Milon final4

Page 1

edition

SPECIAL BAS DIAMOND JUBILEE ISSUE

Best Moment of The Year 1956-2016

Quisque vestibulum amet perdiet ipsum lacus molestie vestibulum amet molestie scelerisque eni perdiet ipsum lacus molestie.

OCTOBER 2016


www.sbccwomen.com

General Gynaecology

Management of Women’s Health, Menstrual Disorders, Infertility, Menopause, Pelvi-abdominal Masses, Contraception and Family Planning, Pelvic Ultrasound, Gynaecological Cancer Screening, HPV Vaccination

General Obstetrics

Antenatal Care and Packages, Prenatal Health Screening, Obstetric Ultrasound (2D & 3D), Delivery, Postnatal Care, Cord Blood Banking

Dr Kanika has over 20 years experience in the field of Obstetrics and Gynaecology. Majority of her training has been in National University Hospital, Singapore. She completed her advanced specialist training under Joint Committee of Specialist Training, Academy of Medicine, Singapore. Apart from being a member of the Royal College of Obstetricians and Gynaecologists in UK, she is also a Fellow of Academy of Medicine, Singapore. Dr Kanika is a registered Colposcopist with ‘The Society for Colposcopy & Cervical Pathology of Singapore’. She is an MBBS from Medical College, Calcutta.

2 | মিলনMILON | october 2016


FROM THE MILON 2016 TEAM

BAS: The Diamond Jubilee Year

W

ith every passing year the quality and variety of contributions to Milon is improving by leaps and bounds. On this Diamond Jubilee year of the foundation of Bengali Association Singapore we have tried to make Milon better than anything that has been seen before.

well as to hear from them on their vision of the way forward for BAS. This section is also well embellished with pictures from the past to give the reader an impression of how BAS events looked like in the past.

We have been immensely impressed by the contributions for the Arts section. That section looks nothing less than a world class art gallery with such variety of contributions starting from simple pencil sketches to the most Best Moment advanced of oil and of The Year acrylic on canvas to the vanishing art of Batik painting. edition

SPECIAL BAS DIAMOND JUBILEE ISSUE

The magazine is arranged in five distinct sections. It starts with a recap of all the events from Durga Puja 2015 to the most recent performance of Rajdarshan. Going by the saying “a picture is worth a thousand words” we have tried to express more through pictures than words for the Year in Retrospect section. One of the notable features this year is that members have participated in large numbers and therefore to showcase the true spirit of participation and inclusiveness of BAS we have tried to give as many pictures possible to show all participants.

OCTOBER 2016

1956-2016

Quisque vestibulum amet perdiet ipsum lacus molestie vestibulum amet molestie scelerisque eni perdiet ipsum lacus molestie.

On this Diamond Jubilee year we have created a special section BAS60 in which we have spoken to various long term members including past Presidents to learn from them about the history and evolution of BAS as

For both the Bengali and English sections we have wide variety of contributions from essays to short stories to poetry to travelogue and much more. And how can a magazine for Bengalis and by Bengalis be complete without food? So for your culinary pleasure we have recipes for some mouthwatering delicacies. In conclusion we wish all readers a happy and memorable Durga Puja and wonderful year ahead. Sharod Shubhechha o Abhinandan.

BAS PRESIDENT & CHIEF PATRON Debashis Tarafdar BAS MANAGEMENT COMMITTEE Koushik Kundu, Vice President Debanjan Bagchi, Hon. Secretary Manoj Dey, Hon. Treasurer Sudeshna Chatterjee Biswaroop Som Prasun Saha THE MILON TEAM Bangla Editor Chaitali Tarafdar Saswati Das English Editor Mousumi Banerjee Bhaswati Bhawal Gon Sushmita Chatterjee Overall Design and Layout Samyajit Chaudhuri Co-ordination Debanjan Bagchi Koushik Kundu Photographers Somnath Das, Partha Ray,Mithu Chakraborti,Gargi Mazumdar, Pradip Mandal, Koushik Kundu, Shilpa Chatterjee, Paromita Rakshit, Sudeshna Dasgupta, Pratik Mukherjee, Arnab Bhattacharya Address SINDA Building 1, Beatty Road Singapore 209943 mc@bas.sg www.bas.sg COPYRIGHT Milon Magazine is published for the exclusive use and benefit of BAS members and their families. Unless BAS provides prior written consent, no part of Milon Magazine can be reproduced, distributed or communicated to any third party. BAS does not accept any liability if Milon is used for alternative purpose from which it is intended, nor to any third party in any respect. All contributions to Milon 2016 are original works by the author and the author selfcertifies that the work submitted is original in form and content and bears no resemblance to any published work. The author also agrees to indemnify and hold BAS harmless against any claims that may be raised for violations of copyright, trademark etc. 111/09/2016

মিলনMILON | october 2016 | 3


edition

SPECIAL BAS DIAMOND JUBILEE ISSUE

Contents OCTOBER 2016

7 EDITORIAL 82 IN CONVERSATION Debashis Tarafdar, President 84 IN MEMORY: Bibhasda 86 THE WORLD OF ART 186 TAILPIECE: Meet the MC BAS60 SPECIAL FEATURE 68 Shaat Bochhorer Goppo Koushik Kundu 69 Shekharda Arpitadi Phunuda Tuludi Debanjan Bagchi 72 Kamalda Chaitali Tarafdar 74 Madhuchhandadi, Abhijit Aaheli Tarafdar 76 Nan-da, Debajit Aroti Chakravarty 80

year IN RETROSPECT 10 Saraswati Pujo 12 Republic Day Celebrations 13 Indian Cultural Festival 14 Chingay Parade 16 Village Festival 18 HOLI 20 Sangramam 22 Borshoboron: Kheerer Putul 22 Naari 26 Kalyaniya Holmes 23

31 Samarpan 32 Bongo Sanskriti Utsab: Aditi Dipan Durnibar 32 Chanrabindoo 34 Scrapbook 36

38 Chandrabindoo Live! 40 Ek Sundor Swarnali Sandhya Abhimanini Radha 40 Bhushundir Mathey 42 Aditya 44

48 BAS Bazzar 50 Deepavali Light Ceremony 51 With Moldovan Delegates 52 Raktakarabi 54 Natok: Rajdarshan 56 Durga Puja 2015

সাহিত্য ২০১৬ ১১৬ মনত�োষ রায়

আমার পুজ�ো .... তখন

১১৮ দিলীপ ঘ�োষ নির্বেদ

১২৬ পম্পা ঘ�োষ স্বপ্নপূ রণ

১৩১ কল্যাণ মুখুটি আতঙ্ক

১৩২ আঞ্জলি ঘটক আমি ঊলু পী

১৩৩ ভাস্বতী ভাওয়াল গন ভালবাসার পুজ�ো

১৩৪ সমর্পিতা ভ�ৌমিক বিশ্বাস ‘শিউলি শরৎ

১৩৫ রূপসী মিত্র দু গ্গায়না

১৩৬ কৃষ্ণা গুপ্ত স্মৃতিচারণ

১৩৮ সু নীল কুমার সাহা কথার কেরামতি সম্পর্কই সম্পদ

১৪১ সু হৃদ দেবশর্মা আসছে পুজ�ো

১৪২ শাশ্বতী সাহা (দাশ) ব�োধন

১৪৪ স্নিগ্ধা রায়

কয়েকটি স্মরণীয় ঘটনা

১৪৬ স্বপ্না মিত্র ভার্চুয়াল

১৪৯ দেবযানী ব�োস বন্ধু হে আমার

GOOD NEWS! 173 PRAHLAD Chakravarty Prahlad in Cambridge

171 4 | মিলনMILON | october 2016

173 Arijit Dasgupta A-Level Achiever

Khirer Putul

22

Best Moment of The Year 1956-2016

Quisque vestibulum amet perdiet ipsum lacus molestie vestibulum amet molestie scelerisque eni perdiet ipsum lacus molestie.

OCTOBER 2016


36

40 দুর্গা পূজ্া 56

২০১৫

THE WORLD OF ART 2016

86

70 WHAT’S COOKING

১৭৯ প্রতিমা সাহা

পাবদার ঝাল, বাদশাহী চিকেন 180 Sudipta Das Malpua & Stuffed Bell Peppers

১৮২ জাভেড়ী মিত্র

সু ইট কর্ণ ঘুগনি, ফুলকপির ভাপে... LITERARY 2016

23

Kalyaniya Holmes

150 KOYENA PAL Can We Achieve An Inclusive And Tolerant Society? 152 Ananya Mukherjee The Revolution 156 Aayudh sen Street Light 156 SHUCHI RAY A Fun Day At The Carnival 157 Anwesha Putatunda Friends 158 Anika Sen Akiko

32

162 BASABI BANERJEE Preserving Primates 168 Ranamita Chakraborty SHAKTI: The plight of Indian Women 172 ANUSHKA RAY In a World of Chaos & Destruction 172 SUDESHNA DHAR Fall 175 Utpalendu Gupta Microwaving Food

26

177 DIPANKAR DASGUPTA Mother’s Love 180 Soumyaditya Choudhuri Thnk Pokemon Go Again 181 SUHRID DEVSHARMA Diamonds Are Forever 182 SHREYA RAY My Friends

When you have disappointment

Flowers

মিলনMILON | october 2016 | 5


সম্পাদকীয় ২০১৬

6 | মিলনMILON | october 2016


সম্পাদকীয় ২০১৬ চৈতালী তরফদার | বাংলা সম্পাদক

মা

দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে...

বলত�ো,‘এখন�ো সূ র্য চন্দ্র ওঠে…’, বলাবাহুল্য, মানু ষকে অন্যায় করতে দেখলে মা’র standard warning এই ভাষাতেই বর্ষিত হত। মুঠিফ�োন তথা social networking এর যু গেও, সামনে ঝাঁ চকচকে ম্যাগাজিন, অথচ হাত এগ�োল না, এমনটা কি হয়? না এমনটা হয় না, বা হতে পারে না। তাই আমি বলি, আজও ম্যাগাজিন আমাদের টানে... আশা করব যতদিন সূ র্য চন্দ্র উঠবে, ততদিন সে তার নিজের দ্যুতিতে অম্লান হয়ে থাকবে। আর থাকবে আমাদের ‘মিলন’ যু গে যু গে কালে কালে। ভাবতে ভাল লাগে, মিলনের সম্পাদনার কাজ করেছি তখনও, যখন সকলে হাতে লিখে বা আজকের ভাষায় hard copy পাঠাত, সব লেখা বসে type করতে হত সম্পাদকের দপ্তরকে। ভাবতে ভাল লাগে ‘মিলন’ শারদীয়ার সম্মানে ভূ ষিতা ২০০২ থেকেই। তার আগে মিলন বার্ষিক পত্রিকা হিসাবেই আমাদের দরজায় কড়া নাড়ত বছরের যে ক�োন�ো সময়েই। ঐতিহাসিক ক্ষণে, ইতিহাস স্মরণের প্রয়াসে আমরা, তাই এই তথ্যের সরবরাহ। ভাবতে ভাল লাগে, মিলনের কাজ করেছি অ্যাস�োসিয়েশনের সু বর্ণ জয়ন্তী বর্ষে এবং এবারে কাজ করছি অত্যন্ত এক গ�ৌরবজনক মুহূর্তে, ২০১৬ বেঙ্গলী অ্যাস�োসিয়েশন সিঙ্গাপুরের হীরক জয়ন্তী বর্ষে। সদ্য ফিরলাম ‘মিলন’ সংক্রান্ত প্রথম মিটিং সেরে। সাম্যজিতের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে পেলাম কিছু প্রয়োজনীয় রসদ, আদানপ্রদান হল ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার। বাড়ী ফিরতেই, সম্পাদকীয়টা কলমের ডগায় যেন নিজে থেকেই উঁকিঝুঁকি দিল, স্বতঃস্ফূর্ততা বুঝি এরেই কয়!! ‘মিলনে’র সাথে মিলনের বাঁধভাঙা আনন্দ... এক দশকের বিচ্ছেদ, নিমেষে নিঃশেষ। ‘বাতাসে আহা কী আনন্দে’র স্পর্শ, মা আসছেন, সিঙ্গাপুরের রুক্ষ প্রকৃতিতে শরৎ বুঝি আমাদের অনু ভূতির দ�োলাতেই আসেন, নাই বা পেলেম শিউলি’র ছ�োঁয়া, চ�োখে নাই বা পড়ল কাশফুলের হিল্লোল, তবুও আজ ঘর্মাক্ত কলেবরে humidity কত check করার সাথে সাথে ভাবাবেগে

ভেসে হিমের পরশ টের পাচ্ছি... মা আসছেন, আমরা আসছি মিলন নিয়ে মিলিত হতে...। বহুবছর আমরা, মানে বাঙালীরা, অন্যান্য প্রদেশের মানু ষকে নানা নাম দিয়েছি, এমনকী হিন্দুস্তানী (!) বলেও ডেকেছি, আজ আমাদেরও একটা ‘নাম’ হয়েছে, আমরা বঙ্গীয়রা আজ ‘বঙ্গস্’। আমাদের ‘পশ্চিমবঙ্গ’ এখন শুধু ‘বাংলা’ আর সাহেবদের জন্য Bengal। এই ‘বঙ্গস্’দের উৎসব কিন্তু পারাপারের উর্দ্ধে, তাই সদ্যসমাপ্ত বঙ্গোৎসবে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন হচ্ছে কি হচ্ছে না’র পর�োয়ানা না করে মেতেছিলাম সকলে – দু ই বাংলার মানু ষের সহয�োগীতায় – এই মেতে ওঠাই মিলন, এই ভেসে যাওয়াই মিলন। আসু ন ভাসি – মেতে উঠি আর লক্ষ্য রাখি কেউ যেন বাদ না পড়ে। সৈকত কুন্ডু’র লেখা, ল�োপামুদ্রা মিত্রের গাওয়া একটি গান হয়ত�ো অনেকেই শুনে থাকবেন। বারে বারে আমার মনে হয় এই গানটি আজকের বিশ্বনাগরিক দের জাতীয় সংগীত হতে পারে, ‘আমার কাছে দেশ মানে এক ল�োকের পাশে অন্য ল�োক’। জীবনে পাশে ত�ো কাউকে না কাউকে লাগেই। তাছাড়া ত�ো গত্যন্তর নেই, কিন্তু একে ওপরের প্রতি খালি social media তে আন্তরিক হব না, আক্ষরিক অর্থে পাশে থাকি একে অপরের... তাহলে, ‘ঠিক যেখানে দিনের শুরু, অন্ধ কাল�ো রাত্রি শেষ... ঠিক যতদূ র চাইছে যেতে – ঠিক ততদূ র আমার দেশ’ – ভীষণ ভাবে সত্যি হবে। নয়ত�ো বাঁচাটা বেশ মুশকিলের হয়। নিজেকে অনু প্রাণিত করতে তিনি ত�ো আছেনই, যিনি সর্বকালের সর্বাধু নিক কবি, যিনি আমাদের রবিঠাকুর, যিনি আমাদের সান্টাক্লস (শ্রীজাত বড় সু ন্দর লিখেছে এই তুলনাটা, যারা পড়েন নি বা শ�োনেন নি, google-বাবুর সাহায্য নিয়ে পড়ে ফেলু ন কিন্তু)। যাই, এগিয়ে চলি, কেউ সাথী না হলে একলা চলায় ত�ো বাঁধা নেই... ‘একলা চল�ো, একলা চল�ো, একলা চল�ো রে’!! নাঃ, বালাই ষাট, একলা নয়, আপাততঃ মিলনের পাতায় পাতায়, আপনাদের নিয়েই আমাদের পথচলা।।

মিলনMILON | october 2016 | 7


2015 -16

THE YEA RETROS NAARI | Pictured here and staged as part of the BORSHOBORON Progrmme 2016 | Photo: PRATIK MUKHERJEE

8 | মিলনMILON | october 2016


“নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার কেন নাহি দিবে অধিকার?” আজকের নারী অনেক পথ পেরিয়ে আজ পুরুষের সমাসীন। বিধাতা বা ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকারেই তার পথ অতিক্রম সম্ভব হয়েছে কি না, তা শাস্ত্রজ্ঞদের বিচার্য । আমাদের মনে হয়েছে, সমাজের প্রতি একজন নারীর অবদান আর�ো একবার স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরার প্রয়োজন আজ�ো আছে। নারীর দশভূজা রূপ, শুধু স্মরণ করাব আমরা, নারীর প্রতি ভাবনায় সকলের আত্মশুদ্ধি যেন ঘটে... এই প্রচেষ্টা আমাদের।.

AR IN SPECT

মিলনMILON | october 2016 | 9


the year in retrospect 2015-16

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি, ক্লার্ক কী, দ্য সেন্ট্রালের রয়্যাল পামকে দেখে ব�োঝার উপায় ছিল না যে সেটা কলকাতার ক�োনও ঝকঝকে পুজ�ো মণ্ডপ নয়। সু দূর সিঙ্গাপুরেও নিয়ম, তিথি মেনে বেঙ্গলি এ্যাস�োসিয়েশন সিঙ্গাপুর (BAS) আয়োজন করেছিল সরস্বতী পুজ�োর। বাসন্তী রঙে ঝলমলে সেজে সদস্যরা সেদিন সকলে একসাথে মেতে উঠেছিলেন পুজ�োর আনন্দে। 13 February 2016 | Royal Palm, Clarke Quay Central

SARASWATI 10 | মিলনMILON | october 2016

PUJO 2016


the year in retrospect 2015-16

পুজ�োয় প�ৌর�োহিত্য করেন BAS সদস্য রঞ্জন চক্রবর্তী। পুষ্পাঞ্জলি থেকে শুরু করে ‘হাতেখড়ি’র জন্যও ভীড় ছিল দেখার মত�ো।

সেই দু ষ্টু ছেলেটা বা বাপুরাম সাপুড়ে এসে হাজির হয় রয়্যাল পামে। বড়রাও কম যান নি। গানে-আবৃ ত্তিতে সরস্বতী বন্দনাকে আরও প্রাঞ্জল করে ত�োলেন তাঁরা। অনু ষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আর এক BAS সদস্য সু হৃদ দেবশর্মা। খিচুড়ি-বেগুনি-চাটনি-পায়েসের ভুঁড়িভ�োজ শেষ করে শুরু হয় কাপল ইভেন্ট – ‘আজ বাদে কাল ভ্যালেনটাইন’। সদস্যরা একদিন আগেই প্রেমের জ�োয়ারে ভেসে গেলেন। সরস্বতী পুজ�োর আনন্দ, পিঠেপুলির আস্বাদ আর ভ্যালেনটাইন’স ডে’র রেশ নিয়ে শেষ হয় সেদিনের অনু ষ্ঠান।

একদিকে ‘বিদ্যাং দেহি’ আর অন্যদিকে ছিল ‘পিঠেং দেহি’। ভ�োজন প্রিয় বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে কয়েকজন সদস্য এনেছিলেন পিঠেপুলির সম্ভার। মাত্র কিছু ক্ষণেই শেষ হয়ে যায় রসবড়া, পাটিসাপ্টা, সেদ্ধপুলি বা মিষ্টি আলু র পান্তুয়া। বাংলা কবিতার আসর জমিয়ে দেয় খুদে সদস্যরা। বাবুদের তালপুকুরের

PHOTOGRAPHS : KOUSHIK KUNDU WORDS : SASWATI SAHA

মিলনMILON | october 2016 | 11


the year in retrospect 2015-16

Republic Day Celebration by High Commission of India |26 January 2016 BAS members participated in the Republic Day Celebration organised by High Commission Of India. Our talented members teamed up with the members of Assam association and Bihar Association to showcase their dancing expertise. m

BAS PARTICIPATES IN

REPUBLIC DAY CELEBRATIONS

2 0 16

WORDS : KOUSHIK KUNDU

PHOTOGRAPHS : PARTHA RAY

12 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

BAS PARTICIPATES IN

INDIAN CULTURAL FIESTA

20 16

To celebrate the Indian New Year, BAS participated in the Indian Cultural Fiesta 2016 organised by Little India Shopkeepers & Heritage Association (LISHA) at the Pedestrian Mall @ Campbell Lane on Friday 15th April from 6.30pm. The performances by various ethnic Indian groups were beautiful. BAS was represented by Srabonti Dutta, Arpita Datta, Arati Debnath, Chandni Roy, Ranjana Saha and Aparna Verma who presented a medley of dances with some popular Bengali songs. We can only say that the performers were amazing and the dances were graceful and had an ethereal quality to it.

WORDS : SUDESHNA CHATTERJEE

PHOTOGRAPHS : KOUSHIK KUNDU

মিলনMILON | october 2016 | 13


the year in retrospect 2015-16 BAS PARTICIPATES IN

CHINGAY PARADE 2016

14 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

Chingay Parade | 22 February 2016 BAS participated in this year’s Chingay Parade - another first - in an effort to bring out more community involvement. PHOTOGRAPHS : PAROMITA RAKSHIT, SUDESHNA DASGUPTA

মিলনMILON | october 2016 | 15


the year in retrospect 2015-16

BAS PARTICIPATES IN

VILLAGE FESTIVAL

20 16

The Village Festival | 27 March 2016 | NTUC Auditorium, 1 Marina Boulevard BAS members attended the Village Festival organised by Charkula on 27th March 2016 at NTUC Auditorium. Talented members of BAS showcased their dancing excellence in this unique festival where various states of India were represented through cultural shows.

WORDS : KOUSHIK KUNDU

16 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

PHOTOGRAPHS : SHILPA CHATTERJEE, PRATIK MUKHERJEE মিলনMILON | october 2016 | 17


the year in retrospect 2015-16

18 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16 PHOTOGRAPHS : PARTHA RAY, KOUSHIK KUNDU WORDS: CHAITALI TARAFDAR

এল রে এল রে এল হ�োলী এল রে, রঙে রঙে মন প্রাণ রাঙা হল রে...

HOLI 2 0 1 6 ২০১৬-র ২৬শে মার্চ Myra’s Restaurant সংলগ্ন খ�োলা জায়গায় মন-প্রাণ ভরিয়ে মেতে উঠেছিল BAS এর ‘বঙ্গস’রা... লাল নীল সবুজ হলু দ বেগুনী রঙের আবীর, বিখ্যাত রেস্তোরাঁর মন মাতান�ো খাবার এবং অবশ্যই নাচা-গানা-বাজানা... তীর্থ সারথি চট্টরাজের আয়োজনে সু ন্দর ও ছিমছাম অনু ষ্ঠানটি বেশ মন�োগ্রাহী হয়েছিল মানসী রায়, অভ্রিয়া, নবমিতা, ঋত্বিকা, অভ্র ও শ�োভনের গানে। মেতে উঠে নাচল প্রায় সকলেই, সু ন্দর এক দ�োল উৎসব, মনে থাকবে অনেক দিন।

মিলনMILON | october 2016 | 19


the year in retrospect 2015-16

sangamam 2016 BAS PARTICIPATES IN

BAS was invited to take part in Bukit Batok Community Club Indian Activities Group’s Indian New Year celebrations on Sunday 24 April 2016 from 5.30pm. Called ‘Sangamam’ or ‘Congregation’, the theme of the function was to bring together the different ethnic groups in India, in line with the New Year celebrations by all of these groups.

20 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

BAS members and guest artist put up a dance item for the show. Titled ‘Sundari Komola Naache’ or ‘Beautiful Komola Dancing’, two beautiful women and two pretty young girls performed to that number. Choreographed by our member, Ms Shilpa Biswas, a graduate in Indian Fine Arts, the performers included two of BAS’ gifted members, Ms Shilpa Biswas, and Ms Ranjana Saha and the talented young member, Ms Dharini Sivanesan and a guest child Ms Tammana Jana. The crowd thoroughly enjoyed the performance and tapped and clapped to the performance.

WORDS : SHILPA BISWAS

PHOTOGRAPHS : PRASUN SAHA

মিলনMILON | october 2016 | 21


the year in retrospect 2015-16

PHOTOGRAPHS : PRATIK MUKHERJEE, ARNAB BHATTACHARYA ARTISTS Aayudh Sen, Aayushi Tarafdar, Amvrin Paul, Ambalika Paul, Ananya Dasgupta, Ananya Tomar, Angsith Sarkar, Anika Sen, Anushka Ghosh, Arik Bagchi, Aurel Chatterjee, Brototi Muhuri, Daivik Das, Devika Dasgupta, Dharini Sivanesan, Dvita Dutta, Koushani Kundu, Monica Das, Miraaya Chattaraj, Nabonita Sen, Raadhika Chattaraj, Rehan Mukherjee, Riddhima Mukherjee, Ridhima Roy, Rishabh Bandopadhaya, Rishita Mukherjee, Rittika Mukherjee, Ritujit Mandal, Rushali Mukherjee, Ryan Mondal, Sayantani Muhuri, Samarth Lal, Samraat Saha, Sarthak Basak, Saurabh Bandopadhaya, Shanaya Dutta, Sharanya Das, Shaunav Barman Bose, Sonakshi Ray, Shreyan Banerjee, Srijani Mukherjee, Swastid Majumder, Uddalak Sarkar, Ushmil Sarkar

22 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

KHEERER PUT UL

“Kheerer Putul” is a children’s fantasy novel written by Abanindranath Tagore in 1896. Obon Thakur, not only painted on canvas, but also painted stories which continue to mesmerize us even after 120 years. Tonight, we present a musical based on this timeless fairy tale from Bengal. We are sure the audience will appreciate the enthusiasm and excitement of the kids involved in the production, some of whom are only 2 years old.

DIRECTION: Chaitali Tarafdar CHOREOGRAPHY: Arpita Sen, Chaitali Tarafdar, Shilpa Biswas, Srabonti Dutta AUDIO MIXING & VIDEO PROJECTION: Debashis Tarafdar COSTUME: Arpita Sen, Pampa Roy, Shilpa Biswas, Srabonti Dutta MAKE UP: Dahlia Chakraborty, Jaya Bhattacharya, Mallika Bhattacharya, Nibedita Chattopadhyay, Pampa Roy, Piyali Das, Saswati Dev Sharma, Shilpa Biswas, Srabonti Dutta, Susmita Dutta ARTWORK: Pampa Roy

মিলনMILON | october 2016 | 23


the year in retrospect 2015-16

KHEERER 24 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

PHOTOGRAPHS : PRATIK MUKHERJEE, ARNAB BHATTACHARYA

R PUT U L মিলনMILON | october 2016 | 25


র েকর

নারী NAARI “নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার কেন নাহি দিবে অধিকার?” আজকের নারী অনেক পথ পেরিয়ে আজ পুরুষের সমাসীন। বিধাতা বা ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকারেই তার পথ অতিক্রম সম্ভব হয়েছে কি না, তা শাস্ত্রজ্ঞদের বিচার্য। আমাদের মনে হয়েছে, সমাজের প্রতি একজন নারীর অবদান আর�ো একবার স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরার প্রয়োজন আজ�ো আছে। নারীর দশভূ জা রূপ, শুধু স্মরণ করাব আমরা, নারীর প্রতি ভাবনায় সকলের আত্মশুদ্ধি যেন ঘটে... এই প্রচেষ্টা আমাদের।

CONCEPT & DIRECTION: Chaitali Tarafdar SCRIPT: Ayan Sen NARRATION: Aayushi Tarafdar, Chaitali Tarafdar MUSIC DIRECTION: Ritwik Ghosal CHOREOGRAPHY: Arpita Sen, Nibedita Chattopadhyay ARTWORK: Anamika Dutta, Sudeshna Dasgupta VIDEO PROJECTION: Debashis Tarafdar, Shaunak Chattopadhyay

"র kম দর

বদান ধরার

আমরা, আt#িd র।

rafdar,

k

year in retrospect 2015-16

the

Sen,

SINGERS (Contd.) Pratiti Bandyopadhyay, Rakhi Chatterjee, Rittika Mukherjee, Shohini Ray, Soma Chaudhury, Subhra Paul, Sudhanya Ghosh, Tirtha Sarathi Chattaraj, Torsa Das DANCERS: utta, D ARTWORK: Anamika Aayushi Tarafdar, Anika Sen, Sudeshna Dasgupta Aparna Verma, Arati Debnath, Arpita Sen, Aurel Chatterjee, VIDEO PROJECTION: Debashis Brototi Muhuri, Dahlia Tarafdar, Shaunak Chakravorty, Debarati Chattopadhyay Bhattacharya, Godhuli Vishwanathan, Koushani LIGHT: Sanjukta Nabamita Guha, Bandyopadhyay Kundu, Nabamita Mukherji, Nibedita e, Pampa Roy, Piyali CONTROL ROOM: Nabayan Roy Chatterje Mukherjee, Sanhita ittika R Das, Roy, Sharanya Das, Shilpa MUSIC GROUP: , Susmita Dutta, Bannerjee hamalia D Keyboard: Anand hankar Saha, S e Tanushre (Guest Artist) Ushmil Sarkar Sitar: Chandranath Bhattacharyya (Guest Artist) ON: RECITATI Tabla: Ritwik Ghosal Aayudh Sen, Amvrin Paul, Angsith Sarkar, Aparna Verma, SINGERS: Arik Bagchi, Debjani Ghosh, Abhrya D Pal, Amrita Das, Dharini Sivanesan, Bandyopadhyay, Amrita Sarkar, Debojit Kundu, Ritujit Mandal, Aparajita Ghatak, Aradhita Das, Koushik Samarth Lal, Sarthak Basak, Arpita Deb, Atasi Ghosal, Avra Shreyan Banerjee, Uddalak Paul, Chandra Bose, Debjani Sarkar Contd.) ( Chattaraj

26 | মিলনMILON | october 2016

LIGHT: Sanjukta Bandyopadhyay CONTROL ROOM: Nabayan Roy


the year in retrospect 2015-16

WORDS: CHAITALI TARAFDAR

PHOTOGRAPHS : PRATIK MUKHERJEE, ARNAB BHATTACHARYA

মিলনMILON | october 2016 | 27


the year in retrospect 2015-16

নারী NAARI

DANCERS: Aayushi Tarafdar, Anika Sen, Aparna Verma, Arati Debnath, Arpita Sen, Aurel Chatterjee, Brototi Muhuri, Dahlia Chakravorty, Debarati Bhattacharya, Godhuli Vishwanathan, Koushani Kundu, Nabamita Guha, Nabamita Mukherji, Nibedita Chatterjee, Pampa Roy, Piyali Das, Rittika Mukherjee, Sanhita Roy, Sharanya Das, Shilpa Bannerjee, Susmita Dutta, Tanushree Shankar Saha, Ushmil Sarkar MUSIC GROUP: Keyboard: Anand Dhamalia (Guest Artist) Sitar: Chandranath Bhattacharyya (Guest Artist) Tabla: Ritwik Ghosal SINGERS: Abhrya D Pal, Amrita Bandyopadhyay, Amrita Sarkar, Aparajita Ghatak, Aradhita Das, Arpita Deb, Atasi Ghosal, Avra Paul, Chandra Bose, Debjani Chattaraj, Pratiti Bandyopadhyay, Rakhi Chatterjee, Rittika Mukherjee, Shohini Ray, Soma Chaudhury, Subhra Paul, Sudhanya Ghosh, Tirtha Sarathi Chattaraj, Torsa Das RECITATION: Aayudh Sen, Amvrin Paul, Angsith Sarkar, Aparna Verma, Arik Bagchi, Debjani Ghosh, Debojit Das, Dharini Sivanesan, Koushik Kundu, Ritujit Mandal, Samarth Lal, Sarthak Basak, Shreyan Banerjee, Uddalak Sarkar

A short play centered around the legend of Sherlock Holmes, our humble presentation KALYANIYA HOLMES is a spoof conceived with the sole intention of making you smile. In conversations and puns, the verbal sparring trio of Kalyani Chatterjea, Kalyan Chatterjea and Suhrid Devsharma will weave a tale of mysterious humor and intrigue. The most-­‐ loved characters, Holmes, Watson and Moriarty all feature, to satiate the most ardent Holmes fans as well as those who just enjoy a good laugh.

28 | মিলনMILON | october 2016

CONCEPT, SCRIPT & DIRECTION: Suhrid Devsharma

CAST: Kalyani Chatterjea as Holmes, Kalyan Chatterjea as Moriarty, Suhrid Devsharma as Watson

“নারীেক আপন ভাগ$ জয় কিরবার !কন নািহ িদেব অিধকার?” আজেকর নারী অেনক পথ !পিরেয় আজ পুrেষর সমাসীন। িবধাতা বা ঈ"র pদt অিধকােরই তার পথ অিতkম সmব হেয়েছ িক না, তা শাstjেদর িবচায&। আমােদর মেন হেয়েছ, সমােজর pিত একজন নারীর অবদান আেরা একবার s" ভােব তুেল ধরার pেয়াজন আেজা আেছ। নারীর দশভূজা rপ, !ধু sরণ করাব আমরা, নারীর pিত ভাবনায় সকেলর আt#িd !যন ঘেট... এই pেচ$া আমােদর।

CONCEPT & DIRECTION: Chaitali Tarafdar

SCRIPT: Ayan Sen NARRATION: Aayushi Tarafdar, Chaitali Tarafdar MUSIC DIRECTION: Ritwik Ghosal CHOREOGRAPHY: Arpita Sen, Nibedita Chattopadhyay

SINGERS (Contd.) Pratiti Bandyopadhyay, Rakhi Chatterjee, Rittika Mukherjee, Shohini Ray, Soma Chaudhury, Subhra Paul, Sudhanya Ghosh, Tirtha Sarathi Chattaraj, Torsa Das DANCERS: ARTWORK: Anamika Dutta, Aayushi Tarafdar, Anika Sen, Sudeshna Dasgupta Aparna Verma, Arati Debnath, Arpita Sen, Aurel Chatterjee, VIDEO PROJECTION: Debashis Brototi Muhuri, Dahlia Tarafdar, Shaunak Chakravorty, Debarati Chattopadhyay Bhattacharya, Godhuli Vishwanathan, Koushani anjukta S LIGHT: Bandyopadhyay Kundu, Nabamita Guha, Nabamita Mukherji, Nibedita CONTROL ROOM: Nabayan Roy Chatterjee, Pampa Roy, Piyali Das, Rittika Mukherjee, Sanhita Roy, Sharanya Das, Shilpa MUSIC GROUP: Keyboard: Anand Dhamalia Bannerjee, Susmita Dutta, Shankar Saha, (Guest Artist) Tanushree Ushmil Sarkar Sitar: Chandranath Bhattacharyya (Guest Artist) RECITATION: Tabla: Ritwik Ghosal Aayudh Sen, Amvrin Paul, Angsith Sarkar, Aparna Verma, SINGERS: Arik Bagchi, Debjani Ghosh, Abhrya D Pal, Amrita Bandyopadhyay, Amrita Sarkar, Debojit Das, Dharini Sivanesan, Aparajita Ghatak, Aradhita Das, Koushik Kundu, Ritujit Mandal, Samarth Lal, Sarthak Basak, Arpita Deb, Atasi Ghosal, Avra Shreyan Banerjee, Uddalak Paul, Chandra Bose, Debjani Sarkar Chattaraj (Contd.)


the year in retrospect 2015-16

PHOTOGRAPHS : PRATIK MUKHERJEE, ARNAB BHATTACHARYA

মিলনMILON | october 2016 | 29


the year in retrospect 2015-16 PHOTOGRAPHS : PRATIK MUKHERJEE, ARNAB BHATTACHARYA

KALYANIYA H OL M ES

Kalyani Chatterjea as Holmes

Suhrid Devsharma as Watson

A short play centered around the legend of Sherlock Holmes, KALYANIYA HOLMES was a spoof conceived with the sole intention of making you smile. In conversations and puns, the verbal sparring trio of Kalyani Chatterjea, Kalyan Chatterjea and Suhrid Devsharma wove a tale of mysterious humor and intrigue. The most-loved characters, Holmes, Watson and Moriarty all featured, to satiate the most ardent Holmes fans as well as those who just enjoy a good laugh.

Kalyan Chatterjea as Moriarty

CONCEPT, SCRIPT & DIRECTION Suhrid Devsharma

30 | মিলনMILON | october 2016

A short play centered around the legend of Sherlock Holmes, our humble presentation KALYANIYA HOLMES is a spoof conceived with the sole intention of making you smile. In conversations and puns, the verbal sparring trio of Kalyani Chatterjea, Kalyan Chatterjea and Suhrid Devsharma will weave a tale of mysterious humor and intrigue. The most-­‐ loved characters, Holmes, Watson and Moriarty all feature, to satiate the most ardent Holmes fans as well as those who just enjoy a good laugh.

CONCEPT, SCRIPT & DIRECTION: Suhrid Devsharma

CAST: Kalyani Chatterjea as Holmes,

“নারীেক আপন ভাগ$ জয় কিরবার !কন নািহ িদেব অিধকার?” আজেকর নারী অেনক পথ !পিরেয় আজ পুrেষর সমাসীন। িবধাতা বা ঈ"র pদt অিধকােরই তার পথ অিতkম সmব হেয়েছ িক না, তা শাstjেদর িবচায&। আমােদর মেন হেয়েছ, সমােজর pিত একজন নারীর অবদান আেরা একবার s" ভােব তুেল ধরার pেয়াজন আেজা আেছ। নারীর দশভূজা rপ, !ধু sরণ করাব আমরা, নারীর pিত ভাবনায় সকেলর আt#িd !যন ঘেট... এই pেচ$া আমােদর।

CONCEPT & DIRECTION: Chaitali Tarafdar

SCRIPT: Ayan Sen NARRATION: Aayushi Tarafdar, Chaitali Tarafdar MUSIC DIRECTION: Ritwik Ghosal CHOREOGRAPHY: Arpita Sen,

SINGERS (Contd.) Pratiti Bandyopadhyay, Rakhi Chatterjee, Rittika Mukherjee, Shohini Ray, Soma Chaudhury, Subhra Paul, Sudhanya Ghosh, Tirtha Sarathi Chattaraj, Torsa Das ARTWORK: Anamika Dutta, DANCERS: Sudeshna Dasgupta Aayushi Tarafdar, Anika Sen, Aparna Verma, Arati Debnath, VIDEO PROJECTION: Debashis Arpita Sen, Aurel Chatterjee, Tarafdar, Shaunak Brototi Muhuri, Dahlia Chattopadhyay Chakravorty, Debarati Bhattacharya, Godhuli LIGHT: Sanjukta Vishwanathan, Koushani Bandyopadhyay Kundu, Nabamita Guha, Nabamita Mukherji, Nibedita CONTROL ROOM: Nabayan Roy Chatterjee, Pampa Roy, Piyali Das, Rittika Mukherjee, Sanhita MUSIC GROUP: Roy, Sharanya Das, Shilpa Keyboard: Anand Dhamalia Bannerjee, Susmita Dutta, (Guest Artist) Tanushree Shankar Saha, Sitar: Chandranath Ushmil Sarkar Bhattacharyya (Guest Artist) Tabla: Ritwik Ghosal RECITATION: Aayudh Sen, Amvrin Paul, SINGERS: Angsith Sarkar, Aparna Verma, Abhrya D Pal, Amrita Arik Bagchi, Debjani Ghosh, Bandyopadhyay, Amrita Sarkar, Debojit Das, Dharini Sivanesan, Aparajita Ghatak, Aradhita Das, Koushik Kundu, Ritujit Mandal, Arpita Deb, Atasi Ghosal, Avra Samarth Lal, Sarthak Basak,


the year in retrospect 2015-16

SAMARPAN

SPD counter at Borshoboron celebration |1 May 2016 | Khoo Auditorium

25 February 2016 | Lions Home For The Elders, Bedok In another community involvement effort, BAS members joined hands together to add a little colour into the lives of the residents of Lions Home For The Elders at Bedok. The members helped the residents to try their hands in making beautiful frames decorated with dry flowers and some simple art forms. This was followed by some light refreshments.

As part of the initiative ‘Samarpan’, BAS members Debashis Tarafdar, Chaitali Tarafdar, Swapna Mitra and Monica L Das visited the Society for the Physically Disabled (SPD) on 11th April 2016 to formulate ways in which BAS can contribute to its noble cause. It was an overwhelming experience for the members and they were immensely moved by the sheer amount of empathetic work and volunteering being done. Subsequently BAS invited SPD to be present at the Borshoboron anusthan on 1st May 2016 so that members can donate generously to a worthy cause. Our Samarpan volunteers Deepa Sinha, Mansi Singh, Piu Lahiri, Swapna Mitra were present at the counter of SPD to generate awareness about the incredible work SPD does and to assist members who choose to make donations. Mr Abhimanyau Pal, Executive Director of SPD and BAS Member said “with BAS’ support, SPD had the opportunity to share its cause with its members. We hope you found the sharing informative an.illuminating.”

CONGRATULATIONS, BAS60

www.1TEAMCONSULTING.COM KNOWLEDGE. INNOVATION. TRANSFORMATION. মিলনMILON | october 2016 | 31


the year in retrospect 2015-16

আড্ডাই ছিল কেন্দ্রবিন্দু, একদিন ADD, অন্যদিন,

চন্দ্রবিন্দু

দেখতে দেখতে পুজ�ো এসে গেল। আর আড্ডা-গল্প ছাড়া কি আর পুজ�োর আমেজ আসে? গত জুলাই মাসে বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসবের রেশ অনেকটা হাল্কা হয়ে এলেও, এখনও রয়ে গেছে বেশ কিছু না জানা কথা। একদিন অদিতি-দীপনদু র্নিবার, অন্যদিন বাংলা ব্যান্ড ‘চন্দ্রবিন্দু’ --- আর তাদের সঙ্গে নির্ভেজাল আড্ডা। সেইসব গল্পগুল�ো জমিয়ে রাখা ছিল এতদিন, আপনাদের জন্য, ‘মিলন’ এর জন্য।। পুজ�োর আমেজে, নিপাট আড্ডার আবহে পর পর দু ’সপ্তাহের দু ট�ো সাক্ষাৎকার নিয়ে এসেছি আমি আজ। পড়তে পড়তে চলু ন ঘুরে আসি সেই দিনগুল�োয়, শুনে আসি সেই না-শ�োনা গল্পগুল�ো ---- পুজ�োর অন্য নাম যে নস্টালজিয়া!

| | | | ||||||||||||শাশ্বতী

সাক্ষাৎকার ১ : ADD অনু ষ্ঠান শুরু হতে বেশ দেরি আছে, এদিকে মেলা বেশ জমে উঠেছে। ভাবলাম এই বেলা একটু গল্প করে আসি আমাদের আজকের পারফর্মারদের সাথে! না জানি কেমন মুডে থাকবেন, আমাদের জন্য ইন্টারভিউ দেবেন কি না! এসব ভাবতে ভাবতে গ্রিনরুমে চলে এলাম। দেখি জয়া দির সাথে মিষ্টি হেসে গল্প করছে অদিতি, আর তার পাশেই বেশ একটা দু ষ্টু দু ষ্টু হাসি নিয়ে দু র্নিবার। আর খুব শান্ত মুখে (বেশ টেনশনে!) দীপন। টিভির পর্দায় দেখা অতি পরিচিত মুখ। প্রাথমিক আলাপ সেরে বললাম যে আমাদের কিছু প্রশ্ন আছে, আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে উত্তর দিতে হবে কিন্তু। তিনজনেই রাজি হয়ে গেল ইন্টারভিউ দিতে। শুরু হল প্রশ্ন---

প্রথম যে মুহুর্তে ঠিক হল যে, ত�োমরা 32 | মিলনMILON | october 2016

সাহা|||||||||| | | |

আসছ আমাদের আমন্ত্রণে, কী মনে এসেছিল প্রথম? দু র্নিবারঃ আমার মাথায় একটা ছবি ভেসে উঠল – সিংহের মুখ থেকে জল পড়ছে। অদিতিঃ আরে, ত�োমাদের ক�োয়ার্টারলি ই-ম্যাগাজিনের নামটাই – ‘আরেব্বাস’! দীপনঃ খুবই ভাল�ো লেগেছিল, এটা আমার প্রথম দেশের বাইরে অনু ষ্ঠান।

ছ�োটবেলায় কবে থেকে শুরু গানের সঙ্গে

| | বন্ধুত্ব? কার কাছে প্রথম গান শিখেছ? অদিতিঃ জন্ম থেকেই। প্রথমে কিছু ই বুঝতাম না, শুধু শুনতাম। তারপর ক্রমশ জড়িয়ে গেলাম আর কি। আমার শিক্ষা গুরু আমার বাবা-মা দু জন। দু র্নিবারঃ since I had senses গান আমার সঙ্গেই ত�ো আছে দেখছি। আমার গান শেখা আমার মায়ের কাছে। দীপনঃ আমি গান শেখা শুরু করি আমার সাড়ে চার বছর বয়েসে ‘বাণীচক্রে’। পরে পন্ডিত রশিদ খাঁর থেকে তালিম নিয়েছি।

‘সারেগামাপা’ জার্নিতে শেখা যে ক�োনও তিনটি বিষয় যা সারা জীবন মনে রাখবেঃ

(এই প্রশ্নটা করার পরেই কে আগে উত্তর দেবে সেই নিয়ে খুনসু টি শুরু হল অদিতি আর দু র্নিবারের। শেষে


the year in retrospect 2015-16 দু র্নিবারই উত্তর দিল আগে) দু র্নিবারঃ কী করে রুম শেয়ার করতে হয় অন্যের সাথে তা ক�োন�োদিন ভুলব না। সারাদিন জেগে থেকে রাতে গান গাওয়ার কথাও ভুলতে পারব না। কিছু অপরিচিত মানু ষ মাত্র সাত মাসে কত কাছের হয়ে উঠেছেন as a family – ভুলতে পারব না। অদিতিঃ perfection, presentation আর … ( একটু ভেবে) সেরা বন্ধুকে খুঁজে পেলাম এখানে! দীপনঃ মাইকটা ধরার পর গলাটা কেমন হবে, যাতে শ্রোতার মনকে ছু ঁতে পারব— সেটা শিখেছি। নিজেকে জানতে-বুঝতে শিখেছি, কী পারি, কতটা পারি সেটা বিচার করতে শিখেছি। সারেগামাপা র হাত ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসা—ভুলতে

পারব না।

এই স্টারডম কেমন উপভ�োগ করছ, ক�োনও বিশেষ ঘটনা ? অদিতিঃ পুর�ো ব্যাপারটাই ‘বিশেষ’ আমার কাছে। প্রতিটি মুহুর্তকেই যেন নতুন করে পাচ্ছি। দু র্নিবারঃ ‘অবাক’। আমার এটাই মনে হয়। আর বলব যে স্টারডম উপভ�োগ করার থেকে সকলের ভাল�োবাসাটা সত্যি উপভ�োগ করছি। দীপনঃ একই। আগের উত্তরের copy paste.

‘ব্যস, অমনি চ�োতা’ – একসাথে বলে উঠল অদিতি-দু র্নিবার! তিনজনে আবার একটু খুনসু টি শুরু হল। আমরা চলে গেলাম পরের প্রশ্নে--

দীপনঃ রাগসঙ্গীত

যদি ভূ তের রাজার সঙ্গে দেখা হয় কী কী চাইবে?

মানু ষ এখন আবার ত�োমার থেকে কীর্তন শুনছেন, কীর্তনকে জনপ্রিয় করতে কী করবে ভাবছ?

এই প্রশ্নে তিনজনই সময় নিল বেশ। অনেক ভেবে চিন্তেই জবাব দিল তিনজনে—

অদিতিঃ ১- শেষ নিঃশ্বাসের মুহুর্ত পর্যন্ত যেন গলায় সু র থাকে; ২- আর যা ইচ্ছে খেতে পারি; ৩- যেখান খুশি যাইতে পারি; একদম গানের মত�ো। দীপনঃ ১- শুধু গানে নয়, আমার আচরণেও যেন সকলের মন জয় করতে পারি; ২- ভাগ্য, বর্তমানে খুব দরকার

এটা থাকা; ৩- world tour এ যেতে চাই। দু র্নিবারঃ (সবার শেষে উত্তর দেবে আগেই বলেছিল) ১- এমন ক�োনও কাজ যেন আমার দ্বারা না হয়, যাতে কারও ক�োনও ভাবে ক্ষতি হবে; ২- আমি যা দেখতে চাইব, সেটা যেন দেখতে পাই; ৩- যা শুনতে চাই তা যেন গাইতে পারি।

ত�োমার প্রিয় তিনটে গান – তিনজনেই একসাথে বলে উঠল, ‘এভাবে বলা যাবেই না। কী করে বাছব! বরং কার ক�োন ধরনের গান ভাল লাগে সেটাই বলি—‘ অদিতিঃ কীর্তন- ল�োকগীতি দু র্নিবারঃ গজল

এর পরের প্রশ্নটা আলাদা করে করেছিলাম তিনজনকে। অদিতির প্রশ্ন ছিলঃ

বৈষ্ণব পদাবলীর বিভিন্ন পর্যায়কে নতুন প্রজন্মের সামনে আনতে চাই। ভাবের ও বিষয়ের authenticity বজায় রেখেই তাদের কাছে তুলে ধরতে চাই এই genre কে আর সকলকে এই গান শুনিয়ে আনন্দ দিতে চাই।

মান্না দে, হেমন্ত মুখ�োপাধ্যায় আর

সলিল চ�ৌধু রী --- যে ক�োনও একজনের সঙ্গে কাজের অফার এলে কার সঙ্গে কাজ করবে ? ক�োন গানটা গাইতে চাইবে? (এই প্রশ্নটা ছিল দীপন

আর দু র্নিবারের কাছে)

দু র্নিবারঃ সলিল চ�ৌধু রীর সব গান। দীপনঃ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে হেমন্ত মুখ�োপাধ্যায় আর সলিল চ�ৌধু রী। গাইতে চাই, ‘বাজে গ�ো বীণা’।

BSUS কেমন লাগল?

(এই প্রশ্নের উত্তর ওরা দিয়েছে ওদের নিজেদের লেখায়, সেইভাবেই না হয় রইল সকলের কাছে !) অদিতিঃ দেশের বাইরে গিয়ে সেই মিলনMILON | october 2016 | 33


the year in retrospect 2015-16 মানু ষদের আপন করে নেওয়া ও পাওয়ার জন্য আপনাদের জানাই অনেক ধন্যবাদ। আবারও আসতে চাই আপনাদের মাঝে। দীপনঃ এখানে এসে খুব ভাল লাগছে। ক�োনও দিন ভুলব নাম এখানে আসা থেকে সব কিছু ।

দু র্নিবারঃ এসে খালি মনে হয়েছে, না ফেরত গেলে, মন্দ হয় না। ভাষা ক�োথায় এসে এক হয়ে যায় সেটা ব�োঝার বাইরে। যদি কিছু বলতে হয়, তাহলে বলব, ‘ভাল আছি ভাল থেক�ো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ’। ওদের শেষ গান ছিল, ‘পুরান�ো সেই দিনের কথা ...’ সত্যি, আমরাও ভুলতে পারব না, ADD কে। আশা রাখব আবার আমাদের দেখা হবে, আবার মেতে উঠব�ো সকলে-- নতুন করে, গানে-গানে!

সাক্ষাৎকার ২: আর চন্দ্রবিন্দু যত দূ র মনে পড়ে আমি তখন ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। হাতে একটা ক্যাসেট এল, (তখন সিডির চল ছিলই না!) ‘গাধা’। সেই থেকে যে কী হল, গাধাও দিনে দিনে জল পেয়ে বেঁচে উঠল�ো আর আমারও ‘চন্দ্রবিন্দু’ প্রাপ্তি হল। ক্যাসেটের শেষ গানটা শুনতে বেশ লাগত�ো। আর তারপর, দু পুরের খাম�োকা খেয়ালে কতবার যে ম�ৌন মুখরতা বলল- আর জানিনা, সু র্যের দিকে না চেয়ে নতজানু হয়ে গান শ�োনার অপেক্ষা করলাম কত শত বিকেলবেলায়—তার ইয়ত্তা নেই। সেদিনের সেই ক্যাসেটের চন্দ্রবিন্দু আজ আমার চ�োখের সামনে, আমি তাদের প্রশ্ন করব বেঙ্গলি অ্যাস�োসিয়েশন, সিঙ্গাপুরের হয়ে---- উত্তেজনায় আগের রাতে ঘুমই হয় নি। ২৩ জুলাই সকাল বেলা হাজির হলাম H2O Residences । কিন্তু ইন্টারভিউ আর হল না, হল একটা নিপাট 34 | মিলনMILON | october 2016

আড্ডা। আমি আমার বালখিল্য প্রশ্নগুল�ো করলাম ঠিকই, উত্তরগুল�ো কিন্তু এল�ো একেবারেই চন্দ্রবিন্দুর স্বকীয় মেজাজে! মূ লত কথা হচ্ছিল উপল দা আর অনিন্দ্য দার সঙ্গে। আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল --

চন্দ্রবিন্দুর জন্মদিন কবে?এই নামটা কীভাবে এল? উপল – আসলে জানতাম না ত�ো যে এই প্রশ্নটা তুমি করবে আমায় আজ, ডেটটা মনে করে রাখা হয়নি! (আমি বুঝে গেলাম, আজ আমার ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়ার কী হবে, নিজেই পাতি ‘মুরগি’ হতে চলেছি! হাসতে হাসতে বলে চললেন উপল দা--) আসলে আমরা গানটা শুরু করেছিলাম কয়েক জন বন্ধু মিলে। বিভিন্ন কলেজ ফেস্টে নাম দিতাম; উদ্দেশ্য ছিল জিতে, টাকা দিয়ে একটু ভাল-মন্দ খাওয়া দাওয়া করা বন্ধুরা মিলে! সেই ফেস্ট থেকে বন্ধুত্ব আর বন্ধুত্বটা কলেজের পরের দিন গুল�োয় টিকিয়ে রাখতেই ব্যান্ড। কলেজে থাকাকালীন কলেজের হয়েই ফেস্টগুল�োয় নাম দিতাম। কিন্তু কলেজের পর দেখলাম একটা নাম দরকার; আর তখন এই নামটা এল আর কী। আলাদা করে জন্মদিন আর মনে নেই। অনিন্দ্য – আসলে চন্দ্রবিন্দু একা একা ত�ো থাকে না। আমরাও সবাই মিলেমিশেই গান গাইছি। তাছাড়া চন্দ্রবিন্দু হল বর্ণমালার শেষ বর্ণ। যেন শেষ স্টেশন। তারপর কী আছে না আছে, তা নিয়ে যে রহস্য-জল্পনা, সেই নিয়েই আমরা— চন্দ্রবিন্দু। আর আমাদের ত�ো লক্ষ্য, শ্রোতা। তাই তারা যেদিন থেকে আমাদের গান শুনছেন সেদিনই আমাদের জন্মদিন!

