a societal level, than in following the truth of Shlokas such as Shloka 10, and the related Shloka 12, both in Chapter 5 of the Bhagavad Gita. I would go so far as to say that for people who aspire to the heights proclaimed in the Bhagavad Gita, there is no other way.
As to the second question above: “Do our teachings in Indian philosophy suggest it might be possible to achieve such heights within our lifetimes?” I believe that there are examples from around the world and across the ages, where the heights of stars “who climb each night the ancient sky, leaving on space no shade, no scars, no trace of age, and no fear to die ” have indeed been attained. Inspirational examples in recent history include Ramakrishna Paramhansa and Swami Vivekananda, and the many, many other saints revered across the ages such as Adi Shankara and more recently the Sikh Gurus in India. Christianity has its own examples such as the direct disciples of Jesus Christ, and other saints revered through the centuries, and so does Buddhism, in the direct disciples of the Buddha, and the many saints that have followed. Many cultures around the world attest to such men and women having walked the earth. I believe such exceptional human beings and their life stories have the potential to inspire true seekers to follow their path, as long as we bring a discerning mind to the task, and if we have the discipline to do so with rigour and with patience. I also believe that while I cite monastic leaders above, lay people and householders can equally choose to bring this understanding into daily life, and this is precisely where the Bhagavad Gita is available as a guiding light of ever increasing importance to all mankind. I will briefly elaborate: Swami Nityasuddhananda Ji in his teachings often refers to a beautiful book on the Bhagavad Gita ( translated more than a century ago in October 1909 by Swami Swarupananda, also of the Ramakrishna Mission ) where the Swami quotes Adi Shankara’s explanation of the word NAISTHIKIM* (“born of steadfastness ” in Shloka 12 above), thus : “gradual perfection in the path of knowledge, realising the following stages of development : (1) purity of heart, (2) gaining of knowledge, (3) renunciation of action, and (4) steadiness in knowledge.”* In the Vivekachoodmani, (the Crest Jewel of Discriminating Wisdom) as also explained to me by Swami Nityasuddhananda, Adi Shankara says that ignorance can be removed and a fuller expression of Reality CAN be brought about, BUT only by our own efforts, and these take time. There are no shortcuts, instead both the discipline and patience of a “gradual perfection in the path of knowledge ”. One must be guided by the instruction of a Teacher, and the scriptures. However, once the light of wisdom has been shown, one must, with rigour and with great conviction and with patience, walk the path oneself. In verse 54 of the Vivekachoodamani there is a key to this lifelong quest to realise the truth of powerful Shlokas in the Bhagavad Gita, such as the two I quote above. v-54 of the Vivekachoodamani:
56
vastusvarupam sphutabodhacaksusa
वस्तुस्वरूपं स्फु टबोधचक्षुषा
svenaiva vedyam na tu panditena
स्वेनैव वेद्यं न तु पण्डितेन |
candrasvarupam nijacaksusaiva
चन्द्रस्वरूपं निजचक्षुषैव
jnatavyamanyairavagamyate kim
ज्ञातव्यमन्यैरवगम्यते किम् ||
Anjali
www.batj.org
Waldo’s Question, and Answers... “The actuality of things is to be known by a first-hand personal experience through the eye of clear understanding, and not through the report of learned men. The beauty of the moon is enjoyed through one’s own eyes. Can one appreciate it through the description by others?”** Adi Shankara’s words, elaborating on and interpreting the Bhagavad Gita, continue to resonate across the centuries since they were written. A further elaboration can be found in “Talks on Sankara’s Vivekachoodamani ” by Swami Chinmayananda, which I have chosen here to allow a natural link to Ralph Waldo Emerson’s beautiful and evocative poem. Swami Chinmayananda writes that this journey is best done at a pace similar to the gentle unfolding of moonlight, rather than to a burst of sunlight. “The beauty, the brilliance, the soft glory, the queenly dignity, the serene consolation, the message of love and leisure, of peace and quietude, which the moon sheds as it glides across the spring-time skies cannot, indeed, be captured in words but are experiences to be enjoyed subjectively only.”**
I would like to close by noting my everlasting thanks to Swami Nityasuddhananda of Kankhal Sevasharama, Ramakrishna Mission, Haridwar.
www.batj.org
Durga Puja 2021
57
Indian Influence on Japanese Culture & Mytholog - Varun Tomar The Jetavana Temple bells, ring the passing of all things. Twinned sal trees, white in full flower, declare the great man›s certain fall. The arrogant do not long endure, they are like a dream one night in spring. The bold and brave perish in the end, they are as dust before the wind. (Tale of the Heike, translated by Royall Tyler) The opening lines from the Tale of the Heike, a 14th century war saga, are one of the many examples that reveal the influence of Indian culture on Japan. Hajime Nakamura, a famous Japanese academician of the Vedas and Buddhism, stated in his book ‘Gotama Buddha,’ “without Indian influence, Japanese culture would not be what it is today.” The geographical proximity between India, China, Mongolia, Korea and Japan, along with their ancient links through Silk Road and Sea Route used by the adventurous hunters, nomads and traders facilitated the growth of a culture bearing many identical features in their social ethos and behavior. India-Japan recorded historical links go far back to the 7th century A.D. There is a mention of a woman in Kojiki from Shravasti in India (Shaeijo in Japanese) who visited Japan during the reign of Emperor Kotoku (r.596-654). The legendary Daruma san who is extremely popular in Japan is basically Bodhidharma, a Buddhist monk who lived during the 5th or 6th century A.D. Daruma doll’s design is rich in symbolism and is regarded as a talisman of good luck to the Japanese. In the 8th century A.D. an Indian monk, Bodhisena (704-60), was invited in the year 736 A.D. by Emperor Shomu (r.724-48) to perform the eye-opening ceremony of the world’s largest bronze statue of the Great Buddha at Tōdai-ji in Nara. Bodhisena remained in Japan until his death in 760 A.D. teaching Buddhism, Sanskrit, Prakrit and related Indian philosophical thoughts. Kūkai, also known posthumously as Kōbō Daishi, invented the Kana syllabary based on Sanskrit sounds. There is documented evidence of visits by various Japanese scholars and pupils to Nalanda University in the 12th century. A merchant-adventurer Tokubei (1612–1692) was so obsessive about visiting ‘Tenjiku’ (India), an ancient Japanese name for India, that he took the name of Tenjiku Tokubei out of pride and reverence for India. He travelled to the kingdom of Magadha, and in his memoir described it as a land of riches, bright-colored clothing, huge palaces and complex housing, complicate and intricate tools and many scents. Indian culture and thought permeated deep into the Japanese mind with the syncretism of Shintoism and Buddhism, commonly known as Shinbutsu-shūgō. Indian deities like Shiva (Daikokuten), Brahma (Baramonten), Vishnu (Naraenten), Lakshmi (Kichijoten), Saraswati (Benzaiten), Indra (Taishakuten), Kubera (Bishamonte) etc. occupy a very important position in the Japanese pantheon. As we delve deeper into the realm of religion, the influence of Indian thought on Japan becomes quite evident. A detailed analysis suggests that the Indian and Japanese people have been following similar approaches towards the natural and supernatural phenomenon. The concept of anthropomorphism seems to be permeating through every aspect of their life. Every phenomenon in this world, animate or inanimate, appears to them having the element of the God - The Almighty. Hinduism and Shintoism both are polytheistic religions and offer their adherents the possibility of having faith in many divinities (Yaoyorozu no Kami). All forms of existence are appreciated from a religious perspective and treated as spiritual entities. In their respective pantheons, they have gods of nation, regions, villages, crossroads, mountains, rivers, waterfalls, clans and families etc. The worship of nature existed in ancient India, China, Manchuria and Mongolia and also in Japan. Like Mt. Kailash, Mt. Sumeru, Nanda Devi, River Ganga, River Saraswati of India, Mt. Fuji, Mt. Ontake, Osorezan, Koyasan, Hiesan, Nanataisan of Japan are ascribed some particular kind of spiritualism. In Japan like India, there are gods of water, fire, wind, rain, wealth and lesser gods of smallpox and cholera etc. There are couple of divinities in Japan similar to Shiva and Parvati, Brahma and Brahmani and Vishnu and Lakshmi of Hindu tradition. The first seven generations of divinities in Japan are all couples with Izanagi and Izanami appearing in the seventh generation. God Izanagi and goddess Izanami came together as husband and wife after tying their garments into a knot and taking seven rounds of a ‘sacred stone pillar’ treating it as a divine entity witnessing and blessing their marriage. It finds similarity with the Hindu marriage custom where the bride and the bridegroom take seven rounds of the ‘sacred fire’ before the marriage is solemnized. Also, the tradition of “Gathbandhan” (tying of the Sacred Knot) in Hindu culture finds mention in Kojiki during the reign of Emperor Suinin. This custom of husband and wife tying each other’s garments also finds a mention in the Manyoshū. Another noteworthy incident recorded in Kojiki is the kidnapping of the wife of Ninigi no Mikoto by the barbarians living south of the Yamato state. To rescue his wife Saku ya Bime, Ninigi seeks help and guidance from a monkey god, Saruta Biko, in subduing the southern barbarians. This story has a striking resemblance to the story of Ramayana, where Lord Rama seeks help from Hanuman to rescue his wife. It is worthy to note that Lord Rama was a Suryavanshi, like Ninigi no Mikoto who was the grandson of Amaterasu, the Sun Goddess. Furthermore, there are also recorded cases of ordeals by fire, known as “Ukehi”, and where boiled water and hot mud are used to discover the truth. An eminent scholar Matsumura Kazuo states, that the ordeal by fire accepted by Sita in Ramayana finds similarity in an ordeal willingly performed by Saku ya Bime to prove her fidelity towards Ninigi no Mikoto. Like Saku ya Bime, Sapo time, wife of Emperor Suinin also performed a fire ordeal to prove her innocence during 1st century A.D. It is a common belief in Hinduism and Shintoism that ancestral spirits play a significant role in the well-being of their descendants. At the time of the funeral and subsequently, on their death anniversaries, the appropriate rituals need to be performed 58
Anjali
www.batj.org
Indian Influence on Japanese Culture & Mythology for the appeasement of the ancestral spirits. Like the “Shradh” ceremony in Hinduism, “Urabon festival” popularly known as “Obon festival” in Japan, is dedicated for making offerings to the departed souls. Ancestor worship gained further strength after the introduction of Buddhism in Japan. According to a legendary tale, Mudagalyayana (Mokuren), a disciple of Buddha, dreamt his dead mother to be suffering in hell due to starvation. Disturbed by the dream he sent food and clothes for his mother, but as soon as these offerings reached his mother, everything burnt down to ashes. He was upset due to this and consulted Lord Buddha who advised him to hold a service in her name and offer food to the monks in order to pacify the spirit of his mother. He did so year after year and since then this practice has been observed. It is believed that the spiritual entities play positive as well as negative roles in human life. If not propitiated appropriately they may get antagonized and cause hardships. Therefore timely and appropriate propitiation is necessary to obtain their blessings. It has been customary in Japan, as in India, to promise offerings to the deities if a certain wish is to be fulfilled. For example, Nihongi describes that in 6th century A.D. fearing defeat in the battlefield, Soga no Mumako no Sukune made four wooden images of the Four Heavenly Kings and made a vow that if his forces were victorious, he would honour the Kings by constructing a temple for them. After his victory Soga no Mumako no Sukune fulfilled his vow by building a temple of the Four Heavenly Kings in the province of Settsu and another one called the temple of Hokoji in Asuka. The Four Heavenly Kings mentioned here are the Chatur Maharajas of Indian mythology. The Indian influence can clearly be seen during the celebration of festivals in Japan. Many Japanese festivals include a street procession of parishioners belonging to a particular temple or shrine. Like the Rath Yatra of Jagannath Temple of Puri, the Japanese people enshrine the spirit of their deity in a Mikoshi i.e. a portable shrine and move it in and around the village. Originally, carrying a Mikoshi through the streets, indicated spreading the purifying power of the deity and neutralising evil influence in the area. The phallic worship in certain parts of Japan, reminds of Shivlinga worship in India. It is treated as the worship of fertility and performed at the time of Honen Matsuri (Honen Festival) of Tagata and Komaki, both in Aichi Prefecture. It is closely connected with the sacred Mt. Nantai (The Male Form). Another example of phallic worship in Japan is the famous Kanamara Matsuri held in Kawasaki city every year. Likewise, the Ogata Festival centres on the symbol of female organ. Shintoism, like Hinduism, emphasizes ritual purity and cleanliness. The death, bleeding, childbirth etc are treated as the causes of pollution of the environment. In olden times, people shifted to a new house in case of the death of a family member, a practice that continued for a long, particularly in the case of imperial palaces and the capital cities of Japan, where a new palace or capital was built after the demise of the emperor. Narrating the Japanese funeral customs, the History of the Kingdom of Wei (Wei-Chi) written around 298 AD records that in case of death, mourning continued for ten days during which meat was not consumed and all the family members performed the act of ablution. The custom of calling female mourners has existed in India, as well as in Japan. They are referred to as ‘Rudali’ or ‘Naki-me’ respectively. It is believed in Hinduism that if someone consumes the food from the underworld (Yamaloka or Yomi no kuni), then the person cannot return to the human world. Kojiki states that when Izanami died, Izanagi decided to undertake a journey to the underworld to bring his wife back. On meeting Izanami, he tried to persuade her to come back with him, to which she responded, “I want to go with you, but you’re too late. I have already eaten the food of this land, and I can no longer go back with you.” There are some superstitions and religious beliefs which commonly existed in both, primitive Indian as well as Japanese societies. Nihongi mentions about the sound of a windblast, which cried aloud and forewarned Emperor Richiu about the death of Princess Hata. Shortly thereafter, a messenger arrived and gave the sad news to the Emperor. This incident reminds of the heavenly voice (Akashwani) warning King Kansa of Mathura about the birth of Krishna who would be the cause of his death in the future. The Japanese people avoided the cutting and disposal of nails, taking baths, and getting a haircut on certain days, a belief also common in India. It must be noted that these deep spiritual links are very significant and have been effective in bringing the two countries together. In addition to these early linkages, Tagore-Okakura artistic and cultural collaborations, and Japanese connections during India’s independence movement through Subhash Chandra Bose, Rash Behari Bose and through the role of Jurist Radhabinod Pal in the war trials of Japan are known worldwide. The list of India-Japan cultural similarities is endless. Through the above examples, it is evident that India-Japan exchanges did not begin during the 6th or 7th century as argued by many scholars. The similarity between the marriage rituals of Izanami and Izanagi and the story of Ninigi and Rama clearly show that the relations between the two countries predate any written record. The giant corpus of Indian influence hugely impacted the Japanese mind, body and soul. It can be said that without India, modern Japan would have been a very different country. In the words of Naomi Ishii, the former managing director of Toyota in India, “Japan has gained more from India across the ages than India has done from Japan in recent times.”
www.batj.org
Durga Puja 2021
59
An Indian monk in Ancient Japan - Saroj Kumar Chaudhari
T
here was no direct exchange between Japan and India in ancient times. Many Indian monks went to China to spread the message of the Buddha. But only one Indian came to Japan in those ancient days. His name is Bodhisena, a monk from South India. He came together with his Champa disciple Buttetsu in the year 736. Around this time Chinese monks were playing a key role in spreading Buddhism in Japan. Bodhisena did not make any contribution to the propagation of Buddhism in Japan. Only a line or two are there about him in the history of Japanese Buddhism. His only qualification was that he was a man from the land of the Buddha. Being a man from the land of the Buddha, he was a matter of curiosity for the contemporary Japanese. The only reason for his miserable performance is that he did not know Chinese. Japanese monks of his time were very proficient in Chinese. They could communicate freely with Chinese monks. Bodhisena did not have any communication with the Japanese.
There is only one line about him in Shoku Nihongi, an official history of Japan. It says: ‘The emperor gave him a set of winter dresses on the second day of the ninth month of 736’. In folktales, we find that he presided over the eye-opening ceremony of the Great Buddha of Nara. The oldest anthology of poems Manyōshū has a poem that says ‘The eyes of a crow have swollen after eating vegetables in the garden of a Brahman. It is now resting on a flagpole’. Scholars say that the Brahman in this poem is Bodhisena. Besides, Gigaku, a form of mask dance, was performed in the imperial court during this time. Brahman’s masks were also used in this dance form.1) I am giving below the information on Bodhisena recorded on his tombstone. 2) Bodhisena was a South Indian Brahman of the Bharadvaja gotra. His virtues were well-known in the sixteen kingdoms of India. The ninety-nine non-Buddhist sects of India held him in great esteem. We do not know anything about his activities in India. He was very studious since his childhood. He was of quiet disposition. We all highly respect his spiritual depth. His knowledge is a matter of great inspiration for us. Following the example of the monk Lokakshema of Scythia and the monk An Shih-Kao of Parthia, he came to China after crossing the Himalayas and the southern seas. He faced many hardships on his way to China. In China, he was loved by all for his sweet nature. The emperor Shōmu of Japan sent an embassy to China around this time. Seeing the popularity of Bodhisena, the Japanese ambassador invited him to come to Japan. Bodhisena agreed after seeing the sincerity of the ambassador. He embarked for Japan along with his disciple Buttetsu of Champa. On the way, their boat met with a severe storm and was about to sink. The storm subsided after Bodhisena prayed to the Buddha. After this storm, the party reached Japan without any more trouble. The emperor lodged him in a temple in the capital. He never showed his feeling on his face. He was given the rank of head of monks. He passed away in 760 at the age of fifty-seven. Siddham in Japan
Siddham is the name of the Indian script with which Sanskrit was written in those days. By extension, it also meant the Sanskrit language. The Japanese monk Annen wrote Shittanzō around 800 AD where he describes Siddham as it was known in Japan during his time. Here Annen says that Bodhisena brought a Siddham book with him to Japan. He has quoted just one word samyakṣabuddha from this book in his Shittanzō.3) Annen does not mention the name of this book, nor does he give any other quotations. Buttetsu brought a Siddham primer Shittanshō together with him. This book is lost, but we have a brief review of the book by the monk Annen in his Shittanzō. It has a strange resemblance with the Varṇaparichaya with which we enter the world of education in Bengal. We will see the contents of Sihttanshō and compare it with our Varṇaparichaya. Annen writes about Buttetsu’s Shittanshō as follows: ‘It starts with the line namaḥ sarvajñaya siddham. After this, there are sixteen vowels starting with /a/. Next, there are twenty-five (explosive) letters starting with /ka/. After this, there are eight letters starting with /ya/. Following this there is /kṣa/.’ Then Annen writes, ‘After this there is /ka/’. Then Annen writes, ‘Next we have /kya/, /kra/, /kla/, /kva/, /kma/, kña/, /kṇa/, /kna/, /rka/, /ska/, /krya/, /klya/. The thirty-four consonants also come in such compound forms. All these compounds have twelve vocalic forms each.’ Then Annen gives a note. It says ‘in modern commentaries, we do not have letters like /krya/, etc.’4) Annen has given the above letters in Siddham script. This is the oldest description of the contents of the Siddham primer in Shittanshō. It should be noted that in China and Japan the consonants (vyanjana varṇa) themselves were considered to be one of the vocalic forms of the consonants. There was no special sign for it, as in the case of other vocalic forms. Because of this they persistently say ‘twelve vocalic forms’. The sixteen vowels of Shittanshō are the vowels /a, ā, i, ī, u, ū, ṛ, ṝ, ḷ, ḹ, e, ai, o, au, aṃ, aḥ/ of the Varṇaparichaya. The twenty-five (explosive) letters starting with /ka/ of Shittanshō are /ka, kha, ga, gha, ṅa, ca, cha, ja, jha, ña, ṭa, ṭha, ḍa, ḍha, ṇa, ta, tha, da, dha, na, pa, pha, ba bha, ma/ of the Varṇaparichaya. The eight letters starting with /ya/ mentioned in Shittanshō, are / ya, ra, la, va, śa, ṣa, sa, ha/ of the Varṇaparichaya. Shittanshō says that the last consonant is /kṣa/. Next Shittanshō says ‘after this there is /ka/’. By it Sihttanshō means the vocalic combination like /kā/, /kī/, etc. of consonants. Next Sihttanshō says about the compound letters and their vocalic combinations. I think, it will not be an exaggeration to say that the basic framework of the modern day Varṇaparichaya is a carnbon copy of the Shittanshō of Buttetsu. It is to be noted that Annen just mentions the number of vowels and consonants given by Buttetsu. I have given the vowels and the consonants themselves on the basis of the varṇamālās given by Fa-hsien in 417 and by Dharmakshema in 426 AD in their translations of the Mahāparinirvāṇa-sūtra.5) The varṇamālās given in these two translations are considered to be the oldest recorded versions of the varṇamālā. The only exception is that after the consonant /ha/ there is the consonant /llaṃ/ and not /kṣa/ as stated by Buttetsu. I will designate these two oldest varṇamālās as the standard varṇamālā. I am giving them below. 60
Anjali
www.batj.org
An Indian monk in Ancient Japan Standard Varṇamālā Vowels : a, ā, i, ī, u, ū, ṛ, ṝ, ḷ, ḹ, e, ai, o, ou, ṃ, ḥ Consonants : ka kha ga gha ṅa ta tha da dha na
cha cha ja jha ña
ṭa ṭha ḍa ḍha ṇa
pa pha ba bha ma
ya ra la va śa ṣa sa ha llaṃ We find this format of the standard varṇamālā also in the account of the famous Chinese visitor I-ching and in Hsi-t’an-tzuchi of Chih-kuang, the standard textbook of the varṇamālā published in China around 750 AD.6) Hsi-t’an-tzu-chi was used widely as the standard textbook of the varṇamālā in China and Japan. Again, the varṇamālās given by Nathaniel Brassey Halhed in his A Grammar of the Bengal Language published in 1778 and by Raja Ram Mohan Ray in his Bengali grammar Gauriya Byakaran published in 1833 also come practically in this format.7) Dharmakshema is an Indian. Fa-hsien travelled across India between 400 and 410. Although he came across the varṇamālā while translating the Mahāparinirvāṇa-sūtra, it seems that he could not fathom the importance of the varṇamālā. The reason for saying so is that nowhere in his works he has discussed the varṇamālā. I-Ching came to India in 671 AD and lived in India for the next twenty years. He was very conscious about the significance of the varṇamālā, and he has recorded the varṇamālā as it was used in India in his days. These records and the varṇamālās of Nathaniel Brassey Halhed and Raja Ram Mohan Ray clearly show that the tradition of this standard format of the varṇamālā continued in Bengal till 1833. It must be mentioned here that the two oldest varṇamālās of Fa-hsien and of Dharmakshema have one exception. It is that the vowels ṛ, ṝ, ḷ, ḹ are placed after the consonants. Before ending this paper, I want to mention that the famous scholar Ishwar Chandra Vidyasagar was the first writer of the text book for Bengali beginners, the Varṇaparichaya, to break from the age old tradition of the Standard varṇamālā. For instance, he showed the last two vowels /ṃ/ and /ḥ/ as the last two consonants.
References (TSDK: Taishō Shinshū Daizō Kyō,
T: Top row. M: Middle row, B: Bottom row)
1.
Naoki Kojiro, Tr. Shōtoku Taishi, V. 2, Toyo Bunko, No. 489, Heibonsha, Tokyo, 1998, p. 39
2.
Nakamura Hajime, Ed., Shōtoku Taishi, Nihon no Meicho, Chuo Koronsha, Tokyo, pp. 461-66
3.
Annen, Shittanzō, TSDK, V. 84, p. 391T
4.
Annen, Shittanzō, p. 392T-M
5.
Fa-hsien, Ta-pan-ni-yuan-ching, TSDK, V. 12, No. 376, pp. 887B29-888B16;
Dharmakshema, Ta-pan-nieh-p’an-ching, TSDK, V. 12, No. 374, pp. 413T10-414T18
6.
Annen, Shittanzō, TSDK, V. 84, No. 2702, p. 408M;
Chih-kuang, Hsi-t’an-tzu-chi, TSDK, V. 54, No. 1186, pp.1187-88
7.
Nathaniel Brassey Halhed, A Grammar of the Bengal Language, Hoogly, 1778, p. 4
Ram Mohan Ray, Gauriya Byakaran, Rammohan Rachanabali, Ajitkumar Ghosh, Editor
in-Chief, Haraf Prakashani, Kolkata, 1973, p. 369
Chinese Characters of the Japanese Words Annen 安然
Buttetsu 佛哲
Shittanshō 悉曇章
Manyōshū 万葉集 Shittanzō 悉曇蔵
An Shih-kao 安世高 Shoku Nihongi 続日本紀
Shōmu 聖武
www.batj.org
Durga Puja 2021
61
Random Thoughts - Gunjan Verma
T
here was a real feeling of excitement when I got to know that it was going to be Japan this time. Took me back to a book gifted to us when we were really small. I think it was called Children from Other Lands or something like this. I don’t remember the exact name of the book but it was red and hard bound and had a chapter on Japan that was about Hina Matsuri. Fascinating story, I believe my journey towards Japan started right there and then.