প্রথম স্টেজ শ�ো কবে- ক�োথায়? উপল - আমাদের প্রথম পারফরম্যান্স ১৯৮৯ তে, আইএসআই তে। আর প্রথম পাবলিক শ�ো সেই সালেই, সল্টলেক বিসি ব্লকে। চন্দ্রবিন্দু নামে পারফর্ম করলে পাছে ল�োকে গান না শ�োনে, সেই ভেবে আমরা ব্যান্ডের ইংরেজী নাম দিয়েছিলাম —‘মুন ড্রপ’ (আমার মনে হল, সেই বাইরে ভাল�ো নাম আর বাড়ির ‘ডাকনাম’ এর মত�ো ব্যাপারটা। শেষে ‘ডাকনাম’টাই বেশি কাছের হয়ে গেল, তাই না?) ।

কত ব্যান্ড এল�ো গেল, কত ব্যান্ড আসবে; চন্দ্রবিন্দু স্বমহিমায় থেকে

যায়—রহস্যটা কী? অনিন্দ্য- এটা ত�ো যারা আমাদের গান শুনছেন, তারা ভাল বলতে পারবেন। এই প্রশ্নটা শ্রোতাদের করা উচিৎ। অনিন্দ্য ও উপল – তবে আরেকটা ব্যাপার, চন্দ্রবিন্দুর সব মেম্বাররাই ব্যান্ডের পাশাপাশি নিজেদের পছন্দের কাজও করতে পারেন। শুধু মাত্র ব্যান্ডেই কেউ আটকে নেই। হয়ত�ো সেটাও একটা কারণ আমাদের একসাথে এখনও থাকার। অনিন্দ্য—আসলে আমাদের দায় ছিল না যে বিশাল বড় হতে হবে আমাদের। উপল—আমরা ব্যান্ডটাকে ম�োটেও সিরিয়াসলি নিইনি। ওই যে বললাম, আড্ডা-বন্ধুত্বটাই আসল ছিল।

সিঙ্গাপুর কত নম্বর বিদেশ সফর? অনিন্দ্য – মনে নেই। (এর পর উপল দা যে কথাগুল�ো বললেন, সেগুল�ো আর লিখলাম না, আমাদের ক�োনও এক জমাটি আড্ডায় না হয় বলা যাবে!) এই প্ল্যানেটের বাইরে আর ক�োথায় বের�োলাম… এই এখানে এসেছি, এও ত�ো ঘরই। ওই যেদিন মঙ্গল -নেপচুনজুপিটারে যাব সেদিন ভাবব (তবে চন্দ্রবিন্দু আগেই বলেছে যে সে কিন্তু মঙ্গল গ্রহে যেতে চায় না! ) । এতক্ষণে আপনারা বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই যে এটা একেবারেই ক�োনও সিরিয়াস ইন্টারভিউ বা প্রশ্ন-উত্তর হচ্ছে না! আমি মনে মনে তখন এই ইন্টারভিউকে ঠিক কী বলা যায় ভাবছি; নিজেকেই বলছি,


the year in retrospect 2015-16 ‘আড্ডাই হ�োক কেন্দ্রবিন্দু, আরেব্বাস, এ যে চন্দ্রবিন্দু’। ইন্টারভিউ এর অ্যায়সি কি ত্যায়সি হবে, এ ত�ো জানা কথা! কাজেই, এর পরের কথ�োপকথন পড়তে হলে, একটু গলা ভিজিয়ে, মনটাকে ফুরফুরে করে, পড়তে থাকুন…

প্লেনটা যেই ল্যান্ড করল, সেই মুহুর্তে ঠিক ক�োন কথাটা মনে হয়েছিল? উপল – মাঝরাতের ফ্লাইট ছিল কলকাতা থেকে। ল্যান্ড করার সময় ঘুম�োচ্ছিলাম। তারপর ল�োকজন হঠাৎ দেখলাম লাগেজ নামাতে ব্যস্ত, বুঝলাম এসে গেছি।

নিজেদের অ্যালবাম থেকে চন্দ্রবিন্দুর

প্রিয় তিনটি গান উপল – ‘নয়’ এলবামের বেশ কিছু গান আছে ভাল�োলাগে। তবে এভাবে বলা মুশকিল। ‘মুড’ অনু যায়ী গানও বদলায় আর কি।

ক�োন গান কে গাইবেন তা কীভাবে ঠিক করেন? অনিন্দ্য – একটা গান যখন তৈরি হয়, তখন ক�োথাও একটা ফিলিং আসে যে সেই গানটা কার গলায় হবে। সে সেটাই গায়। তবে চন্দ্রবিন্দুর ২৫ বছরে কলামন্দিরে যে অনু ষ্ঠান হল, সেখানে আমরা একে অন্যের অনেক গানই

গেয়েছি।

চন্দ্রিল মানেই মিষ্টি কথার ছু রি, অনিন্দ্য মানে একটা নস্টালজিয়া, উপল মানে মিষ্টি র�োমান্স--- কেমন উপভ�োগ করেন?

(আসলে আড্ডা হচ্ছিল বেশি। তাই আলাদা করে কেউ কিছু বলেননি এই সময়। দু জনে মিলে যা বললেন সেটাই বলছি আপনাদের। চন্দ্রিল দা ছিলেন না এই কথ�োপকথনের সময়। পরে আমি এই প্রশ্নটা করেছিলাম ওনাকে, উত্তরটা একসাথেই লিখছি এখানে। প্রশ্নটা শুনে খুব হাসলেন দু জনে। অনিন্দ্য মানে শুধু ই নস্টালজিয়া! র�োমান্স নেই! এটা হতেই পারেনা। এই কমেন্টটা বেশ ‘শকিং’ হয়ে উঠল অনিন্দ্য দার কাছে,

উপল দার ভার্সানে। যাই হ�োক, এইসব ‘বায়বীয় ব্যাপার’কে হেসে উড়িয়ে দিয়ে ওঁরা বললেন, অনিন্দ্য- আমাদের মধ্যে আদান প্রদান চলেই। আমি যে গান কম্পোজ করছি, সেটার সু র-কথা আমার মাথায় আছে,আমি গাইলে এক রকম হবে আবার উপল গাইলে আরেক রকম হবে। উপলের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। তাই আলাদা করে শুধু নস্টালজিয়া বা র�োমান্স বলাটা বেশ চাপের। চন্দ্রিল – আমি এরকম একটা ‘লেবেল’ এর বিপক্ষে। এরকম ভাবে ডিফাইন

করাটা সমর্থন করব না। তবে ‘চন্দ্রিল মানে মিষ্টি কথার ছু রি’ এটা অস্বীকারও করছি না। আমি এটা এবং আরও অনেক কিছু । (এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ‘আদরের ন�ৌক�ো’ কিন্তু চন্দ্রিলের লেখা!) আমি গান লিখি নিজের ভাল�ো লাগায়, নিজের satisfaction টাই আসল। প্রচুর গান আছে যা সবার কাছে গৃ হীত হয়েছে, কিন্তু আমার কাছে সেগুল�ো বাজে লেখা! (সঙ্গে সঙ্গে জানতে চাইলাম সেটা ক�োন গান। জবাব এল, ‘বলব না!’ এই না হলে আর চন্দ্রিল! ) BSUS এসে কেমন লাগল? উপল—নর্মালি ওভারসীজ প্রোগ্রামগুল�ো করতে খুব ভাল লাগে । কলকাতায় যারা আছেন তারা ত�ো নিয়মিত বাংলা গান শ�োনেন। আমাদের গানও শুনেছেন, কিছু মিস করে গেলে তারা জানেন যে পরে শুনতে পারবেন। বিরাট প্রত্যাশা থাকে না। এখানে যখন আয়োজন করা হয়, একটা উন্মাদনা থাকে, প্রস্তুতি থাকে। দু র্গাপুজ�োর মত�োই। সেই প্যাশনটা এই প্রোগ্রামের ভিতর থেকে যায়। ফলে যখন অনু ষ্ঠানটা হয় তখন তারা চেষ্টা করেন সেখান থেকে সবটা উপভ�োগ করতে। কেউ প্রতিদিনের চেনা প্রিয় মানু ষটাকে নতুন করে খুঁজে পায়, কেউ বা হাতে হাত রাখে এঁকে অন্যের, কেউ বা ফিরে যায় ফেলে আসা কলেজ বেলায়! সবার মধ্যে যে প্যাশনটা, সেটা আমরা স্টেজ থেকে দেখতে পাই, ফিল করি। সেটা আমাদের খুব ভাল লাগে। আর দু র্গাপুজ�োর পর যখন ভাসান হয়, একটা কষ্ট হয়, শূ ন্যতা তৈরি হয়, আমার মনে হল, এখানেও, এখানকার মানু ষদের এগজ্যাক্টলি এই ফিলিংটা হল। এই ফিলিংস টা হলেই তখন মনে হয় যে আমরা একটা সত্যি ভাল অনু ষ্ঠান দিয়ে যেতে পেরেছি, কারণ এই কষ্টটা কিন্তু আনন্দের! ইন্টারভিউ বা আড্ডা শেষ হলেও শেষ হতে চায়নি। অনেক অনেক প্রশ্ন, ক�ৌতূ হল, মজা সব কিছু রয়ে গেল বৃ ষ্টিভেজা সেই বিকেল বেলায়। ওঁরা ফিরে গেলেন আমাদের প্রিয় কলকাতায়, আর আমরাও...... ছেঁড়া ঘুড়ি, স্ফটিক জলকে নিয়ে বলতে শিখে গেলাম, ‘বন্ধু চল’।

লেখাঃ শাশ্বতী সাহা ক্যামেরাঃ স�োমনাথ দাশ মিলনMILON | october 2016 | 35


the year in retrospect 2015-16

BONGO

SANSKRITI

UTSAB

36 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

scrapbook scrapbook

2016

SCRAPBOOK CONCEPT & EXECUTION : PRIYAJIT GHOSH

মিলনMILON | october 2016 | 37


the year in retrospect 2015-16

CHANDRABINDOO PHOTOGRAPHS :

38 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16 KHOO AUDITORIUM COMES ALIVE Chandrabindoo played to a packed house on a Saturday evening on 23 July 2016 at the Khoo Auditorium of the Singapore Chinese Girls’ School. They played all their hit tracks bringing their fans on their feet.

LIVE ! 2016 The audience was mesmerised with a combination of fine music and witty lyrics

মিলনMILON | october 2016 | 39


the year in retrospect 2015-16

ABHIMANINI RA DHA

AN EVENING OF CLASSICAL DANCE DRAMA ABHIMANINI RADHA was a dancedrama based on Indian classical music and dance, with touches of flamenco. It amusingly portrayed Radha’s response to the pranks that Lord Krishna is well known to play on her.

CONCEPT & DIRECTION MANJU SARKAR

Manju Sarkar with Debjani Ghosh (MC) on stage with the artists Lto R: Moitry Sarkar, Sayantani Podder, Krishna Chatterjee De, Bidisha Mandal Swaroopa Sen, Sohini Roy Chaudhuri, Ruma Dev

Stage Décor & Support Anjana Dasgupta

40 | মিলনMILON | october 2016

Lighting Somesh Rakshit, Debajit Datta & Sumit Dutta


the year in retrospect 2015-16 PHOTOGRAPHS SOMNATH DAS. KEYA PAUL, RIYA DEV WORDS MANJU SARKAR

27th August 2016 | Jubilee Hall

এক সু ন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যা

ARTISTS:Ruma Dev, Moitry Sarkar, Sayantani Podder, Sohini Roy Chaudhuri, Swaroopa Sen, Bidisha Mandal & Krishna Chatterjee De

Make-up, Hair-do & Dressing Paromita Rakshit , Keya Paul, Swarnali Rana & Ria Dev মিলনMILON | october 2016 | 41


the year in retrospect 2015-16

BHUSHUNDIR

MATHEY CONCEPT, DIRECTION & WORDS PURNENDU GHOSH

terei conlocc huidiu q

Finally after all the challenges the day came 27th August,2016-- “Bhusundir Mathey 2016,” an audio play, was staged at Jubilee Hall, Raffles Hotel. The unparalleled energetic dance of the ghosts, the argument between PR and EP cardholders, the beautiful aggressive laughter of mecho petni,the intense quarrel between shibu and neyto breaking broom over shibur back-- made the audience overwhelmed at their fullest with hands full of clapping, echoes of bursting laughter proved the success of the play” Bhusundir Mathe 2016” Thank you to all my wonderful actors Sriparna Roy (pictured below), Ishika Sirkar (facing page, below), Arunabha Ghosh (facing page, above), Debobrata Biswas (above, left) and Avishek Mukherjee (above, right) for your splendid performance ... Special thanks to Ranjan Chakroborty ,Somesh Rakshit,Debojit da and Sumit da for executing the light , Paromita Rakshit for assisting in make up, Malyasri Mukherjee for the costume and playing the tracks perfectly, Indraneil da ,Bishu Som for helping us get the stage ready, Debjani di for the superb announcement before the show and Suhrid Devsharma for the wonderful video . Special thanks to Koushik Kundu and BAS for giving the opportunity.

42 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

27th August 2016 | Jubilee Hall

এক সু ন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যা PHOTOGRAPHS : SOMNATH DAS

মিলনMILON | october 2016 | 43


the year in retrospect 2015-16

terei conlocc huidiu q

Aditya- The Journey of Phaeton and the Sun Chariot seeks to tell an age-old cautionary tale, that of Man and when he toys with nature and sows the seed of his own destruction. Aditya tells the tale of Phaeton and adds a fresh, Indian twist to the old Greek myth and therein lies its appeal. The allure of Aditya also lies in Odissi too often we see contemporary dance styles for Dance dramas but to set a completely Greek theme to one of the oldest and purest classical dance forms - Odissi, is no mean feat. The effect of juxtaposing Indian Classical with the Western psyche was this captivating musical that left its audience spellbound throughout its 41min runtime.

44 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

27th August 2016 | Jubilee Hall

এক সু ন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যা

ADITYA Direction & Choreography Srabonti Dutta

Story & Script: Stuti Datta, Sushmita Datta

মিলনMILON | october 2016 | 45


the year in retrospect 2015-16

ADIT

ALL ADITYA PERFORMING ARTISTS: Deepsikha Dasgupta. Ishita Banerjee, Debarati Mukherjee, God Sen, Reshmi Koiri (Ghosh), Aaheli Tarafdar, Prunoti Dutta, Ishani Dasgupta, Susmita Datta, Shashw Srabonti Dutta (Haldar), Sasmit Chatterjee (Guest Artist) - Indra, Shanaya Dutta - Friend of Phaeton 46 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

TYA

dhuli Vishwanathan, Amrita Dasgupta, Stuti Datta, Shrabanti Nath, Aradhita Chowdhury, Arpita wati Devsharma, Rhea Chatterjea, Monika Mukherjee, Sonali Dey, Piyali Das, Enakshi Ghatak, n, Ananya Dasgupta - Friend of Phaeton, Aayushi Tarafdar - Phaeton, Swati Mukherjee - Helios মিলনMILON | october 2016 | 47


the year in retrospect 2015-16

48 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16 PHOTOGRAPHS : KOUSHIK KUNDU

BAS60 BAZ Z AR

মিলনMILON | october 2016 | 49


the year in retrospect 2015-16

PHOTOGRAPHS : DEBANJAN BAGCHI, MALA MUKHERJEE BAS PARTICIPATES IN

deepavali LIGHTING FESTIVAL 2016

Opp Serangoon Plaza | 17 September 2016 Deepavali celebrations in Singapore began with a dazzling show of light, sound and pyrotechnics at the marquee opposite Serangoon Plaza on Saturday 17 September. His Excellency President Dr. Tony Tan was the Guest of Honour. Bengali Association Singapore being a partner organisation of LISHA (Little India Shopholders Association) were invited to this event where President Tony Tan ceremoniously lit up the streets of Serangoon Road and Race Course Road by a canopy of colourful lights. Bas Singapore children representatives attended the event. Visit Little India to be marveled by the spectacular display. This will be followed by more than a month long festival of special events and attractions of which Durga Puja is also a part. LISHA plays a very vital role in helping BAS organise Durga Puja. More details about the events are available at www.littleindia.com.sg

50 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

BAS CHOSEN FOR STUDY VISIT BY MOLDOVAN DELEGATE 13 April 2016 | Raffles Town Club

Pictured alongside are Debashis Tarafdar (extreme right) and Debanjan Bagchi (third from right) with the Moldovan delegates

Bengali Association Singapore had the privilege to be chosen for a study visit by a delegation from Republic of Moldova with the objective of peer-to-peer learning

as part of the IOM-UNDP Global Joint Programme on “Mainstreaming Migration into National Development Strategies”. A programme funded by the Swiss Agency for Development and Cooperation (SDC), and implemented in eight countries, it responds to the demand from government representatives to enhance the institutional capacities by learning about the implementation of policies and practices for engaging immigrant diaspora communities. The meeting was held on Wednesday the 13th of April and was attended by the delegates from the Republic of Moldova and Mr. Debashis Tarafdar, President and Mr. Debanjan Bagchi, Hon. Secretary from BAS. Some of the topics discussed included practices and experience of BAS planning, vision, long-term objectives, goals and activities, strategies for diaspora engagement through social networking and community engagement, development of sustainable fundraising and building relationships with potential donors, practices concerning the provision of events, entertainment, sporting and cultural activities, strategies for supporting, involving and informing diverse groups of the diaspora. It was a truly enriching experience for both the parties involved.

With Best Compliments from

E-Q Engineers Pte. Ltd.

মিলনMILON | october 2016 | 51


the year in retrospect 2015-16

PHOTOGRAPHS : SUJOY BHAWAL

Raktakarabi

52 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

31ST JULY 2016 | DRAMA CENTRE (NLB) PRESENTED BY TAGORE SOCIETY SUPPORTED BY BENGALI ASSOCIATION SINGAPORE Raktakarabi is a symbolic play by Rabindranath Tagore. The story evolves out of a conflict between Nandini, on the one hand and the King of Yakshapuri and his men, on the other – a conflict between machines and life, between tyranny and liberty. Nandini, the virgin beauty in the world of men in Yakshapuri, symbolizes victory of life and liberty over mechanization and submission.

মিলনMILON | october 2016 | 53


the year in retrospect 2015-16

WORDS MOUSUMI BANERJEE

‘Natok Sandhya’ on the 24th September brought us face to face with noted playwright Manoj Mitra’s masterpiece ‘Rajdarshan’. The play, in true Manoj Mitra style, is a satire on the intrigues and corruption that has been and is omnipresent in the corridors of political powers through all ages, times and places. It highlights, that what was true for society thousands of years back is just as relevant in the modern world. Rajdarshan had been staged by BAS before, but this version showed a whole different form of presentation. The play, directed by Indranil Banerjee, was produced in ’presentational’ theatre style in an amalgamated version that took its form from street theatre format and the traditional Bengali ‘jatra’. Costumes, settings and stage props were figurative and not realistic, actors were assigned a number of roles; they shifted from role to role with only minimal physical changes. The very competent performances and fantastic coordination between the team members amply demonstrated the hard work that each and every member of Team Rajdarshan had put in. The lighting design, sound effects and wellorchestrated choreography ably complimented the acting prowess of the cast members.

PHOTOGRAPHS SOMNATH DAS, PRATIK MUKHERJEE

MANOJ MITRA’S

RaJDARSHAN

BANGLA NATOK | 24th SEPTEMBER 2016 | KHOO AUDITORIUM (SCGS)

54 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

্শ ন রাজদর কথা ঃ রঞ্জন চক্রবর্তী রাজদর্শন মঞ্চস্থ হয়েছিল 1999 সালে, চিন্ময়দার পরিচালনায় ইন্ডিয়ান ড্রামা ফেস্টিভ্যালে, বাংলা নাটক হিসেবে। Straits times এ ছেপেছিল গ্রুপ ফট�ো, সংবাদ ইত্যাদি। আমি, দেবাশিস তরফদার, সু রজিৎ বাদে সেই টিমের সকলেই বর্তমানে অন্য দেশে! পুনরায় এই নাটক করতে শুরুতে নারাজ ছিলাম। Third থিয়েটারের আঙ্গিকে শুরু হল�ো রিহার্সাল। গতবারের মঞ্চে সফল প্রয�োজনা “কেনারাম বেচারাম”-এর ইয়ং ব্রিগেড নেই, কিছু দিন পর দেবাশিস, দেবাঞ্জনও এস�োসিয়েশন এর কাজের চাপে সরে যেতে বাধ্য হল। নাটক পাগল ক�ৌশিক পাহাড় প্রমাণ কাজ সামলেও রয়ে গেল। বাকি আমি, স�োমা, প্রীতম, ম�ৌসু মী ও ডিরেক্টর ইন্দ্রনীল। কি করে হবে “রাজদর্শন”?? মণিকা এল�ো, খুব দ্রুত তৈরিও হয়ে গেল। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট নয়। যখন 2nd প্ল্যান হিসেবে অন্য নাটক ভাবা হচ্ছে, তখনই পাওয়া গেল দেবুকে। দেবব্রত জাত অভিনেতা। “ভুশন্ডীর মাঠের” Hero অরুণাভ, শান্ত, স�ৌম্য, অভিষেক, দু রন্ত রাহুল, অবাঙালী গ�ৌরব, সাথে তার বাঙালী বউ পারমিতা; নানা গুণে গুণী পুর্ণেন্দু ; “আদিত্য”র ঐ রকম সাফল্যের পরদিনই হাজির ক্লান্তিহীন শ্রাবন্তী আর আরাধিতা। তৈরি হল Team রাজদর্শন। শুরু হল�ো রিহার্সাল--- জ�োর কদমে। কঠ�োর মাস্টার মশাই ইন্দ্রনীল N.S. Style এ লেগে পড়ল। Friday রাতে ১২ টায় শেষ করে Saturday সকাল ১০ টা। রবিবার, স�োমবার ও... সপ্তাহে ৪ দিন। কিন্তু নাটকের আগের নাটকীয়তা তখনও বাকি। 20শে র বিকালে জানা গেল অভিষেক জরুরী প্রয়োজনে কলকাতা যেতে বাধ্য হচ্ছে। এখন উপায়? অনেক আল�োচনার পর সিদ্ধান্ত হল�ো পূ র্ণেন্দু হবে মহামাত্য। আল�োর দায়িত্ব নেবে সর্বগুণ সম্পন্না - অনন্যা। কাজটা কঠিন, ভীষণ কঠিন। হাতে মাত্র তিনটে দিন। কিন্তু আমরা যে ভয়-ডরহীন। শুরু হল�ো রিহার্সাল, যু দ্ধকালীন তৎপরতায়। মঙ্গল, বুধ, বৃ হস্পতি। শুক্রবার স্টেজ রিহার্সাল। আর শনিবার....... সকলের সামনে অভিনীত হল, ‘রাজদর্শন’। এ লেখা যখন পড়ছেন রাজদর্শন হয়ে গেছে। প্রতিমা দর্শন চলছে। তাল তাল মাটি, পরিশ্রম, স্বপ্ন দিয়ে গড়ে ওঠে সম্পূর্ণ প্রতিমা। সময়, চিন্তা, ঘাত, প্রতিঘাত পেরিয়ে মঞ্চস্থ হয় নাটক। দর্শকের মন�োরঞ্জনই তার সার্থকতা। ইতি রাজদর্শন অথঃকথা। থেকে শুরু করে পূ জ�োর সব কিছু ঠিক করা হত এবং কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হত। সব কিছু খুব সু ষ্ঠু ভাবে হয়ে যেত। একদম নিজেদের বাড়ীর পূ জ�ো বলে মনে হত। মিলনMILON | october 2016 | 55


the year in retrospect 2015-16

DURGA PUJA 2015 18th - 23rd OCTOBER 2015 | RACE COURSE GROUND

Durga Puja 2015 started with Mahalaya celebrations (first time in BAS history) on 11th October which included ritualistic Mahishashur Mardini recital and Durga Stuti dance performance. The event was officially inaugurated on 18h October (Maha Panchami) by Honorable Indian High Commissioner to Singapore Ms. Vijay Thakur Singh followed by Anandamela and Salad decoration competition. During the next five days the precincts of Race Course Road reverberated with everything quintessentially Bengali. The programs involved young and old alike with poetry, music, songs, dance and humor in the air. One evening was exclusively dedicated for promoting integration of various communities and cultures from India. The festivities came to a fitting conclusion with the celebration of Bijoya Sammelani which involves the annual ritual of renewal of friendship among BAS members through Bijoyar kolakuli at East Coast Park.

56 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

PUJA PHOTOGRAPHS PARTHA RAY, MITHU CHAKRABORTY, GARGI MAZUMDAR, SOUNAK CHATTERJEE & AMRITAVA CHAKRABORTY

মিলনMILON | october 2016 | 57


the year in retrospect 2015-16

MAHALAYA: DURGA STUTI DANCE

PUJA WORK: THE TEAM TAKES A BREATHER

PUJA DECORATIONS: THE MAKING

DURGA P

PUJA INAUGURATION: INDIAN HIGH COMMISSIONER,

BHOG ARPAN 58 | মিলনMILON | october 2016

SALAD COMP


the year in retrospect 2015-16

AGOMONI : THE WELCOME

PUJA DECORATIONS MODELLED ON GARDENS BY THE BAY: THE TEAM

HANDMADE DECORATIONS

PUJA DECORATIONS:

PUJA 2015 ANANDAMELA

PETITION IN PROGRESS

SALAD COMPETITION JUDGING

মিলনMILON | october 2016 | 59


the year in retrospect 2015-16

MELODIUS EVENINGS

DHAAKI: THE DRUM PLAYER

DURGA PUJA

2015

60 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

PUJO

SHONDHI PUJO 108 pRODIP

DURGA PUJA 2015 DHAAK

মিলনMILON | october 2016 | 61


the year in retrospect 2015-16

DURGA PUJA 2015 ASHTAMI BHOG BITORON

SHONDHI PUJO

KUMARI PUJA

ASHTAMI BHOG ARPON 62 | মিলনMILON | october 2016

MAA

KIDS CULTURAL PROGRAMME


the year in retrospect 2015-16

SHONDHI PUJO

BABA, OTA KI?

DURGA PUJA 2015 NABAMI BHOG ARPON

মিলনMILON | october 2016 | 63


the year in retrospect 2015-16

MAHALAYA

AAROTI

SHAPTAMI BHOG PREPARATION

THE LI'L CHAMPS

DURGA PUJA 20 FASHION SHOW

64 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

EVENING CULTURAL ENTERTAINMENT

MORE LI'L CHAMPS

015 W

DHAAKI: THE DRUM PLAYER

DASHAMI MUSIC EXTRAVAGANZA NABAMI BHOG TEAM

মিলনMILON | october 2016 | 65


the year in retrospect 2015-16

REVELRY

AUDIO SKIT BY THE FORMER BAS COMMITTEE

DHUNUCHI

BORON

SHINDOOR KHELA 66 | মিলনMILON | october 2016


the year in retrospect 2015-16

DOLLYDI

NAACH

মিলনMILON | october 2016 | 67


BAS60 SPECIAL FEATURE

68 | মিলনMILON | october 2016


ট া ষ বছরের

BAS60 SPECIAL FEATURE

গপ্পো

একটা দুট�ো বছর ত�ো নয়, রীতিমত ষাট-ষাটটি বছর। সেই 1956 থেকে শুরু করে একটু একটু করে বড় হয়ে উঠেছে আমাদের Association। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ল�োক এসেছেন, সময় কাটিয়েছেন আবার সময় ফুর�োলে চলেও গেছেন। বিভিন্ন ল�োকের সংস্পর্শে এসে নানা ভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে Association, ধীরে ধীরে পরিণত হয়ে উঠেছে। এত বছরের গল্পও কিছু কম নয়। সেই গল্পের সন্ধানেই আমরা হাজির হয়েছিলাম আমাদের কিছু কিছু সদস্যের কাছে – কিছু পুরন�ো, কিছু নতুন। তাঁরা আমাদের শুনিয়েছেন তাঁদের সময়ের বিভিন্ন গল্প। চলুন, আমরা শুনি তাঁদের সেই গল্প – কিছু তাঁদের বয়ানে আবার কিছু বা কথ�োপকথনের মাধ্যমে।

সে

দিন এক ঘর�োয়া আড্ডার মেজাজে একসাথে পাওয়া গেছিল শেখরদা, অর্পিতাদি, ফুনু দা আর টুলু দিকে। ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। সঙ্গে সঙ্গে বসে গেলাম গল্প শুনতে। যা কিছু শুনলাম তার মধ্যে যতটুকু মনে আছে মিলন এর পাঠকদের কাছে তুলে ধরছি। শেখরদারা এসেছিলেন 1982-তে আর ফুনু দারা 1987-এ। শেখরদাদের সময়ে এর সদস্য ছিল 80 টা ফ্যামিলী আর ফুনু দাদের সময়ে এটা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় 100 র মত ফ্যামিলী তে। ভাবুন ত�ো পাঁচ বছরে মাত্র নতুন 20টা ফ্যামিলী। আর এখন এক এক বছরেই 100এর বেশি নতুন member join করে Association-এ। ওঁরা বললেন পূ জ�োর শুরু সেই 1978-এ, সেই সময় রমেশদা, দীপকদা, অঞ্জনদা, মিহিরদা এরকম আর�ো অনেকে মিলে পূ জ�োটা শুরু করেছিলেন। সেই সময়ে রীতিমত�ো বাড়ী বাড়ী গিয়ে চাঁদা নেওয়া হত। পূ জ�ো প্রথম শুরু হয়েছিল একটা মন্দিরে। তারপর ওটা চলে যায় কমলা ক্লাবে। কমলা ক্লাবটা ছিল রেঙ্গুন র�োডে। তারপর 1981 বা

অনু লিখন: ক�ৌশিক কুন্ডু

শেখরদা-অর্পিতাদি আর ফুনু দা-টুলুদির গল্প

1982 তে পূ জ�োটা চলে যায় Indian Association-এ। ওদের একতলায় একটা বড় ঘর ছিল – প্রতিমা সেখানে থাকত। বাইরে একটা স্টেজ করা হত আর খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা - সব মিলিয়ে বড়জ�োর দেড়শ – দু ’শ ল�োক। শেখরদার মুখে শ�োনা গেল, Riverwalkএর মালিক জাগতার তখন একটা ছ�োট ছাউনী তে পুর�ো ফ্যামিলী নিয়ে সবার জন্য রান্না করত। পূ জ�োতে বিভিন্ন জিনিসের দায়িত্ব ছিল বিভিন্ন ল�োকের। দেবুদা দেখতেন পুর�ো ডেকরেশন এর ব্যাপারটা, খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারটা দেখতেন শিউলিদি, বেবিদি এরা। বেবিদির instruction-এ রান্না চলত জাগতার আর তার family-র। পরিবেশন সব নিজেরাই করতেন। পূ জ�োটা করতেন জগুদা। আর পূ জ�োর ওখানে চাঁদার খাতা নিয়ে বসে থাকতেন সু নীলদা। অর্পিতাদি বললেন সেই সময় একটা আলাদা পূ জ�ো কমিটি তৈরী করা হত। পূ জ�ো কমিটি তে main কমিটির একজন member থাকতেন, বাকি সবাই বাইরে থেকে। বেবিদি অনেক বছর পূ জ�ো কমিটির chairperson ছিলেন। ওনার বাড়ীতে মিটিং হত। সেখানে বাজেট মিলনMILON | october 2016 | 69


BAS60 SPECIAL FEATURE

থেকে শুরু করে পূ জ�োর সব কিছু ঠিক করা হত এবং কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হত। সব কিছু খুব সু ষ্ঠু ভাবে হয়ে যেত। একদম নিজেদের বাড়ীর পূ জ�ো বলে মনে হত। টুলু দির মুখে শুনলাম একবারের ঘটনা – “দশমীর সন্ধেবেলায় প্রতিবারই ফুনু গান করত আর তার সাথে বাজাতেন শেখরদা। তা সেবার হল কি - স�োহাগ চাঁদ বদনী গান হচ্ছে – আর ৮ থেকে ৮০ সবাই নাচছে। গান একসময় থামল কিন্তু নাচ ত�ো থামে না। নাচিয়েদের অনু র�োধে গান রিপীট হল। নাচিয়েদের উৎসাহ কিন্তু একবার রিপীট-এ শেষ হওয়ার নয়। অগত্যা আবার রিপীট, আবার রিপীট। এইভাবে কতবার যে রিপীট হল কে জানে? নাচিয়েদের উৎসাহের ক�োন�ো ঘাটতি নেই। আর গান বাজনাও একসাথে তাল রেখে চলছে। সে এক মজার ঘটনা।” এই ঘটনার পুনরাবৃ ত্তি আমরা আজও দেখি – শুধু নাচ, গান, বাজনার কলাকুশলীদের বাদ দিলে বাকী আর কিছু ই কিন্তু পালটায় নি। ওনাদের কথাবার্তায় উঠে এল তখনকার AGM-এর কথা। সেইসময় AGM-এ ল�োকদের বাড়ী বাড়ি গিয়ে ঘুম থেকে তুলে টেনে আনতে হত – President হওয়া ত�ো দু রের কথা – committee-র member করে নেবে সেই ভয়ে কেউ নাকি AGM-এ যেত 70 | মিলনMILON | october 2016

না। AGM-এ ক�োন�োদিন quorum হত না। তারপর কি একটা rule আছে – কিছু ক্ষন অপেক্ষা করে meeting শুরু করা হত। ঘটনা কি খুব বেশি বদলেছে? হ্যাঁ, বাড়ী বাড়ী গিয়ে তুলে আনার ব্যাপারটা হয়ত এখন আর হয় না, তবে quorum না হওয়ার ব্যাপারটা এখনও আছে। কথায় কথায় ফুনু দা আবার চলে এলেন পূ জ�োর বর্ণনায় – “1996-এ পূ জ�োটা চলে এল Khalsa-তে। সেই সময় থেকেই পূ জ�োটা ‘বাড়ী থেকে বার�োয়ারি’ হতে শুরু করল। ল�োক তখন অনেক বাড়তে শুরু করেছে – তবে তখন�ো খাওয়া টা free ছিল সবার জন্য। Coupon-এর ব্যবহার তখন�ো শুরু হয়নি। সেই সময়েই একবার এত ভীড় হল যে আমাদের member দের অনেকে খাবার পেল না – তখন থেকেই coupon-এর ব্যাবস্থা করা হল। তবে ব্যবস্থাটা একটু অন্যরকম ছিল – free খাবার, কাউকে ত�ো বারন করা যায় না তাই ঠিক হল প্রথমে coupon ধারী ল�োকদের খাওয়া শেষ হলে তারপর অন্য ল�োকদের allow করা হবে – যা থাকবে তাই খেয়ে যাবে। সেই সময় ত�ো পূ জ�ো বলতে Bengali Association আর রামকৃষ্ণ মিশন – আর ত�ো পূ জ�ো হত না। তাই খুব ভীড় হত।” তখন 15 dollar করে বার্ষিক চাঁদা। নাটক, গান বা আন্যান্য program-এর জন্য যা কিছু


BAS60 SPECIAL FEATURE

PRESIDENT’S XI Vs SECRETARY’S XI

দরকার সব নিজেদেরই ব্যবস্থা করতে হত – এমনকি খরচাপাতিও নিজেদেরই করতে হত। তবে তাই বলে programএর জন্য উৎসাহের ক�োন�ো ঘাটতি ছিল না। তবে তখন ত�ো এত program হত না – তাই সব program-এ ই সবার ম�োটামুটি হাজিরা থাকত একদম পাক্কা। টুলু দির কথায় – “সেই অভ্যাস আমাদের এখন�ো রয়ে গেছে। ক�োন�ো program হলে যাব না ভাবতে পারি না।” তখন regular program হত পূ জ�োর সময়, পয়লা বৈশাখ আর পঁচিশে বৈশাখ। প্রথমে হত শুধু রবীন্দ্র জয়ন্তী, তারপরে ওটা change হয়ে হল রবীন্দ্র-নজরুল। তখন বেশির ভাগ program-এর পরেই খাওয়া থাকত আর বেবিদি একাই রান্না করতেন। তবে তখন ত�ো এত ল�োক ছিল না, তাই program করার জন্য ল�োক পাওয়া অত সহজ ছিল না। তখন rehearsal হত এখন যে

Mustafa, তার উলট�োদিকে আর্যসমাজে। তার ও আগে হত লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের দ�োতলায় একটা ঘর ছিল – সেইখানে। তখনকার এক মজার ঘটনা শ�োনা গেল শেখরদার কাছে – “আমি যখন committee member ছিলাম দেখতাম কিছু ল�োক আছেন, তারা করতেন কি – auditorium-এ cultural program হচ্ছে, তাদের ছেলেমেয়েরা program করছে আর তারা বাইরে বসে beer

খাচ্ছেন। ভাবতে শুরু করলাম যে এই ল�োকগুল�োকে কিভাবে involve করা যায়। Cultural program-এ এরা interested নন। Then I thought of a Cricket match – Presidents Eleven vs. Secretaries Eleven. আর এমনই হল যে, যে ল�োকগুল�ো বাইরে বসে খাচ্ছিলেন তারা খেলা শুরুর 1 ঘন্টা আগে মাঠে হাজির।” কথায়, গল্পে, হাসি, মজায় এইরকম ঘর�োয়া আড্ডায় কেটে গেল অনেকটা সময় – শুনলাম অনেক ঘটনা – জানলাম সেই সময়কার বাঙ্গালী আর Bengali Association-এর সম্বন্ধে অনেক কিছু ; আর ফুনু দার কাছে পেলাম সেই সময়কার বেশ কিছু photo। তারই কিছু কিছু তুলে দিলাম আমাদের মিলনের পাঠকদের জন্য।

মিলনMILON | october 2016 | 71


BAS60 SPECIAL FEATURE

ট া ষ বছরের গপ্পো

with DEBANJAN BAGCHI When did you come to Singapore?

continues with kamalda Former BAS President, Dr Kamal Bose takes a trip down memory lane

Majumdar and her three daughters. Two of them are still here. Another I came to Singapore in 1970. I was person who was very active was in the University as Professor/ Dolly. Dolly was married to Ranjit Chairman of Orthopaedic department Sinha. Ranjit Sinha’s father was a and retired from there in 2000 and very famous obstetrician. then started my Private Practice at Those days the Association was a Mount Elizabeth. very informal affair. We used to have the meetings while having dinner in What was your first impression of one of the member’s house. We used Bengali Association when you came to have all the functions but Durga here? Pujo was not a part of the social calendar. Towards the later part of In 1970 the Bengali Association 70s many more Bengali families like was like a small family Club. There Ajit Bagchi, Rames Chatterjee etc. were about 20 Bengali families, we came. used to meet up every Saturday at somebody’s house by rotation. Tell us about the inception and During that time there were very evolution of Durga Pujo celebration few expatriate Bengali families. I am here. one of the first batches of expatriate Bengalis to come and settle down in Durga Pujo started towards late 70s Singapore. or early 80s (not exactly sure when). Those days Moni, Nan were the main At that time Pujo was separate stalwarts of the Association (Moni from the Association activities. Pujo has passed away). Another person committee had its own President. who was very closely involved was When the first discussions started to Robinda. Robinda has also passed host Pujo, Bengali Association was away. He is Gautam’s (Banerjee) against it citing the argument that father. Gautam’s mother used to BAS is a secular organisation, cannot oversee the Bhog preparation during get involved in religious activity. Pujo. There were Sunil Pal and his I then tried to argue that Pujo is wife Baby Pal. There were Mrs. much more a social event than it is a 72 | মিলনMILON | october 2016

religious event. Finally, I managed to convince them but it was separate from BAS. I don’t remember when Pujo became part of BAS calendar, must be during Nan’s time or may be during Niva’s time. First time we had Pujo at the Govindaswamy temple on Serangoon Road, then we had the same problem as now, there were too many people who came and ate, we could not control the crowd and then there was not enough food left for the members. Next year Pujo moved to Kamala Club. It is named after Panditji’s (Jawaharlal Nehru) wife Kamala Nehru (the club doesn’t exist anymore). Then Nan and Moni became very interested in Pujo, not for the actual Pujo but because it was a big party out there. We used to carry all the drinks in the boot of the car and used to have lots of drinks and be merry. After Kamala Club we moved to Indian Association where we used to put up a tent. For making it easy to get the place I became life member of Indian Association. After few years at Indian Association then we moved to Khalsa Association. Then all the discussion about ticket and limited entry began. If it is a private event then it can be done at your own home but if it is at a public space, then restricting entry is not right. Those days the Bangladeshi workers used to come, they had to wait till all members finished eating then they were allowed to eat whatever was left. Some of us felt very bad about this. Food, ticket, having to pay for visiting parents became a bone of contention. All this started at that time but now it has gone to a stage where it feels like it’s a private event. Doesn’t feel like a community festival anymore. We have to make the public feel welcome and make some kind of provision so that the organisers are not stressed out. Most of the early Bengali residents of Singapore came from Seremban in Malaysia. There used to be a Kali Pujo in Seremban, we all used to go there for few days during Kali Pujo time. Nowadays we have passed our


BAS60 SPECIAL FEATURE prime. People go to Pujo to enjoy with friends and family. For us not many friends are left. Some of them have left Singapore, some have passed away and those who are still here are not physically active. That’s why we don’t attend Pujo these days. Maybe we would go there once or twice but not every day twice daily like before. Our interest has dwindled because we miss the adda. When we talk about Pujo lot of good memories come flooding. We had many more social activities like cricket game. Nan used to be a very good cricket player. Sekhar used to be very culturally inclined, and always have been involved in BAS programmes particularly in Tabla. Banasree Bhattacharya directed many dramas during that time. Another person is Debu, he used to be in charge of the decoration. He would quietly do the decoration, even very recently also I have seen him doing the decoration. Samit Ghosal was also very active in the cultural scene. Sunil Pal will know quite a bit about the evolution of BAS during the early days. Rahul Nandi used to play a very important role. He used to bring the idol. I remember the first time we organised Pujo we had big trouble bringing the idol. Samir Dutta (Sanjay Dutta’s father) was in charge of bringing in the idol. Not even three days left for Pujo to start but the idol was not here yet. We had a meeting, some people became very angry. Those were the days of telex. Air India was supposed to bring the idol for free but it was not coming and they sent many telex messages giving one reason or other why they haven’t despatched yet. Anyway finally the idol arrived just in time for the Pujo.

whose children are getting more exposure in the functions). At that stage of my life I was too engaged in many other activities both Academic and Social (International Red Cross, Spastics Society, Singapore National Council of Social Services and many others at National and International level).

How was your experience in the organisational aspect of BAS?

My last question: What would you like to say about the current Bengali Association management? Any advice how we can make things better?

I was President for few years but even when I was not President, I was very closely involved with the day to day functioning of BAS. Like any organisation there was inside politicking in BAS too. But I was not directly involved in that but I was aware of it (the main issues were

photos courtesy

AROTI CHAKRAVARTY ub pujo kamala cl

You have lived in Singapore for more than 45 years, you have grown with Singapore and have become deeply integrated here. What are the current challenges in your view in terms of integration of expatriate families with the Singapore society? When we came here even the local Indian population used to be very patronising. Many of them did not have much knowledge of what’s happening in India. Now the problem is reverse, the local population feel that they are being looked down upon by expatriates. There has been a problem with integration. When the percentage of expatriate population was low, we had no choice but to integrate with the local society. But nowadays there are so many expatriates that you don’t feel the need to integrate. You probably still have friends from your University who are living here. So, in your leisure time you would rather mix with friends from back home rather than try to integrate with local people. I am not saying whether it’s good or bad but that’s how it is and that has been the challenge with national integration. My wife is not Bengali (she is from Delhi) and when I came here the Bengalis here were also not very Bengali, so it suited everybody and integration was much easier.

You all have been running the Association in a very professional style and has progressed tremendously from the humble beginnings. We started Durga

INDIAN ASSOCIATION pujo

EARLY SOCIATION KHALSA AS

YEARS

Puja with $15000 budget and now that has grown multifold. My only request is that during Durga Puja adequate arrangement should be made for non-members, they should not feel like intruders and should be welcome to attend the Durga Puja. Good to know that you all are trying to serve Bhog on all days. It’s a challenge to estimate the quantity, just make it first come first serve.

মিলনMILON | october 2016 | 73


ট া ষ বছরের BAS60 SPECIAL FEATURE

আলাপচারিতায় মধুছন্দাদি...

গপ্পো

চৈতালী তরফদােরর সাথে

পাড়ী দেবেন, তা তিনি স্বপ্নেও ভাবেন নি। আমরাও আশা নিরাশার দ�োলায় ডুবছিলাম, কেমন হবে সেখানকার ল�োকজন! ছেলেটা বড় হলে ঠিকমত লেখাপড়ার সু য�োগ পাবে ত�ো? গীতা আর খুন্তি সেখানে মেলে কী! এখানে এসে কিছু দিনের মধ্যে সমস্ত ধারণা পাল্টে গেল। BAS এর তৎকালীন সেক্রেটারী কুমারেশদা ও তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণাদি আমার husband এর পূ র্ব পরিচিত থাকায়, তাদের মাধ্যমে আলাপ হয়ে গেল অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে। তাছাড়া IITans ত�ো পৃ থিবী জুড়ে, তাই খড়্গপুরের এবং একই হলের বন্ধু পেতে আমার husband এর দেরী হল�ো না। অন্যদিকে এখানকার পড়াশুনার ধরন, পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতা, discipline সবই আমার ধারনার বাইরে! ভাল�ো লাগল খুব, মনের আনন্দে শুরু করলাম আমাদের নতুন জীবন। ২) আচ্ছা, একটা কথা বল, তুমি, দেবুদা ভীষণ ভাবে জড়িত থেকেছ BAS এর সাংস্কৃতিক অনু ষ্ঠানে, পুজ�োতে এগুল�ো করতে গিয়ে কিছু কিছু ঘটনা নিশ্চয়ই মনে দাগ কেটেছে ভীষণ ভাবে, একটু যদি শেয়ার কর...

সম্পাদকের দপ্তর থেকে BAS এর গ�ৌরবজনক ৬০ বছরের উপর একটি বিশেষ বিভাগ করা হবে শুনতেই আমার মনে এল মধুছন্দাদির কথা। সিঙ্গাপুরে এসে দেবুদা আর মধুছন্দাদিকে নানা ভাবে অ্যাস�োসিয়েশনের কাজে সময় দিতে দেখেছি। দেবুদা পুজ�োর সাজান�োর কাজে ব্যস্ত বা মধুছন্দাদি বাচ্চাদের অনু ষ্ঠান করান�োয়, তাই বলাবাহুল্য, এই দম্পতি আমাদের BAS এর এগিয়ে চলার একটা ছবি দিতে পারবেন জানতামই, বাস্তবিক প্রশ্নের ঝাঁপি খুলে উত্তর পেতে দেরী হয়নি। সিঙ্গাপুরে আগত নতুন বংগ্সদের এই সাক্ষাৎকার যে মন�োবল বাড়াবে, তা বলাই বাহুল্য । অনেক ups and down থাকলেও BAS কিন্তু সত্যি একটি পরিবার। ১) স্বাভাবিক ভাবেই প্রথম প্রশ্ন, মধু ছন্দাদি কতদিন হল সিঙ্গাপুরে? এখানে পা দেবার আগের প্রত্যাশা, আসার পরের অভিজ্ঞতা -- একটু বল... --- ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ছ�োট্ট বাবাই (অভিষেক) এর হাত ধরে আমাদের সিঙ্গাপুরে পদার্পণ। এখানে 74 | মিলনMILON | october 2016

এসে যা পেয়েছি, তা পাবার ছিঁটেফ�োঁটা প্রত্যাশাও ছিল না। M.A. পাস করেছি তার বছর খানেক আগে... কতই বা বয়স আর কতই বা অভিজ্ঞতা! বিদেশের মাটিতে পা রাখা সেটাই প্রথম। এক মেয়ে হওয়ার কারণে আমার বাবা ম�োটেই খুশী ছিলেন না জামাতার আচরণে, মেয়েকে নিয়ে দূ র প্রবাসে মেয়েকে নিয়ে

--- হ্যাঁ, প্রথম থেকেই আমরা BAS এর সাংস্কৃতিক অনু ষ্ঠান, পুজ�োর সাথে ভীষণভাবে জড়িত, তখন সদস্যসংখ্য এত ছিল না আর ভান্ডারও ছিল সীমিত। ত�োমাদের দেবুদা, বছরের পর বছর নিজে তক্তা কেটে কাপড়ে দিয়ে ঢেকে প্যান্ডেল বানাত�ো এবং অন্যান্যরাও তাতে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিত। পুরুষ, মহিলা অনেকেই সাংস্কৃতিক অনু ষ্ঠানে অংশগ্রহন করত। এইসব অনু ষ্ঠানের স্টেজ প্রপ্সেও দেবুদার ছিল ভীষণ গুরুত্বপূ র্ণ ভূ মিকা। আর আমি গানের অনু ষ্ঠানে প্রথম থেকেই অংশগ্রহন করেছি, পরবর্তীকালে বাচ্চাদের choir and dance drama পরিচালনা করেছি অবশ্যই অন্যান্যদের সাহায্য নিয়ে। তার মধ্যে শেখরদা ও ফুনু দার (শ্রীসমিত ঘ�োষাল) কথা সবার আগে বলতে হয় । দেখ�ো, যেক�োন�ো অনু ষ্ঠান করাতে গেলে ভালমন্দ দু রকম অভিজ্ঞতাই হয়, তবে সহয�োগীতা পেয়েছি প্রচুর একথা স্বীকার করতেই হবে। ৩) আমাদের পুজ�োর ‘ভ�োগ’ এখন পৃ থিবী


BAS60 SPECIAL FEATURE বিখ্যাত, ভ�োগ রান্না কীভাবে শুরু হল, ইত্যাদি যদি একটু বল... (বিভিন্ন বছরে কি পরিবর্তন হয়েছে) --- আগেই বলেছি BAS এর সদস্যসংখ্য ছিল সীমিত, সু তরাং আমরা কয়েকজন মিলে যে ভ�োগ রান্না করতাম, তাতেই সকলে পেট ভরে প্রসাদ পেয়ে যেত। প্রথমদিকের ৭০-৮০ বাড়তে বাড়তে ২০০-২৫০ জনকে পেট ভরে খাওয়ান�োর মত ভ�োগ আমরা নিজেরাই রান্না করেছি। এই প্রসঙ্গে আমি কিছু কথা উল্লেখ করতে চাই, এখন সদস্যসংখ্য অনেক বেড়ে গেছে এবং পুজ�োর কটা দিনে দু পুরে সবাই কিছু প্রসাদ পাবার আশা রাখে কিন্তু মহিলাদের পক্ষে এতজনকে প্রসাদ দেওয়ার নত রান্না করা সম্ভব হয় না, তাতে অনেকেই মন:ক্ষু ন্ন হয়, তাই BAS এর পুরুষ সদস্যরা এব্যাপারে এগিয়ে আসতে পারেন বা অন্য ক�োন�ো ব্যবস্থা করা যেতে পারে তাহলে পুজ�োর কটা দিন সকলেই খুশী থাকবে। (প্রসঙ্গতঃ, উল্লেখ করা যেতে পারে, বর্তমান MC পুজ�োর প্রস্তুতির অঙ্গহিসাবে এবারের পুজ�োয় দু পুরে সকলের জন্য খিচুরির ব্যবস্থা করেছে, একথা জেনে নিশ্চয়ই মধু ছন্দাদি খুব খুশী) ৪) সিঙ্গাপুরে প্রবাসী জীবনে নাটকেও তুমি অনেকবার অংশ নিয়েছ�ো, সিঙ্গাপুরে আমাদের নাটক সম্পর্কে ত�োমার অভিজ্ঞতা শুনতে খুবই ইচ্ছা করছে... --- আমার নাটক করাটা একেবারেই হঠাৎ করে । কলেজে recitation বা acting একটু আধটু করলেও , সিঙ্গাপুরে আমার কর্তাই নাটকে ভাগ নিত। এরকম এক নাটকে আমাকে প্রম্পটারের কাজ দেওয়া হয়, প্রম্পট্ চলাকালীন, বন্দনা মুখ�োপাধ্যায় (এককালীন All India Radioর assistant station director) আমার প্রম্পটিং কিছু ক্ষণ শুনেই সরাসরি আমাকে নায়িকার র�োলটাই দিলেন। নাটকের নাম পণ্চভূ ত, আর আমি পেত্নী heroine আর সাথে পাঁচটা ভূ ত! এরপরে অনেক নাটকে আর skit এ অংশ নিয়েছি BAS আর BAS এর বাইরেও । নাটক ইত্যাদির রিহার্সাল ছিল আমাদের কাছে নিত্যনতুন পিকনিক। রিহার্সালেও রান্নাবান্না চলত সমানতালেই। বিভিন্ন বাড়ীতে রিহার্সাল হত , সাধারণত: যার বাড়ীতে রিহার্সাল হত, তিনিই hostess, অন্যান্যরা সাহায্য করতেন। এখন সবাই

মিলে পালা করে খাবার নিয়ে যাওয়া হয়, রিহার্সাল হয় ফাংশন রুমে। ডাইরেক্টরের নির্দেশ কখন�ো কেউ তখন�ো অমান্য করেনি, এখন�ো করে না। বলতে পার�ো নাটক বা cultural rehearsal, always recreational...

৫) ত�োমার family সম্পর্কে একটু যদি আল�োকপাত কর --- বড় ছেলে ডঃ অভিষেক, স্ত্রী জয়িতা ও যমজ সন্তান আনিয়া ও আরুষকে নিয়ে লন্ডন প্রবাসী, ছ�োটছেলে অভ্রদীপ cyber forensic নিয়ে পড়াশুনা করে সিঙ্গাপুরে। Last but not the least, Diamond Jubilee year এ পড়ল BAS, ত�োমার অনু ভূতি... --- BAS এর ৬০ বছরে পদার্পণ, আমার মনে ক�োন�ো বিশেষ অনু ভূতির সৃ ষ্টি করে না, যদিও আজ তার আয়তন বড় এবং বিভিন্ন দিকে তার পরিধি বিস্তৃ ত, আমার বিশ্বাস, BAS ছিল, আছে এবং থাকবে। বাংলা সংস্কৃতির হাত ধরে, সে আর�ো অনেকদূ র এগিয়ে যাবে।।

মিলনMILON | october 2016 | 75


ট া ষ বছরের BAS60 SPECIAL FEATURE

গপ্পো

continues with NAN-da

withআহেলি AAHELI TARAFDAR

In Pursuit of Discovering New Talents

Former BAS President, Nan Ghosh together with wife, Ai Teen were in a chatty mood With his distinctive look and intense gaze, Mr. Anil Baran Ghosh – or Nanda, as he is popularly known – is a familiar figure in Bengali Association Singapore, having served as the President of this organization for seven consecutive years. This year, we’ve decided to give members of BAS an insight through this remarkable man’s eyes. Our special Diamond Jubilee edition of Milon wouldn’t be complete without his insights, would it? So we took a trip down to his residence at Faber Drive where he lives with his beloved wife Ai Teen. Nan-da and Ai Teen welcomed us with open arms and warm smiles. Pleasantries were exchanged, and the interview began. We started off with a discussion about Bengali Association’s history. Nan-da says he doesn’t remember much about how the association was established, but recalls that he became the President when the late Mr. Rahul Nandi (or Rahul-da, as he was fondly known) proposed that he

76 | মিলনMILON | october 2016

take on the mantle. At first, he was unwilling to take on the position for a number of reasons but then decided to honor Rahul-da’s trust. And the rest, as they say, is history.

their contributions with a smile. His knowledge about the profound contribution that the youth were capable of, lead the team to spot talents.

Recently Kamalda (Professor Kamal Bose) revealed, doing Durgapujo was Nanda and Monida’s (late Mr. Moni Dutt) brain child. They wanted the complete Bangaliyana in this little red dot, and celebrations of Durga Puja was necessary to complete that circle.

There is a twinkle in his eye when he talks about this. “Yes,” he says, “I always wanted new faces, new talents to come forward and take part. There is no dearth of talent in this community,” he notes, which explains the unwaveringly high quality of performances that have always been put up by our association for so many years. “These people proved themselves worthy of the confidence we placed in them, and I am so happy to see them still involved in so many activities,” he says with a smile.

Nan-da was, as I’ve mentioned, the President of BAS for a whopping seven years. He says, association always held various functions to cultivate the indomitable Bengali spirit. During his tenure, they too tried bringing many talents to the forefront. He attributes the success of his endeavors to his team. “I started off with a very young, very enthusiastic team,” he recalls. Mr Gautam De, Mr Gaurav Sengupta, and Mr Ajoy Dasgupta, among numerous others, were instrumental in the smooth running of the Association, and Nan-da remembers

Nan-da has always been heavily involved in BAS activities, and will continue to support the association as best as he can in the years to come. He and his wife Ai Teen, is delighted to see the association reach a milestone like the Diamond Jubilee, and wishes it and its members all the very best.


BAS60 SPECIAL FEATURE in conversation

bas needs to redefine the way forward

ট া ষ বছরের গপ্পো

Past President, Abhijit Ghosh talks to Chaitali Tarafdar Q: Abhijit, just last year, you led the BAS MC, please reflect your take on BAS. Abhijit: Over the years, it is heartening to see BAS growing in size and stature. It is now playing an important role as a platform to foster bonding and integrating our members and nonmembers in Singapore in a harmonious manner. Thanks to the current Management committee under the leadership of Debashis for their relentless effort to take BAS to greater heights. It is a matter of time before we will see BAS expanding its presence further in areas of social service, organizing cross border cultural events and investing more in technology to offer better services. Q: We have a huge member base now (about 900 family memberships), members who are volunteering in association activities are actually doing it in spite of their very busy schedule, but you have seen they all are stretching themselves significantly, can we do something so that all the volunteers will get pace and can do things within their comfort zone?

governance purpose this person or organization may be supported by an elected advisory committee. The GM and his team should be responsible for managing events, expanding membership base, arranging sponsorships etc. Q: How was your experience working in and leading the MC 2015? Abhijit: I must admit that it was a privilege and great personal

experience for me to serve BAS and our members last year. I learnt a lot during my tenure but more importantly it helped to fortify my personal relationship with our MC team members and many other friends who stepped up to join me on the journey to take BAS forward. Thank you Abhijit for your time in spite of your busy schedule and I’m sure members will appreciate your views... আগাম শারদীয়ার শুভেচ্ছা...

ABHIJIT GHOSH Abhijit Ghosh, residing in Singapore with his family for two decades, was the President of the BAS Management Committee 2015. Son Siddhanth is completing his National Service, and daughter Tanya is in Australia pursuing higher education. The children, and his wife, Jhimli (Suparna), has been participating in various activities of the association over the years. Abhijit has seen our association evolve in many ways, and by leading the association very recently, has a clear insight of its day to day activities. At this crucial, important and historic moment of BAS, in its Diamond Jubilee year, here we came to get his views, which will help us understand the NOW and THEN…

Abhijit: Increasingly it will be difficult for any of our members to spend the level of time and effort that is required to manage BAS on a part time basis, particularly if they are full time professionals working elsewhere. I believe time has come for us to be pragmatic, redefine BAS’ constitution and engage a third party service provider or a general manager to run and manage it. For মিলনMILON | october 2016 | 77


BAS60 SPECIAL FEATURE

ট া ষ বছরের গপ্পো

We successfully brought in more transparency, brought the entire picture in front of the larger community.

PAST PRESIDENT DEBAJIT DAS IN CONVERSATION withআহেলি AAHELI TARAFDAR Mr. Debajit Das and his family might have only lived in Singapore for less than a decade – but Debajit, his wife Piyali, and their kids Rishav and Sharanya are regular fixtures in our Association. Since they got here in 2009, the Das family has been involved in various cultural activities and, most notably, Debajit served the as the Vice President and President of Bengali Association in 2013 and 2014 consecutively. We’ve had a look at the history of BAS – how it began, how it was run, how it grew. Now, let’s look at how things are done today.

When you first came to Singapore, what were the societal and professional expectations that you had? Debajit: I’d spent most of my family life in England, so it was sad to uproot ourselves from the place which had become home, the place where our social life was. I had little knowledge about Singapore then and hence the migration was open and nervous. No expectations, really – I was mostly nervous about the uncertainty. The first thing that we were struck by was the warmer weather which greeted us – and thankfully the welcome we received was no less warm. We were introduced to a number of Bengali families who welcomed us cordially and our expectations started to change. We enjoyed the social interactions with the people in this community, as well as how structured and organised Singapore is. Within a few years of coming here, you became the Vice President and then the President of BAS. How would you describe your experience in these roles? Debajit: I’ve always enjoyed working in such environments, and if that work can bring joy to others, it becomes even more satisfying. I was regularly involved in work like this in the past, and BAS was no different – though I wasn’t planning

78 | মিলনMILON | october 2016

on becoming the VP, I just turned up at the AGM and was ushered into the role! During the course of the year, I found that even though the Association is large, the number of active members is few (and fewer still step forward to contribute). This was the main challenge the committee faced. Towards the end of my tenure as Vice President, I thought that BAS was heading towards disaster unless the pressing issues were tackled head on. So I talked to some like-minded people and we took responsibility of the revival of the association. That was the year I took on the role of the President. My team and I took on the motto of inclusiveness, transparency, and sustainability. We successfully brought in more transparency, brought the entire picture in front of the larger community. Through the course of the year and the subsequent committees’ efforts, we have shown that we have also put it on a sustainable track. As for inclusiveness – we planted a seed that has started to grow, with this year’s committee in particular in taking it to the next level. We opened the subject, and a lot remains to be done, but it is going in a very promising direction. When you were the Vice President, you brought about some notable changes which were appreciated by members – could you tell us more about these?


BAS60 SPECIAL FEATURE

Debajit (extreme right) with other BAS members during Puja 2015. Also in the picture are President, Debashis Tarafdar (third from left) and Past President, Abhjit Ghosh (fourth from left)

Debajit: My first effective engagement with members was as a convener for Pujo. In the spirit of being inclusive, I tried to open it up to more people, but at the same time it was going out of hand logistically in many cases, so we had to bring about some specific logistical improvements. Some of these improvements received overwhelmingly positive responses from the members, but as with everything else, there was some opposition. For instance, while many appreciated the increased security and the differentiation between the Members’ zone and Nonmembers’ zones, some were not so keen. However these were isolated incidents and the bigger picture suggests that these were positive changes which improved the Pujo experience.

Why did you choose to step down after your highly successful year as President? Debajit: I wasn’t there to “rule” BAS. At that time, I thought my skill set matched the needs of the association. My team handled the pressing problems that BAS was facing right then, but our time has passed. BAS consists of more than 900 families, there are bound to be plenty of capable people for the job. The involvement of a large number of members is paramount. Overall, what else can be done to improve members participation and involvement? Debajit: There is no magic formula – BAS is significantly more inclusive today than what it used to be, and if we keep the current efforts going then we will only get better and better.

Pic : MITHU Chakraborty

....if we keep the current efforts going then we will only get better and better. .

মিলনMILON | october 2016 | 79


BAS60 SPECIAL FEATURE

ট া ষ বছরের গপ্পো

continues with AROTIDI Photo taken in the 70’s of Manorarmar, Basanti, Shiulu Sen Gupta and Bani The Durga Puja in Singapore was initiated by SK Chakravarti (Joguda) and Mihir Chakraborty in the mid 70’s. The first Durga puja was held at Perumal temple, Serangoon Road

and not only was it well received by the Bengali Community but all other Indian communities as well. The prayers were done by our own local Bengali residents. As it was held in the temple premises, only vegetarian food were served.

YESTERYEARS: MEMORIES OF DURGA PUJA Aroti Chakravarti shares her memories from the 70s & 80s along with photos from her album

Indian Association. Manorarmar, Nan Ghosh, Aroti Chakravarti, hubby (Krishnan) and mother in law

80 | মিলনMILON | october 2016


BAS60 SPECIAL FEATURE Durga Puja 1985

Durga puja 1983 Aroti dancing

The subsequent year was held at Kamala Club so that all members could enjoy non vegetarian dishes to celebrate the joyous occassion.

1982 Durga Puja. Joguda (S.K. Chakravarti and Manoramar)

As the Bengali community grew in size, a larger venue was needed. Thereafter, Durga Puja was then held at Indian Association followed by Khalsa Association. Durga Puja, Kamala Club Priest Joguda (S.K. Chakravarti)

মিলনMILON | october 2016 | 81


THE PRESIDENT’S INTERVIEW

Working to Make BAS an Inclusive Society MILON Editorial team member, Mousumi Banerjee met up with BAS President, Debashis Tarafdar

We have implemented several key processes, using technology and the power of social networks, to streamline the day to day activities.......

82 | মিলনMILON | october 2016

How has the year been so far, in terms of BAS and its activities? How do you feel leading BAS in this Diamond Jubilee year? DT: An eventful year, I must say, although still the biggest event, Durga Puja, to go. Maybe a bit too early, but based on the feedback that we are getting, the spontaneous participation that we are seeing from the cross section of the members, the enthusiasm that is apparent in making every program a success – shows that we have definitely something to cheer about. I am thankful that I am aptly supported by a young but dedicated management committee, which is culturally inclined, innovative, multi-talented and technology-savvy, at the same time. If I’m not mistaken you were the Secretary during BAS’s Golden Jubilee year in 2006, so it’s really heartening to be with BAS at its historic moments, isn’t it? DT: Certainly. However, that comes with a certain set of expectations too. Needless to say, BAS thrives in the spirit of inclusiveness, in its ability to provide a platform that members can leverage to celebrate our rich cultural heritage, and to build social relationships that gets stronger over the years. I am sure most of us think that way, but the implementation sometimes becomes a bit challenging given the multiple commitments that all of us have. We have been especially lucky this year to be able to implement several key processes, using technology and the power of social networks, to streamline the day to day activities and to reach out to members in a

timely manner. I believe we have come a long way since the Golden Jubilee year, but still there are ample opportunities to improve. How long are you associated with BAS? What is your observation over the years basically how did it evolve? DT: Me and my family are associated with BAS since 1998, the year we came to this Little Red Dot. The journey has been exciting. Those days we mostly communicated with the members through emails and hard-copy circulars. There were fixed events, four or five, and the Durga Puja. I remember, when we started bringing external artists from India – it created so much enthusiasm. Over the years, one thing that really evolved is the way we communicate with the members. Today we are extensively leveraging the power of social networks and web to reach out. With the growth in our member base, Durga Puja also evolved. From the function hall at Khalsa, we embraced open air venues – rather forced to – to give everyone the space they needed. That brought its own challenges with it – the cost, the sleepless nights to make both ends meet and to ensure a secure environment for the families to enjoy the celebration. You and your family are always active participants of BAS, so that is not new, but please let the readers know any unique initiatives taken this year? DT: I won’t say unique, but one thing the entire management committee has consciously worked on this year is to make BAS an inclusive society. We particularly ensured that the new generation should feel at home and contribute positively, working closely with the senior members. Together we wanted to take BAS to newer heights – by providing a conducive environment where the experienced and the enthusiasts both meet – and create wonderful memories for everyone to cherish for a long time to come.


THE PRESIDENT’S INTERVIEW What are the problem you faced and according to you what are the scopes to improve those? DT: One of the major issues that every committee faces is to ensure that the funds are available to help organize top quality events throughout the year. We have grown significantly in the last 10 years, with lots of activities, particularly the open-air Durga Puja, the costs have gone up, which cannot be met with the subscription and Puja overhead alone. Generous donations

from a section of the members and sponsors have been helping us to stay afloat in the past. I think we need to think of innovative processes so that with everyone’s help collectively we generate sufficient funds to run the events. With 850 plus family membership, and various initiatives and calendar of program, how is the work load

for MC members? What can be done to reduce MC members’ workload? DT: In an organization like BAS, members of the management committee opt to serve the association voluntarily – so, at least, I cannot complain. However, it takes a significant amount of work to put up quality programs with a large cross section of the members. It is very important to have two essential ingredients for success: support of the family, and a cohesive management committee.

If one of these two elements are not present, it becomes extremely difficult to carry out the duties. In terms of reducing the workload of the committee members, I think inclusiveness and spontaneous participation of the members is an absolute must. This will also create a sense of belonging – from which the future leaders of the association will emerge!

........the costs have gone up, which cannot be met with the subscription and Puja overhead alone.

Pictured above: L-R: Wife Chaitali, daughters Aaheli, Aayushi and Debashis

মিলনMILON | october 2016 | 83


IN LOVING MEMORY

bibhasDA

84 | মিলনMILON | october 2016


IN LOVING MEMORY

motto

If you can’t fly then run, if you can’t run then walk, if you can’t walk then crawl. But whatever you do, you have to keep moving forward Martin Luther King, Jr

1938-2016

bibhas chandra ghosh Bengali Association Singapore lost one of its senior members, and ex President Bibhasda (Assoc Prof. Bibhas Chandra Ghosh) on 12th June 2016. He was 78. Bibhas Ghosh was born in Howrah Kolkata. He came from a family of 6 brothers and 4 sisters. Education and learning was always his lifelong passion. Being born into poverty Bibhasda always felt “ it also gave me a lot of energy and courage to want to press on and not surrender to negative forces“. He persuaded a degree in Business/ Economics while doing the odd jobs to pay for his own education, to support himself and to help his younger siblings. Due to a burning desire to rise out of poverty,with sheer determination Bibhasda managed to secure his first job as an Accounts Assistant with The Geological Survey of India, Kolkata. After working for two years, one fine day unknown to his folks and friends, he ventured on a sea voyage to London with a mission to pursue a name for himself. With no persons known to look upon for shelter the good God led him to a kind Bengali gentleman who chanced upon him on the ship and was impressed by BIbhasda’s will to survive and readily volunteered his shelter for 20 days. He did menial odd jobs and saved for his education . Then qualifying as a Management Accountant (1960) started to work in London with the Ford Motor group . After two years as he got home sick returned to Kolkata where he got married to Bandana

Ghosh. He worked in various companies in UK and India like Imperial Tobacco , Andrew Yule and company etc . He also worked in Zambia but decided to settle in Singapore with his two children and wife . But due to his strong inclination towards the academia, he worked for both NUS and NTU as Associate Professor of Strategic Planning. After retirement he also started his own Education Consultancy in Singapore. He was appointed as . Singapore representative(Dean) for the International University in Vienna( Austria) As a father he was instrumental in shaping the future for both his children- Prof Sudip Ghosh and Dr Rinkoo Ghosh. They will always be grateful to their father. He and Bandanadi , helped in shaping the BAS in its early years. He was one of the auditors for BAS for at least 10 years and advised the committee on financial matters.He regularly participated in annual dramas and cricket matches.A practical, sensible and well read man, Bibhasda was also very loving and had a great sense of humour. We will never forget his gorgeous smile and his witty spirit. While it is very difficult to accept he is no longer with us today, we take comfort in knowing that he is in a better place, where there is no more pain . He is deeply missed by his family and friends, and continues to occupy a special place in our hearts

Written by Rinkoo/Sudip Ghosh on behalf of the Ghosh and Ray families মিলনMILON | october 2016 | 85


THE TALENT REMAINS AWESOME

the world of art 2016

In the pages that follow you will see, like every year, the amazing artistic talent that is there among the Bengalee Community in Singapore.

86 | মিলনMILON | october 2016


ARTIST: RUPAK DUTTA | MORE FROM RUPAK IN THIS SECTION মিলনMILON | october 2016 | 87


the world of art 2016 aania dutta | abhipraya mandal | aadreeja dutta | ahan guha bakshi | anamika dutta | angsith sarkar | anushka ghosh | arik bagchi | ayush sarkar | bhaswati bhawal gon | debarpan dutta | debjani bose | dilip k ghosh | manisha sarkar | priyadarshini das | rick mukherjee | ridhima roy | ritujit mandal | rupak dutta | sagnik patranabish | sangeeta dhar | shuchi ray | srijani mukherjee | sudipta das | sujata ghosh | suvam sarkar | vaswati pattanaik

The Artists. The Works.

the world of art 2016

88 | মিলনMILON | october 2016


the world of art 2016

edi-

SPeCiAL BAS diAMONd JUBiLee iSSUe

OCTOBER 2016

Best Moment of The Year 1956-2016

Quisque vestibulum amet perdiet ipsum lacus molestie vestibulum amet molestie scelerisque eni perdiet ipsum lacus molestie.

মিলনMILON | october 2016 | 89


the world of art 2016

aania dutta, 5

Abhipraya Mandal, 8

debarpan datta, 7

90 | মিলনMILON | october 2016


the world of art 2016

Ritujit Mandal (Sunny), P2

Sagnik Patranabish, 7 SAGNIK is studying in Tampines Primary School in P1. He is very innovative in nature and a good reader of modern comic books. Other than his studies he is good in Swimming and Drawing. He is pursuing for his silver & gold test in swimming this year. In his off time he likes to draw picture and frame it. His favorite characters are Spiderman, Superman, Ironman and Captain America. His common hobbies are drawing, word searching and making various shapes using Lego bricks.

মিলনMILON | october 2016 | 91


the world of art 2016

The Storm

Spray Painting, done using water colour on paper.

92 | মিলনMILON | october 2016


the world of art 2016 The Silhouette Using oil paint on canvas

The Lion

A sketch, using pencils on paper

Ahan Guha Bakshi, 6

Ahan is passionate about art and painting since a very early age. At present, he is being guided by Smt. Anamika Das Dutta, a reputed artist and an eminent member of BAS, to further improve his artistic skills. Ahan studies in Primary 2, Global Indian International School, Singapore.

Colours

An abstract art done on canvas using oil paint and sticky tapes

মিলনMILON | october 2016 | 93


the world of art 2016

SUVAM SARKAR

94 | মিলনMILON | october 2016


the world of art 2016 Lord Ganesha PUSSY CAT

Srijani has a penchant for artistic hobbies like drawing, dancing and singing. Here she presents some of her drawings reflecting her observation of the world around her.

SRIJANI mukherjee, 6

SINGAPORE SKYLINE

FROG IN A WELL

FLOWER BED

Shuchi Ray, Grade 2 SHUCHI HAS ALSO CONTRIBUTED TO THE LITERARY SECTION

মিলনMILON | october 2016 | 95


the world of art 2016

ridhima roy,7 Ridhima’s fascination with Pablo Picasso’s style of work was the main inspiration for her attempting this work and art style of Picasso. This picture not just depicts the two faces or perspectives, but highlights the use of warm and cool colors. Ridhima loves to use bright, vibrant colors in her work.

Picasso Art poster colors and oil pastels on acrylic paper

rick mukherjee,7 AAMAR MA DURGA

Anushka Ghosh ,4

96 | মিলনMILON | october 2016


the world of art 2016

priyadarshini das,7

My name is Priyadarshini Das .I am seven years old and I am a primary two student at Ang Mo Kio primary school.In my free time I like to read story books,draw paintings and watch cartoons on TV.I have a lot of hobbies, but drawing is my favourite. I also have interest in swimming,cycling and ballet dance.

Angsith Sarkar,5

Angsith is 5 years old jolly boy. He loves to dance, draw and have been involved in various activities in BAS since last year.

মিলনMILON | october 2016 | 97


the world of art 2016

adreeja datta, 9

I am 8 years old and I love animals. I also like to read different types of books and sometimes I draw pictures. This is a landscape that I coloured with Staedtler colour pencils.When I grow up I want to be an animal farmer.

98 | মিলনMILON | october 2016

a mirage of colours

arik bagchi, 8


the world of art 2016

AYUSH sarkar

Bhaswati Bhawal Gon

To me art is an expression of life. I paint, sing, dance, recite, write in between working as a banker and portraying the role of a mother of an adorable teenager. These for me are ways of connecting back to the beautiful journey called life amidst the daily chores.

মিলনMILON | october 2016 | 99


the world of art 2016

SUJATA GHOSH

I am English Honour Graduate from Delhi University and did Diploma Degree Course in fine arts from Rabindrabharati University (Kolkata, India).I pursue painting in various mediums on different types of surfaces.

100 | মিলনMILON | october 2016


the world of art 2016

Radha Krishna: TimelessLove

Acrylic on canvas Expression of the eternal love between Radha and Krishna.

মিলনMILON | october 2016 | 101


the world of art 2016 Lost in Thoughts

Oil on canvas The portrait showcases the simplicity in the girl lost in her own world. The vibrant colours makes the painting come to life. To start with, I sketched the outline of the painting on the canvas and then used oil paints to complete it. To mix the colours, linseed oil and turpentine oil is used.

SUdipta das

My name is Sudipta Das. I was born and raised in the small town of Kharagpur, West Bengal. You can also call it the “railway town” with Kharagpur being one of the biggest hub of South eastern railways. I did my schooling at Kharagpur and graduated from Vidyasagar University. I am a simple down to earth girl who loves exploring different cities and countries. My love for art has always been there since childhood and I think I got that from my dad. I have been painting since I was 8. These two paintings have been done on canvas using oil colour. I also work with water colour and pastels. There are different paint brushes, flat, hard and soft brushes, that have been used to create these paintings.

102 | মিলনMILON | october 2016


the world of art 2016

The Powerhouse

Oil on canvas Inspired from the creations of late M. F. Hussain, this painting compares a woman to a horse. Like a horse, she is elegant, powerful, energetic, vibrant and a magnificent creation of God!

মিলনMILON | october 2016 | 103


the world of art 2016

ANAMIKA dUTTA

MAA

Splashing of colour 104 | মিলনMILON | october 2016


the world of art 2016

DHANUSHDHARINI মিলনMILON | october 2016 | 105


the world of art 2016 paintings by Manisha sarkar

YA DEVI SARVABHUTESHU SHAKTIRUPENSANSTHITA

‘Change your thoughts and you change your world’ - Norman Vincent Peale.

The heart of the creator lives amidst the soul of her creation. Best offering to any deity is to inculcate and nurture those qualities in us for which we worship them. Goddess Durga, the feminine form of Supreme Being, the embodiment of power and energy, is the description of transcendent reality. The spiritual rationality described in Devi Mahatyam and the philosophical discussion of the conceptualization is beyond this scope of this write up. 700 Mantras (hymns) in Durga Saptashati or Devi Mahatmyam (Chandi Path) describe the glory of Goddess as Chandi and speaks many truths in multiple ways at various levels. Different episodes narrate different stories and each has very deep meaning and takes reader to another level of realization. Perhaps Durga is the most apt imagination of womanhood in ancient literature. She is beautiful, divine, fiercest warrior, protector of sacred and destroyer of all evil. She is symbolic manifestation of ultimate reality. Posing in Abhaymudra she gives assurance of freedom from all sorts of miseries, pain and fear. Literal meaning of Durga in Sanskrit is a fort- a place that is well protected and difficult to reach. All sacred myths tell symbolic stories and posses deeper meaning which can be better appreciated with the context to the reference. These can be explained in diverse ways too.At the same time stories have different levels. At one level, in Shakta literature, myth says, Traimbake Durga (Three eyed) is created when all gods fail to control demon Mahishasura. In the battlefield, she saves the universe coming under her refuge assuming the power of male gods. Chamunda springs over from her third eye as she turnes blue in anger. In the fierce battlefield, riding on a lion, without any male influence or assistance alone she fights with monsters and ensures triumph using all the weapons held in her ten mighty 106 | মিলনMILON | october 2016

chandi

durga

elegance

exuberance

arms. At another level, the battlefield represents our inner consciousness and the happenings are our own experiences. At another level, it is the battle within our ownselves - between the positive and negative forces of same human mind. At the same time it is our external and internal struggle encountered every day. A woman has many facets, many names, and many personas. Mankind has been awed and wondered by the varied roles of her since eternity. She carries the whole world inside her and the new hope in every step since early sign of a human life. Her multilateral ability and achievements in varied stage of life and history has time and again left all spellbound. She has been the backbone, the stream, the energy, the inspiration, the binding force through all the ancient civilizations to modern age. There is no dart of examples in the Epics and Myths. In Puranas, Devi has different forms and each form has very distinct nature and purpose. She is Chandi Durga, Mahakaali, Mahasaraswati, Shakti (power),‘the divine power of creation, sustenance and transformation’. She is Prakriti. ’Hers is the cosmic womb that gives birth to the entire universe.’ As Aphrodite, she is the Goddess of beauty, love and fertility. As Artemis, she is the Goddess of hunt and moon in ancient Greece. As Ceres, the Roman goddess of agriculture and grain, she serves nectar and ambrosia to the gods and goddesses. As inventor of farming a woman creates. As a mother she nourishes, cares, and heals pain. At the same time she punishes. Maat is worshipped in Egypt for her unbending nature in upholding what is right and just. Hela is the Nordic realm of dead. Rot smell is her most faithful companion! Celtic Morrigan too is the goddess for death in the battlefield. In the Battle of the Nile or in the War of MAHABHARATA lead characters were two women -Cleopaetra and Draupadi. Artemis is noteworthy as the virgin Goddess who is independent and can take care of her own safety. In day to day life, she is exponent in domestic craft. She is intellectual and a meticulous planner. Greeks worshipped wisdom and warcrafts goddess Athena for this and Hindus imagined Saraswati


the world of art 2016

kaali

mother as the goddess of music, art, knowledge and learning. Who can forget Minerva the eternal love in Roman form for her intelligence and wisdom? Seshat takes care of accounting, architecture, astronomy, historical records and mathematics. As Mahamaya she can create illusion, As Mohini she can get her things done sweetly and as Yogmaya she can sacrifice her life to save another new born, Lord Srikrishna. As Radha she loves, as serene Parvati she devotes. Krishna is incomplete without Radha and absence of Sati makes his life void and Lord Shiva dances Tandava As Seeta she She is in every one of us. We are accompanies; as Shabari she waits. in her. Bow to that womanhood. As Nike a woman brings upon (about) Namastasy Namastasy Namastasy victory, as Laxmi she showers us with Namo Namaha. wealth and spiritual prosperity. As BAS turns 60 today, I humbly wish As Durga she is the protector, savior all the Milon readers and patrons of from all sorts of evils. She punishes. BAS very happy celebration of life, She destroys. She shows the way. culture, custom and tradition. I hope She brings upon new light. She leads. awakening of the eternal spirit, self She follows. She nurtures. She loves. -realization and open mindedness She builds home. She breaks rule. She will continue to make our existence eats the first apple. She is Isis. She is more meaningful. Paying homage influential. She is the strength. She is to mother goddess is not limited to omnipresent. She is Mahamaya. She is any cult or community. It is essential alive in man as Mohini. The Universe that not only the strong women tries to please her, prays - Rupam Dehi, powers of the world, but the girl next Jayang Dehi, Yasho Dehi Dwisho Johi.

the multitude of talent

saraswati

shakti

door recognizes herself. May today’s woman rise to that state of self consciousness where no evil force can dare to threaten the existence of good. Independent of any gender discrimination may the emotion of togetherness and humanity rule the universe. May Durgapuja, the biggest annual festival in the earth that celebrates feminine power for five days so gigantically, becomes ia regular phenomenon and part of day to day living within our ownselves. The challanges we face in our daily lives may not have single approach to deal with. May one form appear different from the other, but they are interlinked and originate from the same supreme source. When external and internal battle will lead us to devotion and make us surrender our ego, happiness will leap no bound. Along with the deeper spiritual realisation and interpretation of Devi may union become reunion and Milon transforms us and brings the community of Singapore closer, brings about Maha MILON. May we all can elevate to higher level and unveil that power and energy which is already in store and become the true worshipper of Shakti. Shubhaya Bhavatu.

মিলনMILON | october 2016 | 107


the world of art 2016

Full View of Kolkata Bazar

View of Ship at Dry Dock, China

Dooars N Bengal

Turi Beach Resort Batam These paintings are drawn on canvas mostly with Acrylic paint medium but with a few with oil Medium too. I am not an artist either by profession or by qualification but an Architect, running my office in Kolkata. I am in Singapore due to my husband’s work. Having some free time, I started to inculcate my childhood hobby of Art and Painting at

vaswati pattanaik

my Singapore home since last August 2015, and made these paintings.If you feel these are worth displaying in your Magazine, I shall be highly motivated to have found my childhood hobby lost and found in Singapore.

Kolkata Bazar III

Kolkata Bazar I View of Harbourfront from Hotel Window

108 | মিলনMILON | october 2016

Kolkata Bazar II


the world of art 2016

Autmn Forest

My Late Father in Law

My Living Room

মিলনMILON | october 2016 | 109


the world of art 2016

MY BATIK ENDEAVOUR My passion in creative art and painting led me to explore BATIK painting. My tryst with BATIK art began in Malaysia, a place where BATIK painting has been in practise for centuries . There i came to know the many wonders of Batik painting techniques, which inspired me to start the Batik journey. The word batik originates from the Javanese tik and means to dot. Batik is made either by drawing dots and lines of a wax resist with a spouted tool called a canting, or by printing the wax resist with a copper stamp called a cap, on a piece of cloth. The selected areas of the cloth are blocked out by brushing or drawing hot wax over them, and the cloth is then dyed. The applied wax resists dyes and therefore allows the artisan to colour selectively by soaking the cloth in one colour, removing the wax with boiling water, and repeating if multiple colours are desired.After the final dyeing the wax is removed and the cloth is ready for wearing or showing. Batik is popular in both Malaysia and Indonesia, however Malaysian batik making is different from those of Indonesian Javanese batik, the pattern being larger and simpler with only occasional use of the canting, but rather using brush painting more with most popular motifs being leaves and flowers.

SANGEETA DHAR

110 | মিলনMILON | october 2016


the world of art 2016

মিলনMILON | october 2016 | 111


the world of art 2016

debjani bose

112 | মিলনMILON | october 2016


the world of art 2016

দিলীপ ঘ�োষ

winter birch

পেশায় যন্ত্রবিদ দিলীপ যান্ত্রিকতা ভুলতে সপ্তাহন্তে তুলে নেয় রঙ-তুলি বা কলম৷কখনও ক্যানভাসে, আবার কখনও লেখনীর লিখনে আপন মনের মাধু রী মিশিয়ে প্রকাশ করতে চায় নিজ মনের ভাব৷

মিলনMILON | october 2016 | 113


the world of art 2016

114 | মিলনMILON | october 2016

rupak


the world of art 2016

DUTTA মিলনMILON | october 2016 | 115


সাহিত্য ২০১৬

আমার পুজ�ো ....তখন মনত�োষ রায় ভ�োরের বাতাসে এখন হালকা শীতের মাখামাখি । ঘুম ভাঙতেই একরাশ দমকা হাওয়ার মত�ো ভেসে আসে শিউলির সু গন্ধ । আদিগন্ত বিস্তৃ ত ধান ক্ষেতের সবুজ বন্যায় নরম বাতাসের হিল্লোল ...... দ�োল খেয়ে যায় এপার থেকে ওপার । শরতের সু নীল আকাশে পেঁজা মেঘের লম্বা মিছিল । ..... পুজ�ো আসছে। স্কুল ছু টির আর মাত্র ক’টা দিন। হঠাৎ সেদিন খবর হয়ে গেল�ো গাঁয়ের বাৎসরিক মন্ডপ ঘরে ঠাকুরের কাঠাম লেগেছে । বাঁশের খাঁচার উপরে খড়ের দেবতারা ধীরে ধীরে তাদের অবয়ব ফিরে পাবে । তিলে তিলে জীবন্ত হয়ে উঠবে মা দূ র্গা, সরস্বতী, গনেশ ..... সব্বাই । পূ ব পাড়ার সু ধীর প্রামানিকের উপর গুরুদায়িত্ব। বংশ পরম্পরায় তারাই গ্রামের পূ জ�োর মূ র্তি তৈরী করে এসেছে । সত্তর�োর্ধ প্রামানিক নাকের 116 | মিলনMILON | october 2016

ডগায় চশমা লাগিয়ে নিরন্তর ডুবে যাবে নতুন সৃ ষ্টির উন্মাদনায়। স্কুল শেষে মন্ডপ ঘরে ঢুঁ লাগান�ো আমাদের তখন নিত্যকার রুটিন । বিস্ফারিত চ�োখে আমরা সমবয়সীরা চেয়ে থাকি সৃ ষ্টির প্রতিটি পুঙ্খানু পুঙ্খতায়। গাঁয়ের বুক চিরে এঁকে বেঁকে বিদ্যাধরী বয়ে গেছে আপন মনে। আসন্ন উৎসবের যেন ঢেউ লেগেছে বিদ্যাধরীর ঘ�োলা জলেও। সাদা কাশের জঙ্গল নেচে উঠেছে হালকা হাওয়ায়। বিদ্যাধরীর দক্ষিণ পাড়ে নেপাল দাসের ঘর। আর বছরের মত�ো এবারও তারা ঢাক-কাঁসরের বরাত পেয়েছে। বছরভর পড়ে থাকা অলস ঢাকের গায়ে এবার লাল রঙের শালু চড়বে। ঢাকের আলগা রশিতে টান পড়বে ....... ঢ্যাঁঙ-কুড়কুড় ঠাঁই ঠাঁই আওয়াজ উঠবে। পুজ�োর দিন-পনের�ো আগে থেকেই র�োজ ভ�োরে

শুরু হবে তাদের অনু শীলন। ভ�োরের হাওয়ায় ঢাক কাঁসির শব্দরাশি পৌঁছে যাবে দূ র দূ র গ্রাম অব্দি। কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর চাঁদটা ছ�োট হতে হতে একদিন তলিয়ে গেল দিগন্ত রেখার নীচে। অমাবস্যা। সন্ধ্যে থেকে আজ সাজ সাজ রব। বাবার হাঁকডাকে বাড়ির সবাই তঠস্থ। রাত আটটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়তে হবে। রান্নাঘরে বাসন ক�োসনের জলতরঙ্গ....... একলা হাতে মায়ের উপর তখন মা দূ র্গা ভর করেছেন। পুকুর পাড়ের ঘন হলদি বনে ঝুপ করে আঁধার নেমে আসে। দূ রে ক�োথায় এক অজানা পাখি তারস্বরে চেঁচিয়ে থেমে যায় হঠাৎ করে। শরতের ভ�োরের রাত। বাইরে গাঢ় অন্ধকার। মাটির বারান্দায় মা একটা কুপি জ্বেলে দেয়। ফ্যাকাসে আল�োর তরঙ্গ ছলকে পড়ে ধানগ�োলা ছাড়িয়ে পুকুর পাড় পর্যন্ত। উঠ�োনে টুলের উপর


সাহিত্য ২০১৬ আল�োচনা। দূ র্গা ঠাকুরের বাহন এবার ডানদিক থেকে ঝাঁপাচ্ছে। মহিষাসু রের দাঁতগুল�ো এবার গতবারের থেকেও ভয়ঙ্কর। ও মাগ�ো, লক্ষ্মী ঠাকুরের মুখখানা কি মিষ্টি ! সু ধীর প্রামানিকের এখন নাওয়া খাওয়ারও সময় নেই। দু দিন বাদে মহাপঞ্চমী। পঞ্চমীর ভ�োরে দেবীর নেত্রদান। তারপর দেবদেবীর কাছে সাষ্টাঙ্গ ক্ষমা চেয়ে সে বিদায় নেবে। আর আসবে না পুজ�োমঞ্চে। উত্তেজনায় আমাদের শরীরে এক অদ্ভু ত অনু ভূতি।

ফিলিপ্সের ঢাউস রেডিও। সামনে পাতা মাদু র ...... শ্রোতৃমন্ডলীর অপেক্ষা মাত্র। হালকা চাদরের পরম উষ্ণতায় বিছানায় শুয়ে শুনতে পাই আকাশবানীর প্রারম্ভিক ভায়োলিনের সু রমুছর্না ...... বন্দেমাতরম। ততক্ষনে উঠ�োনের মাদু রটা ভরে গেছে শিবুদাদা, অতুলকাকা, মনিদের ভিড়ে। ধানগ�োলার উল্টোদিকে পড়সি রানু পিসি, রামুর মা’দের ছ�োট্ট জটলা। শুরু হয় বহু প্রতীক্ষিত সেই উন্মাদনা...........সমবেত নারীকণ্ঠে “আয়ি গিরি নন্দিনি, নন্দিত মেদিনী .... বিশ্ব বিন�োদিনি”........ তারপর সেই জগৎ বিখ্যাত জলদ গম্ভীর স্তোত্রপাঠ ...... নম�ো দেবীইয়াই, মহাদেবীইয়াই, শিভায়ি শততম নমঃ...... ঠাকুর দালানে দেবদেবীরা এবার রঙবেরঙের ডাকের সাজে সাজছে। কলতলায় পাড়ার মেয়েদের তুমুল

মন্ডপ মাঠে রঙবেরঙের দ�োকানের পসরা লেগেছে। কেষ্টনগরের মাটির পুতুল, শাঁখা-চুড়ি-আলতা-পাউডার ....... হরেক রকম হাতে গরম মিষ্টি-মিঠাই। এ যেন এক সব পেয়েছির দেশ। অন্যবারের মত এবারেও কামু বাগদীর ঘুঘনির দ�োকান ভিড়ে ভিড়াক্কার। অশ্বথ গাছের নীচে করিম চাচার গরম গরম বেগুনী-ফুলু রির গন্ধে ম’ ম’ করছে চারদিক। স্বপ্নের ফেরারিরা হেঁটে যায় একহাতে বাঁশকাঠির তেক�োনাতে রঙবেরঙের বেলু ন উড়িয়ে ....... সাপ বেলু ন, লাউ বেলু ন, কাঁচ বেলু ন.... কত্ত রকম বেলু ন। অন্য হাতে জলবেলু নের থপথপানি। তালপাতার ভেঁপু বিক�োয় জলের দরে। ফুরফুরে বাঁশি আর ভেঁপুর আওয়াজে কান পাতা দায়। পশ্চিম ক�োণে মাঠ জুড়ে চরকি- নাগ�োরদ�োলার আসর। সাত বছরের পুঁটি মায়ের সাথে নাগ�োরদ�োলায় চড়ে ভয়ে-কেঁদে একসা। পজ�ো-প্রাঙ্গনে লম্বা বাঁশের মাথায় দু মুখ�ো মাইক লেগেছে। পল্লী-গীতি, ভক্তিগীতির মাঝে মাঝে মুহুমূ র্হু ঘ�োষনা : গেঁওখালির বুলু তরফদার, তুমি যেখানেই থাক�ো না কেন...... জনমানবহীন যে মন্ডপ মাঠে সারাবছর নি:সঙ্গ বাতাস খেলা করে, সূ র্যাস্তের পরেই ডুবে যায় নিকষ অন্ধকারে ..... সেই নির্জন ধূ ধূ প্রান্তর আজ প্রাণ�োচ্ছল। নিয়ন আল�োর জীয়ন কাঠিতে জেগে ওঠে সন্ধ্যের আকাশ। ধূ প-ধু ন�োর গন্ধ, ধু নুচি নাচের ছন্দ, দ�োকানে দ�োকানে দরাদরির কলরব, ঢাক-কাঁসির প্রাণ জুড়ন�ো ঝংকার, নেয়ে ঘেমে সন্ধ্যে আরতির পুরুত মশাই...... এ এক অন্য জগৎ। আজ বড়দের শাসন নেই, আঁধার হতেই বই খুলে বসতে নেই, শিক্ষকের চ�োখ রাঙানি নেই ..... এ ক’দিন হারিয়ে যাবার দিন। বিদ্যাধরী বয়ে যায় আপন কলতানে। তার চ�োখেও কি অপার বিস্ময়?

মনত�োষ রায়

I am an Ophthalmologist and currently a Senior Consultant at National University Hospital. I was graduated from University of Calcutta. I did post graduation from All India Institute of Medical Science (AIIMS), New Delhi and Fellowship from Royal College of Edinburgh, UK. I have varied interests including fruit and vegetable carvings, oshibana, pebbles stone art ....other than my profession.

শরতের আকাশ ... The picture is an ‘oshibana’ piece of art, created by me. I would like to use this piece as an illustration in my write up. This is made of pressed vegetations. The ‘kash phool’ was created by by grass flowers that grew in my neighbourhood. White clouds were made of white tissue papers pasted with glue..

মিলনMILON | october 2016 | 117


সাহিত্য ২০১৬

জও সকালে সমর ঘুমে থেকে উঠে, স্নান খাওয়া সেরে, টিফিনের ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে অফিস টাইমে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। ক�োথায় যে সে যাবে ভেবে পায় না - অগত্যা সেই একই বাসে উঠে বসে। তিন মাস হ�োল অফিস বন্ধ হয়েছে, আর তার আগের দু ’মাস ক�োন�ো মাইনে পায়নি সমর। অনেকবার চেষ্টা করেছে কথাটা অপর্ণাকে জানাতে, কিন্তু কিছু তেই আর বলতে পারেনি দু :খের কথাটা। যেদিন অফিসটা বন্ধ হল�ো, মুখার্জী সাহেব ডেকে বললেন “তুমি ত�ো সবই জান�ো সমর, গত দেড় বছর আমাদের ক�োম্পানি ক�োন লাভের মুখ দেখেনি। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করে এসেছি ক�োম্পানিটাকে চালিয়ে নিয়ে যেতে, কিন্তু আমরা আর পেরে উঠছি না। বাজারে অর্ডার এত কম, তার ওপর কাঁচা মাল এবং লেবার কস্ট এতই বেড়ে গিয়েছে যে আমাদের এই ব্যবসায় লাভের মুখ দেখা প্রায় অসম্ভব। তাই ম্যানেজমেন্ট ঠিক করেছে আমাদের অফিস এই মাসের শেষে পুর�োপুরি ভাবে বন্ধ করে দিতে। তুমি আমাদের সবথেকে পুরন�ো স্টাফ, আর চিরকাল তুমি নিষ্ঠা এবং সততার সাথে আমাদের এখানে কাজ করেছ, তাই আমি অনেক চেষ্টা করে ত�োমার জন্য এককালীন কুড়ি হাজার টাকার ভাতার ব্যবস্থা করেছি, আর সেই জন্যই ত�োমাকে ডাকা” এই বলে মুখার্জী সাহেব চেকটা বাড়িয়ে দেন সমরের দিকে।

নির্বেদ

দিলীপ ঘ�োষ 118 | মিলনMILON | october 2016

ভিতর থেকে কেমন যেন একটা চাপা কান্না বেরিয়ে আসছিল সমরের। যদিও আগেই ও বুঝতে পেরেছিল যে চাকরীটা আর বেশি দিন নেই, তবুও একটা ক্ষীণ আশা ছিল যে পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে আবার আগের মত কাজ শুরু হবে। কি করবে ও এখন? কি ভাবে টানবে সংসারটা? ছেলেটা ত�ো সবে এবার উচ্চমাধ্যমিক দেবে, আর মেয়েটা B.A. পাশ করে কিছু ই করতে পারল না, উপরন্তু পাড়ার ওই বখে যাওয়া ভ�োলাটার সাথে নাকি এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেদিনত�ো বাড়ি ফেরার সময় পাড়ার বুড়ো’দা বলেই দিল “মেয়ে ত�ো বেশ বড় হয়ে গেল, মাঝে মাঝেই ত�ো ভ�োলার ম�োটর বাইকের পেছনে দেখি, তা’ কবে

বিয়েটা লাগাচ্ছ?” ধীর পদক্ষেপে অফিস থেকে বেড়িয়ে এগিয়ে যায় ডালহ�ৌসির লালদীঘির দিকে, আর এক ঠ�োঙ্গা ঝালমুড়ি কিনে বসে পরে দীঘির ধারে। কতক্ষণ যে এইভাবে বসেছিল, আর কত কি যে ভেবেছে ও, মনেই নেই। হঠাৎ খেয়াল হল মুড়ি শেষ হতে, আর তখন এগিয়ে চলে বাসের দিকে। বাড়ি ফিরে অপর্ণার ধমকানি তার মাথায় কিছু ই ঢ�োকে না “কি ব্যাপার কি, রাত সাড়ে ন’টায় বাড়ি ঢুকছ�ো? চাকরি করে মাথা কিনে নিয়েছ মনে হচ্ছে? বাড়ির ক�োন�ো কাজই কি তুমি করবে না? ছেলেটার সামনে পরীক্ষা, আর ওদিকে মেয়েটা নেচে বেড়াচ্ছে - ত�োমার কি ক�োন�ো দায়িত্ব নেই? বুড়ো বয়সে কি আবার কার�ো প্রেমে পড়লে নাকি?” সমর ক�োন�ো জবাব না দিয়ে স�োজা চলে যায় বাথরুমে। ঘরে ঢুকে টিভিটা চালিয়ে দেয়, আর একটার পর একটা চ্যানেল বদলাতে থাকে –‘ধু র, যত্ত সব ফালতু প্রোগ্রাম’। অপর্ণা ঘরে ঢুকে সমরের পাশে বসে। “কি ব্যাপার, আজ খুব সেজেছে দেখছি। ভাল�ো শাড়ি, লিপস্টিক, পাউডার। অন্যদিন ত�ো ম্যাক্সি পরে থাক�ো”। অপর্ণা একটু আদ�ো আদ�ো গলায় বলে “কেন সাজলে আমাকে ভাল�ো লাগে না বুঝি? তুমি ত�ো আমায় আগে কত সাজতে বলতে - তাই ত�ো আজ খুব ইচ্ছে করল�ো সাজতে।” সমর অপর্ণাকে পঁচিশ বছর ধরে দেখছে - বিয়ের আগের দু ’বছর, আর তার পরে তেইশ বছর। তাই ও ভাল�োই বুঝতে পারে এর পেছনে অপর্ণার ক�োন�ো চাহিদা আছে। আগে অবশ্য কখন�ো এই নিয়ে সমরকে ভাবতে হয় নি - যখনই অপর্ণা কিছু চেয়েছে, সমর যেভাবে হ�োক তার আশা পূ রণ করেছে। কিন্তু আজ ত�ো ওর দেবার মত ক�োনও ক্ষমতাই নেই। অপর্ণা - এই, ত�োমার মাইনে হয়ে গেছে? সমর একটু ঢ�োক গিলে বলে - না, মানে......এই মাসে একটু দেরী হবে মনে হচ্ছে। আসলে ক�োম্পানির অবস্থা খুব একটা ভাল�ো নয়। অপর্ণা ওর কথায় কান না দিয়ে বলে আমার যে কি মজা হচ্ছে, কি বলব ?