Fuji-san; Acrylic on canvas; 2021
Generally the first car ride from the airport to my new home, in a new country is always memorable. The first sight leaves an impression which sets the tone for the rest of my stay. I can honestly say that every posting has been equally positive and very good to me. Here in Japan, the first view of my garden was exhilarating. It was as if the cogs in my brain started turning, ideas were popping. I firmly believe that it was God’s gift for me. Since that first moment, I have spent countless hours in the garden. The feel of soil on my palms relaxes me. I love nurturing my plants; I love the way my tending to them leaves them groomed and clean, something beautiful to behold; I feel they get space to breathe and be happy. I tend to lose track of time when I am in the garden. The garden becomes an extension of me, I easily flow in and out of it. Besides bringing me immense calm and tranquility, it also makes me feel closer to my grandfather and father who had green fingers that resulted in beautiful gardens. My family garden now, overlooked by my mother is a riot of flowers and fruits, a great inspiration.. Creativity is something that I have imbibed from my family. In Japan I see so many people creating, learning... Everyone is so eager to learn, I feel humbled. Everyone has that special something in them. For me, Art is immensely therapeutic. I try to learn the painting style of each country, same goes for Japan. The dribble of paint, the swipe of the brush, a thrill and then a calm descends on me, I feel lighter. I am in my zone. I strive to do something everyday, watercolor, a sketch, oil, acrylic or a few stitches of temari, a speech..see a temple or just anything. And yes, reading too. Something has to be done, keeps me connected to my inner self. The loss of creative time in Covid period has been a bit of a blow to the creative process. But though slow, the process still goes on. I am sure that I will leave a little bit of India with my Japanese friends and carry a great bit of Japan with myself when I leave.
On way to Fuji-san; Acrylic; 2020
62
Anjali
www.batj.org
Understanding the Conflict and Importanc of Peace Education
- Dr. Vandana Singh
T
he word conflict conjures up associations of tension, disruption, and violence with the expectation of anything from uncomfortable to life-threatening situations. From such a perspective, conflict is something to be avoided or even suppressed. However, there is another side to the bringing of an unjust situation to the surface or public arena, the stimulation to look for creative solutions and the challenging of outmoded ideas and patterns of thinking. So, conflict in itself is not to be eliminated but ways need to be developed to handle conflict. A common definition of conflict is a situation in which two or more individuals or groups perceive, that they possess mutually incompatible goals. Conflict isn’t the problem - it is when conflict is poorly managed then it’s a problem. Conflict is a problem when it: •
Hampers productivity
•
Lowers morale
•
Causes more and continued conflicts
•
Causes inappropriate behaviors
The possible sources of conflict are poor communication, competition for common but scarce resources, incompatible goals, and the like. The frustration of the basic needs becomes a source of social conflict. It is suggested that there are six sources of conflict: 1. Limited resource 2. Interdependent work activities 3. Differentiation of activities. 4. Communication problems. 5. Differences in perceptions. 6. The environment of the organization Conflict can also arise from a number of other sources, such as: •
Individual differences (some people enjoy conflict while others don’t)
•
Unclear authority structures (people don’t know how far their authority extends)
•
Differences in attitudes
•
Task symmetries (one group is more powerful than another and the weaker group tries to change the situation:
Conflict resolution skills/Strategies resolution and poor mediation programs are often promoted as a way, to reduce violence (and destructively managed conflicts). Management of conflict is a human relations concept long recognized in business and industry as a necessary component of the developmental process. Since conflict is seemingly unavoidable it is obviously necessary for administrators to be able to recognize the conflict. To view it as constructive as well as destructive
www.batj.org
potential, to learn how to manage conflict, and to apply conflict management strategies practically, the training for constructive conflict handling is inevitable, which would include: •
Strengthening self-esteem
•
Developing reflection skills
•
Improving communication skills
•
Sharpening analytical skills
•
Stimulating creative thinking and encouraging a problem-solving orientation
Peace education is meant to understand and manage conflicts and is the process of acquiring the values, the knowledge, and developing the attitudes, skills, and behaviors to live in harmony with oneself, with others, and with the natural environment. In other words, peace education is the deliberate attempt to educate children and adults in the dynamics of conflict and the promotion of peace-making skills in homes, schools, work, organizations, and communities throughout the world, using all the channels and instruments of socialization. It implies therefore that education for peace is an attempt to respond to problems of conflict and violence of different scales ranging from the global, regional, national, local, industrial, and personal levels. Thus, peace education is a global phenomenon that pervades all the regions and countries of the world. This is evidenced by the diversity in the focus and terminology, which peace education is given in the different regions and countries of the world. Peace education encompasses the spectrum of focal themes, including anti-nuclearism, international understanding, environmental responsibility, communication skills, non-violence, conflict resolution techniques, democracy, human rights awareness, tolerance of diversity, existence, and gender equality, among others. Peace education typically focuses on the social behavioral symptoms of conflict, training individuals to resolve interpersonal disputes through techniques of negotiation and peer mediation, learning to manage anger, fight fair and improve communication through skills such as listening, turn-taking, identifying needs, and separating facts from emotions. We all face conflicts and handle them the best way we can when they arise but Peace education can help us to be more effective and constructive in our approaches. Through a combination of increased self-awareness and skills training, we can learn to be more effective and constructive in our approaches. Through a combination of increased selfawareness and skills training we can learn to be more effective agents of conflict transformation or possibly even make useful interventions in conflicts in which we are not directly involved. Therefore, it is highly pertinent to introduce the studies of Peace education in our school system to create a much more harmonious world.
Durga Puja 2021
63
Strange Obsession - Tapan Das ‘The mad professor is always obsessed with his peaplants in his small kitchen garden,’ the students remarked sarcastically. ‘He never allows us to enjoy the green peas in his kitchen garden nor does he eat them himself; we should teach him a lesson,’ they added. Mr. Bob Cotton was a well-known professor of English in a small college in Pragjyotishpur, in Northeast India. He lived there with his wife, Jassi, a Sardarni by birth, who has devoted to her ‘Cotton Sahib’. After retirement, they decided to spend the rest of their lives in their rented cottage near the mighty Brahmaputra river at Kamrup, Mr. Cotton was an impressively well-built personality with a hawk-beaked nose and almost resembled a Sumo wrestler. His sharp eyes beamed through his spectacles, ever keen to find naughty students, and were always waiting to vent his acid tongue to demand the usual respect he expected as a professor. But after retirement, he was a transformed man. Perhaps the acid tongue in him sobered quite a bit after he retired. The professor and Jassi alias Jaswinder Kaur, made a lovely couple almost as if two religions were co-existing peacefully. While one had the Bible in his hand, the other had the Guru Granth Sahib. Bob Cotton was a good storyteller. He used to dramatize stories which Jassi enjoyed. There was no dearth of stories in their life. The Professor’s story-telling was always convincing. He enjoyed Indian spicy food which Jassi prepared especially the ‘green pea masala’, ‘pea stuffed kulcha’ and ‘peas pulao’. He also liked ‘Sarso da sag’ and ‘Makki da roti’ but ‘peas’ were like heaven to him. Cleaning utensils was another chore which he did not allow Jassi to perform. Most of the time, he would take up the role of the dishwasher. Jassi would lovingly call him ‘my firangee dishwasher’. People say that after they had lost their only son Paul they had become very lonely. However, no one had ever seen Paul. When he was not obsessed with his pea-plants in the kitchen garden, he would watch the students of the nearby hostel playing basketball or Volleyball on the nearby ground. During Christmas, the couple invited all the students of the hostel and distributed a particular sweet-cum-chocolate known as ‘butter fudge, specially imported from England. This chocolate was Paul’s favorite. Mr. Cotton used to place orders at the Farrah’s Sweet Shop in London so that they could get the parcel well before Christmas. John Farrahs Harrogate, London sent the parcels to him with unfailing regularity. Sometimes, Mr. Cotton would turn into a beast when he found students stealing peas from his garden. He would never allow anybody to even look at those plants. The day the students played the mischief with the pea-plants he would go berserk and beat anyone who would come near him. Only Jassi could cool him down. He would break down and cry like a child near the portrait of his late son Paul. Addressing the hostel students, she would plead, ‘Please take any other fruit or vegetable from the garden but for Wahe Guru’s sake don’t hurt him by stealing the peas.’ People had not seen his son Paul. Paul, presumably, was his son by his first wife in England. He did not like to discuss his son at any point of time and kept close secrecy 64
about it. Anything planted by the professor grew up so well that people would talk about his father Sir Benjamin Cotton who came to India with his family to take charge of the tea plantations in the North East, India. Sir Benjamin was a tea planter par excellence. After completing his studies, young Cotton went back to the UK for some time for higher studies. The unfortunate death of his father, mother and sister from malaria compelled the young Cotton to return to India. He did not like the tea plantation job. He was fond, rather, of academics. While his father liked the green valleys of Assam and Darjeeling and considered them the best for the plantation of tea, young Cotton was drawn towards books and gardening. He took up a teaching job. His colleagues were bewildered by his obsession with the pea-plants but did not dare ask him why. ‘He is a sheer mad man,’ quipped one of his colleagues, ‘I don’t agree,’ retorted another colleague. ‘The way he explains the use of sound in phonetics, is simply amazing,’ countered James. It was 24 December. The professor was, as usual, in his shorts and was watering his garden. The pea-plants grew so well that he was very happy as if he could see his son laughing. After that, he headed towards the hostel to invite students for Christmas celebrations the next day morning. Some students were at his place till late at night to help him decorate the Christmas tree. A new portrait of Paul was put up in the drawing room. Even the portrait of Guru Nanak was cleaned and put into place. The students were timidly eyeing the packed boxes of the tasty ‘butter fudge which had already arrived from London. That night on Christmas Eve, Mr. and Mrs. Cotton kissed each other and decided to retire to bed. Mr. Cotton wanted to sleep in the drawing room so that he could keep an eye on his kitchen garden. ‘If only our Paul was with us we would have gone back to our old cottage in London,’ lamented the old professor. Jassi was silent. She had decided to wake up first in the morning and wish her husband a merry Christmas. It was morning. Jassi tiptoed eagerly towards the drawing-room keen on surprising Mr. Cotton. But alas! Mr. Cotton was not in his bed. She peeped into the garden. He should surely be there! But what a sight! Was something wrong? She wanted to be the first to wish Mr. Cotton a merry Christmas, but there were people all around him! She ran to the garden and found Mr. Cotton lying on the ground with his eyes open. All the pea-plants had been uprooted! Mr. Cotton’s garden was totally ransacked! Oh Lord, how could this happen! She quickly touched the forehead of Mr. Cotton. But his body was very cold. She now understood what had happened. Mr. Cotton was no more. ‘Wahe Guru, don’t be so unkind,’ she cried. ‘Don’t leave me alone, Cotton Sahib’ cried Jassi. ‘What if the pea plants were Paul’s favorite ? These boys are also like Paul. Forgive them.’ The crowd now guessed the reason for the professor’s obsession. Green peas were Paul’s favorite! Paul presumably had sent this special variety of seed from the UK before he died. People say that Jassi did not live long either after that perhaps. Her forefathers were Sikh soldiers brought by the Mughals to Kamrup.
Anjali
www.batj.org
Strange Obsession The people of the North East and Professor Cotton’s students did not ever forget their old professor and his obsession with pea-plants. We can see the great Cotton Institute standing in its majestic grandeur reminding us of Professor Cotton even today. Kamrup, like the rest of the Northeastern region, attracts plenty of foreign tourists. It was great news when people came to know that Professor Cotton’s youngest brother, Sir William from Trinity College, London, was planning to visit the Northeast along with a group of other British tourists to pay their homage to some of their relatives who were British soldiers of the Second World War. Their memories were preserved in the war memorials at Kohima- Nagaland and at Manipur. Sir William Cotton decided to visit his brother’s grave too. The visit coincided with the annual day celebrations of Cotton Institute, where his brother had taught. A grand function was organized with Sir William as the chief guest. Speakers spoke about Professor Cotton and his strange obsession with the pea-plants and his son Paul. But Sir William was disturbed! His eyes were glued to the two portraits in the corner. His brother’s portrait was recognizable but what about the other portrait? It was familiar but he could not be sure. People said it was Paul’s but who the hell was Paul? His brother was not married when he left the UK. Then suddenly, he got it! It was his (Sir William’s) own photograph which he had sent to his brother from London! He had to spill the beans: ‘Ladies and gentlemen, you are committing a huge blunder. Mr. Cotton, my elder brother, did not have a child at all. And the portrait standing over there is my own portrait which I sent to him.’ The whole crowd stood stunned. He added, ‘Let me tell you, I did like the story that you have all said about his son Paul and also about his obsession with pea-plants. But the fact is, my brother was very fond of green peas. When he was a child he did not allow us to even share any dish made from green peas. It was a strange obsession, almost a disease. He would do anything to have green peas. In many of his letters, he had written how
he managed to save the pea-plants from the students and boarders. In fact, he resorted to this drama to enjoy the green peas all by himself. He died of a cardiac arrest but the story that you all have narrated, though interesting, I am afraid I am unable to digest.’ The crowd sat struck. As Sir William was getting down from the dais and walking towards his vehicle, there was mirth in the air and suddenly he could see some commotion near the gate. An old lady was forcing her way towards Sir William and she was holding a turban-clad young white man. ‘Mr. William!! Can you guess? Can you recognize me or this young man?’ she asked. In the meantime, the organizers had rightly guessed what was happening. They cordoned off the area. Sir William, taken aback at first, calmed down. His thought process ended with a small flash on his face. How could he not recognize the familiar face, familiar nose! He asked the lady. ‘If I am not mistaken, am I speaking to Mrs. Jaswinder Cotton? And if my answer is right, the young man should be Cotton Junior.’ The smile on the lady’s face was enough for Sir William to react. He put his step forward and hugged the young white Sardar. He said, ‘You look exactly like my brother but how come we did not know?’ He paused a bit, tears rolling down his cheek. ‘Yes, it was our fault we did not keep in touch with you and Bob was to be blamed too.’ The old lady took Sir William by his hand and asked him to sit on a nearby chair. ‘Yes! We had sent him to Canada, where my eldest sister lived.’ ‘He is Jeetpaul Cotton; we call him Paul,’ she added. ‘People do not know much about our son as Bob did not want that. His family thought he had become a priest. He wanted to keep it a secret as he married me against the wishes of his uncles and brothers in London,’ said the old lady. ‘I was also in Canada. We came here last week so that we could participate in his death anniversary function. On reaching India, we got the news from the newspapers yesterday that you would be the chief guest for this function. That is why we are here,’ she said. The reunion was worth witnessing. The crowd was happy to see the young white Sardar whose father Sir Cotton was a well-known professor. People say Paul and his mother went back to England and stayed with his uncle. It was also believed that Paul married a local tea planter’s daughter Junemoni whom his mother had selected. Both were in the teaching profession in England and they were a happy family.
Disclaimer: Strictly fiction. Resemblance to names and places could be just coincidence.
www.batj.org
Durga Puja 2021
65
The Foundations of a Great Education The Finnish Education System
- Sofyani Tatipamula
I
t is not surprising that most high schoolers are not happy at school. A 2020 Yale study surveying more than 20,000 high schoolers in 50 US states, shows that nearly 75% of high schoolers report negative feelings toward school. If you ask students how they feel at school, most would likely say “bored,” “stressed,” or “tired.” But, should students feel like this? This is certainly not how Finnish students feel. While most schools often neglect the overall well-being of students, the most successful education system in the world does not. Finland has ranked number one in the UN’s 2020 World Happiness Report for the third time in a row. It also has consistently remained at the top in the PISA results. PISA tests the skills and knowledge of 15-year olds in dozens of countries to evaluate education systems worldwide. It assesses reading, mathematics, and science. In 2018, it placed sixth overall out of 79 nations, second in reading literacy, and third among OECD countries in science literacy. It is not a coincidence that the happiest country happens to have the best education system. There are ten elements of the Finnish educational philosophy that contribute to its success and the happiness of students: 1. Inclusive and equal opportunities 2. Learning through play 3. Personalized learning 4. Lack of standardized testings and more focus on learning/self-assessment 5. Less strenuous environment 6. Minimal homework and later start to school 7. Independence and freedom of students 8. Flexibility 9. Lifelong learning 10. Autonomous and highly qualified teachers The Finnish education system guarantees equal learning opportunities regardless of the person’s social background. Most schools in Finland are public with the exception of a tiny handful of independent schools. Education from preschool, upper secondary to university is free for all citizens in Finland, but also citizens from countries in the EU, EEA, and Switzerland. Additionally, special needs education is heavily embedded in Finland’s national education system. The focus is on supporting all students with special needs in a mainstream class and when necessary, providing special needs in small teaching groups. Students may have an individual study plan that can be integrated or partly integrated into mainstream class or they may also receive part-time special needs education. Very few children are made to repeat a year or be segregated from their classmates. The objective of special needs education there is to support all students with special needs by providing equal opportunities to complete compulsory education in accordance with their abilities, and alongside their peers.
are provided with ample opportunities to play. First and second graders on average have 3 hours of classroom instruction interspersed with short recesses. After school, they usually attend an after-school club to engage in lots of self-directed play. Finnish daycares and preschools follow the national Early Childhood Education and Care (ECEC) curriculum that strongly believes in letting children be children, by focusing on play, health, and the overall wellbeing of the child. All activities are planned around the holistic wellbeing of the child, supporting their overall development and learning journey. There is no cutthroat or toxic competition as students are not ranked based on exams, but instead more of an environment of cooperation. Schools also start from 9:00 to 9:45 am and end earlier by 2:00 to 2:45 pm. Not to mention, Finnish students only have a couple of classes but are longer with 15-20 min breaks. Thus, there is generally a relaxed and low-stress environment for students and teachers, promoting good well-being for students. It creates an environment for holistic learning so they can perform the best. This has also been proven by the 2016 NCBI article, “School Start Times, Sleep, Behavioral, Health, and Academic Outcomes,” that early start time is detrimental to student’s well-being, health, and maturation. This study and countless others have provided evidence that later starts times increase weeknight sleep duration and thus, improved attendance, less tardiness and falling asleep in class, and better grades. There are two assessments in the Finnish education system. One is the final comprehensive assessment of the student’s progress at the culmination of basic education: the student portfolio. This determines whether the student earns a certificate of completion and can proceed to secondary school. It contains yearly reports and diverse evidence of student’s works from 8th and 9th grade. The second one is the National Matriculation Exam, the only standardized test in Finnish schooling. This is a voluntary test for students who want to continue on to higher education at the end of secondary school. Often when preparing for standardized tests, students cram to just pass the test rather than to really learn. This may be why there is a lack of standardized tests here and more of a focus on formative assessment (progress of learning and overall development of students) than on summative assessment. Test scores are not accepted as the sole criteria for assessment. For example, students are assessed through their work over the years, which provides feedback to the students about their progress in learning, strengths, and areas of improvement. This is to promote self-evaluation so students learn how to evaluate their own performances, set their own goals, and reflect on their own progress. Finnish students are therefore nurtured into independent and self-aware thinkers. On top of this, teachers communicate regularly to parents about the student’s progress, which allows for better communication between the child and parent. Teachers also give exams in the classrooms but avoid presenting the situations as a test so students see this as a ‘learning experience’ rather than a summative assessment. The tests are also graded qualitatively with a scale from “very good” to “needs practice,” which fosters a growth mindset that is more encouraging and less pressurizing to students.
In the early years, learning through play is strongly emphasized before children enter schooling. It has been proven by numerous research studies that “The Power of Play,” in the short and long run, fosters cognitive, social, emotional, and It must be clear by now that learning is prioritized by physical development. It may come off as shocking that Finnish Finnish schools. Each student’s progress is followed through children do not start schooling only until they are 7 years old. the national curriculum’s learning outcomes: ‘Learners have Before then, they spend most of their time learning through an active role in what and how they learn and truly hold a key play. Even when Finnish children begin first grade, students 66 www.batj.org Anjali
The Foundations of a Great Education to unlocking their own potential.’ Learning is personalized for each student by empowering their strengths and supporting their challenges. They are encouraged to follow their own paths that maximize their growth and learning. The structure of the education system in Finland, therefore, promotes lifelong learning and allows all students to reach their full potential without anyone being left behind.
Compared to schools in Asian countries, students in Finnish schools are given more independence and freedom. Inside classrooms, teachers are comfortable providing students with ample freedom such as assigning openended projects. This practice encourages creativity but also pushes children to develop stronger critical thinking skills. Moreover, especially during the first years of school, homework is minimal and school days are short. According to the OECD, compared to an average high school student in the US who spends 6 hours on homework and outside work, students in Finland only spend 3 hours a day. As the focus is on learning through play, this leaves students with more time to spend after school to play, on their hobbies, and develop soft skills outside of the classroom. This contributes to the happiness of children as they are not always under high pressure, worrying about grades. They learn and grow as human beings. As a result, they outperform cultures that have toxic and stressful school-to-life balances. Notably, Finnish teachers are highly qualified. They are highly trained and have to obtain a mandatory master’s degree. Teaching programs are also the most rigorous and selective professional schools in the entire country. The bar is set so high that teachers automatically have great responsibility and accountability. Therefore, teachers are given lots of autonomy to plan their own teaching and resourcing. As personalized learning is the focus, a large part of a teacher’s role especially in Finnish schooling is to learn how to tailor teaching to different kinds of learners. Research also suggests that teacher autonomy is linked with happiness at work and retaining educators in the teaching profession.
Figure 1: Basic Structure of Finnish Education System
Furthermore, only 9 years of schooling are compulsory for Finnish children. Everything past ninth grade is optional. Finland allows more freedom in this way for children to prepare for the real world if they desire. In America, the UK, and many countries in Asia, each grade in school is preparation for the next, all in grand preparation for university, which then prepares you for the next grand thing. It is never-ending and exhausting due to how incredibly immutable it is. Many students do not really need to attend university and get a worthless degree or flounder around trying to figure out what they really want to do with their lives and incur massive debt. Finland however is flexible in this aspect shown by the figure above as they offer other options that are equally advantageous for continuing education. One is attending college by taking Upper Secondary School, a three-year program that prepares students for the Matriculation Test that determines their entry into a university. The other is attending vocational/trade school.
One last distinguishable feature is that students in Finland often have the same teacher for up to six years of their education. During this time, teachers can take the role of a mentor or even a family member, and build a stronger relationship with mutual trust and bonding so both parties really get to know, understand and respect each other. This also allows for teachers to accurately track, evaluate and care for their progress and help them attain their goals. While it is not possible to perfectly replicate the Finnish education system, perhaps what other countries and schools can take away from the success of the Finnish education system is their simple mindset to return back to basics, that is: providing a learning environment that promotes students’ wellbeing. This is the most important foundation of a good education. However, many school systems are too concerned with qualitative scores and assessments that they tend to forget what constitutes a happy, harmonious, and healthy student and learning environment. However, Finnish schools focus on maximizing and making learning fun for every student and school a more equitable place. Therefore, it is only true that Finnish students are the happiest in the world.
Works Cited Belli, Brita. “National survey: Students’ Feelings About High School Are Mostly Negative.” Yale University, 30 Jan 2020, news.yale.edu/2020/01/30/national-survey-students-feelings-about-high-school-are-mostly-negative. Colagrossi, Mike. “10 Reasons Why Finland’s Education System Is The Best In The World.” Big Think, 10 Sep 2018, www. weforum.org/agenda/2018/09/10-reasons-why-finlands-education-system-is-the-best-in-the-world. “Homework In Finland School.” 2017, in-finland.education/homework-in-finland-school. “How Does Finland’s Top-Ranking Education System Work?.” Big Think, 15 Feb 2019, www.weforum.org/agenda/2019/02/ how-does-finland-s-top-ranking-education-system-work. Korpela, Salla. “With Free, High-quality Education For All.” Finland Promotion Board, March 2009, finland.fi/life-society/ www.batj.org
Durga Puja 2021
67
with-free-high-quality-education-for-all. “Special Needs Education In Finland.” Finnish National Board of Education, 2021. Strauss, Valerie. “No, Finland Isn’t Ditching Traditional School Subjects. Here’s What’s Really Happening.” The Washington Post, 26 Mar 2015, www.washingtonpost.com/news/answer-sheet/wp/2015/03/26/no-finlands-schools-arent-giving-uptraditional-subjects-heres-what-the-reforms-will-really-do. Walker, Tim. “The Simple Strength Of Finnish Education.” Finland Promotion Board, Dec 2016, finland.fi/life-society/thesimple-strength-of-finnish-education. “What’s So Great About Finland’s Education System.” New Nordic School, 3 Aug. 2021, www.newnordic.school/news/ blog-finland-education-system. Wheaton, Anne G., et al. “School Start Times, Sleep, Behavioral, Health, and Academic Outcomes.” J. Sch. Health, vol. 86, no. 5, May 2016, p. 363, doi:10.1111/josh.12388. Yoshikawa, Daiki. “The Comparison Of The Education Systems Of Finland And Japan.” Go With The Flow, 2 Feb 2019, finland-life-lessons.com/the-comparison-of-the-education-systems-of-finland-and-japan-1. ,
Nolen Gurer Nadu - Piali Bose
M
aa was never so confident about making narkel nadu as she was baking a cake, it was Baba who learned the art while participating in the ritual in his large joint family of helping Maa, Kakimas while they shaped the perfect round shapes of coconut mixed with the winter delicacy of nolen gur (the date palm jaggery so quintessential to winter in Bengal).