সাহিত্য ২০১৬ সমর - কেন, কিসের আবার মজা হল�ো ? অপর্ণা - বা:, সামনে মাসে মেজদি’র মেয়ে চন্দনার বিয়ে না? তুমি ত�ো দেখছি সব ভুলেই মেরেছ। সমর - সামনে মাসে? তুমি যে সেদিন বললে অনেক দেরী আছে? অপর্ণা - সে ত�ো কবে বলেছি ত�োমাকে। এবার ত�ো এসে গেল। আর ঠিক এক মাস ...আর ....বাইশ দিন বাকি। সেই জন্যই ত�ো অপেক্ষা করে আছি ত�োমার মাইনেটা কবে হবে? সমর - কেন? আমার মাইনের সাথে কিসের সম্পর্ক ? অপর্ণা - ত�োমার মাথায় কিছু ই থাকে না। বিয়েবাড়ির গিফট্টা ত�ো কিনতে হবে? সমর করুণ মুখে বলে – “গিফট? টাকা ক�োথায় যে গিফট কিনব? ত�োমার ক�োন�ো নতুন শাড়ি-টাড়ি নেই ?” অপর্ণা অত্যন্ত রেগে বলে ওঠে – “তার মানে? আমি চন্দনার বিয়েতে আমার পুরন�ো শাড়ি দেব?” সমর - না, ... মানে ...... বলছিলাম যে ..... অপর্ণা - আমি ক�োন�ো কিছু শুনতে চাই না। আমি ঠিক করে ফেলেছি কি দেব চন্দনাকে।“ সমর আস্তে করে জিজ্ঞেস করে – কি দেবে? অপর্ণা - মেজদি বলছিল বিয়ের পর চন্দনা ত�ো বরের সাথে শিলিগুড়িতে আলাদা থাকবে, তাই ওর একটা মাইক্রোওয়েভ ওভেন হলে ভাল হয় - আমি বলে দিয়েছি যে ওটা আমরাই দেব। স�োনার গয়নার ত�ো অনেক দাম, তাই ত�োমার কথা ভেবেই আমি এটা ঠিক করেছি। এখন ত�ো এসবের দাম কত কমে গেছে, লাট্টু ’র মা ত�ো বলল যে ওরা মাত্র তিন হাজার টাকায় কিনেছে।.... এই শ�োন�ো, সু বিধে মত আমরাও একটা কিনে নেব - কত যে সু বিধে হয়, তা ত�োমাকে কি করে বলব�ো। সমরের মনে হচ্ছে মাথায় কেউ যেন হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছে। অপর্ণার ক�োন�ো কথাই তার মাথায় ঢুকছে না। মাথাটা চেপে ধরে বলে “এখন বিরক্ত কর�ো না ত�ো - খেতে দাও”। অপর্ণা রেগে গজগজ করতে করতে চলে যায় রান্না ঘরের দিকে। ~~~~ ০ ~~~~~

দি

নের পর দিন সেই সকালে উঠে একইভাবে মেকি অফিস যাওয়া আর লালদীঘিতে গিয়ে বসা, ভেবে পায় না আগে কি হবে। অফিসের পিওন রতনের কাকার একটা ছ�োট ষ্টেশনারী দ�োকান আছে নৈহাটিতে আর সেখানে খাতা লেখার কাজটার জন্য সমর রতনকে অনেকবার বলেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু ই হল�ো না। এদিকে একে একে টাকা প্রায় ফুরিয়ে আসছে। ফিক্সড ডিপ�োজিটে যেটুকু আছে, তা দিয়ে আর কত দিন চলবে? মেয়ের বিয়ে, ছেলেকে ঠিকমত�ো পড়াশুনা

করে দাঁড় করান�ো, আর তারপর ওদের সারা জীবনের খরচ ভেবে ক�োন�ো কুল কিনারা পায় না সমর। সামনে দিয়ে ঝালমুড়ি ওয়ালাটা ঘুরছে, আর সেই একই সু রে বলে যাচ্ছে “ঝালমুড়ি খান ঝালমুড়ি।” কেমন যেন একটা নেশার মত হয়ে গেছে সমরের এই ঝালমুড়ি খাওয়াটা “কই দেখি ত�োর শুকন�ো মুড়িটা খাওয়া।” হাফ প্যান্ট আর শতচ্ছিন্ন গেঞ্জি পরা মুড়িওয়ালাটা বলে ওঠে “শুকন�ো বলবেন না বাবু, আজ সব তাজা খাবার এনেছি। কত দেব - দু ’টাকার দিই?” পকেটে হাত দিয়ে সমরের মনে পরে যায় আজ ত�ো সকালে মাত্র পাঁচ টাকা নিয়ে নিয়ে বেরিয়েছে, আর সেটা আসার বাস ভাড়াতেই শেষ। এবার থেকে ঠিক করেছে ক�োন�ো বাজে খরচ নয়, বাড়ি ফেরাটাও হেঁটেই মেরে দেবে ডালহ�ৌসি থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত। - ছেড়ে দে, আজ থেকে আর ত�োর মুড়ি খাব না। - কেন বাবু? দেখুন আজ আরও ভাল�ো করে বানাব�ো। - বললাম না খাব না! আমার পেটটা ভাল�ো যাচ্ছে না। কেন যে ছেলেটা কেবল সমরের কাছে ঘুরঘুর করে, আর কি ক�োন�ো মুড়ি খাবার ল�োক নেই শহরে? কিছু দিন ধরে সমর লক্ষ্য করছে যে আরও একটা ল�োক সকাল থেকে এসে ওর মত�ো বসে থাকে। সমর এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করে “আপনারও কি .......... মানে, অফিসে ক�োন�ো .......।” ভদ্রল�োক এবার সমরকে আপাদমস্তক মেপে নিয়ে বলেন “মশাই, আমি কখনও চাকরিই করিনি - ওসব আমাকে দিয়ে হবে না। পারিবারিক একটা ব্যবসা আছে, সেটা আমি এতদিন সামলেছি আর এখন থেকে সেটা আমার দু ই ছেলে দেখবে। তাই আমি আজকাল এখানে বসে নিরিবিলিতে একটু সময় কাটাই, নয়ত�ো বাড়ি থাকলে বউটা ভীষণ খাটায় - এটা কিনে আন�ো, জামাকাপড় মেলে দাও, টেলিফ�োনের বিল দিয়ে এস�ো ইত্যাদি।” সমর ফিরে আসে তার পুরন�ো জায়গায়, আর ভাবে এইগুল�ো আবার ক�োন�ো সমস্যা নাকি? সমর ভেবে পায় না টাকার অভাব ছাড়া মানু ষের জীবনে আর কি সমস্যা হতে পারে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে হয়ে আসে, এবার রওনা দিতে হবে বাড়ির দিকে - আজ থেকে ত�ো আবার হেঁটে ফেরা। তাকিয়ে থাকে অফিস ফেরত ল�োকগুল�োর দিকে - কেউ দ্রুত পায়ে ভিড় ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে বাসে ওঠার জন্য, কেউবা নিজেদের মধ্যে খ�োশ গল্প করতে করতে ধীর পদক্ষেপে এগ�োচ্ছে, আবার কেউ চিৎকার করে ম�োবাইলে কথা বলতে বলতে চলেছে। হাঁটতে হাঁটতে ফিরে আসে বাড়িতে। আগে রাস্তায় হাঁটার সময় মনে মনে কত কিছু ভাবত�ো, আর বাড়ি ফিরেই অপর্ণাকে ডেকে বলত�ো “এই শ�োন�ো, আজকে ঠিক করলাম এবার আমাদের বিয়ের তারিখে আমরা সবাই .......।” এখন আর কিছু ই ভাবতে ইচ্ছে করে না, অথচ এখনই ত�ো তার সবথেকে বেশি ভাবার দরকার কি’করে লড়াই করবে সামনের দিনগুল�োর সাথে। বাড়ি ঢ�োকা মাত্র অপর্ণা বলে ওঠে “এই যে বাবু ফিরলেন রাজকার্য সেরে। ত�োমাকে যে বলেছিলাম আজ তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে, তা’ এই ত�োমার তাড়াতাড়ি ? বললেই ত�ো বলবে অফিসে অনেক কাজের চাপ, যেন তুমিই কেবল চাকরি কর আর আমার বাবা, দাদারা কেউ চাকরি করেনি। ‘তুমি নিশ্চয় ভুলে গেছ যে আজকে ওদের আসার কথা ছিল?’ সমর কিছু ই মনে করতে পারে না, জিজ্ঞেস করে মিলনMILON | october 2016 | 119


সাহিত্য ২০১৬ - কারা ? - তুমি সত্যিই যেন কেমন হয়ে গেছে। আজ যে ওদের আসার কথা ছিল, তা পুর�ো ভুলে মেরেছ ? - ও-দে-র ... মা-নে?...... ওহ, মনে পড়েছে, ওই ভ�োলার বাবা, মা? - যাক, মনে পড়ল�ো দেখছি। আচ্ছা, তুমি না থাকলে আমি কি করে পাকা কথাটা বলব�ো বলত�ো? - পাকা কথা মানে? - মানে, ওর বাবা আর মা বিয়ের কথা বলতে এসেছিল। বিয়ে মানে ত�ো দেওয়া-নেওয়ার কথাগুল�োও বলতে হবে। ওর মা বললেন যে তাঁদের বেশী কিছু চাহিদা নেই, কেবল ভ�োলা পুরন�ো ম�োটর বাইকটা বদলে একটা নতুন মডেল চায়, আর তার সাথে আজকাল সবাই যা দিয়ে থাকে, অর্থাৎ ফার্নিচার আর সাথে এলসিডি টিভি আর একটা সাধারণ ল্যাপটপ হলেই চলবে। তবে আরেকটা জিনিস উনি বললেন যে ছেলের ঘরে বর্ষায় ছাদ থেকে জল পড়ে - পুরন�ো বাড়ি ত�ো! উনি কেবল বললেন যে ছাদটা এই সময় না সারিয়ে নিলে বর্ষায় ওরা ভীষণ মুশকিলে পরে যাবে। ... কই গ�ো, আমিই ত�ো শুধু বকে যাচ্ছি, তুমি কিছু বলবে কি? আমাকে ওনারা জিজ্ঞেস করছিলেন বিয়ের দিন টা কবে ঠিক করা হবে, আমি বলেছি ত�োমার সাথে কথা বলে জানাব। তুমি টাকা-পয়সার একটা হিসেব করে আগে অফিসে ল�োণের একটা দরখাস্ত করে দাও। আর হ্যাঁ, মনে আছে ত�ো যে শিবার জন্য লাখ খানেক টাকার ব্যবস্থা রাখতে হবে, কারণ ওর ইচ্ছে হ�োটেল ম্যানেজমেন্ট পড়বে আর এখন পড়াশ�োনার যা খরচ। সমর এতক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে অপর্ণার দিকে চেয়েছিল, অর্ধেক কথাই মাথায় ঢ�োকেইনি। অপর্ণা চেঁচিয়ে ওঠে “কি হল? তুমি ত�ো আমার ক�োন�ো কথাই শুনছ�ো বলে মনে হচ্ছে না। কি ব্যাপার বল�ো ত�ো? আজকাল আমার ক�োন�ো কথাই তুমি ঠিক করে শ�োন না। আজ ত�োমাকে বলতেই হবে ত�োমার কি হয়েছে।” সমর কথা না বাড়িয়ে বলে “আমার কিছু হয়নি, তবে এ বিয়ে এখন সম্ভব নয়।” শ�োনামাত্র অপর্ণা বাড়ি ফাটিয়ে চিৎকার করে বলে “কি বলছ তুমি? সম্ভব নয় মানে?” সমর সবকিছু বলতে পারে না অপর্ণাকে, শুধু বলে আমাদের ক�োম্পানির অবস্থা ভাল নয়, তাই এখন মাইনে হচ্ছে না, আর কবে হবে তারও কিছু ঠিক নেই। শুনে অপর্ণা মাথায় হাত দিয়ে বসে পরে খাটে, আর অঝ�োরে কাঁদতে থাকে। সমর - যে কিনা এতদিন নিজেই বুঝতে পারছিল না কি হবে সংসারটার, আজ অপর্ণাকে এভাবে ভেঙ্গে পড়তে দেখে নিজের মনকে শক্ত করে অপর্ণাকে অনেকক্ষণ ধরে ব�োঝায় যে নিশ্চয় কয়েক মাসের মধ্যে ক�োম্পানির অবস্থার উন্নতি হবে। এছাড়া মিথ্যা আশ্বাসও দেয় যে ওর মত�ো কাজের ল�োকের কখনও চাকরীর অভাব হবে না - ঈশ্বর নিশ্চয় কিছু একটা জুটিয়ে দেবেন। পরদিন সকালেও সেই একই ভাবে বেরিয়ে পড়ে সমর, আর তার কানে বাজতে থাকে অপর্ণার কাল রাত্রের কথাগুল�ো। নিজেকে অত্যন্ত অপদার্থ, অবাঞ্ছিত, নিকৃষ্টতম একজন অধম বলে মনে হয় তার। আজ আর বাসে ওঠেনি - বাড়ি থেকে স�োজা হাঁটা লাগিয়েছে। পার্ক স্ট্রীট সিগন্যালে রাস্তা পার 120 | মিলনMILON | october 2016

হতে গিয়ে হঠাৎ কানে আসে “এই যে সমর, ক�োথায় যাচ্ছ? তাড়াতাড়ি উঠে পর, এক্ষুনি গাড়ি ছেড়ে দেবে।” সমর পিছনে তাকিয়ে দেখে মুখার্জীবাবু। ক�োনকিছু ভাবার আগেই উনি সমরকে ডেকে গাড়িতে তুলে নেন। কয়েকটা কথার আদান প্রদানেই মুখার্জীবাবু সমরের বর্তমান অবস্থা বুঝে যান, আর তারপর একটা অট্টহাস্য দিয়ে বলেন “তুমি সেই একই রয়ে গেলে - সবসময় চিন্তায় ডুবে থাকতেই ত�োমার ভাল�ো লাগে।” সমর তার সমস্যাগুল�ো মুখার্জীবাবুকে বুঝিয়ে উঠতে পারে না, সমরের কথাতে উনি হেঁসে ওঠেন আর বলেন “ওই যে একটা কথা আছে - ভাববার যিনি ভাবছেন তিনি, তুমি ভাব তাকে।” সমর বলে “আমি ত�ো কত ডাকছি ঈশ্বরকে, কিন্তু কিছু ই ত�ো সু রাহা হল�ো না।” মুখার্জীবাবু আবার হেসে উঠে বলেন “আরে ত�োমার ঈশ্বর টিশ্বর দিয়ে কিছু হবে না, তুমি এখন আমার কথা ভাব তাহলেই আমি ত�োমার সব ব্যবস্থা করে দেব। কিছু দিন ধরেই আমি ত�োমার মত�ো একটি কাজের ল�োকের খ�োঁজ করছিলাম, আর আজ কি অদ্ভু ত ভাবে ত�োমার সাথে দেখা হয়ে গেল। চল এখন আমার সাথে আমার নতুন অফিসে” সমর ভাবে শেষ পর্যন্ত আজ সত্যিই ঈশ্বর মুখ তুলে চেয়েছেন। মনে মনে তিনবার দু র্গা নাম জপে সমর মুখার্জীবাবুকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশ্ন করে কাজের ধরণটা আর উত্তরে মুখার্জীবাবু জানান এই কাজের ধরনটা একটু আলাদা, তবে উনি জানান যে ঠিক সমরের মত�ো সৎ এবং নিষ্ঠাবান একজন কর্মীর প্রয়োজন তাঁর। উনি এও বলেন যে ম্যানেজমেন্টের কথা শুনে ঠিক মত কাজ করলে তাকে ভালই মাইনে দেওয়া হবে। গাড়ি এসে থামে ধর্মতলায়, আর মুখার্জীবাবু সমরকে নিয়ে যান তার নতুন অফিস ‘আগরওয়াল এন্ড মুখার্জী বিল্ডারস্” এর দ�োতলায়। অফিসে ঢ�োকা মাত্র এক অল্প বয়সী সু ন্দরী মহিলা রিসেপশন থেকে এগিয়ে এসে মুখার্জীবাবুকে অভিবাদন করে “Good Morning, Mr Mukherjee” আর মুখার্জীবাবু হেসে তার অভিবাদন গ্রহণ করে এটা ওটা কথা বলতে থাকেন। সমর তাকিয়ে দেখে কি সু ন্দর এই অফিসটা – সম্পূর্ণ দ�োতলাটা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, একদিকে সার দিয়ে কুঠরি আর তার মধ্যে সু ন্দর টেবিল, চেয়ার আর কম্পিউটার। অন্যদিকে দু ট�ো বড় বড় ঘর – সামনে লেখা ‘এস. মুখার্জী’ আর ‘জি. আগরওয়াল’। দু ট�ো ঘরের সামনেই একজন করে খাকি ড্রেস পরা পিওন বসে। ঘরের সামনে একটা জায়গায় প্রকাণ্ড একটা কাঁচের বাক্সের মধ্যে চারটে বড় বড় বাড়ির নকশা, আর অন্যদিকে সাজান�ো নানা রকম পদক, শংসাপত্র ইত্যাদি – সবেতেই এই প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা। মুখার্জীবাবু তাকে নিয়ে যান নিজের সু সজ্জিত চেম্বারে, আর বেল বাজিয়ে পিওনকে ডেকে বলেন দু ট�ো কফি আনতে। উনি সংক্ষেপে সমরকে বুঝিয়ে বলেন তাদের ব্যবসার ধরনটা হচ্ছে real estate business. এই ব্যবসায় মুখার্জীবাবুর সাথে আছেন আগরওয়াল সাহেব – তবে মুখার্জীবাবুই সমস্ত কাজ দেখেন আর আগরওয়াল সাহেব মুলতঃ মূ লধন য�োগান, এছাড়া ওনার মন্ত্রী মহলেও যথেষ্ট আনাগ�োনা আছে আর তাই ক�োনও সমস্যা হলে উনিই তা সামলে দেন। এই মুহূর্তে তাদের একটা বিশাল প্রোজেক্ট হচ্ছে ই এম. বাইপাসের থেকে একটু ভিতরে - প্রায় পাঁচ বিঘা জমির উপর চারটে আঠার�ো তলার বাড়ি হবে, এ ছাড়া থাকবে পার্ক, সু ইমিং পুল, শপিং সেন্টার, ক্লাব, ফাংশন হল, ইত্যাদি। এছাড়াও একটা শপিং মল এবং একটা নাইট


সাহিত্য ২০১৬ ক্লাব করার কথা চলছে। এই মুহূর্তে জমি অধিগ্রহণ চলছে, যেটা কিনা সবথেকে কঠিন কাজ। এরপর কনস্ট্রাকশন শুরু হলে ত�ো প্রচুর কাজ, আর তাই মুখার্জীবাবুর এইমুহুর্তে একজন নির্ভরয�োগ্য ল�োকের প্রয়োজন। উনি সরাসরি সমরকে প্রস্তাব দেন “তুমি যদি ইচ্ছু ক হও, আমি ত�োমাকে আমাদের অফিসে নিযু ক্ত করতে পারি - শুরুতে হাজার দশেক পাবে, তবে একটাই শর্ত থাকবে যে ম্যানেজমেন্ট ত�োমাকে যা কাজ করতে বলবে ত�োমাকে ঠিক তাই করতে হবে। ত�োমার কাজ পছন্দ হলে তিন মাস পরে মাইনে বাড়ান�ো হবে, আর তাছাড়া ওভারটাইম, ব�োনাস ইত্যাদিও পাবে। ...... যদি রাজি থাক�ো, আমি এখনই ত�োমার এপয়েন্টমেন্ট লেটারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি”। গত প্রায় একবছরের বেকারত্বের জ্বালায় ক্ষয়ে ক্ষয়ে সমর প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল, নৈরাশ্য এমনভাবে চেপে বসেছিল যে কল্পনা দিয়েও সে আর ভাবতে পারছিল না যে আবার কখনও অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আল�োর মুখ দেখতে পাবে বলে। হঠাৎ সেই পুরন�ো দিনগুল�োর স্মৃতি দেখা দেয় মনের ক�োণে - সেই সকালে উঠে চটজলদি স্নান খাওয়া সেরে, টিফিন বাক্সটা বগলদাবা করে, অপর্ণার গালে একটা টুসকি মেরে টা-টা করে অফিস যাওয়া, আর বাড়ি ফেরার সময় সন্দেশের বাক্স বা চানাচুরের প্যাকেট বা আলু র চপ নিয়ে বাড়ি আসা। কতদিন হয়ে গেল, সমর কার�োর জন্য কিচ্ছু কিনতে পারেনি – কি ভাবে যে সংসারটা এখন চলছে তা ও জানে না, জানতে ইচ্ছেও করে না। আজকাল ছেলে, মেয়ে এমনকি অপর্ণাও ওর সাথে ঠিকমত�ো কথা বলে না – কেমন যেন এড়িয়ে যায়, মনে হয় সমরের আর ক�োনও প্রয়োজনই নেই সংসারে। ছেলে আর মেয়েকে ত�ো খুব কমই দেখা যায় বাড়িতে, এমনকি যে অপর্ণা আগে এত কথা বলত হঠাৎ যেন ওর সব কথাও শেষ হয়ে গেছে। আজকাল আগের মত�ো সু ন্দর করে সাজেও না, বা সমরের সাথে বসে আব�োলতাব�োল গল্পও করে না। আগে ত�ো গল্প করতে শুরু করলে আর থামতই না, সমর উঠতে চাইলেও অপর্ণা হাত ধরে বসিয়ে দিত আর নিজেই অবিরাম বকে যেত। আর এখন একটু কথা বলতে গেলে কি বিরক্তই না হয়, মনে হয় চাকরীটাই যেন সমরের একমাত্র পরিচয়, আর ওটা ছাড়া ওর ক�োনও অস্তিত্বই নেই এই সংসারে। মুখার্জীবাবু আবার জিজ্ঞেস করে ওঠেন “কি হল ? এত কি ভাবছ ? রাজি কিনা বল, আমাকে আবার একটু ব্যাঙ্কে যেতে হবে”। সমর তক্ষুনি ঘাড় নেড়ে তার সম্মতি জানিয়ে দেয়, আর এও জানিয়ে দেয় যে সে সবরকম ভাবে চেষ্টা করবে ম্যানেজমেন্টের সমস্ত নির্দেশ অনু সরণ করতে। মুখার্জীবাবুর কথা মত�ো সমর বাইরে স�োফায় গিয়ে বসে, আর কিছু ক্ষণ পরে সেই রিসেপশনিস্ট মহিলা এগিয়ে এসে বলে “Congratulations Mr Samar, here is your appointment letter. You are now a proud employee of Agarwal & Mukherjee Builders. This is Leena and whenever you need any help, just approach to me.” সমর এখনও নিজের চ�োখকে বিশ্বাস করতে পারে না। চিঠির অত কিছু না পড়ে শুধু তাকিয়ে দেখে মাস মাইনের অঙ্কটার দিকে, আর তাতেই তার চ�োখগুল�ো আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে, হয়ত কিছু টা অশ্রুধারাও বয়েছে। লীনা বলে ওঠে “Are you ok? Sit here and relax. I will get water for you”. সমর তখন ভাবছে যে কখন বাড়ি গিয়ে অপর্ণাকে এটা জানাবে?

এবার নিশ্চয় সংসারটা সেই আগের মত�ো আনন্দে ভরে উঠবে। মনে পড়ে আগে ওরা চারজন মিলে কি আনন্দই না করত – কখনও সবাই মিলে ক্যারাম আর সঙ্গে গরম গরম আলু র চপ, কখনও বা বসে অপর্ণার গান শ�োনা, কখনও মেয়ের কত্থক নাচ বা শিবার তবলা, কখন�ো সবাই মিলে মামার দ�োকানের কাটলেট খাওয়া বা কখনও সার্কাস দেখতে যাওয়া। শেষবার ওরা ভীষণ আনন্দ করেছিল যখন শিবা মাধ্যমিক পাশ করল। ভ�োরবেলায় সবাই মিলে বেরিয়ে পরেছিল – প্রথমে ভিক্টোরিয়া মেম�োরিয়াল আর সেখানে ঝালমুড়ি আর ফুচকা খাওয়া, সেখান থেকে আমিনিয়ায় গিয়ে দু পুরের খাওয়া, তারপর সিনেমা দেখে নিউ মার্কেটে গিয়ে সকলের জন্য জামা কাপড় কিনে সবশেষে পার্ক স্ট্রিটের রেস্টুরেন্টে গিয়ে আবার উপুর্যপরি খাওয়া, এমনকি শেষে আইসক্রিমটাও বাদ যায় নি। তখনও পর্যন্ত ওরা সবসময় চারজন একসঙ্গে মিলে আনন্দ করত, আর এখন সবাই যেন কেমন আলাদা হয়ে গেছে – মেয়ে সু মিটা সারাক্ষণ ঘুরে বেরায় ওই ভ�োলাটার সাথে, শিবা যে কখন ক�োথায় থাকে জানাই যায় না, আর অপর্ণা ত�ো আজকাল ক�োন কথাই বলে না। তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পকেটে হাত দিয়ে পাঁচ টাকার ন�োটটা দেখে দ�ৌড়ে গিয়ে উঠে পড়ে চলন্ত একটা বাসে, বাস থেকে নেমে হনহনিয়ে এগিয়ে যায় বাড়ির দিকে। মনে মনে ভাবতে থাকে কি ভাবে দেবে খবরটা অপর্ণাকে, কিভাবে অবাক করে দেবে ওকে। এক অদ্ভু ত আনন্দের শিহরন বইছে শরীরে, মনে হচ্ছে সমর এখনও হারিয়ে যায় নি, সে এখনও সংসারের দায়িত্ব নেবার ক্ষমতা রাখে। সদর দরজায় ট�োকা মারতে শুকন�ো মুখে বেরিয়ে আসে সু মি। সমর জিজ্ঞেস করাতে জানায়, “মা হঠাৎ মাথা ঘুরে বাথরুমে পড়ে যায়। সামনের অজয় ডাক্তার এসে দেখে বলেছেন প্রেসার ভীষণ কম, আর মনে হয় হার্টের সমস্যাও আছে। উনি জিজ্ঞেস করছিলেন যে মা ক�োনও শক্ পেয়েছে কি না, আর বলেছেন যে মা’র সম্পূর্ণ বিশ্রামের প্রয়োজন”। সমর তাকিয়ে দেখে অপর্ণা ঘুম�োচ্ছে, আস্তে করে পাশে গিয়ে হাত দেয় তার মাথায়। এত ভাল সু খবরটা মুহূর্তের মধ্যে মলিন হয়ে যায়।

~~~~ ০ ~~~~~

পর্ণার যাবতীয় চিকিৎসা শুরু করে দিয়েছে সমর। সত্যি, মুখার্জীবাবুর মত�ো মানু ষ হয় না – এক কথায় উনি পঁচিশ হাজার টাকার ল�োণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বড় ডাক্তার দেখছেন, দেখা যাচ্ছে শরীরে আরও অনেক উপসর্গ রয়েছে - শরীরটা একেবারেই ভেঙ্গে গেছে। এদিকে অফিসে প্রচণ্ড কাজের চাপ, অপর্ণার দিকে ঠিক মত�ো তাকাতেই পারে না সমর। বাইপাসের যে জমিতে ওদের প্রোজেক্ট হচ্ছে, সেই জমি গুল�োর মালিক সব গরীব চাষি। এরা এতই গরীব যে ওই ছ�োট্ট জমি গুল�োতে যা ফসল ফলায়, তাই বিক্রি করেই সারাটা বছর চলে, আর ওখানেই এক একটা ছ�োট্ট চালা ঘরে বউ, বাচ্চা নিয়ে থাকে। সমরের ক�োম্পানি AMB এই সব চাষীদের বলেছে যে এখানে ওরা অট্টালিকা বানাতে চায়। সেখানে সবাইকে একটা করে ফ্ল্যাট এবং জমির মাপ অনু যায়ী দু ই থেকে পাঁচ লক্ষ পর্যন্ত টাকা দেওয়া হবে সকলকে। এছাড়া এটাও বলা হয় যে, সরকারের পরিকল্পনা মাফিক আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই সমস্ত জমি সরকার অধিগ্রহণ করে সেখানে মিলনMILON | october 2016 | 121


সাহিত্য ২০১৬ একটা বড় গাড়ির কারখানা গড়া হবে – অর্থাৎ চাষিরা যদি AMB এর প্রস্তাবে রাজী না হয়, তাহলে এই সমস্ত জমি সরকার শেষ পর্যন্ত জলের দামে চাষিদের কাছ থেকে নিয়ে নেবে। একদিকে সরকারের জমি নিয়ে নেওয়ার ভয় আর অন্যদিকে এতগুল�ো টাকা এবং সাথে একটা করে পাকা মাথা গ�োঁজার জায়গার ল�োভে চাষীরা AMB’র প্রস্তাবে রাজী হয়ে যায়, যদিও ওরা খুবই ভয় পাচ্ছে যে শেষ পর্যন্ত ক�োম্পানি শর্ত অনু যায়ী সব পাওনা গণ্ডা মেটাবে কিনা ? AMB এর আইন উপদেষ্টা ভাণ্ডারী বাবু খুবই চতুর এবং দক্ষ, আর ওনার কথামত�ো এইসব চাষীদের প্রথমেই পঁচিশ হাজার টাকা করে দিয়ে প্রারম্ভিক চুক্তিপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে, আর বলা হয়েছে যে কিছু দিনের মধ্যে চূ ড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করান�োর সময় আরও এক পঞ্চাশ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে – বাকি টাকা এবং ফ্ল্যাট প্রোজেক্টের শেষে হস্তান্তর করা হবে। সমর সমস্ত জমির মালিকদের সাথে কথা বলে জেনেছে যে ওরা যতক্ষণ না টাকা এবং ফ্ল্যাট হাতে পাচ্ছে, সকলেই খুবই চিন্তা এবং আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সবাই সমরকে তাদের ভয় ও দু শ্চিন্তার কথা জানিয়ে বলে যে এই জমিটুকুই তাদের একমাত্র সম্বল, আর এটা চলে গেলে তাদের আর কিছু ই থাকবে না। সমর এক এক করে তাদের সবাইকে বুঝিয়ে বলে যে AMB এক অত্যন্ত সৎ এবং বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান এবং সমর নিজে জমি অধিগ্রহণ ব্যাপারটার তদারকি করছে, ফলে সে ক�োনও মতেই ক�োনও জমির মালিককে বঞ্চিত হতে দেবে না। তবে, কেবল একজন জমির মালিকের মতিগতি সমরের একটু অন্যরকম মনে হয়েছে। একমাত্র এই ল�োকটির মধ্যেই ক�োনওরকম চিন্তার রেশ সমর খুঁজে পায়নি, বরং মনে হয়েছে যে ল�োকটি সমরের সাথে কথা বলতেও আগ্রহী নয় । এই ল�োকটি মাঝে মাঝে অফিসেও আসে, আর স�োজা মুখার্জীবাবুর ঘরে ঢুকে যায় – একদিন সমর থাকাকালীন ল�োকটি ঘরে ঢুকতে মুখার্জীবাবু সমরকে পরে আস্তে বলেন, আর তখন থেকেই সমরের ল�োকটিকে একটু অন্যরকম মনে হয়। ~~~~ ০ ~~~~~

জ অফিস থেকে বাড়ি ফিরে দেখে, বাড়িতে খুশির জ�োয়ার। শিবার কিছু বন্ধু বান্ধব এসেছে, আর খাও দাওয়াও চলছে। সমরের মনে পড়ে যায় আজ ত�ো শিবার উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরন�োর দিন – লজ্জায় তাড়াতাড়ি অপর্ণাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে “শিবা নিশ্চয় খুব ভালভাবে পাশ করেছে?” অপর্ণা হেঁসে বলে “এই বুঝি ত�োমার মনে পরল ? হ্যাঁ গ�ো, ত�োমার ছেলে খুব ভাল রেজাল্ট করেছে। ত�োমাকে ত�ো বলাই হয় নি, শিবা হ�োটেল ম্যানেজমেন্টেও চান্স পেয়ে গেছে। তুমি বাপু ভর্তি হওয়ার টাকাটার জ�োগাড় শুরু করে দাও – প্রায় এক লক্ষ টাকা লাগবে এক মাসের মধ্যে।“ খবরটা পেয়ে আনন্দে সমরের চ�োখে জল এসে যায়, পাশের ঘরে গিয়ে শিবাকে জড়িয়ে ধরে বলে “আজ আমার ভীষণ আনন্দের দিন - তুই চিন্তা করিস না, টাকার ব্যবস্থা আমি করে দেব’”। শিবা একটু হেসে আবার বন্ধুদের সাথে গল্পে মশগুল হয়ে যায়, আর সমর টাকার কথা ভাবতে ভাবতে চলে আসে অপর্ণার কাছে, তাকে আশ্বস্ত করে বলে যে টাকার ব্যবস্থা সমর ঠিক সময় করে ফেলবে।

122 | মিলনMILON | october 2016

পরদিন মিষ্টির বাক্স নিয়ে সমর অফিসের সবাইকে ছেলের এই সাফল্যের কথাটা জানায় । এতদিন কাজের চাপে সংসারের দিকে ঠিকমত�ো তাকাতেই পারেনি, আজ অনু ভব করে সংসারের প্রতি দায়িত্বের কথা। মুখার্জীবাবুর ঘরে ঢুকতে, উনি ছেলের সাফল্যে বাবাকে অভিনন্দন জানান। সমর এবার টাকার কথাটা জানায় মুখার্জীবাবুকে আর উনি বলেন “তুমি ইতিমধ্যে বউয়ের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ল�োণ নিয়ে ফেলেছ, শ�োধ করবে কি করে? তবে ত�োমার কাজে আমরা খুশি, এমনকি আগরওয়াল সাহেবও খুশি, তাই চিন্তা কর�োনা, ব্যবস্থা হয়ে যাবে।” সমর ভেবে পায় না কি বলে ধন্যবাদ জানাবে মুখার্জীবাবুকে, সত্যিই উনি ভগবানতুল্য মানু ষ। ~~~~ ০ ~~~~~

শি

বা হ�োটেল ম্যানেজমেন্টে ভর্তি গেছে, সামনের মাস থেকে ক্লাস শুরু। অপর্ণার একটু একটু করে সু স্থ হয়ে উঠছে। মাঝে একদিন সু মির বিয়ের কথা ত�োলায়, সমর বলেছে “আরেকটু অপেক্ষা কর, আমি সব ব্যবস্থা করব�ো। মুখার্জীবাবু থাকতে আমাদের আর ক�োনও চিন্তা নেই।“ আজ সকালে অপর্ণার ব্লাড টেস্টের রিপ�োর্ট নিয়ে অফিসে পৌঁছতে একটু দেরী হয়ে গেছে। ঢুকতে গিয়ে দেখে রিসেপশনে খুব ভিড় আর অনেক ল�োকের সাথে লীনার বাক্বিতণ্ডা চলছে। এরা সবাই ওই জমির মালিক, আর ওরা চাইছে মুখার্জীবাবুর সাথে কথা বলতে। সমর সবাইকে শান্ত করে মুখার্জীবাবুর ঘরে গিয়ে ঢ�োকে। এই প্রথম ও মুখার্জীবাবুকে এতটা চিন্তিত দেখে। সমরকে দেখে মুখার্জীবাবু যেন একটু স্বস্তি পান, ওর হাত ধরে বলেন “এই ল�োকগুল�োকে কারা নাচিয়েছে এই বলে যে আমাদের চূ ড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করাতে দেরী করার মানে হচ্ছে যে আমরা ওদেরকে ঠকাতে চাইছি। কি করে আমি যে এইসব গেঁয়ো ল�োকগুল�োকে ব�োঝাই বল ত�ো? তুমি একটু ওদেরকে বুঝিয়ে বল�ো যে চুক্তির খসড়াটা তৈরি করতে একটু বেশি সময় লাগার জন্য একটু দেরী হয়ে গেল। তবে প্রায় তৈরি হয়ে এসেছে আর আগামী মাসে দশ তারিখে সবাইকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিয়ে চুক্তি সই করান�ো হবে।“ সমর মুখার্জীবাবুকে নিশ্চিন্ত থাকতে বলে চলে যায় ল�োকগুল�োর কাছে। ওদেরকে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ওদের সমস্ত বক্তব্য খুব ধৈর্য এবং সহিষ্ণুতার সাথে শ�োনে। এরপর ওদেরকে জানায়, যে ও সকলের বক্তব্য লিখে রাখল আর চূ ড়ান্ত চুক্তিপত্রটি কার্যকর করার আগে ও সেটা নিজে পুঙ্খানু পুঙ্খ ভাবে পরখ করে দেখে নেবে। সমর জ�োর দিয়ে বলে যে সে নিজে দায়িত্ব নিচ্ছে যে কার�োর ক�োনও ক্ষতি হতে দেবে না। এতে সকলে অনেকটা শান্ত হয়ে, তবে ওদের চাহিদা মত�ো সমর তার এই বক্তব্য একটি কাগজে লিখে সই করে ওদেরকে দেয়। সবাই অনেকটা আশ্বস্ত হয়ে অফিসে ছেরে বেরিয়ে যায়। পাশের ঘর থেকে মুখার্জীবাবু সব লক্ষ্য করছিলেন, এগিয়ে এসে সমরের পিঠ চাপড়ে বলেন “সাবাস, তুমি হচ্ছ আমাদের ক�োম্পানির সম্পদ। এবার আমাদের সামনে লক্ষ্য হচ্ছে শান্তিপূ র্ণ ভাবে চুক্তিপত্র সই পর্ব সম্পন্ন করা। সমর বলে “এতে চিন্তার কি আছে? আমাদের উদ্দেশ্য যখন কাউকে ঠকান�ো নয়, তখন চিন্তা করবেন না, সব কিছু ই নির্বিঘ্নেই হবে।“


সাহিত্য ২০১৬ আর মাত্র দু ’দিন বাকি দশ তারিখ আসতে। সকলকেই ইতিমধ্যেই খবর পাঠান�ো হয়েছে ওই দিনে জমিতে চলে আসার জন্য – ওখানেই সামিয়ানা খাটিয়ে চুক্তিপত্র সই হবে। এই সবেমাত্র মুখার্জীবাবু সমরকে ডেকে চুক্তির খসড়া দিয়ে বললেন – এটা পেতে অনেক দেরী হয়ে গেল। সময় ত�ো খুবই কম – তুমি তাড়াতাড়ি স্ট্যাম্প পেপারের ওপর সকল মালিকের নামে চুক্তিপত্র ছেপে ফেল, কালকের মধ্যে সমস্ত তৈরি করতে হবে। তাড়াতাড়ি নিজের জায়গায় গিয়ে সমর এক ঝলক চ�োখ বুলিয়ে নেয় – যদি ক�োনও ভুল, ভ্রান্তি থাকে। শর্ত সংখ্যা দশম অধ্যায় দেখে চমকে ওঠে। এখানে লিখছে যে ম�োট চারটের মধ্যে তিনটে ব্লক ক�োম্পানি বিজ্ঞাপন দিয়ে বাইরে বিক্রি করবে, আর চতুর্থ ব্লকটা জমির মালিকদের দেওয়া হবে। তবে যদি ক�োনও আইনি বাধায় চতুর্থ ব্লকের কাজ আগামী এক বছরে শুরু করা না যায়, সেক্ষেত্রে ক�োম্পানি জমির মালিকদের কাছে নির্ধারিত সময়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করতে দায়বদ্ধ থাকবে না। সেই পরিস্থিতিতে জমির মালিকরা চাইলে ফ্ল্যাটের পরিবর্তে টাকা নিয়ে তাদের স্বত্ব ছেড়ে দেবে, তবে টাকার অঙ্কটা ঠিক করবে ক�োম্পানি। জমির মালিকরা যদি এতে রাজী না থাকে, তবে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে যতদিন না আইনি বাধা দূ র হয়ে চতুর্থ ব্লকের কাজ শেষ হয়। সমর ভাবে এটা ত�ো অত্যন্ত অন্যায় শর্ত। যে ক�োনও রকম আইনি জটিলতা ফলস্বরূপ চাষীরা ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ছু টে যায় মুখার্জীবাবুর ঘরে আর জিজ্ঞেস করে এমন একটা শর্ত কেনই বা রাখা হল? এটাকে কি সরিয়ে দেওয়া যায় না? মুখার্জীবাবু হেসে বলেন “আরে এটা ত�ো ওই ল�োকগুল�োর ভাল�োর জন্যই করা হয়েছে, যাতে করে ফ্ল্যাটের কাজ আটকে গেলে ওরা অন্তত: কিছু টাকা পায়। ভাণ্ডারীবাবু একজন দক্ষ আইনবিদ, আর উনি ওদের কথা ভেবেই এই শর্তটা চুক্তির মধ্যে রেখেছেন। এসব আইনি ব্যাপার আমি বা তুমি কতটা বুঝি ? তুমি বরং সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি সমস্ত চুক্তিপত্র তৈরি করে ফেল। আর হ্যাঁ, ত�োমার ছেলে ত�ো ভর্তি হয়ে গেছে, মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে সেদিন কি যেন একটা বলছিলে?” সমর বলে ওঠে “হ্যাঁ, মানে মেয়ের ত�ো পাত্র ঠিক হয়ে আছে, কিন্তু সেই ত�ো আবার টাকার দরকার। আর কত ল�োণ নেব? শ�োধই বা করব�ো কি করে?” মুখার্জীবাবু বলে ওঠেন “দশ তারিখে সমস্ত সই পর্ব নির্বিঘ্নে মিটে গেলে আমি ত�োমার সাথে বসে ত�োমার মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলব�ো। এছাড়া আগরওয়াল সাহেবের সাথেও কথা হয়ে গেছে যে সব কিছু ঠিকমত�ো হয়ে গেলে ত�োমাকে আমরা একটা স্পেশাল ব�োনাস দেব, এবং সেই টাকার অঙ্কটাও খুব একটা কম হবে না। সু তরাং মেয়ের বিয়ে নিয়ে ত�োমার চিন্তার ক�োনও কারণ নেই, তুমি এখন মন দিয়ে দশ তারিখটা সামলাও।” সমর ভাবে মুখার্জীবাবুর মত�ো মানু ষ যখন আশ্বাস দিয়েছেন, তখন আর এত চিন্তার কি আছে। ও হয়ত একটু বেশিই চিন্তা করছে। তাছাড়া মুখার্জীবাবু এতই ভাল মানু ষ যে ওর মেয়ের ব্যাপার পর্যন্ত এত চিন্তা করছেন। নিজের জায়গায় ফিরে গিয়ে তাড়াতাড়ি শুরু করে দেয় চুক্তিপত্র তৈরি করার কাজ। আজ সকালেই সমর ভাণ্ডারীবাবুকে নিয়ে পৌঁছে গেছে জমির জায়গায়। একে একে এসে জড়ো হচ্ছে সব জমির মালিকরা। এমন দৃ শ্য সমর আগে কখনও দেখেনি – ওইসব গরীব চাষিদের সাথে ওদের বউ বাচ্চারাও চলে এসেছে। এদের সকলের গায়ে পুর�ো জামা কাপড় পর্যন্ত নেই। এরা ত�ো সবাই জমির মালিক,

কিন্তু কেমন অসহায়ের মত�ো ধু ল�ো কাদায় মাখা জমির ওপর হাঁটু গেড়ে বসে আছে, আর করুণ মুখে চেয়ে আছে চেয়ার টেবিল পেতে বসে থাকা আমাদের ক�োম্পানির ল�োকগুল�োর দিকে। ভাণ্ডারীবাবুর এক সাগরেদ এদেরকে ধমকে, বকে এতটাই খারাপ ব্যবহার করছেন যে মনে হচ্ছে উনিই মালিক, আর এরা সব ওনার ভৃত্য। শুরু হয় চুক্তিপত্রে সইয়ের পালা। সমর একজন করে নাম ডাকে, আর সে এসে পাঁচ + পাঁচ আঙ্গুলে কালি মাখিয়ে দশ আঙ্গুলের টিপ সই দেয়, আর ভাণ্ডারীবাবু তাদের হাতে তুলে দেন দ্বিতীয় কিস্তির টাকা, সাথে সাথে ওদের ছবিও ত�োলা হচ্ছে। সমর অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ওদের দিকে – কেউ জমি হারান�োর দু ঃখে অঝ�োরে কাঁদছে বা দু ঃখে অজ্ঞান হবার মত�ো পরিস্থিতি, আবার কেউ টাকা পাওয়ার আনন্দে বউ, বাচ্চাকে জড়িয়ে আনন্দ করছে অথবা কারও হাত থেকে বউ, ছেলে টাকা কেড়ে নিয়ে নিচ্ছে, এমনকি কার�ো কার�ো বউয়েরা এসে অনু র�োধ করছে স্বামীর হাতে না দিয়ে টাকাটা তাদের হাতে দেওয়ার জন্য, নয়ত�ো সমস্তটাই মদের পেছনে চলে যাবে। বেলা গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে। এই মাত্র সই পর্ব শেষ হল। কেবল একজন ছাড়া সবাই চুক্তিতে সই করেছে। নামটা দেখে সমর বুঝতে পারে অবশিষ্ট এই ল�োকটিই মাঝে মধ্যে মুখার্জীবাবুর সাথে একান্তে দেখা করতে আসে। সমর ভাণ্ডারীবাবুকে জিজ্ঞেস করাতে উনি বলেন “চিন্তার কিছু নেই - ও আজকে আসতে পারে নি, পরে অফিসে এসে সই করে দেবে”। সমস্ত ব্যাপারটা ভালভাবে মিটে যাওয়ায় নিজেকে অনেকটা হাল্কা মনে হচ্ছে সমরের, ভাণ্ডারীবাবুও খুব খুশী। একটু আগে মুখার্জীবাবু, এমনকি আগরওয়াল সাহেবও ফ�োন করে সমরের কাজের ভূ য়সী প্রশংসা করেছেন। আজ আবার সমরের মনে হয় যে সে অপদার্থ নয়। এখনও সে যথেষ্ট সম্মানের সাথে চাকরি করে সংসারের ভার বহন করতে পারে, আর খুশী করতে পারে পরিবারের সকলকে। অপর্ণা অনেকটা সু স্থ হয়ে উঠেছে, আর ছেলেটাও কলেজে ভর্তি হয়ে গেছে – কেবল মেয়েটার বিয়ে হলেই সমস্ত চিন্তার অবসান। পরদিন অফিস যেতেই মুখার্জীবাবু তাকে ডেকে স্পেশাল ব�োনাসের খবরটা দিয়ে বলেন মেয়ের বিয়ে তাড়াতাড়ি ঠিক করে ফেলতে।

চু

~~~~ ০ ~~~~~

ক্তি সইয়ের পর প্রায় একবছর ঘুরতে চলল, এখনও ওই ল�োকটি চুক্তিপত্রে সই করে নি – জিজ্ঞেস করলেই হয় মুখার্জীবাবু এড়িয়ে যান অথবা বিরক্ত হন। প্রথম তিনটে ব্লকের কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং বেশ দ্রুতই বেগেই এগিয়ে চলেছে, কিন্তু চতুর্থ ব্লকের কাজ আটকে রয়েছে ওই একটি চুক্তিপত্র অসমাপ্ত থেকে যাওয়ার জন্য। বলা হচ্ছে যে আগে রাজী হলেও, ওই জমির মালিকটি নাকি এখন আর চুক্তিতে সই করতে আগ্রহী নয়, উপরন্তু সে তার জমিতে যাতে ক�োনও নির্মাণকাজ শুরু না হয় তার জন্য ক�োর্টের আদেশও বের করেছে। যেহেতু তার জমি ওই চতুর্থ ব্লকেরই জায়গায়, তাই মিলনMILON | october 2016 | 123


সাহিত্য ২০১৬ আইন অনু যায়ী ওই ব্লকের নির্মাণ সম্ভব নয়। সমর বুঝতে পারে তার আশঙ্কাই আজ ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে অর্থাৎ ওই চাষীরা, যারা এই মুহূর্তে অত্যন্ত কষ্টে মাঠে, ঘাটে দিন কাটাচ্ছে ভবিষ্যতে পাকা বাড়িতে থাকার আশায়, তারা কেউই ওই ফ্ল্যাট পাবে না এবং শেষ পর্যন্ত ক�োম্পানি খুব অল্প পয়সার বিনিময়ে এদের কাছ থেকে জমির সমস্ত স্বত্ব কেড়ে নেবে। সমর এখন বুঝতে পারে সমস্তটাই ক�োম্পানির পুর্বকল্পিত। মনে হচ্ছে ছু টে গিয়ে মুখার্জীবাবু অথবা আগরওয়াল সাহেবকে জিজ্ঞেস করে যে আপনারা ত�ো ওই তিনটে ব্লক বিক্রি করে ক�োটি ক�োটি টাকা লাভ করবেন, তাহলে এই গরীব মানু ষ গুল�োকে কেন এভাবে ঠকাচ্ছেন ? যে সরল মানু ষগুল�োর বিশ্বাসের ওপর ভর করে আপনাদের এত রমরমা ব্যবসা, তাদের কাছ থেকেই আপনারা কেড়ে নেবেন তাদের জীবনের একমাত্র সম্বলকে? পরক্ষনেই মনে পরে যে সেও ত�ো এই ক�োম্পানিরই ল�োক, আর ওই ত�ো নিজে দাঁড়িয়ে সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে সবাইকে দিয়ে ওই চুক্তিপত্রে সই করিয়েছে, আর পরিবর্তে পেয়েছে অর্থ আর সাথে অসংখ্য প্রশংসা। এদের প্রবঞ্চনার মুলে সেই ত�ো সরাসরি ভাবে দায়ী, কারণ তার অসংখ্য মিথ্যা আশ্বাসই ঐসব চুক্তিপত্রগুল�ো বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করেছে। যে গরীব ল�োকগুল�ো নিজেদের নাম পর্যন্ত সই করতে অপারগ, তারা ওই জটিল চুক্তির অর্থ বুঝবে কি করে? অফিস থেকে বেড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে চলে বাবুঘাটের দিকে। মনে পড়ছে ওই ল�োকগুল�ো আর তাদের পরিবারের করুণ মুখগুল�ো। এতদিনে হয়ত তাদের সব টাকাই শেষ – তা সে খেয়েই হ�োক, বা আনন্দ করেই হ�োক, বা মদ বা অন্য নেশা করেই হ�োক। এরপর অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে তাদের জমির সমস্ত স্বত্বও চলে যাবে – তা’হলে মানু ষগুল�ো বাঁচবে কি করে? কিন্তু এদের এই দু রবস্থার জন্য সমর কি তার দায়িত্ব অগ্রাহ্য করতে পারে? ও নিজেই ত�ো সকলকে এতদিন পূ র্ণ আস্থা জুগিয়ে এসেছে এবং কথা দিয়েছে যে তাদের ক�োনও ক্ষতি হতে দেবে না। তা হলে ও কেন ওই চুক্তি বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াল�ো না? ও ত�ো এই চাকরিটা দিয়ে নিজের সংসারটাকে বাঁচিয়েছে, কিন্তু বিনিময়ে এত গুল�ো সংসারকে শেষ করে দেবার কি অধিকার আছে ওর ? মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে আর ছেলেও কিছু দিনের মধ্যে পাশ করে নিজের কর্ম জগতে ঢুকে যাবে। অপর্ণা এখন অনেক সু স্থ। গৃ হকর্তা হিসেবে সমর তার সমস্ত দায়িত্বই পালন করেছে, কিন্তু সামাজিক দায়িত্ব? এই পাপের ব�োঝা নিয়ে কি ভাবে বাঁচবে, আর সত্যিই কি এরপর তার বাঁচার ক�োনও অধিকার আছে? অফিস থেকে বেরিয়ে আজ আর বাড়ি যেতে ইচ্ছে করছে না। পায়ে হেঁটে এগিয়ে চলে বাবুঘাটের দিকে। গঙ্গার পারে এসে কেমন যেন অন্যরকম অনু ভূতি হচ্ছে – জলটা আজ খুব বেশী বলে মনে হয়। দূ র দিয়ে ল�োকভর্তি লঞ্চ গুল�ো এগিয়ে চলেছে, আর তার আল�োতে জলটা চিকমিক করছে। জলের ধারা বয়ে চলেছে একই ভাবে - সু দূর হিমালয় থেকে শুরু করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েও ক�োনও ক্লান্তি নেই, অথচ সমর জীবনের এইটুকু পথ চলেই কত ক্লান্ত ও বিষণ্ণ। মনে হয় গঙ্গার এই জলপ্রবাহের সাথে যদি সে নিজেকে মিশিয়ে দেয়, তাহলে ত�ো কত সহজেই জীবনের অন্তিম গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারে – একেই কি তবে গঙ্গাপ্রাপ্তি বলবে? একটু দূ রে এক গেরুয়াবসন ধারী সাধু বসে নিজের মনে গাঁজায় 124 | মিলনMILON | october 2016

টান দিচ্ছে। সমর এগিয়ে গিয়ে পাশে বসে বলে “বাবাজি, আমি জীবনে অনেক পাপ করেছি। নিজের সংসারটা বাঁচাতে কতগুল�ো গরীবের সংসারে সর্বনাশ ডেকে এনেছি। আমার এই পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি?”। সাধু এক লম্বা টান দিয়ে বলেন “বেটা, ইস ধরতি পর হর কই পাপ পৈদা কর রহা হ্যায়। পাপ সে ছু টকারা মিলনে কে লিয়ে তুমহে ভগবান কে পাস যানা পড়েগা। আভি মেরে পাস আকে থ�োড়া দম লাগাকে দেখ, তু সব কুছ ভুল জায়েগা।“ সমর আর ক�োনও কিছু না ভেবে স�োজা কলকেটা ধরে বেশ কয়েকটা টান দেয়। সত্যিই ত�ো, কয়েক মিনিটের মধ্যে শরীরের সমস্ত জ্বালা যেন ফানু সের মত�ো উবে যায়। একটু আগে পর্যন্ত মাথাটাকে কি ভীষণ ভারি লাগছিল, আর এখন পুর�ো শরীরটাই যেন কি হাল্কা হয়ে গেছে। সমর উঠে এগ�োতে থাকে গঙ্গার পাড়ের দিকে। পা’টা ভীষণ টলছে, বুঝতেই পারছে না কিসের ওপর দিয়ে হাঁটছে সে, আর মাথাটা মনে হচ্ছে বেলু নের মত�ো আকাশে উড়ছে। গঙ্গার ওই পবিত্র জলে নিজের পাপস্খলন করার ইচ্ছায় ঘাটের সিঁড়ি বেয়ে নামতে শুরু করে। হঠাৎ পিছন থেকে এক তীব্র চিৎকার “সাবধান, সাব----ধান” পিছনে ফিরে তাকান�োর চেষ্টা করা মাত্রই একটা ছ�োট্ট “ঝপাৎ” শব্দ আর তাতেই ............। প্রবল বেগে ধেয়ে আসা জ�োয়ারের স্ফীত জল�োচ্ছ্বাস টেনে নেয় সমরের দেহটাকে। পবিত্র গঙ্গার জল কি পারল সমরের নির্বেদ-ক্লিষ্ট মনটাকে ধু য়ে মুছে দিতে ?