So Baba, the perfectionist that he was, started; and Ma helped like every season. Sometimes the roles reversed and she gave the inputs while they made those aamer jelly aamer squash, achhar, or aamsotto. Their evening partnership stretching to weekends, dishing out traditional delicacies, was something Kushal could never understand. Not that he cared much. He cared however for the Nolen gurer Nadu–stacked in the refrigerator.
Studying alone now in a distant land, the scene of two middle-aged people sharing a common bonhomie, one quietly instilling confidence into the other,one grudging smilingly over the shapes and texture not coming perfect, unfurled like scenes of perfect friendship, love, and the aroma of home. Baba was startled by the mid morning phone call while during his University classes,” Next time bari aashle, amaye Nolen gurer Nadu banano sikhiye debe Baba?” (Next time when I come home, will you teach me to make those perfectly round narus,baba?)
68
Anjali
www.batj.org
My Ego (1993-2021) - Shoubhik Pal This year, I buried my ego, once and for all. But it didn’t just die all of a sudden - it has been slowly weakened over the years by 5 pivotal events. Let’s deep dive…
Event #1:
It was 2008, and smartphones were just starting to become a thing. I was in the movie theatre watching Dostana with my family, and I totally fell in love with Priyanka Chopra. Delusions of grandeur followed, as I imagined far-fetched situations like meeting & charming her at a random party, and then asking Father Chopra for her hand in marriage. Guess what? None of this happened. (Thanks a lot, Nick Jonas.)
Event #2:
Let’s move to 2013 when I was trying to play the role of a cool kid who didn’t study much in college. I gave this final exam for a class I didn’t go to for most of the semester. Right before the results came, I did a prolonged prayer to whichever God will hear me, demanding a good grade for my (little to no) efforts. You can probably guess what happened… Hey, at least it wasn’t as bad as my schoolmates during our 10th grade exams - many of them didn’t even pick up their books for it. During the summer break, right before the results came out, a lot of them went to Tirupati and shaved their heads in the hopes of passing. They didn’t, and now some of them are balding.
Event #3:
2017, and I’m full steam ahead in my work life. I had this awesome idea for a brand I was working on - for validation, I told all my friends about it, and all of them liked it. But when I told my boss about it, he trashed it and gave me flimsy reasons as to why it didn’t work. When I reverted with my views, I was given an hour-long lecture by him on how I was being arrogant by speaking back to him. Here, I realized that not everyone is going to think the way I do - so when your bosses rip on your idea, let it go for the time being and keep it in the bank. Who knows, that idea may come of use in a different company or a different project.
Event #4:
It’s 2018, and I’m in Delhi. One morning, I get a call from my parents - and like many calls with parents, there was some shouting and arguing involved. In this particular one, a lot of that arguing was with my father, over silly matters that could be resolved in the next call. That next call never came - 4 days later, he passed away. During that time, I felt haunted over that phone conversation being possibly the last time I spoke to my father. I tried to do irrational things, like moving him to a different hospital in an attempt to save him - just so I’d have the chance to talk to him again. When they declared him dead, the finality of it dawned upon me - I can’t change my last conversation with him. The only option I had was to move past it.
Event #5:
It’s 2021, and I’m 28. I always had a vision that I’d work very hard in my early 20s and spend my late 20s traveling more and pursuing my true passions. Well, as it turns out, a deadly global pandemic doesn’t care about your plans. I had no choice but to make the most of a bad situation - I put those plans on hold so I could learn as much as possible in the WFH era and use those learnings in a future job in something I’m totally passionate about. As for travel and turning 30, a) those places aren’t going anywhere, and b) age is just a number.
So that’s it. These different events have given me guiding principles to move forward: don’t overthink things, take it a day at a time, and the only thing you truly have control over is your actions. I know you’ve probably read this in some self-help book somewhere, but no harm in reading it again. Till next Anjali, then...
www.batj.org
Durga Puja 2021
69
How gender norms are holding us back in the 21st century!
G
rowing up in India, I thought women’s education inevitably leads to women’s empowerment. For why women occupied such few positions in offices, boardrooms, or parliament, I observed well correlated with their low educational status in our country. I assumed if we could provide good quality education to all our womenfolk (and men of course) they would step forward and claim their rights in decision making whether at homes, workplaces, or governance. One of the primary hurdles in educating women in a country like India is high rates of poverty. Research suggests that women are more likely to be poor, less educated, less healthy, lowly paid than men everywhere, and more so in developing countries. If poverty is the reason, can economic growth be the solution? Economic growth (provided it is equitable) gives us a way out of poverty as it solves the problem of lack of resources for which women often must make the first sacrifices as daughters, sisters, wives, and mothers. Based on all these scattered observations, the amateur economist in me concluded that economic growth via the education route can solve the problem of empowerment of women in India. And then I came to Japan- a rich and developed economy. I observed women as secretaries, part-time workers, or on ‘mamachari’ bikes disproportionately higher than men. It became evident that women were clearly missing in leadership roles at workplaces and in politics. They did not appear to be equally empowered in this ‘developed’ country. Why? The 2021 Global Gender Gap report helps us find some answers to such questions. The gender gap is high in a country if there are big differences between the economic, social, and political status of men and women. Japan ranks at a dismal low of 120 out of 156 countries. The rich Nordic countries like Iceland (1), Finland (2), and Norway (3) rank amongst the top with the lowest gender gaps. However, the ranking is a mixed bag of a variety of rich and poor countries. Rwanda (7) and Philippines (17) rank above the United States (30), Mozambique (32) and Mexico (34) are above Australia (50) Zambia (56), Kenya (95) and Nepal (106) are above China (107). India stands miserably low at 140, just above Qatar (142) and Saudi Arabia (147). Clearly, high economic growth and the size of the GDP aren’t narrating the story of what is happening with women’s life in the countries. The Global Gender Gap compares countries’ gender gaps across four dimensions namely- economic
70
- Dr. Prachi Gupta
opportunities, education, health, and political leadership. While GDP growth does improve the health and education of women across groups, it does not guarantee equitable economic opportunities and political participation. Why? Consider Japan. Women in Japan are highly educated and very healthy – almost the same or even better than men, they are still missing on the leadership front. Japan is an outlier amongst the OECD countries to have such a dismal rank. Two key factors related to social factors explain this phenomenon in the case of Japan - Gender norms and conformism. Gender norms are social principles that govern the behavior of men and women in society. For example, who should earn more, who should cook, who should handle money, who should play with cars, who with dolls etc. Gender norms are often based on tradition and may largely apply to how people choose to behave. However, strong gender norms affect society’s ability to allow men and women to freely move into each other’s gender-defined roles. For example, should women work as electricians or should men be kindergarten teachers? Evidence suggests that gender norms restrict women’s empowerment by limiting their access to networks, information, assets, and jobs. When a society lacks the capacity to address gender norms, women irrespective of their skill and education may not be able to reach places that have been traditionally perceived as a man’s job like being a CEO or a politician. Bringing a change in a conformist society like Japan has been a big challenge as voicing one’s opinion against the status-quo is often regarded as ‘ill-informed’ or ‘selfish’ as it goes against the values of the society. What lessons can we draw for India? The essence is that women’s empowerment may not come naturally with rapid economic growth unless there is a conscious effort in addressing change in gender norms both at home and in offices. Unless men and women share the spaces equally in the boardroom and the kitchen the dream of equality will continue to remain so. The gains in liberating our boys of the pressure to be primary breadwinners and our girls to be their ‘good wives’ may be difficult to perceive and unsettling at first, but economic theory guarantees its worth. Unless, the entitlement, talent, and skills are distributed randomly across all humanity and the capabilities of half of humanity are utilized, the losses to society will remain immense. India, the land of Durga deserves better.
Anjali
www.batj.org
Where The Mind Is Without Fear - Mandar Ponkshe
I
relocated to Japan towards the end of 2019. This is not my first move here, having had 2 long stints in the past. So, I was certainly looking forward to a good enjoyable stint in the country which has given me much joy and more importantly taught me much. The COVID-19 pandemic has changed much of those experiences, expectations though... and not surprisingly. We are in the pandemic now for 18+ months. And the societies are still in the firm grip of the fear. Early sporadic reports caused fear of the unknown, which quickly turned into real concern/fear. That turned then into all uncertain equations, unknown situations for all families/countries by 2020 end with vaccination news arriving on the horizon. Now the vaccinations are largely administered, we still find ourselves in the unknown territory of vaccination effectiveness, new strains on the rise, cross-border travel restrictions, and whatnot.
It’s quite surreal that while everyone was busy playing wars, economies, and greed, the virus and its fear have crippled the globe for close to 2 years now! Astounding! The medical experts, environmentalists will have all the answers, and rightfully so. So the need of the hour is perhaps putting it all together to alleviate the confusion. In the last 4-5 months, the uncertainty has certainly gripped the societies and governments as well. How do you live through this? Especially as expats with family & friends spread out, how do we get our purpose of this life aligned with what’s going on? How do I ensure that I go about day-to-day life without meeting our family, our parents, friends for such a long time? Sure, there were small windows of opportunities; however most have missed those travel opportunities to meet up, and some have simply imploded with fear and anxiety. That’s the question at the forefront of my mind. At an individual level, the answers are not as much scientific as those are in our thought process. Vaccinations will take care of making the community immune to some extent until news screens new irises appear on the horizon. In the meanwhile, every individual is part of the society, which is part of the world community/earth as our abode. The answer may be in our ancient wisdom. A good starting point would be with us “Where The Mind Is Without Fear” as Rabindranath Tagore said. Such profound and inspiring words of Gurudev (selected few below): Where the world has not been broken up into fragments By narrow domestic walls Where words come out from the depth of truth Where the clear stream of reason has not lost its way Where the mind is led forward by thee Into ever-widening thought and action Without fear is the only way we can progress as individuals and as a society. The fear rational or irrational is going to stop us as a society from progressing. Hope can spring only from fearlessness. It can turn into a vision by combining fearlessness with risk acceptance & compassion. As an Indian community, as countrymen originating from the land of that ancient wisdom, we need to exhibit that compassion and fearlessness. It should be visible in all our spheres of our action. As leaders in the community OR at the workplace, we need to show acceptance of new normal in positive traits through our behaviour. While Japan government has all politically correct directives out there, Japan did manage to get the Olympics done. That tremendous courage, the forcing economic arguments not-withstanding. We need to be the change agents and build on top of it. Our behaviour should be aimed at reducing fear, reducing anxiety, forward-looking actions to restore our human touch and compassion. The organizations & governments are all bound by looking at the downside in opening up the society. However, the Indian community (which I would like to believe as better off than others financially) has the responsibility to speed up the normalcy restoration. To play down the fear and purposefully taking actions everyone deems fit. I desire us to be fearless. To be alert. To be compassionate but forward-looking to bring life back to normal. Bhagwan Shri Krishna enumerates divine attributes in Bhagavad-Gita chapter 16. He gives us 26 divine characteristics in total. The foremost thought is fearlessness (ABHAYA). It’s not a mere coincidence. Other good attributes simply cannot blossom until ABHAYA takes root. So here is my wish for all of us to stay safe and look forward to rational next steps.
ॐ सर्वे भवन्तु सुखिनः। सर्वे सन्तु निरामयाः। सर्वे भद्राणि पश्यन्तु। मा कश्चित् दुःख भाग्भवेत्॥ ॐ शान्तिः शान्तिः शान्तिः॥
Let it remain a mere wish. Let us all resolve to show that strong, mental fortitude to make the world a better place sans recklessness, greed, disrespect that may have caused the pandemic to start in the first place. Godspeed! www.batj.org
Durga Puja 2021
71
F1 - Nishant Chanda
M
y interest in following the Formula 1 world peaked after deciding to study in the field of mechanical engineering. I would have kitchen mates who would gather on the weekends to watch the races, whether they be in the middle of the night or the day before an exam. In the beginning, it all felt a little confusing to me as I knew nothing about it beforehand, but after talking about it with friends, listening to the commentaries, and watching YouTube videos about the sport, I’ve learned to appreciate it. Although the cars may not be the fastest in a drag race, they are the fastest cars to go through turns and chicanes. A disclaimer beforehand, a lot changes in this sport year to year, so what I’m about to mention is not accurate to the early times or the future; it is more about the present.
Structure
Every year, Constructors (companies that make the chassis of the car) sign on two drivers for their team. Recently, there have been 10 teams, so 20 drivers. They race around 20 times in the course of one year, and almost every one of them is in a different country. In every race, the top ten drivers receive points, with first place receiving 25, second place 18, then 15, 12, 10, 8, 6, 4, 2, and 1 point for 10th place. Additionally, the driver with the fastest lap time in the race is awarded another point. These points are tallied up through the season, and the driver and constructor with the most points win the world championship. Although it is common that the winning driver’s constructor also wins the constructor championship, it is not always the case. On a race weekend, what usually happens is that drivers can practice twice on Friday, which is called Free Practices 1 and 2. On Saturday, they have Free Practice 3, and then Qualifying. In Qualifying, the grid order is determined. It happens in three stages. The three stages Q1, Q2, and Q3 are not clear to me, but it happens in some form of elimination, starting with all 20 drivers in Q1, then less for Q2, and even less for Q3. Sunday is race day. The driver with the fastest lap time from Saturday’s qualifying starts at the front of the whole pack.
72
Circuits
Most people, after watching several years of the sport, tend to prefer some circuits over others. The races I find most interesting are the ones on blocked off public roads (Baku, Singapore, Jeddah, etc.) and the ones with high elevation changes (Spa, Monaco, Suzuka, etc.). F1 races happen on circuits that are given the highest grade by the FIA. As for the length of the circuit, tracks that are shorter cause a lot of overlapping between the fastest and slowest driver. Long tracks can be expensive to host as more run off areas, more stewards for safety, and in general, more of everything is needed. Run off areas are usually in turns with a high speed entry. They are often made of gravel, to slow down the car, and have walls made of tyres to minimize the impact to the driver in the
event of a crash.
Parts
An F1 car consists of parts made by their own constructor, borrowed from another constructor, or is standardized between teams. Aerodynamic related parts are usually made on their own by every constructor. The engine is usually borrowed from either Honda, Ferrari, Renault, or Mercedes. For example, of course, Mercedes uses its own engine, but it also lends its engine to McLaren, Aston Martin, and the Williams teams. One of the most important standardized parts is the tyre.
Anjali
www.batj.org
F1
Tyre
Pirelli supplies all the teams with tyres. The team can make a very little adjustment to what they are given. There are seven tyre compounds that Pirelli makes. Five are for dry weather, and two are for wet. The first five differ by hardness. Pirelli chooses three out of the five to be used in every race. They are named soft, medium, and hard. The softer the tyre is, the better grip it has. However, it comes with the drawback that these tyres quickly degrade calling for a pit stop. Hard tyres are the opposite; they can last for a long time but provide less grip. In wet conditions (rain), the two tyre types differ in terms of how much water they evacuate. The intermediate tyre evacuates 30 liters per second, whereas the full wet tyre does 85 liters per second. The intermediate is perfect for when the ground is still a bit wet, but is drying up.
Pitstops
As mentioned before, tyres have to be changed mid race when the tyres are degrading, or even to change the front wing of the car in the case of a light crash. If only tyres need to be changed, these stops can be done in less than two seconds! The Redbull team holds the record for the fastest pitstop at 1.82 seconds at the 2019 Brazilian Grand Prix.
mechanism where pulling/pushing the steering wheel resulted in the front wheels to toe in or toe out. The FIA banned this mechanism shortly after. Like this, if the FIA considers an innovation to be inappropriate in any form, they can add a new rule to the rulebook. In the past, cars tried to change the semi-automatic transmission to fully automatic, but this was probably considered as taking away from the driver showing his or her skills. Another interesting rule is that a certain amount of gas needs to be left in the gas tank for an inspection post race. Also, after a driver exits his or her car, he or she must reinstall the steering wheel, or can be disqualified for such a simple action. The rules are not only there for creating a level
playing field, but also a safe one. Recently, the “halo” was introduced in the cockpit which provides crucial protection to the driver in the case of projectilelike debris, the car rolling over, and also crashing into side rails head on. F1 races also don’t start in certain weather conditions so that helicopters can take drivers to the nearest hospital in the case of an accident.
Conclusion
Now is such an exciting time to watch this sport. Records of the past are being broken due to drivers of the current season. Lewis Hamilton has the most race wins ever, and is going for his 8th world championship title. If he pulls through, this will beat Michael Schumacher’s record. Sebastian Vettel dominated in the beginning of the decade. He has a lot of records for being Rules the youngest driver to achieve many accomplishments. Kimi Winning is almost guaranteed for the team with the most Raikonnen is a true veteran having started and finished the money. With more money, a team can research and develop most F1 races ever. Racers are true athletes feeling four to six numerous new ideas and do not have to hold back on any times their body weight in corners, four times their body weight aspect of improving the car. If it weren’t for the rules that are when braking, and two times when accelerating. They sit in set by the FIA, F1 would be a very different sport. It’s in the sauna-like conditions right in front of the car’s fuel tank for a name itself, Formula 1 because of all the formulas the teams couple hours, losing 4kg of body fluids in one race. Watching need to follow. Tire management is very important, and drivers regular citizens in an F1 car is humorous as they have very like Sergio Perez can manage hard tyres to last the whole weak neck muscles and cannot support their heads during any race. The FIA, however, requires drivers to use at least two kind of acceleration. Netflix has covered the past few seasons, different compounds (e.g. medium tyres switched to hard tyres so watching Drive to Survive may help one to appreciate the halfway through). Lewis Hamilton and his team introduced a sport. www.batj.org 73 Durga Puja 2021
Impact of COVID Pandemic on Business and Industry
- Manikchandra Ghosh
I
n December 2019 when Coronavirus disease 2019 called COVID -19 was identified, the entire world became terrified, because of its manifestation as a deadly virus. Its uniqueness in spreading, transmitting, and infecting people made the world nervous. The World Health Organization subsequently, declared the COVID -19 outbreak as a pandemic. Since the outbreak of the deadly COVID-19 virus, it has been not only disrupting our normal activities and our businesses but also claiming several lives on a daily basis. Such unprecedented loss can be compared only with the damage due to World War II. To prevent the spreading of COVID-19 and minimizing the damage several difficult but unavoidable measures and restrictions become mandatory to follow in addition to the implementation of a strong vaccination program worldwide. Such measures include maintaining social distance, wearing a facemask in public, disinfecting surfaces appropriately, implementing travel restrictions, following strictly the rules for lockdown and quarantine, etc. These mandatory measures for containment of the virus or avoiding the transmission of the virus from one person to another, however, have a profound impact on an individual’s lifestyle, business, and economy worldwide. In this article, an effort has been made to summarize how the business has been being disrupted globally since the outbreak and explains what kinds of changes in business culture may be included in the near future. Due to COVID -19 pandemic, Industries broadly have been experiencing disruption in both supply and demand sides. The upset on the supply side weakens the industry’s ability to produce goods at the given market price. Supply-side upset is triggered by several factors. The most important ones include the industry’s inability to adopt alternative routes in running the production while maintaining the rules for personnel safety in general and disruption of feed material supply, and /or breakdown of supply chain due to lockdown in the restricted COVID environment in particular. Mandatory OSHA Standard strongly encourages employers to provide time off to workers for the time it takes for them to get vaccinated and recover from any side effects. In addition, it suggests that employers consider adopting policies that require employees to get vaccinated or to undergo regular COVID-19 testing, in addition to mask-wearing and physical distancing, if they remain unvaccinated. People are considered fully vaccinated for COVID-19 two weeks or more after they have completed their final dose of a COVID-19 vaccine 74
authorized for Emergency Use Authorization. To fulfill the above requirement, it becomes necessary for the industry as a minimum to consider limiting worksite access to only essential workers, implementing flexible or staggering working hours, maintaining social distance, and hygienic conditions at workplaces with constant monitoring of the employee’s health and accepting remote work. However, implementing these measures is not straightforward, as it requires an additional change in infrastructure, administration, and change in work culture. This adds additional expenditure that many industries find it difficult to absorb. As a result, it dampens productivity. Lockdown is another kind of measure that has been opted by several governments worldwide on several occasions based on the severity of the COVID -19 pandemic and the perception of the public health risk. When a lockdown is applied, a large proportion of the workforce is instructed to stay home and continue to work remotely, if the nature of the activities permits them to do so. This forces the industry to build massive infrastructure suitable for remote- work/telework on one hand and pushes the industry towards digitalization on the other hand. If any manufacturing unit fails to orient towards this new situation, it has no option but to pause production that often triggers an increase in unemployment. This phenomenon sometimes disrupts the supply chain. On several occasions, the imposition of these lockdowns makes it harder for the industries to fulfill their contractual obligations. For instance, when Wuhan, a major automotive manufacturing hub, was under lockdown due to the COVID-19 outbreak, it impacted supply chain and production lines for domestic and international automakers, and it continues to do so. In South Korea, Hyundai has shuttered assembly lines and canceled overtime at a plant in Ulsan city that manufactures passenger cars- sedans and sport utility vehicles after its suppliers in China suspended production amidst the public health emergency. The upset in demand side is mainly because of the reduction of consumer’s ability to purchase goods and services at a given price. Because of the requirements of maintaining social distance, restricted people movement, and/or imposition of lockdown, service sectors businesses such as travel, restaurant, and entertainment are highly affected. Loss of earnings contributes to the decreasing trend of demand for the purchase of a home, cars, other appliances, etc. The impact of COVID-19 restrictions can be seen as one of the factors for the current crisis for oil, gas, and chemicals companies. A decrease in oil price results from slowing down of demand of the finished petroleum-based product and
Anjali
www.batj.org
Impact of COVID Pandemic
less consumption of oil due to the travel restrictions in the wake of this global pandemic. Although the COVID-19 pandemic is seen as a threat to civilization and terrible to major businesses and industries as explained above, there is no doubt that this pandemic acts as an accelerator of the health care industry and digitalization. COVID-19 pandemic increases our awareness of how important it is to keep oneself clean. People understand that being hygienic is no longer just a good habit, but essential for survival. It also points out how poor the country’s healthcare systems are, and the country’s overall readiness is in handling virus outbreaks. Public health surveillance programs and available infrastructures are found inadequate in some countries in handling the pandemic. This great realization acts as a transformation catalyst, accelerating the implementation and adoption of changes in the public health care system. It gives birth to a new model of healthcare delivery with more emphasis on preventive measures, remote care, and substantial technological dependence. This trend of rapid growth in the public health care sector is likely to continue even in the post COVID era worldwide. As mentioned above, due to the outbreak of the COVID-19 pandemic the world moved online and discovered the amazing strength of internet-based telecommunication. Nearly overnight, as per COVID restriction, a large gathering was prohibited. People were asked to work from home remotely as much as possible.
www.batj.org
During these times, businesses discovered internetbased technology as a useful communication tool and a helpful means of engaging with customers and other colleagues. Indeed, the industry quickly accepted and integrated remote-work/telework as a part of office work culture for performing tasks remotely by utilizing various collaboration platforms and video conferencing facilities to remain engaged with their colleagues, clients, etc., while working from home. This added a new dimension to the business and introduced workplace flexibility. The realization of this positive outcome has ultimately led to tremendous growth in the digital transformations and is expected to do so in the foreseeable future. In fine, it can be concluded that business setback due to pandemic is temporary. Therefore, there is no doubt that every industrial sector will recover and see growth again once the current pandemic is over. The positive changes that have been initiated in business culture due to the COVID-19 pandemic will continue even in the post COVID era. Lots of research will focus on the improvement of the healthcare system and related infrastructure for prevention, control, and management of any kind of an outbreak like the one COVID -19 in the future. In addition, the growth of healthcare infrastructure is expected to rectify the shortcomings that were already identified. Due to the integration of remote work/telework, digitalization, and internet-based communication, it is expected that there will be a groundbreaking change in office culture. It will add flexibility in Office work. Business and employment opportunities will no longer be local but global with working hours being flexible. This integration is bound to give a much needed boost to productivity.
Durga Puja 2021
75
My Journey of Normal - Sougata Mallik
I
am looking at the time span from 2019 end to the current days of 2021. During this period - like you, like him and like her, I have also spent a lot of time indoors.