দিলীপ ঘ�োষ পেশায় যন্ত্রবিদ দিলীপ যান্ত্রিকতা ভুলতে সপ্তাহন্তে তুলে নেয় রঙ-তুলি বা কলম৷কখনও ক্যানভাসে, আবার কখনও লেখনীর লিখনে আপন মনের মাধু রী মিশিয়ে প্রকাশ করতে চায় নিজ মনের ভাব৷


সাহিত্য ২০১৬

With Best Compliments from

Shashwati and Suhrid Devsharma

মিলনMILON | october 2016 | 125


সাহিত্য ২০১৬

স্বপ্নপূরণ পম্পা ঘ�োষ

সূ র্যের প্রথম আল�ো যখন খ�োলা জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকে পাপনের নতুন ঘরটা আল�োময় করে দেয়, ঠিক তখন আধ�ো ঘুমন্ত আধ�ো জাগা অবস্থায় পাপন আল�োটা ঢাকবার চেষ্টায় বালিশটাকে মাথার ওপর সজ�োরে চেপে ধরে শুয়ে রবিবারের সকালে দেরী করে বিছানা ছাড়ার প্রস্তুতি নেয়। ‘টিন’ এর দলে পড়েই তের�ো বছরের পাপন বাড়িতে একটা আলাদা ঘর পেয়েছে। ছ�োট একফালি ঘরে একদিকে পড়ার ব্যবস্থা, আরেক দিকে একটা সিঙ্গল বেড খাট আর তার ক�োনে পাপনের প্রিয় বাদ্যযন্ত্র গীটার – এই নিয়ে পাপনের ছ�োট্ট নতুন দু নিয়া – যা একান্তই তার নিজের। নিজেকে এখন বেশ বড়-বড় লাগে পাপনের। তাছাড়া এর আগে বাবামার ঘরে সে যখন শুত�ো , অনেক সময়ই মাঝরাতে চাপা স্বরে বাবা-মার তর্কবিতর্কের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যেত তার।কখনও বা শুনত বাবা নীচু অথচ কঠ�োর স্বরে বলছে, “আর কত শুনব আমার মায়ের নামে সব কথা? দ�োষ যেন সব মায়ের! তুমি যেন ধ�োয়া তুলসী পাতা! যত্তসব মেয়েলি ঝামেলা!” কখনও কখনও মায়ের চাপা কান্নার শব্দও পাপনের কানে আসত। ঘুমের ঘ�োরেও মা কাঁদছে বুঝতে পারলে ভীষণ মন খারাপ হয়ে যেত পাপনের। মাঝেমাঝে বাবার ওপর রাগও হত। যাই হ�োক, এখন সম্পূর্ণ একটা নিজস্ব ঘর পেয়ে পাপন আপন মনে নিজের দু নিয়ায় থাকতে পারে। “ও:!” ক�োথায় রবিবারের সকালটা একটু আরাম করে লম্বা ঘুম দেবে তা নয়, দাদা (পাপনের ঠাকুর্দা) বারবার এসে পর্দাটা টেনে দিতে দিতে সেই পুরন�ো রেকর্ডটা বাজাতে থাকেন, “Early to bed, early to rise / makes a man healthy wealthy and wise. উঠে পড়, উঠে পড় – যে শুইয়া থাকে 126 | মিলনMILON | october 2016

তার ভাগ্যও শুইয়া থাকে। You know, I used to..” “ও: দাদা, Stop playing that broken record again. I am not at all interested in what you used to do in your time! ছু টির দিনে যে একটু আরাম করে ঘুম�োব�ো, তা নয় ত�োমার এই “used to” র ঠেলায় সব গেল, আমেজটাই নষ্ট করে দিলে!” নাতিকে ঘুম থেকে ত�োলার চেষ্টায় ঠাকুরদার প্রয়াসে জল ঢেলে, পাপন আবার পাশ ফিরে শুল�ো। এদিকে রমেন বাবুর (পাপনের ঠাকুর্দা) চা-তেষ্টা পেয়েছে। ছু টির দিনের সকালে ছেলে-ব�ৌ লেট রাইজার, এখন কাজের ল�োকেদের রবিবার ছু টি দিতে হয়, গিন্নি নিত্যপূ জায় ব্যস্ত। তাই নাতিকে হাঁকডাক করে ডেকে পুর�ো বাড়ির ঘুমন্ত মানু ষগুলিকেই ব�োধহয় জাগান�োর চেষ্টা করছেন। পর�োক্ষ চেষ্টা বৃ থা গেল না। নাতি না উঠলেও দাদা-নাতির কথ�োপকথন সকালের পাতলা হয়ে যাওয়া ঘুমের মধ্যে ব�ৌমার কানে যায় ঠিকই। ধড়মড় করে উঠে রিয়া (পাপনের মা) বাথরুমে ঘুরে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ায়। আসলে শনিবার রাতটায় অনেক সময় লেটনাইট হয়েই যায়। তাই রবিবার সকালে ঘুম ভাঙ্গলেও জড়তা যেন আর কাটতে চায় না। গতানু গতিক জীবনের একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে কিছু টা মুক্তির স্বাদ পেতে রিয়া-তরুণের বন্ধুবান্ধবদের সাথে উইকেন্ড পার্টি এখন প্রতি সপ্তাহেই নিত্য ঘটনা। আগে পাপনের পড়াশ�োনার কথা চিন্তা করে তারা বড় একটা বের�োত না। কিন্তু এখন পাপন ত�ো আর ছ�োট নেই, নিজের পড়া নিজেই করে, তাছাড়া অঙ্ক, ইংরিজি, বিজ্ঞানের টিউশন ত�ো আছেই। তাছাড়া ওদের নিজেদের লাইফ বলেও ত�ো কিছু একটা আছে! পাপনের বাবা তরুণ, একটি বহুজাতিক সংস্থায় সেলস বিভাগে কাজ করেন। তাই কাজের যা চাপ! সারা সপ্তাহ টার্গেট সেটিং, ফুলফিলমেন্ট, ক্লায়েন্ট ডিম্যান্ড এসব নিয়ে লড়তে লড়তে একটা ব্রেক ত�ো লাগবেই! রিয়ার কাছেও সপ্তাহান্তের এই সময়টা বহু আকাঙ্ক্ষিত, তবে কারণটা একটু আলাদা। “রিয়া সেই গানটা শ�োনাও না” যে ক�োন�ো বন্ধুর কাছ থেকে এমন একটা অনু র�োধে গলা ছেড়ে গান গাইতে পারলে রিয়ার গান ভাল�ো লাগা মনটা প্রতিদিনের ডাল, ভাত, চচ্চরির সাধারণত্ব থেকে সরে যেন মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারে। বন্ধুবান্ধবদের সাথে এই উইক-এন্ড মিট, আবার পরের সপ্তাহের কর্মময় জীবনের জন্য তাই বেশ একটা এনার্জি টনিকের মত কাজ করে। এখন আবার ‘রবীন্দ্র জয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে ‘শেষের কবিতা’ মঞ্চস্থ হবে। গানের সাথে সাথে অভিনয়টাও রিয়া বেশ ভালই করে। লাবণ্যের চরিত্রে তাই রিয়া- সাথে থাকছে তার গানও। রিয়ার স্বামী এসব গুণের অধিকারী না হলেও তার বাবা-মায়ের মত কাঠখ�োট্টা বাস্তববাদীও নয় সে যে এসব গানবাজনা কে ‘যাত্রা পার্টি’ বলে আখ্যা দেবে। বরং মহড়া চলাকালীন সু রার পেয়ালায় চুমুক দিয়ে, ব�ৌয়ের প্রতিভার প্রশংসা শুনে বেশ কেটে যায় তার সময়টা। শুধু মৃ দু নেশার আমেজটা যখন বাড়ি ফিরে রিয়ার- “ ত�োমার বাবা-মা এই বললেন – কেমন ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন”–এইসব কথায় কেটে যাবার উপক্রম হয় তখনই মেজাজটা যায় বিগড়ে। তবে এ কথা সত্যি, যে তরুণের বাবা-মা, হিসেব মত তাঁদের বড় ছেলের কাছে ত্রৈমাসিক থাকার পালা শেষ করে তরুণের সংসারে থাকতে এসে ছেলে-ব�ৌএর এই নিশীথ আসর তেমন সু নজরে দেখছেন না। ***** সামনের সপ্তাহে ফার্স্ট সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু পাপনের।


সাহিত্য ২০১৬ পড়াটা তেমন ভাল�ো হয় নি এবার। একটু ভয়ভয় করছে। “ধূ র, এত খেটে পড়েই বা কি হবে! কিছু তেই বাবাকে খুশি করার মত মার্কস ত�ো আর পাব না।” পাপনের বাবার স্বপ্ন যে ছেলে নামকরা ডাক্তার হবে। আসলে তরুণের জীবনের প্রথম দিকটায় ওষু ধ প্রম�োট করার জন্য নামীদামী ডাক্তারদের দ�োরে দ�োরে ঘুরতে ঘুরতে আর তাঁদের মেজাজের সাথে পাল্লা দিতে দিতে ক�োথায় যেন নিজেরই অজান্তে একটা সু প্ত ইচ্ছা ছেলেকে ডাক্তার হিসেবে গড়ে ত�োলার স্বপ্নে জেহাদ হিসেবে কাজ করে গেছে। এদিকে পাপনের ত�ো অঙ্ক, বায়োলজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এ সব বিষয় গুল�ো দেখলেই মাথা ঝিমঝিম করে। মনে হয়, “আচ্ছা, সবাইকেই এত এত পড়ে বিশাল কিছু রেজাল্ট করতে হবে কেন? পড়াশ�োনা ছাড়াও ত�ো কত প্রফেশন আছে যাতে খ্যাতি, নাম, যশ , অর্থের ক�োনও ঘাটতি নেই। আচ্ছা, মডেল হওয়া যায় না?” সম্প্রতি ঠ�োঁটের ওপর হালকা গ�োঁফের রেখা, কন্ঠস্বর পরিবর্তন- এসবের মধ্যে দিয়ে পাপন যেন এক লাফে অনেক খানি বড় হয়ে গেছে। সময়টা দু দশক আগে হলে এই বয়েসের ছেলেদের হয়ত�ো রইরই করে মাঠে খেলতে দেখা যেত, যখন ক্রিকেট বা ফুটবলের দু নিয়ায় যু গান্তকারী কিছু করার আশায় তারা ঘেমে নেয়ে একাকার হত। তবে সময়ের রেলগাড়ী যেন আর�ো দ্রুত ছু টছে, আর তার সাথে শৈশব, কৈশ�োর ক্ষণস্থায়ী হয়ে দ্রুত পিছনে চলে যাচ্ছে। এখন পাপনের ফর্সা, লম্বা, ছিপছিপে আর সু ঠাম চেহারা দেখে বন্ধুরা ত�ো প্রায়ই বলে, “বস, ত�োর ত�ো একদম হির�ো হির�ো চেহারা, মডেলিং এ নেমে পড়, ত�োর হবে।” এসব শুনে আর�ো উৎসাহ পায় পাপন। এই ত�ো সেদিন টিউশনে কাল�ো টি শার্ট আর ফেডেড লিভাইস জিন্সের আউট ফিটে দেখে বান্ধবী জয়ী বলল, “Oh, you look so dashing in this outfit, - ঠিক সেই মডেলের মত, awesome!” এরকম ইংরিজি, বাংলার মিশ্র ভাষাও পাপনের হৃদযন্ত্রে তৎক্ষনাৎ ডমরু বাজাতে শুরু করে। ভীষণ খুশিতে মনটা যেন ফুরফুর করে উড়ছে। বাড়ি ফিরেই বারেবারে মায়ের ঘরের ফুল লেংথ আয়নাটায় ঘুরে ফিরে বারবার বিভিন্ন ভঙ্গিমায় নিজেকে দেখে আর ভাবে , “আচ্ছা, এখন মাসল বিল্ডিং আর সিক্স প্যাক্স এর জন্য লড়ে যেতে হবে।” মনেমনে এটাও ঠিক করে তাহলে এই ড্রেসেই একটা ক্লোজআপ ছবি তুলে প্রোফাইল পিকচার করতে হবে। আসলে বাড়ির কাউকে না জানিয়ে বয়েস লু কিয়ে অন্য এক নামে ফেসবুকে একটি একাউন্ট খুলেছে সে – এরই মধ্যে একশ�ো সাতান্ন ফ্রেন্ড। একান্ত নিজের ঘরটা পেয়ে বেশ সু বিধাই হয়েছে। রাত্রিবেলা স্কুলের প্রজেক্ট শেষ করবার ছু ত�ো দিয়ে অনেক রাত অবধি চলে পাপনের কম্পিউটারে নিভৃত অভিযান। সেইসঙ্গে বড়দের কাছে আপত্তিজনক অথচ বয়:সন্ধিকালের কাছে দু র্ণিবার আকর্ষণীয় কিছু ওয়েব-সাইট ও ছবি, যেগুল�ো বন্ধুবান্ধব ও স্কুলের সিনিয়রদের কাছে সে জেনেছে। গতকাল ছিল শনিবারের রাত, বাবা-মাও ফিরেছে অনেক দেরীতে - তাই পাপনের খুব সু বিধে হয়েছিল। অবশ্য মাঝেমাঝে দাদা শুয়ে পড়ার আর্জি নিয়ে সেই “Early to bed …….” ছড়াটা বলতে বলতে ঘরে ঢুকে আসছিল। তবে দাদার সেই চটি ফটফটানির আওয়াজটা শুনেই কম্পিউটারের স্ক্রিনটা চটজলদি পাপন বদলে ফেলেছে। “ও:, দাদা! আমার এখন অনেক কাজ। প্রজেক্টটা শেষ করতে হবে যে, স�োমবার সাবমিশন!” বৃ দ্ধ রমেনবাবু তখন নাতির পড়াশ�োনায় মন�োয�োগ দেখে আশ্বস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েছেন। সদর দরজায় চাবি ঘ�োরান�োর আওয়াজ শুনেই পাপন

কম্পিউটার বন্ধ করে এক লাফে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। তবে চাপা স্বরে হলেও নিস্তব্ধ বাড়িতে বাবার দাঁত কিরমির করে কথাগুল�ো পাপনের কানে এল ঠিকই । “আজ কিন্তু চ্যাটার্জীটা বড্ড বাড়াবাড়ি করেছে, গায়ে পড়া ফ্ল্যাম্বয়েন্ট ক�োথাকার! আর তুমিও ত�ো আস্কারা দাও, ঐ জন্যই বাড়ে! করবে নাই বা কেন? ত�োমার গানের গুণমুগ্ধ শ্রোতা কি না!” মাও রাগত স্বরে বলে উঠল, “বাজে কথা ব�োল�ো না ত�ো! গলা অবধি গিলে তুমিও ত�ো.....” এরপর ব�োধহয় দরজা বন্ধ হয়ে যায়, বাবা-মায়ের নৈশ বাকবিতন্ডা আর পাপনের কানে পৌঁছ�োয় না। পাপন আগে দেখত�ো সাধারণতঃ পার্টি থাকলে ড্রিংক করে বাবা বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকেন - তখন বেসু রে হলেও গুনগুন করে গান গাইতে থাকেন। ঐ ড্রিংকগুল�ো খেলে কেমন অনু ভূতি হয় তা দেখবার জন্য পাপন একদিন বাড়িতে একা থাকাকালীন ফ্রিজ থেকে একটু বার করে চেখে দেখেছে – খেতে অবশ্য তেমন ভাল�ো নয় - কেমন তেত�ো আর ঝাঁঝ স্বাদ ! তবে কিছু ক্ষণ পরে কেমন একটা ঝিম ধরা অনু ভূতি হয়েছিল সেটা বেশ লাগছিল। পরে অবশ্য বাবা-মা পাছে গন্ধ পায় এই ভয়ে মায়ের ড্রেসিং টেবিল থেকে বেশ খানিকটা পারফিউম মেখে নিয়েছিল। তারপর কখন যে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল তা টেরই পায় নি। পরে মা যখন পাপনের জামাকাপড়ে সেই পারফিউমের উগ্র গন্ধের কথা জিজ্ঞাসা করেছিল পাপন বলেছিল, “দেখছিলাম, গন্ধটা কেমন। ভুল করে একটু বেশি স্প্রে হয়ে গেছে ব�োধহয়। মা মৃ দু হেসে আদরের ভঙ্গিতে, ‘ দু -উ ষ-টু!” বলে আলত�োভাবে গালে ট�োকা মেরেছিলেন। ***** মা গান গাইতে বসলে পাপনের খুব ভাল�ো লাগে। নতুন গীটারটা তেমন আয়ত্ত না হলেও সেটা নিয়ে রকস্টারের ভঙ্গিতে পাপনও কিছু বেসিক স্ট্রোক দেয়। মাও উৎসাহিত হয়ে একটার পর একটা গান গেয়ে চলে। বাবা ট্যুরে গেলেই মা ব�োধহয় একটু সময় পেয়ে গান গাইতে বসে। তবে একটা ব্যাপার দেখে খুব রাগ হয় পাপনের। মা গান গাইলে দাদা-দাদী টিভির ভল্যুমটা আরও বাড়িয়ে দিয়ে সিরিয়াল দেখতে মশগুল হয়ে থাকে। বাবা ছু টির দিনে বাড়ি থাকলেও দেখেছে ব�োসের মিউজিক সিস্টেমে সজ�োরে বিদেশী গান বাজাতে আর বলতে, “শ�োন শ�োন কি ভ্যারাইটি, কি রেঞ্জ! কি সব প্যানপ্যানে বাংলা গান নিয়ে পড়ে আছ!” পাপন কিন্তু এ যু গের ছেলে হয়েও সব ভাষায়, সব সময়ের যে ক�োন�ো ভাল�ো সু রের গানই শুনতে ভালবাসে। হয়ত�ো সু রের ওপর এই টানটা মায়ের কাছ থেকেই জন্মসু ত্রে পেয়েছে পাপন। সু ন্দর চেহারা, গিটার বাজনা এসব নিয়ে পাপন ম�োটামুটি ক�োন�ো রকস্টার বা বিজ্ঞাপন জগতে বিখ্যাত মডেল হবার স্বপ্নে মশগুল। পড়াশ�োনা করতে তার ভাল�ো লাগে না – কি করবে! পাপন কিছু তেই ডাক্তার হয়ে বাবার স্বপ্ন পূ রণ করতে পারবে না – আসলে পাপনের নিজের সেরকম ক�োন�ো চাওয়াই নেই। অত পড়া সে ক�োনমতেই পড়তে পারবে না। এদিকে যে দু নিয়াটাতে নাম, যশ করার জন্য পাপনের প্রবল আগ্রহ সেখানে এমন একটা ম�োহময় হাতছানি আছে যাতে যে কেউই, বিশেষ করে পাপনের মত কৈশ�োর থেকে তারুণ্যে পা বাড়ান�ো ছেলেমেয়েরা চুম্বকের মত আকর্ষিত হবেই। কিন্তু সেই রঙ্গিন দু নিয়ার হাতছানি যে অনেকসময় মরীচিকায় পর্যবসিত হয় তা না জেনে না বুঝেই এক অদম্য আকর্ষণে পাপন এগিয়ে চলেছে। ***** মিলনMILON | october 2016 | 127


সাহিত্য ২০১৬ রিয়া আর তরুণের দাম্পত্যে শৈত্য যেন ক্রমশ: কঠিন তুষারের আকার নিচ্ছে, যার অদৃ শ্য ভারে তাদের চ�োদ্দ বছরের বিবাহিত জীবন একটু একটু করেও সবার অজান্তেই ভেঙ্গে চলেছে। আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত ঘরে বিয়ে শুধু দু ট�ো মানু ষের মধ্যে হয় না, দু ট�ো পরিবারের চাওয়া-পাওয়ার মধ্যেও অনেক কিছু মিলতে হয়। আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজে স্বাভাবিক নিয়মেই মেয়েদের কাছ থেকেই আশা করা হয় যে সে তার বিবাহ-পূ র্ব সংস্কারের আশাআকাঙ্ক্ষা সব কিছু ই নতুন পরিবারের ছাচে ঢেলে নেবে এবং তা হলেই সেই পতিব্রতা নারী সফল সন্তানের জননী হয়ে একটি সু খী সংসার গড়ে তুলতে পারে। যু গের পর যু গ ধরেই হয়ত বেশির ভাগ মেয়েই এই ভাবেই সু খী সংসার গড়ে চলেছে, যেখানে তাদের নিজের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে ভাববার অবসর মেলেনি। বিবাহ�োত্তর প্রথম কয়েক বছর স্বামীর বাবা-মা, ভাই-ব�োনের মন যু গিয়ে চলার চেষ্টায় নতুন মাটিতে নিজের পা দু টি শক্ত করতে চাওয়া, তারপর নবজাতক শিশুকে নিয়ে বিনিদ্র রাত কাটিয়েও তার নতুন নতুন ছলাকলা দেখে আবেগাপ্লু ত হয়ে যাওয়া, তারপরেই নাভিশ্বাস তুলে সন্তানের পড়াশ�োনা আর একটা অন্তত: এক্সট্রা ক্যারিক্যুলারে পারদর্শিতা বাড়ান�োর চেষ্টায় দ�ৌড়ে চলতে চলতে কখন যে জীবনটা মধ্যভাগে চলে আসে সে খেয়ালই অনেকের থাকে না। আর্থিক সচ্ছলতা, কৃতী সন্তানের জননী হওয়া, নিজের কর্মজগত থাকলেও স্বামীর পদ�োন্নতিতে গর্বিত হওয়া, আর শ্বশুর বাড়ির বৃ হত্তর পরিবারের অন্য সকলের সাথে একটা সু ন্দর সম্পর্ক রেখে চলা- এ সবই হল এক আদর্শ পত্নীর আদর্শ অবস্থা। কিন্তু এই আদর্শ অবস্থার অনেকগুলি মিললেও রিয়ার জীবনটাকে সেটি ব�োধহয় পুর�োপুরি খুশিতে ছেয়ে ফেলতে পারল না! পারল না- সে কী শ্বশুর বাড়িতে রিয়ার সঙ্গীত প্রতিভার তেমন ক�োনও কদর হল না বলে? না, তার স্বামী তরুণ ছাড়া অন্য কেউ রিয়ার নামকরা গায়িকা হবার সু প্ত ইচ্ছেটাকে জাগিয়ে তুলল বলে? কারণটা হয়ত�ো রিয়া বা তরুণ নিজেরাও কেউই স্পষ্টভাবে জানে না। ঐ জন্য হয়ত�ো বুঝতেও পারল না, দু জনের চাওয়া-পাওয়ার অমিল থেকে যে চিড়টা তাদের সম্পর্কের মধ্যে ধরেছিল�ো, সেটা ক্রমশ: ফাটলের আকার নিচ্ছে। ***** পাপনের দাদা-দাদী রিয়া-তরুণের সংসারে তিনমাসের পালা শেষ করে আবার আরেক ছেলের কাছে চলে গেছেন। তাই এবার তাদের পার্টিটা রিয়াদের বাড়িতে হতে আর অসু বিধে নেই। পাপন বুঝতে পারে না বাবা-মা যে অন্য সময় এত কথা কাটাকাটি করে, কিন্তু পার্টি থাকলে সবার সামনে কেমন হ্যাপী কাপলের মত ব্যবহার করে, সেটা কেন! কারণ যাই হ�োক, বাবা-মার শান্তিপূ র্ণ অবস্থানটা পাপনের, হয়ত বা সব সন্তানের কাছেই খুব দামী, নয়ত�ো জীবনের ভারসাম্য অনেক খানি নড়বড়ে হয়ে যায়। ভেতরে যাই থাক পার্টতে তার বাবা-মাকে তাই খুশির ম�োড়কে দেখতে পাপনের বেশ ভালই লাগে। তবে এবার রিহার্সাল কাম গেট টুগেদার পার্টিতে ঘটনাটা একটু অন্যরকম হল। মা যখন চ�োখ বন্ধ করে বিভ�োর হয়ে , “আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল, শুধাইল�ো না কেহ!” গানটি গেয়ে শেষ করল তখন চ্যাটার্জী আঙ্কেল ফস করে বলে উঠলেন, “ অনবদ্য, a-a-awesome! তরুণ হীরে চিনলে না ভায়া ! এমন অমূ ল্য রত্নটিকে পেটি হাতা-খুন্তিতে ব্যস্ত করে রাখলে! Sheer wastage of talent! “ব্যাস, এরপর দেখে কে! তরুণ বেশ কিছু টা মদ্যপান করে খানিকটা বেসামাল হয়ে ছিলই। এমন সময় এই গা জ্বালা ধরা কথা শুলেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বল, “Don’t you dare utter 128 | মিলনMILON | october 2016

a single more word . Bloody womaniser! Shuuutttt uppp! আমার বউ, আমার যা খুশি তাই করব।” এমন আচমকা একটা চিৎকারে চ্যাটার্জি সমেত সবাই-ই থতমত খেয়ে চুপ করে গেল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে রিয়া বলে উঠল, “ছি:, তরুণ ওনাকে এভাবে ব�োল�ো না! উনিই ত�ো একমাত্র মানু ষ যিনি আমার বাবা-মার পর আমার গানটা ব�োঝেন বা ভাবেন।” গলা আরও চড়িয়ে হুঙ্কার ছেড়ে আবার তরুণ জড়ান�ো স্বরে বলে “ Whaaat?.....” অবস্থা ক্রমশ: আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে অন্যান্য অতিথিরা সবাই মধ্যস্থতা করে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি কিছু টা সামলাবার চেষ্টা করে। কিন্তু এটা বেশ ব�োঝা গেল যে বহুকাল ধরে ক�োন�ো সু প্ত আগ্নেয়গিরি হঠাৎ জেগে উঠলে আকস্মিক অগ্নুৎপাতে যেমন চতুর্দিক ছারখার হয়ে যায়, আজ রিয়ার চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে জ্বলন্ত লাভা বেরিয়ে এসে সম্পর্কের সূ ক্ষ্ম তন্ত্রীগুলি একদম ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিল। চ্যাটার্জী আঙ্কেলের মায়ের প্রতি গায়ে পড়া ভাবটা পাপনের তেমন ভাল�ো লাগে না। সেদিন তার মত নাবালকেরও বুঝতে অসু বিধে হল না, যে জল ক�োনদিকে গড়াবে! ***** মাঝে কয়েকটা বছর কেটে গিয়েছে। পড়াশ�োনার প্রতি পাপনের আগ্রহের বহর আর পরীক্ষার ফলাফল দু ইই প্রমাণ করেছে যে পাপন তার বাবার ইচ্ছাপূ রণ করে ডাক্তার আর ক�োনও মতেই হতে পারবে না। তবে পাপনের ফ্যাশন দু নিয়ায় পা রাখার ইচ্ছা কিয়দাংশে পূ রণ হয়েছে, কারণ সম্প্রতি কলেজের ফ্রেশার্স ওয়েল কামে ভ্যারাইটি শ�ো তে পাপন “ম�োস্ট এট্রাক্টিভ লু ক” খেতাব জিতেছে। এখন এই ফিল্ডেই ক্যারিয়ার বানান�োর চেষ্টায় বিভিন্ন এড এজেন্সিতে ঘ�োরাফেরা শুরু করেছে পাপন। এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা অত সহজ হবেনা- অনেক লড়তে হবে। কিন্তু সম্প্রতি পাপন মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত, কারণ একটা মর্মান্তিক ঘটনা তার আঠার�ো বছরের জীবনটা ওলটপালট করে দিয়েছে। কিছু দিন হল তার মা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে, আর থাকছে আবার সেই তার ভীষণ অপছন্দের সেই চ্যাটার্জী আঙ্কেলের সাথে। চ্যাটার্জি মিডিয়া লাইনের ল�োক, ওনার ক�োন�ো পরিচিতির সু ত্রে একটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেলে মা মাঝেমাঝে গানের অনু ষ্ঠান করে। মা আর গান এই দু ইয়ের প্রতি পাপনের দু র্বলতা এবং প্রবল আকর্ষণ থাকলেও বাড়ি ছেড়ে রিয়া ক�োলে যাওয়াতে মায়ের প্রতি প্রচণ্ড অভিমান শেষপর্যন্ত রাগে পরিণত হয়েছে। রিয়া অবশ্য পাপনকে সঙ্গে নিতে চেয়েছিল। তবে মায়ের চলে যাওয়ার জন্য বাবাকে মনেমনে দ�োষ দিলেও, বাড়ি ছেড়ে মায়ের ভাল�ো লাগা পুরুষের আশ্রয়ে পাপন ক�োন�ো মতেই যেতে রাজী হয়নি। কেন্দ্রবিন্দুতে সন্তান থাকলে অনেক অসু খী দাম্পত্যই হয়ত�ো শ্লথ গতিতে চললেও শেষপর্যন্ত টিকে যায়। কিন্তু দাম্পত্যের আবর্তে যদি পরকীয়া প্রেমের উল্কা এসে পড়ে, সে সব কিছু তছনছ করে দেয়! এমনটি ঘটেছিল রিয়া-তরুণের সম্পর্কেও। অনেক রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে পাপন অসহায় হয়ে ভাবতে ভাবতে চ�োখের জলে বালিশ ভিজে যায়, প্রচণ্ড অভিমানে মনে হয় “কেন মা ত�োমাকে বাড়ি ছেড়ে ঐ ল�োকটার সাথে চলে যেতে হল? কেন, কেন? শুধু নিজের কথায় ভাবলে মা! একবারও ভাবলে না আমার কি হবে?” ইদানিং আর�ো একটা মুশকিল হয়েছে। পাড়ার মাসিমা, কাকিমারা এমন সব প্রশ্ন করে যা পাপনকে ভীষণ অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। সেদিন ও বাড়ির মিত্র কাকিমা পাপন নিচ দিয়ে যাচ্ছে দেখেই ব্যালকনি থেকে ঝুঁকে পড়ে বলতে লাগলেন,


সাহিত্য ২০১৬ “এই পাপন, আজ সকালে টিভিতে ত�োর মাকে কি যেন একটা গান গাইতে দেখলাম। ভালই আছে বল। সত্যি, চ্যাটার্জী একদম ওকে হাত ধরে দাঁড় করিয়ে দিল!” একে মা, তার ওপর ঐ ল�োকটার নাম! অসহ্য লাগতে থাকে পাপনের। কথাগুলি যেন হাতুড়ির বাড়ি মারতে থাকে মাথার মধ্যে। প্রচণ্ড হতাশায় দগ্ধ হতে হতে শেষপর্যন্ত একটা পাবে ঢুকে একসাথে অনেকখানি মদ্যপান করে ফেলে সে। এদিকে ফিগার রক্ষার কারণে পরিমিত আহারে অভ্যস্থ পাপনের ওভার ড�োজ সহ্য হয় না। অসম্ভব মানসিক কষ্টের সাথে প্রবল শারীরিক অসু স্থতাও শুরু হয়ে যায়। পুরন�ো বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গও পাপনকে এড়িয়ে চলতে হয় মায়েরই কারণে। কথায় কথায় তার মায়ের ঘর ছেড়ে চলে গিয়ে অন্য কার�ো সাথে থাকার অপ্রিয় প্রসঙ্গটা নানা অছিলায় এসেই যায়। অনেকে দু ট�ো মিষ্টি কথা বলে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করলে পাপনের আরও অসহ্য লাগে। কি করবে, ক�োথায় যাবে, কিসে মনে শান্তি আসবে কিছু ই বুঝতে পারে না পাপন। অতীতকে পিছনে ফেলার চেষ্টায় নতুন বন্ধুর খ�োঁজে এমন কিছু বন্ধুবান্ধব হয়, যারা ক্লাব-লাইফ আর আকন্ঠ মদ্যপানকে জীবনের অঙ্গ করে নিয়েছে। বাড়িতে থাকতেও ভাল�ো লাগে না, তাই অস্তিত্ব ভ�োলবার চেষ্টায় উদ্দাম নেশার দু নিয়ায় ক্রমশ: হারিয়ে যেতে থাকে পাপন। বাইরে থেকে রুপ�োলী পর্দায় বিজ্ঞাপনের জগতটা যতটাই রঙ্গীন বলে মনে হয়, ভেতরে ব�োধহয় ততটাই রিক্ত এবং ধূ সর। আমাদের সাধারণ জীবন-যাত্রায় পড়াশ�োনায় ভাল�ো বা খারাপ ফলাফলের ওপর নির্ভর করে কর্মজীবনে ভাল�ো বা অতি সাধারণ চাকরী হলেও হয়ত�ো বা জুটে যায়। কিন্তু বিজ্ঞাপনের জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে গেলে কিছু আবশ্যকীয় গুণাবলী ছাড়াও এমন কিছু দরকার হয় যার ফর্মূলাটা যে কেউ রপ্ত করতে পারে না, পারে নি পাপনও। মা বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় ব্যক্তিগত জীবনে বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত পাপনের আকাশ ভরা স্বপ্ন যেন আর কিছু তেই সত্যি হবার ক�োনও সম্ভাবনাই নেই। পড়াশ�োনাটাও মন দিয়ে করে নি, তাই না আছে ভাল�ো ক�োনও ডিগ্রি, না আছে এই বিজ্ঞাপন জগতে ক�োন�ো ব্যাকিং বা চেনাশ�োনা, নেই জীবনের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে যাবার পর বাবা-মায়ের সান্ত্বনা ভরা দু ট�ো কথা বা সস্নেহ হাতের ক�োমল স্পর্শ! রাগে, দু :খে, হতাশায় পর্যুদস্ত পাপন যেন চ�োরাবালিতে ক�োন অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে থাকে, আর মনেমনে ভাবে, “মা, কেন তুমি নিজের স্বপ্নপূ রণের জন্য বাড়ি ছেড়ে চ�োলে গেলে মা, আমার কথা একবারও ভাবলে না? বাবাকে সহ্য করতে না পারলেও, আমি আর তুমি ত�ো অন্য ক�োন�ো জায়গায় আলাদা থাকতে পারতাম!” জীবনের যু দ্ধে অনভিজ্ঞ পাপন বুঝতে পারে না যে অনেক ঘুণধরা দাম্পত্যই হয়ত�ো অর্থনৈতিক সু রক্ষা আর সামাজিক প্রতিষ্ঠার চাহিদার কারণে শ্লথ গতিতে হলেও চলতে থাকে, আর যদি বা ভেঙ্গেও যায় অন্যদিক থেকেও সেই অর্থনৈতিক নিরাপত্তাটা সু নিশ্চিত করেই নতুন সম্পর্কে এগ�োয়, সেখানে সন্তানের আকাশ কুসু ম কল্পনা বিলাস বা স্ব্প্নপুরণের আশা স্থান পায় না। রিয়া-তরুণের বিবাহবিচ্ছেদে পাপন বা রিয়ার সেই অর্থ সংক্রান্ত ব্যাপারটা বিঘ্নিত হল না বটে, কিন্তু পাপন যে মনে মনে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল, তার স্বপ্ন যে যে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল সেটা কি কেউ বুঝল�ো? বাবাকে সেদিন পাপন দেখেছে এক কফি শপে একজন অত্যাধু নিকা মাঝ বয়সী মহিলার সাথে ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিতে বসে থাকতে। যদিও বাবার ওপর ক�োনও দিনই পাপন তেমন আস্থাশীল নয় সে, তবুও এমন দৃ শ্যটা দেখে পাপনের খুব অসহায় লাগতে

থাকে। এখন কি করবে পাপন? হতাশা আর গ্লানিতে নিজের অস্তিত্বের প্রতিও যেন ঘৃ ণা চলে আসে, আর দিনেদিনে আর�ো বেশি মদ্যাসক্ত হয়ে পড়তে ত্থাকে সে। এসব য�োগাড় করতে ভাল�োমত টাকাপয়সাও ত�ো দরকার। বাবার দেওয়া হাত খরচের টাকা ফুরিয়ে গেলে কিছু টা বন্ধুদের কাছে চেয়ে, কিছু টা বাবার মানিব্যাগ থাকে লু কিয়ে নিয়ে কাজ চালাচ্ছিল। নতুন বন্ধুদের একজন সেদিন মারিজুয়ানা ড্রাগের কেমন সব কিছু ভুলিয়ে রাখার ক্ষমতা আছে বলছিল। সেই চেষ্টায় এবার নিজের কাছ থেকে পালাতে গিয়ে সর্বনাশা ড্রাগের নেশার কবলে পড়ে যায় সে। বাবা-মা থাকা সত্ত্বেও তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ভাল�ো লাগা মন্দ লাগার ফাঁদে পড়ে বেকার পাপন ধীরে ধীরে এমন অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে থাকে যেখান থেকে ব�োধহয় আর ক�োন�ো ফেরার পথ নেই। আগে মা কে হঠাৎ রাস্তায় দেখলে পাপন তৎক্ষনাৎ পথ বদলিয়ে অন্যদিকে চলে যেত। ইদানিং এমন একটা ঝিম ধরা নেশার ঘ�োরে থাকে, যে সেদিন রিয়ার সামনাসামনি পড়ে গিয়ে আর সরে যেতে পারল না। আঁতকে উঠে রিয়া বলে. “পাপন বাবা, কি করেছিস তুই! এমন অবস্থা কেন?” পাপন রাগ আর অভিমানের মিশ্র অনু ভূতিতে আর ক�োন�ো কথা খুঁজে পায় না। শুধু জড়িয়ে জড়িয়ে বলে, “Ask yourself. It was you who abandoned me!” কাতর স্বরে রিয়া বলে, “আমি ত�ো ত�োমাকে আমার সাথে আসতে বলেছিলাম। তুমিই ত�ো এলে না। আর ত�োমার বাবার সাথে আর থাকা যাচ্ছিল না।” “OK, but why did you hold the hand of that scoundrel?” পাপন রাগত স্বরে বলে ওঠে। “Mind your language Papon, উনি ত�োমার গুরুজন। আজ ওনার জন্যই ত�ো আমি আমার স্বপ্নপূ রণ করতে পারলাম। উনিই ত�ো আমার প্রতিভার কদর করলেন, নয়ত�ো ত�োমার বাবার কাছে unpaid maid-servant হয়েই রয়ে যেতাম।” “So you left me for the fulfilment of your own dream!” পাপন ঝাঁঝিয়ে ওঠে। “ভুল বুঝ�ো না স�োনা, আমি ত�োমার মা!” আহত স্বরে রিয়া বলে। “না, কেউ আমার মা নয়, আমার কেউ নেই। Just leave me alone!!!!” - চিৎকার করে ওঠে পাপন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আর আল�োচনা এগ�োতে দিলে সিন ক্রিয়েট হয়ে যাবে বুঝতে পেরে রিয়া আস্তে আস্তে অন্যদিকে পা বাড়ায় । ***** মি: চ্যাটার্জীর সু বাদে আর অবশ্যই নিজের প্রতিভার গুণে একটা দারুণ ব্রেক পেয়েছে রিয়া। একটি পাঁচতারা হ�োটেলে ভি.আই.পি সমাবেশে এক সঙ্গীতানু ষ্ঠানে গান পরিবেশন করবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ফিল্ম জগতের ল�োকজন। সু নজরে পড়লে নিশ্চই প্লেব্যাকের অফারও আসতে পারে। প্রস্তুতির ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যেও পাপনকে বারবার ফ�োন করেছে রিয়া। পাপন অবশ্য ক�োনবারেই ধরেনি, মেসেজেরও উত্তর দেয়নি। সেদিন মিলনMILON | october 2016 | 129


সাহিত্য ২০১৬ পাপনকে ঐ অবস্থায় দেখে খুব চিন্তা হলেও মনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ও বাড়িতে আর যেতে পারেনি। মায়ের সাথে দেখা হওয়ার পর মনে কেমন যেন জ্বালা ধরা কষ্ট হতে থাকে পাপনের। আরও আরও হতাশার যন্ত্রণায় সে মনে করে বুঝি বা ড্রাগের মাত্রাটা বাড়িয়ে দিলে এর থেকে নিষ্কৃতি পাবে। নিজের দামী ফ�োনটা বিক্রি করে দিয়েছে সে নেশার জিনিসের য�োগাড় করতে গিয়ে। আর একটা দামী রত্ন দেওয়া স�োনার আংটি, যেটা তার শরীর খারাপ হওয়ায় মা সেবার বাবার কাছ থেকে বলে বলে টাকা চেয়ে নিয়ে গড়িয়ে দিয়েছিল, সেটাও বেচে দিয়ে একজনের কাছে কিছু টাকা পেয়েছে, তা দিয়ে অন্তত: কিছু দিনের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। নেশার ঘ�োরে যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ একরকম, কিন্তু ঘ�োর কেটে গেলেই নিজের ব্যর্থতা, মায়ের চলে যাওয়া, এই সবকিছু র জন্য ভয়ঙ্কর এক নৈরাশ্য যেন তাকে গিলে খেতে আসে। আর সেটা ভ�োলবার জন্য আরও আরও বেশি নেশার মধ্যে ডুবে যেতে থাকে পাপন।

ঘরকন্না, শিক্ষকতার মাঝে কিছু ভাবনা আর লেখা পম্পার নেশা। বিদেশের মাটিতে বসেও বাঙালীর প্রিয় আনন্দবাজার ও অন্যান্য পত্রিকায় মনের কথা মায়ের ভাষায় লিখতে পেরে সে ধন্য।

***** শহরের মাঝখানে বিখ্যাত পাঁচতারা হ�োটেলটিতে আজ নামীদামী বিদ্বজ্জনের সমাগম হবে। সেজন্য পুলিশের কড়া পাহারা গতকাল রাত থেকেই শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু অন্য একটা কারণেও এলাকায় পুলিশের সংখ্যা যেন আজ অনেকটাই বেশি। পাশের একটা পাবে একটি অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটেছে। বছর কুড়ির একটি ছেলে নাকি কাল রাত থেকেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছে। ক�ৌতূ হলী ল�োকজনদের ভিড়ে পাছে ভি.আই.পিদের আগমনে ক�োনও অসু বিধার সৃ ষ্টি হয় সেজন্য পুলিশ যু দ্ধকালীন তৎপরতার সাথে ব্যাপারটা ম�োকাবিলা করার চেষ্টা করছে। তার মধ্যে ক�োত্থেকে খবর পেয়ে একদল সাংবাদিক এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ডাক্তার এসে ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দিতেই পুলিশ তাড়াতাড়ি জায়গাটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু টিভি চ্যানেলগুল�োর ব্রেকিং নিউজের খ�োঁজের ঠেলায় তা কি সম্ভব? একটা মাউথ পিস্ নিয়ে এক সাংবাদিক উত্তেজিত কন্ঠে বলে চলেছে, “আসু ন, আমরা দেখি এই রহস্যজনক মৃ ত্যুর কারণ অনু সন্ধান করে! আজ আমাদের যু বসম্প্রদায় ভয়ঙ্কর নেশা আর অবক্ষয়ের মুখে কেন?” সেদিন এমন হরেক কথা আর ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানির কেন্দ্রবিন্দু ছিল পাপন- যেমন স্পটলাইটের নিচে রাম্পে হেঁটে বিখ্যাত হবার স্বপ্ন দেখেছিল সে- আজও রয়েছে স্পট লাইট আর ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলকানি- কিন্তু সবই পড়ছে পাপনের নিথর দেহটার ওপর! এদিকে পাশের সেই পাঁচতারা হ�োটেলের বলরুমে গুণীজন মাঝে রিয়ার সু রের ঝঙ্কার সবাইকে ম�োহিত করে রেখেছিল যখন সে রবি ঠাকুরের সেই বিখ্যাত গানটির সঞ্চারীটি চ�োখ বন্ধ করে বিভ�োর হয়ে গাইছিল “আমার যা ছিল তা গেল ঘুচে যা নেই তার ঝ�োঁকেআমার ফুর�োয় পুঁজি, ভাবিস বুঝি মরি তারই শ�োকে? আমি আছি সু খে হাস্যমুখে, দু :খ আমার নাই। আমি আপন-মনে মাঠে বনে উধাও হয়ে ধাই। আমার স�োনার হরিণ চাই-আমার স�োনার হরিণ চাই........

130 | মিলনMILON | october 2016

পম্পা ঘ�োষ


সাহিত্য ২০১৬ ভয় লুকিয়ে সবার মনের ক�োনে৷ মা জানে না আজ তার ছেলে ঘরে ফিরবে কিনা৷ কতজন হারাল�ো তাদের প্রিয়জন, হিসেব রাখে না এই দুনিয়া৷ মুম্বই, ইস্তানবুল, লন্ডন, প্যারিস, ঢাকা আর সেই নিউইয়র্ক, এক হয়ে যায় এক নিমেষে৷ এত রক্তপাত, এত বিনাশ

আতঙ্ক কল্যাণ মুখুটী

কার হিতে কেউ জানে না৷ আফিমের নেশায় তরলমতি যু বক আজ নিজেই নিজের দাস৷ আর মা মেয়েরা পণ্য, দাসী৷ শত শত মাইল ধরে ভেসে আসে মৃত এক শিশু৷ মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসে এক কিশ�োরী, স্কুলে পড়ার শপথ নিয়ে৷ আজ আর দেশের সীমা নেই কতজন দেশছাড়া৷ বন্ধ ঘরের আড়ালে, কিছু মানু ষের শাসনে দেশ, জাতি ভাগ হয়৷ সব কি আবার ঠিক হবে? নাকি ক�োন�োদিনই তা ঠিক ছিল না৷ ইতিহাস ত�ো সবসময় সত্যি কথা বলে না চ�োরাস্রোত চিরকালের৷ মানু ষের হিসেব বুঝে নিতে হয় মানু ষকেই৷ এবার পথে নামার পালা, নইলে বড় দেরী হয়ে যাবে৷ তখন কেবলই পড়ে রইবে দ�োষার�োপ আর আল�োছায়ার খেলা৷

A marketing professional who loves to travel. Try to find out work-life balance through reading, writing and spending time with family. মিলনMILON | october 2016 | 131


সাহিত্য ২০১৬ আমি ঊলু পী ত�োমরা আমায় চেন কি? আমি নাগরাজ কন্যা অর্জুন প্রেমধন্যা আমি ইরাবান জননী।

লাক্ষাগৃ হেতে হয়নি মরণ জীবন দিয়েছে ব্যাধ পঞ্চজন ব্রাহ্মণ গৃ হে ব্রাহ্মণ বেশে রয়েছেন মা কুন্তী ও পাণ্ডব পঞ্চজন। দামাম বাজিছে নগরে দ্রুপদকন্যা দ্রৌপদী চলেছেন স্বয়ম্বরে পঞ্চপাণ্ডব ক�ৌতুহলে পৌঁছিলেন সভাস্থলে। কঠিন সে পণ। জলমাঝে লক্ষ্য করি মৎস্যছায়া ঊর্ধ্বপানে বিঁধিতে হইবে চক্রমাঝে ঘূ র্ণায়মাণ মৎস্যকায়া সম্পূর্ণ কায়া নয় শুধু মৎস্য অক্ষিমণি।

আমি ঊলু প ী আঞ্জলী ঘটক

রাজন্য বর্গ নিরাশ হইলা ব্রাহ্মণে মিলিল বরমালা সে ব্রাহ্মণ আমার অর্জুন।

দিনান্তে শ্রমক্লান্ত জননী আছেন শয়নে, দ্রৌপদীসহ পঞ্চপাণ্ডব প্রবেশে সেখানে মা, মাগ�ো, ওঠ�ো, কী আনিয়াছি দেখ�ো। আনিয়াছ যাহা পাঁচ ভাইয়ে ভাগ করে লহ তাহা।

চমকি উঠিল দেবগণে। Anjali Ghatak is a housewife and lives with her son, daughter-in-law and granddaughter in Singapore. She has a keen interest in literature and history and pens poems and short stories regularly. A very active senior citizen at her condominium and in Kolkata, she enjoys communicating with people, learn new things and have new experiences. She is a member of the Bengali Association of Singapore.

মায়ের আদেশে দ্রুপদকন্যা দ্রৌপদী হলেন পঞ্চপতির এক ঘরনী। আসিলেন ব্যাসদেব, দিলেন বিধান বড় কঠিন সে অনু শাসন এক এক ব্যৎসর দ্রৌপদী হইবেন এক এক ভাই এর ঘরনী যদি ক�োন কারণে অন্য ভাই প্রবেশে সেখানে তাকে যেতে হবে এক বছরের বনবাসে ব্যাসদেবের আদেশে। করি খাণ্ডবদাহন পঞ্চপাণ্ডব ইন্দ্রপ্রস্থে করেছেন নগরপত্তন পঞ্চপতি লয়ে দ্রৌপদী আছেন সু খে হঠাৎ বজ্রাঘাত বাজিল বুকে যূ ধীষঠীর সাথে দ্রৌপদী রয়েছেন শয্যগারে। অস্ত্রের প্রয়োজনে অর্জুন প্রবেশে সেখানে, প্রয়োযন ভাঙ্গিল অনু শাসন অনু শাসন দিল নির্বাসন, এক বৎসরের তরে। দ্রৌপদীর বিরহের এক বৎসরে আমায় মিলিল সু খ ক্ষনতরে। জলকেলি কালে দেখিনু ছায়া শিহরি উঠিল ম�োর কায়া আগে ত কখন হয়নি এমন আমি কি দেখিনু স্বপন ? প্রিয়তম আসিয়াছ তুমি ?

132 | মিলনMILON | october 2016


সাহিত্য ২০১৬

ভাল�োবাসার পুজ�ো ভাস্বতী ভাওয়াল গন

ফট�ো: মিঠু চক্রবর্তী

শিউলি,কাশ,সাদা মেঘ, শাড়ি , মা আসছে, বাপের বাড়ি। ভ�োগের খিচুড়ী ফুলের থালা,সন্ধিপুজ�োয় প্রদীপ জালা... পাঁচ দিন কাজে সাজে দিনের সাথে রাতের আড়ি। অঞ্জলি কাঁসর ধূ পের ধ�োঁয়া, সবার চ�োখ এড়িয়ে একটু ছ�োঁয়া, ইচ্ছে গুল�ো সারি সারি, দল বাঁধল বলিহারি! নীল জিনস আর সাদা জামা, চলতে চলতে হঠাৎ থামা; সেবার পুজ�োয় ভীড়ের মাঝে চ�োখ পেয়েছিল মনের বাড়ী।

To me art is an expression of life. I paint ,sing ,dance ,recite ,write in between working as a banker and portraying the role of a mother of an adorable teenager. These for me are ways of connecting back to the beautiful journey called life amidst the daily chores. মিলনMILON | october 2016 | 133


সাহিত্য ২০১৬

শিউলি শরৎ শিউলি শরৎ এল�ো আবার একটি বছর ঘুরে,

ফেলে আসা দিনগুল�ো আজ ভীষণ মনে পড়ে। ভ�োরের বেলা ঘুম ভাঙা সেই মহালয়ার গানে, খুশীর ছ�োঁয়া লাগত প্রাণে, শেষ তুলির টানে। ভ�োরের বেলা, ’শিউলিরা’ পরত ঝরে, ঝরে, প্যান্ডেলেতে ঠাকুর দেখা, সবার সাথে ঘুরে। এসব কিছু ই হারিয়ে গেছে হাজার�ো স্মৃতির ভীড়ে, তাই ত�ো মাগ�ো তুমি এলেই মনটি কেমন করে। পুজ�োর কদিন, কাটবে ভাল�ো, এইত�ো মনে আশা, আশীষ রেখ�ো সবার প’রে, রেখ�ো ভাল�োবাসা।

সমর্পিতা ভ�ৌমিক বিশ্বাস আমি সমর্পিতা ভ�ৌমিক বিশ্বাস। রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে খুব ভালবাসি। অবসর সময়ে লেখালিখির মধ্যে থাকতে ভাল লাগে।

134 | মিলনMILON | october 2016


সাহিত্য ২০১৬

দুগ্গায়না

এলাম আমি সন্ধিক্ষণে, অষ্ট-নবামি মাঝে; প্রথম দেখা আল�ো আমার, দুগ্গাপুজ�োর সাজে। আমার ৬ পূ র্ণ হবে, BAS এর ৬০ এর সাথে; জন্মদিনের নতুন জামা, BAS এর পুজ�োর রাতে। পুজ�োর ফুলের প্রথম দেখা, পুজ�োর ঢাকেই নাচ; প্রথম মালাই-চাটের সাথে, fashion-fashion সাজ। এসব মজা BAS এই পাবে, যখন দুগ্গামেলা; বাংলা মায়ের হাত ধরে ম�োর প্রথম সিঁদুর খেলা। হাজার হাজার মজার মাঝে, Singapore এ রবে; BAS এর খেলাঘরে আমার দুগ্গাপুজ�ো হবে। Bবাংলা Aআমার Sসব, আর বাংলা আশেপাশে; পুজ�োর মাঠে সবার সাথে, আবার দেখা হবে।

…………………………..লাহাইনা-র বয়ানে রূপ্সি

About Me: Rupshi Mitra, happy-busy being Mamma to Lahaina a bundle of ‘joyous possibilities’(D.O.B. 16/10/2010). Rupshi is also Neuroscientist and Professor (Asst.) at Nanyang Technological University, where most of her time occupies, scientific experiments and teaching/mentoring graduates (thesis-students) and undergraduates in the University. Rupshi’s love-oftime is painting and thinking about ‘world and life in colours’. Rupshi also loves to sing Rabindrasangeet and immerse in Bangla-culture. Her primary aim now is to instill ‘Best of Bangla-culture in Lahaina’ and Rupshi is thankfully-happy to BAS and her loving friends for bringing this possibility on-board.