Throughout our lives, we have had a distinct compartment of time as ‘going to work time’ and ‘coming home from work’ time. The morning whirlwind busy time was always for going to work. The relatively relaxed time was for coming home. When we reached home that was our time to unwind and relax. This was the hegemony we grew up with, this was the dominance we practiced in our lives and this was the governance we were teaching our children. Come 2020, all the set divisions disarrayed - and innovative supremacy of new normal time crept in. You, I and most of us had to regulate our time to stay at home and work from home. When you are working from home, employers don’t know exactly how you are doing the work. To keep personal contact with all workforces, they organized frequent Zoom meetings, one-on-one weekly updates, Teams’ virtual face-to-face discussions etc. The idea was perhaps to keep all employees on track, retain productivity level, so on and so forth. That is a good thought. The more we are aware of everything, the more efficiency we can maintain at all levels. My organization was no exception in this regard. To start with they introduced several online workshops and training modules. While they were trying to get us all together on the same platform, I can also guess they were struggling to find ways and means to do this. The first workshop that was sprung on us right at the onset of work from home was called ‘Ergonomics Human Factors Functional Designs’. That was a big name certainly! From all corners of the city, my colleagues and I gathered on Zoom gallery. After the initial screen display of the workshop title, presenter’s name, company logo, we saw the external presenter with exhibits of numerous drawings, structural models on her worktable. She stationed herself on her work chair and demonstrated various devices, methods and means to be comfortable at work-from-home. It was fascinating to be convinced that whether we are overweight or underweight, a chair can make us comfortable. I learned the tricks of what angle the shoulder and arm should be to operate a computer mouse, how thick the mouse pad should be to impose less pressure on the arm end, what length and expanse the keyboard should be from the monitor. We all know the basics and operate according to our convenience. But going through this workshop I realized I had been doing it wrong all along. The length, breadth, width, angular measurements were important not to strain the muscles, so it does not affect us in the years ahead. Every dimension that was mentioned were in error to what I had practiced so far. And the funny part was that I never comprehended it earlier. No one whether a friend or family nor my employers had ever pointed out this fault! It is now that I learn of the accountability of the right posture of working at the worktable.
any task. But here I am at home now, and the task must be completed. I realized the new normal time has thrust me onto a weighing scale of effective vs efficient., that is getting more things done vs getting the right things done. When applying this to my time and work at home, surprisingly I could not separate the vital few from the trivial many. When I say this, I mean a comprehensive workout of time and work. We must remember that most family members were working from home too. They needed cooked food to eat, online grocery requisitions needed to be sent out in time, the pet puppy at home needed attention, outdoor garden and flowers droop under the summer sun and needed watering, etc. If I juggle these, I do not have time to complete office work by 5 pm. If I do not attend to these the household will be in chaos since none of us are designed to be home during the morning hours. It reminded me of the Pareto Principle and the 80/20 rule. I recollected watching a speech on television rendered by Jeff Bezos, founder of Amazon company. Bezos was elucidating the concept of the highest value use of your time in any given moment. I have achieved a minuscule in life compared to what Jeff Bezos has accomplished in recent times. Yet I was thinking of his principle during the new normal time. A wow for me, definitely! But it also occurred to me that if 80/20 suggests efficiency and productivity, then there also must be a downside to it. This became clear to me in the most unusual time and manner. I was watching television, an Audrey Hepburn classic in her famous creation of “Roman Holiday”. As I saw her glide through this unique role of a princess spending a day as a commoner, it befell on me about her notable time of work. The years that saw her distinguished talent in ‘Roman Holiday’ / ‘Wait until Dark’ / ‘My Fair Lady’ / ‘Breakfast at Tiffany’s show immense efficiency as an actor or as a creator. While at the helm of her career, we had learnt that Audrey Hepburn chose to quit acting and dedicate her time in serving humanity. Audrey Hepburn found herself effective in her service to Unicef, utilizing her time in addressing social issues for children, in supporting the needy and deprived. She wanted to help in a different way. No judicious scrutiny of her glorious era in cinema could have proposed that to volunteer as an unpaid worker for Unicef was the utmost effective usage of her time. So, what seemed efficient to the world did not seem meaningful to her. Hepburn applied the time, willpower, courage to turn around an effective time in her own way.
We all know that Audrey Hepburn had earned the Presidential Medal of Freedom for her immense service to the humanitarian cause. She made herself effective in optimizing the present, rather than augmenting the future. Audrey Hepburn proved that anything that may seem vain at first can become very effective because we can get good at what we practice wholeheartedly. Audrey Hepburn was a great figure, a splendid personality who turned life and time to the utmost use as she wanted. I am an ordinary simple resident of this world – I also try to be effective in my work, but I also function as I have Few weeks have rolled by since then. We were struggling been told to do. I start work at 9 am, follow through email and to capture the time, ethics, integration of working from home. notification guidelines, take up tasks that I have been assigned My nature of work had always been topical, but I could never and walk through it without questioning. So I will never be able imagine being away from my cubicle desk and accomplishing to triumph on the 80/20 analysis. I am a commoner - I will lead 76 www.batj.org Anjali
My Journey of Normal an ordinary life, take up ordinary responsibilities and try to be effective in the completion of duties. I will not have the courage to give up a stable income, I will not have the courage to think beyond the box, I will not have the valor of assigning myself the exceptional task. This is the marked difference between an extraordinary and ordinary, between an effective figure like Audrey Hepburn and a regular person like me!
about Jeff Bezos’s time through his speech, Audrey Hepburn’s time through her work. I have increased stimulus through their feats, and achievements, their effective influence on this world. In a very ordinary circumference of my life, I have also tried to gain inspiration, impetus from them. I wanted to think that a better formulation and better organization is possible to comfortably sail through the new normal time. Or should I say it’s my audacity of hope, perhaps………?!
Yet in the wake of a new normal epoch, I have thought
www.batj.org
Durga Puja 2021
77
Indian Railways on Fast-Track to Sustainable Mobility
- Ravindra Verma
R
ailways are recognized as one of the most energy-efficient modes for mass transit of passengers and freight. They are also among the major drivers of sustainable socio-economic development for many countries around the globe. Amid rising concerns about climate change and global warming, rail systems worldwide are striving to reduce their carbon footprints. Indian Railways (IR) have the world’s 4th largest Rail network, spread over 67,956 route Km. IR is the lifeline of the country carrying nearly 23 million passengers every day making it the 2nd largest in terms of passengers carried per year. It is also the 4th largest freight transporter in the world moving 1,232 million tonnes of freight in 2020-21, as it traverses the length and breadth of the country. Rail-based transport is the most environment-friendly mass transport system due to the inherent gains it provides in terms of energy efficiency and resource optimization. Railways are about 12 times more efficient in freight traffic and 3 times more efficient in passenger traffic as compared to road transport. As the Indian economy transitions, with economic growth and sustainable development as twin goals, green mobility will play a key role. It has been estimated that for the sustainable development of the Indian Economy, the inter-modal share of freight traffic by rail should go up from the current share of 36% to 45% by 2030. Accordingly, IR is gearing up for massive growth to achieve such an increase in inter-modal share by augmentation of its network infrastructure.
Approach & Impact of Green Initiatives: IR has envisioned to become a Green Transporter by reducing its carbon footprint. The energy consumption in FY2020 was around 18.4 Billion Units for traction and 2.4 Billion Units for non-traction load. IR has taken significant strides to reduce its carbon footprint & fuel cost and is committed to become the world’s first ‘net-zero’ carbon emissions Railway by 2030. Some of its key initiatives towards decarbonization are 100% electrification of Railways broad gauge network, reduction in energy consumption & meeting energy demand through renewable energy (RE), Energy Efficiency, Hydrogen Fuel Cell based train, Water Conservation, Afforestation, Waste Management and Green Certifications. IR already has 220 Megawatt (MW) capacity of RE power, with nearly 3,450 MW capacity in the pipeline. Railway Electrification: A total of 45,881 route Km (71%) has been electrified by March 2021 and the target is to electrify all Broad Guage (BG) routes of IR by December 2023. Due to its increased electrification, IR has witnessed a significant reduction in its diesel consumption thus lower dependency on fossil fuels.
Rolling Stocks: Railways have completely switched over to the production of energy efficient 3-phase electric locomotives, Metro trains and EMUs with regenerative features i.e. there is a provision of regeneration of electric energy while braking of the train and regenerative energy is either consumed by other trains or fed back to the grid. All Metro rolling stock have the feature of regeneration of energy.
New generation Train-sets are highly energy efficient. They are provided with 3-phase under-slung propulsion equipment, have advanced regenerative braking systems and the need for power cars has been eliminated. Such features help in energy saving to the tune of 30%. Further, the aerodynamic profile of the train also helps to reduce air drag and thus reduce energy consumption. The Delhi Metro has been certified by the UN as the first rail-based system in the world to get “carbon credits for reducing greenhouse gas emissions” and helping in reducing pollution levels in the city by 630,000 tons every year. 78
Anjali
www.batj.org
Indian Railways on Fast-Track
Solar Plants Installation: IR has continuously been installing solar panels on the rooftops of its various stations and service buildings for meeting its non-traction power requirements. More than 1000 stations have been covered with solar panels on rooftop and more are in pipeline. It has planned to utilize 51,000 hectares of unused vacant land parcels for setting up of Land Based Photovoltaic Plants for its traction power requirement. Plans are already underway to deliver 20GW of solar-powered electricity to match the demand for energy to move trains. Converting all current diesel traction to electric modes would initially cause an increase in emissions due to reliance on coal based electricity, however, this will be mitigated with the supply of clean energy from solar and wind generators connected directly into the rail network. The direct supply of solar energy to railway lines without the need to connect via the grid would save almost seven million tons of carbon a year whilst also powering at least one in four trains on the national network on competitive terms, as per the recent study. Considered as one of the busiest railway stations in the country, the Howrah railway station has now emerged as the one with the largest commissioned solar capacity on IR. Two state-of-the-art pilot Land Based solar projects for powering the railway traction network have been completed. 1.7 MW pilot solar project for powering traction network of IR directly through solar power has been commissioned in Bina, Madhya Pradesh in June 2020. 103.4 MW wind-based power plants have also been installed.
Technological Developments: IR has taken major steps to move towards sustainable development, such as HeadOn-Generation systems, Bio-Toilets, LED lights, automatic coach washing plants and water conservation. Currently, the Railways is developing Dedicated Freight Corridors (Eastern DFC and Western DFC) in the form of a low carbon green transportation network with a long-term vision of sustainable mobility. Green certifications are allotted to stations that are constructed keeping in mind the sustainable development goals such as, energy conservation measures, use of renewable energy, Green House Gas emission reduction. So far, 19 stations have been given Green Certification including three Platinum, six Gold and six Silver ratings. Alternate Fuel and Clean Energy initiatives: The use of Biofuels (fuels produced from organic sources, i.e. crops, waste organic material or oil) is currently being promoted as a transport fuel, as they have the potential to reduce emissions of greenhouse gases, gases that contribute to climate change. They can also increase energy security, i.e. reducing a country’s reliance on imported energy products. Head on Generation system: The Linke Hofmann Busch (LHB) trains running on End-on-Generation (EOG) configuration require power cars equipped with Diesel Alternator (DA) sets for feeding air conditioning, train lighting and other electrical loads in the coaches. Each such train has two power cars, each power car having 2 DA sets. This system has the inherent disadvantage of air and noise pollution. In the Head On Generation (HOG) system, power is drawn through traction converters provided in locomotives. The electrical power drawn by the locomotive is suitably converted and supplied for air conditioning, train lighting and other electrical loads in the train. With the removal of power cars from the train, passenger carrying capacity has increased without increasing the train length. LED Lighting: 100% LED lights have been provided in all railway stations (more than 8,000) and all railway installations & buildings (more than 20,000). Passenger coaches are also being provided with suitable LED lights. Use of Natural Gas: An MoU has been signed between IR and GAIL to streamline the system and develop infrastructure for use of Natural Gas in IR workshops and production units. Transport of such gases by railway is the greener way to move forward. Trains are more efficient and cost-effective, if the distance is more than 200-250km, since larger quantities can be transferred at once.
Fuel Cell Technology: ‘Advanced Chemistry Cell (ACC) Batteries’ and ‘National Hydrogen Mission’ are two flagship programs to meet the targets of reducing Green House Gas emission and ‘Mission Net Zero Carbon Emission Railway’ by 2030. Indian Railways Organization of Alternate Fuel (IROAF), Green Fuel vertical of IR, has recently invited the bids for Hydrogen Fuel Cell based Train on Railways Network. The use of hydrogen as an alternative rail fuel brings many potential benefits, the most noticeable being that it is a clean energy source that supports zero-carbon strategies. Hydrogen fuel cell technology also provides a more powerful and efficient energy output compared to fossil fuels. Dedicated Freight Corridors (DFC): As railway systems around the world start confronting the climate challenge, India’s Dedicated Freight Corridors program provides an inspiring example of pro-active adaptation. The ambitious program will change the future of transport in the country by creating freight-only railway lines. The Eastern and Western Corridors are currently under construction. In a bid to anticipate and minimize the impact of weather events, climate considerations have been factored into the project right from the design phase. The implementing agency and its partners have paid special attention to three types of risks that are of particular concern along the alignment: fog, temperature variation, and flooding. These corridors www.batj.org 79 Durga Puja 2021
Indian Railways on Fast-Track will allow railways to adopt more energy-efficient as well as carbon-friendly processes, practices and technologies.
Way Forward: With the mega initiatives being undertaken, the IR is holding the flag high for India’s commitment and vision to fight climate challenges. The seemingly large strides undertaken by the IR thus far are however small steps towards the mega plan of being a net-zero carbon emissions organization and meeting India’s Nationally Determined Contribution targets. Going forward, the IR will continue to master green energy developments. It is clear that today’s challenges can only be met with rail as the backbone of a seamlessly connected sustainable mobility system and a central pillar to transformative climate action in transport. It is the fastest and most energy-efficient way to decarbonize people’s daily mobility and logistics chains. Unleashing the full benefits of rail for decarbonization will be key to significantly cut emissions from the transport sector. Initiatives are being taken to encourage research and development of energy-saving and emission-reducing technologies, and support research institutions, universities & companies to innovate and produce products suitable for achieving sustainable mobility. References: Environmental Sustainability Report of IR, PIB Release and IBEF report [Ravindra Verma is Counsellor Railway Adviser, Embassy of India, Tokyo]
80
Anjali
www.batj.org
Ayurveda: Nature’s Gift For A Healthy Life - Dr. Reeta Sharma
A
yurveda is the ancient Indian system of medicine and is a part of Vedas which are one of the oldest available literature in the world. Each of the four Vedas has its own upveda. Ayurveda is the upveda of Atharv Veda. There are several topics related to health in Atharv Veda where body organs, medicines, cure of diseases, surgical applications, and treatment are described. Charaka who is the father of medicine in Ayurveda explained Ayurveda as eternal science and Sushruta, who is the father of surgery considered Ayurveda as beginning-less and eternal. Ayurveda is the science of life, AYUR means life and VEDA means knowledge. Ayurveda’s concept is based on a practical approach and scientific attitude. According to Ayurvedic methodology body or ‘Sharir’ is made up of Panchmahabhootas. All living and non-living things are made up of Panchmahabhootas. “Yat Pinde Tat Brahmande” , which menas - whatever is there in the microcosm is also there in the macrocosm. According to Acharya Sushruta : The state of health is“Samdoshah samagnishcha samdhatumalkriyah I
prasannatmendriya manah swasthya ityabhidhiyate II” a person whose 3 doshas, 7 dhatus, and agnis are balanced and the Malas (waste products) is expelled out from the body at the appropriate time. Whose soul, sense organs and mind are in happy mode then it is called a completely healthy state. When there is an imbalance in these tridoshas (Vata, Pitta, Kapha), a person becomes sick, but when these are in equilibrium, then health is attained. “Vikaro dhatu vaishamyam samyam prakriti ruchyate” Concept of vat pitta and kapha According to Ayurveda causative factors of all matters existing in this universe are Panch Mahabhootas or basic five elements. Aakash, Vayu, Agni, Jal, Prithvi. These five elements are responsible for the origin of tridoshas. Vata dosha is made up of air and space, pitta dosha Agni and water, and Kapha dosha Prithvi and water. The physical composition of a human being would have been different based on the excess and deficiency of these doshas. According to the concept of Ayurveda each individual is genetically different, there are three types of bodies based on these doshas, Vataj, Pittaj, and Kaphaj body. Therefore different types of diet have a different effect on every human being because their Prakriti is different. Doshas are responsible for all physiological and pathological activities in the body. It depends on the amount of Vata, Pitta, and Kapha present in that person’s body. Some people are allergic to a particular diet, but some have no effect. The reaction of the body is different to the people living in the same environment even they are on the same type of diet and activities. Equilibrium (smayavastha) in doshas is a dynamic and constantly changing phenomenon and changes according to the season, age, and constitution of the body (body type).
disturbs the normal activities of different systems of the human body resulting in some pathological changes. These changes called Imbalance (vaishamyam) and depend on depletion and increase of doshas. To maintain equilibrium in these doshas Ayurveda describes dincharya (daily routine), ratricharya (night routine), ritucharya (seasonal regimen), aahar (food), nidra (sleep), brahmcharya, etc. Let’s understand about ritucharya here. “Ritu means season and charya means regimen or discipline.” Ayurveda describes the seasonal regimen to keep the doctor away. A seasonal regimen helps to prevent diseases from seasonal changes. To understand the effect of the season we must look at the chart given below. Dosha
Accumulation
Increase
Normalcy
Vata
Grishma (summer)
Varsha (rainy)
Sharat (Autumn)
Pitta
Varsha (rainy)
Sharat (Autumn)
Hemant (early winter)
Kapha
Shishira (winter)
Vasanta (Spring)
Grishma (summer)
Rash eating and irregular habits without following the defined seasonal regimen lead to many diseases based on the accumulation, increase and depletion of doshas. Let’s have a look at given chart for the summer regimen. Summer regimen Recommended diet
Recommended lifestyle
Food; Sweet, cold, liquid, light
During day time – stay in cold places
Sattu, ghee, milk, chhachh (butter milk), rice, cauliflower, Torai (snake gourd), lady’s finger, sweet potato, carrots, turnip
At night – moonlight is good
Raw mango chutney/syrup, Draksha (grapes), raw coconut and coconut water,
Apply sandlewood powder (Chandan), useer, karpoor (camphor powder), wear white clean cotton clothes with natural fragrance.
Mishri etc.
Ornaments- pearls, corals Visit hill stations with cool green forest, waterfalls, rivers, etc. Cold bath with lotus flowers. Use earthen pots for food.
Following the instructions given in Ayurveda for all seasons one can attain a completely healthy, happy, and disease free life which fulfills the objective of Ayurveda: “swasthsya swasthya rakshanam, aaturasya vikaar prashmanam cha.” 1. to help the healthy person to protect & maintain his swasthya ( wellness).
2. to help a diseased person to become healthy & to stay healthy forever.
When a particular dosha exceeds its normal range it www.batj.org
Durga Puja 2021
81
Small Wishes - Soumitra Talukder What would be the finesse in being in the league, Where avarice to opulence feign the true self of radiance! And the thirst to reign with lust to influence, leads to the contempt of probity. The life in between the nascence and the oblivion Could we not just create a few moments of joy, In the glow of sparkle of a heartful smile! It was not long ago that I had craved for the Midas touch, An idler being in essence of quietude, I would be the child with a toothless glee, Nescient of the dilemmas in life, His only piety is to merely to relish the repose in an embrace, The gaze, the warmth of care and the feel of love. And be lost in the bliss of grace. I still long for the aura to get lost in abeyance, And be the same bairn, gleeful and born free. As the azure offered the canvas to colour my wishes In the laze of a timeless day, I could conceit your angelic face, Guiding me to pursue the euphoria, It is within your heart wherein lies the heavens of thy providence.
82
Anjali
www.batj.org
Everything’s Going To Be Alright Translation of Tarapada Ray’s -সব ঠিক হয়ে যাবে
- Utso Bose
I’d thought until just yesterday, everything’s going to be alright, When, when and how, in what way, And whether they really will be alright And if they don’t, what then, Of these things, though, I never thought, I never even had such notions. I had just held on to A loose belief somewhere, a conviction That one day, everything’s going to be alright. The way the wind and its sounds filter through Tamarind leaves on forgotten nights, The way, a lemon leaf rubbed on the hand Carries the scent of a lost forest, The way, after hatching, little sparrows chirp for their mothers In scattered nests The way, even a letter with the wrong address, will, Somehow, somehow or the other, reach someone, someday The way... I’d carried a feeble conviction, until just the other day, That the way these things happen, the way they continue to happen, That’s how, one day, everything will be alright. I wouldn’t have to raise a finger; I had nothing to do but wait. I still think, One day, everything will be alright. And this too: what will be alright? And if they don’t, what then?
www.batj.org
Durga Puja 2021
83
Let the faith not shake - Arjyama Choudhury When the time is tough Let the faith not shake! When the tide is rough Just hold on to the brake! Your life you must know is an illusion Just a vision of your imagination! What you have is all so transient Do you really have time to lament???!!! Let the time unwind on its own When you reap what you have sown! A better world isn’t built with an arrow But with a mind so calm that never lies low! Your instinct is your strength Your doubt your weakness! The world is burning to sustain Won’t you pour her some rain???!!! I know you need to survive There is a tough competition! But do not let humanity take a pause Let your kindness be at the foremost!!!
84
Anjali
www.batj.org
Strangers in the City - Joyita Basu Dutta Flung together into the deep end Second guessing thoughts That run through each other’s minds Impenetrable struggles, hopes and fears Rigid lines that separate two kindred hearts. Unheard apologies and unsaid kind words Pounding heartbeats that no one calms Cautiously treading each other’s paths Tormenting thoughts too dark to share Clinging on to secrets no one must prise. Masks concealing more than meets the eyes Shrouded behind make believe glee fearful to reveal Unwilling to acknowledge wounds and scars Loathe to heal the cracks that threaten to destroy To have it all, only to become unfamiliar strangers. Streaming tears of helplessness A longing to tread the same path That brief spell of tumultuous happiness Glimpses of a short lived blissful journey Encased in frames that adorn stark walls. No comforting clasp of a hand to guide No warm embrace to drown your fears and hide Throbbing emptiness behind soothing smiles Pain and anger blinding us to thoughtful kindness Forgotten joys stacked away in bookshelves. Lost in cityscapes forlorn Embraced by destinies unknown The rapid churning of time The silences that drive apart The miles together that bind the heart.
www.batj.org
Durga Puja 2021
85
गुरु का लंग - मनमोहन सिंह साहनी
सि
ख धर्म में लंगर की प्रथा गुरु नानक देव जी के समय से हैI आज पिछले दो सालो से जो कोविद सारी दुनिया में फ़ै ल गया है उसमे सबसे ज्यादा सिख धर्म के लोग सेवा करते हुए पाए गये। चाहे वो अमेरिका, यूरोप, ऑस्ट्रिलिया में स्वास्थ कर्मियों को ताजा खाना उपलब्ध कराने का काम हो या सारे हिंदसु ्तान और बाहर के गुरुद्वारों में २४ घंटे मुफ्त लंगर लगाने का कार्य हो, सिख धर्म ने इसमें बढ़ चढ़ कर हिस्सा लिया I सिख धर्म के लोगो में दुसरो की सेवा करने का ये पवित्र भाव कहाँ से आया इसके लिए हमे सिख धर्म के इतिहास को वाचना होगा I गुरु नानक देव जी का जन्म १४६९ में एक खत्री परिवार में आज के पाकिस्तान उस समय के पच्छमी पंजाब में तलवंडी जो आज कल ननकाना साहिब के नाम से जाना जाता है, में हुआI बचपन से ही वो धार्मिक विचारो के थे वो हर वक्त निरं कार की भक्ति में व्यस्त रहते थे और उनके पिताजी इससे काफी परे शान रहते थे I वो उनको दुनियादारी सिखाना चाहते थेI उनकी बहन बेबे नानकी और जिले के जमींदार राय बुलार उनको पहचान गये थे की ये कोई साधारण व्यक्ति नहीं है और एक निरं कार के भेजे हुए एक संत है I जब गुरु नानक जी १८ वर्ष के थे तो उनके पिताजी जो पटवारी थे, उन्होंने उनको २० रूपये दिए और मंडी भेजा की वहां से सौदा लेकर आओ और यहां पर वापस आ कर बेचो, ताकि तुम्हे लाभ हानि का पता चल सके I उनके साथ भाई बाला जी को भी भेजा गया, गुरु जी को रास्ते में कु छ भूखे साधु संत मिले जिन्होंने उन्हें खाना खिलाने की विनती की। गुरु जी ने उसी वक्त भाई बाला जी को साथ लिया और मंडी से खाने पीने का सामान लिया और अपने हाथो से खाना बनाया और भाई बाला के साथ मिलकर भूखे साधु संतो को खिलाया I साधु संत उनसे बहुत प्रसन्न हुए I गुरु जी जब खाली हाथ शाम को वापस आये तो पिताजी को बहुत गुस्सा आया और उनको एक थप्पड़ लगा दिया I गुरु जी ने उनको कहा जो सौदा आप मुझे सिखाना चाहते है वो सौदा इस दुनिया में रह जाना है, भूखो को खिलाना, दुखियो की मदद करना ही सच्चा सौदा है I यही से लंगर की प्रथा का जन्म हुआ I गुरु जी ने अपने सिखों को और सारी दुनिया को तीन महत्वपूर्ण उपदेश दिए नाम जपना, ईमानदारी से किरत करना, बाँट कर खानाI ये तीन उनके उपदेश हर सिख को माननीय है। गुरु जी का चलाया हुआ पहला लंगर ५३२ साल के बाद भी उसी तरह से चल रहा है I गुरु जी के जीवन में जो धर्मशाला बनाई गयी उसमें मिलकर लंगर बनाने और एक ही पंक्ति में बैठ कर खाने का प्रचलन शुरू हुआI मिलकर निरं कार का नाम जपना और ऊँच नीच को खत्म करके मिलकर बैठ के बनाना और खाना सिख धर्म का एक नियम बन गया जो आजतक चलता आ रहा है I आज भी किसी गुरूद्वारे में चले जाये आपको रहने के लिये जगह और खाने के लये लंगर मुफ्त दिया जाता है I कहते है की लंगर के खाने में अमृत जैसा रस होता है, क्यों की इसको बनाते वक्त पवित्र वाणी का पाठ किया जाता है और हर वक्त कीर्तन चलता रहता है I लंगर हमेशा शाकाहारी होता है I प्रसाद जो हम रोटी को बोलते है वो गुरु की तरफ से एक किस्म का प्रसाद है I काली या पीली दाल सब्जी ज्यादा तर मिक्स सब्जी रायता और चावल और साथ में कोई मीठी चीज होती है I लंगर को बनाने से लेकर परोसना, बर्तन धोना और समेटना ये सारा काम संगत खुद करती है, इसके लिए कोई स्पेशल रसोईया नहीं होता I गुरुद्वारों की सफाई की सेवा भी संगत ही करती है इसलिए हर वक्त आप को चम चम करते फर्श नजर आएंगे I लंगर के अलावा सुबह की चाय नाश्ता और हर गुरुद्वारों में कड़ाह प्रसाद ( हलवा )पाठ के 86
Anjali
www.batj.org
गुरु का लंग बाद दिया जाता I श्रद्धालुओं द्वारा चढ़ाई गयी दान दक्षिणा का पूरा पूरा उपयोग लोगो की सेवा में ही किया जाता है I संगत और पंगत को और महत्तवपूर्ण तीसरे गुरु श्रीगुरु अमरदास जी ने किया I बताते है की जब अकबर बादशाह उनसे मिलने गोविन्द वाल साहिबआये तो उन्होंने तब तक बादशाह को दर्शन नहीं दिए जब तक की वो पंगत में बैठ कर लंगर न खाये I बादशाह ने इस बात से खुश होकर धर्मशाला के साथ काफी जागीरे लगवाई और गुरु जी के इस कार्य की काफी सराहना की I भारत क्योकि शुरू से ही जातियों में बटा हुआ है छोटे जाति वाले लोगो को बड़े जाति वाले लोगो के साथ बैठने की अनुमति नहीं थी पर गुरु जी ने सबके साथ बैठने का आदेश देकर जाति भेद भाव को ख़त्म किया I सती प्रथा को खत्म करने का श्रेय भी गुरु अमरदास जी को जाता है I औरतो का पर्दा न करने और संगत में सबके साथ बैठने का हक़ भी गुरु अमरदास जी ने दिलवाया I हर सिख को ये आदेश दिया गया की वो अपनी कमाई का १०% धार्मिक कार्यो के लिए गुरुद्वारों में दे इसको पंजाबी में दसवंध कहा जाता है I सिखों के पवित्र स्थान हरिमंदर साहेब जिसको सवर्ण मंदिर के नाम से भी जाना जाता है वह एक दिन में ५०००० लोगो के लिये लंगर बनता है और दिन रात चलता है I और त्योहारों पर ये १ लाख के करीब पहुंच जाता है ६००० लोग एक साथ बैठकर खाना खा सकते है I ९०% सेवा संगत ही करती है और जो ३०० सेवादार जो कमेटी की तरफ से रखे गये उनकी मदद करती है I सारा काम बहुत ही सुन्दर तरीके से होता है और बड़ी नम्रता के साथ सेवा की जाती है I एक दिन में ८० किवंटल गेह,ूँ १८ किवंटल दाल, १४ किवंटल चावल और ७०० लीटर दूध का उपयोग किया जाता है I सफाई पर खास ध्यान दिया जाता है एक प्लेट को पांच बार धोया जाता है उसके बाद उपयोग किया जाता है ये दुनिया की सबसे बड़ी रसोई है जिसको गुरु नानक देव जी का आशीर्वाद प्राप्त है और बहुत ही सुन्दर तरीके से हर दिन चल रही है I ५३३ साल बाद भी सिख अपनी गुरु के बात का मान रखते है सारी दुनिया के भले के लिए जहाँ जहाँ भी बिपदा आती है वहाँ वहाँ जाकर अपने हाथों से सेवा करते है चाहे वो लंगर की हो, दवाइयों की हो, ऑक्सीजिन की हो, या बाढ़ या सूखा की हो हर तरह से मदद करने की भरपूर कोशिश अपने जान की परवाह किये वगैर करते है I सेवा करते हुये किसी भी तरह का भेद भाव नहीं किया जाता है सब को एक ही नज़र से देखते हुये भरपूर सम्मान दिया जाता है, सिखों की आबादी भारतीय जनसँख्या की २% से भी कम होने की वावजूद वो गुरु की शिक्षा को मानते हुये बिना किसी लालच और विज्ञापन के अपनी सेवा करते है I सिख का मतलब ही शिषय होता है जो की संस्कृ त के शब्द से बना है गुरु जी की बात को मानना ही हर शिषय का कर्तव्य होता है I आज जब सारी मानवता कई तरह की कठिनाइयों से गुजर रही है उस समय में सिखों का योगदान हमेशा के लिए याद रखा जायेगा और जो २० रुपये से गुरु नानक देव जी ने पहला लंगर लगाया था उसी के आशीर्वाद से ये लंगर चल रहा है और जब तक दुनिया है तब तक चलता रहेगा I
www.batj.org
Durga Puja 2021
87
कवि का कोविड संशय - राजेश्वर वश मृत्यु के विषय में तो मैं पिछले तीन महीनों से सोचता आया था। महामारी के समय में ऐसा बहुत से लोग सोचते होंगे। सौ वर्ष पहले भी दुनिया में एक महामारी आई थी, जिससे भारत में भी मृत्यु का महा-तांडव हुआ था। उस ज़माने में न मीडिया था न चिकित्सा सुविधाएँ।लोग उसे दैवी प्रकोप समझ कर विवशता से मरते रहे होंगे और इस तरह लगभग पंद्रह महीने चली स्पेनिशफ्लू ने दुनिया की एक तिहाई आबादी को अपना शिकार बनाया था।मुम्बई के कु छ फोटोग्राफ देखने को मिले थे लेकिन लोगों के उस समय के अनुभवों को बताने वाली डायरियाँ या रिपोर्टें मेरी जानकारी में नहीं है। तीन चार दिनों के गहन बुखार के बाद जब मेरी रिपोर्ट कोरोना पॉज़िटिव आई तो मुझे बड़ी भारी मशक्कत के बाद शहर के सबसे महँगे अस्पताल ‘रोज़वुडलाइफके यर’ में भर्ती कराया गया, जहाँ प्रदर्शित सूचना के मुताबिक एक भी बेड खाली नहीं था। बच्चों ने अस्पताल के एक डायरे क्टर से पहचान निकाल कर, पाँच लाख रुपये की पेशगी अदायगी के बाद वहाँ मेरी भर्ती कराई थी। अस्पताल में भर्ती करवाते ही मेरे परिजनों को भरोसा हो गया था कि अब मेरा बचना तय है क्योंकि मुझे अभी तक कोई बड़ी बीमारी जो नहीं है। मैं भी नहीं चाहता था कि इस अवस्था में कोई परिजन मेरे निकट आए फिर भी बेटे ने पूरी सावधानी बरतते हुए मुझे अस्पताल में लाकर भर्ती कर दिया था। अस्पताल फाइवस्टार था। प्राइवेट रूम मिला, जहाँ सभी सुविधाएँ थीं पर मरीज के निकट के वल कु छ नर्सें या सहायक स्तर के लोग ही आते थे। घंटी बजा कर बुलाने की सेवा निरस्त की हुई थी। डॉक्टर वीडियोकॉन्फ्रें सिंग के जरिए ही मरीज को डाइग्नोज़ करने की रस्म अदायगी कर रहे थे। फिर भी यहाँ घर से बेहतर सुविधाएँ थीं, ऑक्सीजन उपलब्ध थी, वेंटीलेटर थे और ड्रिप के ज़रिये कु छ दवाएँ भी दी जा रही थीं। सबसे बड़ी बात यह कि मेरे यहाँ होने से परिवार के लिए दोहरी आश्वस्ति थी – एक, कि मैं मरने से बच जाऊँगा, दूसरा मेरी वजह से यह बीमारी किसी अन्य परिजन को नहीं लगेगी। मेरे फे फड़ों का एक्सरे कह रहा था कि वहाँ वायरस का व्यापक हमला हुआ है और दी जा रही दवाएँ उस संक्रमण को ठीक करने का प्रयास कर रही हैं। वैसे तो अस्पताल में आने के बाद मरीज़ों की सेहत में सुधार होता है पर मेरी हालत धीरे -धीरे बिगड़ रही थी। साँस लेने में दिक्कत बढ़ रही थी और चेतना का स्तर गिरता जा रहा था। तीसरे दिन जब मेरे सामने लगी टीवी स्क्रीन पर मेरे बेटे का चेहरा उभरा और उसने पूछा – अब कै सा लग रहा है पापा, तो मैंने सिर्फ गर्दन हिलाई, मुझमें बोलने की शक्ति नहीं थी। पता नहीं रात के कितने बजे थे,आभास हुआ कि मुझे स्ट्रेचर पर लिटा कर फिर से अस्पताल की उस बड़ी सी जेल-नुमा वैन से कहीं ले जाया जा रहा है जो मुझे घर से अस्पताल लेकर आई थी। वैन चलती जा रही थी, रास्ता सुरम्य और सुरभित था, मुझे लग रहा था कि अब मैं ठीक से साँस ले पारहा हूँ। अचानक एक कल-कल बहते झरने के पास ड्राइवर ने वैन को रोका और दरवाज़ा खोल कर मुझे वैन से उतरने के लिए कहा। मैंने हाथ जोड़ कर निवेदन किया – भाई मैं कोरोना महामारी का मरीज़ हूँ, अशक्त हूँ, तुम आनंद-पूर्वक स्नान कर आओ, चाहो तो मुझे बाद में स्पॉन्ज कर देना। ड्राइवर ने मुझे हाथ पकड़ कर वैन से नीचे उतारते हुए कहा –कवि, तुम्हारा बीमार शरीर तो अस्पताल में ही पड़ा हुआ है, तुम्हारी मृत्यु हो चुकी है और मैं तुम्हें स्वर्ग की ओर ले जा रहा हूँ। स्नान कर लो वरना वहाँ रिसेप्शन पर तैनात अप्सराएँ बहुत बेरुखी से पेश आएंगी। कई बार धर्मराज के यहाँ से मृतक का डॉज़ियर आने में घंटों लग जाते हैं। स्वर्ग ले जाने का यह अर्थ मत लो कि तुम्हें स्वर्ग में कोई रूम एलॉट हो चुका है, यह तो नरक के रास्ते में पहला जाँच स्थल है। मुझे मरने का कोई खास दुख नहीं था क्योंकि कई महीनों से बरतन माँजने और अन्य घरे लू काम-काज करते-करते, मैं एक लेखक से मामूली ‘मेहरा (मेहरी का पुल्लिंग)’बन गया था। पत्नी बरतनों पर छू टे धब्बे उसी कटु ता के साथ मुझे भी दिखाने लगी थी जैसे वह अन्य मेहरियों को दिखाती थी। जब लेखन का मूड बनता तो उसी समय बर्तनों से भरे दो-दो सिंक, मुझे मुँह चिढ़ाने लगते। किसी तरह से लिखी गई, इक्की-दुक्की कविताओं में भी अब यही रुदन हावी था। ऐसे में जीवन के प्रति मोह का तो कोई कारण ही नहीं था। जब हम स्वर्ग पहुँचे तो दृश्य मनोहारी था। लगभग मैसूर के किले जैसा विशाल और भव्य भवन, बड़े-बड़े उद्यान, पक्षियों का कलरव और कई छोटी-छोटी पुष्करणियाँ थीं जिनमें कमल के फू ल खिले थे। मुख्य भवन के स्वागत-कक्ष में अनेक एक-वस्त्रा परिचारिकाएँ थीं, जिन्हें देख कर मुझे राम तेरी गंगा मैली की नायिका मंदाकिनी का स्मरण हुआ। एक सुकन्या मेरे निकट भी आई जिसने अपने आई-पैडपर मेरी शक्ल का मिलान किया और मुझे एक आराम-दाई सोफे पर बिठाकर ठीक मेरे सामने बैठ गई। उस क्षण में मुझ जैसे व्यक्ति के सामने भी शब्दों का अकाल पड़ गया, शब्द मिले तो वाक्य नहीं बन पा रहा था। सुकन्या ने मुस्कराते हुए कहा – कवियों की वाक्य रचना अटपटी ही होती है, लजाइये मत, मन को खोलिए। मैं फिर भी शब्दों से कु छ नहीं कह पाया, जो आँखों से कह रहा था, उसे वह समझ नहीं रही थी। ‘मेरा नाम सुकर्णा है।‘उसने थोड़ा निकट आते हुए कहा। ‘सुकर्णा?’मैंने चौंकते हुए कहा। ‘क्यों? अगर कोई स्त्री सुनेत्रा हो सकती है तो कोई अन्य स्त्री सुकर्णा क्यों नहीं हो सकती?’उसने तीखी नज़रों से मुझे देखते हुए कहा। ‘हो सकती है... हमारी पृथ्वी पर स्त्री के झुमकों की तारीफ तो होती है, मगर कानों पर कोई ध्यान नहीं देता, शायद इसलिए हम किसी स्त्री को सुकर्णा नहीं कहते’ मैंने कु छ खिसियाते हुए कहा। उस सुकन्या की भंगिमाओं को देख कर मुझे आभास हो रहा था कि अब इं द्र वैसी अप्सराएँ भर्ती नहीं करता जैसी मेनका या उर्वशी के ज़माने में होती थीं। नई तकनीकों के उपयोग ने उनका सलिल स्त्रीत्व छीन लिया है। सुकर्णा के पास सारी सूचनाएँ हैं, यहाँ तक कि वह मेरी सुनेत्रा के विषय में भी जानती है। 88
Anjali
www.batj.org
कवि का कोविड संशय सुकर्णा ने साड़ी के पल्लू को, लहराने के लिए हवा के हवाले करते हुए, मेरी आँखों में देखते हुए कहा - ‘कोई बात नहीं, अब तुम धरती से बहुत दूर हो, कवि हो, जीवन भर प्रेम की भूख से व्यथित रहे हो, किं तु अब मैं सिर्फ तुम्हारी हूँ। मुझ पर कोई प्रेम कविता लिखो न!’ विचित्र स्थिति थी, भले ही मैं मर चुका था पर मुझे सुकर्णा का, सुनेत्रा पर कटाक्ष अच्छा नहीं लगा। मैंने जीवन में प्रेम के आग्रह पर कभी प्रेम नहीं किया। कविता लिखने के निवेदन पर कभी कविता नहीं लिखी। मेरे लिए प्रेम कभी मात्र शरीर की क्रिया रहा ही नहीं, मन नहीं जुड़ा तो शरीर भी नहीं जुड़ा। सुकर्णा के चेहरे पर आते-जाते भावों से लग रहा था कि उसके पास दैवी शक्ति थी, और वह मेरे मस्तिष्क को महाभारत की तरह पढ़ रही थी। ‘कवि, क्या तुम्हें स्वर्ग में रहने की वांछा नहीं है?’ वह मेरे कान के पास आकर फु सफु साई। उसकी गर्म साँस मेरे चेहरे को तपा रही थी। ‘तुम्हारा विस्तृत डोज़ियर मेरे आई-पैड में है। मुझे मालूम है तुम अपनी सभी कविताएँ किसी ‘सुनेत्रा’ को समर्पित करते हो। सुनो, मुझे उस स्त्री से ईर्ष्या होती है इसलिए महाराज इं द्र की संस्तुति पर, धर्मराज से विशेष अनुमति लेकर मैंने तुम्हें यहाँ बुलाया है। ठीक से आँखें खोल कर देखो, मैं सर्वांग सुंदर हूँ, अनेक कलाओं में प्रवीण हूँ। नृत्य जानती हूँ, संगीत विशारद हूँ और ऐंद्रजालिक भी हूँ। बस, अब तुम मुझसे प्रेम करो’। वह कहे जा रही थी। मैंने अनुभव किया कि स्वर्ग मेरे रहने के लायक नहीं है। मेरे लिए प्रेम चाहे स्वतंत्रता का प्रतीक न हो पर वह स्वेच्छा से है, मन और शरीर की एक घनीभूत क्रिया है। इन परिस्थितियों में सुकर्णा से बचने के लिए मुझे नरक स्वीकार कर लेना चाहिए। ‘क्षमा करें देवी, मेरे लिए प्रेम सदा एक दैवी प्रसाद की तरह रहा है। स्वर्ग में चूँकि सभी देव हैं, संभव है आप मेरी इस भावना को समझ न पाएँ। आप मुझे सहर्ष नरक में भेज सकती हैं। मैं यहाँ मुक्ति के लिए आया हूँ, किसी बाध्यकारी सहवास के लिए नहीं’। मैंने दृढ़ता से अपनी बात कह डाली। सुकर्णा की बेचैनी और खीझ, धरती के किसी उस आई. ए. एस. अधिकारी जैसी थी, जिससे किसी आई. पी. एस. अधिकारी ने विवाह करने से मना कर दिया हो। वह लगभग दस मिनट तक ऊँची आवाज़ में किसी से फोन पर बात करती रही। फिर खुद को संयत करते हुए मेरे पास आई। ‘तुम सुनेत्रा से प्रेम करते हो, करो... मैं तुम्हें मुक्त करती हूँ। धरती पर इतने ज़िद्दी पुरुष भी रहते हैं जो किसी अप्सरा का भी तिरस्कार कर सकते हैं, मुझे अनुमान नहीं था। मुझे स्वीकार करना होगा कि सुनेत्रा भाग्यवान है’। उसने आवेश में भर कर कहा। ‘लेकिन मैं तो मर चुका हूँ... अब धरती पर कै से लौट सकता हूँ?’ मैंने शालीनता पूर्वक निवेदन किया। ‘तुम्हारा शरीर अभी तक अस्पताल में ही है। नर्स कई घंटे से कु र्सी पर बैठे-बैठे सो रही है, मैं तुम्हें अभी तुम्हारे बेड पर पहुंचवाती हूँ। अभी तुम्हारे जीवन में कु छ वर्षों का समय है, जी लो, खूब कविताएँ लिखो सुनेत्रा के लिए। जब सामने कोई अति अव्यावहारिक पुरुष हो, एक स्त्री को दूसरी स्त्री से ईर्ष्या नहीं करनी चाहिए, मैं समझ गई हूँ’। वैन चल रही है। मैं किसी बीमार मरीज़ की तरह चैन से लेटा हूँ। आज बहुत राहत है। डॉक्टर का संदश े है कि फे फड़ों का संक्रमण ठीक हो रहा है। कोरोना की ताज़ा रिपोर्ट भी निगेटिव आ गई है। कल मुझे अस्पताल से रिहा किया जा सकता है। सुनेत्रा, अब भी कोई संदह े है कि मेरा यह जीवन तुम्हारा नहीं है।
www.batj.org
Durga Puja 2021
89
नवरात् - पूर्णिमा शा
न
वरात्री का अर्थ होता है नौ रातें । “नव” शब्द के दो अर्थ हैं; एक है नौ, और दस ू रा नया। रात्री का अर्थ है - वह जो शांतवना और विश्राम दे । रात्री फिर से ऊर्जा लाती है । यह परिवर्तन का समय है , अपने आत्मा का विश्राम का समय है । यह हमारे तीनों स्तर- स्थूल, सूक्ष्म और कारण शरीर को आराम दे ती है । इस समय में प्रकृति अपने पुराने स्वरूप को छोड़कर, नए रूप मे प्रकट होती हैं। जैसे जन्म से पूर्व बच्चा अपनी मां के गर्भ में रहता है , ठीक उसी तरह इन नौ रातों में एक भक्त उपवास, प्रार्थना, मौन और ध्यान के माध्यम से अपने अंतर आत्मा की गहराई में समाता है । जो प्रेम, खुशी और शांति का समुंदर है । जैसे समुंदर मे मोती होते है वैसे ही जब हम अपने मन की गहराई में डूबते है तब हमें यह प्रेम, शांति और खुशी के मोती मिलते है । उपवास से शरीर का शुद्धिकरण होता है । मौन रखने से वाणी की शुद्धि होती है और अपने विचलित मन को आराम मिलता है । ध्यान करने से मन को भीतर लेके जाता है । नवरात्री के नौ रातों में हमारा ध्यान सिर्फ अपनी चेतना में होना चाहिए। हमें स्वयं से यह प्रष्न करना चाहिए के हम कौन हैं और कहां से आए हैं और मरने के बाद हम कहां जायेंगे। यह सोचने से ही हम अपने आत्मा कि गहराई तक पहुंचते हैं। जब नकारात्मक शक्तियाँ हमें घेर लेती हैं तब हम परे शान हो जाते हैं और शिकयात करने लगते हैं। राग-द्वेष, अनिश्चितता और भय नकारात्मक शक्तियां हैं। इनसे मक ु ्त होने के लिए हमें अपनी ऊर्जा के स्त्रोत यानी कि हमारी आत्मा की ओर जाना चाहिए। इन नौ रातों और दस दिनों में दे वी शक्ति के नौ रूप का पज ू न करते है । नवरात्री के पहले दस ू रे और तीसरे दिनों में हम दे वी दर्गा जी का सम्मान करते हैं । दे वी द र्गा पराक्रम और आत्मविश्वास की दे वी है । चौथे , पां चव ें ु ु और छठे दिन में हम दे वी लक्ष्मी जी की पज ा करते है । दे वी लक्ष्मी जी हमारे धन सं प दा की दे वी हैं । धन का मतलब ू है आर्थिक, शारीरिक, भौतिक, आत्मिक और हर प्रकार के धन की पज ू ा होती हैं। सातवें , आठवें और नौवें दिनों में दे वी सरस्वती की पज ा होती है l दे वी सरस्वती ज्ञान की दे वी है । ू कई कहानियां हैं कि कैसे दे वी ने शक्ति की स्थापना और असरु शक्ति का अंत करने के लिए स्वयं को प्रकट किया। मधु –कैटभ, शभ ु ं –निशंभ ु और महिषासरु यह बड़े बड़े असरु थे। यह असरु नाकारात्मक शक्तियों के प्रतीक हैं, जो कभी भी किसी पे भी हावी हो सकते हैं। मधु - राग और कैटभ - द्वेष का प्रतीक है । रक्तबीजासरु का अर्थ है आसक्ति और नकारात्मक की गहराइयों में डूबे रहना। महिषासरु का अर्थ है आलस्य। यह प्रमोद और निष्क्रियता का प्रतीक है । दै वी शक्ति अपने साथ वो बल लाती है , जिससे जड़ता समाप्त हो जाती है । शम ु ्भ को अर्थ है आत्मविश्वास ना होना और निशंभ ु माने किसी पर विश्वास न होना। नवरात्री का उत्सव है आत्मा का और प्राण का जो स्वयं ही इन असरु ों का नाश कर दे ती है । हमारा जीवन तीन गुणों से चलता है । कभी हम सत्व गुण में होते हैं, कभी राजस गुण में और कभी तामसिक गुण में होते है । इन तीनों का विचार हमें कभी कभी ही आता है । नवरात्री हम तीन चरणों में बांट सकते है । प्रथम तीन दिनों में हमारे शरीर मे तमो गुण का प्रभाव रहता है , जिसके कारण हमें असंतुलन और भय हो जाता है । अगले तीन दिनों में हमारे शरीर पर रजोगुण का प्रभाव होता है , जिसके कारण चिंता और ज्वर चढ़ता है । अंतिम तीन दीनों में हमारे शरीर पर सत्व गुण का असर रहता है । जिसके कारण हमें परम शांति का अनुभव होता है । ये तीन गुण तमस, राजस और सत्व इस सष्टि की दै वी शक्तियां मानी जाती हैं। नवरात्री के दिनों में हम ये तीन गुणों का ताल मेल बिठाते हैं और वातावरण ृ में सत्व को बढ़ाते हैं। जब भी जीवन में सत्व का संचार होता है , तो अपनी विजय निश्चित है । इसलिए दसवें दिन हम विजय दशमी मनाते हैं। यह दिव्य चेतना का उत्सव मनाने का दिन है । इसका मतलब है कि हम अपने आप को सौभाग्यशाली समझें और हमें जो भी जीवन में मिला है उसके प्रति हम कृतज्ञ हों जाएं। इन दिनों में जो भी यज्ञ किए जाते हैं उन्हें समझना हमारे बस में नही है पर इनसे जो सकारात्मक ऊर्जा (तरं गें) जो उठती हैं उनका हम खुले दिल से अनुभव कर सकते हैं। यह सभी पूजाएं हमारी चेतना की शुद्धता और उसके विकास के लिए कि जाती है । हम जब दे वी मां को हर एक व्यक्ति में दे खें और पूरी श् रृष्टि में उनकी उपस्थिति का अनुभव करें वही सच्ची नवरात्री कि पूजा होती है । नवरात्री हम सभी के लिए एक लम्बे समय से चली आ रही परं परा है , जिसमे बड़ी मात्रा में धार्मिक मूल्य जुड़े हुए हैं। वर्षा ऋतु में , शरद नवरात्र और बसंत ऋतु में चैत्र नवरात्री का महत्व है । चैत्र नवरात्री को बसंत नवरात्री के नाम से जाना जाता हैं। यह आमतौर पर मार्च या अप्रैल के महीनों में पड़ता है और हिंद ू कैलेंडर का पहला दिन होता है । यह उत्तरी भारत में बड़े उत्साह से मनाया जाता है । यह चैत्र मास के शुक्ल पक्ष में मनाते है । महाराष्ट्र में इस नवरात्री के पहले दिन को गुड्डी पड़वा के रूप में मनाया जाता है । चैत्र का अर्थ है एक साल की शुरुआत। तो*नव* वर्ष कि शुरुआत *नौ* दिनों में आपने आत्मा के भीतर समाने से शुरू होती है । इससे अच्छी शुरुआत क्या हो सकती है । इन दिनों में पूजा करने से पूरा साल शांति और संतुष्टि से गुजरता है । भले कितनी भी मुश्किलें आए पर जब शुरुआत अच्छी होती है तो अन्त भी अच्छा ही होता है । जैसे माँ बच्चों को अनन्त प्यार दे ती है वैसे ही दे वी मां हममें अनंत प्यार और शक्ति का वरदान दे ती है । हमें सही रास्ता दिखती है और हमें भूल करने से रोक दे ती हैं। जब नवरात्रों का इतना बड़ा फायदा है तो क्यों न हम इस नवरात्री से ही प्रण लें कि हम हमेशा दे वी भक्ति में लीन रहें और लोगों को भी प्रेरणा दें ।।
90
Anjali
www.batj.org
हे के शव हे माधव - रिमझिम मोहनती हे के शव हे माधव अंत भी तुम, अनं त भी तुम प्रारं भ भी तुम, परिसमाप्ति भी तुम राम राज्य के रमणीक रचनाकर भी तुम कु रुक्षेत्र के महानायक भी तुम अर्जुन के गांडीव की हर एक वाणों में भी तुम परख कर दे खूं तो भिष्म के भीषण पराक्रम में भी तुम द्रोण की द्रविणता में भी तुम शत्रु में भी तुम, मित्रों में भी तुम द्रौपदी के लज्जा में भी तुम द्रौपदी के द्रोह में भी तुम सीता के सतीत्वा की सत्चरित्रता में भी तुम रम्भा, मेनका आदि मोहिनी के मोहन भी तुम रसिक भी तुम, सन्यासी भी तुम डम डम डमक, डमक डम डम मृत्युंजय के तांडव में भी तुम बुद्ध की बौद्धिक चेतना में भी तुम शांत में भी तुम, उन्माद में भी तुम लक्ष्मी के लालन में तुम, दुर्गा के दहन में तुम कोप भी तुम, कृ पा भी तुम हे के सव अंत भी तुम, अनं त भी तुम कल कल बहती गं गा की पवित्रता हो तुम वृन्दावन के रासबिहारी भी तुम बद्रीनाथ के वायुध में तुम द्वारका के अधिपति भी तुम पूरी के विशाल ब्रम्ह में जगन्नाथ तुम चारधाम काहे जाऊं मैं? मेरे गाँ व के गोविन्द मं दिर में भी तुम है के सव सूक्ष्म में भी तुम विशाल में भी तुम ढूं ढा बहुत बाहर तुम्हें तनिक ध्यान बटोरा तो मन के कोने में छु पे बसे थे तुम हे के सव ह्रदय में तुम, आत्मा में तुम शून्य हूँ मैं, मेरे हस्ती की अस्तित्व भी तुम www.batj.org
Durga Puja 2021
91
सम्ब - प्रभा मि पाकर प्रथम स्पर्श तुम्हारा भूल गई मैं दुःख सारा, आँचल में समेटे क्षीर-सिंधु और सीने में ममता की धारा। नयनों में भर नेह प्रबल बिसराया मैंने जग सारा।
हौंसलो के पंख लगाकर चाहतों के आसमान में, नेह की डोरी से खींचे मुझको, समय का पंछी उड़ चला है।
बे-बात बिन आँसू के रोना और मन्द-मन्द मुस्काना जाने किन सपनों से डरकर सिहर–सिहर जग जाना, नन्हीं मुट्ठी में कस आँचल गोदी में सिमट-सिमट जाना।
दूर-सुदरू उड़ान पर उसकी, मन को भी समझाया है— आज जमाना जहाँ खड़ा है, वहाँ हमने ही तो पहुँचाया है।
तन कर रहने की कोशिश में ठु मक-ठु मक कर चलना और मेरी अँगुलि का सम्बल ले गिर-गिर कर उठ जाना।
स्वाति नक्षत्र में चातक, जैसे बारिश की बूँदों को तकता है। यादें रह जाती हैं झोली में, वैसे दिन महीने गिनते-गिनते, वक़्त बेरहम निकल जाता है।
तुम्हारी भोली क्रीड़ाओं ने मन मोह लिया था मेरा। मेरे आँगन गूँजी किलकारी डाला था खुशियों ने डेरा।
नहीं कू कती कोयल यहाँ अब काक-पिक नहीं शोर मचाते नहीं गूँजते भ्रमर भी क्योंकि ध्रुपद-मल्हार तुम नहीं सुनाते।
मखमल से कोमल मन में मेरा अटल विश्वास समेटे जाने तुम कब बड़े हो गए मैंने ये भी न पहचाना।
आकु ल मन राह तुम्हारी ताक रहा है, कब आओगे --जीवन-मरु में फिर बहने लगे वो वासन्ती बयार कब लाओगे ?