মিলনMILON | october 2016 | 135


সাহিত্য ২০১৬

স্মৃতিচারণ কৃষ্ণা গুপ্ত

জ যা লিখতে বসেছি তাকে স্মৃতিচারণই বলা চলে। সেই কবেকার কথা। তখন আমি বেশ ছ�োট। একদিন খুব বৃ ষ্টি পড়ছে। আমি খাতা-পেনসিল নিয়ে বসে গেলাম। তখন আমি বেশ কবিতা লিখতাম। গদ্য লেখার বয়স তখনও হয়নি। লিখলাম গ�োটা গ�োটা হরফে – কালবৈশাখীর ঝড়ে চুনগুল�ো সব খসে পড়ে সারাটা দিন বৃ ষ্টি ঝরে, বৃ ষ্টি চলে অবিরত আজকে আমার ভারি মজা, জিভ দিয়ে জল বারে বারে মা ও দিদি গজা ভাজে, কিন্তু আমি রান্নাঘরে

অনেক ঘর যে ভেঙ্গে পড়ে, বালির উপর। সবাই খেলায় মেতে পড়ে, ঝর ঝর ঝর ঝর। গরম গরম খাব গজা, পড়ছে টুপ টুপ, সবাই থাকে নানান কাজে, বসছি গিয়ে চুপ।

তারপরে আরও বড় হলাম। স্কুল পেরিয়ে কলেজে ঢুকলাম। হস্টেলে থাকি। চিন্তামুক্ত জীবন। প্রায়ই কবিতা লিখি। একদিন আকাশ জুড়ে মেঘ ঘনিয়ে বৃ ষ্টি শুরু হল�ো। মাঝে মাঝে আকাশে বিজলি খেলে যাচ্ছে। প্রায়ান্ধকার ঘরে আমি আর তপতী বসে। তপতী অবশ্য কেমিস্ট্রি পড়ার বৃ থা চেষ্টা করছে। মনের মাঝে কবিটি জেগে উঠল। লিখলাম – বাইরে জ�োর বৃ ষ্টি ঝরে, আমরা দু টি একলা ঘরে, কাজ-কারবার দিয়েছি ত�ো চুকিয়ে। এমন সময়ে বন্ধু তুমি কেমিস্ট্রির গ�োঁয়ার্তুমি হঠাৎ কেন মাথায় দিলে ঢুকিয়ে। কেমিস্ট্রি যে নীরস হায়, বাইরে বিজলি চমকায়, কেমনে এ দু টির মিল রাখি গ�ো ! পড়াশ�োনা সব ছাড়ি আমরা দু টি দিই পাড়ি, ইচ্ছে করে হতাম যদি পাখি গ�ো। পড়ার চেয়েও ঢের ভাল�ো দেখা সাদা আর কাল�ো 136 | মিলনMILON | october 2016

প্রকৃতিতে রঙিন তুলি বুলিয়ে – বুঝিবা ক�োন মহাকাল সৃ ষ্টি করে মায়াজাল অন্ধকার আধ�ো নয়ন ঢুলিয়ে। তাইত�ো বলি চুপ করে থাকি বসে এই ঘরে – হাতের কাছে নাই বা রেখে কাজ গ�ো। বাদল-পবন পরশ লেগে ক�োন কবিটি উঠছে জেগে শিহরিয়ে হৃদয়-মনের মাঝ গ�ো। কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়। আবার হস্টেল। এই হস্টেলের নিয়ম ছিল যে প্রত্যেক মাসে পালা করে দু -তিনজন ছাত্রীকে মেস চালান�োর দায়িত্ব নিতে হবে। সেই দায়িত্ব বর্তাল এবার আমাদের তিনজনের উপর – তিনজন অর্থাৎ আমি, মণিদীপা আর চন্দ্রা। পয়লা জানু য়ারি থেকে আমাদের কাজ শুরু। আগের মাসেই তমালিমা মেস চালান�োর গুরুদায়িত্ব পালন করেছে অন্যদের সাথে। তাই সাহায্য আর উপদেশের জন্য তমালিমার দ্বারস্থ হতে হল�ো। সেই অভিজ্ঞতা থেকে লিখলাম এই কবিতাটি। স্মৃতি থেকে সেটা উদ্ধৃ ত করার চেষ্টা করছি। মানছি ত�ো রে, মানছি ম�োরা মানছি করে হাত জ�োড়া, মেস চালান�োয় ত�োদের কাছে কিছু ই ত�ো হায় নই ম�োরা। বেশ ত�ো ছিলাম, ছিলাম ভাল�ো, চন্দ্রা এসে জুটল রে, ভ�োরবেলাতেই চাবি হাতে ভাঁড়ার ঘরে ছু টল রে। ভাঁড়ার ঘরে রাজ্য জুড়ে আরশ�োলারা করছে বাস, কি ন�োংরা ঘর, লাফায় ছু ঁচ�ো, বুকটা কাঁপে ব্বাস-রে-ব্বাস! চন্দ্রা যখন ড্রামটা থেকে গমের রাশি ঢালছে রে, যখন বিপিন আচ্ছা করে উনু নটাকে জ্বালছে রে, আমি তখন স্বপ্নে বিভ�োর, লেপের তলে রই শুয়ে। চন্দ্রা ডাকে, “কৃষ্ণা ওঠ�ো, ভ�োরবেলা যে যায় পুয়ে।” ***

***

***


তমালিমায় জাগিয়ে তুলে বলি, “এবার শ�োন তমা, এমনিতেই ত�ো আমরা দু জন বুদ্ধিটাতে বেশ কমা। সু তরাং তুই বুঝিয়ে বলিস আজকে ম�োরা কিনব কী – বাঁধাকপি, লাউ, ডাল আর আধপ�োয়াটাক শুদ্ধ ঘি ? বাজার জুড়ে উচ্ছে-বেগুন মুল�োর এখন কী বাহার! একসাথেতে রাঁধলে, বলি জমবে দারুণ আজ আহার। নয়ত�ো হবে রান্না পালং-বীট-শিমেরে এক করে? প্যাটপ্যাটিয়ে তাকাস কেন? হাসিস কেন খুব জ�োরে?” ***

***

***

দিনের শেষে ভাবছি বসে কাল কী হবে রান্না রে! ভাবতে ভাবতে ঘুরছে মাথা, পাচ্ছে বেজায় কান্না রে। আজ ত�ো ম�োরা তমালিমায় গুরুঠাকুর মেনেছি। ওর সাথেতে যু ক্তি করে বাজার করে এনেছি। কাটিয়ে দিলাম একরকমে বছর-শুরুর দিনটা ত�ো, কী হবে কাল ভেবে ভেবে কূলকিনারা পাই না ত�ো। লেখাপড়া উঠল ডকে, আচ্ছা এখন বল দেখি সারা বছর বাজার করেই হিসেব করেই কাটবে কি!

BEST WISHES FROM BHARGAB & SWAPNA

বিশ্ববিদ্যালয় শেষ হলে হাজার�ো ব্যস্ততার ম�োকাবিলা করতে করতে আর জীবনস্রোতে ভাসতে ভাসতে এসে পৌঁছলাম সিঙ্গাপুরে। সেই ফাঁকে কাব্যদেবীও গেলেন পালিয়ে। আশা আছে, বৃ দ্ধবয়সে অখণ্ড অবসরের মাঝে কাব্যদেবী আবার সামনে এসে দাঁড়াবেন। শুরু হবে গল্প-কবিতা লেখা। লিখব আমার ভাল�োবাসার দেশ সিঙ্গাপুরকে নিয়ে, যে সিঙ্গাপুরকে আমি পিছনে ফেলে এসেছি বহুদিন।

With Best Wishes from

লেখিকা শ্রীমতী কৃষ্ণা গুপ্ত বর্তমানে ব্যাংকক প্রবাসী কিন্তু সিঙ্গাপুরের স্মৃতির ভারে আজও আচ্ছন্ন। পুরান�ো মিলনের অধিকাংশ সংখ্যায় তাঁর লেখা আমরা পাই। এই লেখাগুলির স্মৃতিই দ্বারস্থ করেছিল বর্তমান সম্পাদকমন্ডলীকে তাঁর সাথে য�োগায�োগ করে লেখা পাঠাবার অনু র�োধের বারতা পাঠাতে। আমরা কৃতজ্ঞ তিনি আমাদের অনু র�োধ রেখেছেন।

কৃষ্ণা গুপ্ত

Indrakshee Mukherjee, Monika Mukherjee & Amit Bikram Mukherjee মিলনMILON | october 2016 | 137


সাহিত্য ২০১৬

সম্পর্কই সম্পদ

সুনীল কুমার সাহা

বিষয়টা নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকেই মনটাকে নাড়া দিচ্ছে। সম্পর্ক শব্দের অর্থ সাধারণ ভাবে আমরা যেটা বুঝি——যেমন মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-ব�োন, ঠাকুরদাঠাকুরমা ,দাদু -দিদা,কাকা-কাকিমা, ইত্যাদি। অভিধানগত অর্থ যাই হ�োক না কেন, আমাদের মনের উপলব্ধি থেকে সম্পর্ক নিয়ে যা বুঝি সেটা হল—আমাদের পরিবারে ও সমাজে মানু ষের মধ্যে পরিচয় জ্ঞাপনার্থে যে শব্দবন্ধ সামাজিক ভাবে স্বীকৃত। বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দু টি অপরিচিত পরিবারের মধ্যে নতুন সম্পর্ক তৈরী হয়। এভাবেই একক পরিবার থেকে আমরা বৃ হত্তর পরিবারে সম্পর্ক স্হাপন করি। আর বৃ হত্তর পরিবার থেকে বৃ হত্তর সমাজের সৃ ষ্টি হয়। অর্থাৎ সম্পর্কের পরিধির আরও ব্যাপ্তি ঘটে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে —ক�োন সম্পর্ক সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূ র্ণ আমাদের জীবনে? বাবা-মা না স্বামী-স্ত্রী? তবে আমার মতে দু ট�ো সম্পর্কই সবচেয়ে গুরুত্বপূ র্ণ ও গভীর আমাদের জীবনে । বিবাহিত সম্পর্কে প্রথমে আমরা স্বামীস্ত্রী। তারপর সন্তান জন্মের মূ হুর্ত থেকে স্বামী-স্ত্রী নতুন আর এক সম্পর্কের সূ চনা করে। অর্থাৎ , প্রথম সন্তানই স্বামী-স্ত্রীকে সমাজে-সংসারে আর এক নতুন পরিচয়ে

138 | মিলনMILON | october 2016

পরিচিত করে——সেটাই হচ্ছে —বাবা ও মা। তাই সব বাবা-মা ই তার সন্তানের কাছে চির ঋণে আবদ্ধ হয়ে থাকে তাদের জীবনে এই নতুন সম্পর্ক পাওয়ার জন্য। তারপর একাধিক সন্তান হলে — ভাইব�োন,দাদা-দিদি ইত্যাদি সম্পর্কের সূ চনা করে। বাবার সম্পর্ক থেকে ঠাকুরদা- ঠাকুমার সম্পর্ক তৈরী হয়, বাবার ভাই-ব�োন থাকলে — কাকা, জ্যাঠা, পিসি, এবং তারা আবার বিবাহিত হলে —কাকীমা, জ্যাঠাইমা, পিসেমশাই ইত্যাদি সম্পর্ক গড়ে ওঠে । তেমনি মায়ের সম্পর্ক থেকে দাদু - দিদা, মায়ের ভাই- ব�োন থাকলে , মামা- মাসী সম্পর্ক হয়। তারা বিবাহিত হলে, মামী ও মেস�োমশাই সম্পর্ক পাই। আবার তাদের সন্তানাদি তুত�ো- ভাইব�োন হিসাবে সম্পর্কিত হয় । এভাবেই শ্বশুর- শাশুড়ি, জামাতা,পুত্রবধূ , শালাশালী, দেওর- ননদ, ইত্যাদি সম্পর্কের পরিধি বিস্তৃ ত হয় —আমাদের পরিবারে ও সমাজে। এই ভাবেই এক বৃ হত্তর পরিবারের পরিকাঠাম�ো দিয়েই বৃ হত্তর সমাজের গ�োড়া পত্তন হয়েছে যু গ যু গ ধরে। সু তরাং আমাদের ক্ষুদ্র গণ্ডির ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকেই বৃ হত্তর সমাজ এবং তা থেকেই এক বৃ হত্তর জাতির জন্ম হয়—এভাবেই আমাদের জাতীয়তা ব�োধ


সাহিত্য ২০১৬ তথা ভ্রাতৃত্ব ব�োধের জন্ম হয়। সম্পর্কের এই ধারণা থেকেই আমাদের সমাজ সংসার তথা সংস্কার টিকে আছে যু গ যু গ ধরে — ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের সু দৃঢ় বন্ধনের মাধ্যমে । আর সেটাই আমাদের অন্তরের উপলব্ধি। সংসারে আমাদের সু সম্পর্ক থেকেই আসে অধিকার ব�োধ ও কর্তব্যব�োধ। যেমন, ভালবাসার অধিকার, একত্র বসবাসের অধিকার, পালন- প�োষণের অধিকার, ইত্যাদি। পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যেও অনেকের আত্মত্যাগের কথা আমরা জানতে পারি —আমাদের সমাজে, ক�োন প�ৌরাণিক কাহিনীতে, বা ঐতিহাসিক ক�োন ঘটনাতে। এই প্রসঙ্গে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মাতৃভক্তি ও মায়ের প্রতি কর্তব্যব�োধ নিয়ে যে সব কাহিনী আমরা জানি, তার মধ্যে যেমন— ঈশ্বরচন্দ্র তাঁর মায়ের আজ্ঞা পালন করতে এক ঝড়- জলের রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অশান্ত দাম�োদর নদ সাঁতরে পার হয়েছিলেন বাড়ি ফেরার জন্য। যদিও এখনকার সময়ে এই সব ঘটনা বিরল। তবুও আমাদের সম্পর্কের সু দৃঢ় বন্ধনের কারনেই , সন্তানের জন্য পিতা-মাতার ত্যাগ স্বীকার , আবার পিতা- মাতার জন্যও সন্তানের আকুতি ও কৃচ্ছ্রসাধন, স্বামীর স্বাস্থ্যের কারণে স্ত্রীর ব্যাকুলতা বা স্ত্রীকে রক্ষা করার জন্য স্বামীর অকুত�োভয় প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়। আর এই সু সম্পর্ক তৈরীর জন্য প্রধানতঃ দরকার —সম্পর্কের দায়বদ্ধতা,পরস্পরের প্রতি প্রকৃত মননশীলতা ও মানবিক ব�োধ। পশু—পাখি প্রকৃতি সৃ ষ্ট প্রাণী —তারা প্রকৃতির নিয়মেই আচরণ করে । আমরা জানি যে, মানু ষ প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান। তাই ক�োন ক�োন বুদ্ধিমান মানু ষের বিবেক বিবেচনা, ইচ্ছা- অনিচ্ছা, ইত্যাদি আবর্তিত হয় তাদের নিজস্ব তাগিদে, স্বকীয় ভাবনায়। সংসার -সমাজ নিয়ে তারা বিশেষ ভাবিত নয়। কারও কারও মনে সন্দেহ প্রবনতার কারণে জীবনে আসে সম্পর্কের জটিলতা — সম্পর্ক নিয়ে হয় অনেক টানাপ�োড়েন। সম্পর্কের মধু রতা হয় বিস্বাদ। তাই প্রত্যেক পারিবারিক জীবনে সম্পর্কই হল সম্পদ—যা ক�োন টাকা-পয়সা বা ধনসম্পত্তির বিনিময়ে অর্জন করা যায় না। সু সম্পর্কই সংসারে আনতে পারে সু খ শান্তি ও ভালবাসা l এই উপলব্ধিই আমাদের জীবনকে করে ত�োলে সমৃ দ্ধ ও সু খময়।

কথার কেরামতি সুনীল কুমার সাহা

কথা দিয়েই দিন শুরু, সবাই কথা বলে সু খের কথা, দুঃখের কথা, হাজার কথা চলে কথায় যেমন ‘ভরসা’আছে, কথায় আঘাত তত! সত্য কথা হয় কখনও, মিথ্যার চাপে নত ! কথা সাজিয়ে গল্প বলা, বিবাদ করাও চলে — কথার প্যাঁচে মামলা জেতেন, উকিল বাবু হলে! সহজ কথা কাউকে যদি বলি কঠিন স্বরে মনের ব্যথা কারও যেমন, চ�োখের জলে ঝরে কথার কামড় কখনও যেন — ম�ৌমাছির হুল মধুমাখা কথা গিলে, করে ফেলি ভুল ‘কথা দিয়ে কথা রাখা’—সহজ কথা নয় ! ‘কথার কথা’ না হয় যেন— জীবনের প্রত্যয় মহাপুরুষের ‘বাণী’ যেথা, রাজনীতিকের ভাষণ, একই কথার ভিন্ন ভিন্ন অর্থ হয় যেমন —— লক্ষ কথা না হলে নাকি, বিয়ে পাকা হয় না ? অত কথার ফাঁকে শুধুই পণ আদায়ের বায়না! ভাল কথায় বন্ধুত্ব হয়, তেমনি বাড়ে মিত্রতা । উস্কানি মুলক কথা হলে, বাড়বে শুধুই শত্রুতা। ভুলে যাও পুরান�ো বিবাদ — দূ রে রাখ�ো অবিশ্বাস — আপনজন কে কর�ো আরও আপন — সকলকে দাও ভালবাসার আশ্বাস।

Sunil Kumar Saha is a Rtd. Executive Engineer, Ministry of Water Resources, Govt of India. Passionate writer & poet. মিলনMILON | october 2016 | 139


সাহিত্য ২০১৬

With Best Wishes from

Sagarika and Sandeep Sen

140 | মিলনMILON | october 2016


সাহিত্য ২০১৬

আসছে পুজ�ো সুহৃদ দেবশর্মা

আসছে পুজ�ো, আসছে পুজ�ো, মাতছে দেখ�ো ছেলের দল, নেইক�ো পায়ে ম�োজা জুত�ো, ন্যাকড়া দিয়ে খেলার বল। আসছে পুজ�ো, কাজের মেয়ে’র নেই ত�ো তবু ছু টির দিন, ছু টি মানেই মাইনে কাটা, তাহলে কি ঘুচবে ঋণ ? আসছে পুজ�ো, পুলিশ’রা তাও তাকিয়ে আছে নিরুত্তাপ, হবেই ত�ো - এই পুজ�ো’র দিনেই তাদের উপর প্রবল চাপ। আসছে পুজ�ো, চাষি’রা সব, ক্ষেত ফেলে ওই বাজায় ঢাক, দুলছে শরীর, তবু’ও মনে শুনতে কি পায় মায়ের ডাক? আসছে পুজ�ো, বেকার যু বক, লাগছে এবার কর্মে’তে তুলছে চাঁদা, যাচ্ছে বুঝি, মন খুব’ই তার ধর্মে’তে। আসছে পুজ�ো, বৃ দ্ধ যাঁরা তাঁদের পুজ�ো কেমন হয়? অষ্টমী’তেও একলা ঘরে ভীষণ একি দুঃখ নয় ? আমরা ভাবি পুজ�ো মানেই আনন্দময় পাঁচটি দিন, এঁদের পুজ�ো’ও করতে খুশির নাহয় কিছু সময় নিন।

মিলনMILON | october 2016 | 141


সাহিত্য ২০১৬

নিজের কথায় ----যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ। পরে কলকাতার শ্রী শিক্ষায়াতন কলেজে অধ্যাপনা। বিবাহসূত্রে ব্যাঙ্গাল�োর, মুম্বই ঘুরে এখন মারলায়নের দেশে। একটি স্কুলে শিক্ষকতাই পেশা। ভাল�ো লাগে কাগজ-কলমে মনের কথাগুল�োকে সাজিয়ে তুলতে, আর গান শুনতে। কবিতা-নাটক-গানেও উৎসাহ প্রচুর। আর আড্ডা মারতে খুব ভাল লাগে।

ব�োধন ক শাশ্বতী সাহা

দিন ধরে বেশ দেরি হচ্ছে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরতে। অনার্সের ক্লাসগুল�োই শেষে রেখেছেন এইচওডি। তাই ক্লাস কাটাও যাচ্ছে না। পুজ�োর পরেই পরীক্ষা। আর ক্লাস ন�োটস ছাড়া যে পাশ করা বেশ চাপ, তা এ-কদিনেই বুঝে গেছে শতরূপা। অগত্যা, সব ক্লাস করে সেই সাড়ে পাঁচটার ট্রেন ধরা। যাদবপুর থেকে শেয়ালদা, তারপর আবার নর্থ লাইনে দ�ৌড়।

আজ অত্রিশ্রী আর শতরূপা আরও দেরি করে ফেলল লাইব্রেরিতে বই জমা দিতে গিয়ে। ইনচার্জ আইভি দির সঙ্গে একবার গল্প শুরু করলে থামাই যায় না। ভারি হেল্পফুল একজন মানু ষ। একটা বই রিনিউ করার ছিল, নতুন কিছু বই দেখারও ছিল। সব মিলিয়ে ডিপার্ট্মেন্ট থেকে ওরা বের�োল�ো সাড়ে ছটায়। এবার পুজ�ো দেরিতে হওয়ায় সন্ধ্যেটা নেমে আসছে তাড়াতাড়ি। ঝিলপাড় দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হাল্কা শীত করে আজকাল।

পছন্দের নয় এই ট্রেনটা। বিচ্ছিরি ভিড় হয়। বসার জায়গাও পাওয়া যায় না চট করে। ও প্রেফার করে স�োনারপুর ল�োকাল, নিদেন পক্ষে বারুইপুর ল�োকাল। কিন্তু আজ কপালটা সত্যি খারাপ মনে হচ্ছে। জেনারেল কম্পার্টমেন্টেই উঠল ওরা। এমনিতে লেডিজ কম্পার্টমেন্টেই ফেরে। কিন্তু সন্ধ্যে হয়ে গেলে লেডিজ কম্পার্টমেন্ট খুব খালি থাকে। ছিনতাইও হয়েছে কয়েকবার। তাই বিকেলের পরে বাড়ি ফিরলে জেনারেলেই ফেরে ওরা। শতরূপা বলেই ফেলল, ‘অন্তুদের খুব মিস করছি রে। একসাথে ফিরি ত�ো!’ মনে মনে ভাবল, অনেকে একসাথে থাকার সু বিধে আছে, চট করে ক�োনও ঝামেলায় পড়তে হয় না।

শতরূপা একটু শান্ত স্বভাবের। অত্রিশ্রীও অনেকটা একই রকম। হাহাহিহি-আড্ডাতে থাকলেও শ্রোতা হিসেবেই থাকতে পছন্দ করে। অত্রি বলল, ‘আজ জানিস ত�ো অন্তরাদের সাথে বেরিয়ে গেলেই ভাল হত। অন্তরা-স�োমালি-শর্মি অনেকে ছিল ত�ো ওরা। কাল লাইব্রেরি যেতাম। এত দেরি হয়ে গেল! ক�োন ট্রেন পাব কে জানে, প্যাসেঞ্জাররাও চেনা হবে না।‘

আর এক সপ্তাহ পরেই পুজ�ো। রাত প�োহালেই মহালয়া। শপিঙের গল্প শুরু হয়ে গেছে ওদের অজান্তেই। আশেপাশের ল�োকজনেরা কেউ ঢুলছে, কেউ কানে হেডফ�োন, কেউ বা চ�োরা নজরে ওদেরকেই দেখছে, আবার কয়েকজনের দল-- নিজেরা তাসে মত্ত। এসব শতরূপাদের গা সওয়া। ল�োকের চ�োখকে আর কী করে এড়াবে। মনে মনে ইচ্ছে হয়, গেলে দিতে। কিন্তু সেটা ত�ো সম্ভব নয়। অবাঞ্ছিত স্পর্শগুল�োকে এড়িয়ে, ভিড় ট্রেনে, অফিস টাইমে যাতায়াত করাটা একটা আর্ট। সেটা কলেজের প্রথম থেকেই রপ্ত করে নিয়েছে শতরূপারা।

সে কথা মনে মনে ভাবছিল শতরূপাও। সত্যি, কাল লাইব্রেরি গেলেই হত। আজ অন্তরা, শর্মিদের সঙ্গে ফিরলেই ভাল হত। দিনকাল ভাল�ো নয়। রাত হয়ে গেলে মনের মধ্যে একটা চ�োরা ভয় শুরু হয় অজান্তেই! ষ্টেশনে এসে দু জনে হজম�োলা চা খেল। এটাও একটা নেশার মত�ো। সাথে দু ট�ো সন্দেশ বা প্রজাপতি ‘বিস্কুট’। দেড়-দু ঘন্টার জার্নিতে একটা জ�োশ আসে। আজ চা টাও তাড়াতাড়ি খেল দু জনে। ট্রেন আসছে—লক্ষ্মীকান্তপুর ল�োকাল। কথায় আছে, যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যে হয়। শতরূপার একদম

‘একসঙ্গে দল বেঁধে যাতায়াত করলে কার ক্ষমতা আছে শুনি আমাদের নারী বাহিনীকে অ্যাটাক করবে!’ বলে ম�ৌমিতা --ওদের দলের ডাকাবুক�ো টমবয়। ট্রেনে কেউ খচরাম�ো করলে কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। সে কলেজ গ�োয়ার্স হ�োক বা মাঝবয়েসি কেউ। ঝেড়ে কাপড় পরাতে ম�ৌমিতার জুড়ি নেই। বন্ধু মহলে সবাই ওকে মাচন্ডী বলে ডাকে। শতরূপার খুব ভাল লাগে ম�ৌমিতাকে। কী সাধারণ একটা মেয়ে, কিন্তু ক�োনও অন্যায় দেখলেই বদলে যায়, তখন সত্যি সে যেন মাচন্ডী। আজ ম�ৌমিতাটাও সঙ্গে নেই!

142 | মিলনMILON | october 2016


সাহিত্য ২০১৬ ‘কিরে, কী ভাবছিস?’ খ�োঁচা মারে অত্রি। ‘মা চণ্ডীর কথা। আজ পাগলিটা আমাদের সঙ্গে থাকলে ভাল হত, বল?’ বলে শতরূপা। হাসে অত্রি। হয়ত�ো কথা ঘ�োরাতেই বলে, ‘ত�োর ব্যাগটা কিন্তু দারুন হয়েছে। রেগুলার ইউজের জন্য পার্ফেক্ট।‘ ধু র কদিন হল ইউজ করছি, এখনও নিজেই সড়্গড় হইনি’ হেসে বলে শতরূপা। কিছু দিন আগে জন্মদিনে কিনেছে ব্যাগটা। বেশ দেখনসই, আবার মজবুত। বন্ধুদের সকলের বেশ পছন্দ হয়েছে। শেয়ালদা ঢুকেছে ট্রেনটা। সামনে পুজ�ো বলেই আরও ভিড় বেশি। জানালা দিয়েই ডেইলি প্যাসেঞ্জাররা জায়গা রেখে দেয়, তারপর ল�োক নামল কি নামল না, দেখেও না, দু দ্দাড়ে উঠে পরে ট্রেনে। ‘জয় মা’ বলে নেমে পড়ল ওরা প্ল্যাটফর্মে। দু -পা এগ�োতেই একটা অস্বস্তি হল শতরূপার। ব্যাগটায় টান পড়ল মনে হল। ঘাড় ঘুরিয়ে ব্যাগের দিকে তাকিয়েই দেখে, ব্যাগের সামনের চেনটা খ�োলা! আর মানিব্যাগটা নেই! লাইব্রেরি থেকে বের�োন�োর সময় লাইব্রেরি কার্ড আর ট্রেনের মান্থলিটা একসাথেই রেখেছিল ও মানিব্যাগে, নতুন ব্যাগের সামনের চেনে! মুহুর্তে কী যেন হল ওর। কেঁপে উঠল পা দু ট�ো। নিজের অজান্তেই ওর পিছনের ল�োকটার জামার কলারটা চেপে ধরল ও। ‘আমি কিছু জানিনা’ ‘আমি কিছু জানিনা’ বলছে ল�োকটা। শতরূপা নিজেও হতভম্ব, নিজে কি করছে নিজেই বুঝতে পারছে না। কলারটা শক্ত মুঠ�োয় ধরে আছে কিন্তু আস্তে আস্তে নিস্তেজ লাগছে হাতটা। ঠিক করছে কি ও? এভাবে একটা ল�োকের কলার চেপে ধরার ক্ষমতা আছে কি ওর নিজের? কয়েক সেকন্ডে মনের মধ্যে এসে যায় প্রশ্নগুল�ো। এমন সময়, তার পাশের দু জন ল�োক বলে উঠল, ‘আমরা দেখেছি ও নিয়েছে ব্যাগটা; ছাড়বেন না, ছাড়বেন না!’ আগুনে ঘি পড়ল যেন! অত্রিশ্রী সামান্য এগিয়ে গিয়েছিল। ফিরে এসে ব্যাপারটা আন্দাজ করেছে। ভরসা পায় শতরূপা। ও কলারটা ছাড়ে না। আরও শক্ত করে ধরে বলে,’ আমি আপনাকে সার্চ করব।‘ ল�োকটা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক�োন শক্তিতে কে জানে, ল�োকটার শার্টের মধ্যে নিজের হাতটা ঢুকিয়ে দেয়! ম্যাজিকের মত�ো বেরিয়ে আসে, মানিব্যাগটা! ‘আ-আমি সত্যি বলছি, আমি নিই নি’ ল�োকটা বলেই চলেছে একনাগাড়ে। শতরূপার অন্য এক রূপ দেখল অত্রিশ্রী। ওদের চিরপরিচিত ম�ৌমিতা বা মাচন্ডীও নয়, শতরূপা স্বয়ং দশভূ জা যেন। ‘ইয়ার্কি মারছেন? আমার ব্যাগটা কি ম্যাজিকের মত�ো চলে গেল আপনার জামার ভিতরে?’ চিৎকার করে ওঠে শতরূপা। অত্রিশ্রীর হাতে দমাস করে নিজের ব্যাগটা গছিয়ে দেয়, ‘আমার ব্যাগটা সামলা’ বলেই, ল�োকটকে হিড় হিড় করে নিয়ে এল�ো সাউথ স্টেশনের চ�ৌমাথাটায়। ঠাস ঠাস করে চড় মাড়ল ল�োকটার গালে। ‘রণং দেহি’ মূ র্তিতে ফুঁসছে শতরূপা, সব কিছু এই মুহুর্তে লন্ডভন্ড করে দিতে পারে যেন। ভিড় জমে গেছে চারপাশে। শতরূপা ক�োথা থেকে এই শক্তি পাচ্ছে নিজেই জানে না। কিন্তু না, প্রতিবাদ করতেই হবে। যে ক�োনও অন্যায়ের। শতরূপা রাগে ফেটে পড়ে, ‘জানেন কী ছিল ব্যাগে? পঞ্চাশ টাকার একটা ন�োট। সেটাই আপনার কাছে দরকারি। আর আমার কাছে সবচেয়ে দামি আমার লাইব্রেরি কার্ডটা। হারিয়ে গেলে থানায় ডাইরি করতে হবে। সামনে

পরীক্ষা, এসবের মর্ম ব�োঝেন?’ একদমে কথা বলে থামে ও। কেন বলছে কথাগুল�ো ও ল�োকটাকে? সত্যি কি ল�োকটা বুঝছে ওর কথা? ভীষণ রাগে কাঁপছে ও। নেশাখ�োর একটা ল�োক, উস্কোখুস্কো চুল, রংচটা শার্টের কিছু টা অংশ ছিঁড়ে গেছে শতরূপার কলার টেনে ধরার সময়। ওর বলা কথাগুল�ো চুপচাপ শুনছে। চারপাশে ল�োক জড়ো হয়ে গেছে বেশ। অফিস টাইমে বাড়ি ফেরার পথে, একটা মেয়ে উদমা ক্যালাচ্ছে একটা ল�োককে—এ দৃ শ্য রসিক বাঙালি ছাড়তে পারে কি! ভারি আশ্চর্য লাগে শতরূপার। একজনও কেউ এগিয়ে আসল না। সবাই নিছক উপভ�োগ করছে পুর�ো ব্যাপারটা। আরও জেদ চেপে যায় ওর, ‘চলু ন, আমি রেল পুলিশের কাছে যাব; সেখানে যা বলার বলবেন আপনি।‘ হঠাৎ ওর পায়ের ওপর শুয়ে পড়ে ল�োকটা, বলে, ‘আমার একমাত্র মরা মায়ের দিব্যি দিদি, আমি নিইনি’ ভীষণ রাগের মধ্যেও প্রচন্ড হাসি পায় শতরূপার। হাসি সামলে কড়া গলায় বলে ওঠে, ‘আপনার একটা মরা মা, না দশটা মরা মা, সে আমার জানার দরকার নেই, পুলিশের কাছে চলু ন, যা বলার সেখানে বলবেন।‘ অত্রি বলে ওঠে, ‘ছেড়ে দে রূপা, ব্যাগ ত�ো পেয়ে গেছিস।‘ কিন্তু ছেড়ে দিলে ত�ো প্রশ্রয় দেওয়া হবে অন্যায়কেই। রাত প�োহালে মহালয়া, দেবীপক্ষের সূ চনা! আর আজ শতরূপা এই পকেটমারকে ছেড়ে দেবে? টেনে নিয়ে চলে ল�োকটাকে রেল পুলিসের দিকে। উৎসাহী জনতা পিছু ছাড়ে না। তারাও আসছে পিছনে। কিন্তু এগিয়ে আসেনি কেউ, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে নি কেউ, শুধু মজা দেখেছে, এখনও দেখছে। একটা অদ্ভু ত অনু ভূতি হয় শতরূপার। দাঁড়িয়ে পরে। ঘুরে দাঁড়ায় ল�োকটার দিকে। অসু রদলনীর শান্ত রূপ যেন। আস্তে আস্তে বলে, ‘কেন করেন পকেটমারি? সত্যি কথা বলু ন।‘ আমতা আমতা করে বলে ওঠে ল�োকটা, ‘একটু নেশা করব বলেই নিয়েছিলাম দিদি। এ লাইনে নতুন, তাই ধরা পড়ে গেছি। অভাবের সংসার। আয়পয় র�োজ হয় না। যেচে কে আর এসব করতে চায়।‘ কী যে হল মনের মধ্যে, নিজেই বুঝতে পারে না শতরূপা। ব্যাগের পঞ্চাশ টাকাটা ল�োকটার হাতে ধরিয়ে দেয় সে। ‘ভাল�ো ভাবে বাঁচতে শিখুন। কাল মহালয়া। নতুন সকালে পকেটমারটাকে একদম যেন কেউ খুঁজে না পায়’ বলেই স�োজা হাঁটতে থাকে শতরূপা। উৎসাহী জনতা এই পরিণতি হয়ত�ো আশা করেনি, বাড়ি ফিরে জমিয়ে বলতে পারবে না গল্পটা। ভিড়টা আস্তে আস্তে হাল্কা হয়ে যায়। পঞ্চাশ টাকার ন�োটটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে হতভম্ব ল�োকটা। ডানকুনি ল�োকাল দু নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসবে বলে দাঁড়িয়ে আছে নির্ভার শতরূপা। অত্রি পাশে এসে দাঁড়ায়। আস্তে আস্তে বলে, ‘আজই দেবীর ব�োধন হল রে, সত্যিই তুই শতরূপা!’ হাল্কা হেসে নতুন ব্যাগটা কাঁধে ফেলে, ভিড়ে ঠাসা ডানকুনি ল�োকালের দিকে পা বাড়ায় শতরূপা।

মিলনMILON | october 2016 | 143


সাহিত্য ২০১৬ MRS SNIGDHA ROY has been an active member of our Association since 1973. She writes and contributes articles regularly for Milon

স্নিগ্ধা রায়

কয়েকটি স্মরণীয় ঘটনা আমি জীবনে স্মরণ করার মত অনেক ভাল�ো ভাল�ো ল�োকের সংস্পর্শে এসেছি। তার বর্ণনা আমি এক এক করে লিখছি । আমার সংস্পর্শে অনেক বিদেশী ও দেশী মানু ষ এসেছে । তাদের নিয়ে যে সব ঘটনা ঘটেছে তার বর্ণনা আমি এক এক করে লিখছি । আমার জীবনে বেশীর ভাগ ভাল�ো ল�োকই এসেছেন । এদের সবাইকে আমি মহাপুরুষ বলে মনে করি । বিয়ের আগে আমি ভাল�ো মন্দ ল�োক বুঝতাম না । সবাইকে আমার ভাল�ো বলে মনে হত�ো । ফলে অনেক জায়গায় ঠকেছি, বিয়ের পরের থেকে আমার যখন নতুন জীবন শুরু হল�ো তখন থেকে আমি অনেক ভাল�ো মানু ষের সংস্পর্শে এসেছি। প্রথমে আরম্ভ হল আমার আমেরিকায় চাকুরি জীবন । New Brunsureck (NJ) এর এক Bank-এ চাকুরী করেছি ৫ বৎসর ; আমি যে কি আনন্দে কাটিয়েছি এই চাকুরী জীবন তা লিখে কাউকে ব�োঝাতে পারবনা । আমেরিকানদের সাথে কাজ করে অসম্ভব আনন্দ পেয়েছি । তারা যে আমার জীবনে কত আনন্দ দিয়েছেন তা বলা যায় না । প্রথম আমি Mr. Rouke-এর সংস্পর্শে আসি, উনি ছিলেন আমার Bank এর Vice President, অন্যদিকে আমার বন্ধু আর গুরুজন ; আমার কাজে উনি এত খুশী ছিলেন যে বলে শেষ করতে পারবনা । একদিন উনি আমাকে বললেন, “ত�োমার কাজে আমরা খুব খুশী, তুমি America Institute of Banking Course কর, আমরা ত�োমাকে সব খরচ দেব�ো, শুনে আমার ত�ো খুব মজা, আমি দিনের বেলায় Bank-এ কাজ করতাম, আর রাত্রে (সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত) Courseটা করতাম। ছাত্র জীবনে ইতিহাস পড়েছি, তাই Banking সম্বন্ধে কিছু জানতাম না । অবস্থা বুঝে Mr. O’Rouke বললেন “আমি প্রত্যেক সপ্তাহে আসব�ো শনিবার, ত�োমাকে পড়াব�ো । আমি ওনার কাছে পড়াশুনা ও Institute-এ Class নিয়ে দু ট�ো Part-ই Banking শেষ করলাম । তারপর ওনার জন্মদিনের Party-তে আমাদের দু জনকে নিমন্ত্রণ করলেন এক হ�োটেলে । আমরা যেতে পারলাম না, কারন আমার বাড়িতে অনেক Guest এসেছিলেন । উনি সারারাত Party-এর মধ্যে আমাদের কথা স্মরণ করেছেন আর আমরা না থাকার জন্য অনু তাপ করেছিলেন, শেষ রাত্রে উনি বাড়ী গেছেন Party শেষ করে, তারপর বাড়ীতে গিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন । কী দু ঃখ আমার বলা যায় না । চিরকাল উনি আমার হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন । 144 | মিলনMILON | october 2016

তারপর আর একটা ঘটনা বলছি । তখন আমার বাচ্চার বয়স ৩ মাস। আমাদের এক বন্ধু Baltimore-এ ছিলেন । আমরা বাচ্চা নিয়ে New Brunswick থেকে Baltimore-এ যাচ্ছিলাম গাড়ী Drive করে, পথে Snow Storm হচ্ছিল�ো । ঐ Snow Storm এর মধ্যে গাড়ীর চাকা Burst করল�ো । রাস্তা খুব অন্ধকার ছিল�ো । রাস্তার দু দিক ডিম লাইট, বিরাট পাহাড়, আর তার মধ্যে এভারগ্রীন ঝাউ গাছ । জন-মানু ষ ক�োথাও ছিল�ো না, ক�োন বাড়ী-ঘর ও দেখিনি, এমন সময়ে দেখি, সেই পাহাড়ের উপর থেকে একজন African American, বিরাট লম্বা, বিরাট ম�োটা, খুব কাল�ো, ভদ্রল�োক হেঁটে আসছেন আমাদের দিকে। আমাদের কী ভয় । ভাবলাম ডাকাত বা ক�োন দু ষ্টু ল�োক আমাদের আক্রমণ করতে আসছে নাত�ো? আমার ক�োলে ৩ মাসের বাচ্চা ঘুমাচ্ছে, মনে কী ভয়! বুক কাপছে থর থর করে । শুধু ভগবানকে ডাকছি, ঠাকুর তুমি আমাদের রক্ষা কর�ো । দেখলাম, আস্তে আস্তে ল�োকটা আমাদের গাড়ীর দিকে আসছে । ক�োথাও ক�োন জনমানব নেই । শুধু আমরা দু জন ও ৩ মাসের ঘুমন্ত বাচ্চা । দেখলাম, আমাদের কাছে এসে বলছেন, ত�োমাদের গাড়ীর Tyre Burst করে গেছে, ক�োন ভয় নেই, আমি আছি, ত�োমাদের Tyre ঠিক করে দেব�ো । দশ মিনিটের মধ্যে উনি আমাদের গাড়ীর Tyre ঠিক করে দিলেন, বললেন, কাছেই আমার বাড়ী, একটু আমাকে Ride দাও । আমরা টাকা নিতে অনু র�োধ করলাম । উনি বললেন, “আমি ত�োমাদের কাছে কিছু চাই না, শুধু আমাকে বাড়ীতে পৌঁছে দাও” আমরা তাকে বাড়ীতে পৌঁছে দিলাম । তারপর আমরা হাফ ছেড়ে বাঁচলাম, ভাবলাম, ওনাকে নিশ্চই ঠাকুর পাঠিয়েছেন আমাদের বাঁচাবার জন্য এবং রক্ষা করার জন্য । কত ভাল�ো মানু ষ উনি আমাদের ঐ অন্ধকারে অসহায় অবস্থায় রক্ষা করলেন । তারপর আমরা সিঙ্গাপুরে আসি । একদিন সিঙ্গাপুরের Mustafa থেকে Taxi এর জন্য দাড়িয়ে ছিলাম, সব বাজার শেষ করে Taxi এর জন্য দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু কিছু তেই Taxi পাচ্ছিলাম না, শেষে রাত ১২টায় Taxi পেলাম, Taxi-তে উঠেছি, তারপর আমি ঘুমিয়ে পরেছি, আমার খেয়াল নেই, আমার বাড়ীর Exit ছাড়িয়ে Taxi চলে গেছে, স�োজা Jurong-এর দিকে Taxi চলে গেছে, আমার হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গার পরেই দেখি আমার Taxi আমার বাড়ীর Exit ছাড়িয়ে চলে গেছে, আমার কী ভয় ! আমি চীৎকার


সাহিত্য ২০১৬ করতে থাকি । Driver বলল�ো “তুমি চিন্তা কর�োনা আমি ঠিক ত�োমাকে ত�োমার বাড়ীতে পৌঁছে দেব�ো” আমি ভয় পেয়েগেছি, ভাবছি ইচ্ছা করে Driver আমাকে ক�োন�ো দূ রে নিয়ে যাচ্ছে । আমি ভয়তে মরি । তারপর দেখি Next Exit এ গাড়ী ঘুরিয়ে Driver আমার বাড়ীর Exit ধরে আমাকে বাড়ীতে নিয়ে আসল�ো, তারপর শান্তি, Driver কে বেশী পয়সা দিতে চাইলাম, সে কিছু তেই নিল না । কত ভাল�ো ল�োক পৃ থিবীতে আছে মনে মনে ভাবছিলাম । আর একদিন এইরকম একটা ঘটনা ঘটে, আমি Mustafaতে বাজার করতে গেছি, সেদিনও আমার দেরী হয়েছে বাজার করতে করতে, রাত ১২টা বেজে গেছে, Taxi আর পাইনা । সব দ�োকান বন্ধ হয়ে গেছে । অবশেষে দেখি একটা Restaurant বন্ধ হচ্ছে । ও রেস্টুরেন্টের দরজা বন্ধ করছে একটা ছেলে । কাজ সেরে ছেলেটি একটা লরিতে চাপল�ো । তখন ওকে বলি, Brother, can you take me to Pandan Garden, I am not getting a Taxi” ও আমাকে বলল�ো, দিদি, তুমি চল�ো আমার সাথে আমি Jurong যাচ্ছি, ত�োমাকে পথে পৌঁছে দেব�ো । কি সু ন্দর ছেলেটির ব্যবহার, সে বলল�ো “দিদি আমার পাশে বস�ো । ত�োমার কষ্ট হচ্ছে না ত�ো ? আমি ঠিক ত�োমাকে বাড়ীতে পৌঁছে দেব�ো”। আমার খুব ভয় হচ্ছিল, ছেলেটা ভাল�ো কিনা জানি না । অত রাত্রে বাড়ীতে পৌঁছে দিবে কিনা কে জানে । কিন্তু আমার কষ্ট হবে সেজন্য সে আস্তে আস্তে গাড়ী চালিয়ে আমাকে ঠিক Pandan Garden-এ আমার বাড়ীতে পৌঁছে দিল�ো, আমি ওকে টাকা দিতে চাইলাম ও বলল�ো “তুমি আমার দিদি, ত�োমার থেকে কিছু পয়সা নিতে পারিনা । ত�োমাকে ভাল�ো ভাবে পৌঁছে দিলাম, এটাই আমার কাছে বেশী” । ছেলেটির নাম লাল্টু , Serongoon Rd এ নানা রকম কাজ করে, সব কাজ শেষ করে বাড়ী ফিরছিল�ো । অতটুকু ছেলে, কী সু ন্দর তার ব্যবহার, আমি দেখে অবাক হয়ে গেছি, আমাকে চেনে না, জানে না, আমার কষ্ট হয় যদি এ জন্য আস্তে লড়ি চালিয়ে আমাকে বাড়ীতে পৌঁছে দিল�ো। আমি ভেবেই অবাক হয়েগেছি । আর একদিন একটা ঘটনা ঘটে কাঠমান্ডুতে । আমরা কাঠমান্ডু বেড়াতে গেছি, একটা হ�োটেলে আছি, মনে হল�ো আমরা পাশের হ�োটেলে গিয়ে Fish Fry খাই, আমরা দু জনে পাশের রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসে Fish Fry খাচ্ছি, এমন সময়ে আমার Husband এর হঠাৎ মনে হল�ো, একজন কাঠমান্ডুর Hotel এর মালিক সিঙ্গাপুরে গেছিল তার অনেক বন্ধুদের নিয়ে, সেখানে তার সাথে আলাপ হয়েছিল�ো, কিন্তু তার হ�োটেলের নাম ভুলে গেছে, আমরা Fish Fry খেতে খেতে হঠাৎ আমার Husband Sales Boyকে জিজ্ঞেস করল�ো, “ভাই আমার সাথে একজন হ�োটেলের মালিকের দেখা হয়েছিল�ো সিঙ্গাপুর রামকৃষ্ণমিশনে, উনি অনেক বন্ধুদের নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনে ছিলেন । ওনারা Bali তে একটা Federation of the Hindu Societies of the World একটা মিটিং সেরে ফিরছিলেন । কিন্তু তার Hotel এর নাম ভুলে গেছি” হঠাৎ দেখি ছেলেটি সেই হ�োটেলের মালিককে ডেকে নিয়ে হাজির হ�োল�ো আমাদের সামনে । ভদ্রল�োক আমাদের দেখে চিন্তে পারলেন। তারপর বললেন, আমি নাকি বাড়ী থেকে ওনাদের জন্য রান্না করে নিয়ে গেছিলাম, ওনাদের খাইয়েছিলাম রামকৃষ্ণমিশনে । আমি ত�ো ভুলেই গেছি সব কথা, তারপর উনি আমাদের ওনার হ�োটেলে থাকতে বললেন, পয়সা কিছু তেই নেবেন না। এত অমায়িক ভদ্রল�োক, আমি জীবনেও দেখিনি। তারপর ভদ্রল�োকের সাথে আমাদের কত গল্প;

আত্মীয়দের মত ব্যবহার দেখে অবাক হয়ে গেছি। আর একদিন সিঙ্গাপুরে থাকতে রাত ২টার সময়ে টেলিফ�োন আমাদের হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল�ো, দেখি একজন আমেরিকান ভদ্রল�োক উল্টো দিক থেকে কথা বলছে। ওনারা স্বামী ও স্ত্রী দু জনে জাহাজে সমুদ্রের মধ্যে আছেন । ওনাদের ছেলে মেয়ে বড় হয়ে গেছে, জাহাজে সমুদ্রের মধ্যে জীবন কাটান । অতরাত্রে Call পেয়ে আমরা ভয় পেয়ে গেছি । ভদ্রল�োক বললেন, “ভয়ের কিছু নেই । আমাদের জাহাজ সিঙ্গাপুরে Dock-এ এসে পৌঁছেয়েছে । আমরা রামকৃষ্ণ মিশনে কিছু দিন থাকব । ত�োমাদের নাম মিশনের প্রেসিডেন্ট মহারাজ বললেন, ত�োমরা আমাদের একটু রামকৃষ্ণ মিশনে পৌঁছে দেবে? আমরা ত�ো অত রাত্রে জাহাজে গিয়ে প�ৌছালাম এবং ওনাদের রামকৃষ্ণ মিশনে প�ৌছে দিলাম । পরে একদিন ওনারা আমাদের নিয়ে গেলেন এবং ঘুরে ঘুরে জাহাজের সব দেখালেন । তারপর আমরা ইন্দোনেশিয়াতে কিছু দিনের জন্য গেলাম । আমরা ত�ো ভুলেই গেছি ওনাদের । প্রায় ৫ বৎসর বাদে ওনাদের একটা চিঠি পাই ইন্দোনেশিয়ার ঠিকানায়, ওনারা ধন্যবাদ দিয়ে (মিশন থেকে address নিয়ে) বিরাট চিঠি লিখেছেন, আমরা ওনাদের ডক থেকে সিঙ্গাপুর মিশনে প�ৌছে দিয়েছিলাম । বিরাট ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দেখে আমরা অবাক হয়ে গেছি । এবার শেষ ঘটনাটা লিখে আমার Article-টা শেষ করতে চাই । একবার কলকাতায় সিঙ্গাপুর থেকে বেড়াতে আসলাম । আমি প্রত্যেক মঙ্গলবার রাম হনু মানের পূ জা করি, উপ�োস করি মন্দিরে যাই । মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময়ে কালীঘাট গেছি পূ জা দিতে, এমন সময় দেখি একটি বাচ্চা ছেলে দ�ৌড়ে এসেছে আমাকে নানান মন্দিরের পূ জা দিতে নিয়ে যাচ্ছে । শিবমন্দিরে, বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের ঘাটে, সত্যমান ঘাটে, ইত্যাদি স্থানে পূ জা দিতে নিয়ে যেতে চাইছে । আমার বাড়ীতে ফিরতে দেরি হয়ে যাচ্ছে, আমি ত�ো কিছু তেই নানান জায়গায় যেতে চাইছি না, পরের দিন সকালে আমার Singapore ফেরার Flight, তবুও ছেলেটি ছাড়বে না । এই করে আমার সব পূ জা ছেলেটি শেষ করে দিয়ে বলছে, “দিদি একটা 7UP drink খাবেন?” কিছু তেই ছাড়বে না । আমি ত�ো দু ট�ো Drink নিলাম। বললাম একটা তুমি খাও, আর একটা আমি খাই, কিছু তেই ছেলেটি খাবেনা, তারপর পয়সা দিতে চাইলাম, তাও নেবেনা । তারপর আমাকে একটা Taxi য�োগাড় করে দিল�ো বাড়ীতে ফেরার জন্য, Taxi কত পয়সা নেবে তাও দিয়ে দিল�ো । আমাকে কিছু তেই টাকা দিতে দেবে না, তারপর Last moment এ আমি জিজ্ঞেস করলাম ভাই ত�োমার নাম কী, Taxi ছেড়ে দেবার সময়ে ছেলেটি বলল “আমার নাম রামচন্দ্র” । আমি ত�ো একেবারে অবাক হয়ে গেছি, কী করে এই আজকে মঙ্গলবারে আমি রামচন্দ্রের পূ জা করি সেই রামচন্দ্র আমাকে নানান জায়গায় নানান ভাবে বিপদের থেকে উদ্ধার করেছেন । আমি ভেবে ভেবে সেইদিন রাতে ঘুমাতে পারলাম না । এই সেই রামচন্দ্র যাকে আমি প্রত্যেক মঙ্গলবার পূ জা করি, উনি স্বয়ং এসে আজকে আমাকে দেখা দিলেন । আর ক�োনদিনও ঐ রামচন্দ্র ছেলেটিকে কালীঘাটে দেখিনি । আমার বিশ্বাস আমাদের সব কিছু উপর থেকে কেউ দেখছেন এবং প্রয়োজনে তিনি নেমে এসে আমাদের উদ্ধার করেন ।