चाहा मैंने क्षितिज छु ओ तुम उड़ो गगन में पंख लगा कर ले अपने सपनों की गठरी उन राहों पर बढ़ते जाओ।
ये मन आज अके ला है अब सन्ध्या की बेला है चाहत बस कु छ और नहीं, ये तो बीती यादों का खेला है।
उन्नति को सोपान बनाकर सुयोग्य बनो और यश पाओ। सतरं गी रं गों से भर, अपने श्रेयों से जीवन महकाओ।
जी भर देख सकूँ तुमको कु छ पल साथ बिता लेना। शिथिल हो रहे तन-मन पर नेह का मरहम लगा देना। और चला-चली में होऊँ जब अपने हाथों की मजबूत पकड़ से मेरे बूढ़े हाथों को थाम, वैतरणी पार करा देना।
92
Anjali
www.batj.org
अज़ीम गुफ्त - सेजल मेहता कु छ ना लिखूं, कु छ ना कहूं, ना देखूं कोई ख्वाब, ना करूं कोई इशारा… अपने एहसासों को न दूँ कोई ज़ोर, ना ही उभरते लफ़्ज़ों को दूँ कोई आवाज़, ना सुलगती चिंगारियों को दूँ कोई हवा, ना ही उठते कदमों को दूँ कोई रुख, ना करूं कोई शिकायत, ना भरूँ कोई सिसकियाँ… और फिर, मेरे शऊर को बिना रोके , ज़ज्बात को बिन ज़ंजीर, अरमानो को बिना क़ै द, इस दिल की दास्तां, उठे खूबसूरत लहरों सी और अंदरूनी रूह की तस्वीर, मचादे हलचल इस पूरी कायनात में… फिर रुख करे उसके आशियाने की ओर, लिए मेरे नफ़स की ख़ुशबू आगोश में अपने, दाखिल हो जाये आहिस्ता आहिस्ता, हाँ जी, दाखिल हो जाये बिना दस्तक दिए, नरमी से उतर जाये सांसों में उसकी और नज़ाकत से घुल जाए असीम दिल में उसके … चाहे ये खुशफहमी ही सही, खुशफहमी में ही मुख़्तला रहने दें, चाहे ये गुमान ही सही, गुमान में ही जी लेने दें…. इसे मेरा पागलपन माने, जुनून समझें या फिर कह लें इसे गुफ्तगू मेरी उसके साथ… हाँ जी, कु छ मुख़्तलिफ़-सा अंदाज़ है ये मेरा, ख़ामोश दुआ और गुज़ारिश का, हाँ जी, यही है मेरा नाता रब से, मुख़लिस इबादत और शुक्र गुज़ारी का www.batj.org
Durga Puja 2021
93
रात् - सुनील शर्म
विहान का पारिश्रमिक चुकाने। आ गहराती है नटी रात्रि।। जिसके सुखमय आँ चल में। जा सिमटता है जीवनयात्री।। बाह्य कलुषता में गुप्त है अकथनीय उज्ज्वलता। शांति नीर में सुप्त हैं स्वर्णीय प्रज्ज्वलता।। नव प्रभात का लिए सं दे श। आ गहराती है नटी रात्रि।। जिसके विलासमय आँ चल में। जा सिसकता है जीवनयात्री।।
94
Anjali
www.batj.org View from Mt. Omuro by Sakshi Kumar
主の御手の中で 今日もまた - 佐藤 洋子 痛むときは 痛むがよし 苦しむときは 苦しむがよし 幸せなとき それもよし ままならぬとき それもよかろう
寂しいときは それを味わえ そのままで 悲しいときは 悲しむがよし 不安なときは もがけ その中で 何ごとも 来るがままに そのままに
為されるようにそのように それしかない 主の御手の中では
内も外も覆ってる 昼も夜も覆ってる
どっぷりと 浸ったあとに 風が吹く
そんなお前は主の存在 知らない信じてない ほんとうは
雲流れ 霧うすれ すべての正体現れる わが心の奥底に
ありとある 負の考えに纏われて まるで永遠のように 上昇下 降繰り返す
この度の 波乗り超えた サーフィン
プラスマイナスいずれでも ほんの少しの何かが
ほっと安堵の深呼吸 それもまた いっときの夢 消えるもの
お前に触れたその途端 緊張全身駆け巡り
確かに来るだろう 次の波
がんじがらめに 絞められる
短い息継ぎ ひとときは 主の愛深きプレゼント
骨の髄まで浸みこんだ 自分意識の毒のため
また繰り返し 来る予感 微かな揺らぎ内奥の
輪廻の世界 苦の世界 愛とお慈悲の主の世界
制御欠きそうな この心に 再び襲いくる その嵐
この世の全ての負なるもの エゴの意識を消す道具
どんな形で来るのだろう
自己意識が消えるまで サーファーやめること できないよ
こんどは何色の服を着て 挑みかかって来るのだろう
無限の一者その方が 回転木馬止めるまで
全宇宙の 設計製造責任者 誰だかお前は知っている
気楽に一歩 また一歩 気持ちよさそうに 歩もう
頭だけで知っている ただの知識で知っている
何ごとも 来るがままに そのままに
ひと飲みで 五臓六腑に浸みわたる
主の愛の広大無辺の 手の中で
そんな解り かたではない
来るものすべてを善きものと 感謝とともに受け取ろう
自分自分と主張する 強烈なエゴその意識で
思い出せ 無限の力 愛の方 慈悲の権化の その方に 頼り頼って ただ任せ 為されるままに 為されよう
信仰と愛 涙の川を 心地よく 流されよう 澄みわたった空 眺めつつ 永遠への 流れのなかに 横たわり ぷかりぷかりと 今日もまたゆく
www.batj.org
Durga Puja 2021
95
Indian food and Japan/ インドカレーと日本 - Yogi (Yogendra Puranik) 一般的な日本人にとってインドのアイデンティティは何かと言えば「カレー」でしょうね。日本に住み始めてから20年以上経った今 でも、初めて会う日本人の方から「私はカレー好きですよ」と言われることが多いです。微笑んで「ありがとうございます」と返します。 そして、「私も東京でインド料理店を経営していますよ」と話すと、そこから私のカレートークが始まるのです。 日本でのインドカレー市場と言えば、もちろんナンやバターチキンなどを提供する北インド(パンジャブ地方の料理)と思われる料 理店が多いですね。1960年代から東京を中心に北インド料理店が栄え始めたのです。その当時は珍しかったインド料理を食べる のに長い行列が出来たそうです。そして、1990年代の後半から南インド料理がブームになりました。西インドや東インドの料理店は 1~2軒存在しますが、その料理はさほど知られていないです。 インドのカレーというのは東西南北で違うのでしょうか。そもそも、インドの家庭で日常的に食べられるカレーは日本のカレーと違っ て、数種類のスパイス(調味料)をその場で調合し、具を煮込みます。そのため、同じカレーを作るにしても、各々のスパイスの量に ばらつきが出るので、味が毎回違ってきます。それは、3食カレーを食べていても飽きない理由の一つかもしれませんが、野菜や豆 の種類も多いです。また、インドのカレーは小麦粉を使わないためサラサラしていて、スープのようなものです。 インドは地域によって気候がかなり違って、収穫できるスパイスや野菜や穀物などが違うのです。例えば、南インドでは麦があまり 採れないため、基本的に米料理を食べます。それに気候が暑いので、料理が腐らないように米や豆を発酵します。西インドの料理 は豆の種類が多く、油が控えめです。北インドのカレーは油分が多く、こってりしています。東インドは米が主食で、マスタードオイル を使った料理が目立ちます。また魚を使った料理が発達しています。東北インドの料理では魚やポークが多く使われます。この数百 年ではインドが中東、イギリス、ポルトガル、フランス及びオランダなどによって統治され、地域によって、それぞれの国の特色もみら れます。 そもそもインドカレーはいつ、どのように日本に伝わったのでしょうか。現在知られている範囲ではインドと日本の交流は6世紀か ら始まり、仏教やヒンドゥー法と共にインドの文化が日本に伝わりました。その時代に日本人学者がインドに留学した記述もあります が、カレーは明治時代にイギリスを経由して伝わったとされています。本当にそうなのか、ただ証拠がないだけなのか分かりません。 日本人学者がインドを訪れた際にインド料理を食べ、日本に持ち帰ることを考えたのではないでしょうか。 インドにはカレー粉というものはなく、色々なスパイスを組み合わせて、カレーの味をつくりますが、インドを植民地として支配したイ ギリスで初めてカレー粉が作られ、サラサラしているインドカレーと違って、小麦粉でとろみをつけたのです。安政6年(1859年)の横 浜港開港と共にカレーがイギリスから日本に伝わりました。明治9年(1876年)に札幌農学校(現在の北海道大学)で給食に出され ました。そして、イギリス海軍を真似して日本海軍にも導入され、軍人の健康につながりました。 その後、カレーの材料であるタマネギ、ジャガイモ、ニンジンが日本でも北海道を中心にたくさん作られるようになり、また国産の安 いカレー粉が広がり、大正時代に今のような日本のカレーライスのもともとの形ができました。イギリスを経由して日本に上陸したイン ドのカレーが、日本でインドのカレーとも、イギリスのカレーとも違う料理になってしまったのです。 そんな日本カレーは、戦後、全国の学校給食に採用されました。昭和25年(1950年)に固形のカレールウと昭和44年(1969年) にレトルトカレーが発売されると、カレーは日本人の身近な食べ物になりました。今や、豊富な種類の国民食と言われるまで普及して います。横浜港が開港した6月2日は横浜カレー記念日になっています。 戦後、カレー専門店が開店し、次第にカレー専門店が増え、欧風カレーにとどまらず、本場のインドカレーやパキスタンやバング ラデシュのカレーなど、カレーも多様化してきました。日本独自のカツカレー、カレーそば、カレーうどんなども誕生しました。 日本のカレーには肉が入っていることが多いです。インドの歴史をみるとインド料理では野菜や豆などの使用が主で、肉がさほど 使われていませんでした。ただし、古代インド医学アーユルヴェーダーでは肉食を禁じる記述はなく、肉を食べた際の体内の消化に 時間とエネルギーがかかるということから、食べる季節、頻度や時間帯に関する指導があります。 現在、東京には約1300軒のインド料理店があります。恐らく90%以上の店舗はネパール人が経営していると言われています。近 年はITなどで成功したインド人が副業としてインド料理店を構えるケースも増ええており、日本人の若者が本場のインド料理に興味 を持ち、現地で修行したりします。帰国してから自分の小さな店舗を持ち、インド人が感心するほどの料理をふるまいます。これから 益々多様化する日本、料理を通じてでも、人は益々お互いの文化や言葉に触れる機会が増え、多文化共生が進むといいですね。
For a normal Japanese person, ‘Indian food’ would be a strong identity of India. I have lived in Japan for more than 20 years now, and every time I meet a Japanese person for the first time, he/she generally mentions ‘I like Indian curry’. I smilingly say ‘Thank you’. And as I tell him/her that I too run an Indian restaurant in Tokyo, my curry talk starts from there. The Indian food market in Japan is defined by the so called north Indian restaurants (food from the Punjab region) serving naans and butter chicken etc. The north Indian food restaurants started mushrooming in Tokyo in the 1960s. People would queue up to eat the novel Indian food. And then in the late nineties there came the boom of south Indian food. Lately, a couple of east and west Indian food restaurants came up however, the food from these parts of India is still not so well known in Japan.
96
Anjali
www.batj.org
Indian food and Japan/ インドカレーと日本 Is the food in India regionally different? First of all, the curries eaten in an Indian home, unlike the curries in Japanese homes, are made by mixing various spices at the time of cooking. Hence, the quantity of each spice differs every time because of which the same curry will taste a bit different every time. This could be one of the reasons why Indians don’t get bored up though they eat curry three times a day, not barring the fact that India has a wide variety of vegetables and beans. Also, Indians do not add wheat flour to the gravy which would mean that Indian gravies are clear like a soup. Indian climate differs from region to region and hence the spices, vegetables, and grains harvested in each region are different. For example, as wheat is not much harvested in southern India, the food here is rice centric. And as the temperature is hot all throughout the year, fermented doughs of rice and beans are used heavily to avoid rotting of food. West Indian food uses lots of varieties of beans and uses moderate oil. The north Indian food uses lots of oil, and that is why its gravy is thick. The eastern Indian food is also rice centric and uses mustard oil very commonly. The fish recipes are also popular in eastern India. North-eastern India popularly uses fish and pork. In the last few hundred years, Indian was imperialized by the forces from the middle east, Britain, Portugal, France, Holland, etc. leaving their impressions over the food in various regions of Indian. So, how and when did Indian food reach Japan? As per the currently known history, the exchange between India and Japan started in the sixth century, when Buddhism and a lot of Hinduism were conveyed to Japan. Descriptions have been found which tell us about Japanese scholars visiting India at these time for their studies. However, the Indian foody / curry is said to have reached Japan, via the British, only in the 1870s. I am not sure if it is really so or we just do not have any past evidences. I am sure that the Japanese scholars who visited India would have eaten Indian food/curries and would have thought of taking something back to Japan. In India, there was no such thing as a readymade curry spice mix. Indians would mix various spices when making a curry. At the time when the British were ruling India, they created a spice mix and thickened it by adding wheat flour to it. In 1876, when the Yokohama port was opened for the British, the concept of curry reached the lands of Japan. In 1876, the curry was offered in the school lunch of Sapporo Agriculture University (currently known as Hokkaido University). Later, imitating the British navy, it was introduced in the Japanese navy to save the lives of their navy seals. In later years, Japan started producing the key ingredients of curry like onions, potatoes, carrots, etc., especially around Hokkaido, and as it also developed indigenous low-cost spice mix, Japan got its first Japanese style curry rice in the Taisho Era. Although Japan got the Indian curry via the British, what Japan finally developed was way different than its predecessors. This Japanese style curry was served in school lunch across all of Japan’s schools after the end of the second world war. Later, as Japan developed the curry roux in 1950 and retort curry in 1960, curry became a part and parcel of the lives of Japanese people. Now, with many varieties of curry, it is called as the national food of Japan. June 2nd, the day on which Yokohama port was opened for the British is celebrated as the Yokohama Curry Memorial Day. Indian restaurants started opening in Japan after the world war and went on increasing. With this Japan now had curry types beyond the European ones, including Indian, Pakistani, and Bangladeshi food restaurants. The curries in Japan began diversifying. Japan also developed its own recipes like cutlet curry, curry soba, curry udon, and so on. Japanese curry is often made of meat. If we see the Indian history, Indian recipes mainly used vegetables and beans and less of meat. For that matter, even the ancient Indian medicinal science, the Ayurveda, has not denied eating of meat. As meat takes a longer time and energy to digest, Ayurveda suggested seasons, frequency, and times of a day for eating meat. Today, there are around 1,300 Indian restaurants just in the Tokyo Metropolis. Probably, more than 90% of these restaurants are run by Nepalese. In recent years, those who have succeeded in other domains like IT, have ventured into restaurants as a side business. Many Japanese youngsters are taking interest in Indian food, often stay in India for elongated durations to learn Indian food. And when they come back to Japan they start their own small outfits, to serve food that would take even the Indians by surprise. As Japan will attract more and more foreigners, I wish that food becomes one mode for people to understand each other’s cultures and languages, to see a much more symbiotic Japan in near future. References / 参考 https://www.maff.go.jp/j/agri_school/a_menu/curry/01.html https://jpnculture.net/curry/ About the author / 著者について Yogi (Yogendra Puranik), born in India, is living in Japan for more than 20 years. He is the first elected assemblyman of Indian / Asian origin in Japan. He is a leading volunteer in the Indian community in Japan and a thought leader on topics like symbiotic society, education, IT in government, etc. He conducts lectures in universities across Japan, ministries, government offices, and corporates.
www.batj.org
Durga Puja 2021
97
タゴール生誕160年・没後80年に寄せて - 佐々木 理香 Study & Research in Japan for Bachelor, Master and PhD
Webinar for Study in Japan / 160th Birth Anniversary of Rabindranath Tagore Japan-India-Bangladesh Exchange Event @ UTokyo Homecoming Day 2021 Date & Time : October 16th Sat 14:30 hrs-16:30 (JST) Place : Online via Zoom
Scholarships & Job Opportunities available
Opening by Dr. Akio Tanabe Prof. The University of Tokyo
l
Address by
Jawaharlal Nehru PM visited The University of Tokyo in Oct. 1957 and gifted Tagore Portrait for their memorial visits.
H. E. Mr.Sanjay Kumar Verma Ambassador of India to Japn by H.E. Mr. Shahabuddin Ahmed Ambassador of Bangladesh to Japan
Sir Rabindranath Tagore visited Japan 5 times during 1916-29 and visited and delivered a lecture, THE MESSAGE OF INDIA TO JAPAN at The University of Tokyo on June 11, 1916.
Tagore Portrait in UTokyo General Library
Hosted by
In association with Visva-Bharati University India
Keynote Speech by Dr. Kyoko Niwa Prof. Tokyo University of Foreign Studies Presentation by Dr. Gita A Keeni Associate Porf. HoD Dept. of Japanese Visva-Bharati University Special Address by Dr. Abdullah-AL-Mamum. Chairman Dept. of Japanese Studies University of Dhaka Tagore songs by Ms. Yuka Okuda and her students Lecturer Tokyo University of Foreign Studies
Closing by Indian Mr. Shrikrishna Kulkarni Ms. Gurjan Joshi By Bangladeshi Dr. Syed Emdadul Haque Representative UTBSA
本年2021年は、ラビンドラナート・タゴールが1861年5月7日ベンガル州カルカッタに生まれて160年、また1941年8月7日享年80歳 で此の世を去ってから80年の年月が経ちました。 この記念すべき年に、改めてタゴールについて思いを寄せ、タゴールが日本および日本人に残した軌跡について振り返ってみた いと思います。 1913年アジア人として初めてノーベル文学賞を受賞した詩聖タゴールは岡倉天心らとの交友を通じて日本への関心を高め親日 家となり、計5回日本を訪れています。 タゴールは1916年(大正5)初めて来日し、神戸に到着後、大阪と東京、各地で講演をしました。6月11日に東京大学、7月2日に慶 應義塾大学で講演しました。画家・横山大観の客人となり、後に原三渓邸に宿泊。上野寛永寺で歓迎会が催され、大隈重信首相、 渋沢栄一初め、各界の名士200名余りが参席しました。 2回目の訪日は1917年(大正6)米国からの帰国途次、日本に立ち寄りました。 3回目の訪日は1924年(大正13)、中国経由長崎に到着、別府・福岡・下関・神戸・大阪・奈良・京都・東京に滞在。東京滞在中は 渋沢栄一が中心になってタゴールを歓迎し、6月11日に日本工業倶楽部で歓迎会が開かれ、翌日6月12日に栄一の飛鳥山邸での 茶話会には大隈重信・団琢磨など約40名の政・財界人が集まりました。6月13日は歌舞伎座見物にも招待されました。この年の講演 会でタゴールは日本人に対する尊敬の念を表しつつ、日本の西洋帝国主義模倣を批判しました。 4回目の訪日は1929年(昭和4)ボンベイから神戸に到着、横浜を出帆してカナダへ。 5回目の訪日は1929年(昭和4)5月13日 日本女子大学で、5月16日 津田塾大学で講演しました。 またインド独立運動家ラスビハリ・ボースと彼の家族にも会いました。 この期間中、タゴールはシャンティニケタンに創立したVisva Bharati(タゴール国際大学)に、日本のすぐれた芸術家達を招き、日 本文化の紹介に力を注ぎました。日本画家の荒井寛方、柔道教授のため招聘された高垣信造、そして茶の湯・生け花教授のため 招聘された星マキ等でした。タゴールによって日印文化交流、日本とインドの友好関係の基礎が築かれたといえます。 明治維新以来、「脱亜入欧」をスローガンに西洋文明の模倣と軍国主義の道を邁進してきた日本に警鐘を鳴らしたのもタゴール でした。しかし、当時の日本国民は彼に耳を貸さず、その後の日本は歴史の証言通り、タゴールが危惧していた方向へ突き進み悲 惨な末路を迎えました。そして戦後復興した日本は科学技術の進歩を過信し頼り過ぎ、10年前の2011年3月11日、自然の脅威に打 ちのめされることになりました。ここにタゴールの警告 ― 「自然との共生」「東西の融合」「平和の祈り」を再び思い知らされる時が来ま した。 本年2021年タゴール生誕160周年・没後80周年を迎えるに当たり、タゴールが愛した日本でもこれを祝い、タゴールの芸術と思想 の理解をさらに深め、彼が発信し続けたメッセージを次の世代に伝えていきたいと思います。 私は2011年~2012年の1年間にタゴール生誕150周年記念会の実行委員を務め、計15回の タゴールに関する文化イベントを 開催しました。セミナー・レクチャー・シンポジウム・展示会の開催やメディアに出演など。 本年2021年は、コロナ禍の制限の中で十分な活動はできませんが、10月16日(土)14:30-16:30東京大学インド事務所とコラボして タゴール生誕160年記念オンライン・イベントを開催致します。 内容は基調講演・タゴールソング・意見交換会など。9月半ばから広報・宣伝を開始いたします。 ご関心のある方はsasarika@gmail.comまでご連絡頂ければ詳細をご案内いたします。 98
Anjali
www.batj.org
ゲームと私 - 川満 恵理菜 私は小さい頃からゲームが好きでした。マリオ、カービィ、ドン キーコングなどなど・・・任天堂ゲームと共に私は育ってきたと言 っても過言ではありません。そして中学生になってからはプレー ステーションのゲーム(元はコナミが出しているゲームセンター 用のゲーム)、ダンスダンスレボリューション(略してダンレボ)と いう体を動かすゲームにはまり、つい最近まで私の運動器具と して活躍していた。しかし、中学生からインドに留学してからは ちょこちょこゲームをしてはいたものの、本格的に・継続的にの めりこむ事はなかったように思う。(ダンレボに関しては夏休みな どの一時帰国の時にやっていた)しかし昨年から続いているコロ ナ渦で状況は大きく変わった。家にいる時間が増え、ファミコン やスーパーファミコンなどの古いゲームをやりたくなったのです。 任天堂Wiiでは終了してしまったバーチャルコンソール(Virtual Console。略してVC)という古いゲームをダウンロード購入できる サービスがWii Uではまだ利用可能だということを知り、さっそく Wii Uを中古で手に入れました。(そもそもしばらくゲームから離 れていたので、WiiとWii Uの違いを知らなかったし、そもそもWii Uというゲーム機の存在すら知らなかった。それくらいゲームから 離れていたのです。) そんなこんなでWii Uを手に入れた私ですが、子供もいるし、 その年は子供が通う園の父母の会の会長を務めていたので、 去年のゲーム熱はほどほど・・・という感じでした。睡眠時間を削 ってゲームをしていたので、これは良くない!と思い、自らコント ロールしていたのです。子供の頃は親に怒られたりしてゲーム のプレイ時間はコントロールされていたが、大人になった今は完 全に自己責任だ。(時間のやりくりややるべきことをキチンとこな す、家族とのコミュニケーションなど、大人の責任は子供よりは るかに多いですよ!家族をないがしろにしてゲーム最優先!み たいなのは反対です。)なので、しばらくゲームはお休みするこ とにしました。しかし年度が替わったことによって父母の会会長 の任務から解放され、時間ができてしばらくしてからまたゲーム に手を出し始めたのです。また、子供が一時期しょっちゅう入院 しており、その度に付き添い入院をしなければならず、暇を持て 余していました。小児病棟の入院患者向けにプレイルームがあ るのですが、私はそこに置いてあった漫画を借りて時間をつぶ していたのですが、とうとうゲームボーイcolourを見つけ、保育士 さんに借りても良いよーと言われたので、白黒時代のマリオやカ ービィ、しまいには初代ポケモンまでやり始めてしまいました。 (結局入院中に全ポケモンをゲットできなかったのが悔しくて退 院後に中古で3DSを買い、VCでダウンロードしました。)それに 加え、長年私の運動器具であったダンレボは膝に負担がかかっ ていたので卒業することに・・・その代わりとして目を付けたのが Nintendo Switchから出ているリングフィットアドベンチャーとフィ ットボクシング。今まではスイッチなんていらない!古いゲームで 十分!と思っていたのですが、明確な目的ができたのでついに 購入。ゲームするためだけだと高いと感じていましたが、ジムの 代わり・・・と考え方を変えたとたんに安く感じました。そんなこん なで手に入れたスイッチ。せっかくだからと普通のゲームソフトも
www.batj.org
当然のように購入してしまいました。 ここまで私がどういう成り行きでゲームにはまっていったかを説 明してきましたが、ここ1~2か月(2021年7月~8月)のハマりっ ぷりはものすごい事になっている。もうすでに全部クリアしたゲー ムを1から始め、いかにミスせずに全部クリアできるかとか、最終 ステージのめちゃくちゃ難しいコースをアイテム使わずゴールで きるようにするとか勝手に縛りをつけて同じゲームを何度もやり 込んだりしています。(最近で一番ハマったのがスーパーマリオ 3Dワールド)更にマリオグッズを家に置きたくて渋谷PARCOに 入っているNintendo TOKYOに足を運んだり(短時間で買い物 を済ませる・平日の午前中に行くなど私なりに感染対策はした つもりです)、ゲーム音楽を普段の生活にBGMとして使ったり・・ ・(わざわざサウンドトラックCDを中古で手に入れました)極めつ けはマリオの音楽をかっこよくピアノで弾けるようになりたい!と 思うようになり、時間がかかっても良いから毎日特訓して上手く なる!という目標まで立ててしまった。ちなみに私はバイオリンを 4~5年ほど習っていた経験があり、音感はまあまあありますが、 楽譜は読めませんし、肝心のピアノはごく短期間習っていただ けです。それでもYouTubeで見つけた楽譜+どの鍵盤を押して いるのかのデモ付きの動画を参考にして独学で頑張っていこう という新たな楽しい目標ができたのはこのコロナ渦でステイホー ムしましょう!と言われている中、幸せだと思います。普通のゲ ーム、ゲーム機で日々の運動、ゲーム音楽を楽しむ・・・元々コ ロナとか関係なく土日には家から一歩も出ないことがしばしばあ った私ですが(家事をして一日が終わるかダラダラして一日が終 わるかの2択だった。)ますますインドア派になりそうな気がしま す。 ゲームは良くない!子供にはゲームをさせたくない!という考 え方の人がいます。それは否定しませんが、いい部分にも目を 向けてもらえたらなとも思います。みんなに当てはまる訳ではな いと思いますが、私の場合は集中力と考える力(どうすればクリ アできるか等)、出来るまで頑張る粘り強さはゲームを通して学 んだんじゃないかなと思っています。また、微妙なコントローラー の操作も知らずの内に脳トレになっているのでは?と思っていま す。ボケ防止のためにこれからも引き続きゲームをしてゲームが うまいおばあちゃんを目指そうとしている私です。ここまで楽しい ことばかり書きましたが、やりすぎは良くないという事や引きこも りになる人、ゲーム中毒になる人、もいるという現実もあります。 しかし、子供がやってみたい!と言ったら頭ごなしにゲームはダ メ!と否定しなくても良いのでは?と個人的に思っています。い くつか約束を作り、それを守れなかったら1週間ゲーム禁止!み たいな感じで各家庭に合ったやり方でゲームと付き合っていくの も悪くないと思いませんか?子供の性格を見つつ検討する必要 はあるかと思い20 ますが、是非ゲームを完全否定せずに一度子供と話し合って みては?とゲーム好きの私は思います。最後までお読みいただ きありがとうございました。
Durga Puja 2021
99
わたしとマンゴー - ロイ れい子 むかし、といっても、そう昔のことでもないんだけど、マンゴーをよく食べていた。夏の少し前から夏の間ずっと、そしてその後の雨 期の始まりから終わりまで、どこに行ってもマンゴーだらけだった。市場や道路の角で山ほど売られたり、玄関まで売りに来る人もい た。みんなマンゴーだけを売っていた。他のみんなはどこかで買ってマンゴーを食べていた。大都市だから大きい庭やマンゴーの木 を持っている人はそうたくさんではなかった。たまにそういう人がいると、マンゴーの時期にはみんなにうらやましがられていた。最初 の頃はまだうれていない、皮が濃い緑の酸っぱいマンゴーがでまわる。生で塩に付けて食べることもあって、料理に使うことが多かっ た。酸っぱいから初夏の食欲がない時にぴったり。それから、砂糖、油、スパイスなどをたくさん使って作るチャツネやピクルスのい ろいろなのが甘酸っぱくておいしいものだった。未熟のマンゴーや熟したものでこしらえる酸っぱい飲み物や甘い飲み物も最高だっ た。朝から晩までいろんな形で、いろんな味でマンゴーがイヤになる程目の前に現れていた。けれど一度もイヤにはならなかった。 マンゴーがそれほど好きだった。 いろいろあっても一番好きだったのはやっぱりよく熟した甘―いマンゴーだ。部屋に一個でもあれば甘い匂いが家中に漂って食 欲をそそる。食べる前から食べたい気持ちにさせるからか、食べたらとてもおいしく感じる。何も手を加えないで食べても大変満足す る味。現在住んでいるところにはマンゴーが通常できないし、現地の人々にも人気がない。と言うか、味も知らないから人気になるは ずがない。輸入で少し入ってくるものの、とても高価なものだ。スーパでたまに見かけるけど買う人はそういない。子どものころから食 べ慣れていないものの味は、そう簡単に分からないらしい。あまり売れないから何日か過ぎると、値下げされた他の野菜や果物と一 緒にたいてい角に置いてある棚に移される。そこに置かれても、周りの他の商品客のかごに入っていくのに、マンゴーは売れ残る。 マンゴーの皮の色と匂いが日に日に変化していく。値段が最安値になっても売れないものがのちに棚から消える。 マンゴーがゴミになろうが、肥料になろうが、豚の餌になろうが、わたしの手には届かない。貧乏学生をしていると、そんな高級なも のには手を出せない。値段が下がってきたときでも、マンゴー一個の値段でリンゴが2個も買えると思うとやっぱり気が引ける。でも今 は違う。もう学生でも、貧乏でもない。勉強を終えてしっかりした仕事についてきちんと収入を得ている。食べ物と飲み物はもちろん、 洋服や化粧品、カバンや靴、いろんなところでたくさんお金を使うようになった。前からの知り合いに、わたしの“金使いが荒くなった” とまで言われたことがある。買おうと思えばマンゴーは何個でも買える。しかし買うのはなんだか気が進まない。どうしても買うところま ではいかない。未だにマンゴーが大好きで夢にも出てくるぐらいだけど、パーティーに出されたマンゴーにも手が伸ばせない。なん だかおかしな感じがする。不安だ。や、ほぼ怖さに近いぐらいだ。祖国を出てから何年も、なんねんも、記憶の中以外でマンゴーの かけらさえ食べることができなかった。今になってまた食べ始めるのかどうか。どうしても食べる勇気がでない。もし想像している味と 実際の味が異なっていたら。もしその味が気に入らなかったら。もしマンゴーに対するわたしの気持ちが前と変わったら。もし、、、
マンゴーや 胸にしみいる 思い出
100
Anjali
www.batj.org
「私の最高の経験」 - Moitrayee Majumder モイツターリ マジュモダルー ある日、幼稚園から戻って来た息子に「お昼ご飯は食べて来ましたか」と尋ねました。 息子は「khabemashita(カべマシタ)」と言い ました。「Khabe(カべ)」はベンガル語で食べるを意味にしており、「khabemashita」はベンガリ語と日本語をミクスした息子の造語で す。息子はこのような言葉を作って話します。これは私を幸せにし、心の底から笑います。 私は四年前インドから来日しました。 主人は私より3ヶ月前早く来日しており、江戸川区の小松川で、必要最低限の生活必需品を求めて暮らし始めていました。彼は私 が来日するのを待っていたのです。私たちの東京での新しい生活はとても忙しいものでした。買い物をしたり、家を飾ったり、掃除し たり、料理 を作ったりしました。このような経験は初めてで、本当に大変でした。 住んでいる場所は東側に荒川と西側に中川が流れていて、千本桜の並木が続き、春になれば非常にきれいです。私は時々バル コニーに座って、千本桜を見ながら、日本の美しい季節を楽しみます。小松川には大きな公園があり、大勢の家族がここに来て楽し んでいます。 私は日本に短期間の滞在だと思っていましたが、長くここで暮らさなければならないことに気付いたとき、すでに自分の国、家族、 友人と疎遠になり始めていました。家の外に出かけても誰とも話せないし、買い物のこともよくわからないし、友達もないのでとても不 安になりました。それで, 私は就職 活動を始めました。さまざまな コンサルタントのところに行って、仕事のことを相談しました。仕事 を探しているうちに、日本語能力試験に合格しなければならないことが分かって来ました。これまでに覚えた2つの言葉「ありがとうご ざいます」と「すみません」だけで生活して来ました。 日本語能力試験は「大変だ」と思い、「頑張ろう」と自分に言い聞かせました。それから、日本語を教えてくれる先生を探し始めまし た。探しているうちに、隣の人からとても親切な先生を紹介してもらいました。先生はインドの人だったので私にとても親切でした。先 生は私に日本語を教えて下さると同時に、近所に住んでいるインドの人を紹介して下さいました。徐々に私は多くのインドの友達を 作りました。日本語がすこしずつわかって来たり、友達とも話しができたり、生活は面白ろくなって行きました。 私は妊娠しました。とても嬉しかった。けれど、生活はとても大変になりました。おかさんが恋しくなりました.....。そんな時、近所に 住んでいる友達から料理を作ってもらったり、必要に応じて、友達も買い物もてつだってくれ、気を紛らわすことが出来ましたか。4年 経った今でも、当時のことを思い出すと、友達には感謝してもしきれない気持ちでいっぱいになります。 息子を出産する1ヶ月ほど前, 主人は私の母を来日させるため、インドに帰国しました。そのころ私は、少しは日本語を話せるよう になっており、近所に友達もいるので、数日間は一人で大丈夫と考えていました。夫は一週間インドに向けて出発しました。 しかし、 夫がインドに到着した翌日、私は病気になってしまいました。この合併症は妊娠に関連していました。私はそれほど日本語も話せな いし、夫もそばにいなかったので、とても不安になりました。私は病院に連絡しました。すぐに彼らは救急車を送ってくれました。病院 に到着した後、彼らは私をすぐ診察しを始めました。医師と看護師は2時間ごとに私の体のをチェックしました。2日間、彼らは私をと ても丁寧に看病してくれました。 夫はインドに帰国していたので、彼らは特別な注意を払ってくれました。友達に自分の状態を話し たら、友達たちはすぐ病院に駆けつけて来て、あらゆる方法で私をサポートしてくれました。2日後、私は退院しました。 家に帰ってから夫と母が来日するまでの5日間、病院から毎日電話で私の体調について尋ねてきました。病院のこの対応は私を 非常に勇気づけてくれました。退院した後、私は一人だったので、その後の5日間は本当に不安でしたが、しかし、友達がいつも私 のそばにいることでも心は穏やかでなりました。これらの経験からいつの間にか、私は自分の国のように日本を愛し始めていました。 夫が母を伴い日本にやってくると、友達たちは妊娠中に行われる、インドの伝統的な儀式を行な祝ってくれました。日本にいるなが ら、インドの儀式を行うことが信じられず、まるで夢の中の出来事のように思われました。 このようにして、家族や友人の助けを借りて一週間後、私は息子を出産しました。これは私の人生で最も記憶に残る経験の1つで あり、そこから母性の美しい旅が始まりました。日本の人々から受けた愛と親は、いつも私が自分の国にいるような思いにさせてくれ ました。これは「私の最高の経験」であり、日本に対する尊敬の念を高めています。 息子はもうすぐ四歳になります。今幼稚園に通っていますので日本語と日本の文化が学んでいます。家でベンガリ語を話し、イン ドの環境にいるので、インドの文化も学んでいます。彼は日本とインドの言葉を同時に身に着け、「(khabemashita「カベマシタ)」のよう な造語を発明し、日々新しい活動で私たちに楽しませてくれます。毎日が新しい経験を持つ日々です。
www.batj.org
Durga Puja 2021
101
A Tale of Two Girls - Suvechha Bhunia, Grade II
O
nce upon a time, there lived a little girl in a small town of West Bengal. Her name was Antara, and she was seven years old and studied in class-II. Her father worked in a laboratory and her mother was a homemaker. One day she came away from her school earlier. She ran to her home and cried out with sheer excitement, “Mamma, I’ve no school from tomorrow, I’ve a summer vacation!!” Her mother came out and said, “Oh really that’s good…now you can have much fun in your vacation! But my dear cutie now you’ve to wash your hands, legs and face right?”. Antara was obedient, so she went and washed her hands, legs and face and drank cold water as it was very hot and didn’t rain for many days. Then she eats her afternoon snacks and takes a nap as she was very tired. Then she went to her mother and said, “Mamma, can I play now?” Her mother said, “Of course why not, play and enjoy.” She went to their backyard and started playing. Suddenly she found a ‘Pink Bead’ which was glittering in the green grass. Antara touched to take it, suddenly it became a doll! And what a doll it was!! It was very cute and beautiful. She was stunned. The doll started running and went to the kitchen where her mother was making chicken pasta. Antara called her mother saying, “Mamma look”! Her mother looked at her and smiled, saying “Wow, Antara, the doll is very cute! Where did you get it?” Antara is just going to tell what happen in the garden but suddenly she listens someone is calling, “Antara…Antara…wake up Beta…”. She opens her big dark eyes but there is no bead, no doll. Oh...it was a dream! Antara thought in her mind and smiled. Now she woke up and refresh her face with cold water. Now it is the time to do homework. But as vacation has started so Antara wants to do something new. Few months back, a new neighbour came to their place. They hailed from Columbia. The family also has a daughter, named Massiana. The two families have a good relationship. Antara also wants to be friend with Massiana. But Massiana was very unkind. Being the smaller one in her family, she was spoiled up. She would always think that, “Why always babies cry like, wan… wan…wan. Always disturbing others, I don’t like it!!” As Antara was very happy today, she wanted to share her happiness, dream with Massiana. So, she told her mother, “Mamma, let’s go to Massiana’s house. We’ll have much fun there.” Her mother thought for a moment and agreed. When they reached their home, they found that Massiana was fighting and quarrelling with her mother. Think! What a bad girl!!! Antara and her mother were very perplexed to see this situation. They didn’t understand what to do. Massiana didn’t care for her 102
mother and also not for them. She went into her room and started playing. She also didn’t talk to her mother for three hours!!! Massiana’s mother explained everything to Antara’s mother as they are also friends. The problem is that Massiana broke the blackboard in her school when the teacher wasn’t there. Everybody told not to break it. Even Antara also told not to break it. But she didn’t care. Massiana would think that she will break the blackboard, she will not mind the punishments. When the teacher came, she saw that the board was broken. She knew that someone was breaking something. She also heard that Antara and the other children told not to break. She understood that it was Massiana. But when she went, Massiana told her that Antara did. The teacher knew that Antara tells the truth. So, she asked her that whether she did or Massiana did. Antara told that Massiana did. Then the teacher called Massiana’s parents and told them that their daughter Massiana did like this. And she also told that she scolded her and told that Antara told the truth. All this talking was not inside the classroom, it was inside the office room. So Massiana didn’t know this. But Antara heard this thing. But she didn’t tell to her mother. Hearing everything Antara’s mother consoled Massiana’s mother who was very upset about her daughter’s behaviour and said, “Everything will be alright, don’t worry dear.” After Antara and her mother left their house, Massiana came out and said, “Mommy, I broke the blackboard in my school and my teacher scolded me. Why did she scold me? I have done the correct thing.” Her mother said “Massi, don’t do like this! She scolded you because you broke the board. You are incorrect!” Massiana was red with anger. One more story about Massiana is there. She did more and more things like this before the second incident. Antara learned Bharatnatyam and Massiana learned Belly dance. After hearing that Antara is learning Bharatanatyam, Massiana’s parents gave her to Antara’s dance class. Only on Saturdays they went to their dance class. Antara practised much. So, her mother didn’t have to say anything for her practice. So, she did the correct thing in her class. But Massiana didn’t practise much. Sometimes, she wouldn’t practise. Or if her mother said anything about her dance, like, “why don’t you practise your dance?” Then she would practice a little. So, she would get scolding from her teacher. But she will not mind the punishment, but also, she will not practise it. One day, when everyone was present in class, the teacher said, “Everyone listen to me carefully. On March 26, you will have your final exam. So, start preparing nicely. There is also first, second and third.” Now,
Anjali
www.batj.org
A Tale of Two Girls
everyone’s face was sad. And Massiana was close to tears. But Antara was happy for she has to practise more and more. So, on that day the teacher just revised the things that they learned. Massiana couldn’t do anything. But Antara did everything. Then after class they went home. Everyone told to their parents that they have exam on March 26. Massiana and Antara also told to their parents. For the exam, the teacher gave a holiday for 15 days. So, everyone started practicing. Antara also practised much. But Massiana didn’t even practise a little. She just played and played and finished the whole holiday. Her parents didn’t say anything as they were fed up of their daughter. Finally, the day of the exam came. So, they went to their class. There was an external teacher. Then the exam started. One by one the girls went, gave their exam and went away. When it was Massiana’s turn, she couldn’t do a little and told that “I don’t know” in every question. But when it was Antara’s turn, she could do everything. She didn’t have to say, I don’t know. Then the exam was finished. Everyone’s parents asked their children how they did in their exam. Massiana challenged
www.batj.org
to her parents that she will get 100 out of 100 and told that she did all the questions correctly. Think, how she is telling lies to her parents! And Antara said that she did. Then the teacher announced that the result will be published on 15th April. During this time Massiana’s wrongdoings and misbehaviour were becoming worsen. Then the most awaiting day came. So, everyone was eagerly waiting to know their result. The teacher announced that, “Antara has got 100 out of 100. Nandana has got 82 out of 100…and Massiana got very poor marks.” When Massiana heard this, she got sad and ashamed. She thought that, “Always my parents would say about my dance, but I didn’t listen to them. I just spent my holidays by playing. Now I can understand that what parents say is for our good only.” Then she tried to improve herself and Massiana and Antara were the best girls in their school and they became bosom friends to each other. So friends, what we can learn from this story? We should always obey to our parents and teachers, listen their words. Whatever they tell is only for our well-being. They are our true well-wishers. Thank you!
Durga Puja 2021
103
Joypolis With My Sister - Soham Kundu, Grade III
T
his year my sister is going to university so I will miss her very much. I like to roam around with her. In my summer break, me and my sister went to Joypolis alone. We went there by riding on two trains, and a monorail. From the first train, we had to go from Funabori to Morishita then the second train, from Morishita to Shiodome to go to the monorail station. Then ride on monorail from Shiodome to Odaiba to go to Joypolis. I went inside and saw roller coasters, and halfpipe. I saw even more rides. The first ride I went to was Wild Jungle Brothers. It was so realistic and brought back one memory. It was when I went to JoyPolis in 2017. I also went on the scariest ride. Well it was not ghost scary, but it was nerve wracking scary and I almost felt like I was falling. After that I ate lunch. During lunch I ate udon because I like Japanese food. After eating lunch we went to Storm-G. The ride was rolling so we went upside down. Then we went to an upside down roller coaster and it was not that scary.
We then went to a haunted house. There we had to get inside a box and there was a scary woman banging on the door. The box rotated and came back to normal and when the guy opened the door I fell out of the box and onto the ground. After that we went to get ice cream and we saw a picture from when Michael Jackson came to Joypolis. At last we went outside JoyPolis and lost our way to the station. After a while we then found the train station and then went home. It was much more fun than any other trip. I can’t wait for our next trip the next time she comes back from university.
104
Anjali
www.batj.org
Big Joint Family - Anushka Mohanty, Grade VIII
M
any might say that having a big family is inconvenient. It might be at times, but it brings more joy rather than inconvenience. I am a person who has eleven cousins, and they are anything but problematic. They’re the reason why I am always excited to go to India and disappointed that I cannot go this year(due to COVID). Despite being one of the youngest and the only person who speaks khandi Odia, I have never felt excluded or left out. In fact I feel more loved, as the first time they actually heard me speak proper language, they found my English accent quite fascinating. One of the most exciting memories I have had with my cousins, comes from my father’s side of the family. I was quite young at the time, but I remember that it was extremely fun and I remember it till this day. I was around 5 or 6, me and my cousins had colored powder and pichkari. Although my aim back then would have been really bad, I was still able to get hits at my cousin with the colored powder. At the end of the day, all 8 of my cousins on my father’s side of the family were covered with color and brightness. We even have a picture
Another thing that we used to do (and still do) was watching horror films. My mom’s side of the family are big horror fanatics, and we would watch at least 3 to 4 horror films at my grandmother’s house. However, when I first started watching with my mom and uncle, I was tremendously scared. 8-year-old Anushka’s mind could not comprehend the amount of ghost scenes there were in the movie and I even got nightmares at times. In fact, everytime I would visit their house, I kept on telling myself not to watch those films, but they were too engrossing. Over time, I grew fondness for these movies, and watch them even at home, since I have unlimited access to movies (Thank you, Netflix.) Because of me watching these movies, I became more fearless and have developed an understanding that ghosts are just a fantasy. Consequently, I became a stronger person overall. There are things that I do miss though. For example, on my mother’s side of the family, I only had one cousin visiting my grandmother’s house, and she played with my little sister. So to entertain myself over there, my mother went next door and knocked asking if there were any children that I could play with. We found out there actually were, and I have been friends with them till this day. I truly do miss them. Another example is my grandmother’s house on my father’s side of the family. Their house is located in a place called Geulta, which is a village and because it was a village, there was a lot of openness. Me and my cousins took advantage of this openness, by setting up a badminton net. My father bought a net at a store, we put it up, and we played. It was so fun playing there, and we even had teams. However, when we were playing badminton, somehow, my older cousin always seemed to hit the cork in my eye, which was a painful experience. Even though I was hit by a cork, scared of watching horror movies, and having the talent of always mixing up Odia vocabulary, these moments were one of the happiest I have had. So in conclusion, big families are the one of the greatest things created by the God. However, don’t let this discourage you. Families come in all shapes and sizes, so even if you have a small family, I can guarantee there are moments that you treasure. We as the Odissa Community are one of the biggest families here, and also to add, the most fun.
www.batj.org
Durga Puja 2021
105
Think Before You Act: The Truth Triumphs - Arnab Karmokar, Grade IX “Luca Harrison!” My teacher, Mr. Allen, announced it out loud. Our teacher was returning the results for the summative test we took last week, and I was terrified. I didn’t study for it at all, and I knew that I would get a horrific grade. I was sweating, and my stomach felt unusually odd. I stood up, took a deep breath, and gradually stepped forward to the front of the class. I didn’t need to look back at my classmates; I felt the intense beam of eyes looking directly at me. I looked down and closed my eyes.