মিলনMILON | october 2016 | 145


সাহিত্য ২০১৬

স্বপ্না মিত্র

ভার্চুয়াল

রমেনবাবুর বর্তমান পুষ্যি কুকুরের নাম বুচু।একমাত্র মেয়ে টিনা বিয়ে করে অ্যামেরিকা চলে যাওয়ার পর থেকে রমেনবাবুর বুচু প্রীতি যেন বেড়েছে। এই এখন যেমন। রবিবারের সকাল। জলখাবারে লু চি, কুমড়োর ছেঁচকি আর ক্ষীর হয়েছে। বুচু হল�ো গিয়ে এ বাড়ির ষষ্ঠ সদস্য। মানে রমেনবাবু, স্ত্রী দীপ্তি, মেয়ে টিনা, জামাই অভিষেক, সাত বছরের নাতি রাজ, তারপরই বুচু স�োনা। রমেনবাবুকে জলখাবার দিয়ে দীপ্তি বুচুকেও লু চি আর ছেঁচকি প্লেটে সাজিয়ে দিয়েছেন। বুচু খায়, তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। বুচুর খাওয়া দেখে রমেনবাবুর ভুরু কুঁচকে ওঠে। তিনি ব্যস্ত হয়ে বলেন, “বুচুস�োনাকে দু ট�ো ডায়ভল দাও ত�ো ......। ওর ব�োধহয় অম্বল হয়েছে”। দীপ্তি রান্নাঘরে ছিলেন। তিনি দু ট�ো ডায়ভল হামান দিস্তেয় গুঁড়ো করে বুচুর ক্ষীরের বাটিতে মিশিয়ে দেন। বুচু শ�োঁকে, একবার জিভ লাগায়, তারপর বাটি ঠেলে দেয়। রমেনবাবুর ভুরু আরও কুঁচকে ওঠে। বলেন, “কি হয়েছে বল�ো ত�ো ? আগে বুচু কত লাফালাফি ঝাপাঝাপি করত�ো। এখন সবসময়ই ঝিম�োচ্ছে যেন”! দীপ্তি বলেন, ও কিছু না। এতদিন পাশের বাড়ির সান্যালদের ভুলু র সাথে বুচু সকাল বিকেল খেলত�ো। আজ দু -মাস হল�ো সান্যালরা উঠে গেছে। ভুলু ও নেই। আমাদের দু ই বুড়ো বুড়ির পাল্লায় পড়ে বুচুও বুড়িয়ে যাচ্ছে। লু চির শেষ টুকর�োটা মুখে পুরে রমেনবাবু বলেন, ‘ত�োমার মতে বুচুর একজন বন্ধু চাই ? খেলার সঙ্গী?’ দীপ্তি বলেন, ‘হ্যাঁ চাই। তবে ত�োমার দ�োয়েলপাখির মত ভার্চুয়াল নয় । আমার মত , জ্বলজ্যান্ত, রিয়েল’। দ�োয়েলপাখি হল রমেনবাবুর নতুন ফেসবুক ফ্রেন্ড। গত ছয় মাস যাবৎ এই বন্ধুত্ব চলছে। দিনে দিনে রমেনবাবু আর দ�োয়েলপাখির বন্ধুত্ব গাঢ় থেকে গাঢ়তর হয়ে উঠছে। কমন 146 | মিলনMILON | october 2016

ইন্টারেস্ট, গান। রমেনবাবু নিজে গান পাগল মানু ষ। তিন বছর বয়স থেকে লখনউ ঘরানায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন। শুধু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত নয়, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি , অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত, দ্বিজেন্দ্রগীতি, পল্লিগীতি, জীবনমুখী, সবধরনের গানই রমেনবাবুর পছন্দ, শুধু সু রটুকু কানে লাগা চাই। মেয়েটির গানের পছন্দের সাথে রমেনবাবুর পছন্দের যে কি অদ্ভু ত মিল! তিনি অনেক বাজিয়ে দেখেছেন , মেয়েটি যথার্থই গান ব�োঝে । এই গানের কারনেই বুড়ো বয়সে রমেনবাবুর ভীমরতি ধরেছে। যখন তখন ল্যাপটপ খুলে দ�োয়েলপাখির সাথে ফেসবুক চ্যাট করছেন। তাও লু কিয়ে চুরিয়ে নয়। সর্বসমক্ষে, স�োচ্চারে, দীপ্তির সামনেই। দীপ্তি বুচুকে নিয়ে বসে থাকেন, দীপ্তির পাশে বসে রমেনবাবু কিব�োর্ডে ঠকাঠক শব্দ তুলে দ�োয়েলপাখির সাথে কথা বলেন, গান নিয়ে। চ্যাট উইন্ডোতে রমেনবাবু ক�োন গানের দু কলি লেখেন ত�ো মুহূর্তের মধ্যে দ�োয়েলপাখি পুর�ো গানটা লিখে দেয়। অর্থাৎ গলায় সু র তুলেই সে ক্ষান্ত হয়নি, গানের কথাও মনস্থ করে নিয়েছে। দীপ্তির জবাবে রমানবাবু বেজে ওঠেন । বলেন, - কেন ? দ�োয়েলপাখি বুঝি রিয়েল নয় ? দিল্লী থেকে ক�োলকাতা উড়ে গিয়ে , সেখান থেকে কু-ঝিকঝিক ভদ্রেশ্বর চলে যাও , কৃষ্ণচূ ড়ার রিমঝিমে আল�োছায়ায় দ�োয়েলপাখিকে দেখতে পাবে । ভাগ্য প্রসন্ন থাকলে শুনতে পাবে দ�োয়েলপাখির ঈশ্বরদত্ত গলায়, নদীয়া কিনারে ... - এই শুরু হল কাব্যের রেলগাড়ি ... - সত্যি , তুমি যেন শুকন�ো ঝুন�ো নারকেল! রসকষহীন ছিবড়ে! আজ সকালে দ�োয়েল এই গানটা আমাকে ইনবক্সে পাঠিয়েছে। আমিও আমার ফেসবুক দেওয়ালে লাগিয়ে দিয়েছি। প্রথম পছন্দ দ�োয়েলপাখির । - নেই কাজ তার খই বাছ! মিউজিক সিস্টেম চালালেই হয় ! একটা কেন? ডিভিডিতে একশ�োটা গান পরপর ... রমেনবাবু চুপ করে যান । তার মনে পড়ে দ�োয়েলের প্রোফাইল পিক, ছবির অ্যালবাম, সু ন্দর মুখ। তিনি কি আর শুধু গান শ�োনেন ! মনে মনে তিনি দ�োয়েলের পছন্দের গান দ�োয়েলের ঠ�োঁটে বসিয়ে কল্পনায় ডুব দেন। মানসচক্ষে সু রে আত্মস্থ কাজল পরা দ�োয়েলের চ�োখ জ্বলজ্বলে স্পষ্ট দেখতে পান যে! র�োজ বিকেল হলেই রমেনবাবু লাফিং ক্লাবে বেড়াতে যান। হ�োহ�ো হাহা , তার সাথে একটু গল্পগাছা। এই লাফিং ক্লাবের সবার সাথেই রমেনবাবুর কমবেশি আলাপ আছে। আজ দেখেন, ক্লাবে একজন নতুন ভদ্রল�োক এসেছেন। আধঘণ্টা দলবেঁধে পেটফাটা হাসাহাসির পর, এখন যে যার মত দাঁড়িয়ে বা বসে টাটকা অক্সিজেন লাংসে ভরে নিচ্ছে। নতুন ভদ্রল�োক ক�োনার বেঞ্চে একাই বসে ছিলেন। আলাপ জমাতে রমেনবাবু এসে ভদ্রল�োকের পাশে বসেন। - দাদার নাম কি ? - অশ�োক ভাটনগর। আপনার ? - আমি রমেন মল্লিক। পাশেই থাকি। বাড়িতে কে কে আছে ? কি করা হয়? - আমি আর আমার স্ত্রী, নিধি ভাটনগর। ছেলে মেয়ে দু জনেই বিদেশে। রিটায়ারমেন্টের পর আমি একটা ছ�োট�োখাট�ো ব্যবসা খুলেছি। - বাঃ , নিজের ব্যবসা! খুব ভাল�ো, খুব ভাল�ো। তবে মিয়া বিবির সংসার, একটু ব�োরিং না?


সাহিত্য ২০১৬ অশ�োক ভাটনগর হেসে বলেন, তা বটে। তবে আমাদের সাথে জুলি আছে, জুলি ভাটনগর, জাতে অ্যালসেশিয়ান, বয়স তিন বছর। রমেন মল্লিক নড়ে বসেন। দীপ্তি কি যেন বলছিল? বুচুর একজন বন্ধু চাই, তাই না? রমেনবাবু উৎসাহের সাথে বলেন, ওহ�ো ! তাই নাকি ? আমাদেরও আছে, বুচু, বুচু মল্লিক। একদিন আসু ন না আমাদের বাড়িতে জুলিকে নিয়ে? দু টিতে যদি বন্ধু হয়! আপনাদের বাড়ি ত�ো এখান থেকে কাছেই। অশ�োকবাবু একটু লজ্জা লজ্জা হেসে, আমতা আমতা করে বলেন, আসলে জুলি জানেন আমার স্ত্রীর। স�োশ্যাল ওয়ার্ক নিয়ে নিধি খুবই ব্যস্ত থাকে। তবু তার মধ্যে সময় বার করে নিধিই ওর দেখাশ�োনা করে। আমরা এখানে নতুন। জুলির জন্য বন্ধু ত�ো দরকার। তবে জুলির মেশামেশির ব্যপারে নিধি অত্যন্ত পারটিকুলার, খুঁতখুঁতে। আপনাদের বুচুর ফেসবুক পেজ আছে? তাহলে নিধিকে বুচুর ডিটেইলস দেখে নিতে বলতাম। নিধি ভাটনগরের খুঁতখুঁতানির কথায় রমেনবাবু দমে যান। তবে ফেসবুক পেজের উল্লেখে আবার উৎসাহিত হয়ে বলেন, আছে ত�ো। বুচু মল্লিক নামে। তারপর কি ভেবে য�োগ করেন, বুচু মল্লিক খুব খুঁতখুঁতে, নাক উঁচু। তার খুঁতখুঁতানি গন্ধ নিয়ে। সে কারও সাথে খুব সহজে মেশে, কারও আবার পাশও মাড়ায় না। ডাক্তার বলেছে, এ হল গন্ধ, ক�োন ক�োন কুকুর সঙ্গী নির্বাচনে গন্ধের ব্যপারে খুব সেনসিটিভ হয়। অশ�োকবাবু হেসে বলেন, ও ব্যপারে ন�ো কমপ্লেন। আমাদের জুলি রেগুলার ডগস্পাতে যায়। সেখানে জুলির নিয়মিত হ�োলবডিশ্যাম্পু , ব্লোড্রাই, ব্রাশিং এন্ড কম্বিং, কান পরিষ্কার, পেডিকিওর, নেল ট্রিমিং সব করা হয়। রমেনবাবু এবার বেঞ্চ থেকে উঠে দাঁড়ান। দু -বার আড়ম�োড়া ভেঙে বলেন, তাহলে ওই কথাই রইল�ো? আপনার স্ত্রী যদি বুচু মল্লিকের পেজ দেখেন? আশ�োকবাবু বলেন, ঠিক আছে। আমি নিধিকে বলব�ো। আপনার ফ�োন নম্বরটা দিন। দরকার হলে নিধি আপনার সাথে কথা বলে নেবে। লাফিং ক্লাব থেকে রমেনবাবু লাফাতে লাফাতে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ঢুকেই দীপ্তিকে সু খবরটা দেন, বুচুর বন্ধু প্রায় পাওয়া গেছে, মাঝখানে শুধু বুচু মল্লিকের প্রোফাইল আর সম্ভবত একটা ছ�োটখাট�ো ইন্টার্ভিউয়ের ফাঁক । রাতের খাওয়াদাওয়া শেষ। অনেকক্ষণ হল দীপ্তি শুয়ে পড়েছেন। ড্রয়িং রুমের স�োফায় বসে রমেনবাবু দ�োয়েলপাখির সাথে ফেসবুক চ্যাট করছেন। দ�োয়েলপাখি লেখে , - আজ যেমন করে গাইছে আকাশ তেমন করে গাও গ�ো। আজ যেমন করে চাইছে আকাশ , তেমন করে চাও গ�ো। উফ রমেনদা, ত�োমার সাথে কথা বলতে বলতেই রাতের আকাশ কাল�ো মেঘে ছেয়ে গেল। বৃ ষ্টি এল�ো বলে। এই দ্যাখ�ো! বড় বড় জলের ফ�োঁটা পড়ল�ো বারান্দায় রাখা টবের বেলফুলের ওপর। বাতাসে স�োঁদা গন্ধের সাথে মিশে যাচ্ছে বেলফুলের সু ঘ্রাণ। আমি গাইছি, নিশীথ রাতের বাদল ধারা, এস�ো হে ... - কাল রাতে মা স্বপ্নে এসেছিল। আজ পুরন�ো অ্যালবাম দেরাজ থেকে বার করে মায়ের ছবি দেখছিলাম। কি অদ্ভু ত এই চলে যাওয়া, তাই না? আচ্ছা, আমি যদি হঠাৎ চলে যাই? মায়ের

মত? দ�োয়েলপাখিকে ত�োমাদের মনে পড়বে? রমেনদা, ত�োমার ইনবক্সে পাঠালাম, যখন পড়বে না ম�োর পায়ের চিহ্ন এই ঘাটে... - জান�ো রমেনদা, আজ আকাশ এত নীল ছিল! আমাদের প�োষা মিনির তিনটে ফুটফুটে বাচ্চা হয়েছে। সামনের বাগানে বসরাই গ�োলাপ গাছে প্রথম কুঁড়ি এল�ো। বিকেলে দেখি রান্নাঘরের সামনের গাছটায় বড় পেঁপেটা পেকে টুকটুকে লাল! কি আনন্দ, কি আনন্দ, কি আনন্দ, দিবারাত্রি নাচে মুক্তি, নাচে বন্ধ... রমেনবাবুর বুক হঠাৎ হুহু করে ওঠে। মাঝরাতে একা ঘরে তিনি গুনগুন করে একটা ঠু ংরি ধরেন, পিয়া ছ�োড় না যাইয়ো..... এইবার রমেনবাবু দ�োয়েলপাখিকে বিদায় জানিয়ে ল্যাপটপ বন্ধ করে গানের মধ্যে ডুবে যান, তাঁর দু -চ�োখের ক�োল বেয়ে আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ে, তিনি মনে মনে দ�োয়েলপাখির দ�োয়েলি গলা শুনতে পান। ঠিক তখনই, এত বছর পরেও, আফশ�োস কাঁটার মত বুকে বেঁধে। দেখেশুনে বিয়ে, মা-বাবার পছন্দ মত, রমেনবাবুর অল্প বয়স, অত না বুঝেই হ্যাঁ বলে দিয়েছিলেন। দীপ্তির মত মেয়ে হয় না। দীপ্তিকে স্ত্রী হিসেবে পেয়ে রমেনবাবু ধন্য। তবু। তবু, দীপ্তি যদি এমন গান জানত�ো! দীপ্তি গান ভাল�োবাসে, দু -চারটে গাইতেও পারে, তবে ঠিক সঙ্গীত রসিক নয়। দীপ্তির চরিত্রের ধারাটা একটু কেজ�ো, শিল্প তেমন ব�োঝে না, রস নিংড়ে পান করা ত�ো দূ রের কথা। দু -দিন পরে নিধি ভাটনগরের ফ�োনটা এল�ো। - হ্যাল�ো, আমি নিধি। অশ�োক ভাটনগরের স্ত্রী বলছি। এদিক থেকে রমেনবাবু , - হ্যাঁ, বলু ন। আমি আপনার ফ�োনের অপেক্ষাতেই ছিলাম। - স্যরি, কয়েকদিন খুব ব্যস্ত ছিলাম। আজ বুচু মল্লিকের প্রোফাইল দেখলাম। দু চারটে প্রশ্ন ছিল। - দেখেছেন ? থ্যাঙ্ক ইয়ু। বুচু আমাদের উঁচু জাত, জার্মান শেফার্ড, বয়স সাত বছর, গ�োলগাল, ওজন চল্লিশ কিল�ো। - এই ইনফরমেশন ত�ো ফেসবুকে দেওয়াই আছে। আমি বলছিলাম , বুচুর স্বভাব কেমন ? - খুবই মার্জিত, ভব্যসভ্য। নিজের প্লেট ছাড়া খায় না। সবুজ ঘাসের গন্ধ ছাড়া তার প্রাকৃতিক কর্ম হয় না। খুশি হলে দু -কান খাড়া করে ঘনঘন লেজ নাড়ে। মনখারাপ হলে সামনের দু ই থাবার মধ্যে মুখ গুঁজে কুঁইকুঁই করে। - ওহ, তাহলে ত�ো খুবই ভাল�ো। সে তুলনায় জুলি বড় হ্যাংলা। খাবার দেখলেই তার মুখের দু -পাশ দিয়ে নাল গড়িয়ে পড়ে। এক আধ দিন ঘরের মধ্যে পু করে ফেলে। একটু বেশি হাউহাউ স্বভাবের। তবে পরপর দু -বছর ডগ শ�োয়ে পার্টিসিপেট করেছে। দু ট�োতেই ফার্স্ট প্রাইজ। বুচু মল্লিক ক�োন কম্পিটিশনে গেছে? এনি প্রাইজ? রমেনবাবু প্রমাদ গ�োনেন। এইসব শ�ো, কম্পিটিশন দীপ্তির ভারি অপছন্দ। রমেনবাবুরও কুঁড়েমি। দীপ্তির জীবনদর্শন হল, খাও দাও, সু স্থ থাক�ো, আনন্দে বাঁচ�ো, ব্যস। একই পদ্ধতি তারা বুচুর জন্যও অনু সরণ করে। রমেনবাবু আমতা আমতা করে বলেন, - আসলে বুচুকে আমরা ক�োন দিন ক�োন রকম কম্পিটিশনে নিয়ে যাইনি। তাই বুচুর য�োগ্যতা প্রমাণের প্রমাণ ত�ো নেই! - ঠিক আছে। আপনার মুখের কথাই যথেষ্ট। আগামীকাল বিকেল চারটে নাগাদ জুলিকে আপনাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেব। - ঠিক আছে। নমস্কার। মিলনMILON | october 2016 | 147


সাহিত্য ২০১৬ সেই শুরু। বুচুবাবা আর জুলিরানির বন্ধুত্ব। বিকেল হলেই পার্কে যাওয়ার জন্য, জুলির সাথে খেলার জন্য বুচু ছটফট করে। রাতে পেট ভরে অনেকটা খায়। রমেনবাবুর খুশি আর ধরে না! বুচু আবার আগের মত, ছটফটে চনমনে। গত মাসে জুলির বার্থডে ছিল। যথারীতি বুচুর নেমন্তন্ন হয়। নিধির অবশ্য ব্যাপারস্যাপারই আলাদা! জুলি মাথায় হ্যাপি বার্থডে ক্রাউন পরে ঠ্যাং উঁচিয়ে কেক কাটে। পাশে জন্মদিন স্পেশাল লাল টুপি পরে বুচু মল্লিক। নিধি ফটাফট কেক কাটার ছবি তুলে জুলি ভাটনগরের ফেসবুক দেওয়ালে সেঁটে দেয়। সাথে বুচু মল্লিককেও ট্যাগ করতে ভ�োলেন না। রমেনবাবুর বেশ লাগে, এই কুকুর নিয়ে মানু ষ মানু ষ খেলা! তবে দীপ্তি আড়ালে নাক সিটকান। বলেন, গা জ্বলে যায়! আদিখ্যেতা যত! রমেনবাবু ফেসবুক চ্যাটে দ�োয়েলপাখিকে লেখেন বুচু আর জুলির বন্ধুত্বের গল্প। দু জনে মিলে জুতসই একটা গানও খ�োঁজেন। সবই ঠিকঠাক চলছিল। হঠাৎ ছন্দপতন হয়। জুলিকে দেখলেই বুচু মুখ ফিরিয়ে সরে যাচ্ছে কেন? সে জুলির পাশে কিছু তেই যাবে না ! সেই কথাই দীপ্তি টিনাকে বলছিলেন, স্কাইপে। বিয়ের পর একমাত্র মেয়ে টিনা এখন অ্যামেরিকায় থাকে। বছরে একবারের বেশি অত দূ র যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই নিয়ম করে দীপ্তি মাসে দু -বার অন্তত মেয়েকে ভিডিও কল করেন। রিয়েলিটিতে না হ�োক, ভারচুয়ালেই মেয়ের মুখটা দেখেন! দু ধ জ�োটে না তাতে কি, ঘ�োলেই দু ধের স্বাদ মেটান! রাজের বায়নার চক্করে , আজ ন-মাস হল টিনাও বাড়িতে কুকুর রেখেছে। নাম ব্রাউনি, জাতে গ�োল্ডেন রিট্রিভার, রাজের চব্বিশ ঘণ্টা খেলার সঙ্গী। ব্রাউনি আসলে রাজেরই কুকুর, সারাদিন রাজের পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ায়। স্কাইপের সময় রাজ টিনার পাশে এসে দাঁড়ালে, ব্রাউনিও গুটিগুটি ক্যামেরার সামনে চলে আসে। আজ টিনার সাথে কথা বলতে বলতে দীপ্তির চ�োখ পড়ে ব্রাউনির ওপর। দীপ্তি বলেন, বাঃ ! ব্রাউনিকে কি বড় লাগছে! এ যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বড় হচ্ছে! দীপ্তির মন্তব্যে টিনা ফ�োয়ারার মত নালিশ শুরু করে , উফ! এই কুকুর প�োষা! ক�োন কাজের ল�োক নেই। নিজে হাতে কুকুরকে স্নান করাও, তার ক�োট আঁচড়ে দাও! অভিষেক ত�ো ব্রাউনির ডায়েট চার্ট করেই খালাস! নিজে মাসের মধ্যে পনের�ো দিন ট্যুর করে। রাজ আর ব্রাউনি, এই দু ট�োকে নিয়ে আমি আর পারিনা... দীপ্তি সবই ব�োঝেন। তাই ত�ো প্রতিবছর নিয়ম করে মেয়ের কাছে যান, মেয়ের সংসার সামলাতে, টিনাকে নিঃশ্বাস নেওয়ার সু য�োগ দিতে। টিনার নালিশের সামনে দীপ্তি চুপ করে যান। টিনাই আবার জিজ্ঞাসা করে, কেন? বুচুর আবার হল কি ? দীপ্তি বলেন, কারণটা কিছু ই নয়, গন্ধ। জানিস ত�ো, বুচু মল্লিক গন্ধ নিয়ে বেজায় পিটপিটে! ক-দিন হল জুলির গা থেকে বড্ড দু র্গন্ধ বের�োচ্ছে। জুলির কানে কি একটা হয়েছে। সেই কারণে যত উৎকট গন্ধ! অশ�োক তার ব্যবসার কাজে বাইরে। সমাজসেবার কাজে নিধিও হঠাৎ খুব ব্যস্ত। জুলিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার ল�োক নেই। সঙ্গীর অভাবে বুচু আজকাল চুপচাপ মনমরা, সারাক্ষণ সামনের দু ই পায়ের মধ্যে মুখ গুঁজে পড়ে থাকে। 148 | মিলনMILON | october 2016

দীপ্তির কথা শুনে টিনা চিন্তিত মুখে বলে, ক-দিন ধরে ব্রাউনির গা থেকেও খুব গন্ধ বের�োচ্ছে, পচা ড্রেনের মত। ডাক্তার বলেছে, স্কিন ডিজিজ, হাইপারহাইড্রোসিস। দীপ্তি ব্যস্ত হয়ে বলেন, সে কি রে! ব্রাউনি সারাদিন রাজের সাথে চিপকে থাকে! ব্রাউনির থেকে ছেলেটার যদি র�োগ ধরে! তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখা, ওষু ধ দে ... দীপ্তি আর টিনার কথার মাঝে কখন যেন বুচু এসে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছে। দীপ্তি দেখেন, বুচু একদৃ ষ্টে ব্রাউনিকে দেখছে। ন-মাসের গ�োল্ডেন রিট্রিভার, টিনার পরিচর্যায়, প্রতিদিন মাংস ভক্ষণে, সে যেন কুকুর প্রজাতির এক ষ�োড়শী স্বর্ণালী সু ন্দরী! দীপ্তি লক্ষ্য করেন, বুচুর কান দু ট�ো আস্তে আস্তে সটান খাড়া হয়ে উঠছে। বুচুর লেজ ঘনঘন দু বার নড়েও ওঠে! বুচুর কাণ্ড টিনাও খেয়াল করেছে। টিনা এবং দীপ্তি দু জনেই হেসে ওঠে। পাশে বসা রমেনবাবুকে কনু ইয়ের খ�োঁচা মেরে দীপ্তি বুচুর কেসটা দেখান। বলেন, আজ বুচুর মেজাজ ভাল�ো, পেট ভরে খেয়ে নেবে। তারপর ফিক করে হেসে টিনাকে বলেন, বুঝলি, এ হল প্রেমের জ�োয়ারে ভাসাব�ো দ�োহারে! টিনা খিলখিল করে হাসতে হাসতে বলে, মা ইজ রাইট। বাবা, বুচুকে নিয়ে অত উতলা হওয়ার কিছু নেই। যতদিন না জুলির গন্ধ কমছে, র�োজ ব্রাউনির সাথে বুচুকে স্কাইপ করাও। ব্রাউনিকে দেখে বুচুর মনমেজাজ ভাল�ো থাকবে, পেট ভরে খাবে। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার ক�োন দরকার নেই। কি ভাগ্যি, ভার্চুয়ালে ব্রাউনির গায়ের গন্ধ বুচুর নাক অবধি যাচ্ছে না! টিনার কথা শুনে দীপ্তি রমেনবাবুর প্রতি কটাক্ষ করে বলেন, এই যে, ত�োমার দ�োয়েলপাখিও কিন্তু ভার্চুয়াল! রমেনবাবু আজ আর কথা বাড়ান না। দীপ্তির কটাক্ষের জবাব না দিয়ে চুপ করে থাকেন। তিনি গতকালই জানতে পেরেছেন, দ�োয়েলপাখির সব গান মনে মনে। গান ত�ো দূ রের কথা, সে কথা বলতেও পারেনা। দ�োয়েলপাখি একজন জন্মব�োবা।

স্বপ্না মিত্র

স্বপ্না মিত্র একজন প্রবাসী বাঙালি। বিজ্ঞানের ছাত্রী। কলকাতা সায়েন্স কলেজ থেকে রেডিও ফিজিক্স এন্ড টেলিকমউনিকেশনে বি.টেক করে বেশ কিছু দিন দেশী এবং বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করেন। বিজ্ঞানের পাশাপাশি লেখালেখি তাঁর নেশা । বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা বের�োন�ো ছাড়াও স্বপ্নার লেখা দু টি ছ�োট গল্প সংকলন আছে। বই দু টির নাম, “একালের গল্প” ও “বিকেল হলেই গল্প”।


সাহিত্য ২০১৬

মিলনMILON | october 2016 | 149


lITERARY 2016 we can be happy, prosperous and successful as one nation, one Singapore.’3

Koyena Pal

Can We Achieve An Inclusive And Tolerant Society? Mr. Lee Hsien Loong, the Prime Minister of Singapore, once said that a tolerant and inclusive society is ‘where every citizen has a rightful place and the opportunity to fulfill his or her aspirations’1 . In such a society, there is a need for fairness and tolerance for every individual’s race, religion, gender, and opinions. However, the most obvious and essential question that arises is why, such a society, is hard to find in the first place? Through various research and personal experiences, I have found that religion, culture, language and educational background are some of the main factors that bring out and emphasize these differences. Countries such as France and Indonesia that have multi-racial and multicultural backgrounds, or even countries such as South Korea, China, and Jordan, which are subjected to political dominance by others, are not so accepting and all-embracing. However, there are still countries such as Singapore that encourage cosmopolitan societies, preserve racial harmony and are known to be tolerant and inclusive.

An exploration is, therefore, necessary to find out why is that only certain countries are able to achieve this inclusiveness. Before I answer that question, let us look at some of the main reasons why there is a need for such a society. In a tolerant and inclusive society, people are supposed to be accepting and open-minded. This not only includes the citizens, permanent residents, and other immigrants but also includes the government body itself. Therefore, in such a society, there has to be interdependence, respect and mutual trust between various stakeholders. Only then, such a society can socially and economically become functional and subsequently thrive. Mr. Lee Hsien Loong in his capacity as a modern politician has further explained this. He says that ‘we all have something to contribute’2 and ‘in a different way, each one of us is somehow special, different from others. I think we should value that and treasure that and work together, take advantage of it so that together we can make Singapore better and together

1 http://www.channelnewsasiacom/ news/specialreports/parliament/news/ pm-lee-on-building-a-fair/1125504.html - Definition of tolerant and inclusive society

2, 3 http://www.channelnewsasia.com/news/ singapore/singapore-building-an/2230138. html-‘Singapore building an inclusive society’ report

150 | মিলনMILON | october 2016

Despite being aware of the benefits, why are there many societies across the globe that still fail to become inclusive and tolerant? Why is it that countries, for instance, America, even though known for its cultural diversity, still witness crimes solely based on discrimination? On 17th July 2014, Eric Garner died because of a chokehold performed by a cop. In a particular bystander’s video, Mr. Garner, an African American, told a white NY cop to stop harassing him by always picking on him for something he claims he did not do. Seconds later, Eric Garner was choke-held by the cop, to whom the victim repeated told that he had trouble breathing. However, without paying any heed, the cop just continued what he was doing without even thinking that Garner might die from choking. This particular incident has raised various speculations mainly about racial discrimination. Firstly, chokehold is ‘prohibited by NYPD guidelines on excessive force’4. Therefore, it is judicially wrong to even commit that act. Moreover, despite Garner’s insistence of not being touched, the police officer did not listen to him even though Garner surrendered himself. Hence, all these facts make people believe that this incident was more an act of a racial discrimination than a normal criminal arrest. However, the question is, what could have caused this? Even though the government tries to ‘create a culture where the police department and the communities they protect respect each other’5 , Mayor Bill de Blasio of New York believes that it is because of the ‘wounds from decades of mistrust’6 that lead to these kinds of mishap. The past creates a system of binary opposites that leads to prejudice and discrimination, which is evident in this case. Another example that deepens the understanding of the difficulty in 4, 5, 6 http://edition.cnn.com/2014/08/01/justice/new-york-choke-hold-death/ - Article on Eric Garner’s death.


LITERARY 2016 forming an inclusive and tolerant society is the 2004 movie, ‘Crash’. This movie presents a realistic concept of how discrimination occurs. It does not classify people into victims and offenders but rather, showcases how both the parties have prejudices against one another. For instance, at the beginning of the movie, the audience witnesses how two Persian American citizens, while trying to buy a revolver, are degraded by the shopkeeper by calling them ‘Osama’. Just because the shopkeeper was impatient while the customers were speaking to each other in a different language, it is wrong to throw such racial insults at them. In another scene, these two Persian customers are shown to have their own shop in which a Hispanic man is fixing their lock. The Persian father, who does not understand English properly, fails to acknowledge that this lock repairer is not trying to swindle him but is instead trying to say that the door needs to be fixed, not the lock. Since the Persian father was in delusion about being cheated by everyone, he did not listen to the Hispanic man. The next day, his whole shop is robbed. Blinded by his misunderstanding, the Persian father takes revenge on the lock repairer that almost leads him to kill the man’s little daughter. Therefore, over here, we witness how each individual misjudges the other because of their ancestral history, communication barrier and narrow-mindedness. Hence, after a profound discussion on the benefits and obstacles in forming an inclusive and tolerant society, we can concur that it is possible to form such a society. However, what are the measures needed to be taken? How can a society avoid the aforementioned issues? There are few things every individual needs to consider. Since many of us are living on foreign soil, there is a need to honor and follow rules and regulations of our country of residence. We need to understand the extent of our liberation. We cannot just roam around the streets pointing guns at one another claiming that it is our freedom of expression! Laws are supposed to

help countries maintain their stability and peace. In order to protect every citizen, the country needs to monitor everyone without taking away anyone’s freedom. One may think that this action is an invasion of privacy. However, one should also think that ‘privacy’ is always compromised to some extent in order for the country to defend itself from potential threats. For instance, recently, I read this article named ‘Britain has many problems – racism isn’t one of them’7, which provided the writer’s own experience along with statistics to prove how awareness and reinforced laws and rights for BAME (Black and Minority Ethnic) have helped make his stay in Britain a pleasant one. He also found out that from 1990s to 2000s, there has been a 39% drop (from 44% to 5%) in the uncomfortableness in people of marrying their children across ethnic lines. He also acknowledges the fact that racism, religion and other aspects of discrimination still exist because of the massive size and diversity of different nations. We are in the era where it is always encouraged to be practical, diplomatic and open-minded. However, because of the seeds of discrimination planted in the past, it will take time to remove its roots in every society. This is not an impossible task. It is just very time-consuming. Thus, I strongly believe that it is indeed possible for a tolerant and inclusive society to exist. There will always be difference in opinions. This is the complexity of human minds. However, this makes life more interesting and exciting. If everyone has the same opinions about everything, it is hard to understand the two sides of every incident. Thus, what every individual needs to do is to embrace the differences and respect the opinions of other people. This will definitely set our course to form an inclusive and tolerant society in the right direction.

Koyena Pal, 17, is a Junior College Student (IBYr2), GIIS Queenstown. She is an Intern of iTrust, SUTD She has won Silver for Commonwealth Essay Competition 2016 Koyena has written a Research Paper related to Cyber Security in Cyber-Physical Systems Her Passions include watching Movies, listening to Music, Dance, playing the Piano, playing Tennis, and organising events

7 http://www.spectator.co.uk/2014/02/howracist-is-britain/ - Article of ‘Britain has many problems – racism isn’t one of them’

মিলনMILON | october 2016 | 151


lITERARY 2016

The Revolution

ANANYA MUKHERJEE

In the mysterious stillness of a dark winter night, the shimmering moonlight kissed the glossed boulders over the river Subarnarekha. Stars were hidden beneath a moist cloak of clouds floating without a direction. The silver mist was hanging low over dark silhouettes of the trees of the jungle outlining the course of the river, and created a rather magical effect, like the phantasm of a dream wrapped in an aluminium foil. The dense forest stood still, as the wind, restless with messages of the wild, sighed through the leaves, whispering a midnight secret in a hushed undertone. The water, silky black and cold was biting into the gaping wound of her

skin, penetrating through the thin line of linen that had been used as a temporary bandage. Raka’s right leg, where the bullet had struck and narrowly ripped off a part of the flesh, was sore and heavy. They had been on the run for almost a week now; alternately shifting from one base to another hideout in the dense forests of the Dalma Hills, escaping the bullets of the local police, paramilitary forces and the preying eyes of wild elephants known for their destructive aggressiveness in this region. With man and beast both hungry for their 152 | মিলনMILON | october 2016

lives, not all of them had been lucky so far. They had lost two of their comrades and a third one had been seriously hurt in the last few hours of merciless firing. Yet, we must go on, said their leader. “The trick of survival is to kill them before they kill you,” he had been telling their squad ever since Raka’s induction. Injured and outnumbered, in this struggle to keep herself alive in the centre of a Naxalite-Maoist insurgency, she did not feel any differently now. “Raka, you need to move fast. We have to reach the other side of the bank from where the river has narrowed. There is an Adivasi village inside the jungle where we have some of our people. They will help us. Just follow the course,” a comrade whispered into her ears. She was still staggering when he looked behind and screamed...”Police...run....” She pulled up all her strength and started running through the cutting coldness of the water with guns roaring behind her. The silhouettes of dark lean creatures with rifles hanging over their shoulders leapt across the silver spread of water, breaking through the silence of the night. Some of them fell around Raka. She did not have the time to look back. The river was getting narrower here, and as she looked through the haze and fire of the night, Raka saw the shadow of a man pointing his rifle straight towards her. He was standing at the edge of an embankment which was precariously protruding like a cliff over the water. “Kill them before they kill you,” their leader’s mantra echoed in her ears. Raka did not hear the bang when she pulled the trigger. He neither stirred nor fell immediately. He suddenly looked shrunken and fell on his knees. Then with a desperate slowness, he tried to stand. She fired again. At the second shot, she saw his whole body jolt. And then down he came, crashing on her, splashing into the silvery black river and leaving a trail of dark blood on the surface... At first, Raka felt nothing. Just a mass of heavy flesh and blood came


LITERARY 2016 thumping over her, throwing her down on the rocky underbed of the river. She tried to regain her balance but he was a strong man and though lifeless, his body had the power to loosen the grip of her feet on the riverbed. And then a flash of silver caught her eyes. It might have been the moonlight playing on the surface of the river or it might have been torchlight in the distance, she did not know. After a few seconds it disappeared. Then it appeared again and soon several bright reflections were moving eastward along the river shore. Raka heard gunfire and the sirens of paramilitary forces’ jeeps at the bank overhead again. Soon she could see flashlights everywhere on the dark water. They were ruthlessly hunting for those who were alive amidst the dead and

the fallen. The mist served as a good cover and Raka held her breath with the body of the dead cop under the protruding rock. Fortunately, the bulging outgrowth provided the shelter she needed for the moment. She waited for a few minutes and noticed that the movements on the bank had come to a halt. Then, one by one, the lights went out and the echoing boots died away in the distance. The water was bitterly cold. Raka hunched on her knees, stooping as low as she could to camouflage her

existence under the overhanging rock and the dark river. Without realising, she saw she was clutching on to the body of the man she had just killed for her own cover. Raka shuddered at the thought of her nonchalant but brutal violence. It filled her with disgust and she almost threw up. Though she had joined the squad six months back after a formal combat training in weapons, this was her first kill. With a jerk, she withdrew her hands from him and as she did that, Raka saw his face was smeared in blood. He was young, almost handsome one would say. But confronted with her own death threats, as she looked at the victim of her bullets still at an arm’s length from her, ironically sheltering her from police firing, Raka suddenly felt a waft of familiarity with the deceased.

In the unidentifiable outline of the stranger she had just shot dead, she saw someone, vaguely known, disturbingly familiar. Was he really an enemy or a victim of the system just like her, who was merely following orders? She could not tell. Who did she kill? The intuition was too strong to be ignored, the feeling both frightening and overwhelming. Whilst her mind was fluctuating between basic survival instinct and logical planning for the next move, Raka saw a shadow move over her. In the lights of the cold midnight moon, its refracted rays sieving

through the mist and clouds, she saw a young man, bare, lean and clad only in a dhoti and turban on the river bank. With a torch in one hand and a quiver full of arrows flung over his shoulders, he looked like the portrait of a tribal archer straight from an art gallery. He signalled the torch slowly making a sign language that communicated to her that he was an ally. She imagined him to be one of the local tribesmen who was expecting their squad that night and moved out of her cover. With some difficulty, as her leg was extremely sore from the wound now, she managed to climb atop the embankment, leaving the corpse behind in the ominously cold water. Raka opened her mouth to speak to the archer but he signalled her to stay silent. Not knowing what to do next, she quietly followed

the messiah from the dark into the jungle. “How far are we from the village?” After what seemed like an hour’s trail through the deep dark woods, Raka spoke to the shadow walking ahead of her in the local dialect that she had managed to learn in her months of training at the camp. He gestured with his fingers and silenced her again. “The jungle is never asleep in the night,” he said, pushing her roughly far into the thickets. How rude is that! She thought but before she realised what was মিলনMILON | october 2016 | 153


lITERARY 2016 happening, she heard the rustling of leaves and bushes and felt the earth thumping around her. Something enormous like a powerful dark storm was coming towards Raka, crushing the obstacles that lay on the path, tearing down trees in one majestic sweep. As the procession marched right in front of her eyes, she saw an elephant herd ripping through the dense forest, trunks swinging and ears flapping. With an embarrassed yet grateful smile, she thanked the man who had just saved her life. Her leg was bleeding again and the pain was getting worse. She could no longer walk without a limp. He helped her stand and she dragged herself to a little cave like structure made of boulders and covered by thick leaves. He planted the torch on the ground and asked Raka if she was thirsty. As she nodded and leaned against a boulder, he leapt up like an animal and disappeared into the dark. There was something intriguing and secretive about the night in the forest. The air was cold, yet fresh; the timelessness of the ambience provided her the time and solitude to clear her mind and to regenerate after a seemingly endless time of retaliation to violence and killing. The dead man’s face came flashing back. She looked at her hands and wondered if it were the same that once played with colours, brushes and canvas. She had wanted to be a painter. Her bureaucrat Dad wanted her to go into the civil services and follow the family tradition of the elite Calcutta bourgeois. ”Real revolution comes top down and not the other way up. The real power lies in the administration of the state. It takes a man with a vision and nerves of steel to change and develop a nation,” he used to say. Her first rebellion was at home, when she announced she was joining the Government College of Art & Craft instead. It was on that campus where she met several of her friends-turned-comrades who changed her life completely. Yes, she wanted to change the destiny of the nation, but not by sitting in 154 | মিলনMILON | october 2016

an air-conditioned office and riding a chauffeur-driven staff car like her father. She needed to eradicate the entire system to bring in the one that would mean equality and justice for all. A nocturnal bird screeched through the silence of her thoughts. Raka looked at her watch and realised it was close to the last quarter of the night and everything around seemed to have come to a standstill. Except for the monotony of a cricket’s complaint, there was little else to be heard. “Here, drink,” he said, handing me over a cup made from leaves, dripping with water. It tasted sweet and Raka looked up curiously. “Dew drops” he smiled. For the first time, she noticed him carefully. For an Adivasi, he was rather tall and his complexion was a little lighter than usual. His dark eyes shone with an unexpected brilliance and intelligence as he spoke. His features were regular and well chiselled. One could consider him “handsome” in a rather off beat way. “Where did you get this?” Raka asked. “The Mundas know all the secrets of the forests. This is our home,” he said smiling. “You are a Munda?” She had heard tales about the fearless Mundas and their relentless war against the British Raj a century back. “Yes, I am a Munda. Do you want to go now? We must reach the village before dawn. They will start hunting for you again after sunrise.” Raka knew he was right. Yet, she just wanted to sit and feel, the changing of the light, the movement of the waning moon across the sky, inhale the raw forest smell, hear the sounds of birds and insects going to sleep and other forms of night creatures waking up. She asked him if she could stay a little longer. It was getting colder and she could feel

the temperature dropping. Yet, her emotional, psychological baggage overpowered her physical capacity to move. What was she doing? What kind of a revolution was this? Killing her own men, innocent puppets who were just as much a victim of a degenerating and rotting political and economic framework as she was? Was this the only way she could bring about a social change and seize justice for the oppressed? Raka’s first kill had shaken the roots of her political philosophy. He sensed her exhaustion, lit up a little fire to ward off the animals and the cold, and sat across her. Then looking piercingly at Raka’s eyes he asked, “Why did you kill him, to save your own life or ours?” His gaze was transfixed on her and she felt compelled to reply. “My own, but for your people; I am not fighting this war for myself,” she rephrased the script she had been taught in the camp. “But you are killing your own people. I used to be a fighter too, but never killed a brother.” For his age, he spoke with much control, authority and confidence. Raka asked him, “Where did you fight?” “Here, right on the ground that you are sitting. They know me well here, but now I think a revolution can also be brought differently.” “How? What do you know of a revolution? Look, we are not fighting for ourselves. This is a war against the state, against oppression and injustice. We are trying to create a better world for you and your people. This war is for your own rights. You don’t understand what I am saying, do you?” Raka tried explaining the doctrines of Maoism. “Oh, I have fought against oppressors too, but not in your way” he replied. “Really? With what, your bow and arrow?” She was beginning to feel


LITERARY 2016 exasperated at the comparison. “Yes, and more! But we didn’t have a proper strategy and not many leaders. There was little communication between us. There was no guidance, no clear instruction. So many of our people suffered and died because we were led by emotions rather than by reasons. But you are educated, you are young; do you not understand that you cannot change the world by violence alone?” “What do you mean? What are we supposed to do? Just sit and watch and let them treat us like we are not even humans? Do you even know how many of you and us die in their hands every day? An eye for an eye is the only way to finish this,” Raka persisted. “I understand what you say. But you tell me, you kill a corrupt cop and the next day, another man will take his place. Who will guarantee that this man is honest? Where will this end? How many will you kill?” “So what do you think I should do? Just wait for some miracle to happen?” Raka was getting impatient. Also his words were beginning to make her wonder if he was right. “But how could he be! He was just an Adivasi, a man from a very backward and oppressed class

of India. He probably never even went to any school. What would he know of revolutions and the changes that we were about to bring?” Her mind was pacing fast in a direction she hadn’t chosen. She tried to fight the inevitable shift of thoughts in her mind, but something within was telling her that he made sense. There was no end to this killing. “If you really want a miracle to happen, be a part of that miracle. To change the system, get into the system. Take charge as a responsible patriot and bring about the change that you want to see. Go back to your own city and come back as one of them. Then implement the changes in the system that will change our world,” his eyes fixed on her were gauging her thoughts. “Tell me if I am wrong,” he added. “No,” she said, giving in finally. “Actually, you are quite right. My Dad, and he would not have liked this comparison, says almost the same thing only in a different way,” Raka said softly. His speech left her amazed but she couldn’t defy the truth of his convictions. What surprised her most was that a young and uneducated Adivasi man, who belonged to one of the most backward classes of the socioeconomic pyramid, was trying to clear her conscience of doubts and

guiding her in the darkness. “The railway track is on the other side of the hill. If you want, I can show you where to take a train back to civilisation. Alternately, you can come with me to the village and hide in the jungle, till the police hunt you down. The choice is yours.” The choice was not as difficult as Raka thought. In fact, his blatant questions had answered so many questions that her conscience had been tormented with. The dying moonlight was slowly fading on the tree trunks, as Raka staggered her way quietly with him toward the rail track, led by a man she had assumed to be much less. The sun was beginning to slowly clear the anaesthesia of the night as they approached the little railway post. Here, he left her alone and turned to go. Raka asked him if she could see him again. “Yes, surely; just ask for me when you come here again and also if you go to Ranchi. They will bring you to me.” “Oh, are you that famous?” “Only a little,” his eyes shone mischievously. “And where will I find you?” “Birsa Chowk, Hinoo, Ranchi. You’ll always find me standing there.”

ABOUT ANANYA MUKHERJEE Ananya Mukherjee is a former business journalist and the ex-editor of HRM Asia, a leading business title in the Asia-Pacific region. Ananya is an acclaimed writer with more than 1000 publications to her credit. Before moving to Singapore, she had amassed years of experiences in the Indian print and television media. Her journalistic acumen covers a whole gamut of subjects including politics, lifestyle and business. Ananya’s first book, a collection of 20 short stories is due for release soon. She is a regular columnist with Bkhush.com and her column Shuddh Shakahari Desi is one of the most popular columns of the web magazine with over 10,000 hits on many stories. Her column is widely read and appreciated by an international audience. Ananya has also recently edited Amazing Africa, a Corporate Journey, a collection of short stories, written by two of her colleagues. A passionate columnist, blogger, poet, theatre artiste and trained dancer, Ananya currently heads internal communications in a multi-national company. She lives in Singapore with her husband and daughter. মিলনMILON | october 2016 | 155


lITERARY 2016

Street Light It’s there in the night Cold as stone All alone It’s there In the night Stares at a car Time of the dark It’s there In the dark Cold as stone All alone

Aayudh sen

G4 student UWCSEA

A FUN DAY AT THE CARNIVAL shuchi ray

Shuchi is in Grade 2 in NPSI. She is the daughter of Chandrani & Partha Ray

156 | মিলনMILON | october 2016

One day, Isabella and Daisy went to a carnival. Isabella really wanted to dance in the carnival, but she couldn’t, so she just watched the dancers dance. Daisy wanted to explore. Isabella also wanted to go on the roller coaster and the ferris wheel. Isabella called Daisy, and they both bought ice-cream and popcorn. Then they went on the roller coaster and the ferris wheel. Isabella again started watching the dancers dance. After a while, there came an announcement that the dancer’s special gown was missing. Daisy tried to find the missing gown. After half an hour of looking, Daisy remembered a place which she had not looked in. She went there and started looking, but she could not find the naughty thief who stole the gown. Then she found a dirty corner. She looked in the corner, and found the bad thief hiding behind the tall shelf. Daisy went to the place where the dancers were dancing and returned the gown. The queen heard the news and decided to award Daisy the title of “real explorer”, and she was also gifted with hundred gold coins.


LITERARY 2016

FRIENDS The first day of my school, I felt forlorn and sad; Nobody had noticed me, Things were looking really bad.

I sat down to eat lunch Among groups of happy chatter; When suddenly a girl approached me And said – ‘Let’s hear the rain’s pittter-patter’; Starting from that day Our friendship is on, Now we are best friends And sad days are gone; So that’s why I say Go and get a friend; You will make the perfect team Together till the end!!

With Best Wishes from

Kakoli & Sandeep Chatterjee

Anwesha Putatunda

Anwesha Putatunda is 9 years old and is a Grade IV student of NPSI, Singapore. She enjoys reading and writing stories. She stays with her parents, her grand-mom and her sister. She loves basketball, music, swimming and playing with her friends. And last but not the least, she loves to bake chocolate cup cakes and eat them too মিলনMILON | october 2016 | 157


lITERARY 2016 A Short story by anika sen anika is a G7 student UWCSEA

akiko Hiroshima - August 16 1945

the sleeping giant.”

I quickly went through my maths homework and then moved on to the worksheet. I glanced around to see Dai playing with his wooden vehicles and heard his excited voice “Vroom! Clash! Whoosh! I won!”

Dai looked at me in concern and asked, “Is it true? That our city is going to be like the Pearl Harbour?”

Then those green eyes turn around, boring into me. His skin shines like diamonds in the sky while mine is creamy brown; not all in my family has this skin. We hear a warning. Not just any old warning but an air raid warning. Again. These warnings have been going on for two years already. But still I do what I have to do. I dash to Dai, who is shuddering with dread, pick him up onto my back and run as fast as I can. Out of the door I go and into the orderly neighbourhood. But I know it is not going to stay this way. I mutter to myself, “One day this city, our Hiroshima, will be like Pearl Harbour, the attack that rose

No need to worry Daisuke.” But I knew in my heart that something worse is going to happen to us. Something worse than what we did to the Americans. I look around me. Everyone is running for their lives. Everyone is running to the East Parade ground or the other shelters. I repeat myself, “We are going to be fine Dai.”

158 | মিলনMILON | october 2016

Oops. I forgot all about Dai. “Of course not, Dai, Japan is strong, too strong to be defeated by the Americans.

“How do you know?” questions Dai, as his face goes dull and tensed with panic. I don’t. I just need to comfort myself and Dai and that’s all that matters right now. “Because I know.”


LITERARY 2016

We could see a huge but strange mushroom-type cloud forming above the city in the distance.

I shake my head, getting my rough brown hair onto my face and start to chew it. What will happen? I look around again. People are screaming, “WE ARE ALL GOING TO DIE! WE ARE!”

“Oh no,” says Okaasan in a panicked voice, “that’s the only place in Hiroshima that has nothing to warn the people.” Then she starts going out of the East Parade Ground Shelter and starts calling out to streets.

I think to myself. My family won’t. My family can’t. Then I move on. One of the guards see me as I get closer to the East Parade Ground. “Hurry! The American planes have already been seen flying!”

“Akiko? Akiko? Come to the shelter, Akiko!” she screams and shrieks. Suddenly we hear them coming. The American planes. Okaasan is still calling Akiko and doesn’t seem to realise that they are coming.

He helps me go into the shelter and finds a place for us to stay. He gives us each a cup of jasmine matcha, or green tea. But I am in no mood to drink tea when I knew hundreds and millions of us are going to be killed today. I just knew it. Then something struck me. “Dai, where is Okaasan?”

A group of guard runs to Okaasan and one of them tells her in a rushed voice, “We got to go back to the shelter Ma’am. For your safety.” “Never!” she screeches into his face, “not without my daughter.”