After school, I hopped on the bus and headed home. During the bus ride, I was thinking about my mom and dad’s faces when I showed them my test result; 89/100. I kept replaying this imaginary moment inside my head; I felt like experiencing some grand event. Whenever I was returning home with a test, I usually felt anxious, scared to show my results to my parents. I typically assured myself during these situations that I would study from then on, but today, these thoughts were unnecessary.
Mr. Allen handed the paper into my palms and heard him sigh. The sigh sounded like a warning from him as if he told me, be careful, ’cause your parents will not be proud looking at the test. Mr. Allen then called for the next student, and I quickly scampered back to my seat. I opened up my results, and began to panic. I got a score of 32/100. As the other kids got up to get their results, it appeared as if time slowed down second by second, trying to comprehend the dreadful fact.
As soon as I got off the bus, I went into my house and ran up to my room. My parents would be back in the evening, so I decided to call my cousin, Douglas, to tell him about this excitement.
The next thing I knew, the bell rang, and it was time for my next class. I headed out into the hallway and ran into Dondré, one of my closest friends.
“Hey, how are you doing?” He asked me.
“Don’t even get me started; I had one of the worst mornings today,” I explained and sighed in disbelief. “You got your test results, didn’t you,” Dondré looked at me, concerned. “What score did you get this time?” I was too ashamed to say my score out loud, so I showed my paper to him. I saw his eyes widen and saw them close. “Are you serious?” he asked me. I shrugged and insisted I had given up the optimism. I decided to ask him for his grade, trying to change the topic. Even though he was the closest of friends to me, I really wanted him to have a miserable score, just to have something to relate to with him. Dondré took his paper out of his bag, and I immediately saw the score; 89/100. “My parents will be disappointed,” he uttered and sighed in disbelief. “What on earth are you talking about?” I said with a hint of jealousy. “If I got that score, my parents would put that test inside of a plaque. Man, I wish I got a score that high.” “My parents are the opposite. Like, the other day for my English assignment, I got an A.”
“That’s really good!” I exclaimed.
“Not according to my parents. They asked me why I wasn’t able to get an A+, a higher score. You know, I want to get a bad score, and just see my parents’ reaction, and maybe they will start to appreciate the scores.” Suddenly, an idea popped inside my head, and I looked at Dondré, and we both locked eyes. I was 100% sure we were thinking of the same thing.
“Hey, what’s up?” My cousin picked up the phone.
“Yeah, guess what happened at school today,” I exclaimed. “What, you failed your test again?” He said sarcastically and laughed. My cousin is gruff at times, but he fools around and is a cool guy for the most part. “No, I switched test papers with my friend from school, and I’m going to show them that I got a good grade on it,” I boasted. “Genius, right?”
“Are you serious right now?”
“Yeah, of course I’m serious,” I reassured myself.
“Don’t do it,” Douglass told me with a severe tone.
“What are you talking about? They’ll be happy! That’s what I want, right?” I questioned his statement. “I don’t think so. I would much rather have my parents look at a score that’s worse than having to cheat my way into showing them a good score. I wouldn’t do such a thing; it just seems downright unfair. Once you cheat your way into something, you’re going to keep doing it and I know for sure you’re going to regret it.” My parents were working at an online shopping company and recently had been very busy because their company was growing at an incredible rate. My parents typically come home when I’m about to go to bed and don’t have the time for me. When I was little, my parents were always there for me, and now, the parent-son bond has definitely decreased since then. “I’m not going to regret it; I know it. My parents don’t care for me. All they care about is their work. And not only do they not care for me, but they get mad at me for useless reasons. When I was little, my parents used to help me out whenever I got a bad grade, and nowadays, they’re scolding me a tremendous amount. Now, I’m going to make sure that doesn’t happen by showing them a fake score.” I heard Douglas sighing from the other side, and then he carried on. “I’m pretty sure they care about you. It’s not their fault they’ve not been able to look after you as much as they used to. Why you may ask? Well, it’s because of their jobs. You’ve told me last time that they come home late nowadays. If they come home late, then of course there’s nothing they can do to care for you. They’re stressed out, and that’s why they get mad at you quickly. And the fact that you are trying to trick them by showing them a fake score is just like putting oil on fire; the situation will get out of control.”
“Let’s switch our papers!” We both yelled at the same time. Other students around us were startled by our enthusiasm, and they stopped to look at us strangely as they continued to walk. We began to laugh and high-fived each other. We switched our names on our paper and rewrote some of the answers to the problems to make it look highly believable. We then put our new tests inside our bags, highfived again, and started to head for our respective classes. I thought I would win massively in this deal; however, this would I couldn’t believe what I was hearing from him. At become one of the most stupid things I’ve done. that moment, for some reason, I felt rage, and my ears started 106 www.batj.org Anjali
Think Before You Act: The Truth Triumphs to heat a little. “What do you know about things like this,” I yelled into the microphone and hung up. To take my mind off of things, I decided to lay down. Before I knew it, I dozed off into a very deep and long nap. “Hey buddy, I’m home,” I heard a voice. I quickly woke up and looked to the next of me; it was my dad. “Work finished early today for your mother and I, so we thought of going out for dinner. Want to come?” “Wait really?” I gasped in excitement. It had been ages since we had gone outside to eat. We have never had the opportunity to go out as a family lately. “Yes, really,” My dad laughed. “Your mother and I have been noticing that we hadn’t had the time to hang around with you, and that’s why we decided to leave the office earlier today, and go out.” I nodded immediately, and then we got into the car and went onto the road. As soon as I got into the car, Mom turned around.
“We’re very sorry, Luca. Your father and I have been very busy, and it’s not that we have overlooked you, believe me, but it’s just that work has been very pressurizing, and I feel like we get angry at you at times for issues that aren’t a big deal. Again, we’re sorry.” I looked at her, smiled, and then got back into my thoughts. I’ve been thinking all along that my parents have ignored me and not cared for me, but I was wrong. In reality,
www.batj.org
my parents cared for me, but they didn’t have the time and opportunity to act upon it because of their jobs. Not only that, but they often got angry at me because of the stress they got through work. I felt that my parents were the ones guilty all this time, but it was just me. And here I was, trying to fake my score to trick them into being happy. My cousin was right about this. Trying to get revenge on something they did that they didn’t have control over was utterly stupid. The longer I thought about this, the worse I felt about myself. I couldn’t believe what had gotten into me. In the midst of all of this, tears started to form in my eyes, and then came the waterworks. My parents turned around, surprised at the fact that my eyes were genuinely balling out. “Is everything okay?” they asked. I revealed the whole plan that I had and explained my ignorance. “I’m so sorry about what I’ve been thinking. I feel so bad assuming about your life, when in reality, you guys are the ones innocent from the get go. I feel so bad about myself.”
My parents stopped the car and came to the back seat, where I was seated. “Thanks for telling us,” My dad said. “Yes, thanks for telling us before you did, and taking your actions back, because that shows that you thought before you act, and that is one of the most beautiful skillsets to have,” my mom continued. My parents hugged me, and at that moment, I really felt loved.
Durga Puja 2021
107
The Haunted Park - Shankhin Sen, Grade IX
T
he Park had been there for many years. With its overgrowing weeds and parasitic insects, amphibians I don’t know whether ‘park’ is the right word to describe it. I recently found out the history of it and wouldn’t dare to go there again after my experience. It’s been a year and I have a vague memory of it, but I think I can relate my story since it was my very first experience of the supernatural.
It was the middle of May and the summer vacation had just started. I and my little brother (Chloe) decided to venture about our new home since we had just shifted here. We explored some new places, met some neighbors (All of them were nice except for one lady who grumbled at the sight of us “More kids, more chaos”) We even discovered a nice, spacious park which seemed ideal for outdoor sports. There was a nice swing on which Chloe sat the minute he saw it. The Park also had monkey bars on which I climbed although it was short for me and I had trouble hanging from it. After climbing on the monkey bars for the billionth time I just lay down to rest. It was kind of peaceful, watching my little brother swinging while laying down in the cool breeze. I checked my watch, the LED screen displayed 11 AM. We still had a few minutes after which we would return home to help unpack. “You seem to enjoy yourself.” A voice spoke out.
I sort of jumped. It’s frightening when you hear something close to you while you are sleeping carelessly. At first, I saw Chloe, beside whom sat a little boy he was speaking to, then I observed a hand right beside me. I was taken aback and I backed off. But then the person to which the hand belonged started laughing. “I’m sorry to interrupt your sleep, you can continue.” The speaker was a girl, about my age with deep blue eyes and blonde hair. She had a pretty facial complexion and wore a white dress. She looked like the people from the 90s because her dress code was a little bizarre. But what intrigued me was that stealthy. It seemed impossible that she could creep so close to me without me even noticing her. Before I could think about it, she started speaking. “You seem new here, just shifted?” She asked “Umm… Yes, but I don’t remember you seeing when we had an introduction with the neighbors.” “I don’t live here. My home is far away from this place, I come here because it’s nice and quiet over here.” “Oh,” I didn’t know what else to say so I just talked about the park “This place seems nice, I wonder why no one comes here.” Her expression stiffened “This Park has been dilapidated due to neglect, This park once was the grand area. Fests, events everything happened here. But with the construction of malls and arcades, no one remembers it. Everyone is busy living a modern lifestyle.” The park hadn’t incurred any damage so I didn’t know what she was talking about, but I didn’t ask anything about it because I realized that topic made her sad. We sat there for hours chatting about people, food, and culture. Chloe was enjoying himself too, playing with his new friend and swinging with him. That’s when I realized something was wrong. The swings were swinging at full speed even though no one was pushing them and I didn’t feel any kind of strong wind that push the swings so hard. My eyes then fell on my watch, it was 11 AM! There had been no change in time since we first got here. I Panicked. How could it be? What was it? I didn’t think about anything after that. I ran up to Chloe, grabbed his wrist, and started pulling him out. I heard the girl asking “What happened?” but I didn’t stop. Chloe wriggled and protested but I held on. The moment we stepped outside the sky changed from blue to a gradient of yellowish red and deep blue and behind us was the park only older and battered down now, with a rusted, fallen in monkey bars and a pair of swings whose both chains had fallen, and the girl and boy where nowhere to be seen. After a lot of questioning, we got to know that the park had been closed for more than 30 years. It was even rumored to be haunted by a girl on whom a tall pole fell during an event. I stayed in my room after that. But at night, every time I lay down, I hear that girl talking in a sweet, appealing manner, inviting me to the park where we could talk for eternity and watch our little siblings play.
108
Anjali
www.batj.org
Undefined - Neetra Chakraborty, Grade IX The world seems to think we’re coloring books, and our genders are the lines. All through our lives we’re expected to obey and color inside. Only little girls get to color a skirt, (hopefully they choose pink), But a boy? That’s going out the lines! What would people think? Turn the page, what to color next? Emma gets to shade in barbie dolls. Little Jacob on the other hand, colors in cars and soccer balls. A flutter of paper and now they’re teens, with nothing but love on their minds. The boys paint pretty blushing girls, and the girls color handsome guys. A fresh new page and they’ve settled down, the father and mother in a perfect home, and they have young, picture perfect kids now with coloring books of their own. A million people coloring in the lines, this loop goes on forever, you see. The lines set the rules for us and control who we get to love and be. But hear me out, don’t be afraid, to color outside these weak little lines. Dare to splash with paint and vibrant hues. Who you are, only you can define. And though the world may say we’re coloring books, And we must color inside the lines, The truth is we’re all a wide, blank canvas, And the brush is yours and mine
www.batj.org
Durga Puja 2021
109
The Meditation with a Paintbrush - Ashmita Paul, Grade IX I A millennium ago, in the place of Mongol, Came to this earth, the script of Mongol. The connection of each stroke carved to the stone, Written by the ancients, which stood there alone. That, my friend, is called the “Stone Encryption of Genius”, Engraved in 1224, which seemed spontaneous. But hidden in the world of this chirography, Was a culture that would be instinctive, Mongolian calligraphy. Head, tooth, stem, stomach, bow and tail, The six main strokes of the letters to the last detail. Formed the basis of the Greek and Latin alphabets, Expressed ancient culture and the future ahead. Titles of nobles written widely with this handwriting, The graceful patterns of the letters running. Taught in schools and separate classes, Until young calligraphers master in five to eight years. As centuries pass by day after day, The art of the Mongols washes them away. To a place very far away, Where their dictionary excludes the word “dismay”. Peace with a Man’s hand and their paintbrush, Curves and edges drawn like America’s sagebrush. The texture and the thickness of the ink, black as a raven, The strokes and lines, of the letters even. II A millennium later, in the 21st century, Young calligraphers dropped rapidly. When there were hundreds of middle-aged scholars training, Decreased to the second prime number, the shortage gaining. As developments across the world power up, The inverse effect occurs to the Ancients’ club. Who would know that today’s daily lives, Side-effect the art that help Mongols survive. Urbanization, globalization, 110
Anjali
www.batj.org
The Meditation with a Paintbrush
The heart of the script suffering through contamination. Through the advancing year of 2013, When an acute shortage spread, aggressively extreme. Chinese took over Mongolian scripts, took over education, In the province of Southern Mongolia, for cultural degradation. Even the determination of the Mongols’ opposition, Won’t put a scar to the declaration.
III The only available social media app in China, Encountered proposals of urgent actions which could cause phenomena. The attacks of this calligraphy increase worldwide, For it is pure cultural genocide. The sound of the Mongols’ cries of agony, The protests and strikes out of cultural tragedy. They say, “Please don’t take our culture away, For our identity will be taken away”. The script lay in the Mongols’ hearts for a thousand years, It taught them the history and their discipline manners. Their own lives dedicated to their culture, Their own futures and their own structures. Their worships to this holy calligraphy, Their peace and opinions of philosophy. Their original culture of handwriting in their own cocoon, Will all be gone soon. People in the past shown us, for a holy time, That solutions to issues turns the clock around, how sublime. They include plans, strategies and contribution, For a single person can start a foundation. Let us all join hands and fight for delight, The delight of the art which holds originality day and night. Battle the wave of the shortage gush, Because Mongolian calligraphy is known as, “The Meditation with a Paintbrush”.
www.batj.org
Durga Puja 2021
111
Dinosaur Land by Shreyansh Kar, 5 Yrs old
112
Tree of Life by Ritisha Verma, Grade I
Anjali
Shiv Shankar by Shounak Das, Grade III
Indira From India by Sasha, 6 Yrs old
Farm house by Aarohi Kundu, 6 Yrs old
Durga Puja 2021
Shades of Sea-Where I want to be by Ashmika Ghosh, Grade II
Sakura and Mt. Fuji by Shonayaa Verma, Grade IV
Effect of Pollution by Tosani Ghosh, Grade IV
Anjali
Hope by Zinniya Dhar, Grade VI
Starry Night (inspired by Van Gogh)
Painting by Rohan Dasgupta, 7 yrs old
Vikingboat Akarsh Ryo Kundu, 9 Yrs old
Durga Puja 2021
Glory of Spring by Ananya Chandra, Grade V
Buddha by Geet Purkait, 14 Yrs old
116
Anjali
Harry Potter by Advika Ghosh, Grade IV
The Lonesome Samurai
Painting by Abheek Dutta, Grade VII
www.batj.org
Durga and Ganesh by Souhardya Kar, 14 Yrs old
117
New Born
Neal Ghosh Sharma, son of Sanchita (Tiya) and Sharang
Photography
Divine Color by Krishna Das
Save the Bees by Sanjib Chanda
yhpargotohP
www.batj.org
New beginnings-photograph taken at a small shrine in Kamakura by Snehashish Dutta
The Sunset, Glorifying the Evening Canvas by Aparna Karmokar
Cherry Blossom near Embassy of India at Tokyo, by Sakshi Kumar
Silhouetted Sunset by Sneha Kundu
Serene Autumn by Sudeb Chattopadhyay
s t r
A
Maa Durga by Sushmita Pal
Lotus - Chinese Gongbi style by Bhaswati Ghosh
A flower-adorned Stairway by Juhi Verma
Wherever Life Plants You, Bloom by Kavya Sharma
Love - Madhubani drawing by Supriti Guria
Depths - Mixed media on canvas by Sanchita Ghosh
Bhowken Cloud by Kenta Bhowmik (Sumit)
A Night Cityscape in Pink and Purple by Debkanya Sengupta
Satyajit Ray by Aurobindo Kundu
126
Peace - Nihonga Art on Douhaku/ Copper foil by Meeta Chanda
Anjali
www.batj.org
End of Another Day by Mimi Banerjee
www.batj.org
Durga Puja 2021
বিপদে ম�োরে রক্ষা কর�ো এ নহে ম�োর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয় The Voice of Heart by Sukrishna Ishii
A Tribute to my Dad - Sayantani Dasgupta
Mr. Arun Kumar Sarkar (1946-2021) You have traversed the Globe, hundreds of cities and countless roads With grace and dignity, you have left for your heavenly abode Life big but not long, a life of selfless giving Showed me the path to a joyous life worth living You have fought with the dragons, danced with the Maori tribes A son, A brother, A father, A grandpa, a patriot, an employee that imbibed positive vibes I would like to live like you Bapi: joyously, selflessly, happily No regret, no remorse or fear You have united in heaven with my mother Am waiting to meet you there!!
128
Anjali
www.batj.org
Tribute to Mr. Motoyoshi Noro
(Former Consul General of Japan, Kolkata, India) - Rika Sasaki I regret to inform you that Mr. Motoyoshi Noro passed away with cancer on Feb. 5, 2021 at his age of 73. On that day, he was awarded “the Grand Cordon of Order of the Sacred Treasure” by Japanese Government. The funeral ceremony was held by only his family at his house on Feb.11. I would like to extend my sincere condolences to his family on the occasion of that. I pray for the peaceful repose of his soul in heaven. Mr. Noro is a man of Justice and he had contributed to Youth Development. In tribute to the memory of Mr. Noro, I would like to introduce his career graph, awards and publications following as below: so that you can get to know how much he had contributed to a relationship between India and Japan. CAREER GRAPH : Mr. Motoyoshi Noro was born on 5 March, 1947 at Mie in Japan. He graduated in Law from Keio University (B.A.) in Japan in 1971. From 1972 to 1974, he studied in Viswa Bharati and Jadavpur University in India. He also studied at the Post Graduate Centre of CUNY in New York from 1997 to 2000. Mr. Noro joined the Ministry of Foreign Affairs(MOFA) in 1971. From 1974 to 2008, he had served in the position of Vice Consul, Third Secretary, Second Secretary, First Secretary, Counsellor and Deputy Head of Mission in place like New Delhi in India, Dhaka in Bangladesh, Singapore, Ghana and Ethiopia. In 1997, he was seconded as Special Advisor to UNDP, New York. He became Consul General of Japan, Kolkata, India in March 2007 and Ambassador of Japan for the Republic of Malawi, Africa in July 2008. After he retired from Foreign Service of Japan in 2010, he was appointed as visiting professor both at Viswa Bharati in July 2011 and at Rabindra Bharati University, March in 2012 Kolkata, India. AWARD : He was awarded with International Michael Madhusudan Award in 2008. He had been “a Goodwill Ambassador”. “The Grand Cordon of Order of the Sacred Treasure” in 2021 PUBLICATION : He has written two books entitled ‘Eternal Bond : India and Japan’ in 2008 and ‘Eternal Friendship : Malawi and Japan’ in 2010. I would like to introduce a part of ‘Eternal Bond : India and Japan’ as follows : “Gurudev Rabindranath Tagore, through his literary works, always conveyed the message of Oneness with the Universe, Mother Nature, and human life. Therefore, India has a significant responsibility to guide the world towards a harmonious unity of humankind – not only from the perspectives of politics, economics and culture, but also from the perspectives of spirituality. I hope that India can reach the grand champion level, what is known as Yokozuna in Japan, by working hard to address the problem of climate change and creating a balance between development and environmental conservation. I firmly believe that India is capable of this endeavor. My sisters, brothers and friends in India, I would like to just end by quoting famous words by the Great Saint of Japan,
‘Winter always turns to Spring,
Never, from ancient times on, has anyone heard or seen of
Winter turning back to Autumn.’
I think that those who have most suffered in life hold the privilege of enjoying the greatest happiness in life. 日蓮大聖人の御書の一節「冬は必ず春となる」- つまり、どんなつらいこと(冬)も必ず乗り越えて解決できる(春となる)。冬がいつ までも冬のままであることはない、また冬が秋に戻ることもない。 人生で最もつらい経験をした者は、その人生において最も多大な幸福を享受する恩恵がある、と私は感じる。 I am confident that a new age for India and Japan has begun. Thank you.” www.batj.org
Durga Puja 2021
129
BENGALI ASSOCIATION OF TOKYO, JAPAN (BATJ) STATEMENT OF ACCOUNT FOR 2020-2021 INCOME
ITEM Opening Balance on Aug 23 2020 (from 2019-2020) • In bank a/c • Cash in hand
Collection by Subscriptions, Pronami, advertisements in Anjali etc.
TOTAL
EXPENDITURE
AMOUNT ITEM Yen 1,106,830 Expenses for Durga Puja and Anjali Magazine, Bijoya Sammelani, Saraswati Puja, Break upRabindra Jayanti, Poila Boisakh, Yen 560,638 Storage of Durga Pratima, AJAI Yen 546,192 Membership fees etc.
AMOUNT Yen 783,912
Yen 837,838
Yen 1,160,756
Closing balance on Aug 22, 2021 (carried forward to 2021-2022) • In bank a/c • Cash in hand
Yen 1,944,668
TOTAL
Break upYen 506,481 Yen 654,275 Yen 1,944,668
ANJALI EDITORIAL TEAM
130
Anjali
www.batj.org
SINCERE THANKS from
Bengali Association Of Tokyo, Japan www.batj.org For assistance on the occasion of Durga Puja on October 24, 2020 - Mr. and Mrs. Ranjan Das for providing fruits and sweets for the Puja - Mr. and Mrs. Partha Kumar for providing sweets for the Puja - Mr. and Mrs. Biswanath Paul for providing dry fruits and nuts for the Puja - Mr. and Mrs. Prabit Patra for providing flower bouquets for Pratima decoration - Mr. and Mrs. Neelesh Pimprikar for providing sweets for the Puja - Mr. and Mrs. Abhishek Ghosh for providing NamKeens and loose flowers for the Puja - Mr. and Mrs. Debraj Chandra for providing sweets for the Puja - Mr. and Mrs. Punit Tyagi for providing sweets for the Puja - Mr. and Mrs. Sanjib Chanda for providing decoration items for Pratima and Stage For assistance on the occasion of Saraswati Puja on February 20, 2021 - Mr. and Mrs. Biswanath Paul for providing dry fruits and sweets for the Puja - Mr. and Mrs. Krishana Das for providing fresh fruits for the Puja - Mr. and Mrs. Abhishek Ghosh for providing flowers for the Puja - Mr. and Mrs. Mayukh Dutta for providing decoration items for Pratima and Stage 132
Anjali
www.batj.org
www.batj.org
Durga Puja 2021
133
ASPIRE FOR EXCELLENECE
For details: contactus@kis-kawasaki.jp
NEAREAST STATION: JR KAWASAKI STATION With you since 2009
Creative Thinking
1. NURSERY EDUCATION AT OIWAKE CAMPUS 2. ELEMENTARY EDUCATION AT OSHIMA CAMPUS
http://www.kis-kawasaki.jp TEL: 044-211-6545
Confidence
Learning
Physical Education
MOTI AKASAKA Wishes A Very Happy Durga Puja
MOTI AKASAKA, Near T.B.S 2-14-31-3F Akasaka, Minato-ku, Tokyo TEL (03) 3584-6640, 6649
TRY OUR SOUTH INDIAN SPECIALITIES
DELHI HEIGHTS
(A Branch of Moti Akasaka)
144
Anjali
www.batj.org
www.batj.org
Durga Puja 2021
145
146
Anjali
www.batj.org
www.batj.org
Durga Puja 2021
147
148
Anjali
www.batj.org
https://www.boijapan.com