“Okaasan? Okaasan, where are you?” Dai and I push through the crowds of people, searching for our Okasan. “Okaasan,” and that’s when Dai started to cry, “don’t leave me! Please.” “I am here, Dai. I am here, Yuki.” I turn around and see Okaasan, with her face all scrunched up and ready to cry. No, ready to drag us into her and she does. Together we all cry, tears pouring down everyone’s cheeks. Then I pull away and show Okaasan where we were sitting, but that’s when Okaasan stops. Her face grows dark and her eyes dim. She asks in a quiet, shaking voice, “Where is Akiko?” Akiko. A picture of her comes into my mind. Her pale complexion with her eyes as big as the moon, her delicate fingers on her hands. The girl who was my only sister was out of my hands. “What have I done? How could I forget Akiko? She...she…” and I start crying again. Okaasan pulls me to her and shushes me. Then she asks, “Where did you last see or hear Akiko?” “She told me she was going to our neighbourhood park.”

The guards have no choice but to carry her into the shelter. There is Okaasan, her silky brown hair in a mess and her eyes full of rage. Then a guard hollers, “GET DOWN!” We all get down, huddled together. Everything goes blank. The only thing we hear is a loud “KABOOM!” that seems to last forever. I open my eyes and I see everyone looking at each other in fear, horror and terror. I smell the smoke coming inside from the outside. I hear people groaning, crying and breathing. I feel Okaasan still holding me and Dai squeezing my hand until it hurts like crazy. I can taste the storm- like dust that is circling everybody. I get up. Okaasan and Dai are squinting around themselves. We all walk outside. My throat becomes dry, dry as my lips. “Oh. My. God,” I whisper to myself. We can not see anything since it is so dark, even though it is morning. The destruction and ruins are slowly coming into shape. We look up. We could see a huge but strange mushroom-type cloud forming above the city in the distance. We ask the guard if we could go back but

মিলনMILON | october 2016 | 159


With Best Wishes from

Maitreyi & Surajit Das

160 | মিলনMILON | october 2016


LITERARY 2016

If we have to start a new life, a new beginning, we have to start it as a family. As a complete family and we are not a complete family

he sullenly shakes his head, “This bomb was no ordinary bomb. It was an atomic bomb. We are the first ones to experience it. You can’t go. For your safety.” Okaasan starts crying. I start crying. Dai starts crying. The guards drags us to the group of survivors. We just stand there thinking the perfectly ordinary neighbourhood is gone and is replaced with ruins. So is Akiko. Dai asks, “Where are we going to go now? Our home is gone.. Akiko-chan is gone” “Don’t worry Dai-chan,” says Okaasan trembling, “we will find a new home. A new life.” That is when all of us survivors start to go. “We are headed for Osaka.” I say this, knowing that when we come back it will be all different. Hiroshima will never be the same again. Us too. We walk up and down and up and down. Suddenly Okaasan stops. She bends down and looks at me and Dai. She says, “We can’t start a new life without having a complete family. We have already lost one, your Oba-san. We can’t bear to lose another one. If we have to start a new life, a new beginning, we have to start it as a family. As a complete family and we are not a complete family without Akiko. We…” She starts crying again. We give each other a last hug as tears pour down our cheeks and our hearts get struck by the arrows of a mother-and-child love.Then Okaasan heads back to our neighbourhood, our neighbourhood ruins. Dai and I watch her go, each having our own thoughts inside us. Mine is how lucky we are to have a mother that cares and loves us more than any other mother loves a child. She never gives up. Never gives up on us and life. Never gives up on her goals. Always trying her best for our family to have rights as other families. I think to myself, “Will we ever have our Okaasan back?”

Afterword Yuki, Dai, Akiko and their mother are fictional characters in this story but the atomic bomb was real. On August 6 1945, the atomic bomb Little Boy was dropped on Hiroshima. It destroyed thousands of homes and killed millions of people. The survivors of the atomic bomb had to start a new life, sometimes without their family and friends and almost nothing to start with. Like Akiko, many many children lost their lives. The atomic bomb dropped on Hiroshima was the first time anyone had used a nuclear weapon. In this story I have written, I wanted to express the feeling, the setting of how it was like. Unlike us they did not know it was going to happen, they did not know that they were the victims. People around the world are still sad and shocked about that day and still cry over their lost ones. That date, August 6 1945 is when a lot more people than you can imagine died. Children, adults and seniors or family and friends, they are all gone. Very few survived. Many of the survivors wanted to go back and search for their family and friends but they knew in their hearts that they were gone. Just imagine the sorrow. I wrote this story so you readers can feel a bit of how it feels like. A bit of the sorrow. Glossary: Okaasan - mother Oba-san - father

I look out and whisper, “Will we?” Yes. We will.

মিলনMILON | october 2016 | 161


lITERARY 2016

B ASABI banerjee

preserving primates Rwanda

, the ‘land of a thousand hills’, has much to offer tourists, but the mountain gorilla is indisputably its top attraction. Unlike their cousins the lowland gorillas, the Virunga species (named after the mountain range they inhabit), do not breed in captivity; tracking them in the wild, therefore, is the only way to view these magnificent primates. The population of the critically endangered mountain gorilla plummeted to two hundred and fifty in the nineteen seventies and the awe-inspiring efforts of the famous American primatologist Dian Fossey, did much to curtail poaching. Her efforts resulted in her murder, probably by a hostile poacher, at her research centre on the slopes of Mount Karisimbi in 1985. The cinematic account of her life, ‘Gorillas in the Mist’, generated global interest in the mountain gorillas she was studying and trying to protect. The final leg of our holiday in Rwanda in April this year, provided the oncein-a-lifetime opportunity to track these iconic animals in Volcanoes National Park. After a long drive from Rubavu, a port town on the shore of Lake Kivu, the picturesque Virunga range of volcanoes came into view, heightening our anticipation of the highlight of our trip as we approached Musanze, a large town near Volcanoes

162 | মিলনMILON | october 2016

National Park. Volcanoes veiled in mist and bearing exotic names, stood like sentinels in the horizon. Mount Bisoke beckoned the adventurous trekker with the promise of an entrancing crater lake at its summit. Mount Karisimbi was a familiar name, as my son had climbed it while tracking the Susa family of gorillas in March. His trek, however, had involved a steep ascent which we had no intention of attempting. We were relieved when our guide, Lynn, reassured us that the hike to see the Sabyinyo family, a troop of seventeen gorillas led by a giant silverback called Guhondo, was less demanding and the one we would probably be assigned. The ascent up Mount Sabyinyo involved a fairly easy walk from the trailhead to the forest boundary and then up gentle slopes to the location where Guhondo and his family had been tracked. Early the following morning we drove from Musanze to report to the Volcanoes National Park headquarters in the village of Kinigi, where, following a cultural performance, we were assigned our rangers and gorilla families according to our preferences and fitness levels. Fortunately, we were matched to the Sabyinyo group following our repeated requests for an easy hike.

Basabi Banerjee teaches English to speakers of other languages and enjoys writing children’s books and travel articles. She has lived in Singapore for many years.

Only ten permits a day are issued for each of the ten gorilla families habituated to tourists and no more


LITERARY 2016

The author in close encounter with Guhondo’s Heir Apparent than eight people are allowed in each group of visitors. As tracking permits cost about $750 per person, Rwandan authorities earn a substantial amount of money from permits alone, much of which is ploughed back into gorilla conservation through the protection and management of the Park and the daily monitoring of the gorilla families. By eight thirty that morning we began our walk from the car park at the trailhead to the forest boundary, passing vegetable and mushroom plots farmed by former poachers. In order to prevent poaching of gorillas in future, these former offenders have been provided with an alternative means of livelihood both by farming and running Iby’iwacu cultural village where they showcase Rwandan culture, demonstrate local activities like making banana beer and even have a replica of a thatched Rwandan palace for tourists to view. মিলনMILON | october 2016 | 163


lITERARY 2016

Intore drumming

Crossing over into the bamboo forest of Mount Sabyinyo after a twenty-minute walk, we soon realized that our rangers’ definition of ‘easy’ was considerably different from ours. Notwithstanding the gentle slopes, dense foliage, slippery conditions underfoot and a profusion of stinging nettles made us feel like intrepid explorers discovering uncharted territory. The porters helping with our backpacks came to our rescue when we sank ankle deep in mud and sludge which is plentiful from March to May. An elderly gentleman fell repeatedly in the swampy ground, an annoyance I only just managed to avoid by holding onto my walking stick with one hand and clinging tightly to my porter’s hand with the other. My bright

Intore dancing

164 | মিলনMILON | october 2016


LITERARY 2016

yellow dishwashing gloves might have looked comical, but were indispensable in keeping my hands safe from nettles.

Husband Gautam Banerjee behind Guhondo’s son

Leading our group was a young man in military fatigues with a rifle slung over his shoulder to fire in the air should a wild buffalo suddenly make an appearance. A machete wielding guide slashed at branches to clear the way whenever impenetrable thickets impeded our progress. After what seemed like an interminable trudge ( about two hours) requiring the utmost concentration, we were finally told that we had arrived at the spot where the Sabyinyo family had decided to spend their morning.

Heir Apparent মিলনMILON | october 2016 | 165


lITERARY 2016

Big Ben

Intore dancing During the frequent breaks we had taken along the way to recover from the fatigue of the ascent and altitude, we had been taught how to say, ‘May we come in,’ in gorillaspeak and instructed in the do-s and don’ts of gorilla tracking. While a deep-throated ‘hm, hhmmm’, conveyed a polite request to visit, a “hm hhmm’ in reply from one of the Sabyinyo troop would signal their consent. An annoyed ‘huh huh huh huh’ meant that we were to keep our distance. The first gorilla we were privileged to see was a female that had recently given birth, breast-feeding her newborn, the youngest infant in the Park. She was in a bamboo thicket and clearly desirous of privacy as her loud ‘huh huh’s demonstrated. We walked a few metres away to another clearing to find yet another female which stared at us dispassionately from behind a cluster of leaves, as she chomped on 166 | মিলনMILON | october 2016

bamboo. Her wide eyed infant, obviously not quite habituated to the daily onslaught of tourists, clung to its mother but stared fixedly at us as if in astonishment. The rangers then directed us to the renowned silverback, Guhondo, leader of his troop, sitting in a huddle with several male members of his family. Though they were further away than the two females had been, it was clear that Guhondo was being tended to by his subordinates who looked as though they were pulling insects out of his luxuriant coat and grooming him. We tested out our ‘hm hhmms’ and to our great delight got a response from the king himself! Big Ben, a massive gorilla almost as large as Guhondo, was pointed out because of the unusual bald patch on his head on account of which he got scant attention from the females. In any case, the dominant silverback in a troop (Guhondo in this case) does not expect to share his harem of three or four females with the other males in his troop and any romantic dalliances need to be conducted on the sly to avoid a violent reprisal. Big Ben, unknown to his leader, had apparently been making desperate overtures to one of the females and was on the brink of making a cuckold of the king! Quite unexpectedly and to our great delight, Guhondo’s heir apparent detached himself from the huddle and walked towards us to a clearing barely two metres away.


LITERARY 2016

Guhondo relaxes He sat there for a while, chin lowered, apparently in deep contemplation, then turned his back on us and decided to take a short nap. His power nap over, he hauled himself up and walked on all fours to a tree, which he began to climb with remarkable agility. What was particularly striking about the primates was both their nonchalance in our presence and their peaceable behaviour. They studied us with as much interest as we observed them, but never seemed threatening in the least. They were also aware that Big Ben

Heir apparent wakes up we were there for a limited time and, at the end of our magical hour, almost in response to the ranger’s whispered message that our time with them was almost up, Guhondo sat up straight, a magnificent sight to behold, giving us the opportunity to take one final photograph. He stared at us as if he wished to say goodbye, then dropped onto all fours and led his troop deep into the forest. Sheer exhilaration made our trudge back to the trailhead much less daunting than the climb up to the gorillas had been. At our next destination, Gorilla Mountain Lodge, we would contemplate the misty Virungas in the distance and look back with ecstasy on an extraordinary day. We had enjoyed the ‘peerless wildlife experience’ described in tourist brochures and it would take a special place in our store of cherished memories. (Note: This article was first published in the August issue of India Se) মিলনMILON | october 2016 | 167


lITERARY 2016

SHAKTI The plight of Indian Women Ranamita Chakraborty In the recent Rio Olympic Games, Indians across the globe lauded and celebrated Indian women athletes PV Sindhu, Sakshi Malik and Dipa Karmakar for bringing glory and pride to India. They truly embodied “nari shakti”. Similarly, women power has been embodied in the political sphere by women leaders - former Prime Minister Indira Gandhi, former President Pratibha Patil, current cabinet ministers Sushma Swaraj and Smriti Irani. The corporate world also has powerful female leaders like Arundhati Bhattacharya, chairperson of State Bank of India and Chanda Kochhar, CEO of ICICI Bank leading the way. Likewise, we worship the divine and powerful form of women through Maa Durga, on a grand scale during Durga Puja every year. While we celebrate female power, are we even aware of how ordinary Indian women are being disempowered every day? They are killed in the womb, raped, molested, harassed, trafficked, beaten up by their own partners, and even murdered by their own kith and kin in the name of honour! Do we realize the extent of agony faced by Indian women on a daily basis or are we simply apathetic and resigned to our inability to drive change? Hence, to raise awareness and perhaps melt the hearts of the apathetic souls out there, I wrote a poems honouring women and highlighting issues such as rape, acid attacks, dowry death, domestic violence, faced by Indian women across the globe. ______________________________________

168 | মিলনMILON | october 2016


LITERARY 2016

These two poems convey my thoughts and feelings about being a woman and about womankind in general. Woman I am a woman. But I am not someone’s burden. Nor do I belong in the kitchen. They say, I am supposed to be submissive, but I can be both attractive and aggressive. Because I am not that damsel in distress, even though sometimes my life can be a complete mess. Yes, I am a woman standing tall, I am proud of who I am after all! “Womankind” Help us break these shackles of patriarchy because our lives are at stake! We need to demand equality for us, the world’s womankind! We want to run with the wind, chase our dreams and ambitions, we want to make our own decisions, work on our careers and break those barriers! Because we are no less human than men. This following poem is directed at ALL of you, members of your respective societies as it voices out an abused woman’s plea for help to the people around her. So would you be there to intervene and help her? Or would you just be apathetic and walk away? The onus is actually on you to make a difference or let the suffering continue! But I hope all of you always remember that Mahatma Gandhi had said “Be the change you want to see in the world”. Hence, if you want to improve the

condition of women in your society, you have to bear the responsibility and take action in order to make a difference to the world and your society! So raise your voice now and don’t let abused women suffer in silence! Will You Be There? Will you be there for me when I am beaten by my husband, when I am violently raped, when I am touched without my permission? Will you be there to hear my plea? Will you be there to take action? Or would you just watch the spectacle, shake your head and walk away? I wrote a poem titled “The Rapist”, inspired by news reports about the interview given by one of the rapists of the notorious 16 Dec 2012 rape case in Delhi, India. The poem explores the sexist mind-set of the privileged Indian man who exerts his “masculine power” in the most inappropriate way by disempowering a female through sexual violence. The victim’s helplessness shows how the rape victim is often blamed for provoking rape due to wearing revealing clothes or being out late at night. However, such a blame culture is baseless with recent reports of baby girls and even elderly women being raped. It is absolutely disgusting to think how some Indian men are so uncouth and libidinous that they don’t even spare helpless baby girls in a bid to satisfy their depraved desires. In a country notorious for rape across the world, where a woman is reportedly raped every 20 minutes, the rape epidemic seems far from being resolved with such regressive ideology as shown by the Delhi gang-rape perpetuator in his interview. The epidemic can only be gradually cured when Indian males control themselves, stop inflicting violence upon females and respect females in general.

মিলনMILON | october 2016 | 169


lITERARY 2016

The Rapist It was 10pm at night, she was walking within my sight, my eyes scanned her from head to toe, her vital stats must be 36-24-34, I know. I caught her hand and groped her tight. To possess her is what I had planned, she tried to fight back, that’s not right! You see, I am a man with desires, and she had what a man requires. So I snatched away what she had to offer, I did not care about her stupid honour! After all she is to blame, she is responsible for her sorrows. Doesn’t she have any shame walking alone, in those wrong clothes? - The Rapist

No one asked me, What was my rapist wearing? I was blamed, I was shamed, for wearing the wrong clothes. They blamed my parents for allowing me to go out so late at night. Why didn’t they ask my rapist’s parents, for not raising him right, for not teaching him to respect women, for touching a woman without her permission? WHY? -The Victim ______________________________________

170 | মিলনMILON | october 2016

The following poem is written from the father’s point of view who has lost his daughter due to dowry-related reasons and he regrets that he initially gave dowry as it was a custom dictated by Indian society and how his actions encouraged the greed of his daughter’s husband and in-laws, ultimately causing his daughter’s death. I hope this poem resonates with every Indian father out there and is a strong voice for all the fathers who have lost their daughters due to dowry- related reasons. The regressive custom of dowry was originally meant to be the transfer of parental property to a daughter at her marriage but has currently evolved to be defined as a payment of cash or gifts from the bride’s family to the groom’s family upon marriage. Dowry is a huge financial burden for the bride’s family and many Indian families spend their entire life savings and may even take up loans just to pay for dowries. In most cases, the bride’s family try their best to meet the groom’s demands but sometimes, the endless demands cannot be fulfilled causing the groom and his family to resort to violence and harassment. This may take the form of torturing the poor newly-wedded bride by physically beating her or in the worst scenario, killing her. In fact, one woman dies every hour due to dowry related reasons on an average, despite anti-dowry laws in India. Additionally, dowry also has far-reaching effects on Indian society because this huge burden of dowry causes daughters to be viewed as undesired economical liabilities, resulting in a skewed sex ratio with widespread female foeticide and infanticide. And this needs to change! We need to educate the masses to stop giving and taking dowry in order to abolish this regressive custom from every strata of the Indian society so that daughters can be viewed as assets to be cherished. Burning Bride My dear daughter, you can’t imagine the anger that burns me as I light your funeral pyre! I wish I could reverse back time as I remember your wedding night. I had never imagined the price I would have to pay for committing the crime of giving you away to the “man of your dreams” with that car, TV, cash and gold as you settled down in your new household. All I wanted was a bright future for you but little did I imagine that my actions would encourage the greed of those materialistic monsters


LITERARY 2016 and merciless murderers! Forgive me my daughter, I wish I never gave in to their demands nor to this sexist custom our society dictates. I know I can’t change your fate, but it’s not too late to change the fate of other daughters in the society, only if this sadistic society starts to understand the father’s pain who loses his daughter in the name of dowry each and every single day! ______________________________________ I was inspired to write this poem after watching Sonali Mukherjee, an acid attack victim on the popular Indian game show, Kaun Banega Crorepati. Later on, I read many inspiring stories about acid attack victims who fought against the odds by opening their own café and starring in fashion shows. Acid attacks occur when acid thrown at the victim’s body (usually face) by the perpetuator burns the victim’s skin tissue with searing pain, often resulting in the bones becoming exposed beneath the flesh. The attack may permanently blind the victim if the acid comes into contact with the eyes. Victims are left severely disfigured and are ostracized society due to their scars and disabilities. The perpetuators are usually men spurned by their love interest and want to teach the victim a lesson for bruising their so-called male ego as presented in the following poem. Corrosive It has been days since that acid attack, an attack on her face, her body and her soul as well.

All she did was to spurn that lecher’s proposal one day, and the next day, he razed her as a punishment he had schemed. After all, puncturing an inflated male ego has a heavy price to pay. A price she is paying with her searing pain, darkness and broken dreams. As she lies on the hospital bed, she endures each day bravely, with the only constant being her agony it seems, after battling with surgeries after surgeries gravely. It took him fifteen seconds to scar her for a life time, but she no longer wanted to be a victim, she wanted to be a fighter. She wanted to punish him for his heinous crime. It was foolish of him to think that she was too weak to speak up, but she proved him wrong and will continue fighting throughout the years to come. She is waiting for justice to finally turn up as she gets ready to face all the obstacles she will eventually overcome.

Now she can never get her old face and perfect life back, with her life reduced to a living hell. “What was her fault? “, her soul screamed!

about the author Ranamita Chakraborty is a Mass Communications undergraduate who loves to write, read and travel. She proudly calls herself a staunch feminist who is very passionate about women issues. Continuing to write more poetry, stories and perhaps publish her own books is her dream for the future. Ranamita lives in Singapore with her parents and younger brother.

মিলনMILON | october 2016 | 171


lITERARY 2016

in a world of chaos and destruction anushka ray

in a world of chaos and destruction, he breathes in, and I watch. every breath is tinted with smoke, a tribute to the time it spent dancing in the wind, holding hands with the flickering flames. every wrinkle is a reminder of the memories, creasing inwards, outwards, crevices we thoughts we never could conquer but yet here we are. every curl may lie in a chaotic mess but they tell simple stories; they spin eloquent tales of the simpler times, before the misery the pain the grief the distress began to cloak our clueless world. every scar, every freckle, every mole sings a new song, urging our souls to wipe their cracked slates clean and begin again. in a world of chaos and destruction, he breathes out, and I watch.

sudeshna dhar

fall

172 | মিলনMILON | october 2016

Don’t allow me to fall, i’m depending on you to not let me go dig deep into me your claws i’m a burden but you’re Atlas carrying my sky lift me up you’re turning into dustand i know i’m too heavy and your arms are tired but i’m lost don’t let me go too far. don’t let me fall.


achievementS 2015-16

congratulations! Arijit (Raj) has passed the “GCE A-level 2015”

examination from National Junior College (NJC). He has got ‘A’ in all the 7 subjects including Distinction in his H3 Science Research. Arijit is presently doing his ‘National Service’. After completion of NS, he will join National University of Singapore (NUS) in 2018 to pursue his Engineering together with University Scholars Programme (USP). Arijit has been awarded with the prestigious “A*STAR Undergraduate Scholarship”. He has received several other accolades including ‘Young Defence Scientists Programme (YDSP)’ award 2016, SINDA Excellence award 2016, winner of IEEE-NTU Science Symposium 2015 etc.

ARIJIT (RAJ) DASGUPTA

prahlad chakravarti I was super excited to attend my brother’s graduation ceremony at Cambridge University on the 26th of June 2016. 6 years ago my brother, Prahlad was accepted at Cambridge University to read Medicine. This was a very proud moment for the family especially for my grandparents, lovingly known as Joguda (S.K. Chakravarti) and Manorama Di. They were amongst the pioneers in the Bengali community who organized Durga Puja back in the late 70’s. Due to health concerns, it was a pity they were unable to travel with us to witness their grandson’s graduation as a medical doctor. However, their blessings will always be with us. ahlad

r, Pr i and my brothe My mother Arot

Though the declaration ceremony itself was a solemn and simple event held at Addenbrook’s Hospital (Cambridge University teaching Hospital) lecture theatre, it was nonetheless a very memorable and emotional experience for my parents and me.

My brother,

Prahlad and

I

WORDS chandni krishnan

proud of you, prahlad! মিলনMILON | october 2016 | 173


lITERARY 2016

174 | মিলনMILON | october 2016


LITERARY 2016 One often gets advice on the internet and through social media to throw away one’s microwave oven. Such messages assert that cooking with microwaves destroys cancer-fighting nutrients in food and causes nutritional deficiencies. The general thrust of the cautionary messages runs along these lines:

Utpalendu Gupta

- Microwaves absolutely decimate the nutritional value of food, destroying the very vitamins and phytonutrients that prevent disease and support good health. Studies can show that as much as 98% of the cancer-fighting nutrients in broccoli, for example, are destroyed by microwaving. - Vitamins and phytonutrients (plant-based nutrients) are delicate and fragile molecules, easily destroyed by heat, which is why raw plant food contains more plant nutrients than cooked food. Carotenoids, antioxidants and other molecules like DIM (in broccoli) or anthocyanins (in purple corn) are all easily destroyed by microwave energy. - Microwaves “nuke” food at a cellular level. It’s the worst way to cook food because microwaves excite the water molecules inside what is being cooked, causing heat to be formed from the inside out. This results in a cell-bycell “nuking” of the food (such as broccoli, carrots, etc.), causing the near-total molecular decomposition of the vitamins and phytonutrients. - Microwaved food is not merely “dead” food at every level, it is food that has been molecularly deconstructed, leaving nothing but empty calories, fiber and minerals. Virtually the entire vitamin and phytonutrient content has been destroyed.

Microwaving

food

_________________________

Breaking the myths of our everyday habit

- Anybody who says microwaving food is a healthy way to cook is wildly ignorant of nutrition and cooking methods. While steaming vegetables is indeed a good method to help make certain nutrients more bioavailable, microwaving destroys vegetables from the inside out at a cellular level. - What’s really deceptive about microwave cooking is that the food still appears to be the same; but at the cellular level, it’s like a nuclear war has taken place. The actual molecular structure has been decimated. If one could see microwaved food with a powerful microscope, one would never eat it again, having recognised just what a nutritional wasteland it really is. - To eat in a healthy way, a significant part of the diet ought to be raw plants. It’s okay to eat some steamed, stir-fried or even grilled vegetables, but when grilling food, one must avoid burning it because all burned parts contain toxic, cancer-causing chemicals that promote colon cancer. মিলনMILON | october 2016 | 175


lITERARY 2016 - Word must be spread that microwaves promote death because they turn nutritious, healthy food into empty, decimated calories, and that a person who cooks a lot with microwaves will inevitably have chronic nutritional deficiencies leading to cancer, diabetes, bone diseases, loss of brain function, heart disease and many other health problems. The least healthy people of any society are typically those who frequently use the microwave oven to “nuke” their food. While some of the statements made about microwave cooking are factual, others are pure fiction, and the mix of facts and fiction make a deadly combination. Microwaves are a form of low-energy electromagnetic radiation. All such radiation carries energy. In comparison, visible light or infrared radiation (similarly electromagnetism in nature) carries much higher energy. Some energy in electromagnetic radiation may be absorbed by a body standing in its path, and one possible outcome is the body getting heated up (other outcomes are also possible). A material body is heated up when its molecules vibrate or move about in a more chaotic manner. Heat is an indicator of the extent of chaos in the movements of the molecules. In a solid body, the molecules stay put at their places, but vibrate more when heated. In a fluid, molecules have no fixed positions, and are always on the run. Heat makes them run more chaotically and vigorously. The “beauty” of microwave radiation is that it is not readily absorbed by solid bodies. But water in particular absorbs it well. So, when microwaves hit the food to be cooked (even that inside a microwave-ready container), the container absorbs very little of the radiation, and is not heated significantly. Even the solid part of the food doesn’t directly absorb much of the MW radiation, letting it enter the food with practically full energy. Water molecules inside the food then come into play by absorbing energy from the radiation, getting heated, and in turn heating up the neighbouring solid parts of the food as well. The solid parts of the food thus do absorb energy from the microwaves, but only via the water molecules, not directly. It’s true therefore that microwaving heats up the food from the inside, unlike conventional heating that works its way gradually from the outside towards the interior of the chunk of food. Conventional cooking takes longer, and the food is often not cooked evenly as the exterior gets longer exposure to the incident energy. Microwave radiation, in contrast, gets absorbed by the water molecules that are spread throughout the solid food, without much time delays. Cooking is faster, and 176 | মিলনMILON | october 2016

tends to be less uneven. Microwaves are just another way of delivering heat energy to the food to be cooked. Letters, for instance, may be delivered by email, fax, whatsapp, facebook or courier. But a letter is still a letter -- one received through whatsapp is not “nuked” when compared with an emailed letter. The picturesque imagery of seeing a nutritional wasteland if microwaved food is viewed through a powerful microscope is pure fiction, because the nutritional value of food is not a visible feature of its molecular structure. If one has any objection to food being heated for fear that it might lose some nutrients, that objection should apply to any form of cooking. There is no visible devil with bared fangs in a microwave oven. Food eaten raw may preserve the nutrients, but is also likely to carry harmful fungi, bacteria, pests etc. Eat them all, if one likes. Let me emphasise that microwave cooking has no bearing, no impact on the nuclear structures of atoms inside food molecules. The talk of “nuking” is merely to create a false scare where there should be none. As for molecular structures, any - repeat, any - form of cooking would change such structures to a greater or lesser degree, because cooking involves some chemical reactions, and change of molecular structures is the basic stuff of chemical reactions. Virtually the entire vitamin and phytonutrient content has been destroyed. - Anybody who says microwaving food is a healthy way to cook is wildly ignorant of nutrition and cooking methods. While steaming vegetables is indeed a good method to help make certain nutrients more bioavailable, microwaving destroys vegetables from the inside out at a cellular level. - What’s really deceptive about microwave cooking is that the food still appears to be the same; but at the cellular level, it’s like a nuclear war has taken place. The actual molecular structure has been decimated. If one could see microwaved food with a powerful microscope, one would never eat it again, having recognised just what a nutritional wasteland it really is. - To eat in a healthy way, a significant part of the diet ought to be raw plants. It’s okay to eat some steamed, stir-fried or even grilled vegetables, but when grilling food, one must avoid burning it because all burned parts contain toxic, cancer-causing chemicals that promote colon cancer. - Word must be spread that microwaves promote death because they turn nutritious, healthy food into empty, decimated calories, and that a person who cooks a lot with microwaves will inevitably have chronic nutritional


LITERARY 2016 deficiencies leading to cancer, diabetes, bone diseases, loss of brain function, heart disease and many other health problems. The least healthy people of any society are typically those who frequently use the microwave oven to “nuke” their food.

energy to the food to be cooked. Letters, for instance, may be delivered by email, fax, whatsapp, facebook or courier. But a letter is still a letter -- one received through whatsapp is not “nuked” when compared with an emailed letter.

While some of the statements made about microwave cooking are factual, others are pure fiction, and the mix of facts and fiction make a deadly combination.

The picturesque imagery of seeing a nutritional wasteland if microwaved food is viewed through a powerful microscope is pure fiction, because the nutritional value of food is not a visible feature of its molecular structure.

Microwaves are a form of low-energy electromagnetic radiation. All such radiation carries energy. In comparison, visible light or infrared radiation (similarly electromagnetism in nature) carries much higher energy. Some energy in electromagnetic radiation may be absorbed by a body standing in its path, and one possible outcome is the body getting heated up (other outcomes are also possible). A material body is heated up when its molecules vibrate or move about in a more chaotic manner. Heat is an indicator of the extent of chaos in the movements of the molecules. In a solid body, the molecules stay put at their places, but vibrate more when heated. In a fluid, molecules have no fixed positions, and are always on the run. Heat makes them run more chaotically and vigorously. The “beauty” of microwave radiation is that it is not readily absorbed by solid bodies. But water in particular absorbs it well.

If one has any objection to food being heated for fear that it might lose some nutrients, that objection should apply to any form of cooking. There is no visible devil with bared fangs in a microwave oven. Food eaten raw may preserve the nutrients, but is also likely to carry harmful fungi, bacteria, pests etc. Eat them all, if one likes. Let me emphasise that microwave cooking has no bearing, no impact on the nuclear structures of atoms inside food molecules. The talk of “nuking” is merely to create a false scare where there should be none. As for molecular structures, any - repeat, any - form of cooking would change such structures to a greater or lesser degree, because cooking involves some chemical reactions, and change of molecular structures is the basic stuff of chemical reactions.

So, when microwaves hit the food to be cooked (even that inside a microwave-ready container), the container absorbs very little of the radiation, and is not heated significantly. Even the solid part of the food doesn’t directly absorb much of the MW radiation, letting it enter the food with practically full energy. Water molecules inside the food then come into play by absorbing energy from the radiation, getting heated, and in turn heating up the neighbouring solid parts of the food as well. The solid parts of the food thus do absorb energy from the microwaves, but only via the water molecules, not directly. It’s true therefore that microwaving heats up the food from the inside, unlike conventional heating that works its way gradually from the outside towards the interior of the chunk of food. Conventional cooking takes longer, and the food is often not cooked evenly as the exterior gets longer exposure to the incident energy. Microwave radiation, in contrast, gets absorbed by the water molecules that are spread throughout the solid food, without much time delays. Cooking is faster, and tends to be less uneven. Microwaves are just another way of delivering heat মিলনMILON | october 2016 | 177


178 | মিলনMILON | october 2016


lITERARY 2016 It is hard to fathom An amazing link Larger than the ocean Deeper than any sink

Mother’s Love Dipankar Dasgupta

You are confused As you try to understand At a loss for words On the shore you stand It has no end There is no measure Nothing asked in return It is just to treasure Growing up is difficult Want time with friends Why is she always waiting Setting an annoying trend You want freedom You are not cynical Then why is she refusing To cut the umbilical Life is becoming a drag Please leave me dear I can steer my way Without your interfere Time has moved on The tables are turning Memories flash back A different yearning The haziness clears The softness returns You long for the love That you failed to earn They don’t understand Are emotions leaving at the door My intentions are pure Don’t I deserve a bit more

ABOUT Dipankar I am a graduate from IIT Kharagpur and University of Miami, USA and have spent my entire corporate life in Telecommunications. Now I am an Education Entrepreneur. I have lived in the USA, Europe and Asia. I am also an avid traveler, having covered six continents and visited 250+ cities across the globe. I enjoy reading history and writing poetry. My view of life: Be a free thinker, carve a niche for yourself and live life on your own terms.

I sit in the darkness My heart pure as a dove The world around me Appears deprived of love As present turns to past A reminder from above Mothers are only allowed To give unconditional love

মিলনMILON | october 2016 | 179


lITERARY 2016 Soumyaditya Choudhuri

think again

C

an technology kill off mankind? Well, technology has benefited mankind in hundreds of ways. While communicating over long distances, or while allowing surgery to happen in its smallest of forms, we humans have found ways of using technology for doing every apparently impossible task. Humans have seemed to harness technology, to a large extent, in various fields. But, have humans utilised it too much at times? Pokemon Go is a very recently created amateur reality endeavour, which like many recent games, have focused on virtual reality, with an infusion centred on the popular TV series Pokemon and the various entities involved. The game uses randomly selected global positioning system coordinates for keeping game characters at random, with the only constraint on coordinates being the proximity to a city or a major location, to decrease the general difficulty of the game. Pokemon Go, has since managed to be a game that constantly updates itself with its general servers, because of the high user engagement. The game has many advantages, of course. It has managed to be one-in-a-kind game, in which the player actually cannot be a couch potato. Many video games have been criticised because of this approach, and sure, Pokemon Go, has apparently redefined the augmented reality world. It is designed to make people physically move around, and the more they walk, the more they catch, and hence the motivation is higher for people to actually exercise and burn calories. Catching the Pokemon is a good, effective incentive to people, who need to walk miles to catch them. This encouragement has also led to the fact that people have seen more of the neighbourhood around them in the process. According to some sources, some people have been led to see things in their own neighbourhood for the first time! So, it can also be deduced that the game encourages people to rediscover, a necessary basic survival skill that humans had pre- technology. Apart from that, Pokemon Go has also allowed people to be more social,

180 | মিলনMILON | october 2016

about communicating with others. Even though the communication is almost always related to Pokemon Go, some studies have shown that verbal communication (while using handheld devices) levels may have skyrocketed after the release of Pokemon Go. But, however much the augmented reality game has made us stand to benefit, we also seem to have lost some fundamental human moral values while playing this game. As of today, people overly addicted to the game have failed to abide by the law - for example, by breaking into houses, breaking car windows, injuring other people - and it does seem highly messed up, as the only apparent objective they might have in mind, to beat other people to catch the Pokemon. They have not gotten away scot-free while doing this - a person was killed when he broke into a house, and the owner thought there was a burglar. Truly, this is not the owner’s fault someone breaking into the house, is surely classifiable as equal to or worse than a burglary. What shocks the general bystander even more is the motive. A Pokemon, a 64 by 64 bit unreal object, has caused a person, an adult to break into a house. 290 police complaints have already been filed in the UK alone, in a span of a month. That’s not it. Pokemon can randomly be placed in sensitive areas of a city - for example in temples that are religiously sensitive and in crematories which are sensitive to relatives of people buried there. People have walked over graveyards to play this game. Can we seriously accept the fact that people can go to such inhumane lengths for the sake of a game? They don’t care to turn a blind eye! This perspective of looking at it shows that the game is scraping out the last preschoolimparted values and proverbs. That is just a brief lookout onto the effects of over addiction by the game which has racked up millions in the process. Pokemon Go is definitely not completely negative, so it is unjust to immediately classify it as a game that should be restricted - it does have benefits as previously mentioned. The same applies for all technology. It is useful with data, servers, communication, research, knowledge. But then again, data can be stolen, and what not? The easiest way to put it right is to impart this into the minds of the general human population: that technology can be useful and resourceful, but its extensive usage can truly lead to utter disaster. Soumyaditya is a 13 year old, Grade 8 student in UWCSEA Dover. He enjoys Mathematics, reading, logical problems, Computer Science, learning foreign languages and playing the game of Chess. Furthermore, he enjoys reading about current affairs and debating.


LITERARY 2016

Suhrid Devsharma

Diamonds are forever Singapore, you turned fifty-one this year. Fifty-one years of tremendous achievement Riding on the shoulders of giants. Fifty-one glorious years Spent with the sole ambition of being the best – And you succeeded. Do you know Singapore That during those years, nay, even earlier Yes, sixty years ago, another body was formed With much the same burning desire – To bring out the best in its people To celebrate the unbreakable bond of brotherhood Of people from a far-away land? Do you realise Singapore That as you have become a melting pot of cultures, We have thrived too, reveling in your openness And in our own pride? Pride of our roots, our glorious past, But always looking forward, So that the future can be even brighter.

During these sixty years Acquaintances have become friends, and friends have become family Families that, far from our own shores Have laughed together, cried together, Shared centre stage as they nurtured the next generations And kept alive the thriving cultural traditions of this faraway land. Today we salute those pioneers. As we pledge to keep the flame alive, As we uphold our traditions, As we celebrate our heritage and empower our youth Let us bow in respect before the diamonds Who made this Diamond Jubilee possible. Many of them are no more in our midst, But it matters not – for they are forever in our hearts. Since, as we all know, don’t we That diamonds are forever?

About the poet: Suhrid has been in Singapore since 2007. His passions include quizzing, writing, and multiple other creative pursuits.

মিলনMILON | october 2016 | 181


lITERARY 2016 Flowers

When you have disappointment

they are so sweet; Flowers, flowers, are like a treat. To your nose, they w and blue; Red, orange, yello tiful too. Flowers are beau ses; ers, daisies and ro Primrose, sunflow in different poses. I always see them ly blooms; They all have love s. ch fruit grows room As they bloom, ea beauty; fill the world with Flowers, Flowers duty. would nurture with I wish that all of us

When you have disappointmen t, just hum a littl e tune; if you do that, your fears go pr etty soon. If you have disa ppointment, eat your favour ite snack; Could it be a ca ke or tic-tac.

When you have

disappointmen t, do fun stuff. I know it may be tough, but when you’ re tired, your di sappointment will go huff and puff!

My friends My friends are the best; They always encourage me, even in a test. My friends are very kind and sweet, I always enjoy each and every friend I meet. They are always kind and caring, Most of friends are also very sharing. I love all of the friends I‘ve got. I love the whole lot.

Shreya is in Grade 4 in NPSI. She is the daughter of Chandrani & Partha Ray.

shreya ray 182 | মিলনMILON | october 2016


WHAT’S COOKING

বাদশাহীচিকেন

উপকরণ

১) চিকেন—৫০০গ্রাম। ২) সাদা তেল। ৩) কুচ�োন�ো পেঁয়াজ —দেড় কাপ। ৪) কুচ�োন�ো আদা —হাফ কাপ। ৫) কুচ�োন�ো রসু ন — হাফ কাপ। ৬) দু ধ— ১ কাপ। ৭) হলু দ গুড়ো— আন্দাজ মত। ৮) জিরে,ধনে, শুকন�ো লঙ্কা , গ�োটা গরম মশলা ,কাজু বাদাম, কস�ৌরী মেথি। আন্দাজ মত নু ন ও মিষ্টি। আলু অপশনাল।

প্রতিমা সাহা Home Maker. Passionate about cooking & handicrafts

প্রণালী

প্রথমে একটা প্যানে সাদা তেল গরম করে নিন। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে মাংসের টুকর�োগুল�ো ভেজে নিন। অন্যদিকে আরেকটি পাত্রে শুকন�ো লঙ্কা, গরম মশলা, ধনে, জিরে, কাজুবাদাম শুকন�ো খ�োলায় ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে সব মশলা একসঙ্গে বেটে নিন। এবার আর একটি প্যানে তেল দিয়ে তাতে জিরে ফ�োড়ন দিয়ে কুচ�োন�ো আদা রসু ন দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। তারপর কুচ�োন�ো পেঁয়াজ দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। স্বাদমত নু ন দিয়ে আরও কিছু ক্ষণ ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে দু ধ ঢেলে দিয়ে ফুটান। এবার বেটে রাখা সব মশলা দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। গ্রেভি ঘন হয়ে এলে তাতে চিকেনের টুকর�োগুল�ো দিয়ে নাড়াচাড়া করে কিছু ক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখুন। এবার স্বাদ মত চিনি ও কস�ৌরী মেথি ছড়িয়ে দিয়ে নেড়েচেড়ে গ্যাস অফ করে কিছু ক্ষণ স্ট্যাণ্ডিং টাইমে রেখে পরিবেশন করুন বাদশাহী চিকেন।

পাবদার ঝাল উপকরণ

পাবদা মাছ—৩০০গ্রাম। সর্ষের তেল, কাল�ো জিরে, হলু দগুর�ো, জিরের গুর�ো , কাঁচালঙ্কা, নু ন।

প্রণালী মাছ ভাল করেধু য়ে, নু ন,হলু দ আর সর্ষের তেল মেখে আধ ঘন্টা ম্যারিনেট করতে হবে। না হলে কড়াইতে দিলে মাছ সশব্দে ফুটতে থাকবে। এরপর মাছগুল�ো সর্ষের তেলে হাল্কা করে ভেজে তুলে নিতে হবে। তারপর ঐ তেলে কাল�োজিরে, কাঁচালঙ্কা ফ�োড়ন দিতে হবে। একটি বাটিতে স্বাদ মত নু ন, হলু দ গুর�ো, জিরের গুর�ো জল দিয়ে গুলে ঐ তেলের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। ঝ�োলটা ফুটে উঠলে মাছ গুল�ো দিয়ে হাল্কা ভাবে নেড়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। মিনিট দশেক ফ�োটার পর কয়েকটা কাঁচা লঙ্কা চিরে দিয়ে সামান্য কাল�োজিরে বাটা দিতে হবে। আরও মিনিট পাঁচেক ফ�োটার পর উপর থেকে কিছু টা কাঁচা সর্ষের তেল ও ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন। মিলনMILON | october 2016 | 183


WHAT’S COOKING

FAMOUS

Bengali Sweet Malpua

INGREDIENTS 1. Maida (flour) 500 gms 2. Sugar 500 gms 3. Baking powder 1/2 teaspoon 4. Mouri (fennel seeds) 1 teaspoon 5. Cashew nut ( cut in small pieces) 2 tablespoons 6. Raisin 2 table spoons 7. Ghee 1 table spoon 8. Cardamom powder 1/2 teaspoon 9. White oil to fry 10. Water

INSTRUCTIONS 1. Add the maida, sugar and water in a bowl and make a smooth batter. 2. Add cardamom powder, mouri, Cashew nuts and Raisin to the batter. 3. Now heat ghee in a small pan and add baking powder to it. Pour this mixture in the batter. 4. Keep aside the batter for an hour. 5. Heat pan and add the white oil. Once the oil is hot, take one ladle of batter and pour in the oil. 6. Deep fry it till the edges are brown. 7. Serve it hot.

sudipta sudiptadas dassudipta dassudipta 184 | মিলনMILON | october 2016


WHAT’S COOKING

CLASSIC

STUFFED BELL PEPPERS

INGREDIENTS 1. 3 large red bell peppers 2. 2 carrots (cut in small pieces ) 3. 6 green beans (cut in small pieces) 4. 50 gms Green peas 5. 50 gms Sweet corns 6. 1 Bay leaf 7. 1/2 tea spoon Cumin seeds 8. 1/2 tea spoon Turmeric powder 9. 1 teaspoon garam masala 10.1 teaspoon Sugar 11. teaspoon Chilli 12. Salt to taste 13. Oil 2 tablespoons

INSTRUCTIONS 1. Heat the pan and add 2 tablespoon of veg oil, cumin seed and bay leaf. When it starts cracking, add the cut vegetables. Then fry for 2 mins. 2. Add turmeric powder, sugar, salt , chilli powder, garam masala. Cover and cook on low flame for 10 mins . 3. Preheat the oven at 350 degrees F. 4. Cut the head (top) of the red bell peppers, take out the seeds and clean it. 5. Put the stuffing into the red bell pepper and cover it with the previously cut bell pepper head. 6. Bake for 10 to 15 mins. 7. Serve it hot .

I was born and raised in the “railway town” of Kharagpur, West Bengal. Kharagpur, being one of the biggest hub of South Eastern Railways. I did my schooling at Kharagpur and graduated from Vidyasagar University. I am a simple down to earth girl who loves exploring different cities and countries.I love cooking also. My love for art has always been there since childhood and I think I got that from my Dad.

dipta dassudipta dassudipta das মিলনMILON | october 2016 | 185


WHAT’S COOKING

সুইট কর্ন

ঘুগনি

উপকরন

প্রণালী

সু ইট কর্ন - ৩ টে আলু - ২ বড় মাপের কিশমিশ - ১ ছা চামচ চিঁড়ে – ২৫ গ্রাম আদাবাটা – চা চামচ পেঁয়াজ - ২ কুচ�োন�ো নু ন – আন্দাজ মতন চিনি - আন্দাজ মতন গরম মশলা – ১/২ চা চামচ কারি পাতা – ১ ছড়া বাদাম তেল - ২ চা চামচ

১) সু ইট কর্ন আর আলু নু ন দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। আলু ডুম�ো করে কেটে রাখতে হবে। ২) সু ইট কর্ন এর দানা ছাড়িয়ে রাখতে হবে। ৩) চিঁড়ে ধু য়ে রাখতে হবে। ৪) কড়াইতে তেল দিয়ে গরম মশলা ফ�োড়ন দিয়ে পেয়াজ লাল করে ভেজে নিতে হবে। ৫) এরপর কিশমিশ ও আদা বাটা দিতে হবে। ৬) হালকা ভেজে আলু ,ভুট্টা,চিঁড়ে,নু ন,চিনি,কারিপাতা সব দিয়ে নাড়তে হবে। ৭) এক কাপ জল দিয়ে ফুটিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

জাভেড়ী মিত্র

প্রায় ১৮ বছর ধরে স্বামী ও দু ই ছেলে নিয়ে ‘LION CITY’ তে আমার ছ�োট্ট সংসার। রান্না করতে ভালবাসি ত�ো বটেই, কিন্তু নতুন জায়গা থেকে নতুন কিছু শিখতে খুব ভাল�ো লাগে। নানান দেশের ল�োকদের থেকে তাদের দেশ ও সংস্কৃতি সম্বন্ধীয় তথ্য সংগ্রহ করতে খুব ভাল লাগে।

186 | মিলনMILON | october 2016


WHAT’S COOKING

ফুলকপির

ভাপে

উপকরন

প্রণালী

ফুলকপি - ১ বড় আদার রস – ২ চা চামচ পেঁয়াজের রস – ৫ চা চামচ টক দই - ২ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো - আন্দাজ মতন হলু দ গুঁড়ো - আন্দাজ মতন নু ন ও মিষ্টি – আন্দাজ মতন সর্ষের তেল - ৪ টেবিল চামচ ঘি ও গরম মশলা - আন্দাজ মতন

১) কপি বড় বড় টুকর�ো করে কেটে ধু য়ে নিন। ২) দই, আদার রস, পেঁয়াজের রস, লঙ্কা গুঁড়ো, হলু দ গুঁড়ো, নু ন ও চিনি দিয়ে ভাল করে মেখে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। ৩) কড়াইতে ঘি ও সর্ষের তেল দিয়ে গ�োটা গরম মশলা দিন। ৪) এবারে পুর�ো মশলা মাখান�ো কপি গুল�ো দিয়ে অল্প আঁচে রান্না ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। জল দিতে হবে না। ৫) কপি সেদ্ধ হলে আর তেল ছাড়লে নামিয়ে নিন। গরম ভাত বা রুটির সাথে পরিবেশন করুন।

আর ‘সিঙ্গাপুর’ এ থাকার দ�ৌলতে আজও নতুন কিছু শিখে চলেছি। কলকাতা থেকে দূ রে থাকলেও বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতি কে মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে চাই। এই বছর আমার হেঁসেল থেকে আমার পছন্দের কিছু রেসিপি পাঠালাম সবার জন্য। আশাকরি ভাল�ো লাগবে।

জাভেড়ী মিত্র মিলনMILON | october 2016 | 187


কাসুন্দি মুরগী

WHAT’S COOKING

উপকরন

প্রণালী

মুরগীর মাংস – ৫০০ গ্রাম আদা বাটা - ১ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা - ১ চা চামচ রসু ন বাটা - ১ চা চামচ হলু দ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো -১/২ চা চামচ কাসু ন্দি - ২-৩ চা চামচ নারক�োল বাটা - ২ চা চামচ সরষের তেল - আন্দাজ মতন গ�োটা কাঁচালঙ্কা – দু তিনটে চেরা নু ন ও চিনি - আন্দাজ মতন

১) সরষের তেল গরম করে আদা বাটা, রসু ন বাটা, লঙ্কা বাটা, দিয়ে দিন।

188 | মিলনMILON | october 2016

২) এবার মুরগীর টুকর�ো গুল�ো দিয়ে ভেজে নিন। ৩) হালকা ভাজা হয়ে গেলে ১ কাপ জল দিয়ে দিন। জল ফুটে উথলে কাসু ন্দি আর নারক�োল বাটা দিয়ে দিন ও ফুটিয়ে নিন। ৪) জল কমে আসলে নু ন ও চিনি দিয়ে দিন। ৫) পুর�ো মশলাটা যখন মাংসের গা মাখা হয়ে যাবে,তখন কাঁচা লঙ্কা চেরা আর ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

জাভেড়ী মিত্র


ম�োচা–চিজ এর

ক�োপ্তাকারী

WHAT’S COOKING

উপকরন

প্রণালী

ক�োপ্তার উপকরণ

১) ম�োচা কুচি করে কেটে ধু য়ে নিন। নু ন ও হলু দ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।

ম�োচা – ১টা বড় অথবা মাঝারি – ২ টা আদা বাটা -১ চা চামচ কাঁচালঙ্কা কুচি – ২ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ বেসন বা ময়দা – ৩ টেবিল চামচ আলু সেদ্ধ -১টা Cheddar cheese - 5 tb spoon (grated) বাদাম তেল – ভাজার জন্য

কারীর উপকরণ পেঁয়াজ কুচি – ১ টা আদা বাটা - ১/২ টেবিল চামচ কাঁচালঙ্কা কুচি - ১ চা চামচ হলু দ ও লঙ্কা গুঁড়ো – আন্দাজ মতন গ�োটা গরম মশলা – ১/২ চা চামচ বাদাম তেল - ২-৩ টেবিল চামচ ঘি – ১ চা চামচ Fresh cream -2 tb spoon জল – ১ কাপ

২) ম�োচা সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে ক�োপ্তার সব উপকরণ এক সাথে মেখে নিন ও ক�োপ্তার আকারে বানিয়ে নিন। ৩) ড�োবা তেলে ক�োপ্তা গুল�ো ভেজে সরিয়ে রাখুন। ৪) কড়াইতে তেল ও ঘী দিয়ে গ�োটা গরম মশলা ফ�োড়ন দিন। ৫) পেঁয়াজ কুচি দিয়ে স�োনালি করে ভাজুন। আদা বাটা ও কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে আবার ভাজুন। ৬) লঙ্কা গুঁড়ো ও হলু দ গুঁড়ো দিন। ৭) ১ কাপ জল দিয়ে দিন। ৮) জল ফুটলে fresh cream দিয়ে দিন। ৯) ক�োপ্তাগুল�ো ঝ�োল এ দিয়ে একটু ফুটিয়ে নামিয়ে নিন।

জাভেড়ী মিত্র

মিলনMILON | october 2016 | 189


tailpiece

management committee 2016

DEBASHIS TARAFDAR

President

MANOJ DEY

Treasurer

PRASUN SAHA

Member

SUDESHNA CHATTERJEE

Member

DEBANJAN BAGCHI

Secretary

KOUSHIK KUNDU

VP

greetings

BISWAROOP SOM

Member

We hope that you have enjoyed all the events this year. Thank you so much for your whole hearted support and participation. There are a lot of our members who have worked very hard behind the scenes to make the events work. A special thanks to all of them. Wishing all the members and their families a very Happy PUJA 2016.

190 | মিলনMILON | october 2016



192 | মিলনMILON | october 2016


Turn static files into dynamic content formats.

Create a flipbook
Issuu converts static files into: digital portfolios, online yearbooks, online catalogs, digital photo albums and more. Sign up and create your flipbook.